পৃথিবীর আকৃতি ও আয়তন :
Q1. পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব কত?▻ প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার।
Q2. সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ এবং সবচেয়ে ছোট গ্রহের নাম কি?
▻ সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতি এবং সবচেয়ে ছোট গ্রহ বুধ।
Q3. সূর্যের নিকটতম ও দূরতম গ্রহের নাম কি?
▻ বুধ সূর্যের নিকটতম গ্রহ এবং প্লটো দূরতম গ্রহ।
Q4.পৃথিবীর পরিধি কি ভাবে নির্ণয় করা যায়?
▻ ভূ-পৃষ্ঠে যে কোন দুই স্থানের দূরত্ব ও মধ্যাহ্ন সূর্যরশ্মির শিরোবিন্দু থেকে অবনতির পার্থক্য দেখে পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করা যায়।
Q5. পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি কেমন?
▻ পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি হল অভিগত গোলকের মত।
Q6. সমুদ্রতল থেকে পৃথিবীর স্থলভাগের সর্বাধিক উচ্চতা এবং জলভাগের সর্বাধিক গভীরতা কত? পৃথিবীর বন্ধুরতার পরিমাণ কত?
▻ হিমালয় পর্বতের মাউন্ট এভারেস্ট হল পৃথিবীর স্থলভাগের সর্বোচ্চ অঞ্চল (উচ্চতা ৮,৮৪৮ মিটার)। প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা খাত পৃথিবীর জলভাগের গভীরতম অঞ্চল (গভীরতা ১১,০০০ মিটারেরও বেশী)। পৃথিবীর বন্ধুরতার পরিমাণ প্রায় ২০ কিলোমিটার ।
Q7. একই সময়ে পৃথিবীতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয় না কেন?
▻ পৃথিবীর আকৃতি গোলাকার বলে একই সময়ে পৃথিবীর সর্বত্র সূর্যের আলো পড়ে না। পৃথিবীর একদিক যখন আলোকিত হয়, তখন অন্যদিক অন্ধকার থাকে। স্বভাবতই বিভিন্ন স্থানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত বিভিন্ন সময়ে ঘটে থাকে। পৃথিবী সমতল হলে একই সময়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হত।
Q8. চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের ওপর পতিত পৃথিবীর ছায়া গোলাকার দেখায় কেন?
▻ গোলাকার বস্তুর ছায়া গোলাকারই হয়। যেহেতু পৃথিবী গোলাকার, সেহেতু চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের ওপর পতিত পৃথিবীর ছায়া গোলাকার দেখায়।
Q9. পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস কত?
▻ পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস ১২,৭৫৭ কিলোমিটার।
Q10.পৃথিবীর ওজন কত?
▻ পৃথিবীর ওজন হল আনুমানিক ৫,৬৯৭ × ১০১৮ টন।
Q11. পৃথিবীর গড় পরিধি কত?
▻ পৃথিবীর গড় পরিধি ৪০,০০০ কিলোমিটার।
Q12. পৃথিবীর নিরক্ষীয় ও মেরুদেশীয় ব্যাসের মধ্যে পার্থক্য কত?
▻ পৃথিবীর নিরক্ষীয় ও মেরুদেশীয় ব্যাসের মধ্যে পার্থক্য হল ৪৩ কিলোমিটার।
Q13. এরাটস্থনিস পৃথিবীর ব্যাসার্ধ কত নির্ণয় করেছিলেন?
▻ এরাটস্থনিস পৃথিবীর ব্যাসার্ধ নির্ণয় করেছিলেন ৭,৩৫৮ কি.মি. (প্রায়)।
▻ সূর্যের আকর্ষণে আমাদের পৃথিবীর মত অনেক ছোটবড় জ্যোতিষ্ক, যারা সূর্যের
চারিদিকে ঘুরছে, তাদের একসঙ্গে সৌরজগৎ, সৌর পরিবার বা সূর্যের পরিবার বলা
হয়। সূর্য এই পরিবারের কর্তা। পৃথিবীসহ ৯টি গ্রহ ও তাদের বিভিন্ন উপগ্রহ,
অসংখ্য গ্রহাণুপুঞ্জ, ধূমকেতু ও উল্কা সৌরজগতের অন্তর্গত।
![]() |
ছবি : সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ ও তাদের উপগ্রহ |
প্রশ্ন : (খ) সৌরজগৎ বলতে কি বুঝায়?
▻ সৌরজগতের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে সূর্য। সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে পৃথিবীসহ নয়টি
গ্রহ, যথা : বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন ও প্লটো।
কোন কোন গ্রহের চতুর্দিকে পরিক্রমণ করে এক বা একাধিক উপগ্রহ। গ্রহগুলি উপগ্রহ সমেত
সূর্যের চতুর্দিকে পরিক্রমণ করে। গ্রহ ও উপগ্রহ ছাড়া সৌরজগতের অন্তর্ভুত রয়েছে
অসংখ্য গ্রহাণুপুঞ্জ, ধূমকেতু এবং উল্কা। এগুলিও নিজের নিজের কক্ষপথে সূর্যকে
পরিক্রমণ করে। দূরত্ব অনুসারে বুধ সূর্যের নিকটতম ও প্লটো দুরতম গ্রহ।
প্রশ্ন (গ) পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি কেমন?
▻
পৃথিবীর সর্বপ্রথম সফল মহাকাশচারী ইউরী গ্যাগারিন ১৯৬১ সালের ১২ই এপ্রিল
স্পুটনিকে চড়ে পৃথিবী প্রদক্ষিণের সময় দেখেন যে পৃথিবীকে দেখতে গোলাকার বটে, তবে তা অনেকটা পেয়ারার মত। এছাড়া
তাঁর তোলা পৃথিবীর ছবিও দেখতে গোলাকৃতি বা মণ্ডলাকার।
![]() |
ছবি : মহাকাশ থেকে দেখা গোলাকার পৃথিবী ও চন্দ্রপৃষ্ঠ |
এরপর ১৯৬৯ খ্রীষ্টাব্দের ১৬ই জুলাই মানুষ সর্বপ্রথম চন্দ্রপৃষ্ঠে নামতে সক্ষম হয়। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ঐদিন পৃথিবীর দুই মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং ও এডউইন অ্যালড্রিন ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার চারশো কিলোমিটার দূর থেকে ঘোর কালো মহাকাশের পটভূমিতে পৃথিবীকে দেখেন—পৃথিবীকে সেখান থেকে দেখতে লাগছিল সাদা ও ফিকে নীল রঙের একটা মণ্ডলের মতন। তবে আকৃতিতে তা পৃথিবী থেকে দেখা চাঁদের আকৃতির চেয়ে অনেক । এরপর বিশ্বের প্রথম মহিলা মহাকাশচারিণী ভ্যালেন্তিনা তেরেস্কোভা এবং ভারতের প্রথম মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা মহাকাশ থেকে পৃথিবীর একই রকম গোলীয় আকৃতি দেখেন ৷