অধ্যায় (৭) জাতিসংঘ এবং সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ নবম শ্রেণী ইতিহাস নোটস মার্ক - ২


Q. ‘আটলান্টিক চার্টার’ কী?
➺ মার্কিন রাষ্ট্রপতি রুজভেল্ট ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৯ আগস্ট আটলান্টিক মহাসাগরে ‘প্রিন্স অব ওয়েল্স’ নামে এক যুদ্ধজাহাজে গোপন বৈঠকে যোগ দেন এবং যুদ্ধশেষে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার সম্পর্কে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেন। এটি ‘আটলান্টিক সনদ’ নামে পরিচিত।

Q. 'UNICEF' কী?
➺ ইউনিসেফ হল সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের অধীনস্থ একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। ‘UNICEF’ শব্দটির পুরো অর্থ হল—United Nations International Children's Emergency Fund। এটি সমগ্র বিশ্বের শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে।

Q. আনরা (UNRRA) কী?
➺‘আনরা’ (UNRRA) কথার পুরো অর্থ হল – United Nations Relief and Rehabiliation Administration । এটি একটি আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টায় ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে আত্মপ্রকাশ করলেও এটি ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে জাতিপুঞ্জের অংশ হয়ে যায়। এই প্রতিষ্ঠানের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধ কবলতি মানুষদের খাদ্য, আশ্রয়, পোশাক, চিকিৎসা এবং অন্যান্য মৌলিক চাহিদাগুলির ব্যবস্থা করা।
Q. ‘সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের ঘোষণাপত্র’ কী?
অথবা,‘রাষ্ট্রসংঘের ঘোষণাপত্র’ কী?
➺ আমেরিকা, সোভিয়েত রাশিয়া, ইংল্যান্ড, চিন-সহ বিশ্বের ২৬টি দেশের প্রতিনিধিগণ ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে ওয়াশিংটন শহরে মিলিত হয়ে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা বিষয়ক আটলান্টিক সনদের নীতিগুলি মেনে নিয়ে এক দলিলে স্বাক্ষর করে। এটি ‘সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের ঘোষণাপত্র’/‘রাষ্ট্রসংঘের ঘোষণাপত্র’ নামে পরিচিত।

Q. জাতিপুঞ্জের দিবস পালন করা হয় কবে?
➺ ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ২৪ অক্টোবর সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রতিষ্ঠা হয়। এই প্রতিষ্ঠা দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে প্রতিবছর ২৪ অক্টোবর জাতিপুঞ্জ দিবস পালন করা হয়।

অধ্যায় (১) ফরাসি বিপ্লবের কয়েকটি দিক
(২) মার্কের নোটস (৪) মার্কের নোটস (৮) মার্কের নোটস MCQ Test
Click Here Click Here Click Here Click Here

Q. জাতিসংঘ ও সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রথম মহাসচিবের নাম লেখো।
➺ জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিবের নাম স্যার এরিক ডুমন্ড। সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রথম মহাসচিবের নাম ট্রিগভি লি ।

Q. জাতিপুঞ্জের ব্যর্থতার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করো।
➺ জাতিপুঞ্জের বিভিন্ন ব্যর্থতার প্রধান কারণগুলি হল— [1] জাতিপুঞ্জের নিজস্ব সেনাবাহিনী না থাকা, [2] নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের দ্বারা ‘ভেটো’ প্রয়োগ, [3] জাতিপুঞ্জের সনদের কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি, [4] আমেরিকার আগ্রাসী মনোভাব প্রভৃতি।
Q. লিগ কভেনান্ট’ কী?
➺ প্যারিসের শান্তি সম্মেলনে (১৯১৯ খ্রি.) মার্কিন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসনের সভপতিত্বে একটি কমিটি ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিসংঘের খসড়া সংবিধান রচনা করেন। এটি ‘লিগ কভেনান্ট’ বা
‘লিগের গঠনতন্ত্র’ বা ‘লিগের চুক্তিপত্র’ নামে পরিচিত।

Q. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের দুটি মৌলিক নীতির উল্লেখ করো।
➺ সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের দুটি মৌলিক নীতি হল—[1] প্রত্যেকটি সদস্য রাষ্ট্র সমান সার্বভৌম মর্যাদা ভোগ করবে। [2] কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জাতিপুঞ্জ হস্তক্ষেপ করবে না।

Q. ভেটো কী?
➺ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক একতরফাভাবে কোনো কোনো আইন বা সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করার ক্ষমতাকে ভেটো বলে। যেমন—সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ৫ সদস্যরাষ্ট্রের কোনো একটি রাষ্ট্র কোনো একটি সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিলে সিদ্ধান্তটি আর কার্যকর করা যায় না। "

Q.‘FAO’ এবং ‘WHO’ কথা দুটির পুরো অর্থ কী?
অথবা, FAO ও WHO কথা দুটির সম্পূর্ণ নাম লেখো।
➺ ‘FAO’ কথাটির পুরো অর্থ হল—Food and Agricultural Organization (খাদ্য ও কৃষি সংস্থা) এবং ‘WHO' কথাটির পুরো অর্থ হল World Health Organization (বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা)।

Q. ‘অছি পরিষদ’ কী?
➺‘অছি পরিষদ’ সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। সাধারণ সভা দ্বারা অনুমোদিত সদস্য এবং নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের নিয়ে এই পরিষদ গঠিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অক্ষশক্তির কাছ থেকে পাওয়া যেসব অনুন্নত অঞ্চলের অধিবাসীরা স্বাধীনতা লাভের উপযুক্ত ছিল না, তাদের জাতিপুঞ্জ এবং কয়েকটি বৃহৎ রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে রেখে রাজনৈতিক, আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটানোই অছি পরিষদের লক্ষ্য ছিল।
Q. জাতিপুঞ্জের আন্তর্জাতিক বিচারালয় সম্পর্কে কী জান?
➺ জাতিপুঞ্জের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল আন্তর্জাতিক বিচারালয়। এটি নেদাল্যান্ডের হেগ শহরে অবস্থিত। আন্তর্জাতিক আইনের ব্যাখ্যাদান; বিবাদের নিষ্পত্তি ও সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে আইন সংক্রান্ত বিবাদের মীমাংসা প্রভৃতির উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক বিচারালয় স্থাপিত হয়। এই বিচারালয় ১৫ জন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত।

Q. জাতিপুঞ্জের মহাসচিবের কাজ কী?
➺ জাতিপুঞ্জের মহাসচিবের কাজ হল জাতিপুঞ্জের সচিবালয়টি পরিচালনা করা, আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলির সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া প্রভৃতি।

Q. জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠায় উইলসনের চোদ্দো দফা শর্তের কী ভূমিকা ছিল?
➺ মার্কিন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন তাঁর ‘চোদ্দো দফা শর্তের’ চতুর্দশ শর্তে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা, ছোটো-বড়ো সব দেশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা রক্ষার উদ্দেশ্যে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গঠনের কথা বলেন। এই উদ্যোগ থেকেই ‘জাতিসংঘ’ বা ‘লিগ অব নেশন্‌স’ গঠিত হয়।

Q. জার্মানি কেন জাতিসংঘের সদস্যপদ ত্যাগ করে?
➺ ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে সুইটজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে হিটলার দাবি করেন যে, হয় জার্মানিকে সামরিক শক্তি বাড়াবার অনুমতি দিতে হবে, নতুবা অন্যান্য রাষ্ট্রেরও সামরিক শক্তি কমিয়ে জার্মানির সমতুল্য করতে হবে। ফ্রান্স এই প্রস্তাব অগ্রাহ্য করলে জার্মান প্রতিনিধিগণ নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলন ত্যাগ করেন এবং সেইসঙ্গে জার্মানি জাতিসংঘের সদস্যপদও ত্যাগ করে।
Q. জেনেভা প্রোটোকলের উদ্দেশ্য কী ছিল?
➺ জাতিসংঘের গ্রিস ও চেকোশ্লোভাকিয়ার প্রতিনিধিরা ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে লিগের সাধারণ সভায় একটি দলিল পেশ করে যা ‘আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা খসড়া চুক্তি’ বা জেনেভা প্রোটোকল নামে পরিচিত। এই প্রোটোকলের উদ্দেশ্যগুলি ছিল— [1] আক্রমণাত্মক যুদ্ধকে আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা। [2] জাতিসংঘের ত্রুটিগুলি দূর করে যৌথ নিরাপত্তা ও বিশ্বশান্তি সুনিশ্চিত করা। [3] আন্তর্জাতিক আইন বা চুক্তির শর্ত ব্যাখ্যার বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা দিলে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হওয়া। [4] সমস্ত বিরোধকে লিগ কাউন্সিলের সামনে উপস্থাপিত করা।

Q. জাতিপুঞ্জের স্থায়ী সদস্য কারা?
অথবা, সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলির নাম লেখো।
➺ জাতিপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সংখ্যা ৫টি  এই স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রগুলি হল—[1] আমেরিকা, [2] ব্রিটেন, [3] ফ্রান্স,[4] রাশিয়া ও [5] চিন।

Q. জাতিসংঘের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
➺ জাতিসংঘের দুটি বৈশিষ্ট্য ছিল—[1] আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা করা। [2] আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের বিরোধের মীমাংসা করা।

Q. জাতিসংঘের দুটি মূল উদ্দেশ্য লেখো।
➺ জাতিসংঘের দুটি মূল উদ্দেশ্য ছিল—[1] বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা রক্ষা করা, [2] বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের কল্যাণ বিধানে কাজ করা।

Q. জাতিসংঘের একটি প্রধান দুর্বলতা উল্লেখ করো।
➺ কয়েকটি বৃহৎ শক্তি জাতিসংঘের সদস্যপদ গ্রহণ করেনি এবং অন্য কয়েকটি বৃহৎ শক্তি সদস্যপদ প্রত্যাহার করেছিল। এভাবে কিছু বৃহৎ শক্তি জাতিসংঘের বাইরে থাকায় জাতিসংঘ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং
জাতিসংঘ শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে। গ্রন্থ সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ গঠনের দুটি উদ্দেশ্য লেখো।
Q. ওয়াশিংটন সম্মেলন কবে আহূত হয়? কারা এতে স্বাক্ষর করেন?
➺ ওয়াশিংটন সম্মেলন ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি আহূত হয়। ওয়াশিংটন সম্মেলনে আমেরিকা, সোভিয়েত রাশিয়া, ইংল্যান্ড ও চিন-সহ বিশ্বের ২৬টি দেশের প্রতিনিধিগণ ‘জাতিপুঞ্জের ঘোষণাপত্র’ বা
‘রাষ্ট্রসংঘের ঘোষণাপত্র’-এ স্বাক্ষর করেন।

Q. ‘লিগ অব নেশন্‌স’-এর অঙ্গগুলি কী কী?
➺‘লিগ অব নেশন্‌স’-এর প্রধান অঙ্গ ছিল ৫টি। যথা— [1] সাধারণ সভা, [2] লিগ পরিষদ, [3] সচিবালয়, [4] আন্তর্জাতিক বিচারালয় এবং [5] আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থা। এ ছাড়া স্থায়ী তত্ত্বাবধায়ক কমিশন, সংখ্যালঘু সমিতি-সহ অন্যান্য কয়েকটি কমিটিও ছিল।

Q. জাতিসংঘের প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল?
অথবা, জাতিসংঘের উদ্দেশ্য কী ছিল?
➺ জাতিসংঘ তার প্রধান উদ্দেশ্য হিসেবে ঘোষণা করে যে, জাতিসংঘের সদস্য-রাষ্ট্রগুলি—[1] পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিবাদের মীমাংসা করে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করবে। [2] ন্যায় ও সততার ভিত্তিতে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ করবে। [3] আন্তর্জাতিক আইন, চুক্তি, সন্ধি প্রভৃতি যথাযথভাবে মেনে চলবে। [4] জাতিসংঘের নির্দেশে অন্যায়ভাবে আক্রমণকারী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ, এমনকি প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করবে। [5] অবহেলিত নারী, শিশু, শ্রমিক প্রভৃতি শ্রেণির স্বার্থরক্ষায় কাজ করবে।

Q. কে, কবে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করেন?
➺ মার্কিন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৮ এপ্রিল জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করেন।
Q. কবে, কাদের মধ্যে কেলগ-ব্রিয়াঁ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়? এই চুক্তির উদ্দেশ্য কী ছিল?
➺ ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ২৭ আগস্ট মার্কিন স্বরাষ্ট্রসচিব ফ্রাঙ্ক কেলগ ও ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরিস্তিদ ব্রিয়াঁ-র মধ্যে কেলগ-ব্রিয়াঁ চুক্তি বা প্যারিসের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কেলগ-ব্রিয়াঁ চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধ প্রতিরোধ, শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধের মীমাংসা, যৌথ নিরাপত্তা সুদৃঢ় করা প্রভৃতি।

Q. জাপান কবে, কেন জাতিসংঘ ত্যাগ করে?
➺ জাপান ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ ত্যাগ করে। জাপান অন্যায়ভাবে চিনের মাঞ্চুরিয়া দখল (১৯৩২ খ্রি.) করলে চিনের অভিযোগের ভিত্তিতে জাতিসংঘ জাপানের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লিটন কমিশন গঠন করে। এর প্রতিবাদে জাপান জাতিসংঘ ত্যাগ করে।

Q. জাতিসংঘের ব্যর্থতার দুটি উদাহরণ দাও।
অথবা, লিগ অব নেশন্‌স-এর ব্যর্থতার দুটি কারণ লেখো।
➺ জাতিসংঘের উল্লেখযোগ্য দুটি ব্যর্থতা ছিল [1] জাপান ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে চিনের মাঞ্চুরিয়া আক্রমণ ও দখল (১৯৩২ খ্রি.) করলে জাতিসংঘ জাপানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। [2] ইটালি ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে অ্যাবিসিনিয়া আক্রমণ করলে সেক্ষেত্রেও জাতিসংঘ কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়।

Q. জাতিসংঘের জনক কে? এর প্রথম মহাসচিব কে?
➺ জাতিসংঘের জনক হলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন। জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ছিলেন স্যার এরিক ট্রুমন্ড।

Q. জাতিসংঘ কী উদ্দেশ্যে, কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
➺ জাতিসংঘ ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৮ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্যগুলি ছিল – [1] পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিবাদের মীমাংসা করা। [2] বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা। [3] ন্যায় ও সততার ভিত্তিতে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ। [4] আন্তর্জাতিক আইন, চুক্তি ও সন্ধিগুলি যথাযথভাবে মেনে চলা। [5] বঞ্চিত শিশু, নারী, শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করা।

Q. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ বা রাষ্ট্রসংঘ কবে ঘোষিত হয়েছিল? এর উদ্যোক্তা কে কে ছিলেন?
➺ ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে আটলান্টিক সনদের মাধ্যমে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ ঘোষিত হয়। সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের উদ্যোক্তা ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি রুজভেল্ট এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল।
Q. জাতিপুঞ্জ বা UNO-এর অন্তর্ভুক্ত সংস্থাগুলির নাম লেখো।
➺ জাতিপুঞ্জ বা UNO-এর অন্তর্ভুক্ত প্রধান সংস্থা হল ৬টি যথা [1] সাধারণ সভা, [2] নিরাপত্তা পরিষদ, [3] অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, [4] অছি পরিষদ, [5] আন্তর্জাতিক বিচারালয়, [6] সচিবালয়।

Q. জাতিপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের মূল কাজ কী?
➺ জাতিপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের মূল কাজ হল– [1] আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা, [2] সালিশির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিরোধের মীমাংসা করা, [3] প্রয়োজনে বিচারে অভিযুক্ত রাষ্ট্রকে
শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।

Q. জাতিপুঞ্জের প্রধান কয়েকটি ব্যর্থতা উল্লেখ করো।
➺ জাতিপুঞ্জের বিভিন্ন ব্যর্থতার মধ্যে প্রধান কয়েকটি হল— [1] চেকোস্লোভাকিয়ায় রুশ হস্তক্ষেপ প্রতিহত করতে ব্যর্থতা, [2] ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতা, [3] বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে জাতিপুঞ্জের ব্যর্থ সংগ্রাম, [4] উপসাগরীয় যুদ্ধে (১৯৯০ খ্রি.) জাতিপুঞ্জের ব্যর্থতা প্রভৃতি।

 নবম শ্রেণী ইতিহাস নোটস মার্ক ➛ ২ ও ৪ এবং ৮

Type Here ....

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন