যতীনের জুতো পাতাবাহার চতুর্থ শ্রেনি প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা ক্লাস
        আরো পড়ুন :

Jatiner Juto Class 4 Patabahar Solution 


অষ্টম পাঠ প্রশ্নও উত্তর সমাধান :
বইয়ের পৃষ্ঠা - ১৪০-১৪৪ / ১৪৫ / ১৪৮,১৪৯
▻ যতীনের জুতো
▻ হেঁয়ালি নাট্য
▻ নইলে

➤ যতীনের জুতো লেখক পরিচিতি :
১৮৮৭ সালের ৩০ অক্টোবর ‘হাসির রাজা’ কবি সুকুমার রায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। শিশু সাহিত্যিক হিসেবে তিনি প্রসিদ্ধি লাভ করেন। শিশু সাহিত্য রচনায় তাঁর অসীম প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁর রচিত বিভিন্ন পত্রিকা ও বইতে তাঁর অনন্য সাধারণ প্রতিভার প্রকাশ ঘটেছে। একটু হাসি, একটু রসিকতার মধ্য দিয়ে কঠিন বাস্তবের রচনা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। শিশুদের জন্য রচিত বইগুলি প্রত্যেকটি শিশুর কাছেই অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁর রচিত বইগুলি হল— পাগলাদাশু, হ য ব র ল, আবোল তাবোল, অবাক জলপান, লক্ষ্মণের শক্তিশেল, শব্দকল্পদ্রুম ইত্যাদি। আধুনিক বাংলা মুদ্রণশিল্পেও বাবা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরির মতো তাঁরও
বিশিষ্ট অবদান ছিল। ১৯২৩ সালে তাঁর অকালমৃত্যু ঘটে।

➤ যতীনের জুতোর গল্পটি বিষয়বস্ত:
‘যতীনের জুতো’ গল্পটি একটি হাস্যরসাত্মক রচনা। যতীন এতটাই দুষ্টু ও বাচাল যে তাকে যতই তার বাবা নতুন জুতো কিনে এনে দেন ততই সে ছিঁড়ে ফেলে। একটা মাসও যায় না। সেদিনও তার বাবা তাকে একজোড়া নতুন জুতো এনে দেন আর বলেন যে এই জুতো জোড়া ছিঁড়ে গেলে তিনি আর নতুন জুতো এনে দেবেন না। শুধুমাত্র ঘুড়ি ছাড়া তার কোনো জিনিসেরই যত্ন ছিল না। যতীন যেন একটু সাবধানেই সিঁড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে ওঠা-নামা করতে লাগল। লাফালাফি কম করল। কিন্তু কদিন পর সে আবার সেই দৌড়াদৌড়ি, লাফালাফি আরম্ভ করল। জুতোটা ক্রমশ বেশ বড়ো সড়ো হাতে পরিণত হল। একদিন ওই ছেঁড়া জুতো পড়েই সে তিনটি সিঁড়ি লাফিয়ে নামতে গেল।

কিন্তু নীচের মাটিতে পা পেল না। সাঁই সাঁই করে শূন্যে ঘুরতে ঘুরতে সে এসে পড়ল এক অজানা দেশে। সেখানে মুচি তাকে উচিত শিক্ষা দিল। যতীনকে দিয়ে সে জুতো সেলাই করালো। গাছে উঠতে গিয়ে সে নতুন ধুতি ছিঁড়ে ফেলেছিল। ওই অজানা দেশের দরজিরাও এসে যতীনকে দিয়ে যতীনের নিজের ধুতি সেলাই করালো। যতীন তো কেঁদে কেটে, খিদের জ্বালায় অস্থির। এমনসময় আকাশে কীসের যেন একটা শব্দ হল বোঁ বোঁ করে। দেখল একটা ঘুড়ি এসে যতীনের কোলের ওপর পড়ল। ঘুড়িটা ফিস্ ফিস্ করে যতীনকে বলল “তুমি আমার যত্ন করো, তাই তোমাকে আমি সাহায্য করতে এসেছি।’ যতীন তাড়াতাড়ি ঘুড়ির লেজ ধরল। ঘুড়ি অমনি যতীনকে নিয়ে আকাশে উড়ে গেল। দরজিরা তখন তাড়াতাড়ি কাঁচি নিয়ে সুতো কেটে দিল। তখন যতীন আর ঘুড়ি জড়াজড়ি করে মাটিতে পড়ে গেল। মাটিতে পড়েই যতীনের মাথায় বেশ জোরে আঘাত লাগল। বেশ কিছুদিন সে ভুগলো। সে এখন আর লাফিয়ে, ঝাঁপিয়ে চলে না, মনে যেন সেই স্ফুর্তি নেই। ধীর স্থির হয়ে গেছে সে। তা নাহলে একজোড়া নতুন জুতো চার মাস যায়?

   🖉 হাতেকলমে :
১. আবোল তাবোল বইটি কার লেখা?
উত্তর : আবোল তাবোল বইটি সুকুমার রায়ের লেখা।
২. তাঁর লেখা দুটি নাটকের নাম লেখো।
উত্তর : অবাক জলপান, লক্ষ্মণের শক্তিশেল।
৩. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ নতুন জুতো কিনে এনে যতীনের বাবা তাকে কী বলেছিলেন?
উত্তর : যতীনের বাবা যতীনকে জুতো এনে দিয়ে বলেছিলেন যে, এবার যদি আবার সে জুতো নষ্ট করে তবে ওই ছেঁড়া জুতোই সে পরে থাকবে।
৩.২ যতীনের স্লেট পেনসিলগুলো টুকরো টুকরো কেন?
উত্তর : স্লেটের পেনসিলগুলো সর্বদাই যতীনের হাত থেকে পড়ে যেত। তাই পেনসিলগুলো টুকরো টুকরো হয়ে যেত।
৩.৩ যতীন কোন জিনিসটি যতদিন সম্ভব টিকিয়ে রাখত?
উত্তর : যতীন তাঁর ঘুড়িগুলোকে যতদিন সম্ভব টিকিয়ে রাখত।
৩.৪ যতীন কখন রান্নাঘরে গিয়ে উৎপাত করত?
উত্তর : যখন ঘুড়ি ছিঁড়ে যেত তখন যতীন রান্নাঘরে গিয়ে আঠার জন্য উৎপাত করত।
৩.৫ খেলার সময়টা সে কীভাবে কাটাতে ভালোবাসত?
উত্তর : খেলার সময়টা যতীন ঘুড়ি উড়িয়ে কাটাতে ভালোবাসত।
৩.৬ যতীন কোথায় দরজিদের দেখা পেয়েছিল?
উত্তর : অজানা দেশের এক খালি মাঠে যতীন দরজিদের দেখা পেয়েছিল।
৩.৭ দরজিরা যতীনকে কী খেতে পরামর্শ দিয়েছিল?
উত্তর : দরজিরা যতীনকে পেনসিল চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল।
৩.৮ অসহায় যতীনকে সাহায্যের জন্য শেষে কে এগিয়ে এসেছিল?
উত্তর : অসহায় যতীনকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছিল তাঁর যত্ন করা ঘুড়ি।


৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৪.১ যতীন শেষ তিনটি সিঁড়ি ডিঙিয়ে লাফিয়ে পড়ায় কী হয়েছিল?
উত্তর : যতীন শেষ তিনটি সিঁড়ি ডিঙিয়ে লাফিয়ে পড়ায় মাটিটা তার পায়ের নীচ থেকে সুড়ুৎ করে সরে গেল। আর ছেঁড়া চটি তাকে নিয়ে সাঁই সাঁই করে শূন্যের ওপর দিয়ে কোথায় যে ছুটে চলল তার ঠিক-ঠিকানা নেই।
৪.২ চটি যতীনকে মুচিদের কাছে নিয়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তর : অজানা দেশে যে মুচিরা থাকতো তারা মনে করত চাটদের প্রাণ আছে। জোড়ে হাঁটলে তাদের লাগে। যতীন যে চটিদের ওপর অত্যাচার করে সেটা তাকে বোঝাবার জন্য বা শিক্ষা দেওয়ার জন্য চটি যতীনকে মুচিদের কাছে নিয়ে গিয়েছিল।
৪.৩ মনে থাকে যেন, একটুও লাফাবে না, একটাও সিঁড়ি ডিঙাবে না—কারা যতীনকে এই কথা বলেছিল? কখন বলেছিল?
উত্তর : অজানা দেশের মুচিরা যতীনকে এই কথা বলেছিল। যতীনের জুতোটা যখন সেলাই করা হয়ে গেল তখন মুচিরা যতীনকে সিঁড়ি বেয়ে পাঁচতলা পর্যন্ত উঠে যেতে বলল, আবার নেমে আসতে বলল। কিন্তু যতীন যখন পাঁচতলা থেকে নীচে নেমে এলো মুচিরা বলল হয়নি। তুমি তিনবার দুটো সিঁড়ি একসঙ্গে উঠেছো, পাঁচবার লাফিয়েছো, দুবার তিনটে করে সিঁড়ি ডিঙিয়েছো। আবার ওঠো।
৫. 'আহা সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে, এই ভোগান্তিতে বাছা আমার বড়ো দুর্বল হয়ে গেছে।'—যতীনের মায়ের এই ভাবনা যদি সত্যিও হয়, তবু যতীনের লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে না চলার কারণ তোমার যা মনে হয়—পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর : যতীন একেবারে নীচে লাফ দেবে বলে তিনটি সিঁড়ির ওপর থেকেই লাফ মেরেছিল। তখন যতীন পড়ে যায়। মাথায় খুব জোরে আঘাতও পায়। সেইসময় যতীন অজ্ঞান হয়ে যায় আর অজানা দেশের স্বপ্ন দেখতে থাকে। ওই স্বপ্ন এতটাই যতীনের কাছে ভয়ঙ্কর ছিল যে সে লাফালাফি, ঝাঁপাঝাঁপি করা বন্ধই করে দিয়েছিল প্রায়। তা ছাড়া চোট পেয়ে সে নিজেও খুব দুর্বল।

৬. কে কোন কথাটি বলেছে তা মিলিয়ে লেখো

উত্তরঃ সমাধান
বক্তা কথা
১। ঘুড়ি— তুমি আমাকে যত্ন করেছো, তাই আমি তোমাকে সাহায্য করতে এসেছি।
২। দরজি— বড়ো অন্যায় বড়ো অন্যায়। শিগগির সেলাই করো।
৩। বাবা— এবার যদি অমন করে জুতো নষ্ট করে। তবে ওই ছেঁড়া জুতোই পরে থাকবে।
৪। মা— ওরে, এই বেলা মুচি ডেকে সেলাই করা।
৫। মাস্টারমশাই— তুমি কি বাড়িতে ভাত খেতে পাওনা?

৭. গল্প থেকে অন্তত পাঁচটি ঘটনা খুঁজে নাও এবং সেইসব ঘটনার কারণ পাশাপাশি লেখো :

উত্তরঃ সমাধান
ঘটনা কারণ
(i) যতীন একদিন তিনটি সিঁড়ি ডিঙিয়ে লাফিয়ে নামতে গেল। (i) সে তাড়াতাড়ি একলাফে মাটিতে নামবে।
(ii) চটি যতীনকে নিয়ে সাঁই সাঁই করে শূন্যের ওপর দিয়ে কোথায় যেন ছুটে চলল। (ii) চটি যতীনকে অজানা দেশে নিয়ে যাবে বলে।
(iii) যতীনের জুতো যতীনকে অজানা দেশে মুচিদের কাছে এনে ফেলল। (iii) মুচিকে দিয়ে যতীনকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য।
(iv) যতীন একদিন নতুন ধুতি কাপড় ছিঁড়ে ফেলল। (iv) ঘুড়ি এসেছিল যতীনকে সাহায্য করতে।
(v) সে গাছে চড়তে গিয়েছিল। (v) যতীন ঘুড়িটার খুব যত্ন করত।


৮. একই শব্দ পাশাপাশি বসেছে—এরকম যতগুলি পারো শব্দজোড়া গল্প থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তর : টুকরো টুকরো। চিবিয়ে চিবিয়ে। আস্তে আস্তে। দুড় দুড়। জোড়া তাড়া। ভয়ে ভয়ে। সাঁই সাঁই। ছুটতে ছুটতে। জোরে জোরে। মচ মচ। কাঁদতে কাঁদতে। বড়ো অন্যায়, বড়ো অন্যায়। খোলো খোলো। বোঁ বোঁ। বড়ো বড়ো।


৯. নীচের শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দ লিখে তা দিয়ে বাক্য রচনা করো।
  • সাহস : (ভীতু)—ভীতু লোকেরা কখনো সাহস সঞ্জয় করতে পারে না। 
  • দুষ্টু : (শান্ত)—শান্ত স্বভাবের ছেলেদের সবাই ভালোবাসে। 
  • যত্ন : (অযত্ন)—সামগ্রী অযত্নে পড়ে থাকলে মরচে পড়ে। 
  • নামা : (ওঠা) — সিঁড়ি দিয়ে ওঠা বৃদ্ধ মানুষের পক্ষে খুব কষ্টকর ব্যাপার। 
  • আরম্ভ : (শেষ)—যাত্রা শেষ হতে এখনো ১০ মিনিট মতো বাকি। 
  • সম্ভব : (অসম্ভব)—অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে হবে। 
  • কষ্ট : (সুস্থ) – সুস্থ জীবন সুখের হয়।
  • মন্দ : (ভালো)—ভালো মানুষ হলে সবাইকে ভালো বলেই মনে হয়। 
  • দুর্বল : (সবল)—সবল ব্যক্তির জোর সর্বত্র।
১০. বর্ণ বিশ্লেষণ করো :
  1. সেলাই — স্ + এ + ল্ + আ + ই।
  2. চৌকাঠ — চ্ + ঔ + ক্ + আ + ট্ + অ।
  3. সমস্ত — স্ + অ + ম্ + অ + স্ + অ + ত্ + অ।
  4. মাতব্বর — ম্ + আ + ত্ + অ + ব্ + অ + র্ - অ।
  5. মুশকিল — ম্ + উ + শ্ + অ + ক্ + ই + ল্ + অ।
১১. ‘যতীনের জুতো’ গল্পে যে-কোনো একটি অংশ বেছে নিয়ে সেটির ছবি আঁকো।
উত্তর : নিজে করো।
১২. গল্প থেকে উপযুক্ত শব্দ সংগ্রহ করে শূন্যস্থান পূরণ করো :
১২.১ রাগের জোরে কখনোই এ বিদ্রোহ দমন করা যায় না। 
১২.২ আমরা গত ছুটিতে সবুজ দ্বীপে পিকনিক করতে গিয়েছিলাম। 
১২.৩ সাবধান না করলে অন্যায় করা বেড়ে যায়।
১২.৪ গ্রীষ্মের দুপুরে রঙিন চশমা চোখে দিলে আরাম বোধহয়।
১২.৫ শান্ত দিঘার সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে।

১৩. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে সংগতি রেখে ‘খ’ স্তম্ভে বাক্য লেখো :
‘ক’ ‘খ’
১। দূর দূর ১। ফুর ফুর
২। সাঁই সাঁই ২। পাঁই পাঁই
৩। বোঁ বোঁ ৩। ভোঁ ভোঁ
৪। মচ মচ ৪। কচ কচ
৫। টন টন ৫। কন্ কন্
৬। ফিসফিস ৬। হিস্ হিস্

১৪. নীচের শব্দগুলো থেকে অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ বর্ণ আলাদা করো :
ধুতি অল্পপ্রাণ মহাপ্রাণ
১। ধুতি তি ধু
২। খুব খু
৩। ছোটো টো ছো
৪। কাজে কা জে

১৫. গল্পটি পড়ে আমরা যা শিখলাম তার অন্তত তিনটি বিষয় তোমার নিজের ভাষায় লেখো :
উত্তর : (2) শরীরের ওপর অত্যাচার করতে নেই। 
উত্তর : (3) অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হয়। 
উত্তর : (4) কখনো পেনসিল চিবোতে নেই।

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা ক্লাস

✯ হেঁয়ালি নাট্যকার পরিচিতি :
১৮৮৭ সালের ৩০ কবি, শিশু সাহিত্যিক ও নাট্যকার সুকুমার রায় অক্টোবর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। শিশুদের জন্য তিনি অসাধারণ কীর্তি রেখে গেছেন। কবিতা, নাটক, গল্প, জীবনী-সাহিত্যের সকল ক্ষেত্রেই তাঁর অবাধ যাতায়াত। ‘সন্দেশ’ পত্রিকায় তাঁর বহু লেখা প্রকাশিত হয়। তাঁর রচিত ‘রামগরুড়ের ছানা’ও ‘আবোল তাবোল’ শিশুমনে আজও প্রবল উন্মাদনা সৃষ্টি করে। হাসির ছলে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করে সমাজের প্রকৃত চিত্ররূপটি তুলে ধরতে তিনি সিদ্ধহস্ত। তাঁর সুযোগ্য পুত্র সত্যজিৎ রায়। ১৯২৩ সালে তিনি পরলোকগমন করেন।

✯ হেঁয়ালি নাট্য কী ? 
মূল বিষয়কে সরাসরি না বলে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের মাধ্যমে সামান্য ভিন্নপথে বলার পদ্ধতিটি হল হেঁয়ালি। আর এই হেঁয়ালিকে কেন্দ্র করে যখন কোনো নাটক রচিত হয়, তখন তাকে ‘হেঁয়ালি নাট্য’ বলা হয়। এই ধরনের নাটক রচনায় সুকুমার রায়ের অবদান অনস্বীকার্য।

✯ হেঁয়ালি নাট্যের বৈশিষ্ট্য :
১. তিনটি বা চারটি দৃশ্যে অভিনয় হবে। একটি শব্দের প্রথম অংশটি প্রথম দৃশ্যে, দ্বিতীয় অংশটি দ্বিতীয় দৃশ্যে এবং তৃতীয় দৃশ্যে বা শেষ দৃশ্যে সমস্ত শব্দটি অর্থাৎ, গোটা শব্দটির অর্থ বুঝিয়ে দিতে হবে।
২. প্রত্যেক শব্দাংশে ব্যবহার প্রত্যেক দৃশ্যে অন্তত একবার, বেশি হলে দুইবার ব্যবহৃত হবে। বেশিবার হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। ৩. দৃশ্যগুলি ছোটো ছোটো হবে। ৪. মূল শব্দের সঙ্গে অবান্তর কথা বা শব্দর প্রয়োগ বেশি হবে; কারণ দর্শক তাতে খুব সহজে বিষয়টি ধরতে পারবে না। অর্থাৎ, দর্শককে মনোযোগ দিয়ে অভিনয় দেখতে হবে।

➤ হেঁয়ালি নাট্যের বিষয়বস্তু :
একজন বইপোকা লোক, সারাদিন সে কেবল বই পড়ে। এজন্য তাকে বন্ধুমহলে নানা কথা শুনতে হয়। এই ভদ্রলোক একদিন ছোট্ট একটি বই-এর দোকানে বই কিনতে যায়। বই বিক্রেতা তাকে একটি ভালো মূল্যবান বই দেখায়। কিন্তু বইপোকা লোকটির অন্যমনস্কতার সুযোগ নিয়ে তাকে কিছু সাধারণ বই দিয়ে দেয়। এই নিয়ে বৈঠকখানার বন্ধুরা তাকে পরিহাস করে। এটাই নাটকের বাইরের অর্থ। কিন্তু নাট্যকার এর মধ্য দিয়ে সমাজের এক অন্য চিত্র তুলে ধরেছেন। এই সমাজে প্রতিটি মানুষ প্রতিনিয়ত অন্যকে ঠকানোর জন্য প্রস্তুত থাকে। তাই প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে, না হলেই ঠকবে।


❍ হেঁয়ালি নাট্যের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নও উত্তর প্র্যাকটিস :
☞ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করোঃ
(১) ইংরেজিতে একরকম খেলা আছে যাতে একটু-আধটু অভিনয় করতে হয়, তাকে বলে—(ক্যারাম/শ্যারাড/কবাড়ি)।
উত্তর : শ্যারাড।
(২) বাংলাতে শ্যারাডকে বলে—(লোককথা/হেঁয়ালিনাট্য/নাটক)।
উত্তর : হেঁয়ালিনাট্য
(৩) (নরবাবু/শ্যামবাবু/কার্তিকবাবু)—বৈঠকে বসে বন্ধুরা কথা বলছে।
উত্তর : নরবাবুর।
(৪) হেঁয়ালি নাট্যের দৃশ্যগুলি হবে–(বড়ো/মাঝারি/ছোটো)।
উত্তর : ছোটো।
(৫) বোবা শ্যারাডকে বলে—(কথা বলে অভিনয়/হাত-পা নেড়ে অভিনয়)।
উত্তর : হাত-পা নেড়ে অভিনয়।

২. শূন্যস্থান পূরণ করো :
(১) ইংরেজিতে একরকম খেলা আছে তাকে বলে______।
উত্তর : শ্যারাড
(২) শ্যারাডকে______করতে হয়।
উত্তর : অভিনয়
(৩) শ্যারাডকে বাংলাতে বলে____নাট্য।
উত্তর : হেঁয়ালি নাট্য
(৪) এক____বইওয়ালাকে ভীষণ গালাগালি দিচ্ছেন।
উত্তর : ভদ্রলোক
(৫) ____ বৈঠকে বসে বন্ধুরা কথা বলছে।
উত্তর : নরবাবুকে

৩. সংক্ষেপে উত্তর দাও:
১. হেঁয়ালি নাট্য কাকে বলে?
উত্তর : যে নাটকে মূল বিষয়বস্তুকে সোজাভাবে না বলে হেঁয়ালি অর্থাৎ, কিছুটা ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের মাধ্যমে বলা হয়, তাকে হেঁয়ালি নাট্য বলা হয়।
২. হেঁয়ালি নাট্যে সাধারণত কতগুলি দৃশ্য থাকে? 
উত্তর : হেঁয়ালি নাট্যে সাধারণত তিনটি অথবা চারটি দৃশ্য থাকে।
৩. একটি উদাহরণের সাহায্যে এর দৃশ্যবিভাজন বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : যেমন—হেডস্যার। শব্দটিকে ভাঙলে দুটি শব্দ পাওয়া যায়, হেড এবং স্যার। প্রথম দৃশ্যে ‘হেড’ শব্দটি নিয়ে,দ্বিতীয় দৃশ্যটি ‘স্যার’ শব্দ নিয়ে এবং তৃতীয় দৃশ্যটি ‘হেডস্যার’— গোটা শব্দটি নিয়ে।
৪. নাটকে কার বাড়িতে বৈঠক বসত?
উত্তর : নাটকে নরুবাবুর বাড়িতে বৈঠক বসত।

৪. দীর্ঘধর্মী প্রশ্নের উত্তর দাও :
১. হেঁয়ালি অভিনয় করতে কেন দুটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়?
উত্তর : (ক) যে দৃশ্যে যে কথাটির অভিনয় হচ্ছে, তাতে অন্তত একবার সেই কথাটি ব্যবহার করা হবে। বেশিবার ব্যবহার করা ঠিক নয়। (খ) যে কথাটির অভিনয় হচ্ছে তার সঙ্গে অন্য অবান্তর কথার অভিনয় থাকতে হবে। অভিনয় নেহাত সহজ সরল হবে না।
২. Dumb Charade বা বোবা শ্যারাড কী?
উত্তর : Dumb Charade বা বোবা শ্যারাড হল আরেকরকম হেঁয়ালি। যে অভিনয়ে কথা বলা যায় না, শুধুমাত্র হাত-পা নেড়ে অভিনয় করে দর্শককে বুঝিয়ে দিতে হয়; অনেকটা বায়োস্কোপের মতো, তাই হল Dumb Charade বা বোবা শ্যারাড।


➤ নইলে কবি পরিচিতি :
কবি অজিত দত্ত রবীন্দ্রনাথের পরবর্তী কবিদের মধ্যে অন্যতম। কল্লোলযুগের কবি হয়েও তাঁর রচনায় রবীন্দ্র বিরোধিতা নেই। আর এখানেই তিনি অন্য অনেকের থেকে আলাদা। ১৯০৭ সালে তাঁর জন্ম হয়। ১৯৩০ সালে রচিত ‘কুসুমের মাস' কাব্যগ্রন্থ নিয়ে তাঁর কাব্যজগতে আবির্ভাব। তাঁর কবিতার ভাষা ছিল সহজ, সরল, যা শিশুদের কাছে সহজবোধ্য। তাঁর অন্যতম কাব্যগ্রন্থগুলি হল——কুসুমের মাস, পাতাল কন্যা, নষ্টচাদ, ছায়ার আলপনা ইত্যাদি। চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেট রচনায় তিনি খ্যাতি অর্জন করে ছিলেন। তিনি সাময়িক সাহিত্যপত্র ‘প্রগতি’র যুগ্মসম্পাদক ছিলেন। তিনি কখনও রূপকথার জগৎ, কখনও বা বাস্তবজীবন থেকে উপাদান সংগ্রহ করে শিশুদের উপযোগী ছড়া রচনা করেছিলেন। ১৯৭৯ সালে এই প্রতিভাবান সাহিত্যিকের জীবনাবসান ঘটে।

➤ নইলে বিষয়বস্তু :
বর্তমান সমাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। তা না পারলেপিছিয়ে পড়তে হবে। ট্রামে চড়তে হলে কুস্তি জানতে হবে কেননা ঠেলে গুঁতিয়ে ট্রামে উঠতে হবে এবং ঝুলে থাকার অভ্যাসও আয়ত্ত করতে হবে; কারণ অত্যন্ত ভিড়ে এভাবেই যাতয়াত করতে হয়। শুধু তাই নয় দৌড়, লাফ-ঝাপ-এর অভ্যাস না থাকলে বাড়িতে বসে থাকাই ভালো, তা না হলে লড়ি চাপা দিয়ে চলে যাবে। এমনকি ভাত খেতে হলে দাঁতকে শক্ত করতে হবে যেন পাথরও চিবিয়ে খেতে পারে। কারণ চালে পাথর ও চালের পরিমাণ সমান সমান। জীবনের অন্য প্রয়োজনীয় বস্তু হল বস্ত্র। তাতেও ব্যাঘাত। দোকানে লম্বা লাইন, মন ও পা স্থির করে দোকানের বাইরে ধৈর্য্য ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, সেখানে কাকুতি-মিনতির কোনো স্থান নেই। সমাজ যেভাবে আমাদের চালাচ্ছে সেভাবেই চলতে হবে; তা না পারলেই সম্মুখে বিপদের হাতছানি।

Class 4 Bangla Kobita - Noyle Uttor

   🖉 হাতেকলমে :
১. কবি অজিত দত্ত কোন বিখ্যাত পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর : কবি অজিত দত্ত বিখ্যাত ‘প্রগতি’ পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
২. তাঁর লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
উত্তরঃ তাঁর লেখা দুটি কবিতার বই হল— ‘কুসুমের মাস’, ‘ছায়ার আলপনা’।
৩. নীচের এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
উত্তর : বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি—ভ্যাবাচাকা, মজবুত, আধাআধি, দোকান।
৪. কথা বলার সময় মূল শব্দ কখনো তার চেহারা বদলে ফেলে। যেমন কবিতায় রয়েছে— ‘নইলে’, ‘অভ্যেস’, ‘আধাআধি’ ইত্যাদি শব্দ। এদের পাশাপাশি শব্দগুলির প্রকৃত রূপটি লেখো। আরও কিছু শব্দ তুমি খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তর : নইলে—নাহলে। অভ্যেস—অভ্যাস। আধাআধি—অর্ধেক অর্ধেক। রইলে—রয়ে গেল। রত্ন—রতন।গল্প—গল্প। স্টেশন—ইস্টিশন।

৫. কবিতা থেকে বিশেষণ শব্দগুলিকে খুঁজে নিয়ে বাক্যরচনা করো :
  • সুস্থির—আমার ছোট্ট ভাইটি কখনোই সুস্থির হয়ে বসে না।
  • ভ্যাবাচাকা—পরীক্ষার ফল দেখে সোমা ভ্যাবাচাকা হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
  • মজবুত—শচীনের হাত দুটো খুব মজবুত, না হলে এমন ব্যাট করতে পারত না।
৬. শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য দেখাও :
  • চাপা—পিষ্ট হয়ে যাওয়া।
  • চাঁপা—ফুলবিশেষ।
  • পড়ে—পতিত হয়ে
  • চড়ে—হাতের তালু দিয়ে আঘাত/থাপ্পড়/আরোহন।
  • চরে—গুপ্তদূত বিচরণকারী।
  • পড়ে — পতিত হয়ে। 
  • পরে—পরবর্তীকালে
  • বাড়ি—ঘর, বাসস্থান, গৃহ।
  • বারি—জল।
  • তাড়া—ধাবিত/ধাওয়া করা/গোছা বা আঁটি বা বাণ্ডিল।
  • তারা—সে শব্দের বহুবচন/মা কালী/গ্রহ তারা।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৭.১. ভাত খাওয়ার প্রসঙ্গে কবি পাথর চিবানোর অভ্যেস আছে কিনা জানতে চেয়েছেন কেন?
উত্তর : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং তার পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষকে সরকার থেকে যে চাল দেওয়া হত তাতে চালের তুলনায় কাঁকর থাকত বেশি। তাই ভাত খাওয়ার সময় ভাত অপেক্ষা কাঁকর মুখে পড়ত বেশি। তাই কবি সমাজকে ব্যঙ্গ করে পাথর চিবোনোর অভ্যাস করতে বলেছেন।
৭.২. ‘অপেক্ষা’, ‘তাড়াহুড়ো’, ‘দ্রুতগতি’ ও ‘শারীরিক দক্ষতা'— এই শব্দগুলি তোমার পঠিত কবিতাটির কোন কোন স্তবকের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কিত তা শিক্ষকের কাছ থেকে জেনে নাও।
উত্তর : অপেক্ষা—চতুর্থ অর্থাৎ শেষ স্তবকে অপেক্ষার কথা বলা হয়েছে। সরকারি দোকান থেকে ধুতি পেতে হলে লম্বা লাইনে ১২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হবে। তাড়াহুড়ো, দ্রুতগতি—শব্দ দুটি দ্বিতীয় স্তবকের সঙ্গে সম্পর্কিত। দৌড়, লাফ, ঝাঁপ, তাড়াতাড়ি করে চলতে না জানলে লরির তলায় চাপা পড়তে হবে। কেননা শহরে সবাই খুব ব্যস্ত। সময় কারোর জন্য থেমে থাকবে না। শারীরিক দক্ষতা—প্রথম স্তবকে শারীরিক দক্ষতার কথা বলা হয়েছে। কেননা ভিড় ট্রামে চড়তে হলে কুস্তি এবং ভুলে থাকতে জানতে হবে।
৭.৩ রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে গেলে নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করতে হবে?
উত্তর : রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে হলে দৌড়তে জানতে হবে। সঙ্গে লাফ-ঝাঁপ এমনকি উড়তেও জানতে হবে। কেননা কলকাতা শহরের রাস্তাঘাট পার হতে গেলে এই অভ্যাসগুলি আয়ত্ত করতে হবে।
৭.৪. বাড়ির বাইরের পৃথিবীতে মানিয়ে চলবার জন্য তুমি নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করবে?
উত্তর : বাড়ির বাইরের পৃথিবীটা যেমন, তার সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে। যেমন—ট্রামে চড়তে হলে কুস্তি অর্থাৎ ঠেলাগুঁতো দিতে হবে, ঝুলে থাকতে হবে। রাস্তা পার হতে গেলে দৌড়, লাফ-ঝাঁপ দিতে হবে। প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য দোকানের লম্বা লাইনে ঠান্ডা মাথায় ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে।
৭.৫ এই কবিতাটি পড়ে যে যে ছবিগুলি তোমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে সেই ছবিগুলি খাতায় এঁকে ফেলো।
উত্তর : নিজে করো।
৮. প্রতিশব্দ লেখো : মজবুত—শক্ত। ভাত—অন্ন। চাল— তণ্ডুল। পা—চরণ।
৯. বর্ণবিশ্লেষণ করো :
  • রাস্তা—র্ + আ + স্+ত্ + আ
  • কুস্তি—ক্ + উ + প্ + ত্ + ই
  • কাকুতি—ক্ + আ + ক্ + উ + ত্ + ই
  • মজবুত—ম্.+ অ + জ্ + অ + ব্ + উ + ত্ + অ
১০. অর্থ লেখোঃ 
  • প্যাঁচ—কৌশল। 
  • কুস্তি— মল্লযুদ্ধ। 
  • প্র্যাকটিস—অনুশীলন। 
  • ভ্যাবাচাকা — হতবুদ্ধি। 
  • সুস্থির—স্থির/চুপচাপ/শান্ত।
১১. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
  • কিছু—অনেক। 
  • সুস্থির— অস্থির। 
  • অভ্যেস — অনভ্যেস। 
  • আধাআধি—পুরোপুরি। 
  • মজবুত—পলকা।
১২: ‘চাল’ ও ‘বেশ’ শব্দদুটিকে আলাদা আলাদা অর্থে ব্যবহার করে বাক্যরচনা করো :
(i) চাল (চালচলন)—শুভর চাল চলন দেখলে বোঝা যায়, ও খুব দুষ্টু। 
চাল (দান দেওয়া) — শকুনির চালেই পাণ্ডবরা বনে গেল।
(ii) বেশ (সাবাশ)—রনিতার গান শুনে ওস্তাদজি বললেন আহা! বেশ বেশ।
বেশ (ভালো)—একা একা বেশ আছি।

১৩. কবিতায় তুমি কয়টি প্রশ্নবোধক বাক্য খুঁজে পেলে লেখো।
উত্তর : (ক) প্যাচ কিছু জানা আছে কুস্তির? (খ) ভুলে কি থাকতে পারো সুস্থির? (গ) প্র্যাকটিস করেছ কি দৌড়? (ঘ) লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে আর ভোঁ উড়ে? ঙ) দাঁত আছে মজবুত সব বেশ? (চ) পাথর চিবিয়ে আছে অভ্যেস? (ছ) দাঁড়াতে পারো তো বারো ঘণ্টা?


১৪. শূন্যস্থান পূরণ করো :
১৪.১. যেখানে কুস্তিগিরেরা অভ্যাস/শরীরচর্চা করেন, সেই জায়গাটিকে বলা হয় মল্লভূমি
১৪.২. বাংলার একজন বিখ্যাত কুস্তিগির হলেন গোবর গুহ (যতীন্দ্র চরণ গুহ)
১৪.৩. ট্রাম ছাড়া একটি পরিবেশ-বান্ধব যান হল ট্রেন
১৪.৪. ‘প্র্যাকটিস’ শব্দের অর্থ হল অনুশীলন
১৪.৫. মন বলতে বোঝানো হয়ে থাকে হৃদয় কে।

১৫. বাক্য সম্পূর্ণ করো :
১৫.১. ট্রামে চড়তে অসুবিধা হবে, যদি কুস্তি না জানো
১৫.২. বাড়ি থেকে বেরোনোই মুশকিল, যদি সাহসী না হও/ দৌড়তে না জানো
১৫.৩. ভাত খাওয়া দুষ্কর হবে, যদি দাঁত মজবুত না হয়।
১৫.৪. দোকানে গিয়ে দাঁড়িয়েই থাকতে হবে, যদি কাকুতিও করো।
১৫.৫. সকলের সঙ্গে মানিয়ে চলা যাবে না, যদি এই সব অভ্যাস আয়ত্ত না করি।

Type Here ....

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন