B.Ed Semester - II EPC-2(1.2EPC-2) Drama and Arts Education
b.ed 2nd-semester suggestion Drama and Arts Education
Q1. সুকুমার শিল্পকলা ও লোকশিল্পকলার দুটি পার্থক্য লিখুন।
➺ সুকুমার শিল্পকলা ও লোকশিল্পকলার দুটি পার্থক্য হল— (i) সুকুমার শিল্পকলা বা চারুকলা বা ললিতকলা বলতে শিল্পকলার বেশ কিছু ধারার একটি দলকে বোঝায়, যার মধ্যে অঙ্কন, ভাস্কর্য, স্থাপত্য, সংগীত, কাব্য, মঞ্চ নাটক, নৃত্য, আবৃতি ও অভিনয় অন্তর্ভুক্ত।
অন্যদিকে, (i) লোক শিল্প লোক সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে তৈরি সমস্ত ধরনের চাক্ষুষ শিল্পকে বোঝায়।
(ii) সুকুমার শিল্পকলার মাধ্যমে সহজে একজন ব্যক্তির সৃজনশীলতার প্রতিফলন ঘটানো যায়।
অন্যদিকে, (ii) লোকশিল্প একটি সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক জীবনের শিকড়ে এবং জীবন ব্যবস্থায়
প্রতিফলিত হয়।
Q2. স্বগতোক্তি এবং সংলাপের মধ্যে পার্থক্য কী?
➺ স্বগতোক্তি হল কোনো থিয়েটার বা সম্প্রচারের প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে বা কোনো নাটক / ফিল্মে একজন অভিনেতার দীর্ঘ বক্তৃতা। অন্যদিকে সংলাপ হল কোনো নাটক বা চলচ্চিত্রের বৈশিষ্ট্য হিসেবে দুজন বা তার বেশি ব্যক্তিদের মধ্যে কথোপকথন।
Q3.‘শিক্ষায় থিয়েটার’ বলতে কী বোঝায়?
➺ থিয়েটার শিখনের ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী মাধ্যম, যার সাহায্যে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে পারে। অর্থাৎ যখন কোনো বিষয়কে বা পাঠ্যাংশকে থিয়েটারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করে তাদেরকে সচেতন করে তোলা হয় তখন তাকে শিক্ষায় থিয়েটার বলা হয়।
Q4. লোকনাট্যের চারটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
➺ লোকনাট্যের চারটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ- (i) এই নাটক সাধারণত একটি সুনির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাসকারী কোনো নির্দিষ্ট মানবগোষ্ঠী অভিনয়ভিত্তিক নাটক। (ii) এই ধরনের জনবিনোদনমূলক নাটকে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি স্থান পায়। (iii) লোকনাট্যতে বিশেষ সম্প্রদায় চিন্তাভাবনার সংস্কার বিশ্বাস ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের রীতিনীতি প্রকাশ পায়। (iv) কৃষি উৎপাদন ও উর্বরতা শক্তির বৃদ্ধি কল্পে গ্রামীণ লোক সমাজের কৃষি দেবতার সন্তুষ্টি বিধানের জন্য মুখে মুখে রচিত এই নাটক যা নাট্য লক্ষণাক্রান্ত হয়ে নৃত্য
ও সংগীতের মাধ্যমে অভিনীত হয়।
➺ লোকনাট্যের চারটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ- (i) এই নাটক সাধারণত একটি সুনির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাসকারী কোনো নির্দিষ্ট মানবগোষ্ঠী অভিনয়ভিত্তিক নাটক। (ii) এই ধরনের জনবিনোদনমূলক নাটকে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি স্থান পায়। (iii) লোকনাট্যতে বিশেষ সম্প্রদায় চিন্তাভাবনার সংস্কার বিশ্বাস ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের রীতিনীতি প্রকাশ পায়। (iv) কৃষি উৎপাদন ও উর্বরতা শক্তির বৃদ্ধি কল্পে গ্রামীণ লোক সমাজের কৃষি দেবতার সন্তুষ্টি বিধানের জন্য মুখে মুখে রচিত এই নাটক যা নাট্য লক্ষণাক্রান্ত হয়ে নৃত্য
ও সংগীতের মাধ্যমে অভিনীত হয়।
Q5. 'থার্ড থিয়েটার' কী?
➺ সামাজিক ন্যায় বিচার, শোষণ, দুর্নীতি, অত্যাচার, অর্থনৈতিক বৈষম্য ইত্যাদিকে হাতিয়ার করে দৃশ্যময় মঞ্চে জনসাধারণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগের মাধ্যমে যে নাটক অভিনীত হয় তাকে ‘থার্ড থিয়েটার’ বলা হয়। সাধারণত সবাইকে হাসিয়ে, কখনও কাঁদিয়ে সামাজিক বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে থার্ড থিয়েটার নাটকের বার্তা জনসাধারণের মধ্যে সঞ্চারিত হয়। থার্ড থিয়েটার-এর অন্যতম বিশিষ্ট নাট্যকার হলেন বাদল সরকার।
➺ সামাজিক ন্যায় বিচার, শোষণ, দুর্নীতি, অত্যাচার, অর্থনৈতিক বৈষম্য ইত্যাদিকে হাতিয়ার করে দৃশ্যময় মঞ্চে জনসাধারণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগের মাধ্যমে যে নাটক অভিনীত হয় তাকে ‘থার্ড থিয়েটার’ বলা হয়। সাধারণত সবাইকে হাসিয়ে, কখনও কাঁদিয়ে সামাজিক বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে থার্ড থিয়েটার নাটকের বার্তা জনসাধারণের মধ্যে সঞ্চারিত হয়। থার্ড থিয়েটার-এর অন্যতম বিশিষ্ট নাট্যকার হলেন বাদল সরকার।
Q6. শিক্ষায় নাটক ব্যবহারের যে-কোনো দুটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করুন।
অথবা, শিক্ষায় নাটক ব্যবহারের কয়েকটি উদ্দেশ্য লিখুন।
➺ শিক্ষায় নাটক ব্যবহারের দুটি উদ্দেশ্য হল— (i) শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও
বিষয়বস্তুর মধ্যে সংযুক্তি করণের ক্ষেত্রে নাটক একটি শক্তিশালী মাধ্যম। আমরা
জানি যে শিখন একটি সক্রিয় নির্মাণ ভিত্তিক পদ্ধতি, যখন আমরা কোনো কিছুকে জানতে
চাই। শ্রেণি শিখনে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যখন সংযোগ স্থাপিত হয়, আমরা
তখন দেখতে পাই শ্রেণি শিখনে নাটক বিভিন্ন অভিজ্ঞতালব্ধ ঘটনাবলিকে উপস্থাপিত করে।
কোনো কিছুর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নাটক প্রকৃতিগত ভাবেই ছাত্রছাত্রীদের
সামাজিক ঘটনাবলি ব্যাখ্যাকরণ, চিন্তা ভাবনার আদানপ্রদান ও বিভিন্ন দক্ষতা বৃদ্ধির
ক্ষেত্রে অসাধারণ
ভূমিকা পালন করে।
(ii) নাটক শিক্ষার্থীদের অর্জিত তথ্য, সত্য ঘটনার ওপর প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সামাজিক অভিজ্ঞতাগুলিকে ব্যক্ত করে জ্ঞান-উপলব্ধির বিকাশ সাধন করে। নাটকীয় উপস্থাপনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনে সমাজের বিভিন্ন বিষয় সমূহকে বুঝে নিতে ও আত্ম-উপলব্ধিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
ভূমিকা পালন করে।
(ii) নাটক শিক্ষার্থীদের অর্জিত তথ্য, সত্য ঘটনার ওপর প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সামাজিক অভিজ্ঞতাগুলিকে ব্যক্ত করে জ্ঞান-উপলব্ধির বিকাশ সাধন করে। নাটকীয় উপস্থাপনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনে সমাজের বিভিন্ন বিষয় সমূহকে বুঝে নিতে ও আত্ম-উপলব্ধিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
Q7. পথ নাটক কী?
➺ যে নাটকের সাহায্যে তাৎক্ষণিক সংযোগ নির্মাণে সমাজের সমস্যাগুলি সর্বসাধারণের সামনে স্বল্প খরচে খোলা জায়গায় কেবলমাত্র অভিনয় গুণে উপস্থাপন করা হয় সেসকল নাটককে পথ নাটক বলে। সফদার হাসমী সাহেব বলেছিলেন ভারতে পথ নাটক বলতে বোঝায় সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী নাটক। পৃথিবীর অন্যত্র এই নাটককে ব্যবহার করা হয়েছে সামাজিক ন্যায় বিচার, সামাজিক ও অর্থনৈতিক আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে।
Q8. নাটকের দুটি প্রভাব উল্লেখ করুন।
➺ নাটকের দুটি প্রভাব হল— (i) নিজেদের জীবনের প্রতিরূপকে প্রত্যক্ষ করে। (ii) বৃহত্তর সমাজ পরিবেশের প্রেক্ষাপটে ঘনিষ্ঠ হতে সাহায্য করে।
Q9. বাংলা ভাষায় দুজন পৌরাণিক নাট্যকারের নাম লিখুন।
➺ বাংলা ভাষায় দুজন পৌরাণিক নাট্যকারের নাম হল – দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও মম্মথ রায়।
Q10. ‘নাট্যশাস্ত্র'-এর লেখক কে?
➺‘নাট্যশাস্ত্র’-এর লেখক ভরতমুনি (Bharata Muni) ।
Q11. পৌরাণিক নাটক কী?
➺ পৌরাণিক নাটক হল পুরাণ ও নাটকের সহাবস্থান যেখানে পুরাণের লক্ষণ নাটকের লক্ষণগুলির মধ্যে সমন্বয় ঘটে। এ নাটকে পুরাণ পরিবেশকে তুলে ধরা হয়। এক অলৌকিক ক্রিয়াকলাপে পূর্ণ এক অতিপ্রকৃতের জগৎযেখানে বর্গের দেবদেবীরা মর্ত্যের মানুষের ভাগ্যনিয়ন্তা, যেখানে দেবতারা সশরীরে আত্মপ্রকাশ করে বা অবতারে প্রেরণ করে সাধুসজ্জনদের পরিত্রাণ ও দুষ্কৃতিকারীদের বিনাশ করেন। যুক্তিবাদীদের কাছে অবিশ্বাস্য, ভক্তিবাদীদের কাছে অতিমানবীয়, রূপকথা সমধর্মী এই জগতের একদিকে যেমন থাকবে ঐশ্বর্যের আড়ম্বর অলৌকিক ক্রিয়াকাণ্ড এবং অতিমানবীয় চরিত্রের প্রকাশ।
বাংলা ভাষায় দুজন পৌরাণিক নাট্যকারের নাম হল গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও বিহারীলাল চট্টোপাধ্যায়৷
➺‘নাট্যশাস্ত্র’-এর লেখক ভরতমুনি (Bharata Muni) ।
Q11. পৌরাণিক নাটক কী?
➺ পৌরাণিক নাটক হল পুরাণ ও নাটকের সহাবস্থান যেখানে পুরাণের লক্ষণ নাটকের লক্ষণগুলির মধ্যে সমন্বয় ঘটে। এ নাটকে পুরাণ পরিবেশকে তুলে ধরা হয়। এক অলৌকিক ক্রিয়াকলাপে পূর্ণ এক অতিপ্রকৃতের জগৎযেখানে বর্গের দেবদেবীরা মর্ত্যের মানুষের ভাগ্যনিয়ন্তা, যেখানে দেবতারা সশরীরে আত্মপ্রকাশ করে বা অবতারে প্রেরণ করে সাধুসজ্জনদের পরিত্রাণ ও দুষ্কৃতিকারীদের বিনাশ করেন। যুক্তিবাদীদের কাছে অবিশ্বাস্য, ভক্তিবাদীদের কাছে অতিমানবীয়, রূপকথা সমধর্মী এই জগতের একদিকে যেমন থাকবে ঐশ্বর্যের আড়ম্বর অলৌকিক ক্রিয়াকাণ্ড এবং অতিমানবীয় চরিত্রের প্রকাশ।
বাংলা ভাষায় দুজন পৌরাণিক নাট্যকারের নাম হল গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও বিহারীলাল চট্টোপাধ্যায়৷
Q12. শিক্ষার্থীদের শিখনে নাটকের দুটি প্রভাব উল্লেখ করুন।
➺ শিক্ষার্থীদের শিখনে নাটকের দুটি প্রভাব হল— (i) নিজেদের জীবনের প্রতিরূপকে প্রত্যক্ষ করে।
(ii) অলৌকিক আনন্দ উপভোগ করে।
Q13. রামনিধি গুপ্ত বাংলা সংগীতের ইতিহাসে একটি বিখ্যাত নাম কেন?
➺ রামনিধি গুপ্ত বংশ সংগীতের ইতিহাসে বিখ্যাত নাম হওয়ার কারণ হল তিনি বাংলা
‘টপ্পা’ সংগীতের একজন মহান সংস্কারক। তার পূর্ব পর্যন্ত ‘টপ্পা’ এক ধরনের অরুচিকর
নাম হিসেবে বিবেচিত হত।Q14. ভারতীয় 'সংগীতে ঘরানা’ বলতে কী বোঝায়?
➺ ভারতীয় সংগীতে ‘ঘরানা’ বলতে সংগীতের এক একটি বৈশিষ্ট্যময় রীতি বা শৈলীকে বোঝায়, যা এক বা একাধিক শিল্পীর শিল্পরীতির পরিচায়ক ও প্রচলিত অন্যান্য রীতি বা শৈলী থেকে পৃথক বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।
Q15. লোকগান' কী?
➺ গ্রামীণ সংস্কৃতির মাঝে সহজ, সরল, অনাড়ম্বর মানুষগুলির মধ্যে থেকে স্বতঃস্ফূর্ত বিরহ, আনন্দ, সুখ-দুঃখের যে সংগীত উঠে আসে তাকে লোকসংগীত বা লোকগান বলা হয়।
➺ গ্রামীণ সংস্কৃতির মাঝে সহজ, সরল, অনাড়ম্বর মানুষগুলির মধ্যে থেকে স্বতঃস্ফূর্ত বিরহ, আনন্দ, সুখ-দুঃখের যে সংগীত উঠে আসে তাকে লোকসংগীত বা লোকগান বলা হয়।
Q16. তাল ও লয় কী?
অথবা, 'তাল' বলতে কী বোঝেন?
অথবা, ‘লয়’ কী? ‘লয়’-এর প্রকারগুলি উল্লেখ করুন।
- ➺ তাল : সংগীতে ছন্দের বিভিন্নতা সাপেক্ষে ‘তাল’কে বলা হয় সংগীতের অঙ্গ; কতকগুলি মাত্রা ও বিভাগের সমষ্টিকেই সংগীতে ‘তাল' বলে। তাল মূলত দুই প্রকার – সমপদী (যাদের বিভাগ সমান— যথা : দাদরা তাল, কাহারবা তাল, একতাল, তিনতাল বা ত্রিতাল ইত্যাদি)। এবং বিষমপদী (যাদের বিভাগ সমান নয়--- যথা : রূপক তাল, তেওড়া তাল, ঝাঁপতাল ইত্যাদি)।
- লয় : গীতের ছন্দকে সমান গতি এবং সমতা রক্ষা করার নাম ‘লয়’। লয় প্রধানত তিন প্রকার – বিলম্বিত লয়, মধ্য লয়, দ্রুত লয়।
➺ কবিতা হল একটি বিশিষ্ট শিল্পমাধ্যম বা সাহিত্যমাধ্যম যা রূপ, রস ও ভাষার বিশেষ ব্যবহারের মাধ্যমে কবির হৃদয়াবেগ পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়। ড. জনসন-এর মতে, কবিতা হল, ‘Metrical Composition the art of uniting pleasure with truth by calling imagination to the help of reason'। অ্যারিস্টটলও বলেছেন, 'modes of imitation of human actions'.
Q18. যে-কোনো দুজন ভারতীয় গজল গায়ক/ গায়িকার নাম উল্লেখ করুন।
➺ দুজন ভারতীয় গজল গায়ক/গায়িকার নাম হল – জগজিৎ সিং, বেগম আখতার (এছাড়াও, পঙ্কজ উদাস, চিত্রা সিং)।
Q19. ‘কারাওকে’ কী?
➺ জাপানি শব্দ ‘কারা’ (Kara) অর্থাৎ খালি (Empty), ওকেসুতরা (Okesutora) অর্থাৎ অক্রেস্টা (Orchestra) শব্দ থেকে ‘কারাওকে’ শব্দটির উৎপত্তি। জাপানি ব্যবসায়ী দেইশুকে ইনোই (Daisuke Inoue) কারাওকে মেশিন আবিষ্কার করেন। কারাওকের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গানের মিউজিক রেকর্ড করা থাকে এবং ওই মিউজিকের সঙ্গে কোনো গায়ক ওই গানটির সঙ্গে গলা মেলায়। সাধারণত জনপ্রিয় গানের ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে মিউজিক অক্রেস্টা ছাড়াই দর্শকদের গান শুনিয়ে বিনোদন করা হয়। Empty Track তৈরি করে সাউন্ড ইঞ্জিনিয়াররা Vocal Track-টিকে উহ্য করে দেওয়ায় গায়ক গলায় সুর তুলে ওই গান সহজেই পরিবেশন করতে সক্ষম হয়। এই পদ্ধতি চিন, কম্বোডিয়া, জাপান
প্রভৃতি দেশে খুবই জনপ্রিয়। বর্তমানে ভারতবর্ষেও জনপ্রিয় হিন্দি, ইংরেজি ও আঞ্চলিক ভাষার গানগুলিকে এই কারাওকে সিস্টেমে দর্শকদের সামনে উপস্থাপিত করা হয়। এই পদ্ধতি সুবিধা হল—কোনো গায়ক মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট ছাড়াই সে নিজেকে সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে কোনো ঘরোয়া পরিবেশে কিংবা একক খেয়ালে গানের অনুশীলন করতে পারে।
Q20. ভারতীয় সংগীতের উৎসগুলি কী?
➺ বস্তুত, ‘সামবেদ’কে বলা হয়েছে ভারতীয় সংগীতের উৎস। প্রাক্-বৈদিক যুগে অর্থাৎ সিন্ধু-সভ্যতার যুগে সংগীত কী-প্রকারের ছিল, আমরা তার পরিচয় না-পেলেও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি বিশ্লেষণ করে জানতে পারি সে যুগে সংগীতের ব্যবহার হত, সংগীতের অস্তিত্ব ছিল। আনুমানিক ২০০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে বৈদিক-যুগের সূত্রপাতের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা জানতে পারি ভারতবর্ষে অনার্যদের যথা দ্রাবিড় ইত্যাদি জাতির ভাষা, সাহিত্য ও সংগীত বিদ্যমান ছিল। সামবেদে ‘সাম’ শব্দের অর্থ হল ‘সুমিষ্ট স্বর’ অর্থাৎ ‘সুর’। ঋক্-মন্ত্রগুলিকে সুরের মধ্যে সাজিয়ে সামবেদের সৃষ্টি; এর থেকেই আমরা পাই সংগীতের প্রাচীনতম রূপ। আর্যরা ভারতের বাইরে থেকে এসেছিলেন কিনা— এই মতানৈক্যে না-গিয়েও আমরা ইতিহাসের পাতায় দেখতে পাই— অনার্যদের সংগীত পরবর্তীকালে বিভিন্ন অঞ্চলের আদিবাসীদের নৃত্য-গীতে যে সংগীতের প্রতিফলন ঘটেছে তা আর্যদের সংগীতের সংমিশ্রণে অথবা আর্য-আগমনের পূর্বে অনার্যদের সংগীত রীতিরই প্রতিফলন বিশেষ।
Q21. সংগীত-এর সংজ্ঞ দিন।
➺ ‘সংগীত’ হল— গীত, বাদ্য ও নৃত্য— এই তিনটি কলার সমাবেশ। বস্তুত, এই তিন কলারূপ পরস্পর স্বতন্ত্র, কিন্তু গীত-প্রধান হওয়ার জন্য ‘সংগীতে’ এই ত্রিবিধ-কলাকৃতির সমাবেশ ঘটেছে। ধ্বনি থেকে এসেছে সুর এবং সুরকে সঙ্গী করেই কখনও ভাষার সাহায্যে, কখনওবা ভাষার সাহায্য না নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে ‘সংগীত’। ‘সংগীত’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল— সম্যক্রুপে গীত ইতি সংগীত। অর্থাৎ যে ধ্বনি তথা সুর, মানুষের কণ্ঠে ও বাদনযোগ্য সংগীতোপযোগী - বাদ্যযন্ত্রে গীত (গায়ন + বাদন) হয়,— তাকে ‘সংগীত’ বলা হয়।
Q22. প্ৰাৰ্থনা সংগীত কী?
➺ সাধারণত ভগবানের কাছে প্রার্থনা করা বা উপাসনার ক্ষেত্রে যেসকল সংগীত পরিবেশিত হয় তাকেই প্রার্থনা সংগীত বলা হয়। মূলত আধ্যাত্মিক মার্গের শব্দচয়ন এবং শান্ত সুরের মূর্ছনায় এই সংগীত গীত হয়। প্রাচীনকালে বৈদিকযুগের সময় থেকেই ভারতবর্ষে প্রার্থনা সংগীত ‘কোরাস’ বা সমবেত ভাবে গীত হত। বিভিন্ন ধর্মের দর্শন ও মূল্যবোধ পাথেয় করে এই সকল সংগীতের কথা রচিত হত। কোনও সভার প্রাক্কালে, বিদ্যালয়ের পড়াশোনার সূচনায়, কোনও অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে প্রার্থনা সংগীত করে মানুষের
একাগ্রতা, মনসংযোগ পবিত্রতা ইত্যাদি বৃদ্ধি করা হয়।
Q23. সুরকার কাদের বলা হয়? যে-কোনো একজন সুরকারের নাম লিখুন।
➺ যখন কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তি বিশেষ বাদ্যযন্ত্র ও কণ্ঠসংগীতের সমন্বয়ে বিশেষ বিশেষ ছন্দের ভিত্তিতে মাত্রার সমষ্টিগত তাল প্রয়োগে এক সুর মাধুর্যগত ছন্দের সৃষ্টি করতে পারে তাঁকে বা তাঁদেরকে সুরকার বলা হয়। এঁরা সাধারণত মিউজিক বিষয়গত যন্ত্রাংশে প্রয়োগে পারদর্শী ও পেশাদারি হন। একজন সুরকারের নাম হল সলিল চৌধুরী।
Q24. ছন্দ কাকে বলে?
➺ কবিতার ধ্বনি এবং সাহিত্য রূপায়ণে ছন্দ অপিরহার্য। এক কথায় ধ্বনির বিভিন্ন তরঙ্গায়িত বৈচিত্র্যপূর্ণ বিভাগকেই ছন্দ বলা হয়। তালের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাত্রা বিশিষ্ট বিভাগের দ্বারা উক্ত ছন্দ রূপায়িত হয়ে থাকে।
➺ ছৌনাচের পরিচয় নির্ণায়ক দুটি বৈশিষ্ট্য হল— (i) ছৌ নাচ বিষয়গতভাবে মহাকাব্যিক। এই নাচে রামায়ন ও মহাভারতের বিভিন্ন উপাখ্যান অভিনয় করে দেখানো হয়। কখনো কখনো অন্যান্য পৌরাণিক কাহিনিও অভিনীত হয়। (ii) ছৌনাচের মূল রস হল বীর ও রুদ্র। শেষে দুষ্টের দমন ও ধর্মের জয় দেখানো হয়।
Q26. 'নৃত্য' কী?
➺ নৃত্য বা নৃত্যকলার ইংরেজি Dance শব্দটি এসেছে প্রাচীন ফ্রেঞ শব্দ Dancier শব্দটি থেকে। নৃত্য শব্দটি সাধারণত শারীরিক নড়াচড়ার প্রকাশভঙ্গিকে বোঝায়, ধর্মীয় কিংবা মনোরঞ্জন ক্ষেত্রে দেখা যায়।
Q26. পূর্বভারতের যে-কোনো দুটি ‘লোকনৃত্যের’ নাম উল্লেখ করুন।
➺ পূর্বভারতের যে-কোনো দুটি লোকনৃত্যের নাম হল— বিহু, ঝুমুর।
➺ পূর্বভারতের যে-কোনো দুটি লোকনৃত্যের নাম হল— বিহু, ঝুমুর।
Q27. ‘গরবা’ নৃত্য কোন রাজ্যের নামের সঙ্গে যুক্ত?
➺ গরবা নৃত্য গুজরাট রাজ্যের নামের সঙ্গে যুক্ত।
➺ গরবা নৃত্য গুজরাট রাজ্যের নামের সঙ্গে যুক্ত।
Q28. ভরতনাট্যমের স্তরগুলি উল্লেখ করুন।
➺ ভরতনাট্যম অনুষ্ঠানের প্রথম নৃত্য।
আল্লারিপুর পর অনুষ্ঠিত হয় যতিস্বরম।
যতিস্বরম-এর পর অনুষ্ঠিত হয় শব্দম।
শব্দমের পরে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণম।
পরবর্তী অনুষ্ঠান পদম।
সর্বশেষ অনুষ্ঠান তিল্লানা।
Q29.‘লোকনৃত্য বলতে কী বোঝায়?
➺ সংহত সমাজে সমষ্টিগত প্রচেষ্টায় জীবনছন্দের রূপসৃষ্টিশক্তির স্বতঃস্ফূর্ত অবারিত প্রকাশ হচ্ছে লোকনৃত্য। পরে অঞ্চল ও রুচিভেদে নানা বৈচিত্র্যের মধ্যে সৃষ্টি হয় লোকনৃত্যের বিভিন্ন ধারা। লোকনৃত্যে আদিমনৃত্যের ব্যাবহারিক তাৎপর্য পুরোপুরি বজায় না থাকলেও আবেগ প্রকাশের ধারা অবিকল অক্ষুণ্ন থেকে গেছে। আদিম নৃত্যের প্রত্যক্ষ ব্যাবহারিক রূপটি ক্রমশ লোকনৃত্যে এতে প্রতীকধর্মী হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানমূলক লোকনৃত্যের মধ্যে আদিম আচার অনুষ্ঠানের প্রভাব অনেক ক্ষেত্রেই বিদ্যমান, কিন্তু সংহত সমাজের দৃঢ়ভিত্তির জন্য তার মধ্যে লৌকিক উপকরণে ক্রমশ আবির্ভাব ঘটেছে।
➺ ভরতনাট্যম অনুষ্ঠানের প্রথম নৃত্য।
আল্লারিপুর পর অনুষ্ঠিত হয় যতিস্বরম।
যতিস্বরম-এর পর অনুষ্ঠিত হয় শব্দম।
শব্দমের পরে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণম।
পরবর্তী অনুষ্ঠান পদম।
সর্বশেষ অনুষ্ঠান তিল্লানা।
Q29.‘লোকনৃত্য বলতে কী বোঝায়?
➺ সংহত সমাজে সমষ্টিগত প্রচেষ্টায় জীবনছন্দের রূপসৃষ্টিশক্তির স্বতঃস্ফূর্ত অবারিত প্রকাশ হচ্ছে লোকনৃত্য। পরে অঞ্চল ও রুচিভেদে নানা বৈচিত্র্যের মধ্যে সৃষ্টি হয় লোকনৃত্যের বিভিন্ন ধারা। লোকনৃত্যে আদিমনৃত্যের ব্যাবহারিক তাৎপর্য পুরোপুরি বজায় না থাকলেও আবেগ প্রকাশের ধারা অবিকল অক্ষুণ্ন থেকে গেছে। আদিম নৃত্যের প্রত্যক্ষ ব্যাবহারিক রূপটি ক্রমশ লোকনৃত্যে এতে প্রতীকধর্মী হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানমূলক লোকনৃত্যের মধ্যে আদিম আচার অনুষ্ঠানের প্রভাব অনেক ক্ষেত্রেই বিদ্যমান, কিন্তু সংহত সমাজের দৃঢ়ভিত্তির জন্য তার মধ্যে লৌকিক উপকরণে ক্রমশ আবির্ভাব ঘটেছে।
Q30. কথাকলি নৃত্যে কোন ধরনের সংগীত ব্যবহৃত হয়।
➺ কথাকলি নৃত্যে সংগীত ও বাদ্যযন্ত্রের প্রয়োগ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। কথাকলি গীতি পদম, শ্লোকম্ ও দণ্ডকম—তিন পর্যায়ে গীত হয়। দক্ষিণ ভারতীয় সংগীতের বিভিন্ন রাগ ও রাগিনী ব্যবহৃত হয়। সংগীত শিল্পীরা সোপান ভঙ্গিতে গীতি পরিবেশন করেন। জয়দেবের গীতগোবিন্দ অবলম্বনে অষ্টপদীগুলি কথাকলি সংগীতের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। কথাকলি নৃত্যনাট্যে সংগীতশিল্পীদের মধ্যে যিনি প্রধান তাঁকে ‘পেন্নান’ বলা হয়। অপর শিল্পী যিনি প্রধান গায়ক কর্তৃক গীত হবার পর তার পুনরাবৃত্তি করেন তাঁকে ‘সংকোটি বলা হয়। কথাকলি নৃত্যে চাণ্ডা, মালম্, চাংগালা ও এলাতালম বা কাইমনি এই চতুর্যন্ত্রই প্রধান। কথাকলি সংগীতে সাধারণত 'carnatic music পরিবেশিত হয়।
Q31. মধুবনী কলার দুটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
➺ মধুবনী কলার দুটি বৈশিষ্ট্য হল— (i) মধুবনী চিত্রকলা সম্পূর্ণরূপে গ্রামীণ ও লোকশিল্প। লোকশিল্পের বলিষ্ঠতা, সাবলীলতা ও সারল্য মধুবনী শিল্পের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। (ii) মধুবনী চিত্রকলা মূলক অঙ্কন করতেন ব্রাহ্মণ, কায়স্থ প্রভৃতি উচ্চবংশীয় মহিলারা।
Q32. উৎস সহ ওয়ারলি চিত্রকলার দুটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য লিখুন।
➺ ওয়ারলি চিত্রকলার দুটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল— (i) মহারাষ্ট্রে পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় নাসিক ও ধুলে অঞ্চলে ওয়ারলি উপজাতিদের বাস। এছাড়া গোয়া, দমন, দিউতে এদের দেখা মেলে। এইসকল অঞ্চলের
উপজাতি মহিলারা চালের গুঁড়ো জলে মিশিয়ে সাদা তরল রং তৈরি করে ওয়ারলি চিত্রকলা তৈরি করে।
(ii) সাধারণত বাড়ির আঙিনা বা দেয়াল গোবর মাটি দিয়ে মসৃণ করে লেপে তার ওপর ছবি আঁকা হলেও কখনো কখনো স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত কালচে লাল রঙের মাটি বা গেরু মাটির ওপর সাদা রং আরও সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে। ওয়ারলি আদিবাসীরা মনে করেন এই চিত্র রচনার মধ্যে একটি শুভ মাঙ্গলিক ক্ষমতা আছে যা অশুভ শক্তিকে বিতাড়ন করে।
Q33. বর্ণচক্রে কী কী প্রাথমিক রং থাকে?
➺ যে রঙের নিজস্বতা আছে এবং অন্য কোনো রঙের মিশ্রণে তৈরি হয় না তাকে প্রাথমিক রং বা Primary Colour বা শুদ্ধ রং বলে। প্রাথমিক রং তিনটি— লাল, নীল, হলুদ।
Q34. ‘ফেব্রিক’-এর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী? ফেব্রিক চিত্রণ শুরু করার আগে পালনীয় দুটি নীতি কী কী?
➺ লাতিন শব্দ ‘fabrica’ যার অর্থ কোনো দক্ষতার সঙ্গে উৎপন্ন থেকে ফ্রেঞ শব্দ ‘fabrique’ কথাটির উৎপত্তি ঘটে 1500 শতাব্দিতে। সাধারণ ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে এর অর্থ ছিল ধাতু, পাথর ব্যবহারে পটু শ্রমিক বা কর্মচারী। পরবর্তী সময়ে 1800 শতকে এই ফেব্রিক কথাটির অর্থ বস্ত্রনকশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত লাভ করে। প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, মৃত্তিকা এবং অন্যান্য উপাদানগুলি যা থেকে রঞ্জক নিষ্কাষিত হয় সেগুলি দিয়েই বস্ত্র রঞ্জনের নকশা তৈরি করে এই ফেব্রিক তৈরি হয়।
ফেব্রিক চিত্রণ শুরু করার আগে পালনীয় দুটি নীতি হল—
(i) কাপড়ের ওপর নকশা অনুযায়ী রং নির্বাচন করতে হয়। খেয়াল রাখতে হয় যাতে রংগুলি পরস্পরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে দৃষ্টি মনোহর হয়ে ওঠে। হালকা রঙের কাপড়ের ওপর গাঢ় রং ও গাঢ় রঙের কাপড়ের ওপর হালকা ধরনের রংগুলি ভালো ফুটে ওঠে।
(ii) নকশা আঁকা কাপড় খুব সাবধানে রাখা উচিত। রং ভেজা থাকা অবস্থায় তাঁর ওপর হাত পড়লে রং ধেবড়ে যায়। রং শুকিয়ে যাবার ২৪ ঘণ্টা পরে ইস্ত্রি করলে রঙের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়।
Q35. রঙের কয়েকটি দেশজ উৎস উল্লেখ করুন।
➺ রঙের কয়েকটি দেশজ উৎস হল— (i) খনিজ পাথর থেকে প্রাপ্ত রঙের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল টেরাভার্ট পাথর থেকে পাওয়া সবুজ রং ও ল্যাপিস লাজুলি থেকে প্রাপ্ত নীল রং। খনিজ ধাতু
সোনা ও রূপা দিয়ে যথাক্রমে সোনালি ও রূপালি রং পাওয়া যায়। তামার কুচির এমন সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটিয়ে সবুজ রং পাওয়া যায়। এইভাবে লোহার গুঁড়ো হতেও কালো রং নিষ্কাশন করা হয়।
(iii) মৃত্তিকাজাত রংগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এলামাটি জাত হলুদ,গেরিমাটি জাত লাল।
(iii) লাক্ষা হতে অলক্ত ও ঝিনুক পুড়িয়ে সাদা রং পাওয়া যায়। এগুলি প্রাণীজাত রঙের এলাকাভুক্ত।
Q36. স্কেচিং কী?
➺ অল্প সময়ের মধ্যে সামান্য কয়েকটি সাংকেতিক রেখার টানে কোনো বস্তু, মানুষ বা বিষয়বস্তুর রূপ, গঠনগত ভঙ্গিমাকে ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরাকে অঙ্কনে স্কেচ বলে। স্কেচ-এর মধ্যে দিয়ে বস্তুর ভঙ্গিমা, গঠন, আয়তন, আকৃতি, বস্তুর গতি, সাদৃশ্য গুণ ফুটে ওঠে।
Q37. অঙ্কনের ক্ষেত্রে চারকোল ব্যবহারের দুটি সুবিধা উল্লেখ করুন।
➺ অঙ্কনের ক্ষেত্রে চারকোল ব্যবহারের দুটি সুবিধা হল— (i) হালকা দাগের জন্য ভাইন চারকোল ব্যবহার করা যায়। প্রাথমিক স্কেচ ভাইন চারকোল দিয়ে করলে তা সহজে মুছে সংশোধন করা যায়।
(ii) আঁকা শেষ হয়ে গেলে ফিক্সেটিভ স্প্রে করে দিলে আর আঁকাটি নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না।
Q38. জৈব রং কাকে বলে?
➺ যে রং সাধারণত শংসামান অনুযায়ী অধিক পরিমাণে জৈব পদার্থ ও ন্যূনতম রাসায়নিক পদার্থের সংমিশ্রণে তৈরি হয় তাকে জৈব রং বলা হয়। “Organic Colour Systems is the first ever range of permanent colours made from the maximum amount of certified organic ingredients and the minimum
amount of chemicals.'
➺ যে রঙের নিজস্বতা আছে এবং অন্য কোনো রঙের মিশ্রণে তৈরি হয় না তাকে প্রাথমিক রং বা Primary Colour বা শুদ্ধ রং বলে। প্রাথমিক রং তিনটি— লাল, নীল, হলুদ।
Q34. ‘ফেব্রিক’-এর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী? ফেব্রিক চিত্রণ শুরু করার আগে পালনীয় দুটি নীতি কী কী?
➺ লাতিন শব্দ ‘fabrica’ যার অর্থ কোনো দক্ষতার সঙ্গে উৎপন্ন থেকে ফ্রেঞ শব্দ ‘fabrique’ কথাটির উৎপত্তি ঘটে 1500 শতাব্দিতে। সাধারণ ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে এর অর্থ ছিল ধাতু, পাথর ব্যবহারে পটু শ্রমিক বা কর্মচারী। পরবর্তী সময়ে 1800 শতকে এই ফেব্রিক কথাটির অর্থ বস্ত্রনকশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত লাভ করে। প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, মৃত্তিকা এবং অন্যান্য উপাদানগুলি যা থেকে রঞ্জক নিষ্কাষিত হয় সেগুলি দিয়েই বস্ত্র রঞ্জনের নকশা তৈরি করে এই ফেব্রিক তৈরি হয়।
ফেব্রিক চিত্রণ শুরু করার আগে পালনীয় দুটি নীতি হল—
(i) কাপড়ের ওপর নকশা অনুযায়ী রং নির্বাচন করতে হয়। খেয়াল রাখতে হয় যাতে রংগুলি পরস্পরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে দৃষ্টি মনোহর হয়ে ওঠে। হালকা রঙের কাপড়ের ওপর গাঢ় রং ও গাঢ় রঙের কাপড়ের ওপর হালকা ধরনের রংগুলি ভালো ফুটে ওঠে।
(ii) নকশা আঁকা কাপড় খুব সাবধানে রাখা উচিত। রং ভেজা থাকা অবস্থায় তাঁর ওপর হাত পড়লে রং ধেবড়ে যায়। রং শুকিয়ে যাবার ২৪ ঘণ্টা পরে ইস্ত্রি করলে রঙের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়।
Q35. রঙের কয়েকটি দেশজ উৎস উল্লেখ করুন।
➺ রঙের কয়েকটি দেশজ উৎস হল— (i) খনিজ পাথর থেকে প্রাপ্ত রঙের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল টেরাভার্ট পাথর থেকে পাওয়া সবুজ রং ও ল্যাপিস লাজুলি থেকে প্রাপ্ত নীল রং। খনিজ ধাতু
সোনা ও রূপা দিয়ে যথাক্রমে সোনালি ও রূপালি রং পাওয়া যায়। তামার কুচির এমন সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটিয়ে সবুজ রং পাওয়া যায়। এইভাবে লোহার গুঁড়ো হতেও কালো রং নিষ্কাশন করা হয়।
(iii) মৃত্তিকাজাত রংগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এলামাটি জাত হলুদ,গেরিমাটি জাত লাল।
(iii) লাক্ষা হতে অলক্ত ও ঝিনুক পুড়িয়ে সাদা রং পাওয়া যায়। এগুলি প্রাণীজাত রঙের এলাকাভুক্ত।
Q36. স্কেচিং কী?
➺ অল্প সময়ের মধ্যে সামান্য কয়েকটি সাংকেতিক রেখার টানে কোনো বস্তু, মানুষ বা বিষয়বস্তুর রূপ, গঠনগত ভঙ্গিমাকে ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরাকে অঙ্কনে স্কেচ বলে। স্কেচ-এর মধ্যে দিয়ে বস্তুর ভঙ্গিমা, গঠন, আয়তন, আকৃতি, বস্তুর গতি, সাদৃশ্য গুণ ফুটে ওঠে।
Q37. অঙ্কনের ক্ষেত্রে চারকোল ব্যবহারের দুটি সুবিধা উল্লেখ করুন।
➺ অঙ্কনের ক্ষেত্রে চারকোল ব্যবহারের দুটি সুবিধা হল— (i) হালকা দাগের জন্য ভাইন চারকোল ব্যবহার করা যায়। প্রাথমিক স্কেচ ভাইন চারকোল দিয়ে করলে তা সহজে মুছে সংশোধন করা যায়।
(ii) আঁকা শেষ হয়ে গেলে ফিক্সেটিভ স্প্রে করে দিলে আর আঁকাটি নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না।
Q38. জৈব রং কাকে বলে?
➺ যে রং সাধারণত শংসামান অনুযায়ী অধিক পরিমাণে জৈব পদার্থ ও ন্যূনতম রাসায়নিক পদার্থের সংমিশ্রণে তৈরি হয় তাকে জৈব রং বলা হয়। “Organic Colour Systems is the first ever range of permanent colours made from the maximum amount of certified organic ingredients and the minimum
amount of chemicals.'
Q39. জলরঙের সুবিধাগুলি কী কী?
অথবা, জলরঙের দুটি সুবিধা উল্লেখ করুন।
➺ জলরঙের সুবিধাগুলি হল— (i) ছবির মধ্যে স্বতন্ত্র নান্দনিক আবেদন জলরঙের মাধ্যমে তৈরি করা যায়, যা অন্য কোনো মাধ্যমে যায় না। (ii) সহজ সরল ব্যাবহারিক পদ্ধতির জন্য সকলে সহজে করতে পারে শিল্পীদের, শিশুদের সকলের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
➺ জলরঙের সুবিধাগুলি হল— (i) ছবির মধ্যে স্বতন্ত্র নান্দনিক আবেদন জলরঙের মাধ্যমে তৈরি করা যায়, যা অন্য কোনো মাধ্যমে যায় না। (ii) সহজ সরল ব্যাবহারিক পদ্ধতির জন্য সকলে সহজে করতে পারে শিল্পীদের, শিশুদের সকলের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
➺ সৃজনশীল কাজের দুটি নীতি হল— (i) সৃজনশীলতা : এখানে সাবলীলতা হল চিন্তন প্রক্রিয়ার দ্রুততা। দ্রুত চিন্তা করার ক্ষমতা অথবা সাবলীলতা সৃজনশীল কাজের একটি বৈশিষ্ট্য। (ii) নমনীয়তা : নমনীয়তা বলতে বোঝানো হয় গতানুগতিক সংস্কৃতি, পূর্বে গৃহীত ধারণা প্রভৃতিকে সহজেই ত্যাগ করার ক্ষমতা। সৃজনশীল কাজের জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
Q41. চারুশিল্প এবং কারুশিল্পের দুটি পার্থক্য লিখুন।
➺ চারুশিল্প এবং কারুশিল্পের মধ্যে পার্থক্য হল— (i) চারুশিল্প হল এমন এক ধরনের কাজ যেখান আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। অন্যদিকে কারুশিল্প হল এমন একধরনের কাজ যেখানে কর্মের নির্দিষ্ট একটি আউটপুট রয়েছে, যেমন—ছাঁচ নির্মাণ করা বা খোদাই করা।
(ii) চারুশিল্প সাধারণত অ-কাঠামোগত (Unstructured) হয়ে থাকে, যেমন—পেন্টিং। অন্যদিকে কারুশিল্পের নির্দিষ্ট একটি গঠন রয়েছে, যার অর্থ হল এর একটি নির্দিষ্ট ফর্ম রয়েছে যা দৃশ্যমান।
Q42. রঙ্গোলি কী?
➺ মাটির ওপর অঙ্কিত শুভ নকশাকে রঙ্গোলি বলা হয়। এটি সংস্কৃত শব্দ রঙ্গভালি থেকে এসেছে। যার অর্থ রং দিয়ে অঙ্কিত লতা, সাধারণ মানুষের বিশ্বাস রঙ্গোলি সমৃদ্ধি ও শ্রীর দেবীকে অঙ্কন করে।
➺ একখণ্ড কাগজকে না কেটে, কোনোরুপ আঠা ব্যবহার না করে কেবল ভাঁজ করে জীবজন্তু, পাখি ইত্যাদি রূপ দেওয়ার একটি কৌশল ও খেলা হল ওরিগামি। ওরিগামি শব্দটি জাপান থেকে এসেছে। ওরি (Ori) কথার অর্থ ভাঁজ করা ও কামি (Kami) পরিবর্তিত হয়ে গামি অর্থাৎ কাগজ। এর জন্য প্রথম যেটা প্রয়োজন তা হল কাগজ। কাগজ বলতে আমরা আজকে যা বুঝি তার আবিষ্কার হয়েছিল চিনদেশে, প্রথম বা দ্বিতীয় খ্রিস্টাব্দে হান যুগে। পাতলা শক্ত এবং সম্পূর্ণরূপে বর্গাকার কাগজই হল সবচেয়ে ভালো। জটিল আকৃতির কাজ শুরু করার জন্য একটু বড়ো কাগজ আদর্শ। অল্প কয়েকটি সরল ভাঁজের
মাধ্যমে ওরিগামির একেকটি অংশ তৈরি করা হয়। আর এমন অনেকগুলো অংশকে একত্র করে আরও জটিল আকৃতির তৈরি করা হয়।
Q43. ‘কোলাজ কী?
➺ কোলাজ একটি শিল্প উৎপাদন কৌশল; ফেলে দেওয়া অপ্রয়োজনীয় সাধারণ জিনিস কাগজ, বোর্ড ক্যানভাস-এর ওপর আঠা দিয়ে সেঁটে একটি চিত্ররূপ সৃষ্টি করাকে কোলাজ বলে। চিন দেশে 200 খ্রিস্টাব্দে কাগজ আবিষ্কারের সময় থেকে প্রথম কোলাজ প্রযুক্তিগতভাবে ব্যবহার করা শুরু হয়। দশম শতকে জাপানে কবিতার মধ্যে কোলাজের ব্যবহার ছিল। ফরাসি শব্দ coller থেকে কোলাজ আহরিত। বিংশ শতকের শুরুতে কোলাজ আধুনিক শিল্পের একটি স্বতন্ত্র অংশ হয়ে ওঠে।
Drama and Arts Education PDF