সপ্তম শ্রেণি পরিবেশ ও বিজ্ঞান চুম্বক
❐ সপ্তম শ্রেণি পরিবেশ ও বিজ্ঞান
Mark - 2/3
1. চৌম্বক পদার্থ ও অচৌম্বক পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও ।
➛ চৌম্বক পদার্থ : যেসব পদার্থ চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় এবং যাদের সহজে কৃত্রিম চুম্বকে পরিণত করা যায়, তাদের চৌম্বক পদার্থ বলে। উদাহরণ: লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ও কয়েকপ্রকার ইস্পাত।
➛ অচৌম্বক পদার্থ : যেসব পদার্থ চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় না এবং যাদের কৃত্রিম চুম্বকে পরিণত করা যায় না, তাদের অচৌম্বক পদার্থ বলে। উদাহরণ: কাচ, কাগজ, কাঠ, তামা, পিতল, দস্তা ইত্যাদি।
2. প্রাকৃতিক চুম্বক কী? চুম্বকের বিভিন্ন ধর্মগুলি লেখো।
➛ প্রাকৃতিক চুম্বক হল এক ধরনের পাথর, যা লোহাকে আকর্ষণ করে। এই পাথরের নাম হল ম্যাগনেটাইট। ❐ চুম্বকের বিভিন্ন ধর্ম: ① আকর্ষণ ধর্ম, ② দিক্নির্দেশক ধর্ম, ③ আবেশী ধর্ম, ④ সমমের পরস্পরকে বিকর্ষণ বিপরীত মেরু পরস্পরকে আকর্ষণ করে, ⑤ আগে আবেশ ও পরে আকর্ষণ হয়, ⑥ চুম্বকের সর্বদা দুটি বিপরীত মেরু থাকে, ⑦ একক মেরুর অস্তিত্ব নেই।
3. প্রাকৃতিক চুম্বককে লোডস্টোন বলা হয় কেন?
➛ ইংরেজি শব্দ 'Leading Stone' থেকে ‘লোডস্টোন' শব্দটি এসেছে, যার অর্থ হল ‘দিক্নির্দেশক পাথর'। প্রাচীনকালে নাবিকরা প্রাকৃতিক চুম্বককে কম্পাস হিসেবে ব্যবহার করতেন। এই কারণেই প্রাকৃতিক চুম্বকের অপর নাম লোডস্টোন।
4. প্রাকৃতিক চুম্বক ও কৃত্রিম চুম্বকের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
অথবা, প্রাকৃতিক চুম্বক এবং কৃত্রিম চুম্বকের দুটি পার্থক্য লেখো।
➛ প্রাকৃতিক চুম্বক ও কৃত্রিম চুম্বকের মধ্যে কয়েকটি পার্থক্য হল—
প্রাকৃতিক চুম্বক | কৃত্রিম চুম্বক |
---|---|
① নির্দিষ্ট কোনো আকার নেই। | ① নির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকার আছে। ব্যাবহারিক প্রয়োজনে বিভিন্ন আকারের কৃত্রিম চুম্বক তৈরি করা যায়। |
② মেরুশক্তির পরিবর্তন করা যায় না। | ② মেরুশক্তি একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত বাড়ানো বা কমানো যায় । |
③ প্রাকৃতিক চুম্বকের মেরুর অবস্থান নির্দিষ্ট। কোনো ভাবেই এই অবস্থানের পরিবর্তন ঘটানো যায় না। | ③ কৃত্রিম চুম্বকের (তড়িৎচুম্বকের) মেরুর অবস্থান ইচ্ছামতো পালটানো যায়। |
5. লোহাচুরের মধ্যে একটি দণ্ডচুম্বক রেখে তারপর তুলে নেওয়া হল। দণ্ডটির কোথায় লোহাচুর বেশি আটকে থাকবে? এরূপ হওয়ার কারণ কী?
➛ দণ্ডচুম্বকটির দুই প্রান্তে লোহাচুর সবচেয়ে বেশি আটকে থাকবে এবং মাঝখানে সবচেয়ে কম আটকে থাকবে। এর কারণ, দণ্ডচুম্বকের দুই প্রান্তে মেরু থাকে, তাই সেখানে আকর্ষণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। অপরপক্ষে চুম্বকের ঠিক মাঝখানে চুম্বকের উদাসীন অঞ্চল অবস্থিত তাই এখানে আকর্ষণ ক্ষমতা প্রায় নেই বললেই চলে। ফলত, দণ্ডচুম্বকটির দুই প্রান্তে সবচেয়ে বেশি এবং মাঝখানে সবচেয়ে কম লোহাচুর আটকে থাকবে।
6. চুম্বকের মেরু কাকে বলে?
➛ কোনো চুম্বকের দুই প্রান্তের যে দুই অঞ্চলে আকর্ষণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি, সেই দুই অঞ্চলকে চুম্বকের মেরু বলে।
7. উত্তর ও দক্ষিণ মেরু কী?
➛ বাধাহীনভাবে ঝুলন্ত বা ভাসমান অবস্থায় কোনো চুম্বকের একটি প্রান্ত সর্বদা উত্তরমুখী এবং অপর প্রান্ত সর্বদা দক্ষিণমুখী হয়। চুম্বকের যে মেরুটি উত্তরদিকে মুখ করে থাকে, তাকে উত্তর মেরু এবং যে মেরুটি দক্ষিণদিকে মুখ করে থাকে, তাকে দক্ষিণ মেরু বলা হয়।
8. চৌম্বক অক্ষ কাকে বলে? চিত্রসহ উত্তর দাও।
➛ চুম্বকের দুই মেরু সংযোগকারী কাল্পনিক সরলরেখাকে চৌম্বক অক্ষ বলে। চিত্র 2-এ প্রদর্শিত N ও S-কে সংযোগকারী XY সরলরেখাটি চুম্বকের চৌম্বক অক্ষ।
9. বিকর্ষণই চুম্বকত্বের প্রকৃষ্ট প্রমাণ—ব্যাখ্যা করো।
অথবা, আকর্ষণ অপেক্ষা বিকর্ষণ চুম্বকত্বের নিশ্চিততর প্রমাণ—ব্যাখ্যা করো।
➛ একটি দণ্ড চুম্বক কি না তা পরীক্ষা করতে হলে ওই দণ্ডের একপ্রান্ত একটি চুম্বক শলাকার যে-কোনো একটি মেরুর কাছে আনা হল ৷ এখন নীচের দুটি ঘটনার মধ্যে যে-কোনো একটি ঘটতে পারে।
10. তিনটি একই ধরনের দণ্ড যথাক্রমে চুম্বক, চৌম্বক পদার্থ ও অচৌম্বক পদার্থ দিয়ে তৈরি। অন্য কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়া কীভাবে তাদের শনাক্ত করবে?
➛ ধরা যাক, A, B ও C হল তিনটি একই রকমের দণ্ড। এদের মধ্যে একটি চুম্বক, একটি চৌম্বক পদার্থ এবং একটি অচৌম্বক পদার্থ । ① দণ্ড তিনটির প্রত্যেকটির কোনো এক প্রান্ত দিয়ে অপর দুটি দণ্ডকে স্পর্শ করা হল। দেখা গেল একটি দণ্ড (ধরা যাক, A) অপর দুটি দণ্ডের (B ও C ) কোনোটিকেই আকর্ষণ করছে না। সুতরাং বোঝা গেল, A দণ্ডটি অচৌম্বক পদার্থ এবং B ও C দণ্ড দুটির মধ্যে একটি চুম্বক এবং অপরটি চৌম্বক পদার্থ । ② এবার B দণ্ডটির যে-কোনো একটি প্রান্তকে C দণ্ডটির গা বরাবর একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া হল। যদি দেখা যায় যে সব জায়গায় সমান আকর্ষণ হচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে B দণ্ডটি চুম্বক এবং C দণ্ডটি চৌম্বক পদার্থ। ③ কিন্তু যদি দেখা যায়, C দণ্ডের দু-প্রান্তে আকর্ষণ বেশি হচ্ছে অথচ ঠিক মাঝখানে কোনো আকর্ষণ নেই, তাহলে C দণ্ডটি চুম্বক এবং B দণ্ডটি চৌম্বক পদার্থ।
11. চৌম্বক আবেশ বলতে কী বোঝ?
➛ কোনো চৌম্বক পদার্থকে একটি শক্তিশালী চুম্বকের কাছে আনলে বা তার সঙ্গে স্পর্শ করালে চৌম্বক পদার্থটি সাময়িকভাবে চুম্বকে পরিণত হয়। এই ঘটনাকে চৌম্বক আবেশ বলে। চুম্বকটিকে সরিয়ে নিলে চৌম্বক পদার্থটির চুম্বকত্ব নষ্ট হয়ে যায়।
ঘটনা | সিদ্ধান্ত | যুক্তি |
---|---|---|
① চুম্বক শলাকার মেরুটি দণ্ডের দিকে ঘুরে এল অর্থাৎ আকর্ষণ ঘটল। | এক্ষেত্রে দণ্ডটি চুম্বক কি না তা সঠিকভাবে বলা যাবে না। দণ্ডটি চৌম্বক পদার্থও হতে পারে। | মধ্যে আকর্ষণ হয়। আবার, দুটি চুম্বকের বিষম মেরুর মধ্যেও আকর্ষণ হয়। |
② চুম্বক শলাকার মেরুটি দণ্ডের দিক থেকে দূরে সরে গেল অর্থাৎ বিকর্ষণ ঘটল। | দণ্ডটি নিশ্চিতভাবে চুম্বক। | বিকর্ষণ কেবলমাত্র চুম্বকের দুটি সমমেরুর মধ্যেই সম্ভব। এক্ষেত্রে চুম্বক শলাকা ও দণ্ডটির মুখোমুখি প্রান্তে সমমেরু থাকে। |
12. আলাদাভাবে শুধু একটি চৌম্বক মেরুর অস্তিত্ব সম্ভব নয়—ব্যাখ্যা করো।
➛ একটি দণ্ডচুম্বকের উত্তর (N) ও দক্ষিণ (S) মেরু চিহ্নিত করার পরে চুম্বকটিকে মাঝখান থেকে কেটে দুই টুকরো করা হল। একটি চুম্বকশলাকা দিয়ে পরীক্ষা করলে বোঝা যায় টুকরো দুটির প্রত্যেকটির দুই প্রান্তে দুটি বিপরীত মেরুর (N ও S) সৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে, উক্ত দুটি টুকরোর প্রত্যেকটিকে পুনরায় কাটলে দেখা যায় প্রত্যেকটি টুকরোই দুই মেরুবিশিষ্ট স্বয়ংসম্পূর্ণ চুম্বকে পরিণত হয়েছে। সুতরাং, বলা যায় আলাদাভাবে শুধুমাত্র একটি চৌম্বক মেরুর অস্তিত্ব সম্ভব নয়।
13. পদার্থের ভৌতধর্ম বলা হয় কেন?
➛ চৌম্বক পদার্থকে সহজেই ঘর্ষণের মাধ্যমে বা তড়িৎপ্রবাহ চালনা করে চুম্বকে পরিণত করা যায়। একইভাবে, তাপ প্রয়োগ বা আঘাতের ফলে সেই চৌম্বক পদার্থকে বিচুম্বকিত করা যায়। এর জন্য পদার্থের ভর, আয়তন, আকার, বর্ণ ইত্যাদির কোনো পরিবর্তন হয় না। তাই চুম্বকত্বকে পদার্থের ভৌত ধর্ম বলা হয় ৷
14. পৃথিবী যে নিজেই একটি চুম্বক উত্তরের সমর্থনে যুক্তি দাও।
অথবা, “একটি চুম্বকের মাঝখান থেকে সুতো বেঁধে ঝুলিয়ে দিলে সেটি উত্তর-দক্ষিণ মুখ করে থাকে”— ব্যাখ্যা করো।
➛ একটি চুম্বকের মাঝখান থেকে সুতো বেঁধে ঝুলিয়ে দিলে বা একটা লোহার দণ্ডকে বহুদিন ধরে পৃথিবীর উত্তর-দক্ষিণ দিক বরাবর রেখে দিলে দেখা যায় দণ্ডটির মধ্যে ক্ষীণ চুম্বকত্ব সৃষ্টি হয়েছে। দণ্ডটার উত্তরমুখী প্রান্তে উত্তর মেরু এবং দক্ষিণমুখী প্রান্তে দক্ষিণ মেরু সৃষ্টি হয়। এর কারণ, পৃথিবী নিজেই একটা চুম্বক। ভৌগোলিক উত্তর ও দক্ষিণ মেরু দুটির কাছে পৃথিবীর চুম্বকীয় মেরু দুটি অবস্থিত। এই মেরু দুটির আবেশের ফলেই দণ্ডটিতে ক্ষীণ চুম্বকত্ব সৃষ্টি হয়। এর ফলেই দণ্ডচুম্বকের দুটি বিপরীত মেরু ওই মেরু দুটির আকর্ষণে উত্তর-দক্ষিণ মুখ করে থাকে।
15. তড়িৎচুম্বক কাকে বলে?
➛ লোহার দণ্ডের ওপর অন্তরিত তামার তার জড়িয়ে ওই তারের মধ্য দিয়ে সমপ্রবাহ পাঠালে লোহার দণ্ডটি চুম্বকে পরিণত হয় কিন্তু তড়িৎপ্রবাহ বন্ধ করলে চুম্বকটির চুম্বকত্ব লোপ পায়। এই চুম্বককে তড়িৎচুম্বক বলে।
16. মজ্জা কী?
➛ যে ধাতব দণ্ডের ওপর অন্তরিত তামার তার জড়িয়ে তড়িৎ প্রবাহিত করে তড়িৎচুম্বক তৈরি করা হয়, তাকে ওই তড়িৎচুম্বকের মজ্জা বলে। এক্ষেত্রে লোহার দণ্ডটি হল তড়িৎচুম্বকের মজ্জা।
17. তড়িৎচুম্বক কীভাবে তৈরি করবে চিত্রসহ বর্ণনা দাও ৷
➛ একটি লোহার তৈরি দণ্ডের ওপর অন্তরিত তামার তার জড়িয়ে তারটির একপ্রান্ত একটি বৈদ্যুতিক সুইচ-এর মাধ্যমে ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত করা হয় এবং অপর প্রান্তটি ব্যাটারির ঋণাত্মক প্রান্তের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এরপর ওই সুইচটি অন করলে অন্তরিত তামার তারের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হয় এবং লোহার দণ্ডটি অস্থায়ী তড়িৎচুম্বকে পরিণত হয় ৷
18. তড়িৎচুম্বকের শক্তি কীভাবে বাড়ানো যায়?
➛ তড়িৎচুম্বকের শক্তি বৃদ্ধি করার কয়েকটি উপায় হল— ① কুণ্ডলীকৃত (পাকানো) অন্তরিত তারটির একক দৈর্ঘ্যে পাকসংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। ② তড়িৎপ্রবাহমাত্রা বৃদ্ধি করতে হবে। ③ ব্যবহৃত চৌম্বক পদার্থটির উপাদানের পরিবর্তন ঘটিয়েও তড়িৎচুম্বকের শক্তি বৃদ্ধি করা যায়।
19. দণ্ডচুম্বক কী কাজে ব্যবহার করা হয়? তড়িৎচুম্বকের দুটি ব্যবহার লেখো।
❐ দণ্ডচুম্বকের ব্যবহার : ① দণ্ডচুম্বক ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন চুম্বক-সংক্রান্ত পরীক্ষায় ব্যবহার করা হয়। ② ফ্রিজের দরজায় দণ্ডচুম্বক ব্যবহার হয়। ❐ তড়িৎচুম্বকের ব্যবহার : ① বৈদ্যুতিক ঘণ্টা, বৈদ্যুতিক মোটর প্রভৃতি যন্ত্রে তড়িৎচুম্বক ব্যবহার করা হয়। ② চোখে লোহার গুঁড়ো পড়লে তা বের করে আনার জন্য ডাক্তাররা বিশেষ ধরনের তড়িৎচুম্বক ব্যবহার করেন।
20. পৃথিবী একটা বিরাট চুম্বক না হলে কী কী ঘটনা ঘটত?
➛ পৃথিবী একটা বিরাট চুম্বক না হলে, তার কোনো বলরেখা থাকত না। ফলে পরিযায়ী পাখিরা ও কচ্ছপরা ঠান্ডা অঞ্চল থেকে গরম অঞ্চলে গিয়ে শীত শেষে পুনরায় আদি বাসভূমিতে ফেরার ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়ত। এ ছাড়া মহাবিশ্ব থেকে যে মহাজাগতিক রশ্মি ক্রমাগত পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে এবং পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সঙ্গে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ঘটিয়ে বিকিরণ বলয় ও মেরুজ্যোতি বা অরোরা উৎপন্ন করে, তা ব্যাহত হত। ফলে মেরুজ্যোতির অনুপস্থিতিতে ওই অঞ্চলের জীবজগতের বহু কাজই ব্যাহত হত। জীবের শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ায় ভূচৌম্বক ক্ষেত্রের যে ভূমিকা আছে, সেগুলি পালিত না হওয়ার কারণে শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া অসুবিধার সম্মুখীন হত।
21. ভূচুম্বকের বলরেখার পথ কীরূপ? এর একটি চিত্র অঙ্কন করো।
অথবা, ভূচুম্বক বলরেখাগুলি এঁকে দেখাও।
➛ ভূচুম্বকের বলরেখা উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত।
22. পরিযায়ী পাখি, কচ্ছপ—এরা কীভাবে সঠিক পথ অনুসরণ করে চলে?
➛ পৃথিবীর চুম্বক বলরেখা উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত। পরিযায়ী পাখি ও কচ্ছপরা ওই চুম্বক বলরেখাকে অনুসরণ করে অধিক শীতযুক্ত স্থান থেকে তুলনামূলক কম শীতযুক্ত স্থানে পাড়ি দেয় এবং শীতের প্রকোপ কমলে একইভাবে উৎস স্থানে ফিরে আসে।
23. মেরুজ্যোতি বা অরোরা কীভাবে উৎপন্ন হয়?
অথবা, মেরুজ্যোতি কীভাবে গঠিত হয় এবং কোথায় দেখা যায়?
➛ মেরুপ্রদেশে বছরের মধ্যে প্রায় ছয় মাস জুড়ে রাত্রি থাকে । ওই সময় মাঝে মধ্যেই আকাশে নানা রঙের আলোর খেলা দেখা যায় ৷ এটি হল মেরুজ্যোতি। ভ্যান-অ্যালেন বিকিরণ বলয়-ই হল এর কারণ।
24. মেঘলা অন্ধকার দিনেও পায়রারা ঠিকঠাক ঘরে ফিরে আসে কীভাবে? চুম্বকের সাহায্যে পায়রাদের চলার দিক কীভাবে পরিবর্তন করা সম্ভব?
➛ পায়রার খুলি ও মস্তিষ্কের মাঝে ম্যাগনেটাইট নামে এক ধরনের চৌম্বকীয় বস্তু আছে। এর সাহায্যে ভূচৌম্বক বলরেখা অনুসরণ করে মেঘলা অন্ধকার দিনেও পায়রারা ঠিকঠাক ঘরে ফিরে আসে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, পায়রাদের মাথায় একটুকরো চুম্বক লাগিয়ে দিলে তাদের চলার দিক পরিবর্তিত হয়ে যায়।
Mark - 1 MCQ Questions
১. ইলেকট্রিক কলিংবেলে ব্যবহৃত হয়?
Ⓐ চুম্বকিত স্ট্রিপ
Ⓑ তড়িৎচুম্বক
Ⓒ চুম্বক শলাকা
Ⓓ চুম্বক
২. বৈদ্যুতিক পাখায় ব্যবহৃত হয়?
Ⓐ মেরুবিহীন চুম্বক
Ⓑ চুম্বক শলাকা
Ⓒ প্রাকৃতিক চুম্বক
Ⓓ কৃত্রিম চুম্বক
৩. মেরুজ্যোতির কারণ—
Ⓐ পৃথিবীতে যে কারণে বজ্রপাত হয়
Ⓑ পৃথিবীর পরিবেশের দূষণ
Ⓒ পৃথিবীর পরিবেশের উষ্ণতা বৃদ্ধি
Ⓓ পৃথিবী একটা বিরাট চুম্বক তার প্রভাব
৪. পৃথিবীর চুম্বকত্বের সপক্ষে কোটি যুক্তি নয়?
Ⓐ শুধু তড়িৎপ্রবাহের সময় বাড়ানো হল
Ⓑ মাটিতে দীর্ঘদিন পুঁতে রাখা লৌহদণ্ড ক্ষীণ চুম্বকত্ব লাভ করে বাড়ানো হল
Ⓒ তারের পাকসংখ্যা ও তড়িৎপ্রবাহমাত্রা একসঙ্গে বাড়ানো হল
Ⓓ উপরের কোনোটিই নয়
৫. ATM কার্ডে থাকে—
Ⓐ অশ্বক্ষুরাকৃতি চুম্বক
Ⓑ দণ্ডচুম্বক
Ⓒ অশ্বক্ষুরাকৃতি চুম্বক
Ⓓ চুম্বকিত স্ট্রিপ
৬. চুম্বক আকর্ষণ করে না—
Ⓐ লোহা
Ⓑ নিকেল
Ⓒ রবার
Ⓓ কোবাল্ট
৭. একটি চৌম্বক পদার্থ হল—
Ⓐ কাচ
Ⓑ কোবাল্ট
Ⓒ কাগজ
Ⓓ বরফ
৮. একটি অচৌম্বক পদার্থ—
Ⓐ নিকেল
Ⓑ কোবাল্ট
Ⓒ প্লাস্টিক
Ⓓ রবার
৯. প্রদত্ত কোটি অচৌম্বক পদার্থ নয়?
Ⓐ কাঠ
Ⓑ নিকেল
Ⓒ প্লাস্টিক
Ⓓ রবার
১০. প্রাকৃতিক চুম্বক হল—
Ⓐ লোডস্টোন
Ⓑ লাইমস্টোন
Ⓒ ব্রিজস্টোন
Ⓓ মুনস্টোন
১১. দণ্ডচুম্বকের আকর্ষণ ক্ষমতা—
Ⓐ দণ্ড বরাবর সব জায়গায় সমান
Ⓑ দুই প্রান্তে সবচেয়ে বেশি
Ⓒ দুই প্রান্তে সবচেয়ে কম
Ⓓ মাঝখানে সবচেয়ে বেশি
১২. চুম্বকের মেরুসংখ্যা হল—
Ⓐ 1টি
Ⓑ 2টি
Ⓒ 4টি
Ⓓ 5টি
১৩. চুম্বকের চৌম্বক দৈর্ঘ্য ও জ্যামিতিক দৈর্ঘ্যের অনুপাত—
Ⓐ 0.46
Ⓑ 0.66
Ⓒ 0.76
Ⓓ 0.86
১৪. একটি চুম্বকের জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য 100 cm হলে চুম্বকটির চৌম্বক দৈর্ঘ্য—
Ⓐ 86cm
Ⓑ 80 cm
Ⓒ 90 cm
Ⓓ 20 cm
১৫. চুম্বকের উত্তর মেরু বলে আমরা চুম্বকের যে প্রান্তকে নির্দেশ করি, তা হল—
Ⓐ উত্তর সন্ধানী মেরু
Ⓑ দক্ষিণ সন্ধানী মেরু
Ⓒ ভৌগোলিক উত্তর মেরু
Ⓓ ভৌগোলিক দক্ষিণ মেরু
১৬. দুটি পদার্থের মধ্যে বিকর্ষণ হলে—
Ⓐ দুটিই চৌম্বক পদার্থ
Ⓑ দুটিই অচৌম্বক পদার্থ
Ⓒ একটি চুম্বক অপরটি চৌম্বক পদার্থ
Ⓓ দুটি পদার্থই চুম্বক
১৭. একটি ধাতব দণ্ড একটি চুম্বক শলাকার উত্তর মেরুকে বিকর্ষণ করে, এতে প্রমাণিত হয়—
Ⓐ দণ্ডটি লোহার
Ⓑ দণ্ডটি তামার
Ⓒ দণ্ডটি চুম্বক
Ⓓ কোনোটিই নয়
১৮. চুম্বকত্বের নিশ্চিত পরীক্ষা হল—
Ⓐ শুধু আকর্ষণী ধর্মের পরীক্ষা
Ⓑ শুধু বিকর্ষণী ধর্মের পরীক্ষা
Ⓒ আকর্ষণ ও বিকর্ষণ উভয় ধর্মের পরীক্ষা
Ⓓ চুম্বক আবেশের পরীক্ষা
১৯. চুম্বক আকর্ষণের পূর্বে যে ঘটনাটি ঘটে সেটি হল—
Ⓐ আকর্ষণ-বিকর্ষণ
Ⓑ আবেশ
Ⓒ বিকর্ষণ
Ⓓ তরঙ্গ
২০. নীচের কোন বক্তব্যটি সঠিক নয়?
Ⓐ সমমেরু পরস্পরকে বিকর্ষণ করে
Ⓑ বিপরীত মেরু পরস্পরকে আকর্ষণ করে
Ⓒ চৌম্বক আবেশের কারণ হল আকর্ষণ
Ⓓ চুম্বকের দিক্নির্দেশক ধর্ম রয়েছে
২১. একটি দণ্ডচুম্বককে ভেঙে তিনটি টুকরো করা হল —
Ⓐ শুধু প্রান্তের টুকরো দুটিতেই চুম্বকত্ব থাকবে
Ⓑ শুধু মাঝখানের টুকরোটিতেই চুম্বকত্ব থাকবে
Ⓒ তিনটি টুকরোতেই চুম্বকত্ব থাকবে
Ⓓ কোনো টুকরোতেই আর চুম্বকত্ব থাকবে না
২২. চুম্বকের ক্ষেত্রে কোনটি সঠিক নয়?
Ⓐ সমমেরুর পারস্পরিক আকর্ষণ
Ⓑ দিক্নির্দেশক ধৰ্ম
Ⓒ চুম্বকের একক মেরুর অস্তিত্ব নেই
Ⓓ কোনোটিই নয়
২৩. একটি লোহার টুকরোকে একটি শক্তিশালী চুম্বকের কাছে আনলে তা সাময়িকভাবে একটি চুম্বকের মতো আচরণ করে। এটি চুম্বকের কোন ধর্মের জন্য হয়?
➛ এটি চৌম্বক আবেশের জন্য হয়।
২৪. আকর্ষণ ও আবেশের মধ্যে কোটি কার পূর্বে ঘটে?
➛ আকর্ষণের পূর্বে আবেশ ঘটে।
২৫. একটা চুম্বককে সমান 5টি টুকরো করা হলে মোট কয়টি মেরু তৈরি হবে?
➛ একটি চুম্বককে সমান 5টি টুকরো করা হলে চটি চুম্বক পাওয়া যাবে। এর ফলে দুটি উত্তর মেরু ও 5টি দক্ষিণ মেরু অর্থাৎ মোট 10টি মেরু সৃষ্টি হবে। কারণ, প্রতিটি খণ্ডের দুটি করে বিপরীত মেরু থাকে।
২৬. একটি মেরুবিশিষ্ট চুম্বক কি সম্ভব?
➛ চুম্বকের দুটি মেরুকে পৃথক করা যায় না, তাই একটি মেরুবিশিষ্ট চুম্বক পাওয়া অসম্ভব।
২৭. চুম্বকের দিক্নির্দেশক ধর্ম কাকে বলে?
➛ স্বাধীনভাবে ভাসমান বা ঝুলন্ত চুম্বকের সর্বদা উত্তর-দক্ষিণ মুখ করে থাকার ধর্মকেই চুম্বকের দিক্নির্দেশক ধর্ম বলে ৷
২৮. কীভাবে বোঝা যাবে চুম্বকের দিগ্দর্শী ধর্ম আছে?
➛ একটি দণ্ডচুম্বকের মাঝবরাবর পাকহীন সুতো বেঁধে ঝুলিয়ে দিলে দেখা যাবে সেটি সর্বদা উত্তর-দক্ষিণ মুখ করে থাকে। এভাবেই বোঝা যায় চুম্বকের দিকদর্শী ধর্ম আছে।
২৯. চুম্বক কাকে বলে?
➛ যে পদার্থ বিশেষ কয়েকটি পদার্থ যেমন—লোহা, নিকেল, কোবাল্টকে আকর্ষণ করে, তাকে চুম্বক বলে।
৩০. চৌম্বক পদার্থ কাকে বলে?
➛ চুম্বক যে যে পদার্থকে আকর্ষণ করে তাদের চৌম্বক পদার্থ বলে।
৩১. দুটি চৌম্বক পদার্থের নাম লেখো।
➛ দুটি চৌম্বক পদার্থ হল—লোহা ও নিকেল।
৩২. অচৌম্বক পদার্থ কাকে বলে?
➛ যে যে পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করতে পারে না, তাদের অচৌম্বক পদার্থ বলে।
৩৩. দুটি অচৌম্বক পদার্থের নাম লেখো।
➛ দুটি অচৌম্বক পদার্থ হল—কাগজ ও কাচ।
৩৪. একটি ধাতব দণ্ড A -এর একটি প্রান্ত অপর একটি ধাতব দণ্ড B-এর প্রতিটি অংশকেই আকর্ষণ করে। তাহলে A ও B -এর মধ্যে কোনটি চুম্বক, চৌম্বক পদার্থ কিংবা অচৌম্বক পদার্থ?
➛ A হল চুম্বক এবং B হল চৌম্বক পদার্থ ।
৩৫. চুম্বকের ইংরেজি নাম ম্যাগনেট হল কেন?
➛ ম্যাগনেশিয়া নামক অঞ্চলে এক ধরনের পাথর প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় যেগুলো লোহাকে আকর্ষণ করে, চুম্বকের ইংরেজি নাম ম্যাগনেট হওয়ার এটাই কারণ।
সপ্তম শ্রেণি পরিবেশ ও বিজ্ঞান,চুম্বক সপ্তম শ্রেণি,পরিবেশ ও বিজ্ঞান ক্লাস সেভেন চুম্বক,ভৌত পরিবেশ চুম্বক পরিবেশ ও বিজ্ঞান,চুম্বক ক্লাস সেভেন পরিবেশ ও বিজ্ঞান,ক্লাস 7 চুম্বক,সপ্তম শ্রেণী বিঙ্গান চুম্বক,ভৌত ও পরিবেশ সপ্তম শ্রেণী,চুম্বক পরিবেশ বিজ্ঞান,তড়িৎ চুম্বক সপ্তম শ্রেণি,চুম্বক সপ্তম শ্রেণী