অ্যাডভেঞ্চার বর্ষায় মণীন্দ্র গুপ্ত অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর


       ▻ আরো পড়ুনঃ 
animated-new-image-0047   চতুর্থ শ্রেণি বাংলা পাতাবাহার সূচিপত্র

চতুর্থ শ্রেণি বাংলা পাতাবাহার অ্যাডভেঞ্চার বর্ষায় প্রশ্ন উত্তর


অ্যাডভেঞার : বর্ষায় লেখক পরিচিতি :
মণীন্দ্র গুপ্ত বাংলা সাহিত্যে একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি। তিনি গদ্য ও পদ্য উভয় ক্ষেত্রেই সমান পারদর্শী। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘকাল ‘পরমা’ নামে একটি পত্রিকার তিনি সম্পাদক ছিলেন। ‘অক্ষয় মালবেরি’, ‘চাঁদের ওপিঠে’ তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। ২০১১ সালে তিনি সাহিত্য অকাদেমি’ সম্মানে সম্মানিত হন।

অ্যাডভেঞার : বর্ষায় গল্পটির বিষয়বস্তু :
গ্রীষ্মের ছুটি মানেই লেখাপড়া থেকে একটু ছুটি। তাই এসময় এখানে-ওখানে ঘুরতে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। কথকও গ্রীষ্মের ছুটিতে বাড়ি এলে তাদের সঙ্গে দেখা করতে তার ছোটো ও সেজোপিসিমা এবং চারভাই বোন আসে। ছোটোরা ঠিক করে দল বেঁধে এবাড়ি-ওবাড়ি যাবে। সেইমতো ঠিক হয় তারা প্রথমে ছোটোপিসিমার বাড়ি তারপর সেজোপিসিমার বাড়ি যাবে। ছোটোপিসিমার বাড়ি যাওয়ার পথে কথকরা প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে দেখতে পেল। প্রকৃতির বাতাস, মাঠ, মুক্ত আকাশ তাদের ডাকতে লাগল। তারা পাখির মতো উড়তে লাগল । গ্রীষ্মের ভয়ানক সূর্যের তাপ তারা অনুভব করতে পারল না, পাটখেতের ঠান্ডা বাতাস তাদের মন জুড়িয়ে দিল। এভাবে সন্ধ্যের সময় তারা পৌঁছে গেল ছোটোপিসিমার বাড়ি বাটাজোড়। ছোটোপিসিমার বাড়ি দুইদিন আদরে যত্নে থেকে তিনদিনের দিন তারা চলল সেজোপিসিমার বাড়ি চন্দ্রহার। বেশ কিছুটা যাওয়ার পর হঠাৎ দুপুর বেলা বৃষ্টির আবির্ভাব ঘটল। একটি ছাতায় পাঁচজন আশ্রয় নিতে গিয়ে বাতাসে সেটাও উল্টে গেল। তারা যেতে যেতে গাছতলায় আশ্রয় নেওয়ার বৃথা চেষ্টা করতে লাগল।

অবশেষে বেপরোয়া বৃষ্টিতে তারা বেড়িয়ে পড়ল। মাঠ, পুকুর, পাটখেত সব জলে একাকার হয়ে গেছে। এই সুযোগে পুকুরের মাছগুলো তাদের পছন্দমতো দেশে যাত্রা করেছে। কথকরা তাদের মধ্যে থেকে প্রায় দেড়-দুই কুড়ি কই মাছ ছাতায় ধরে নিল। প্রায় দুইদিন কাটানোর পর কথকের আর মন টেকে না; এবার বাড়ির জন্য তার মন ব্যাকুল হয়ে উঠল। তাই ধৈর্য না রাখতে পেরে সে রওনা দিল বাড়ির উদ্দেশ্যে একা এবং এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়। প্রকৃতির কাছে সবাই যে খুব অসহায়, এই সত্য কথক আবিষ্কার করেন। শেষপর্যন্ত বাড়ি পৌঁছে শুকনো কাপড় দিয়ে গা মুছে, শুকনো জামা পড়ে, কাথা গায়ে দিয়ে কথক শরীর গরম করতে থাকে।

অ্যাডভেঞ্চার বর্ষায় মণীন্দ্র গুপ্ত অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর

       🖉 হাতে কলমে :
১. মণীন্দ্র গুপ্ত কোন পত্রিকা সম্পাদনা করতেন?
উত্তর : মণীন্দ্র গুপ্ত ‘পরমা’ পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।
২. তাঁর লেখা একটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : তাঁর লেখা একটি বই হল 'চাঁদের ওপিঠে'।
৩. অনধিক দুটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৩.১ এই গল্পের কথক কী সূত্রে বাড়ি এসেছিল?
উত্তর : এই গল্পের কথক গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে বাড়ি এসেছিল।
৩.২ খবর পেয়ে কারা কারা এলো?
উত্তর : খবর পেয়ে কথকের ছোটোপিসিমা আর সেজোপিসিমার চার ছেলেমেয়ে এলো।
৩.৩ ‘টমবয়’ শব্দের অর্থ কী? 
উত্তর : ‘টমবয়’ শব্দের অর্থ ডানপিটে।
৩.৪ কার নাকে নোলক ছিল?
উত্তর : সেজোপিসিমার ‘টমবয়’ প্রকৃতির মেয়ের নাকে নোলক ছিল।
৩.৫ ভাই-বোনেরা মিলে কী ঠিক করল?
উত্তর : ভাই-বোনেরা মিলে ঠিক করল তারা দলবেঁধে ছোটোপিসিমার বাড়ি হয়ে সেজোপিসিমার বাড়ি বেড়াতে যাবে।
৩.৬ ‘ফেনসা ভাত’ কী? 
উত্তর : ফেনসমেত ভাতকে ‘ফেনসা ভাত’ বলা হয়।
৩.৭ অশ্বিনীকুমার দত্ত কে ছিলেন?
উত্তর : অশ্বিনীকুমার দত্ত ছিলেন একজন বহুভাষাবিদ সুপণ্ডিত এবং তিনি ‘বরিশালের গান্ধি’ নামে খ্যাত ছিলেন।
৩.৮ কথক এবং তার ভাই-বোনেরা সন্ধ্যার আগেই কোথায় গিয়ে পৌঁছেছিল?
উত্তর : কথক এবং তার ভাই-বোনেরা সন্ধ্যার আগেই তাদের ছোটোপিসিমার বাড়ি পৌঁছেছিল।
৩.৯ পাঁচ ভাই-বোনের কাছে ছাতা কটা ছিল?
উত্তর : পাঁচ ভাই-বোনের কাছে ছাতা ছিল একটি।
৩.১০ বাড়ি ফিরে কথক কী করেছিল?
উত্তর : বাড়ি ফিরে কথক মাথা-গা মুছে শুকনো কাপড় পরে, মোটা কাথা চাপা দিয়ে শীতের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল।


৪. সন্ধি বিচ্ছেদ করো : দেশান্তর,আষাঢ়ান্ত,সূর্যাস্ত,অপরাহ্ন,ব্যাকুল
  1. দেশান্তর ➩ দেশ + অন্তর। 
  2. আষাঢ়ান্ত ➩ আষাঢ় + অন্ত। 
  3. সূর্যাস্ত ➩ সূর্য + অস্ত। 
  4. অপরাহ্ন ➩ অপ + অহ্ন।
  5. ব্যাকুল ➩ বি + কুল।
৫. নীচের শব্দগুলি বিভিন্ন স্বাধীন বাক্যে ব্যবহার করো :
  1. হই হই খেলায় জিতে ছেলের দল হইহই করে বাড়ি ফিরছে। 
  2. পুটপাট ➩ শান্ত মনে হলেও বাচ্চাটি পুটপাট বেশ কথা বলে। 
  3. টুবুটুবু ঘোষালদের ডোবাটি বৃষ্টির জলে টুবুটুবু হয়ে গেছে। 
  4. ছিপছিপে রোগা ছিপছিপে মেয়েটি খুব সুন্দর নাচতে পারে। 
  5. ছটফট ➩ আমার বোনপোটি খুব ছটপটে। 
  6. কড়কড় ➩ সকাল থেকে কড়কড় শব্দে বাজ পড়ছে।
৬. লিঙ্গান্তর করো : 
  1. সেজোপিসিমা➞ সেজোপিসেমশাই। 
  2. ন্যাড়া➞ নেড়ী। 
  3. ভাই ➞ রোন। 
  4. প্রতিবেশী➞ প্রতিবেশিনী।
৭. নীচের বাক্যগুলির নিম্নরেখাঙ্কিত অংশে কোন্ বচনের ব্যবহার হয়েছে চিহ্নিত করো :
৭.১ সকালবেলা ফেনসা ভাত খেয়ে আমরা চার ভাই এক বোন বেরুলাম। (বহুবচন)
৭.২ ছোটো ছোটো স্রোত এসে পড়ছে খালে। (বহুবচন)
৭.৩ সেজোপিসিমার মেয়ে একটি পাক্কা টমবয়। (একবচন)
৭.৪ পুকুরের আধ হাত লম্বা পুরোনো কই মাছেরা সার বেঁধে মাঠ পেরিয়ে চলেছে দেশান্তরে। (বহুবচন)
৭.৫ আমরা কালক্ষেপ না করে দেড়-দুই কুড়ি কই সেই উলটানো ছাতার মধ্যে ভরে ফেললাম। (বহুবচন)

৮. নীচের বাক্যগুলিতে কোন্পুরুষের ব্যবহার হয়েছে লেখো :
৮.১ আমরা সবাই দু-এক বছরের ছোটো বড়ো। (উত্তম পুরুষ)
৮.২ সে গাছকোমর বেঁধে আমাদের আগে আগে গাছে উঠে যায়। (প্রথম পুরুষ)
৮.৩ পুরু কাথার মধ্যে সেঁধিয়ে গেলাম শরীর গরম করতে। (উত্তম পুরুষ)
৮.৪ বড়োমা ছোটোমা আমাকে ওই ঝড়জলের মধ্যে দেখে অবাক। (উত্তম পুরুষ)
৮.৫ চোর, ডাকাত, প্রতিবেশী এবং সন্তানেরা কেউ তাঁর সঙ্গে এঁটে উঠতে পারে না। (প্রথম পুরুষ)

৯. নীচের রেখাঙ্কিত শব্দগুলির অর্থ এক রেখে অন্য শব্দ বসাও :
৯.১ মারামারি বাঁধলে জোটবেঁধে লড়ে।
৯.২ শেষে বিরক্ত হয়ে লাগামছাড়া বৃষ্টির মধ্যেই হাঁটতে লাগলাম।
৯.৩ পা আপনাআপনি অতি দ্রুত মাটি ছুঁয়ে ছুঁয়ে চলে যায়।
৯.৪ এক পিসতুতো ভাই একটা কৌশল বলল।
৯.৫ বৃষ্টিও একটু কমে গেল

১০. শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ বেছে শূন্যস্থান পূরণ করো :
১০.১ পা বিনা আয়াসে অতি দ্রুত মাটি ছুঁয়ে ছুঁয়ে চলে যায়।
১০.২ আমি ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে হাঁটতে লাগলাম।
১০.৩ মাঠে মাঠে জল দাঁড়িয়ে গেছে।
১০.৪ মাইলদুয়েক যেতে না যেতে বৃষ্টি এলো।
১০.৫ সে গাছকোমর বেঁধে আমাদের আগে আগে গাছে উঠে যায়।


১১ .  আরো কিছু নাম যোগ করে নীচের ছকটি সম্পূর্ণ করো : 

উত্তরঃ সমাধান
পুর ➞ যাদবপুর, মীরপুর, সোনারপুর, শ্রীরামপুর, বারাকপুর, কানাইপুর।
নগর➞ বিধাননগর, সুভাষনগর, কোন্নগর, শ্যামনগর।
গঞ্জ➞ রানিগঞ্জ, টালিগঞ্জ, বালিগঞ্জ, মেখলিগঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, তুফানগঞ্জ।
হাট/হাটা➞ মঙ্গলার হাট, হাজিরহাট, মাদারিহাট।
গাছি/গাছিয়া➞ ফুলগাছিয়া, বরগাছিয়া।
গ্রাম/গাঁ➞ নবগ্রাম, নওগাঁ, বনগ্রাম, সুভাষগ্রাম ৷
তলা➞ শিরিষতলা, ঝাউতলা, কদমতলা, নিমতলা, বাদামতলা।
গুড়ি➞ শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, বিন্নাগুড়ি, কামাখ্যাগুড়ি।
ডাঙা➞ তিলডাঙা, তালডাঙা, পটলডাঙা।
ডোবা/ডুবি➞ গজলডোবা, ব্যাংডুবি।
দহ/দা➞ শিলাইদহ, চাকদহ, মালদা।
পাড়া➞ ঘোষপাড়া, কুমোরপাড়া, নপাড়া।
খালি➞ বকখালি, পটুয়াখালি, ঝড়খালি ।
ঘরিয়া➞ বেলঘরিয়া, তেঘরিয়া।
পল্লি➞ শ্রীপল্লি, উদয়নপল্লি।
বাজার➞ চকবাজার, রানিবাজার, দীনবাজার, রাজাবাজার।

১২. নীচের বাক্যগুলির কর্তা খুঁজে বের করো :
১২.১ আমাদের দলটা এবার ছোটোপিসিমার বাড়ি হয়ে সেজোপিসিমার বাড়ি যাবে।
১২.২ পড়ন্তবেলায় আমরা অশ্বিনীকুমার দত্তের গ্রাম বাটাজোড় ছাড়ালাম।
১২.৩ সেটাও হাওয়ার দমকে উলটে গেল।
১২.৪ আমি হনহন করে পা চালালাম।
১২.৫ (আমি) বেশ হই হই করে পথ চলছিলাম। (কর্তা উহ্য আছে)

১৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৩.১ ছোটোপিসিমার বাড়ি যাওয়ার পথের বর্ণনা করো।
উত্তর : কথকরা পাঁচ ভাই-বোন মিলে ছোটোপিসিমার বাড়ি যাওয়ার পথে মাটির উঁচু পথের দু-পাশে ছোটো-বড়ো নানা উচ্চতায় পাটখেত দেখেছিলেন, সময়টা গ্রীষ্মকাল হলেও পাটখেতের হাওয়া পরিবেশ কে আরামদায়ক করে তুলেছিল।
১৩.২ বড়োপিসিমার বাড়ি যাওয়ার পথে ঝড়-বৃষ্টি এবং কই মাছ ধরার বিবরণ দাও।
উত্তর : ছোটোপিসিমার বাড়ি থেকে সেজোপিসিমার বাড়ি যাওয়ার পথে হঠাৎ দুপুরবেলা আকাশ মেঘে ঢেকে গেল এবং বিদ্যুৎ চমকাতে লাগল। তারপর শুরু হল প্রবল বৃষ্টি। কথকদের একটিমাত্র ছাতা ছিল। প্রবল হাওয়ায় তাও উলটে গেল। শেষ পর্যন্ত তারা বিরক্ত হয়ে বৃষ্টির মধ্যেই হাঁটতে লাগল। প্রচণ্ড বৃষ্টিতে মাঠ-ঘাট জলে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। পুকুর-ডোবা-রাস্তা কিছুই আলাদা করা যাচ্ছিল না। এই সুযোগে পুকরের আধহাত লম্বা পুরোনো কই মাছের দল সার বেঁধে পালিয়ে যাচ্ছিল। কথকরা তাদের হাতের ভাঙা ছাতা দিয়ে প্রায় দেড়-দুই কুড়ি কই ধরেছিল।
১৩.৩ বড়োপিসিমার বাড়ি থেকে ফেরার সময় ঝড়-বৃষ্টিতে ফাঁকা মাঠে কথকের যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তা লেখো।
উত্তর : কথকের বড়োপিসিমার বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফেরার সময় পথঘাট ছিল জলে ভেজা, চারদিক বৃষ্টিভেজা। পথ জনহীন, চারদিকে কেবল পাটখেত। ফাঁকামাঠে বৃষ্টির ফোঁটা যেন পেরেকগাঁথা থ্যাবড়া হাতের চড়। কিন্তু কথকের আনন্দের বিষয়—ঝড়ের ধাক্কা তাকে তিনগুণ বেগে সামনের দিকে ঠেলে দিচ্ছিল। বাতাসের গর্জন, বাজ পড়ার কড়কড় শব্দে, শীতে ভয়ে কথক কাঁপতে লাগল। প্রকৃতির এই ভয়ঙ্কর রূপ দেখে কথকের মনে হয়েছিল প্রকৃতির কাছে ধরিত্রি মা অসহায়, একাকী।
১৩.৪ পাঠ্যাংশের নামকরণে ‘অ্যাডভেঞ্চার' শব্দটির ব্যবহার কতটা যথাযথ হয়েছে, মতামত দাও।
উত্তর : ‘অ্যাডভেঞ্চার’ শব্দটির অর্থ অভিযান। কথকরা (লেখকেরা) পাঁচভাই-বোন হঠাৎ একদিন ঠিক করলেন ছোটোপিসিমার বাড়ি হয়ে সেজোপিসিমার বাড়ি যাবেন। যেই ভাবা অমনি কাজ। যাওয়ার পথের আনন্দ কথকের মনকে আজও প্লাবিত করে। দিগন্ত বিস্তৃত আকাশ, বাতাসের হু হু শব্দে বয়ে চলা, রামধনু, চারদিক বিস্তৃত পাটখেত, তারই মাঝে হঠাৎ প্রচণ্ড বৃষ্টির আবির্ভাব এবং একটি ছাতার তলায় পাঁচজনের আশ্রয় নিতে গিয়ে ছাতা উল্টে যাওয়ার ঘটনা আমাদেরও আনন্দ দেয়। বোঝা যাচ্ছে কথকরা এর আগে কখনও একা-একা কোথাও যাননি। ‘অভিযান’ শুধু আনন্দ দেয় না, ‘অভিযান’ শব্দের সঙ্গে যুক্ত থাকে নতুন করে কিছু আবিষ্কার করা। কথকরা এখানে নতুন করে প্রকৃতিকে আবিষ্কার করেছিলেন। ছাতার মধ্যে পালিয়ে যাওয়া মাছ ধরার ঘটনা তাদের জীবনে আগে ঘটেনি। আর বৃষ্টির মধ্যে একা বাড়ি ফিরে আসার ঘটনা কথকের কাছে অবিস্মরণীয়। প্রকৃতির দাপটের কাছে ধরিত্রি মা যে কতটা
অসহায়—কথক সেদিন তা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। তাই গল্পটির নামকরণ যথাযথ হয়েছে।

১৩.৫ কোনো একটি বৃষ্টিমুখর দিনের কথা লেখো।
উত্তর : গত শুক্রবার, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই দেখি চারদিক অন্ধকার করে প্রচণ্ড বৃষ্টি এসেছে। মেঘের কড়াৎ কড়াৎ আওয়াজ, বিদ্যুতের চোখ ঝলসানো—ভয়ে আমি মায়ের কোলের মধ্যে ঢুকে মুখ গুঁজে শুয়ে রইলাম। মা বলল আজ আর স্কুলে যাওয়া যাবে না। আমার খুব আনন্দ হল। তারপর চোখ-মুখ ধুয়ে, খেয়ে, অল্প পড়াশুনা করে সোজা জানলার পাশে বসে পড়লাম। আমাদের বাড়ির পাশেই মস্ত একটা মাঠ, তার গা দিয়েই চওড়া রাস্তা। মাঠে সোনাব্যাঙের দল মুখ তুলে গ্যাং গ্যাং করে ডাকছিল, রাস্তা দিয়ে সাইকেল, রিকশা, গাড়ি, মানুষ যেই যাচ্ছে অমনি জলের আওয়াজ হতে লাগল। মাঠে জলের মধ্যে বৃষ্টি ফোঁটাগুলো দেখতে আমার খুব ভালো লাগছিল। কাকগুলো ভিজে কাঁপছিল। আমার লালু—মানে কুকুর ছানাটাও ভিজে গেছিল। দেখতে দেখতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম কে জানে। যখন উঠলাম দেখলাম মা ডাকছে স্নান করে খিচুড়ি খাওয়ার জন্য।

১৪ নীচের দুটি ছবির মধ্যে ছয়টি অমিল খুঁজে বের করো :
 (তোমার বাংলা বইয়ের পষ্ঠা-৯৬)
১৪.১ মেঘ➞ নীচের ছবিতে একখণ্ড মেঘ নেই।
১৪.২ ঘুড়ি➞ ওপরের ছবির ঘুড়িটি রঙহীন।
১৪.৩ জামা➞ নীচের ছবির বসে থাকা মেয়েটির জামা নকশাহীন।
১৪.৪ ফুল➞ নীচের ছবিতে একটি ফুল নেই।
১৪.৫ পাখি➞ নীচের ছবিতে গাছের ওপরে পাখি নেই।
১৪.৬ বল➞ নীচের ছবিতে বলটি হালকা রঙের।


১৬. মনে করো এই পাঠ্যাংশের অ্যাডভেঞ্চারের তুমি-ই মূল চরিত্র। পাঠ-অনুসরণে নীচের ছবিটির বিভিন্ন স্থানে নির্দিষ্ট খোপে স্বাধীন ও যথাযথ বাক্য লিখে একটি গল্পের চেহারা দাও :
(তোমার বাংলা বইয়ের পষ্ঠা-৯৮)
উত্তর : আমি ও আমার চার ভাই মিলে আমার মামার বাড়ি যাবো বলে ঠিক করলাম।
(১) সেইমতো সকালবেলা আমাদের বাড়ি বাটাজোড় গ্রাম থেকে রওনা হলাম মামাবাড়ির উদ্দেশ্যে।
(২) দুটো নদী পেরিয়ে যখন পৌঁছলাম, তখন সন্ধ্যে হয়ে গেছে, দেখে দিদা হ্যারিকেন নিয়ে এগিয়ে এলো। (৩) সেখানে দিনতিনেক অনেক যত্নে আদরে থেকে তারপর রওনা দিলাম মামার শ্বশুরবাড়ি চন্দ্রহারের দিকে। ভালোই যাচ্ছিলাম, কিন্তু কিছুটা যাওয়ার পর হঠাৎ আকাশ কালো করে ঝঝম্ করে বৃষ্টি নামল। আমরা গাছের তলায় দাঁড়াবার চেষ্টা করলাম, কিন্তু এতো জ়োরে বৃষ্টি হচ্ছিল যে আমরা ভিজেই যাচ্ছিলাম। (৪) আমাদের কাছে একটা ছাতা ছিল, কিন্তু সবাই মিলে টানাটানি করায় সেটাও ভেঙে গেল। অগত্যা বৃষ্টিতে ভিজে পৌঁছলাম চন্দ্রহারে মামীর বাপের বাড়ি পুজো দেখতে। সেখানে অনেক পুকুর, মাঠ, ধানখেত, পাটখেত। কিন্তু বৃষ্টির জলে সব পরিপূর্ণ। মাছের দল যেন আজ ছাড়া পেয়েছে, তাই দল বেঁধে পুকুর ছেড়ে অন্য কোথাও যাবে বলে পালিয়ে যাচ্ছে। আমরাও ছোটো ছোটো জাল কেটে পেতে রেখেছিলাম। তাই পালাতে গিয়ে জালে ধরা পড়ে গিয়েছিল। (৫) এই ভাবে বেশ কয়েকদিন থাকার পর বাড়ির জন্য মন কেমন করতে লাগল। বেড়িয়ে পড়লাম বৃষ্টি মাথায় নিয়ে। এবার আমি একা। তাই একটু ভয় হচ্ছিল। যত এগোচ্ছি, তত মনে হচ্ছে পিছিয়ে যাচ্ছি। (৬) অবশেষে বাড়ির সামনে সাঁকোটার কাছে এসে মনে হল এবার বাড়ি এসেছি। ঘরে ঢুকে মায়ের হাতে গরম ভাত খেয়ে কাঁথা চাপা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরদিন সকালে সূর্যমামাও দেখা দিল।



▻ অংশহারা ছবি
১। টাটকা খবর
২। কলার মজা
৩। কাচার পরে
৪। টেনে ছুটে
৫। রণের জীবন্ত ছবি
৬। ‘মনের সাথে দুলি’

▻ অংশ বাদ : 
১। খবরের কাগজ
২। কলা
৩। দড়ি এবং কাপড়
৪। ঘোড়া
৫। ছবির ফ্রেম
৬। দোলনা

▻ কী করছে?
(১) ফুটবল খেলায় ‘হেড’ করছে, (২) ছিপ নিয়ে মাছ ধরছে, (৩) টেনিস খেলছে, (৪) খোলক, ঢোল জাতীয় বাদ্য বাজাচ্ছে, (৫) মোটর চালাচ্ছে, (৬) ঝাঁট দিচ্ছে, (৭) হা-ডু-ডু খেলছে, (৮) বেহালা বাজাচ্ছে, (৯) রিকশা টানছে।

▻ বিপদে ত্রাণ
ছেলেটি সমুদ্রে আটকা পড়েছে; নৌকাগুলি তাকে উদ্ধার করতে আসছে। আসবার রাস্তা আঁকাবাঁকা লাইন দিয়ে দেখানো হয়েছে। চারটি নৌকার কোনটি ছেলের কাছে পৌঁছাবে, বলত।
উত্তর : ছোট্ট, পালহীন ডিঙি নৌকা ছেলের কাছে পৌঁছাবে।

▻ লুকোনো জন্তু
জঙ্গলে কত জন্তু লুকোনো আছে দেখো? একটু খুঁজে দেখলেই পাবে।
উত্তর : (ক) হরিণ  (খ) কাঠবেড়ালি (গ) সজারু (ঘ) গন্ডার (ঙ) হাতি (চ) বেজি (ছ) ভাল্লুক (জ) কচ্ছপ।

▻ লুকোনো বন্ধু
খরগোশ বলছে, — বন্ধুরা গেল কোথা?’ বামন বলছে,—সবাই লুকিয়ে আছে। তাদের খুঁজে বের করো।
উত্তর : (ক) পাখি, (খ) গন্ডার।




খরবায়ু বয় বেগে  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখান থেকে  কোনো প্রশ্ন আসে না পরীক্ষাতে।



আমার মার বাপের বাড়ি গল্পের প্রশ্ন উত্তর

আমার মা-র বাপের বাড়ি লেখিকা পরিচিতি :
রাণী চন্দের জন্ম ১৯১২, মৃত্যু ১৯৯৭ সালে। তিনি রবীন্দ্র পরবর্তী বাংলাসাহিত্যের অন্যতম সাহিত্যিক এবং বিখ্যাত চিত্রশিল্পী। তিনি অতি অল্প বয়স থেকেই রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। বিশ্বভারতী কলেজ অফ্ ফাইন আর্টস থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেন এবং দেশের প্রথম মহিলা শিল্পী হিসেবে দিল্লি ও মুম্বাইতে একক চিত্র প্রদর্শনীর গৌরব অর্জন করেন। দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবন এবং বেশ কয়েকটি রাজ্যের রাজভবনে তাঁর শিল্পকর্ম সম্মানের সঙ্গে স্থান পেয়েছে। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুবনমোহিনী স্বর্ণপদক এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি লাভ করেছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা—জোড়াসাঁকোর ধারে, পূর্ণকুম্ভ, ঘরোয়া, সব হতে আপন, আমার মা-র বাপের বাড়ি ইত্যাদি।

আমার মা-র বাপের বাড়ি গল্পটির বিষয়বস্তু :
মায়ের বাপের বাড়ি যাওয়াকে কেন্দ্র করে গোটা গল্পটি রচিত হয়েছে। যাওয়ার পথ খুব একটা মসৃণ নয়।
রয়েছে নানা বাধাবিপত্তি। সেইসব অতিক্রম করে মেয়ে তার সন্তানদের নিয়ে চলেছে বাবার গৃহে। বাংলাদেশ যে মূলত নদীকেন্দ্রিক তার প্রমাণ রয়েছে এই গল্পে। ধলেশ্বরী নদীর ভয়ঙ্কর রূপের কথা আমরা এখানে জানতে পারি। মাঝিদের কর্মনিষ্ঠার পরিচয়ও আমরা জানতে পারি। অবশেষে বাপের বাড়ির নিকটে আসতেই সাড়া পড়ে যায়। গ্রামবাসী ছুটে আসে। ভালোবাসা দিয়ে অভ্যর্থনা জানায় তারা।

আমার মার বাপের বাড়ি চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা

 🖉 হাতে কলমে :
১. রাণী চন্দের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : রাণী চন্দের লেখা দুটি বই—ঘরোয়া এবং জোড়াসাঁকোর ধরে।
২. তিনি কী কী সাম্মানিক উপাধি পেয়েছিলেন?
উত্তর : তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুবনমোহিনী স্বর্ণপদক এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি পেয়েছিলেন।
৩. শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ বেছে নিয়ে উপযুক্ত স্থানে বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করোঃ
৩.১ লাল লাল মোটা মোটা চাল দেখতে দেখতে টগবগ করে ফুটতে আরম্ভ করে।
৩.২ ঢালু জমিতে থই থই জল।
৩.৩ নন্দীদের বাঁধানো ঘাট থেকে ধুধু বিল দেখা যায় বহুদূর পর্যন্ত।
৩.৪ নৌকোও এগিয়ে চলে তরতর করে।

৪. ডানদিক ও বামদিকের স্তম্ভদুটি মেলাও :

উত্তর সমাধানঃ
বসে বসে দেখি।
হোসেনমামা হুঁকো টানতে টানতে এগিয়ে আসেন।
গাঙচিল উড়ে উড়ে চলে।
ধলেশ্বরীর ঢেউ আছড়ে আছড়ে পড়ে নৌকার গায়ে।
খালের জলে লগি ঠেলে ঠেলে নৌকা চলে।
বেলা থাকতে থাকতে পৌঁছাইয়া দিবা।
পাড়ার লোক ছুটতে ছুটতে এসে ঘাটে জমে।

৫. নীচের বাক্যগুলিতে কোন বচনের ব্যবহার হয়েছে লেখো :
৫.১ মা জলের দেশের মেয়ে। (একবচন)
৫.২ তিন মাঝি স্বর মিলিয়ে ‘বদর বদর হৈ’ বলে নৌকার পাল তুলে দেয়। (বহুবচন)
৫.৩ গ্রামের আবালবৃদ্ধবনিতা এসে ভিড় করে ঘাটে। (বহুবচন)
৫.৪ যে যার বাড়ি ফিরে যায়। (বহুবচন)
৫.৫ বাবনচাচার বড়ো ছেলে আলি হোসেন খাঁ। (একবচন)
৫.৬ সন্ধেবেলার শাঁখ বেজে ওঠে ঘরে ঘরে। (বহুবচন)
৫.৭ গোটা গ্রাম ভেঙে পড়ে আমাদের ঘিরে। (বহুবচন)
৫.৮ শুশুক ওঠে ক্ষণে ক্ষণে জলের উপর। (বহুবচন)
৫.৯ ধলেশ্বরী খ্যাপা নদী। (একবচন)
৫.১০ মাঝিরা নাকি নুন বেশি খায়। (বহুবচন)


৬. উত্তর : সম্বন্ধ পদ—মামার সঙ্গে, বালিশের ভিতর, ঢেউ-এর ধাক্কা, নদীর জল, মাটির হাঁড়ি, পাটাতনের নীচে, মাথার উপরে, বটগাছের শিকড়, খালের বাঁকে।
৭. উত্তর : মাটির কড়াইয়ের মাছের ঝোলের স্বাদ আলাদা।
ফুটবলের থেকে আমি ক্রিকেটের বেশি ভক্ত।
নদীর পাড়ের কুল গাছটায় বেশি কুল হয়।
ইতিহাসের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে ভারতের পুরনো গৌরব।
আমার গানের খাতাটা কে নিয়ে নিয়েছে।

৮. নির্দেশ অনুযায়ী পুরুষ পরিবর্তন করো :
৮.১ আমি মাটির কড়াইতে মাছের ঝোল রাঁধি। (উত্তম পুরুষ)
৮.২ মাঝিরা নৌকা নিয়ে কোন্‌দিকে চলেছে তা ভাবা অসম্ভব। (প্রথম পুরুষ)
৮.৩ (তুমি) বসে বসে দেখ। (মধ্যম পুরুষ)
৮.৪ যে যার বাড়ি ফিরে যাই। (উত্তম পুরুষ)
৮.৫ পোলাপান লইয়্যা বাড়িতে গিয়া খাইমু। (উত্তম পুরুষ)
৮.৬ পুণি বইনদি কোথায় যাও? (প্রথম পুরুষ)
৮.৭ তাঁর এখন আর মাথা ঘোরার কথা মনে নেই। (মধ্যম পুরুষ)
৮.৮ তোমার চলার গতি অতি শান্ত। (মধ্যম পুরুষ)
৮.৯ সে দুই পা একটু হেঁটে নিল। (প্রথম পুরুষ
৮.১০ (আমরা) বদর বদর হৈ’ বলে নৌকায় পাল তুলে দিলাম। (উত্তম পুরুষ)

৯. নীচের শব্দগুলির বিপরীত লিঙ্গের শব্দ পাঠ্যাংশটি থেকে খুঁজে বের করোঃ
দাদি, মামি, ছোটোবোন, দিদিমা, বড়োছেলে, দিদি, বালিকা, বর, বৃদ্ধা, বান্ধবী, লক্ষ্মীছেলে, চাচি।
উত্তর :  দাদি— নানা। বালিকা—বালক। মামি—মামা। ছোটোবোন—ছোটোভাই। দিদিমা—দাদামশাই। বড়োছেলে—বড়োমেয়ে। বান্ধবী—বান্ধব। বর-বউ। বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। লক্ষ্মী ছেলে-লক্ষ্মী মেয়ে। দিদি—দাদা। চাচি—চাচা।

১০. নীচের বাক্যগুলির কর্ম খুঁজে বের করো :
১০.১ মাঝিরা একে একে মাটির থালায় ভাত বেড়ে খেয়ে নেয়।
১০.২ হোসেনমামা এক কাঁদি পাকা কলা এনে নৌকাতে তুলে দেন।
১০.৩ এক মাঝি মাটির উনুনে কাঠ জ্বালে।
১০.৪ মাঝিরা নিশ্চিন্ত মনেও নৌকা ভাসায়।
১০.৫ মা জলের দোলা সইতে পারে না।

১১. রচনাংশ থেকে ঠিক ক্রিয়াপদ বেছে নিয়ে নীচের শূন্যস্থানগুলি পূরণ করোঃ
১১.১ মাঝিরা জলের গতির ওপরে নজর রাখে
১১.২ ধলেশ্বরী নদী খ্যাপা
১১.৩ হই-চই উচ্ছ্বাস আনন্দে বাকি বেলাটুকু কেটে যায়
১১.৪ মুখে মুখে বার্তা চলতে থাকে
১১.৫ মা আর দিদি নৌকোর ভিতরে শুয়ে পড়েন
১১.৬ ‘রাম’ নাম জপো
১১.৭ বেশির ভাগ সময়ে ইলিশ মাছই থাকে
১১.৮ মা ‘বাবনচাচা' ডাকতেন
১১.৯ কার বাড়ির ‘নাইওরি’ আসছে রে মাঝি?
১১.১০ তখনও বর্ষার সব জল সরে যায়নি

১২. অনধিক দু-তিনটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :১৩৪
১২.১ উত্তর :পাঠ্যাংশে লেখিকা রাণী চন্দের মা-কে জলের দেশের মেয়ে বলা হয়েছে।
১২.২ উত্তর : নৌকার ছাউনি অংশকে ‘ছই’ বলা হয়।
১২.৩ উত্তর : লেখিকা তাঁর দাদা ও মামার সঙ্গে ছই-এর বাইরে বসে থাকতো।
১২.৪ উত্তর : তিন মাঝি ‘বদর বদর হৈ’ বলে চিৎকার করে নৌকোয় পাল তুলে দিত।
১২.৫ উত্তর : ধলেশ্বরীকে খ্যাপানদী বলা হয়েছে।
১২.৬ উত্তর : ধলেশ্বরী নদীর পাড়ের বর্ণনা প্রসঙ্গে ‘বালির চর' কথাটি এসেছে।
১২.৭ উত্তর : নৌকোয় লাল লাল মোটা মোটা চালের ভাত এবং নুন মাখানো ইলিশ মাছ হলুদ ও লঙ্কা বাটা দিয়ে রান্না হয়েছিল।
১২.৮ উত্তর : নদীতে যেতে যেতে গাঙচিল ও শুশুকের দেখা মিলেছিল।
১২.৯ উত্তর : পাড়ের দিকে অল্পজলে দড়ি দিয়ে বেঁধে নৌকোকে টেনে নিয়ে যাওয়াকে ‘গুণ’ টানা বলা হয়।
১২.১০ উত্তর : নৌকো যখন নদী থেকে খালে প্রবেশ করে তখন মাঝিরা হাতে ‘লগি’ তুলে নেয়।
১২.১১ উত্তর : পূর্ববঙ্গে কোনো বিবাহিতা মেয়ে যখন শ্বশুর বাড়ি থেকে বাপের বাড়ি আসত, তখন তার যাত্রাকে ‘নাইওরি’ বলা হয়।
১২.১২ উত্তর : হোসেনমামা এক কাঁদি পাকা কলা এবং দুটি কাঁঠাল উপহার এনেছিলেন।
১২.১৩ উত্তর : খালের বাঁকে বাঁকে জোলা, ভুঁইমালী, শেখমামার বাড়ি চোখে পড়ে।
১২.১৪ উত্তর :গরমের ছুটিতে নদীতে জল কম থাকে আর পুজোর ছুটিতে নদী-খাল-বিল জলে ভরা থাকে। তাই মামাবাড়িতে আসার পথও বদলে যায়।


১৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৩.১ উত্তর : লেখিকার মা-র বাপের বাড়ি লেখিকার মামার বাড়ি। লেখিকার মামার বাড়ি দুটি নদী পেড়িয়ে যেতে হয়—ধলেশ্বরী এবং ইছামতী। তার মধ্যে ধলেশ্বরী ভয়ঙ্করী এবং ইছামতী শান্ত। নদীপথে যেতে যেতে লেখিকা এবং তার মা ও অন্যান্য ভাই বোনেরা নানা প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখেছিলেন। মা ও দিদি নৌকোর ছাউনির ভিতরে থাকত। লেখিকা তার দাদাদের সঙ্গে নৌকার বাইরে বসে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখত। ধলেশ্বরী পেড়িয়ে ইছামতীতে নৌকা আসতেই সবাই স্বস্তির নিশ্বাস নেয়। তারপর খালের ভিতর দিয়ে নৌকা টেনে পৌঁছে যায় মামার বাড়ি। যাওয়ার পথে গ্রামবাসীদের আন্তরিক ভালোবাসা পাথেয় করে নিয়ে যায়।

১৩.২ উত্তর : ধলেশ্বরী ক্ষিপ্র প্রকৃতির নদী। সে তালে বেতালে বয়ে চলে। উথাল-পাথাল ঢেউ নৌকায় এসে ধাক্কা মারে। চলার তাল ঠিক রাখতে জানে না ধলেশ্বরী। তাই নৌকোর যাত্রী এবং মাঝি মাল্লারা সর্বদা সাবধান থাকে।

১৩.৩ উত্তর : নৌকোই মাঝিদের ঘর। তাই নৌকোর পাটাতনের নীচে তারা রান্না করে, রান্না-খাওয়ার জিনিসপত্র রাখে। মাঝিরা বেশির ভাগ সময়ে ইলিশ মাছ খায়। নুন-মাখানো ইলিশ মাছ হলুদবাটা, লংকাবাটা দিয়ে রান্না করে, গন্ধটাও খুব সুন্দর বের হয়। লাল লাল মোটা চালের ভাত রান্না করে। নদীর জলেই চাল ধোয় ও রান্না হয়, নৌকো থেকে হাত বাড়িয়ে থালা-বাসন সব ধুয়ে নেয়। এবার বাসনপত্র সব রাখে পাটাতনের নীচে। যাত্রীরা বাড়ি থেকে নিয়ে আসা খাবার খায়।

১৩.৪. উত্তর :  ইছামতী— ইছামতী শান্ত নদী। তার চলার গতি অত্যন্ত ধীর। ইছামতী নদীর জলও কম। ইছামতী যেন লক্ষ্মী মেয়ে। ইছামতী নদীতে খাল এসে মিশেছে। ইছামতী গঙ্গার শাখানদী। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সীমানা দিয়ে প্রধানত এই নদী প্রবাহিত।

১৩.৫ উত্তর : লেখিকার দাদামশায়ের বন্ধু ছিলেন রাবন খাঁ। বড়ো ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা, সম্মান করতেন লেখিকার দাদামশায়কে। সেই সূত্রে লেখিকার মা তাঁকে ‘বাবনচাচা’ বলে সম্বোধন করতেন। অর্থাৎ, দুই পরিবারের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক ছিল। সেই জন্য মেয়েকে আসতে দেখে বাবা যেমন ব্যস্ত হয়ে ওঠেন, তেমনি বাবনচাচাও লেখিকার মা-কে আসতে দেখে এক কাঁদি পাকা কলা এবং দুটি কাঁঠাল সঙ্গে দিয়ে দেন। এ থেকে বোঝা যায় যে দুই পরিবারের আন্তরিকতা অসামান্য।

১৩.৬ উত্তর :  ধলেশ্বরী এবং ইছামতী এই দুটি নদীই লেখিকার মায়ের বাপের বাড়ির দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। আবার ইছামতী নদী থেকে খাল কাটা হয়েছে, সেই খালের পাড়েই লেখিকার মার বাপের বাড়ি। তাই লেখিকার মা-কে জলের দেশের মেয়ে বলা হয়েছে।

১৩.৭ উত্তর :‘আমার মা’র বাপের বাড়ি’ গল্পাংশে পল্লিজীবনের এক সুন্দর ছবি ফুটে উঠেছে। সেখানে জাত-পাতের কুসংস্কার নেই। তাই তো লেখিকার দাদামশায়ের অন্যতম বন্ধু বাবন খাঁ, যাকে বাড়ির ছোটোরা বাবনচাচা বলে সম্বোধন করে। বন্ধুর মেয়ে বাবনচাচার কাছে নিজের মেয়ের সমান। তাই বাবনচাচার ছেলে ‘বইনদি’কে আসতে দেখে কলার কাঁদি ও দুটি কাঁঠাল দিয়ে দেয়। গ্রামবাসীদের মধ্যে অদ্ভুত এক অন্তরের টান, যা বোঝা যায় খালের ধারে সবার উপস্থিতির দৃশ্যের মাধ্যমে।

১৩.৮ উত্তর : আমার মামাবাড়ি ব্যারাকপুর। বছরে বেশ কয়েকবার আমি মামাবাড়ি যাই। তখন আমাদের গঙ্গা পাড় হতে হয় লঞে। লঞ অনেকটা নৌকোরাই মতো, শুধু ইঞ্জিনে চলে। তা ছাড়া সবই প্রায় এক। প্রথম প্রথম খুব ভয় করত। তবে এখন আর ভয় হয় না। যেদিন বেশি হাওয়া থাকে সেদিন নৌকো খুব দুলতে থাকে। পাড়ের থেকে বেশি ঢেউ থাকে মাঝগঙ্গায়। মনেহয় এবার বুঝি নৌকা কাত হয়ে জল তুলে নেবে। আবার যখন গঙ্গা শান্ত থাকে, তখন যত ছোটো ছোটো মাছ কিলবিল করে, ফড়িং জলের ওপর লাফিয়ে লাফিয়ে চলে। আমিও গঙ্গায় শুশুক দেখেছি। সবচেয়ে মজার কথা— আমি গঙ্গায় বান আসা দেখেছি। বান পাড় দিয়ে আসে। নদীতে তখন জল থৈ থৈ করে। নৌকোগুলো তখন সব মাঝগঙ্গায় চলে আসে। বান চলে গেলে ক্রমশ গঙ্গা শান্ত হয়ে যায়। প্রতিদিন গঙ্গায় কত লোক স্নান করতে আসে। মাঝে মাঝে মনে হয় এই নদী দুটি পাড়কে, দুই পাড়ের লোকজনকে যেন একসুতোয় বেঁধে রেখেছে।

১৩.৯ উত্তর: নিজে করো।
১৪. উত্তর : নিজে করো।
১৫. উত্তর : নিজে করো।
১৬. উত্তর : খেলে জেতো।
১৭. উত্তর: বিমান, বজ্র, বটগাছ, বজরা নৌকো, বৈঠা, বেলুন, বাঁশ, বাড়ি, বাউল, বক, বড়শি, বধূ, বালক, বালিকা, বলদ, বিড়াল, বৃদ্ধ, বাইচ, বাঁদর, ভুড়ি, বুড়া, বস্তা, বালতি, বন, গ্যাস বেলুন, বালি।



নদীপথে গল্পটির বিষয়বস্তু :
লেখক নদীপথে ভ্রমণে বেরিয়েছেন। তিনি ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর দিয়ে যাবেন। গৌহাটি থেকে রওনা দিতে বেজে গেল বেলা এগারোটা। শুরুতেই তিনি দেখলেন ডাইনে পাহাড়ের সার চলেছে নদীর পাড় ঘেঁষে। নিবিড় বনে ঢাকা ওই পাহাড়। এক-একটা পাহাড় এতটাই কালো যে মনে হচ্ছে ঐরাবত এসে পাশে দাঁড়াল। পাহাড়গুলো সব সার বেঁধে পর পর সাজানো। একটার পিছনে আর একটা। পাহাড়গুলো সব পাতলা নীল ওড়নার মতো ফিকে নীল কুয়াশায় ঢাকা। কিছু কিছু পাহাড় তার সঙ্গীদের ছেড়ে চলে এসেছে জলের মধ্যে। নদীর সঙ্গে পরিচয় করতে। এক জায়গার পাড় একটা চরের জিহ্বা অনেক দূর নদীর মধ্যে এগিয়ে এসেছে। স্টিমার খুব সাবধানে পার হল। বাঁ দিকের পাহাড়গুলো সব দূরে দূরে।
মাইলের পর মাইল চলেছেন ব্রক্ষ্মপুত্রের তরঙ্গ লাঞ্ছনা সহ্য করে। অনুজ্জ্বল রোদ যেন চুনারি পাথর মনে হচ্ছে। আকাশের মেঘ কিন্তু রোদ ঢাকতে পারেনি। একঘেয়েমি পাহাড়গুড়ো মনে হচ্ছে হঠাৎ দূরে সরে গেল। শীতকালে নদীর রূপ ফুটে উঠল ।

এখানে-ওখানে চরের শুভ্র বালু কেটে কালো নীল জলের ধারা। গোধূলির আকাশে গাছের ঘন সবুজ রেখা। বেলা পড়ে এসেছে। লেখক স্টিমারের কেবিনের সামনে বেতের কুরসিতে রোদ পোহাচ্ছেন আর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছেন। সামনে একটা গোল চর, চারদিকে নীল পাহাড়, যারা ছিল নদীর পাশে। এবার বাঁক ঘুরে মনে হচ্ছে তারা যেন নদীর মাঝ থেকে উঠেছে। চোখ ঝলসানো গোল ফুটো দিয়ে নীল আকাশ দেখা যাচ্ছে। নদীতে রঙের স্রোত। সব মিলে মিশে মনে হচ্ছে যেন একটা টার্নারের ছবি।
সূর্য অস্ত গেল। অস্ত যাওয়া সূর্যটাকে মনে হল যেন একটা প্রকাণ্ড গ্লোব। ঘড়িতে বাজে তখন পাঁচটা ছ-মিনিট। শুক্রবার। সূর্য অস্ত গেলো পাঁচটা পনেরো মিনিটে। স্তব্ধ ব্রক্ষ্মপুত্রের বুকে সন্ধ্যা নেমে এলো। পুবে প্রতিপদের সোনালি চাঁদ, পশ্চিমের আকাশে বৃহস্পতি গ্রহ জ্বলজ্বল করে জ্বলছে।


এই  অধ্যায়ঃ থেকে প্রশ্ন  ও উত্তর প্র্যাকটিস সেট
১. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
(১) গৌহাটি থেকে রওনা হতে বেলা বাজল—(এগারোটা/বারোটা/একটা।)
উত্তর :  এগারোটা।
(২) হঠাৎ মাঝে মাঝে এক-একটা পাহাড়ের খানিকটা অনাবৃত—(কালো পাথরে/সাদা পাথরে/নীল পাথরে) মোড়া। 
উত্তর : কালো পাথরে।
(৩) উলটোদিকের পাড় একটা চরের—(জিহ্বা/কর্ণ/নাসিকা) অনেকদূর নদীর মধ্যে এগিয়ে দিয়েছে।
উত্তর : জিহ্বা।
(৪) বাঁ দিকের পাহাড় সব—(কাছে কাছে/দূরে দূরে)।
উত্তর : দূরে দূরে।
(৫) অনুজ্জ্বল রৌদ্রে মনে হচ্ছে যেন—(গ্রাফাইট পাথরে/চুনারি পাথরে) তৈরি।
উত্তর : চুনারি পাথরে।

২. শূন্যস্থান পূরণ করো :
(১)______ থেকে রওনা হতে বেলা বাজল এগারোটা।
(২) নিবিড়______ঢাকা পাহাড়।
(৩) অতি পাতলা নীল____ মতো ফিকে নীল কুয়াশায় ঢাকা।
(৪) এ জায়গাটায়_____ পার হল অতি ধীরে ও সাবধানে।
(৫) বাঁ দিকের____ সব দূরে দূরে।
(১) উত্তর : গৌহাটি। (২) উত্তর : বনে। (৩) উত্তর : ওড়নার। (৪) উত্তর : স্টিমার। (৫)  উত্তর : পাহাড়।

৩. অক্ষর সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
(টিগৌহা, ডুনিবি, রড়নাও, হবাজি, রপুষ্ম্যত্রেব্র, রিনাচু, সিকুর, রীলাম্বরীর, নারেটার, দমকপ্রচ।)
উত্তর :গৌহাটি, নিবিড়, ওড়নার, জিহবা, ব্রহ্মপুত্রের, চুনারি, কুরসি, নীলাম্বরীর, টার্নারের, চমকপ্রদ।


দূরের পাল্লা কবিতার কবি পরিচিত :
১৮৮২ সালে বর্ধমান জেলার চুপিগ্রামে কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম রজনীনাথ দত্ত। তাঁর মাতামহ অক্ষয় কুমার দত্ত বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যের অন্যতম পথিকৃৎ। রবীন্দ্র সমকালীন কবিদের মধ্যে তিনি একজন অন্যতম জনপ্রিয় কবি। সবিতা, সন্ধিক্ষণ, বেণু ও বীণা, ফুলের ফসল, কুহু ও কেকা, বেলাশেষের গান, বিদায় আরতি প্রভৃতি হল তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। তাঁর অনুবাদ করা কবিতাগুলি হল তীর্থ সলিল, তীর্থরেণু, মণিমঞ্জুষা প্রভৃতি। কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তকে বাংলা সাহিত্যের জগতে ‘ছন্দের জাদুকর’ বলা হয়। তিনি কয়েকটি ব্যঙ্গাত্মক কবিতা রচনা করেছেন ছদ্মনামে। সেই ছদ্মনামগুলি হল নবকুমার, কবিরত্ন। পাঠ্য কবিতাটি তাঁর ‘বিদায় আরতি’ নামক কবিতার বই থেকে নেওয়া। ১৯২২ সালে তিনি পরলোকগমন করেন।

দূরের পাল্লা কবিতার বিষয়বস্তু :
তিনজন মাল্লা নৌকো নিয়ে নদী পথে পাড়ি দিয়েছে দূরে যাওয়ার জন্য। দিনভোর তারা নৌকায় থাকে। নদীর পাড়ময় জঙ্গল জঞ্জাল দেখে। জলময় শ্যাওলা আর পান্নার টাঁকশাল দেখে। নদীর চরে আছে কঞ্চি দিয়ে তৈরি ঘর, বন-হাঁস তার ডিমগুলো শ্যাওলা দিয়ে ঢেকে রাখছে। পানকৌড়ি চুপ চুপ করে জলে ডুব দিচ্ছে। গ্রামের বধূরা নদীতে স্নান করতে এসে টুপটুপ করে ডুব দিচ্ছে। কলশিগুলো ঝকঝক করছে। মাথায় ঘোমটা দিয়ে বউগুলো সব ঝকঝকে কলশি নিয়ে জল আনতে যাচ্ছে। মন তাদের উন্মন। এদিকে মাঝিরা তিন দাঁড় ছিপখান নিয়ে মন্থর গতিতে এগিয়ে চলেছে কোন গান যেন গাইতে গাইতে।

         🖉 হাতে কলমে :
১. কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলা কাব্যজগতে কোন অভিধায় অভিহিত?
উত্তর : কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলা কাব্যজগতে ‘ছন্দের জাদুকর’ অভিধায় অভিহিত।
২. তাঁর লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : তাঁর লেখা দুটি কবিতার বই হল ‘কুহু ও কেকা’, ‘বিদায় আরতি।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১. কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কী নামে পরিচিত?
উত্তর : সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ‘ছন্দের জাদুকর’ নামে পরিচিত।
৩.২. কবিতাংশে যে নৌকাটির কথা রয়েছে, তাতে কতজন মাঝি রয়েছেন?
উত্তর : কবিতাংশে যে নৌকাটির কথা রয়েছে, তাতে তিনজন মাঝি রয়েছেন।
৩.৩. বন-হাঁস কী করছে? 
উত্তর : বন-হাঁস শ্যাওলায় ডিম লুকাচ্ছে।
৩.৪. নদীজলে কাদের ডুব দিতে দেখা যাচ্ছে?
উত্তর : নদীজলে পানকৌটি আর বধূদের ডুব দিতে দেখা যাচ্ছে।
৩.৫. মাঝিরা কেমনভাবে নৌকো বেয়ে চলেছে?
উত্তর : মাঝিরা মন্থরগতিতে নৌকো বেয়ে চলেছে।

৪. ‘চৌপর’ শব্দের অর্থ সমস্ত দিন বা রাত। কবিতাংশে দিনের নানা ছবি কীভাবে পড়েছে তা লেখো।
উত্তর : দিনভোর মাঝিরা নৌকা টানছে দূরে যাওয়ার জন্য। যেতে যেতে তারা সারাদিন অনেক কিছু দেখল। নদীর পাড়ে ঝোপ-ঝাড়, বনজঙ্গল, শৈবাল, পান্নার টাকঁশাল। কঞ্চির তীর ঘর, বন-হাঁসের ডিম লুকোনো। পানকৌড়ি জলে ডুব দিচ্ছে, বউরাও জলে ডুব দিচ্ছে। ঘোমটা টানা বউরা ঝকঝকে কলশি নিয়ে যাচ্ছে। মন তাদের উন্মন।

৫. ‘পাল্লা’ শব্দটিকে পৃথক অর্থে ব্যবহার করে দুটি স্বাধীন বাক্য রচনা করো।
  1. পাল্লা (দাঁড়িপাল্লা)—এক পাল্লা ওজন বলতে পাঁচ কিলোগ্রাম বোঝায়।
  2. পাল্লা (প্রতিযোগিতা)—দুটো বাস পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে ছুটছে।
  3. পাড়ি (যাত্রা)—আজ আমি সাগর পাড়ি দেব।
  4. পাড়ি (বিভক্তিযুক্ত ক্রিয়া)—আমি গাছে উঠে আম পাড়ি।
৬. ‘দাঁড়’ শব্দটি কবিতায় কোন্ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? শব্দটিকে পৃথক অর্থে ব্যবহার করে একটি বাক্য রচনা করো
উত্তর :‘দাঁড়’ শব্দটি কবিতায় বৈঠা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। দাঁড় (ক্রিয়াপদ)—আমাকে কতক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখবে?
৭. ‘দিন-ভোর’ শব্দটির অর্থ সমস্ত দিন। সারাদিনের কাজ বোঝাতে তুমি আর কোন শব্দ ব্যবহার করতে পারো?
উত্তর : সারাদিনের কাজ বোঝাতে আমি দিনরাত বা চৌপর কথাটি ব্যবহার করতে পারি।
৮. ‘ঝোপঝাড়’-এর মতো সমার্থক/প্রায় সমার্থক শব্দ পাশাপাশি বসিয়ে পাঁচটি নতুন শব্দ তৈরি করো।
উত্তর : ঝোপঝাড়–ঝোপ বুঝে কোপ মারো।
  1. ঝোপঝাড় (গুল্ম) — গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ পাহাড়েও দেখা যায়।
  2. ঝোপঝাড় (বনজঙ্গল)—বনজঙ্গলে রাতে যেতে নেই বিপদ হতে পারে।
  3. ঝোপঝাড় (আড়াল-আবডাল)—আড়াল-আবডালে সাপ লুকিয়ে থাকে।
৯. ‘পান্না’ ও ‘চর’ শব্দদুটিকে দুটি পৃথক অর্থে ব্যবহার করে দুটি স্বাধীন বাক্য রচনা করো।
  1. উত্তর : পান্না (মারফত)—রাজকুমারের আংটিতে পান্না বসানো আছে।
  2. উত্তর : চর (গোপন দূত) — পাকিস্তানি চর ভারতে ঢুকে ধরা পড়ে গেল।
১০. টুপটুপ’ ‘ঝক্ঝক্’ ‘বক্ৰবক্’ মতো ধ্বন্যাত্মক/অনুকার শব্দদ্বৈতের পাঁচটি উদাহরণ দাও।
উত্তর : চক্‌চক্, টগ্বগ্, খট্‌খট্, মট্‌মট্, কঙ্কচ্।


Tags ;  আমার মার বাপের বাড়ি রাণী চন্দ প্রশ্ন উত্তর,বাংলা গল্প আমার মার বাপের বাড়ি,বাংলা পাতা বাহার,চতুর্থ শ্রেণীর পাতা বাহার,পাতাবাহার,ক্লাস 4 পাতাবাহার,অ্যাডভেঞ্চার বর্ষায় প্রশ্ন উত্তর,চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা,অ্যাডভেঞ্চার বর্ষায় চতুর্থ শ্রেণি,অ্যাডভেঞ্চার বর্ষায়,চতুর্থ শ্রেণির বাংলা গল্প এডভেঞ্চার বর্ষায়,

Type Here ....

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন