আরো পড়ুনঃ
- জীভের জলের রহস পৃষ্ঠা - 27
- শাকপাতার খোঁজখবর পৃষ্ঠা - 29
- খাদ্যের ভালো মন্দ পৃষ্ঠা - ৩০
- অনেক রকম শাকসবজি পৃষ্ঠা - ৩২
- শাকপাতা তরকারি খাওয়া খুব দরকারি পৃষ্ঠা - ৩৪
- ফল খাওয়ার সুফল পৃষ্ঠা - ৩৬
- যেসব ফল খাবার নয় পৃষ্ঠা - ৩৮
- প্রাণীজ খাবার পৃষ্ঠা - ৪০
- দুধ, দই, ছানা পৃষ্ঠা - ৪০
- ভাজা খাবার পৃষ্ঠা - ৪২
- উনুন আর আগুন পৃষ্ঠা - ৪৪
- থালা-বাসন পৃষ্ঠা - ৪৫
- চলল খাবার দেশে বিদেশে পৃষ্ঠা - ৪৮
- পশু পালন ও আগুনের ইতিহাস পৃষ্ঠা - ৫০
class 3 amader paribesh question answer
ভালো খাবারের নাম শুনলেই আমাদের জিভে জল আসে। তবে পছন্দের খাবারে বেশি জল আসে মেয়েদের কুল, ফুচকার নাম শুনলেই জিভে বেশি জল আসে। ছেলেদের সন্দেশ, রসগোল্লা, মাছ, মাংসের নাম শুনলেই মুখে জল আসে। আসলে জিভের ওই জলকে মুখের ‘লালা’ বলে। এটি আমাদের খাবার হজম করার কাজে লাগে। খাবার হজম ভালো হলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে। এই খাবার আবার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন - টক, মিষ্টি, ঝাল, নোনতা, ইত্যাদি।
▻ দলে করি বলাবলি তারপরে লিখে ফেলি উত্তরঃ (পৃষ্ঠা - ২৭)
পাঁচরকম স্বাদের কথা হল। এই পাঁচরকম স্বাদের কী কী খাবার খেয়েছ তা নীচে লেখো :
টক | মিষ্টি | ঝাল | নোনতা | তেতো |
---|---|---|---|---|
তেঁতুল | রসগোল্লা | ঝাল চানাচুর | নোনতা বিস্কুট | নিমপাতা |
কুল | সন্দেশ | ঝাল ঝুরিভাজা | কুরকুরে | করলা |
কামরাঙা | রাজভোগ | ঝালমুড়ি | নুন | নিম-বেগুন |
চালতা | পান্তুয়া | ঘুগনি | নিমকি | উচ্ছে |
কাঁচা আম | আম | মাংস | নোনতা চানাচুর | কালমেঘ |
❐ শাকপাতার খোঁজখবর সংক্ষেপে আলোচনাঃ
সবুজ গাছের পাতা মানেই মানুষের খাবার শাক নয়। বহু রকমের পাতা আছে। এদের মধ্যে কতগুলি আমাদের খেলে ভালো হজম হয়। যেমনঃ বেলেশাক, বাত্মীশাক, ঢেঁকিশাক, হিঞ্জে, পালংশাক,ব্রাহ্মীশাক ইত্যাদি খেলে আমাদেরআমাদের বুদ্ধি বাড়ে। শাক খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।
সবুজ গাছের পাতা মানেই মানুষের খাবার শাক নয়। বহু রকমের পাতা আছে। এদের মধ্যে কতগুলি আমাদের খেলে ভালো হজম হয়। যেমনঃ বেলেশাক, বাত্মীশাক, ঢেঁকিশাক, হিঞ্জে, পালংশাক,ব্রাহ্মীশাক ইত্যাদি খেলে আমাদেরআমাদের বুদ্ধি বাড়ে। শাক খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।
▻ দলে করি বলাবলি তারপরে লিখে ফেলি উত্তরঃ (পৃষ্ঠা - ২৯)
কিছু জিনিসের এক অংশ মানুষের খাদ্য, অন্য অংশ চেনা জীবজন্তুর খাদ্য নীচে সেগুলি লেখো :
কিছু জিনিসের এক অংশ মানুষের খাদ্য, অন্য অংশ চেনা জীবজন্তুর খাদ্য নীচে সেগুলি লেখো :
মানুষের খাদ্য অংশ | মানুষের খাদ্য নয় কিন্তু চেনা অন্য জীবজন্তুর খাদ্য অংশ |
---|---|
১. আম, লিচুর শাঁস, রস; কাঁঠালের কোয়া, বীজ | আম, লিচু ও কাঁঠালের খোসা (গোরু, ছাগলের খাদ্য) |
২. আলু, পটল, পেঁপে | এদের ছাড়ানো খোসা, সবুজ শাক। |
৩. আপেল, আনারস, শশা | এদের খোসা (গোরু ও ছাগলের খাদ্য)। |
৪. পালংশাক, হিঞে, ঢেঁকিশাক | এগুলি ছাগল, গোরুর খাদ্য। |
৫. মাংস, ডিম | বাঘ, সিংহের খাদ্য। |
৬. মাছ | মাছের, কানকো, নাড়িভুঁড়ি, কাঁটা (কুকুর, বিড়াল ও কাকের খাদ্য) |
৭. চাল/ভাত | এদের খোসা, ফ্যান (গোরুর খাদ্য) |
৮. কপি, বেগুন | ডাঁটা, খোসা (গোরু ও ছাগলের খাদ্য) |
৯. আটার রুটি, ময়দা | ভুসি (হাঁস, মুরগি, গোরুর খাদ্য) |
❐ খাদ্যের ভালো মন্দ সংক্ষেপে আলোচনাঃ
সমস্ত ধরনের খাবার আমাদের দেহের পক্ষে সহায়ক নয়। এর ফলস্বরূপ আমাদের মাঝে মাঝে শরীর খারাপ হয়। অনেকসময় হজম হয় না। খুব ভেবেচিন্তে খাবার খেতে হবে যাতে অখাদ্য না হয়। অখাদ্য খেলে পেট খারাপ হয়, বমি হয়। কুখাদ্য মানে পচা, বাসি হতে পারে আবার ছাতা পড়েও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
▻ দলে করি বলাবলি তারপরে লিখে ফেলি উত্তরঃ (পৃষ্ঠা - ৩০)
মানুষের খাদ্য আর অখাদ্যের তালিকা আছে। ওই তালিকায় আরও খাদ্য ও অখাদ্যের নাম লেখো:
সমস্ত ধরনের খাবার আমাদের দেহের পক্ষে সহায়ক নয়। এর ফলস্বরূপ আমাদের মাঝে মাঝে শরীর খারাপ হয়। অনেকসময় হজম হয় না। খুব ভেবেচিন্তে খাবার খেতে হবে যাতে অখাদ্য না হয়। অখাদ্য খেলে পেট খারাপ হয়, বমি হয়। কুখাদ্য মানে পচা, বাসি হতে পারে আবার ছাতা পড়েও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
▻ দলে করি বলাবলি তারপরে লিখে ফেলি উত্তরঃ (পৃষ্ঠা - ৩০)
মানুষের খাদ্য আর অখাদ্যের তালিকা আছে। ওই তালিকায় আরও খাদ্য ও অখাদ্যের নাম লেখো:
খাদ্য | অখাদ্য |
---|---|
ভাত, রুটি, ডিম | খড়, পচা ভাত, বাসি রুটি |
মসুর, মুগ, ছোলার ডাল | ডালের খোসা, বাসি ডাল |
ফুলকপি, ঝিঙে, ওল, পালংশাক, মোচা | কচু শাক, পচা ডিম |
দুধ, ছানা, রসগোল্লা, গুড়, চিনি, মিছরি | আনাজের খোসা, বাসি মাংস |
রুই মাছ, মুরগির মাংস | মুরগির খাবার, বাসি তরকারি |
আম, কমলালেবু, আনারস, কলা, পেঁপে | ফলের খোসা, নষ্ট আটার রুটি, পচা শাকসবজি, পচা ফল ইত্যাদি |
সরষে | সরষের খোসা |
❐ অনেক রকম শাকসবজি সংক্ষেপে আলোচনাঃ
আমাদের খাদ্যের প্রধান অংশ হল উদ্ভিদ। বেশির ভাগ খাদ্যই আমরা উদ্ভিদ থেকেই পাই। গাছের পাতা, ডাটা, ফুল,ফল, বীজ ইত্যাদি আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি। ধান, গম, ডাল, শিম, কড়াইশুঁটির বীজ আমরা খাই। আবার, গাছের কিছু ফসলের বীজ আমরা কচি অবস্থায় খাই; যেমন, উচ্ছে, পটল, কুমড়ো, লাউ ইত্যাদি। এদের পাকা বাজ খেলে কুঁড়ি হিসেবে ফুলকপিকে আমরা খাই। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফুলকপি না খেলে কুঁড়ি ফুটে যায়, সিদ্ধ হয় না কিছু আমাদের হজম হয় না। কিছু কিছু গাছের ডাঁটা আমরা খাই; যেমন, পুঁই, নটেডাঁটা, লাউডাটা, সজনে গাছের ডাঁটা, ডাঁটা নয় সজনের ফল। এ ছাড়াও বহু ধরনের শাকসবজি আমরা খাদ্য হিসেবে খেয়ে থাকি। যেমন—আলু, বেগুন, ঝিঙে,কচু, মুলো, বাঁধাকপি, টম্যাটো, বিট, গাজর ইত্যাদি।▻ দলে করি বলাবলি তারপরে লিখে ফেলি উত্তরঃ (পৃষ্ঠা - ৩২)
কোন গাছের কোন অংশ আমাদের খাদ্য? সেগুলো নীচে লেখো :
কোন গাছের কোন অংশ আমাদের খাদ্য? সেগুলো নীচে লেখো :
পাতা | ডাঁটা/কাণ্ড | কুঁড়ি | ফুল | ফল | বীজ |
---|---|---|---|---|---|
পালং | পুই ডাঁটা | - | বক | কুমড়ো | কাঁঠাল বীজ |
হিঞ্চে | থোড় | - | সজনে ফুল | লাউ | ধান |
পুলকা শাক | সজনে ডাঁটা | ফুলকপি | কুমড়ো ফুল | পটল | গম |
লাউপাতা | বরবটি | - | ফুলকপি | বেগুন | শিম |
❐ শাকপাতা তরকারি খাওয়া খুব দরকারি সংক্ষেপে আলোচনাঃ
আমাদের খাদ্যতালিকার একটি প্রধান অঙ্গ হল শাকসবজি। এটি আমরা আমাদের খাদ্যতালিকায় রোজই খেয়ে থাকি। এর মধ্যে কিছু সবজি আমরা কাঁচাও খেয়ে থাকি; যেমন- শশা, কাঁকুড়, কচি ঢ্যাঁড়শ ইত্যাদি। আলু, পটল, বেগুন,ঝিঙে, চিচিঙ্গে, কাঁচকলা, ওল, কচু, পেঁপে, ফুলকপি, বাঁদাকপি, শিম ইত্যাদি রান্না করে তরকারি হিসেবে খেয়ে থাকি। কিছু কিছু সবজি আবার দুটি নামেও আমাদের কাছে পরিচিত। যেমনঃ হোপা আর চিচিঙ্গে, ঢ্যাঁড়শ আর ভেন্ডি এরা একই আনাজ। কিছু কিছু সবজি আমরা মাটির নীচ থেকেও পেয়ে থাকি যেমন - রাঙাআলু, মেটেআলু, শাঁকআলু,পেঁয়াজ, আদা ইত্যাদি। অনেকের তরকারি খেতে ভালো না-লাগলেও তবুও খাওয়া উচিত। কারণ শাকসবজি আমাদের শরীরের নানা উপকার করে। অসুখে ওষুধ দেয়, অসুখ হওয়া আটকে দেয় অর্থাৎ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। এ ছাড়াও দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, পুষ্টিতেও শাকসবজির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু সবজি প্রত্যক্ষভাবে আমাদের রোগপ্রতিরোধে সাহায্য করে; যেমনঃ কাঁচকলা, মোচা রক্তাল্পতায় অত্যন্ত উপকারী। আবার, নিমপাতা খেলে আমাদের খোসপাঁচড়া হতে দেয় না। খেয়ে আবার হজম করায় সাহায্য করে। এমনকি শাকসবজি আমাদের ওষুধ তৈরির কাজেও লাগে। এই সমস্ত বহুবিধ উপকারিতার জন্য ডাক্তারবাবু, কবিরাজ মশাইরাও শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন।▻ দলে করি বলাবলি তারপরে লিখে ফেলি উত্তরঃ (পৃষ্ঠা - ৩৪)
নানারকম শাক, পাতা, আনাজের নাম ও সেগুলো খেলে কী উপকার হয় তা নীচে লেখো :
শাক-পাতা আনাজের নাম | খাওয়ায় কী উপকার |
---|---|
কাঁচকলা | দেহে রক্তের পরিমাণ কমে গেলে বা রক্তাল্পতায় উপকারী। |
পেঁপে | হজমে সহায়তা করে। |
মোচা | রক্তাল্পতার সমস্যা কমায়। |
ব্রাহ্মীশাক | বুদ্ধি বাড়ে। |
নিমপাতা | শরীরে খোসপাঁচড়া হতে দেয় না। |
পালংশাক, মটরশুঁটি | রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। |
বাদাম, অঙ্কুরিত ছোলা | বেরিবেরি রোগ প্রতিরোধ করে। |
কাঁচালঙ্কা, ফুলকপি | স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে, অস্থি ও দন্তক্ষয় কম হয়। |
বাঁধাকপি | অস্থি গঠনে, বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। |
মটরশুঁটি, লেটুসাশাক | মাতৃস্তনে দুগ্ধক্ষরণ বৃদ্ধি করে, বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধ করে। |
❐ ফল খাওয়ার সুফল সংক্ষেপে আলোচনাঃ
আমরা নানা ধরনের খাবার খেলেও ফল তাদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। কথায় বলে, জল আর ফল দুটোই শরীরে চাই। বিশেষ করে অসুখ হলে আমাদের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে তখন ফল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। তা ছাড়া এই সময় আমাদের হজম ক্ষমতা কমে যায় কিন্তু ফল খেলে তা সহজেই হজম হয়। আবার, নিয়মিত ফল খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনাও কম। নিয়মিত ফল খেলে বহুবিধ অসুখ-বিসুখ হওয়ার সম্ভাবনাও কম। ফলের শাঁসের রসে অনেক কিছু থাকে। সর্বোপরি ফল খেতেও ভালো। আমাদের পরিচিত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফল হল—আপেল, আনারস, কলা, খেজুর, নারকেল, আম, পেঁপে, শশা, লেবু, ন্যাসপাতি, বেদানা, আঙুর প্রভৃতি। ডাব জলে ভরপুর হলেও এটি একটি ফল। খেজুর রস, তালরস ফল না হলেও উপকারী। তবে মনে রাখতে হবে সব ফল সারাবছর পাওয়া যায় না। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে কয়েকটি নির্দিষ্ট ফল পাওয়া যায়। যেমন— আম, কাঁঠাল কেবল গ্রীষ্ম, বর্ষাকালেই পাওয়া যায়। আবার, আনারস, কমলালেবু শীতকালে পাওয়া যায়। এদের উপকারিতাও বিভিন্ন।▻ দলে করি বলাবলি তারপরে লিখে ফেলি উত্তরঃ (পৃষ্ঠা - ৩৬)
কোন ফল কোন ঋতুতে হয়? কাঁচা খায় না পাকা খায়? খাওয়ায় কী উপকার? নীচে লেখো :
❐ যেসব ফল খাবার নয় সংক্ষেপে আলোচনাঃ
ফল আমাদের শরীরে উপকারী হলেও তা চিনে বা জেনে নিয়ে খেতে হয়। কারণ কিছু কিছু ফল আছে যা আমাদের শরীরের ক্ষতি করে। তবে মনে রাখবে, এই ফলগুলি সাধারণত জঙ্গলে হয়। এদের গায়ে কাঁটা থাকে। কোনো কোনো ফল খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে এমনকি বেশি খেলে মারাও যেতে পারে, তাই এই ফল বিষ ফল নামে পরিচিত। এই ধরনের বিষ ফল খেয়ে পশু পাখিরাও মারা যেতে দেখা গেছে। আমাদের গ্রামে-গঞ্জে কলকে ফল পাওয়া যায় যা অত্যন্ত বিষাক্ত। খেলে যে-কোনো প্রাণী মারা যায়। তবে বর্তমানে এই ধরনের ঘটনা এখন খুব একটা লক্ষ করা যায় না। কারণ আগেকার দিনে মানুষ বিষ ফল চিনত না কিন্তু বর্তমানে আমরা বড়োদের কাছে এই বিষ ফল সম্পর্কে জানতে পারি। এখন আর তাই এই ধরনের ফল খাই না।
নাম | কোন ঋতুতে হয়? | কী অবস্থায় আনাজ? | কী অবস্থায় ফল? | খাওয়ায় কী উপকার? |
---|---|---|---|---|
আম | বসন্ত, গ্রীষ্ম, বর্ষা | কাঁচা | কাঁচা, পাকা দুটোই | ভিটামিন সি পাওয়া যায়, স্কার্ভি রোগ হয় না। |
কাঁঠাল | বসন্ত, গ্রীষ্ম, বর্ষা | কাঁচা (এঁচোড়) | পাকা | রোগ প্রতিরোধ করে। |
জাম | গ্রীষ্মকাল | - | পাকা | রোগ প্রতিরোধ করে। |
লেবু | গ্রীষ্ম, বর্ষাকাল | - | পাকা | ভিটামিন সি। |
কলা | সারাবছর | কাঁচা | পাকা | ভিটামিন সি। |
❐ যেসব ফল খাবার নয় সংক্ষেপে আলোচনাঃ
ফল আমাদের শরীরে উপকারী হলেও তা চিনে বা জেনে নিয়ে খেতে হয়। কারণ কিছু কিছু ফল আছে যা আমাদের শরীরের ক্ষতি করে। তবে মনে রাখবে, এই ফলগুলি সাধারণত জঙ্গলে হয়। এদের গায়ে কাঁটা থাকে। কোনো কোনো ফল খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে এমনকি বেশি খেলে মারাও যেতে পারে, তাই এই ফল বিষ ফল নামে পরিচিত। এই ধরনের বিষ ফল খেয়ে পশু পাখিরাও মারা যেতে দেখা গেছে। আমাদের গ্রামে-গঞ্জে কলকে ফল পাওয়া যায় যা অত্যন্ত বিষাক্ত। খেলে যে-কোনো প্রাণী মারা যায়। তবে বর্তমানে এই ধরনের ঘটনা এখন খুব একটা লক্ষ করা যায় না। কারণ আগেকার দিনে মানুষ বিষ ফল চিনত না কিন্তু বর্তমানে আমরা বড়োদের কাছে এই বিষ ফল সম্পর্কে জানতে পারি। এখন আর তাই এই ধরনের ফল খাই না।
▻ দলে করি বলাবলি তারপরে লিখে ফেলি উত্তরঃ (পৃষ্ঠা - ৩৮)
কী কী বিষফলের নাম জানা গেল? নীচে লেখো, ছবি আঁকো। কোন গুলোর গায়ে কাঁটা আছে তাও লেখো :
বিষফলের নাম ও ছবি | কাঁটা আছে কি? | ছবি |
---|---|---|
কলকে বীজ | কাঁটা নেই | View Image |
ধুতুরা ফল | কাঁটা আছে | View Image |
নাইটশেড | কাঁটা নেই | View Image |
❐ প্রাণীজ খাবার সংক্ষেপে আলোচনাঃ
আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য একটি অপরিহার্য উপাদান। এই খাদ্য আমরা দুটি উৎসরূপে পেয়ে থাকি। যথাঃ(i) উদ্ভিজ্জ উৎস, (ii) প্রাণীজ উৎস। উদ্ভিজ্জ উৎসগুলি সম্পর্কে আমরা এর আগের অধ্যায়ে আলোচনা করেছি। এই অধ্যায়ে আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ প্রাণীজ উৎসগুলি হল—ডিম, দুধ, মাছ, ঘি, মধু ইত্যাদি। এই উৎসগুলি আবার বিভিন্ন ধরনের হয়। যেমন - ডিম—ব্রয়লার, দেশি, পোলট্রি, হাঁস ইত্যাদি ডিম আমরা পছন্দমতো খেয়ে থাকি। আবার, মাছের মধ্যে রুই, কাতলা, ট্যাংরা, বেলে, ইলিশ, পুঁটি, মাগুর, শিঙি, কাতলা, সিলভার কাপ ইত্যাদি প্রজাতির মাছ লক্ষ করা যায়। এদের স্বাদ ও গঠন বৈশিষ্ট্যেরও কিছু পার্থক্য আছে। অনেকের মাংস অত্যন্ত প্রিয় খাবার। হাঁস, দেশি মুরগি, ব্রয়লার, পোলট্রি, পাঁঠা, খাসি ইত্যাদির মাংস আমাদের কাছে লোভনীয় খাবার। বনের মধুও একটি শুধু সুস্বাদু খাবারই নয় এটি খেলে আমাদের সর্দিকাশি কম হয়। বিভিন্ন ধরনের মাছ আমরা খাই।
▻ দলে করি বলাবলি তারপরে লিখে ফেলি উত্তরঃ (পৃষ্ঠা - ৪০)
কোন প্রাণীদের থেকে নানারকম প্রাণীজ খাবার পাওয়া যায়? কী ভাবে পালন করা হয়? নীচে লেখো :
▻ দলে করি বলাবলি তারপরে লিখে ফেলি উত্তরঃ (পৃষ্ঠা - ৪০)
কোন প্রাণীদের থেকে নানারকম প্রাণীজ খাবার পাওয়া যায়? কী ভাবে পালন করা হয়? নীচে লেখো :
খাদ্যের নাম | ডিম | দুধ | মধু | ||
---|---|---|---|---|---|
কোন প্রাণীদের থেকে পাই | মুরগি, হাঁস | গোরু, মোষ, ভেড়া, ছাগল | মৌমাছি | ||
ওই প্রাণীদের কোথায় পালন করা হয় | দেশি মুরগি, হাঁস : বাড়িতে ব্রয়লার মুরগি : পোলট্রিতে | বাড়িতে, খাটালে | মৌচাকে | ||
ওই প্রাণীরা কী কী খায় | যব, গম, চাল, ধান, তুষ ইত্যাদি খায় | ঘাস, খড় খোল, কুঁড়ো | ফুলের মধু |
❐ ভাজা খাবার সংক্ষেপে আলোচনাঃ
আমরা যে-সমস্ত খাবার খাই তা মূলত দুটি জায়গাতে তৈরি হয়— (i), বাড়িতে, (ii) বাজারজাত অর্থাৎ দোকানে বা কারখানায়। এর মধ্যে বাড়িতে তৈরি খাবার সবসময় বিশুদ্ধ হয়। দোকান-বাজারের সব খাবার খারাপ না-হলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না-খাওয়ার জন্য বেশি খারাপ হয়। যেমন, চানাচুর টাটকা খেলে ঠিক আছে কিন্তু অনেকদিন আগের ভাজা চানাচুর প্যাকেটে থাকলে তা নষ্ট হয়ে যায়। আমরা তা বুঝতে না-পেরে খেলে শরীর খারাপ করে। বাড়ির খাবারের ক্ষেত্রে তা হয় না। কারণ মা-কাকিমারা বাসি খাবার ফেলে দেন। কিন্তু দোকানদারেরা পয়সার লোভে আমাদের বিক্রি করে দেন। তেলেভাজা; রুটি, রসগোল্লা, কেক, আলুভাজা ইত্যাদি খুব অল্প সময়েই নষ্ট হয়ে যায়। তাই খুব সাবধানে দেখেশুনে ভাজা খাবার খাওয়া উচিত।নানাধরনের প্যাকেট করা তৈরি খাবারের নাম লেখো। কী দিয়ে কোনটা তৈরি হয় তাও লেখো :
খাদ্যের স্বাদ | খাদ্যের নাম | কী কী দিয়ে তৈরি হয় |
---|---|---|
মিষ্টি | কেক, পাউরুটি | ডিম, বেকিং পাউডার, চিনি, মোরব্বা, দুধ |
নোনতা | নিমকি | ময়দা, কালোজিরে, লবণ, সরষের তেল |
টক | আমলকি | কাঁচা আমলকি |
টক-ঝাল-মিষ্টি | চানাচুর, চিপস, আলুভাজা | বেসন, সরষের তেল, আলু, লবণ |
❐ উনুন আর আগুন সংক্ষেপে আলোচনাঃ
রান্না হল একটি খাবার তৈরির পদ্ধতি যা আমাদের বাড়িতে রোজ হয়। কিন্তু একসময় মানুষ রান্না করতে শেখেনি, কারণ আগুনের ব্যবহার জানত না। এখন আমরা বাড়িতে কাঠের উনুন, স্টোভ, কয়লা, গ্যাস ওভেনের সাহায্যে রান্না করি। দেশলাইয়ের সাহায্যে আগুন জ্বালাই, বাসনপত্র দিয়ে রান্না করি। তখন এইসবের ব্যবহার হয়নি। পরে ধীরে দীরে আগুনের ব্যবহারের পর চাল, মাছ, আনাজ দিয়ে ভাত, মাছের ঝোল, তরকারি তৈরি হয়।
▻ দলে করি বলাবলি তারপরে লিখে ফেলি উত্তরঃ (পৃষ্ঠা - ৪৪)
▻ দলে করি বলাবলি তারপরে লিখে ফেলি উত্তরঃ (পৃষ্ঠা - ৪৪)
কাঁচা খাদ্য রান্না করতে আর কী কী লাগে? আর কী কী করতে হয়? নীচে লেখো :
কাঁচা খাদ্যের নাম | এর থেকে কী কী তৈরি হয় | কীভাবে তৈরি হয় (ভাজা, সেঁকা নাকি অন্যভাবে) |
---|---|---|
চাল, আটা, ডাল | ভাত, রুটি, বিস্কুট, কেক | সেদ্ধ, সেঁকা |
আনাজ | তরকারি | ভেজে, সেদ্ধ করে |
দুধ | ছানা, মাখন, ঘি | সেদ্ধ করে/ফুটিয়ে |
মাছ | ভাজা, ঝোল, কালিয়া | ভেজে, সেদ্ধ করে |
মাংস | ঝোল, কষা | মশলা দিয়ে সেদ্ধ করে |
❐ থালা-বাসন সংক্ষেপে আলোচনাঃ
রান্না হল খাবার তৈরির পদ্ধতি। এই রান্না করার জন্য দরকার হাঁড়ি, কড়া, খুন্তি, থালা, বাসন, ডাবু,ইত্যাদি ৷ বর্তমানে আমরা আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতে স্টিল, অথবা অ্যালুমিনিয়ামের এই ধরনের বাসন দেখতে পাই।কিন্তু আগে এসব ছিল না। তখনকার দিনে বেশির ভাগ মানুষ মাটির বাসন, হাঁড়ি, কড়া ইত্যাদি ব্যবহার করত। আমাদের সবচেয়ে অবাক লাগে মাটিতে জল দিলে তা গলে যায় কিন্তু তাহলে মাটির বাসনে রান্না হত কীভাবে। আসলে এগুলি ছিল পোড়া মাটি যা জল দিলেও গলে না। এই ধরনের বাসন কুমোরপাড়ায় ছাঁচে ফেলে তৈরি হয়। এরপর ধাপে ধাপে মানুষ ধাতুর ব্যবহার শিখেছে অর্থাৎ ধাতু গলিয়ে পিতল, লোহা, স্টিলের বাসন তৈরি করেছে।
রান্না হল খাবার তৈরির পদ্ধতি। এই রান্না করার জন্য দরকার হাঁড়ি, কড়া, খুন্তি, থালা, বাসন, ডাবু,ইত্যাদি ৷ বর্তমানে আমরা আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতে স্টিল, অথবা অ্যালুমিনিয়ামের এই ধরনের বাসন দেখতে পাই।কিন্তু আগে এসব ছিল না। তখনকার দিনে বেশির ভাগ মানুষ মাটির বাসন, হাঁড়ি, কড়া ইত্যাদি ব্যবহার করত। আমাদের সবচেয়ে অবাক লাগে মাটিতে জল দিলে তা গলে যায় কিন্তু তাহলে মাটির বাসনে রান্না হত কীভাবে। আসলে এগুলি ছিল পোড়া মাটি যা জল দিলেও গলে না। এই ধরনের বাসন কুমোরপাড়ায় ছাঁচে ফেলে তৈরি হয়। এরপর ধাপে ধাপে মানুষ ধাতুর ব্যবহার শিখেছে অর্থাৎ ধাতু গলিয়ে পিতল, লোহা, স্টিলের বাসন তৈরি করেছে।
▻ দলে করি বলাবলি তারপরে লিখে ফেলি উত্তরঃ (পৃষ্ঠা - ৪৫)
তোমার বাড়িতে যা যা বাসনপত্র আছে তার নাম লেখো আর ছবি আঁকো :
তোমার বাড়িতে যা যা বাসনপত্র আছে তার নাম লেখো আর ছবি আঁকো :
লোহা ও স্টিলের বাসনপত্রের নাম ও ছবি | পিতল-কাঁসার বাসনপত্রের নাম ও ছবি | অন্য জিনিস দিয়ে তৈরি বাসনপত্রের নাম ও ছবি |
---|---|---|
কড়া, থালা, খুক্তি, বাটি, গ্লাস,সাঁড়াশি ইত্যাদি। | কড়া, থালা, বাটি, গ্লাস ইত্যাদি। | মাটির ও স্টেনলেস স্টিলের হাঁড়ি,কড়া, গ্লাস, বাটি ইত্যাদি। |
❐ চলল খাবার দেশে বিদেশে সংক্ষেপে আলোচনাঃ
আমরা দোকানে-বাজারে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ফলমূল, খাবার দাবার দেখতে পাই। কিন্তু এগুলি সবই আমাদের দেশের তৈরি নয়। এর মধ্যে বেশ কিছু জিনিস আমাদের দেশ থেকে বিদেশে গেছে, আবার বেশ কিছু জিনিস সমুদ্র পেরিয়ে এদেশে এসেছে। যেমন - আম, গোলমরিচ এদেশ থেকে বিদেশে গেছে তেমনি আলু, টম্যাটো, লংকা, আনারস বিদেশ থেকে এদেশে এসেছে। এর ফলে খাদ্যদ্রব্যের মান অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
❐ পশুপালন ও আগুনের ইতিহাস সংক্ষেপে আলোচনাঃ
এখন আমরাও খাদ্যের জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এখনকার মতো তখনকার দিনে কৃষি এত উন্নত ছিল না। তখনকার মানুষ নদীর ধারে জলের সুবিধার জন্য বাস করত। এ ছাড়াও নদীতে মাছ শিকার
করত, খাদ্যের জন্য বনে-জঙ্গলেও যেত। লাঠি, পাথর দিয়ে হরিণ, গাধা, গোরু, মহিষ মেরে খেত। এই পশু শিকার করতে করতে মানুষ একদিন পশুপালন শুরু করে। এ ছাড়াও বন-জঙ্গল থেকে ফল, মূল, পাতা সংগ্রহ করে খেত। তবে তখনও মানুষ আগুনের ব্যবহার জানত না। তাই সবই কাঁচা খেত। পরে জঙ্গলের শুকনো ডালে ঘষা লেগে আগুন জ্বলতে দেখল। এরপর থেকে আস্তে আস্তে আগুনের ব্যবহার শিখল।
▻ দলে করি বলাবলি তারপরে লিখে ফেলি উত্তরঃ (পৃষ্ঠা - ৪৮)
আম নিয়ে যা জানো নীচে লেখো। দরকারে বড়োদের কাছে জানতে চাও :
নানারকম আমের নাম | সেই আম কোথায় পাওয়া যায় | কোন সময় পাকে | স্বাদ কেমন |
---|---|---|---|
ফজলি | মালদহ, মুরশিদাবাদ | গ্রীষ্ম, বর্ষা | মিষ্টি, টক |
তোতাপুরি | মালদহ | গ্রীষ্ম, বর্ষা | মিষ্টি |
হিমসাগর | মালদহ | গ্রীষ্ম, বর্ষা | মিষ্টি |
এখন আমরাও খাদ্যের জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এখনকার মতো তখনকার দিনে কৃষি এত উন্নত ছিল না। তখনকার মানুষ নদীর ধারে জলের সুবিধার জন্য বাস করত। এ ছাড়াও নদীতে মাছ শিকার
করত, খাদ্যের জন্য বনে-জঙ্গলেও যেত। লাঠি, পাথর দিয়ে হরিণ, গাধা, গোরু, মহিষ মেরে খেত। এই পশু শিকার করতে করতে মানুষ একদিন পশুপালন শুরু করে। এ ছাড়াও বন-জঙ্গল থেকে ফল, মূল, পাতা সংগ্রহ করে খেত। তবে তখনও মানুষ আগুনের ব্যবহার জানত না। তাই সবই কাঁচা খেত। পরে জঙ্গলের শুকনো ডালে ঘষা লেগে আগুন জ্বলতে দেখল। এরপর থেকে আস্তে আস্তে আগুনের ব্যবহার শিখল।
▻ দলে করি বলাবলি তারপরে লিখে ফেলি উত্তরঃ (পৃষ্ঠা - ৫০)
আগেকার মানুষের খাবার জোগাড় করা আর রান্না করা বিষয়ে তোমার নানারকম ভাবনা নীচে লেখো :

Download