ভূগোল- কুইজ-জি.কে-জেনারেল নলেজ -প্রশ্ন ও উত্তর,মাধ্যমিক ভূগোল,গোলক ধাঁধাঁয় ভূগোল মোড়া,ভূগোলের ধাঁধাঁ,ভূগোল প্রশ্ন উত্তর,সাধারণ জ্ঞান ভূগোল,ভূগোল সাধারণ জ্ঞান,ভূগোল slst প্রশ্নোত্তর,ভূগোল ও পরীক্ষা প্রস্তুতি,কুইজ প্রতিযোগিতা,প্রিয় ডেইলি কুইজ উত্তর,ভূগোল অনার্স/মাস্টার /নেট/সেট mcq,বাংলা কুইজ প্রশ্ন ও উত্তর,ভূগোল জিকে,ভূগোল gk,ভূগোল,ভারতের ভূগোল,পশ্চিমবঙ্গের ভূগোল,জিকে ভূগোল,গুরুপ্তপূর্ণ ভূগোল জিকে,700 ভূগোল জিকে,ভূগোলের জেনারেল নলেজ,ভূগোল প্রশ্ন উত্তর,ভূগোল সাধারণ জ্ঞান,পশ্চিমবঙ্গের ভূগোল mcq,সমগ্র ভূগোলের প্রশ্ন,ভূগোল part 2,মাধ্যমিক ভূগোল,ভূগোল বায়ুমণ্ডল,ভূগোল জিকে প্রশ্ন,ভারতের ভূগোল জিকে,ভূগোল জি কে প্রশ্ন,পশ্চিমবঙ্গ ভূগোল,বাংলা প্রশ্ন ভূগোল,ভূগোল জিকের প্রশ্ন,100টি ভূগোল এর প্রশ্ন,ভারতের ভূগোল এর প্রশ্ন,আবগারি পুলিশ ভূগোল জিকে,
ভূগোল জি.কে এবং কুইজ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর
ভূগোল জেনারেল নলেজ | মোট প্রশ্ন ও উত্তর |
---|---|
গ্রহরূপে পৃথিবী | মোট ২২ টি |
পৃথিবী পরিধি-আয়তন ও ওজন | মোট ২৮ টি |
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রকার গতি | মোট ৬৫ টি |
শিলা / পর্বত / মালভূমি/ সমভূমি/ ভূমিকম্প | মোট ৫৬ টি |
আবহবিকার / নদী / হিমবাহ ও বায়ুর কার্য | মোট ৪৪ টি |
ভূগােল কুইজ | জি.কে | জেনারেল নলেজ | প্রশ্ন ও উত্তর
গ্রহরূপে পৃথিবী
🔴 সৌরজগতের প্রধান কেন্দ্র কে?
উঃ সূর্য সৌরজগতের প্রধান কেন্দ্র।
🔴 সৌরজগত কি নিয়ে গঠিত?
উঃ সূর্য ও সূর্যের চারদিকে ঘুরছে এমন কতগুলাে গ্রহ, উপগ্রহ, অসংখ্য
গ্রহাণুপুঞ্জ, ধুমকেতু এবং উল্কাপিণ্ড নিয়ে সৌরজগত গঠিত।
🔴 সৌরজগতে কটি গ্রহ আছে?
উঃ সৌরজগতে নটি গ্রহ আছে।
🔴 সূর্যের সবচেয়ে কাছে কোন গ্রহ আছে?
উঃ সূর্যের সবচেয়ে কাছে আছে বুধ।
🔴 পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ কোনটি?
উঃ পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ শুক্র।
🔴 সৌরজগতের নটি গ্রহ কি কি?
উঃ সৌরজগতের নটি গ্রহ হল বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস,
নেপচুন ও প্লটো।
🔴 উপগ্রহ কাকে বলে?
উঃ গ্রহের চারদিকে যে সব জ্যোতিষ্ক অনুগমন করছে তাদের বলা হয উপগ্রহ।
🔴 পৃথিবীর উপগ্রহ কে?
উঃ পৃথিবীর উপগ্রহ চন্দ্র।
🔴 কোন কোন গ্রহের উপগ্রহ নেই?
উঃ বুধ, শুক্র ও প্লুটোর কোন উপগ্রহ নেই।
🔴 মঙ্গলের কটি উপগ্রহ আছে?
উঃ মঙ্গলের ২টি উপগ্রহ আছে।
🔴 বৃহস্পতির কটি উপগ্রহ আছে?
উঃ বৃহস্পতির ১২টি উপগ্রহ আছে।
🔴 শনির কটি উপগ্রহ আছে?
উঃ শনির ১০টি উপগ্রহ আছে।
🔴 ইউরেনাসের কটি উপগ্রহ আছে?
উঃ ইউরেনাসের ৫টি উপগ্রহ আছে।
🔴 নেপচুনের কটি উপগ্রহ আছে?
উঃ নেপচুনের ২টি উপগ্রহ আছে।
🔴 আয়তনের বিচারে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ ও ক্ষুদ্রতম গ্রহ কোনটি?
উঃ আয়তনের বিচারে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি ও ক্ষুদ্রতম গ্রহ হল বুধ।
🔴 সৌরজগতের পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ কোনটি?উঃ সৌরজগতের পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ পৃথিবী।
🔴 কোন কোন গ্রহকে পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখা যায়?
উঃ শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনি এই চারটি গ্রহকে পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখা যায়।
🔴 গ্রহ বা উপগ্রহ কোথা থেকে আলাে পায়?
উঃ গ্রহ বা উপগ্রহগুলাে সূর্য থেকে আলাে পেয়ে থাকে।
🔴 সূর্য থেকে দূরত্ব অনুসারে পৃথিবীর স্থান কোথায়?
উঃ সূর্য থেকে দূরত্ব অনুসারে পৃথিবী তৃতীয় গ্রহ।
🔴 সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব কত?
উঃ সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলােমিটার। (১৪ কোটি ৮৮ লক্ষ কিলােমিটার)।
🔴 সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলাে আসতে কত সময় লাগে?
উঃ সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলাে আসতে সময় লাগে ৮.২ মিনিট।
🔴 সূর্য থেকে পৃথিবীতে যখন আলাে আসে তখন তার গতিবেগ কত হয়?
উঃ সূর্য থেকে পৃথিবীতে যখন আলাে আসে তখন তার গতিবেগ থাকে প্রতি সেকেণ্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলােমিটার।
পৃথিবী পরিধি-আয়তন ও ওজন
🔴 কোন পণ্ডিত সর্বপ্রথম ঘােষণা করেন যে, পৃথিবীর আকৃতি গােল?উঃ গ্রীস দেশের বিখ্যাত পণ্ডিত পিথাগােরাস, যীশুর জন্মের ৬০০ বছর পুর্বে সর্বপ্রথম ঘােষণা করেন যে, পৃথিবীর আকৃতি গােল।
🔴 পৃথিবীর গােলাকৃতি সম্পর্কে একটি যুক্তি দেখাও?
উঃ দূরবীক্ষণ যন্ত্রের দ্বারা মহাকাশে গ্রহগুলিকে গােলাকার দেখায়। পৃথিবী নিজেও একটা গ্রহ, কাজেই বলা যায় যে, পৃথিবী গোলাকার।
🔴 দিগন্ত কাকে বলে?
উঃ আকাশ ও পৃথিবীর প্রান্ত যে জায়গায় বৃত্তাকারে মিলিত হয়েছে তাকে দিগন্ত বলা হয়।
🔴 পৃথিবীর গােলাকৃতি সম্পর্কে একটি যুক্তি দেখাও?
উঃ দূরবীক্ষণ যন্ত্রের দ্বারা মহাকাশে গ্রহগুলিকে গােলাকার দেখায়। পৃথিবী নিজেও একটা গ্রহ, কাজেই বলা যায় যে, পৃথিবী গোলাকার।
🔴দিগন্ত কাকে বলে?
উঃ আকাশ ও পৃথিবীর প্রান্ত যে জায়গায় বৃত্তাকারে মিলিত হয়েছে তাকে দিগন্ত বলা হয়।
🔴কোন দেশগুলিতে আগে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়?
উঃ পৃথিবীর পূর্বদিকের দেশগুলােতে আগে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়।
🔴 প্রথম মহাকাশযানে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন কে?
উঃ ইউরী গ্যাগারিন হলেন প্রথম মানুষ যিনি মহাকাশযানে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন।
উঃ ১৯৬১ খ্রীষ্টাব্দের ১২ই এপ্রিল গ্যাগারিন পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন।
🔴 গ্যাগারিন কোন মহাকাশযানে পৃথিবী পরিভ্রমণ করেন?
উঃ ভস্টক-১ মহাকাশ যানে গ্যাগারিন পৃথিবী পরিভ্রমণ করেন।
🔴 কোন মহাকাশযাত্রী প্রথম চাঁদে নামেন?
উঃ নীল আর্মস্ট্রং, এডউইন অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স প্রমুখ প্রথম চাঁদে নামেন।
🔴 মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে কেমন দেখায়?
উঃ মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে সাদা ও হালকা নীল রং এর বড় একটা মণ্ডলের মতাে দেখায়।
🔴 অভিগত গােলক কাকে বলে?
উঃ পৃথিবীর মেরুব্যাস অনান্য ব্যাস অপেক্ষা কিছু ছােট এবং নিরক্ষীয় ব্যাস অন্যান্য ব্যাস অপেক্ষা কিছু বড়। এরকম গােলকের বৈজ্ঞানিক নাম অভিগত গােলক।
🔴 মেরুব্যাস কিভাবে পাওয়া যায়?
উঃ পৃথিবীর সুমেরু কুমেরু যােগ করলে মেরুব্যাস পাওয়া যায়।
🔴 পৃথিবীর মেরুব্যাসের দৈর্ঘ্য কত?
উঃ পৃথিবীর মেরুব্যাসের দৈর্ঘ্য ১২,৭১৪ কি.মি.
🔴 পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাসের দৈর্ঘ্য কত?
উঃ পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাসের দৈর্ঘ্য ১২,৭৫৭ কি.মি।
🔴 মাধ্যাকর্ষণ কাকে বলে?
উঃ ভূপৃষ্ঠের উপরে অবস্থিত সব বস্তুই পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে আকর্ষিত হচ্ছে একে মাধ্যাকর্ষণ বলে।
🔴 কেন্দ্রাতিগ বল কাকে বলে?
উঃ একটি বল কেন্দ্র থেকে বস্তুকে বাইরের দিকে চালিত করে একে কেন্দ্রাতিগ বল বলে।
🔴 কেন্দ্রাতিগ বল কাকে বলে?
উঃ যে বল কেন্দ্রের দিকে বস্তুকে আকর্ষণ করে তাকে কেন্দ্রাভিগ বল বলে।
🔴 পৃথিবীর উচ্চতম অঞ্চল কোনটি?
উঃ পৃথিবীর উচ্চতম অঞ্চল মাউন্ট এভারেস্ট।
🔴 মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা কত?
উঃ মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮,৮৪৮ মিটার।
🔴 পৃথিবীর নিম্নতম অঞ্চল কোনটি?
উঃ পৃথিবীর নিম্নতম অঞ্চল মারিয়ানা খাত।
🔴 মারিয়ানা খাতের গভীরতা কত?
উঃ মারিয়ানা খাতের গভীরতা ১১,০০০ মিটার।
🔴 পৃথিবীর আকৃতি সম্বন্ধে যথার্থ সংজ্ঞা লেখ?
উঃ পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি হল অনিয়মিত তরঙ্গায়িত পৃষ্ঠ যুক্ত এক অভিগত গােলক।
🔴 পৃথিবীর উত্তর দক্ষিণ মেরুব্যাস কত ?
উঃ পৃথিবীর উত্তর দক্ষিণ মেরুব্যাস ১২,৭১৪ কি.
🔴 পৃথিবীর পূর্ব পশ্চিম নিরক্ষীয় ব্যাস কত?
উঃ পৃথিবীর পূর্ব পশ্চিম নিরক্ষীয় ব্যাস ১২,৭৫৭ কি. মি.।
🔴 পৃথিবীর গড় ব্যাস কত?
উঃ পৃথিবীর গড় ব্যাস ১২,৮০০ কি. মি.।
🔴 পৃথিবীর গড় পরিধি কত?
উঃ পৃথিবীর গড় পরিধি ৪০,০০০ কি. মি.
🔴 পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের আয়তন বা ক্ষেত্রফল কত?
উঃ পৃথিবীর ভূপৃষ্টের আয়তন বা ক্ষেত্রফল ৫১ কোটি ৫৪ লক্ষ বর্গ কিলােমিটার।
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রকার গতি
উঃ পৃথিবীর দুটো গতি আছে (১) আবর্তন গতি এবং (২) পরিক্রমণ গতি।
🔴 কক্ষপথ কাকে বলে?
উঃ পৃথিবীর সূর্য পরিক্রমণের পথকে বলা হয় কক্ষপথ।
🔴 পৃথিবী আবর্তন করতে করতে কাকে প্রদক্ষিণ করে?
উঃ পৃথিবী আবর্তন করতে করতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।
🔴 আবর্তন গতি কাকে বলে?
উঃ পৃথিবী নিজের মেরুরেখার উপর পশ্চিম থেকে পুর্বে একটি নির্দিষ্ট গতিতে অবিরাম ঘুরে চলেছে। এই গতিকে পৃথিবীর আবর্তন গতি বলে।
🔴 পৃথিবীর এক আবর্তন করতে কত সময় লাগে?
উঃ পৃথিবীর প্রতি ২০ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ২৪ সেকেণ্ড অন্তর একবার আবর্তন করে।
🔴 আবর্তন গতির অন্য নাম কি?
উঃ আবর্তন গতির অন্য নাম আহ্নিক গতি।
🔴 সৌর দিন কাকে বলে?
উঃ পৃথিবীর আবর্তনের সময়কে ২৪ ঘণ্টা বলে ধরা হয়। এই ২৪ ঘণ্টাকে বলা হয় সৌরদিন।
🔴 কোন অংশে আবর্তনের বেগ সবচেয়ে কম?
উঃ মেরু অংশে আবর্তনের গতির বেগ সবচেয়ে কম।
🔴 কোথায় পৃথিবীর আবর্তনের বেগ সর্বাধিক?
উঃ নিবক্ষরেখায় পৃথিবীর আবর্তনের বেগ সর্বাধিক।
🔴 কোলকাতার আবর্তনের গতিবেগ কত?
উঃ কোলকাতার আবর্তনের গতিবেগ প্রায় ১,৫৩৬ কি. মি.।
🔴আবর্তন গতি বা আহ্নিক গতির প্রমাণ কোন কোন বিজ্ঞানী প্রমাণ করেন যে, পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করেছে?
উঃ কোপারনিকাস, গ্যালিলিও, নিউটন প্রমুখ জ্যোতিবিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেন যে পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে।
🔴 পৃথিবীর থেকে সূর্য কতদূরে আছে?
উঃ সূর্য পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ কোটি কি.মি. দূরে মহাকাশে আছে।
🔴 পৃথিবী অপেক্ষা সূর্য কত বড়?
উঃ পৃথিবী অপেক্ষা সূর্য প্রায় তের লক্ষ গুণ বড়।
উঃ মেরু অংশে আবর্তনের গতির বেগ সবচেয়ে কম।
🔴 কোথায় পৃথিবীর আবর্তনের বেগ সর্বাধিক?
উঃ নিবক্ষরেখায় পৃথিবীর আবর্তনের বেগ সর্বাধিক।
🔴 কোলকাতার আবর্তনের গতিবেগ কত?
উঃ কোলকাতার আবর্তনের গতিবেগ প্রায় ১,৫৩৬ কি. মি.।
🔴আবর্তন গতি বা আহ্নিক গতির প্রমাণ কোন কোন বিজ্ঞানী প্রমাণ করেন যে, পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করেছে?
উঃ কোপারনিকাস, গ্যালিলিও, নিউটন প্রমুখ জ্যোতিবিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেন যে পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে।
🔴 পৃথিবীর থেকে সূর্য কতদূরে আছে?
উঃ সূর্য পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ কোটি কি.মি. দূরে মহাকাশে আছে।
🔴 পৃথিবী অপেক্ষা সূর্য কত বড়?
উঃ পৃথিবী অপেক্ষা সূর্য প্রায় তের লক্ষ গুণ বড়।
🔴 চন্দ্র কতদিনে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে?
উঃ চন্দ্র ২৭ দিনে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে।
🔴 ছায়াবৃত্ত কাকে বলে?
উঃ পৃথিবীর আলােকিত অর্ধাংশ ও অন্ধকারাচ্ছন্ন অর্ধাংশ যে সীমারেখায় মিলিত হয় তাকে ছায়াবৃত্ত বলে।
উঃ পৃথিবীর আলােকিত অর্ধাংশ ও অন্ধকারাচ্ছন্ন অর্ধাংশ যে সীমারেখায় মিলিত হয় তাকে ছায়াবৃত্ত বলে।
উঃ ভূপৃষ্ঠের যে অংশে মধ্যাহ্ন, ঠিক তার বিপরীত দিকে তখন যে সময়, তাকে বলে মধ্য রাত্রি।
🔴 প্রতি ১০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা অন্তর সময়ের পার্থক্য কত হয়?
উঃ ১৩ ডিগ্রি দ্রাঘিমা অন্তর সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট।
🔴 কিছু নিয়ম বায়ুর উদাহরণ দাও?
উঃ নিয়ম বায়ুর উদাহবণ :- আয়ন বায়ু, পশ্চিমাবায়ু ও মেরুবায়ু।
🔴 পৃথিবীর উপর সূর্য অথবা চন্দ্র কার আকর্ষণ বেশী?
উঃ পৃথিবীর উপরে সূর্য অপেক্ষা চন্দ্রের আকর্ষণের প্রভাবই বেশী।
🔴 পৃথিবীর সমস্ত জীবনের উৎস কি?
উঃ সূর্যালােকই পৃথিবীর সমস্ত জীবনের উৎস।
🔴 বার্ষিক গতি কাকে বলে?
উঃ সূর্যের চারদিকে পৃথিবীকে একবার পরিক্রমণ করতে এক বছর সময় লাগে বলে একে বার্ষিক গতি বলে।
🔴 কক্ষপথ কাকে বলে?
উঃ যে পথে পৃথিবী বার্ষিক পরিক্রমণ করে তারই নাম কক্ষপথ।
🔴 পৃথিবীর কক্ষপথের মােট দৈর্ঘ্য কত?
উঃ পৃথিবীর কক্ষপথের মােট দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৬ কোটি কি.মি.।
🔴 কক্ষতল কি?
উঃ পৃথিবী ও সূর্যের কেন্দ্র যে তল রচনা করে তার নাম কক্ষতল।
🔴 পৃথিবীর পরিক্রমণ গতির একটি উদাহরণ দাও?
উঃ পৃথিবীর পরিক্রমণ গতির ফলেই ভূ পৃষ্ঠে ঋতু পরিবর্তন এবং দিন রাত্রির হ্রাসবৃদ্ধি হয়। এই পরিক্রমণ গতি না থাকলে দুই মেরু দেশে সবসময় দিন বা রাত্রি থাকত।
🔴 রবিমাৰ্গ কাকে বলে?
উঃ সুর্যের বার্ষিক আপাত গতি পথকে বলা হয় রবিমার্গ।
🔴 কর্কট সংক্রান্তি কোন দিনে হয়?
উঃ ১২জুন দিনটিকে কর্কট সংক্রান্তি হয়।
🔴 মকর সংক্রান্তি কোন দিনে হয়?
উঃ ২২শে ডিসেম্বর মকর সংক্রান্তি হয়।
🔴 কোন দেশকে নিশীথ সূর্যের দেশ বলে?
উঃ নরওয়েকে নিশীথ সূর্যের দেশ বলে।
🔴 দিবারাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধির দুটো কারণ লেখ?
উঃ দিবা ও রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধির দুটো কারণ হল- (ক) পৃথিবীর গােলাকার আকৃতি (খ) পৃথিবীর আবর্তন গতি।
🔴 কোন কোন তারিখে পৃথিবীর দিন-রাত্রি সমান হয়?
উঃ ২১ মার্চ ও ২৩শে সেপ্টেম্বর তারিখে পৃথিবীর সর্বত্রই দিন-রাত্রি সমান হয়।
🔴 বিষুব দিন কাকে বলে?
উঃ যে তারিখে পৃথিবীর সর্বত্র দিবামান ও রাত্রিমান সমান হয় তাকে বিষ্ণু দিন বলে।
🔴 মহাবিষুব দিন কাকে বলে?
উঃ ২১শে মার্চ উত্তর গােলার্ধে বসন্তকাল, তাই ঐ দিনকে বলা হয় মহাবিষ্ণু দিন।
🔴 কোন দিনকে জলবিষুব বলা হয় ?
উঃ ২৩শে সেপ্টেম্বরকে জলবিষুব বলা হয়।
🔴 কোন দিন সবচেয়ে ছােট হয়?
উঃ ২১শে ডিসেম্বর দিনটি সবচেয়ে ছােট হয়।
🔴 পৃথিবীতে কেন ঋতু পরিবর্তন ঘটে—একটি কারণ উল্লেখ কর?
উঃ পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ-পৃথিবীর সূর্য পরিক্রমণের পথটি উপবৃত্তাকার হওয়ায় বছরের বিভিন্ন সময় সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্বের হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে। এর ফলে ভূপৃষ্ঠে উষ্ণতারও সামান্য তারতম্য ঘটে।
🔴 ঋতুচক্র কাকে বলে?
উঃ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গ্রীষ্ম, শরৎ, শীত ও বসন্ত এই চারটি ঋতু চক্রাকারে পর পর আবির্ভূত হয়, একেই ঋতুচক্র বলে।
🔴 সূর্যের উন্নতি বলতে কি বােঝায়?
উঃ সূর্যের উন্নতি বলতে সূর্যের কোন দিগন্তরেখা যে কোণ উৎপন্ন করে তাকেই বােঝায়।
🔴 ২১শে মার্চ উত্তর গােলার্ধে কোন ঋতু হয়?
উঃ ২১শে মার্চ উত্তর গােলার্ধে বসন্ত কাল থাকে।
উঃ শীতকালের প্রথম ভাগকে হেমন্ত কাল বলে।
🔴 গ্রীষ্মের শেষভাগকে কোন ঋতু বলে?
উঃ গ্রীষ্মের শেষভাগকে বর্ষাকাল বলা হয়।
🔴 পৃথিবীর কোন অঞ্চলে ঋতু পরিবর্তন হয় না?
উঃ সুমেরু ও কুমেরু অঞ্চলে সারা বছরই শীতকাল, তাই সেখানে ঋতু পরিবর্তন একেবারেই নেই।
🔴 নিরক্ষরেখার অন্য নাম কি?
উঃ নিরক্ষরেখার অন্য নাম বিষুব রেখা।
🔴 নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে কটিভাগে ভাগ করেছে ও কি কি?
উঃ নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে দুটি সমান অংশে ভাগ করেছে। উত্তর গােলার্ধ এবং দক্ষিণ গােলার্ধ।
🔴 নিরক্ষীয় তল কাকে বলে?
উঃ বিষুব রেখা ও পৃথিবীর কেন্দ্র যে তল রচনা করে তাকে বলে নিরক্ষীয় তল।
🔴 মূল মধ্যরেখা পৃথিবীকে কিভাবে ভাগ করেছে ?
উঃ মূল মধ্যরেখা পৃথিবীকে পূর্ব ও পশ্চিম এই দুই সমান অংশে ভাগ করেছে।
🔴 অক্ষাংশ কাকে বলে?
উঃ নিরক্ষরেখা ও বিষুবরেখা থেকে ভূপৃষ্ঠস্থ কোন স্থানের উত্তর বা দক্ষিণের কৌনিক দূরত্বকে সেই স্থানের অক্ষাংশ বলা হয়।
🔴 উত্তর অক্ষাংশ কাকে বলে?
উঃ বিষুব রেখার উত্তরে অবস্থিত কোন স্থানের অক্ষাংশকে উত্তর অক্ষাংশ বলে।
🔴 দক্ষিণ অক্ষাংশ কাকে বলে?
উঃ বিষুব রেখার দক্ষিণে অবস্থিত কোন স্থানের অক্ষাংশকে দক্ষিণ অক্ষাংশ বলে।
🔴 সর্বোচ্চ অক্ষাংশ কাকে বলে?
উঃ ৯০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশকে বলে সর্বোচ্চ অক্ষাংশ।
🔴 নিম্ন অক্ষাংশ কাকে বলে?
উঃ নিরক্ষরেখা থেকে ৩০ পর্যন্ত অক্ষাংশকে নিম্ন অক্ষাংশ বলে।
🔴 কোন জায়গা উচ্চ অক্ষাংশে অবস্থিত?
উঃ মেরুপ্রদেশের নিকটবর্তী স্থান সমূহ উচ্চ অক্ষাংশে অবস্থিত।
🔴 সমাক্ষরেখা কাকে বলে?
উঃ অক্ষরেখাগুলাে পরস্পরে সমান্তরাল বলে এদের সমাক্ষরেখা বলে।
🔴 মহাবৃত্ত কাকে বলে?
উঃ যে বৃত্ত পৃথিবীকে সমান দুটি গােলার্ধে ভাগ করেছে, তাকে মহাবৃত্ত বলে।
🔴 সমাক্ষরেখাগুলি কিভাবে সাহায্য করে?
উঃ সমাক্ষরেখাগুলি পৃথিবীর অঞ্চল বিশেষে তাপ নির্ণয়ে সাহায্য করে।
🔴 সমাক্ষরেখার মান বাড়লে কি হয়?
উঃ সমাক্ষরেখার মান যত বাড়বে, তাপ তত কমবে।
🔴 উত্তর গােলার্ধে কিভাবে অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়?
উঃ উত্তর গােলার্ধে (১) ধ্রুবতারা ও (২) মধ্যাহ্ন সূর্যের দ্বারা কোন স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়।
🔴 হ্যাডলির অকট্যান্ট কাকে বলে?
উঃ উত্তর গােলার্ধের ধ্রুবতারার মতাে দক্ষিণ গােলার্ধেও একটি স্থির নক্ষত্র আছে। এর নাম হ্যাডলির অকট্যান্ট।
🔴 হ্যাডলির অকট্যান্ট কি কাজে লাগে?
উঃ হ্যাডলির অকট্যাণ্টের সাহায্যে দক্ষিণ গােলার্ধের অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়।
🔴 দ্রাঘিমা কাকে বলে?
উঃ মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্বে বা পশ্চিমে কোন স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা বলে।
🔴 দ্রাঘিমা রেখাকে কেন দেশান্তর রেখা কাকে বলে?
উঃ দ্রাঘিমারেখাগুলাের দ্বারা দেশের অবস্থান নির্ণয় করা যায় বলে ঐ গুলােকে দেশান্তর রেখাও বলা হয়।
🔴 পূর্ব দ্রাঘিমারেখা কাকে বলে?
উঃ পুর্ব গােলার্ধের দ্রাঘিমা রেখাগুলাের নাম পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা বলে।
🔴 দ্রাঘিমারেখা কি কাজে লাগে?
উঃ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে সময় নির্ণয়ে দ্রাঘিমারেখা খুবই প্রয়ােজনীয়।
🔴 মধ্যাহ্ন কখন হয়?
উঃ সূর্য যখন কোন স্থানের দ্রাঘিমা রেখার ঠিক মাথার উপরে আসে সেই স্থানে তখন মধ্যাহ্ন হয়।
🔴 সমস্ত পৃথিবীর প্রমাণ সময় কোনটা?
উঃ সমস্ত পৃথিবীর প্রমাণ সময় হল গ্রীনিচের স্থানীয় সময়।
শিলা / পর্বত / মালভূমি/ সমভূমি/ ভূমিকম্প
🔴 শিলা কাকে বলে?
উঃ যে সব উপাদানের দ্বারা ভূ-ত্বক গঠিত তাদের সাধারণ নাম শিলা।
🔴 শিলাকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি ?
উঃ শিলাকে প্রধানতঃ তিনভাগে ভাগ করা যায়। (১) আগ্নেয় শিলা (২) পাললিক শিলা এবং (৩) পরিবর্তিত বা রূপান্তরিত শিলা।
🔴 আগ্নেয়শিলা কাকে বলে ?
উঃ উত্তপ্ত ও গলিত ধাতব পদার্থ জমাট বেঁধে যে শিলার সৃষ্টি হয়েছিল তার নাম আগ্নেয় শিলা বলে।
🔴 আগ্নেয় শিলার আর এক নাম কি?
উঃ আগ্নেয় শিলার আর এক নাম প্রাথমিক শিলা।
🔴 আগ্নেয় শিলাকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উঃ আগ্নেয় শিলাকে দুভাগে ভাগ করা যায়। (১) নিঃসারী শিলা এবং (২) উপবেদী শিলা।
🔴 উপবেদী শিলাকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উঃ উপবেদী শিলাকে দুভাগে ভাগ করা যায়। (ক) পাতালিক এবং (খ) উপ-পাতালিক শিলা।
🔴 আগ্নেয় শিলার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ?
উঃ আগ্নেয় শিলার দুটি বৈশিষ্ট্য হল (১) এটি স্ফটিকাকার এবং দৃঢ়সংবদ্ধ (২) এতে জীবাশ্ম থাকে
উঃ যে সব উপাদানের দ্বারা ভূ-ত্বক গঠিত তাদের সাধারণ নাম শিলা।
🔴 শিলাকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি ?
উঃ শিলাকে প্রধানতঃ তিনভাগে ভাগ করা যায়। (১) আগ্নেয় শিলা (২) পাললিক শিলা এবং (৩) পরিবর্তিত বা রূপান্তরিত শিলা।
🔴 আগ্নেয়শিলা কাকে বলে ?
উঃ উত্তপ্ত ও গলিত ধাতব পদার্থ জমাট বেঁধে যে শিলার সৃষ্টি হয়েছিল তার নাম আগ্নেয় শিলা বলে।
🔴 আগ্নেয় শিলার আর এক নাম কি?
উঃ আগ্নেয় শিলার আর এক নাম প্রাথমিক শিলা।
🔴 আগ্নেয় শিলাকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উঃ আগ্নেয় শিলাকে দুভাগে ভাগ করা যায়। (১) নিঃসারী শিলা এবং (২) উপবেদী শিলা।
🔴 উপবেদী শিলাকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উঃ উপবেদী শিলাকে দুভাগে ভাগ করা যায়। (ক) পাতালিক এবং (খ) উপ-পাতালিক শিলা।
🔴 আগ্নেয় শিলার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ?
উঃ আগ্নেয় শিলার দুটি বৈশিষ্ট্য হল (১) এটি স্ফটিকাকার এবং দৃঢ়সংবদ্ধ (২) এতে জীবাশ্ম থাকে
🔴 পাললিক শিলা কাকে বলে?
উঃ পলি দ্বারা গঠিত বলে এই শিলাকে পাললিক শিলা বলে।
🔴 পাললিক শিলার শ্রেণীবিভাগ কর?
উঃ পাললিক শিলাকে দুভাগে ভাগ করা যায়। (১) পলির উৎপত্তি অনুসারে (২) গঠন অনুসারে,
🔴 পাললিক শিলার শ্রেণীবিভাগ কর?
উঃ পাললিক শিলাকে দুভাগে ভাগ করা যায়। (১) পলির উৎপত্তি অনুসারে (২) গঠন অনুসারে,
🔴 পললের উৎপত্তি অনুসারে পাললিক শিলাকে কভাগে ভাগ করা যায়?
উঃ পললের উৎপত্তি অনুসারে পাললিক শিলাকে দুভাগে ভাগ করা যায়। (ক) সংঘাত শিলা
বা ক্লাসটিক রক এবং (খ) অসংঘাত শিলা বা নন-ক্লাসটিক রক।
🔴 গঠন অনুসারে পাললিক শিলাকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উঃ গঠন অনুসারে পাললিক শিলাকে তিনভাগে ভাগ করা যায় (১) যান্ত্রিক উপায়ে গঠিত পাললিক শিলা (২) জৈব পদার্থ দ্বারা গঠিত পাললিক শিলা এবং (৩) রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় গঠিত পাললিক শিলা।
🔴 যান্ত্রিক উপায়ে গঠিত পাললিক শিলার উদারহণ দাও?
উঃ গ্রিট, কংগ্লোমাবেট ব্রেকসিয়া, বেলে, কাদাপাথর এর উদারহণ।
🔴 জীবাশ্ম কোথায় দেখা যায়?
উঃ জীবাশ্ম কেবলমাত্র পাললিক শিলার মধ্যেই দেখতে পাওয়া যায়।
🔴 পাললিক শিলাব দুটি বৈশিষ্ট্য কি?
উঃ পাললিক শিলার দুটি বৈশিষ্ট্য (ক) পাললিক শিলায় স্তব থাকে। (খ) এই শিলার মধ্যে স্ফটিক থাকে না।
🔴 কোন কোন প্রক্রিয়ায় শিলা রূপান্তরিত হয়?
উঃ দুটি প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে। (ক) তাপ সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় রূপান্তরীকরণ এবং (খ) চাপ সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় রূপান্তরীকরণ।
🔴 রূপান্তরিত শিলার একটি বৈশিষ্ট্য লেখ?
উঃ নীস শিলায় ডােরা কাটার মত দাগ থাকে এবং এগুলি সমান্তরাল ভাবে সজ্জিত।
🔴 পর্বত কাকে বলা হয়?
উঃ বহুদূর বিস্তৃত শৃঙ্গযুক্ত অতি উচ্চ শিলাস্তুপকে পর্বত বলা হয়।
🔴পর্বতকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি?
উঃ পর্বতকে চারভাগে ভাগ করা যায়। (১) ভঙ্গিল বা ভাজ পর্বত (২) কুপ পর্বত (৩) আগ্নেয় বা সঞ্চয়জাত পর্বত ও (৪) ক্ষয়জাত পর্বত বা নগ্নীভূত পর্বত।
🔴 ভঙ্গিল পর্বত কয়প্রকার?
উঃ ভঙ্গিল পর্বত দুপ্রকার নবীন ভঙ্গিল পর্বত ও প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বত।
🔴 নবীন ও ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ দাও?
উঃ হিমালয়, আল্পস, এ্যাটলাস, রকি এবং আন্দিজ নবীন ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ।
🔴 প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ দাও?
উঃ আমেরিকার আপালসিয়ান' এবং অষ্ট্রেলিয়ার গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জ হল প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ।
🔴 উদ্ধভঙ্গ কাকে বলে?
উঃ যে কোন ভাজের উপরের অংশকে বলে উৰ্দ্ধভঙ্গ।
🔴 আধাভঙ্গ কাকে বলে?
উঃ দুটি ভাজের মাঝখানে যে নিচু অংশ থাকে তাকে আধাভঙ্গ বলে।
🔴 রিকাম্ববেন্ট কোল্ড কাকে বলে?
উঃ এক বাহু হেলতে হেলতে যখন অন্য এক বাহুর উপরে শায়িত হয় তখন তাকে রিকাম্ববেন্ট কোল্ড বলে।
🔴 একটি প পর্বতের উদাহরণ দাও?
উঃ ভারতের সাতপুরা একটি স্কুপ পর্বত।
🔴 স্তুপ পর্বতের একটি বৈশিষ্ট্য লেখ?
উঃ এই জাতীয় পর্বতের ঢাল খুব খাড়াভাবে থাকে।
🔴 আগ্নেয় পর্বতের সংজ্ঞা দাও?
উঃ ভূগর্ভের উত্তপ্ত গলিত পদার্থ অনেক সময় ভূপৃষ্ঠে উদগীরিত হয়। গলিত লাভা প্রবাহ ক্রমশ সঞ্চিত ও কঠিন হয়ে তখন যে পর্বত সৃষ্টি করে তাকে আগ্নেয় পর্বত বলে।
🔴 দুটি আগ্নেয় পর্বতের উদাহরণ দাও?
উঃ ইটালির ভিসুভিয়াস, জাপানের ফুজিয়ামা আগ্নেয় পর্বতের উদাহরণ।
🔴 জ্বালামুখ কাকে বলে?
উঃ আগ্নেয় পর্বতের যে স্থান দিয়ে আগ্নেয় পদার্থ বের হয় তাকে জ্বালামুখ বলে।
🔴 কয়প্রকারের আগ্নেয় পর্বত দেখা যায়?
উঃ তিন ধরনের আগ্নেয় পর্বত দেখা যায় (১) সক্রিয় (২) ঘুমন্ত এবং (৩) মৃত।
🔴 দুটি ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির উদাহরণ দাও?
উঃ জাপানের ফুজিয়ামা এবং ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাটোয়া।
🔴 গঠন অনুসারে পাললিক শিলাকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উঃ গঠন অনুসারে পাললিক শিলাকে তিনভাগে ভাগ করা যায় (১) যান্ত্রিক উপায়ে গঠিত পাললিক শিলা (২) জৈব পদার্থ দ্বারা গঠিত পাললিক শিলা এবং (৩) রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় গঠিত পাললিক শিলা।
🔴 যান্ত্রিক উপায়ে গঠিত পাললিক শিলার উদারহণ দাও?
উঃ গ্রিট, কংগ্লোমাবেট ব্রেকসিয়া, বেলে, কাদাপাথর এর উদারহণ।
🔴 জীবাশ্ম কোথায় দেখা যায়?
উঃ জীবাশ্ম কেবলমাত্র পাললিক শিলার মধ্যেই দেখতে পাওয়া যায়।
🔴 পাললিক শিলাব দুটি বৈশিষ্ট্য কি?
উঃ পাললিক শিলার দুটি বৈশিষ্ট্য (ক) পাললিক শিলায় স্তব থাকে। (খ) এই শিলার মধ্যে স্ফটিক থাকে না।
🔴 কোন কোন প্রক্রিয়ায় শিলা রূপান্তরিত হয়?
উঃ দুটি প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে। (ক) তাপ সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় রূপান্তরীকরণ এবং (খ) চাপ সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় রূপান্তরীকরণ।
🔴 রূপান্তরিত শিলার একটি বৈশিষ্ট্য লেখ?
উঃ নীস শিলায় ডােরা কাটার মত দাগ থাকে এবং এগুলি সমান্তরাল ভাবে সজ্জিত।
🔴 পর্বত কাকে বলা হয়?
উঃ বহুদূর বিস্তৃত শৃঙ্গযুক্ত অতি উচ্চ শিলাস্তুপকে পর্বত বলা হয়।
🔴পর্বতকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি?
উঃ পর্বতকে চারভাগে ভাগ করা যায়। (১) ভঙ্গিল বা ভাজ পর্বত (২) কুপ পর্বত (৩) আগ্নেয় বা সঞ্চয়জাত পর্বত ও (৪) ক্ষয়জাত পর্বত বা নগ্নীভূত পর্বত।
🔴 ভঙ্গিল পর্বত কয়প্রকার?
উঃ ভঙ্গিল পর্বত দুপ্রকার নবীন ভঙ্গিল পর্বত ও প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বত।
🔴 নবীন ও ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ দাও?
উঃ হিমালয়, আল্পস, এ্যাটলাস, রকি এবং আন্দিজ নবীন ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ।
🔴 প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ দাও?
উঃ আমেরিকার আপালসিয়ান' এবং অষ্ট্রেলিয়ার গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জ হল প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ।
🔴 উদ্ধভঙ্গ কাকে বলে?
উঃ যে কোন ভাজের উপরের অংশকে বলে উৰ্দ্ধভঙ্গ।
🔴 আধাভঙ্গ কাকে বলে?
উঃ দুটি ভাজের মাঝখানে যে নিচু অংশ থাকে তাকে আধাভঙ্গ বলে।
🔴 রিকাম্ববেন্ট কোল্ড কাকে বলে?
উঃ এক বাহু হেলতে হেলতে যখন অন্য এক বাহুর উপরে শায়িত হয় তখন তাকে রিকাম্ববেন্ট কোল্ড বলে।
🔴 একটি প পর্বতের উদাহরণ দাও?
উঃ ভারতের সাতপুরা একটি স্কুপ পর্বত।
🔴 স্তুপ পর্বতের একটি বৈশিষ্ট্য লেখ?
উঃ এই জাতীয় পর্বতের ঢাল খুব খাড়াভাবে থাকে।
🔴 আগ্নেয় পর্বতের সংজ্ঞা দাও?
উঃ ভূগর্ভের উত্তপ্ত গলিত পদার্থ অনেক সময় ভূপৃষ্ঠে উদগীরিত হয়। গলিত লাভা প্রবাহ ক্রমশ সঞ্চিত ও কঠিন হয়ে তখন যে পর্বত সৃষ্টি করে তাকে আগ্নেয় পর্বত বলে।
🔴 দুটি আগ্নেয় পর্বতের উদাহরণ দাও?
উঃ ইটালির ভিসুভিয়াস, জাপানের ফুজিয়ামা আগ্নেয় পর্বতের উদাহরণ।
🔴 জ্বালামুখ কাকে বলে?
উঃ আগ্নেয় পর্বতের যে স্থান দিয়ে আগ্নেয় পদার্থ বের হয় তাকে জ্বালামুখ বলে।
🔴 কয়প্রকারের আগ্নেয় পর্বত দেখা যায়?
উঃ তিন ধরনের আগ্নেয় পর্বত দেখা যায় (১) সক্রিয় (২) ঘুমন্ত এবং (৩) মৃত।
🔴 দুটি ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির উদাহরণ দাও?
উঃ জাপানের ফুজিয়ামা এবং ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাটোয়া।
উঃ বিহারের অন্তর্গত রাজমহল এবং পরেশনাথ পাহাড়।
🔴 ব্যাথােলিথ কাকে বলে?
উঃ অনেক সময় উদভেদী আগ্নেয়শিলা ভূত্বকের ভিতরে বিশাল সুপাকৃতি একপ্রকার ভূমিরূপ গঠন করে। একে বলা হয় ব্যাথােলিথ।
🔴 ক্ষয়জাত পর্বতের একটা বৈশিষ্ট্য লেখ?
উঃ এই পর্বত কঠিন ও কোমল শিলার সমন্বয়ে গঠিত হয়।
🔴 মানব জীবনে পর্বতের প্রভাব কেমন? একটি উদাহরণ দাও?
উঃ পর্বতের ঢালু অংশের বনভূমি কাঠ উৎপাদনে এবং উঁচু শীতল অংশের তৃণভূমি পশুপালনে সাহায্য করে।
🔴 মালভূমি কাকে বলে?
উঃ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত স্বল্প তরঙ্গায়িত বিস্তীর্ণ ভূভাগকে মালভূমি বলে।
🔴 উচ্চতার তারতম্য অনুসারে মালভূমিকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উঃ উচ্চতার তারতম্য অনুসারে মালভূমিকে দুভাগে ভাগ করা যায়। (ক) উচ্চ মালভূমি এবং (খ) নিম্ন মালভূমি।
🔴 পৃথিবীর সর্বোচ্চ মালভূমি কি?
উঃ পামীর মালভূমি পৃথিবীর সর্বোচ্চ মালভূমি।
🔴 পামীর মালভূমিকে পৃথিবীর ছাদ কেন বলা হয়?
উঃ পামীর মালভূমির উচ্চতা ৪,৮০০ মিটারের বেশি। এত উঁচু বলে একে পৃথিবীর ছাদ বলা হয়।
🔴 ব্যবছিন্ন মালভূমি কাকে বলে?
উঃ ভূপৃষ্ঠে অবিরত ক্ষয়ের ফলে বিস্তৃত অথচ উচ্চ ভূভাগ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যে মালভূমির সৃষ্টি করে তাকে ব্যবছিন্ন মালভূমি বলে।
🔴 একটি লাভা মালভূমির উদাহরণ দাও?
উঃ উত্তর আমেরিকার কলম্বিয়া মালভূমি হল লাভা মালভূমি।
🔴 সমভূমি কাকে বলে?
উঃ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অল্প উঁচু ও বিস্তৃত সমতল ভূ-ভাগকে সমভূমি বলে।
🔴 পৃথিবীর বৃহত্তম সমভূমি কোথায় অবস্থিত?
উঃ পৃথিবীর বৃহত্তম সমভূমি ইউরেশিয়ার উত্তরাংশ জুড়ে অবস্থিত।
🔴 উৎপত্তিগত দিক দিয়ে সমভূমিকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উঃ উৎপত্তিগত দিক দিয়ে সমভূমিকে প্রধানত তিনভাগে ভাগ করা যায় (১) সঞ্চয় জাত সমভূমি, (২) উপকুলের সমভূমি এবং (৩) ক্ষয়জাত সমভূমি বা সমপ্ৰায় ভূমি।
🔴 ভারতের সর্ববৃহৎ সঞ্চয়জাত সমভূমির নাম কি?
উঃ সিন্ধুগঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র পলিঘটিত সমভূমিইভারতের সর্ববৃহৎ সঞ্চয়জাত সমভূমি।
🔴 স্বাভাবিক বাঁধ কাকে বলে?
উঃ বন্যার জল যখন সরে আসে তখন কখনাে কখনাে জলধারার দুপাশে পলি সঞ্চিত হয়ে প্লাবন ভূমির মধ্যে বাঁধের সৃষ্টি করে। একে স্বাভাবিক বাঁধ বলে।
🔴 পৃথিবীর মধ্যে বৃহত্তম ব-দ্বীপ কোনটি?
উঃ গঙ্গার ব-দ্বীপ পৃথিবীর মধ্যে বৃহত্তম ব-দ্বীপ।
🔴 একটি হ্রদ সমভূমির উদাহরণ দাও?
উঃ কাশ্মীর উপত্যকা একটি হ্রদ সমভূমি।
🔴 ক্ষয়জাত সমভূমি কাকে বলে?
উঃ যুগ যুগ ধরে ক্ষয়ের ফলে মালভূমি এমনকি পার্বত্যভূমি পর্যন্ত ক্ষয়িত হয়ে সমভূমিতে পরিণত হয়। ঐ প্রকারের সমভূমিকে ক্ষয়জাত সমভূমি বলে।
🔴 পেজিমণ্ড কি?
উঃ মরুভূমি অঞ্চল পর্বত পাদদেশে বায়ু জলের অবিরাম ক্ষয় ও সঞ্চয় কার্যের ফলে যে ঢালু সমতল ভূমির সৃষ্টি হয় তাকে পাদদেশীয় সমভূমি বা পেজিমণ্ড বলে।
🔴 সমভূমির উপকারিতার একটি উদাহরণ দাও?
উঃ উর্বর পলিমাটি দ্বারা গঠিত বলে সমভূমি কৃষিকার্যের পক্ষে বিশেষ উপযােগী।
🔴 ভূমিকম্প কাকে বলে?
উঃ কোন কারণে ভূ আন্দোলন হলে ভূপৃষ্ঠে যে কম্পন অনুভূত হয় তাকে ভূমিকম্প বলে।
🔴 ভূমিকম্পের একটি কারণ উল্লেখ করো?
উঃ সক্রিয় আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নিকটবর্তী অঞ্চলে প্রায়ই ভূকম্পন অনুভূত হয়।
🔴 মার্সেল স্কেল কাকে বলে?
উঃ ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপ করার জন্য মার্সেলি নামে এক বিজ্ঞানী একটি স্কেল স্থির করেছেন একে মার্সেলি স্কেল বলে।
🔴 রেখটর স্কেল কাকে বলে?
উঃ রেখটর নামে আমেরিকার এক ভূকম্প বিশারদ ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপার জন্য অন্য একটি স্কেল স্থির কছেন একে রেখটর স্কেল বলে।
🔴 জাপানকে কেন ভূমিকম্পের দেশ বলা হয়?
উঃ জাপানে প্রতি বছরে গড়ে প্রায় ৭৫,০০০ বার ভূকম্পন অনুভূত হয় এজন্য জাপানকে ভূমিকম্পের দেশ বলা হয়।
উঃ বন্যার জল যখন সরে আসে তখন কখনাে কখনাে জলধারার দুপাশে পলি সঞ্চিত হয়ে প্লাবন ভূমির মধ্যে বাঁধের সৃষ্টি করে। একে স্বাভাবিক বাঁধ বলে।
🔴 পৃথিবীর মধ্যে বৃহত্তম ব-দ্বীপ কোনটি?
উঃ গঙ্গার ব-দ্বীপ পৃথিবীর মধ্যে বৃহত্তম ব-দ্বীপ।
🔴 একটি হ্রদ সমভূমির উদাহরণ দাও?
উঃ কাশ্মীর উপত্যকা একটি হ্রদ সমভূমি।
🔴 ক্ষয়জাত সমভূমি কাকে বলে?
উঃ যুগ যুগ ধরে ক্ষয়ের ফলে মালভূমি এমনকি পার্বত্যভূমি পর্যন্ত ক্ষয়িত হয়ে সমভূমিতে পরিণত হয়। ঐ প্রকারের সমভূমিকে ক্ষয়জাত সমভূমি বলে।
🔴 পেজিমণ্ড কি?
উঃ মরুভূমি অঞ্চল পর্বত পাদদেশে বায়ু জলের অবিরাম ক্ষয় ও সঞ্চয় কার্যের ফলে যে ঢালু সমতল ভূমির সৃষ্টি হয় তাকে পাদদেশীয় সমভূমি বা পেজিমণ্ড বলে।
🔴 সমভূমির উপকারিতার একটি উদাহরণ দাও?
উঃ উর্বর পলিমাটি দ্বারা গঠিত বলে সমভূমি কৃষিকার্যের পক্ষে বিশেষ উপযােগী।
🔴 ভূমিকম্প কাকে বলে?
উঃ কোন কারণে ভূ আন্দোলন হলে ভূপৃষ্ঠে যে কম্পন অনুভূত হয় তাকে ভূমিকম্প বলে।
🔴 ভূমিকম্পের একটি কারণ উল্লেখ করো?
উঃ সক্রিয় আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নিকটবর্তী অঞ্চলে প্রায়ই ভূকম্পন অনুভূত হয়।
🔴 মার্সেল স্কেল কাকে বলে?
উঃ ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপ করার জন্য মার্সেলি নামে এক বিজ্ঞানী একটি স্কেল স্থির করেছেন একে মার্সেলি স্কেল বলে।
🔴 রেখটর স্কেল কাকে বলে?
উঃ রেখটর নামে আমেরিকার এক ভূকম্প বিশারদ ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপার জন্য অন্য একটি স্কেল স্থির কছেন একে রেখটর স্কেল বলে।
🔴 জাপানকে কেন ভূমিকম্পের দেশ বলা হয়?
উঃ জাপানে প্রতি বছরে গড়ে প্রায় ৭৫,০০০ বার ভূকম্পন অনুভূত হয় এজন্য জাপানকে ভূমিকম্পের দেশ বলা হয়।
আবহবিকার / নদী / হিমবাহ ও বায়ুর কার্য
উঃ আবহবিকার কথাটির উৎপত্তি হয়েছে আবহাওয়া থেকে।
🔴 বিচূর্ণীভবন কাকে বলে?
উঃ ভূপৃষ্ঠে শিলা সমূহের উপরিভাগের মূল শিলা থেকে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে সেখানেই পড়ে থাকাকে বিচূর্ণীভবন বলে।
🔴 আহবিকারকে কভাগে ভাগ করা যায়?
উঃ দুভাগে, (১) যান্ত্রিক আবহবিকার এবং (২) রাসায়নিক আবহবিকার।
🔴 যান্ত্রিক আবহবিকার কি কি কারণে সংঘটিত হয়?
উঃ প্রধানত চারটি কারণে সংঘটিত হয়। (১) উষ্ণতার তারতম্য (২) তুষার কণা (৩) বৃষ্টিপাত ও (৪) শিলাস্তরে চাপের হ্রাস।
🔴 জারণ কাকে বলে?
উঃ খনিজের সঙ্গে অক্সিজেন সংযুক্ত হয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে খনিজের পরিবর্তন সাধন করলে তাকে জারণ বলে।
🔴 জলযােজন কি?
উঃ খনিজের সঙ্গে জলের রাসায়নিক সংযােজনে খনিজের যে পরিবর্তন ঘটে তাকে জলযােজন বলে।
🔴 জৈবিক অবহবিকার কাকে বলে?
উঃ উদ্ভিদ ও প্রাণীমণ্ডলের কার্যকলাপের জন্যও শিলা চূর্ণ বিচূর্ণ হয়। একে জৈবিক আবহবিকার বলে।
🔴 ক্ষয়ীভবন কাকে বলে?
উঃ নদী, হিমবাহ ও বায়ু প্রবাহের সাহায্যে বিচ্ছিন্ন শিলাখণ্ডসমূহ দূরবর্তী স্থানে অপসারিত হয়। একে ক্ষয়ীভবন বলা হয়।
🔴 কোন অঞ্চল বৃষ্টিহীন?
উঃ মরু অঞ্চল বৃষ্টিহীন।
🔴 আবহবিকারের একটি ফলাফল আলােচনা করো?
উঃ আবহবিকার ভূমিরূপের পরিবর্তনে সাহায্য করে। এর ফলেই শিলাপ চূর্ণ বিচূর্ণ ও বিয়ােজিত হয়।
🔴 নদী কাকে বলে?
উঃ যে অবিরাম জলধারা নানা জনের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সমুদ্রে বা হ্রদে পতিত হয় তাকে নদী বলে।
🔴 মােহানা কাকে বলে?
উঃ নদী যেখানে সমুদ্র হ্রদ অন্য কোন নদী বা জলাশয়ে মিলিত হয় সেই মিলনস্থলকে মােহানা বলে।
🔴 শাখানদীর সংজ্ঞা দাও?
উঃ নদীর মূল জলপ্রবাহ থেকে শাখার আকারে বেরিয়ে যে সব ছােট নদী অন্যত্র পতিত হয়, তাকে শাখানদী বলে।
🔴 গঙ্গার দুটি উপনদীর নাম করো?
উঃ গঙ্গার দুটি উপনদী হল যমুনা ও কুশী।
🔴 গঙ্গার দুটি শাখানদীর নাম বল?
উঃ গঙ্গার দুটি শাখানদীর নাম জলঙ্গী ও চূর্ণী ।
🔴 নদী উপত্যকা কাকে বলে?
উঃ উৎস থেকে মােহনা পর্যন্ত গতিপথে যে স্থানের মধ্যে দিয়ে জলধারা প্রবাহিত হয় তাকে নদী উপত্যকা বলে।
🔴 দোয়া কাকে বলে?
উঃ দুটি নদীর মধ্যবর্তীস্থানকে দোয়াব বলে।
🔴 সমভূমি প্রবাহ কি?
উঃ পার্বত্য অঞ্চল পার হয়ে নদী যখন সমভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন নদীর এই গতিপথকে সমভূমি প্রবাহ বলে।
🔴 একটি আদর্শ নদীর উদাহরণ দাও?
উঃ ভারতের প্রধান নদী গঙ্গা একটি আদর্শ নদী।
🔴 নদীর শক্তি বা ক্ষমতা কিসের উপর নির্ভর করে?
(১) জলের পরিমাণ (২) গতিপথের ঢাল এবং (৩) জলের গতিবেগ প্রভৃতির উপর নদীর শক্তি বা ক্ষমতা নির্ভর করে।
🔴 নদীর প্রধান কাজ কি কি?
উঃ নদীর প্রধান কাজ তিনটি--(১) ক্ষয়কার্য, (২) বহন এবং (৩) অবক্ষেপণ।
🔴 নদী কোন কোন প্রক্রিয়ায় কাজ করে থাকে?
উঃ নদী চারটি প্রক্রিয়ায় কাজ করে থাকে, (১) দ্রবণ প্রক্রিয়ায় (2) ভাসমান প্রক্রিয়ায় (৩) লক্ষ্যদান প্রক্রিয়ায় এবং (৪) আকর্ষণ প্রক্রিয়ায়।
🔴 অবক্ষেপন কাকে বলে?
উঃ বিভিন্ন কারণে নদীর বােঝা বহন ক্ষমতা কমে গেলে নদী তার বহন ক্ষমতার অতিরিক্ত বােঝা নদীর তলদেশে জমা করে। একে অবক্ষেপ বলে।
🔴 পৃথিবীর বিখ্যাত দুটি জলপ্রপাতের নাম বল?
উঃ (ক) সেন্ট লরেন্স নদীর নায়েগ্রা জলপ্রপাত এবং (খ) নীলনদের ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত।
🔴 হিমবাহকে কটি শ্রেনীতে ভাগ করা যায়?
উঃ হিমবাহকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। (১) পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ (২) পর্বত পাদদেশীয় হিমবাহ এবং (৩) মহাদেশীয় হিমবাহ।
🔴 পৃথিবীর বৃহত্তম পার্বত্য হিমাহের নাম কি?
উঃ আলাস্কার হুবার্ড (দৈর্ঘ্য ১২৯ কি.মি.) পৃথিবীর বৃহত্তম পার্বত্য হিমবাহ।
🔴 মহাদেশীয় হিমবাহ কাকে বলে?
উঃ সুমেরু ও কুমেরু অঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে যে বরফের স্তুপ দেখা যায় তাকে মহাদেশীয় হিমবাহ বলে।
🔴 পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশীয় হিমবাহের নাম কি?
উঃ কুমেরু মহাদেশের বিয়ার্ডমাের (দৈর্ঘ্য ১৬০ কি.মি.) পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশীয় হিমবাহ।
🔴 হিমবাহের তিনটি কাজ কি কি?
উঃ হিমবাহের তিনটি কাজ হল-(১) ক্ষয়সাধন (২) পরিবহন ও (৩) অবক্ষেপন।
🔴 হিমবাহ কিভাবে ক্ষয় সাধন করে?
উঃ হিমবাহ সাধারণত দুভাবে ক্ষয় শাধন করে, (১) প্লাকিং এবং (২) অবঘর্ষ।
🔴 প্লাকিং কাকে বলে?
উঃ প্রবহমান হিমবাহের চাপে অনেকসময় পর্বত গাত্র থেকে প্রস্তর খণ্ড খুলে বেরিয়ে আস একে প্লাকিং বলে।
🔴 করি হ্রদ কাকে বলে?
উঃ করির মাঝের অংশে হিমবাহ গলিত জল জমে হ্রদের সৃষ্টি করলে ঐ হ্রদকে করি হ্রদ বলে।
🔴 একটি পিরামিড শৃঙ্গের উদাহরণ দাও?
উঃ আল্পস পর্বতের মাউন্ট ম্যটিারহর্ন একটি পিরামিড শৃঙ্গ।
🔴 হিমবাহের পরিবহন কার্য বলতে কি বােঝায়?
উঃ প্রবহমান হিমবাহ উপত্যকার বিভিন্ন অংশকে ক্ষয় করে ক্ষয়জাত নুড়ি পাথর বয়ে নিয়ে চলে একে হিমবাহের পরিবহণ কার্য বলে।
🔴 হিমবাহ কিভাবে সঞ্চয় কাজ করে?
উঃ হিমবাহ দুভাবে সঞ্চয় কাজ করে। (১) পার্বত্য অঞ্চলে সঞ্চয় এবং (২) পর্বতের পাদদেশে সঞ্চয়।
🔴 বায়ুর ক্ষয়সাধন কাজ কটি প্রক্রিয়ায় সংঘটিত হয়?
উঃ বায়ুর ক্ষয়সাধন কাজ তিনটি প্রক্রিয়ায় সংঘঠিত হয়। (ক) অবঘর্ষ,(খ) অপসারণ এবং (৩) ঘর্ষণ।
🔴 অবঘর্ষ কাকে বলে?
উঃ বায়ু প্রবাহের সঙ্গে বাহিত বালি, নুড়ি, কঠিন কোয়ার্টজ কণা প্রভৃতির বহু বছর ধরে ক্রমাগত ঘর্ষণে শিলাস্তর ক্ষয় প্রাপ্ত হয়, একে অবঘর্ষ বলে।
🔴 অপসরণ কাকে বলে?
উঃ মরুভূমিতে প্রবল বেগে প্রবাহিত বাতাসের দ্বারা বালুকারাশির স্থানান্তরিত হওয়াকে অপসরণ বলে।
🔴 শিলাচূর্ণ কি কিভাবে পরিবাহিত হয়ে থাকে?
উঃ শিলাচূর্ণ তিনভাবে পরিবাহিত হয়। (১) ভাসমান প্রক্রিয়া (২) লক্ষদান প্রক্রিয়া এবং (৩) গড়ান প্রক্রিয়া।
🔴 ভাসমান প্রক্রিয়া কি?
উঃ অতি সূক্ষ্ম বালুকণা বাতাসে ভাসমান অবস্থায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নীত হয় এটিই ভাসমান প্রক্রিয়া।
🔴 বালিয়াড়ি কাকে বলে?
উঃ বিস্তীর্ণ স্থান জুড়ে উঁচু সুদীর্ঘ বালির ভূপকে বালিয়াড়ি বলে।
🔴 বারখান কাকে বলে?
উঃ বায়ুর গতিপথের সঙ্গে আড়াআড়ি ভাবে গঠিত অর্ধচন্দ্রাকৃতি বালিয়াড়িকে বারখান বলে।
🔴 অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি কাকে বলে?
উঃ বায়ুর গতিপথের সঙ্গে সমান্তরালভাবে গঠিত বালিয়াড়িকে অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি বলে।
🔴 প্লায়া হ্রদ কাকে বলে?
উঃ বৃষ্টির জল বায়ুর ক্ষয়জনিত পদার্থ বহন করে নিম্নভূমিতে মাঝে মাঝে লবণ হ্রদের সৃষ্টি করে এগুলােকে প্লায়া হ্রদ বলে।