[Part-1]
☞ Philosophy MCQ শর্ট কোশ্চেন প্র্যাক্টিস সেট
☞ অধ্যায়ঃ যুক্তি Click Here
☞ অধ্যায়ঃ বচন Click Here
প্রতিটি প্রশ্নের মান - ১
H.S Philosophy [Part-2]
(S.A.Q = Short Answer Type Question)
➺ (i) যুক্তির ধর্ম বৈধতা এবং সত্যতা হল বচনের ধর্ম
(ii) বৈধ ও অবৈধতা যুক্তির গুণ, বচনের নয়। কিন্তু সততা ও মিথ্যাত্ব বচনের গুণ,যুক্তির নয়
প্রশ্নঃ 2. আশ্রয়বাক্য বা হেতুবাক্য সত্য এবং সিদ্ধান্তও সত্য এমন একটি বৈধ যুক্তির উদাহরণ দাও?
➺ A—সকল হিন্দুরা হয় ভারতীয়। (আশ্রয়বাক্য)
A—সকল বাঙালি হয় হিন্দু। (আশ্রয়বাক্য)
A—সকল বাঙালিরা হয় ভারতীয়। (আশ্রয়বাক্য)
এক্ষেত্রে, এটি একটি ন্যায় অনুমান এবং যুক্তিটি বৈধ। এখানে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্ত উভয়ই সত্য।
A—সকল বাঙালিরা হয় ভারতীয়। (আশ্রয়বাক্য)
এক্ষেত্রে, এটি একটি ন্যায় অনুমান এবং যুক্তিটি বৈধ। এখানে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্ত উভয়ই সত্য।
প্রশ্নঃ 3. আশ্রয়বাক্য মিথ্যা এবং সিদ্ধান্তও মিথ্যা—এমন একটি বৈধ যুক্তির উদাহরণ দাও?
➺ A—সকল মানব হয় পক্ষী। (আশ্রয়বাক্য)
A—সকল সিংহ হয় মানব। (আশ্রয়বাক্য)
A—সকল সিংহ হয় পক্ষী। (সিদ্ধান্ত)
এক্ষেত্রে, আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্ত দুটোই মিথ্যা। কিন্তু সিদ্ধান্ত টি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত বলে যুক্তিটি বৈধ।
এক্ষেত্রে, আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্ত দুটোই মিথ্যা। কিন্তু সিদ্ধান্ত টি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত বলে যুক্তিটি বৈধ।
প্রশ্নঃ 4. যুক্তির বৈধতা বলতে কী বােঝাে?
➺ যদি কোনাে যুক্তির হেতুবাক্য থেকে সিদ্ধান্ত অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় এবং বৈধ অবরােহ যুক্তির ক্ষেত্রে যুক্তি পদ্ধতির নিয়মগুলি যথাযথ ভাবে অনুসরণ করা হয় তখন তাকে যুক্তির বৈধতা (Validity of Argument) বলে। কোনো যুক্তির আকারগত বৈধতা তার হেতুবাক্যের সত্যতার উপর নির্ভর করে না।
প্রশ্নঃ 5. যুক্তি ও অনুমানের মধ্যে পার্থক্য কী?
➺ অনুমান প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্ত অনিবার্যরূপে নিঃসৃত হয়। আর যুক্তি প্রক্রিয়ায় একটি গৃহীত সিদ্ধান্তকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এক বা একাধিক আশ্রয়বাক্যের সাহায্য গ্রহণ করা হয়। যুক্তিপ্রক্রিয়া অনুমান প্রক্রিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করে, কিন্তু যুক্তিপ্রক্রিয়া নিছক অনুমান প্রক্রিয়া নয়।
প্রশ্নঃ 6. যুক্তির দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে?
➺ যুক্তির দুটি বৈশিষ্ট হল : (১) প্রত্যেক অনুমানে একাধিক প্রদত্ত বচন বা আশ্রয়বাক্য থাকবে, যা কোনাে নির্দিষ্ট বক্তব্যের সমর্থনে ব্যবহৃত হবে। (২) আশ্রয়বাক্য থেকে অনুমানে যে বচনটি গৃহীত হয় তার নাম সিদ্ধান্ত, এটি হল নির্দিষ্ট বক্তব্য।
প্রশ্নঃ 7. যুক্তি অবয়ব কাকে বলে?
➺ যা দিয়ে যুক্তি গঠিত হয়, তাকেই যুক্তির অবয়ব বলে অর্থাৎ প্রত্যেক যুক্তির একটি কাঠামাে বা ছাঁচ থাকে। এক বা একাধিক বচন দিয়ে এই কাঠামাে গঠিত হয় যাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে। তবেই আশ্রয়বাক্যগুলি থেকে সত্য সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।
প্রশ্নঃ 8. হেতুবাক্য বা আশ্রয়বাক্য কাকে বলে?
➺ যে বচন বা বচনসমূহের সত্যতার ভিত্তিতে বা সত্যতা আশ্রয় করে অন্য বচনের সত্যতা দাবি করা হয় সেই বচন বা বচনসমূহকে হেতুবাক্য বা আশ্রয়বাক্য বা যুক্তিবাক্য বলে।
➺ যা দিয়ে যুক্তি গঠিত হয়, তাকেই যুক্তির অবয়ব বলে অর্থাৎ প্রত্যেক যুক্তির একটি কাঠামাে বা ছাঁচ থাকে। এক বা একাধিক বচন দিয়ে এই কাঠামাে গঠিত হয় যাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে। তবেই আশ্রয়বাক্যগুলি থেকে সত্য সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।
প্রশ্নঃ 8. হেতুবাক্য বা আশ্রয়বাক্য কাকে বলে?
➺ যে বচন বা বচনসমূহের সত্যতার ভিত্তিতে বা সত্যতা আশ্রয় করে অন্য বচনের সত্যতা দাবি করা হয় সেই বচন বা বচনসমূহকে হেতুবাক্য বা আশ্রয়বাক্য বা যুক্তিবাক্য বলে।
প্রশ্নঃ 9. সিদ্ধান্ত কাকে বলে?
➺ যুক্তিতে যে বচনের সত্যতা দাবি করা হয় বা জ্ঞাত বিষয়ের ভিত্তিতে যে অজ্ঞাত সত্যটি পেলাম তাকেই সিদ্ধান্ত বলে। বলা যায়, যুক্তির ক্ষেত্রে যেটা মূল বক্তব্য সেটিকে সিদ্ধান্ত বলে।
প্রশ্নঃ 10. অবরােহ যুক্তি কাকে বলে?
➺ যে যুক্তিতে সিদ্ধান্তটি এক বা একাধিক আশ্রয়বাক্য বা হেতুবাক্য বা যুক্তিবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় এবং সিদ্ধান্তটি কখনােই হেতুবাক্য থেকে বেশি ব্যাপক হয় না বা হেতুবাক্যকে অতিক্রম করে যেতে পারে না, তখন তাকে অবরােহ যুক্তি (Deductive Argument) বলে।
প্রশ্নঃ 11. আরােহ যুক্তি কাকে বলে?
➺ যে যুক্তিতে কয়েকটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে কার্যকারণ নীতির ওপর ভিত্তি করে যে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করা হয়, সেই সিদ্ধান্তটি হেতুবাক্য বা আশ্রয়বাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত না হয়ে সিদ্ধান্ত হেতুবাক্যকে অতিক্রম করে যায় এবং এর জন্য সিদ্ধান্তের সত্যতা প্রতিষ্ঠা করা সম্পর্কে সংশয়ের অবকাশ থাকে, তাকে আরােহ যুক্তি বলা হয়।
প্রশ্নঃ 12. যুক্তি ও যুক্তির আকারের মধ্যে পার্থক্য দেখাও?
➺ যুক্তি নির্ভর করে বচনের ওপর, আর যুক্তির আকার নির্ভর করে বচনের আকারের ওপর অর্থাৎ যেসব বচন দিয়ে যুক্তিটি গঠিত হয় তাঁদের আকারের ওপর। কোনাে বিষয়কে প্রমাণ করার জন্য আমরা যুক্তি গঠন করি এবং প্রতিটি যুক্তি বৈধ না অবৈধতার বিচার করার জন্য যুক্তির আকারের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্নঃ 13. যুক্তির অবৈধতা বলতে কী বােঝ?
➺ যখন কোনাে যুক্তির সিদ্ধান্তটি হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় না। এবং বৈধ যুক্তির নিয়মগুলি যথাযথভাবে পালিত হয় না তখন তাকে যুক্তির অবৈধতা (Invalidity of Argument) বলা হয়। এক্ষেত্রে হেতুবাক্য সত্য হলে সিদ্ধান্ত সর্বদা মিথ্যা হবে।
প্রশ্নঃ 14. কোনাে অবৈধ যুক্তির আশ্রয়বাক্য মিথ্যা এবং সিদ্ধান্ত সত্য হতে পারে কী?
➺ হ্যা, কোনাে অবৈধ যুক্তির আশ্রয়বাক্য মিথ্যা এবং সিদ্ধান্ত সত্য হতে পারে। সিদ্ধান্তের সত্যতা বা মিথ্যাত্ব দিয়ে যুক্তির বৈধতা বা অবৈধতা নির্ণয় করা যায় না।
প্রশ্নঃ 15. অনুমান ও যুক্তি কী সমার্থক?
➺ অনুমান হল জ্ঞাত সত্য থেকে অজ্ঞাত সত্যে আসার মানসিক প্রক্রিয়া এবং অনুমান ভাষায় প্রকাশিত হলে তাকে যুক্তি বলা হয়। সাধারণত আমরা অনুমানকে যুক্তি বা তর্ক (Argument) বলি কিন্তু ব্যাপক অর্থে যুক্তি ও অনুমান এক নয়।
➺ অনুমান হল জ্ঞাত সত্য থেকে অজ্ঞাত সত্যে আসার মানসিক প্রক্রিয়া এবং অনুমান ভাষায় প্রকাশিত হলে তাকে যুক্তি বলা হয়। সাধারণত আমরা অনুমানকে যুক্তি বা তর্ক (Argument) বলি কিন্তু ব্যাপক অর্থে যুক্তি ও অনুমান এক নয়।
প্রশ্নঃ 16. বিপরীত বিরােধিতা কাকে বলে?
➺ যদি দুটি সামান্য বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয় একই হয় এবং তাদের শুধুমাত্র গুণের দিক থেকে বচন দুটির মধ্যে পার্থক্য থাকে, তাহলে তাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে বিপরীত বিরােধিতা বলে।
যেমন—'A'—“সকল শিক্ষক হন বিদ্বান।”
“E” – “কোনাে শিক্ষক নন বিদ্বান।”
প্রশ্নঃ 17. বচনের বিরােধানুমান কাকে বলে?
➺ দুটি বচনের মধ্যে বিরোধীতার সম্পর্কের পর ভিত্তি করে, তাদের মধ্যে একটি সত্য বা মিথ্যা হলে অপরটির সত্যতা বা মিথ্যাত্ব সম্বন্ধে যে অনুমান করা হয় তাকে বচনের বিরােধানুমান (Inference by Opposition of Propositions) বলে।
প্রশ্নঃ 18. বচনের বিরােধিতা কয় প্রকার ও কী কী?
➺ বচনের বিরােধিতা বা বিরূপতা চার প্রকার।
যথা- (i) বিপরীত বিরােধিতা (ii) অধীন বিপরীত বিরােধিতা (ii) বিরুদ্ধ বিরােধিতা এবং (iv) অসম বিরােধিতা।
প্রশ্নঃ 19. যুক্তি কাকে বলে?
➺ অনুমান হল এমন একটি মানসিক প্রক্রিয়া যার সাহায্যে জ্ঞাত বিষয়ের ভিত্তি থেকে অজ্ঞাত বিষয় সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করি। এই অনুমানটি যখন ভাষায় ব্যক্ত করা হয় তখন তাকে যুক্তি বলা হয়।
প্রশ্নঃ 20. যুক্তিবিজ্ঞান কাকে বলে?
➺ যে শাস্ত্র অবৈধ যুক্তি থেকে বৈধ যুক্তিকে পৃথক করার পদ্ধতি ও বিধিগুলি সম্পর্কে আলােচনা করে তাকেই যুক্তিবিজ্ঞান বলে। এর আলােচ্য বিষয় হল যুক্তি বা অনুমান।
প্রশ্নঃ 21. বিরােধানুমানের বিভিন্ন প্রকারগুলি কী কী?
➺ বিরােধানুমান চার প্রকার। যথা-
(i) বিপরীত বিরােধানুমান (A ও E)
(ii) অধীন বিপরীত বিরােধানুমান (I ও O)
(iii) অসম বিরােধানুমান (A ও I এবং E ও 0)
(iv) বিরুদ্ধ বিরােধানুমান (A ও O এবং E ও I)
প্রশ্নঃ 22. বিরুদ্ধবিরােধিতা ও বিপরীত বিরােধিতার মধ্যে তুলনা করাে?
➺ একই উদ্দেশ্য ও বিধেয়যুক্ত দুটি বচনের পরিমাণ ও গুণ ভিন্ন হলে বচন দুটির মধ্যে বিরুদ্ধ বিরােধিতার সম্বন্ধ থাকে। অপরদিকে, দুটি সার্বিক বা সামান্য 'বচনের মধ্যে যদি কেবলমাত্র গুণের পার্থক্য থাকে, তবে সে দুটির মধ্যে বিপরীত বিরােধিতার সম্বন্ধ থাকে।
প্রশ্নঃ 23. বিবর্তন কাকে বলে?
➺ যে 'অমাধ্যম অনুমানে ন্যায় সঙ্গতভাবে যুক্তি বাক্যের উদ্দেশ্যকে সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হিসাবে রাখা হয়, যুক্তিবাক্যের বিধেয় পদের বিরুদ্ধে পদকে সিদ্ধান্তের বিধেয় হিসাবে রাখা হয়, যুক্তিবাক্য ও সিধান্তের মধ্যে গুণের পরিবর্তন করা হয় না, তাকে বিবর্তন বলে।
প্রশ্নঃ 24. বস্তুগত বিবর্তন বলতে কী বােঝো? উদাহরণ দাও?
➺ যে বিবর্তন প্রক্রিয়ায় প্রদত্ত বচনটির অর্থ অনুধাবন করে, আকারগত বিবর্তন না করে, কেবল বাস্তব অভিজ্ঞতার সাহায্যে বচনটির বিবর্তন করা হয়, তাকে বস্তুগত বিবর্তন বলে।
➺ যে বিবর্তন প্রক্রিয়ায় প্রদত্ত বচনটির অর্থ অনুধাবন করে, আকারগত বিবর্তন না করে, কেবল বাস্তব অভিজ্ঞতার সাহায্যে বচনটির বিবর্তন করা হয়, তাকে বস্তুগত বিবর্তন বলে।
যেমন- (i) জ্ঞান হয় কল্যাণকর। ∴ অজ্ঞানতা হয় অনিষ্টকর/অকল্যাণকর।
(ii) শান্তি হয় মঙ্গলদায়ক। ∴ যুদ্ধ হয় অমঙ্গলদায়ক।
(ii) শান্তি হয় মঙ্গলদায়ক। ∴ যুদ্ধ হয় অমঙ্গলদায়ক।
প্রশ্নঃ 25. অমাধ্যম অনুমান কাকে বলে?
➺ যে অবরােহ অনুমানে সিদ্ধান্ত একটিমাত্র যুক্তিবাক্য বা হেতুবাক্য থেকে সরাসরি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় এবং যেখানে মাধ্যম হিসাবে অন্য কোনাে যুক্তিবাক্যের সাহায্যে গ্রহণ করা হয় না, তাকে অমাধ্যম 'অনুমান বলে।
যেমন—A-সকল S হয় P। (যুক্তিবাক্য)
∴ I কোনাে কোনাে S হয় P | ( সিদ্ধান্ত)
প্রশ্নঃ 26. সীমিত আবর্তন কাকে বলে?
➺ যে সকল আবর্তনের ক্ষেত্রে আবর্তনের আবর্তনীয় ও আবর্তিত বচনের মধ্যে পরিমাণগত পার্থক্য থাকে, তাকে সীমিত বা অসরল বা অসম আবর্তন (Conversion by limitation) বলে |
A -বচনের আবর্তন সীমিত আবর্তন।
প্রশ্নঃ 27. আবর্তন কাকে বলে?
➺ যে অমাধ্যম অনুমানে ন্যায়সঙ্গতভাবে ব্যক্তি বাক্যের উদ্দেশ্য সিদ্ধান্তের বিধেয় হিসাবে রাখা হয় এবং যুক্তিবাকোর বিধেয়কে সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হিসাবে রাখা হয়। এবং যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যে গুণের কোনাে পরিবর্তন করা হয় না, তাকে আবর্তন বলে।
প্রশ্নঃ 28. বিরুদ্ধপদ কাকে বলে?
➺ যদি দুটি পদ এমন দুটি শ্রেণি বােঝায়, যাদের কোনাে বস্তুই উভয় শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না এবং এই দুটি পদ দ্বারা নির্দিষ্ট শ্রেণির সবটুকু সম্পূর্ণ হয়, তখন সেই বিরােধী দুটি পদকে পরস্পরের বিরুদ্ধ বা পরিপূরক বলে। বিরুদ্ধ পদ গঠনের জন্য পদটির আগে অ-যােগ করতে হয়।
প্রশ্নঃ 29. অবরােহ যুক্তি কয় প্রকার ও কী কী?
➺ অবরােহ যুক্তি দুই প্রকার। যথা—(1) নিরপেক্ষ যুক্তি (i) সাপেক্ষ যুক্তি।
প্রশ্নঃ 30. সাপেক্ষ ন্যয় কাকে বলে?
➺ যে সব ন্যায়ের দুটি হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্ত থাকে এবং হেতুবাক্য দুটির অন্তত একটি সাপেক্ষ বচন হয় তাকে সাপেক্ষ ন্যায় বলে।
প্রশ্নঃ 31. সাপেক্ষ ন্যায়ের একটি উদাহরণ দাও?
➺ সাপেক্ষ ন্যায়ের একটি উদাহরণ হল— যদি বৃষ্টি হয় তবে মাটি ভিজবে বৃষ্টি হয়েছে।
অতএব মাটি ভিজেছে।
এটি একটি সাপেক্ষ ন্যায়। এর প্রথম হেতুবাক্য একটি প্রাকল্পিক বচন, আর দ্বিতীয় হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্ত উভয়ই নিরপেক্ষ বচন।
এটি একটি সাপেক্ষ ন্যায়। এর প্রথম হেতুবাক্য একটি প্রাকল্পিক বচন, আর দ্বিতীয় হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্ত উভয়ই নিরপেক্ষ বচন।
প্রশ্নঃ 32. সাপেক্ষ ন্যায় কয় প্রকারের ও কী কী?
➺ সাপেক্ষ ন্যায় নানা প্রকারের হতে পারে। যথা-(i) মিশ্র প্রাকল্পিক ন্যায় বা প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়। (ii) অমিশ্র প্রাকল্পিক ন্যায়। (iii) বৈকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়। (iv) দ্বিকল্প ন্যায় ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ 33. প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায় কাকে বলে?
➺ যে মিশ্র ন্যায়ের প্রথম হেতুবাক্যটি একটি প্রাকল্পিক বচন এবং দ্বিতীয় হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্ত উভয়ই নিরপেক্ষ বচন, তাকে প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায় বলে। একে অনেক সময় মিশ্র প্রাকল্পিক ন্যায়ও বলা হয়।
প্রশ্নঃ 34. একটি প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়ের উদাহরণ দাও?
➺ একটি প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়ের উদহরণ হল—যদি পর্বতে ধূম থাকে তাহলে পর্বতে বহ্নি আছে। পর্বতে ধূম আছে। অতএব, পর্বতে বহ্নি আছে।
প্রশ্নঃ 35. প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়ের বৈধতার নিয়ম কী কী?
➺ প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়ের বৈধতার নিয়ম হল- (i) প্রাকল্পিক বচনের পূর্বগকে নিরপেক্ষ হেতুবাক্যে স্বীকার করার পর সিদ্ধান্তে অনুগকে স্বীকার করতে হয়।
(ii) প্রাকল্পিক বচনের অনুগকে নিরপেক্ষ হেতুবাক্যে অস্বীকার করার পর সিদ্ধান্তে পূর্বগকে অস্বীকার করতে হয়।
➺ যে সাপেক্ষ বচনে দুটি বক্তব্য এমনভাবে যুক্ত থাকে যার একটিকে অপরটির বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করা যায়, তাকে বৈকল্পিক বচন বলে। যেমন—রাম হয় বুদ্ধিমান অথবা দার্শনিক। অথবা বা তার অনুরূপ শব্দের সাহায্যে বৈকল্পিক বচনকে প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্নঃ 37. বৈকল্পিক বচনের সত্যতা ও মিথ্যাত্ব কীভাবে নির্ণয় করা হয়?
➺ কোনাে বৈকল্পিক বচনের যদি অন্তত একটি বিকল্প সত্য হয় তাহলে বৈকল্পিক বচনটি সত্য হবে। এবং যদি দুটি বিকল্পই মিথ্যা হয় তাহলে বৈকল্পিক বচনটি মিথ্যা হবে।
প্রশ্নঃ 38. P এবং q এই দুটি বিকল্পকে ধরে বৈকল্পিক বচনের সত্যমূল্য সত্যসারণীর মাধ্যমে বুঝিয়ে দাও?
P |
q |
P অথবা q |
সত্য |
সত্য |
সত্য |
সত্য |
মিথ্যা |
সত্য |
মিথ্যা |
সত্য |
সত্য |
মিথ্যা |
মিথ্যা |
মিথ্যা |
প্রশ্নঃ 39. শূন্যগর্ভ শ্রেণি কাকে বলে? উদাহরণ দাও?
➺ কোনাে বচনের উদ্দেশ্য বা বিধেয় পদ নির্দেশিত শ্রেণির অন্তর্গত একজন সদস্যেরও বাস্তব অস্তিত্ব নেই অর্থাৎ যে পদের দ্বারা কোনাে অস্তিত্বশীল বস্তুকে বােঝায় না, যে শ্রেণির সদস্যদের কোনাে বাস্তবসত্তর নেই সেই শ্রেণিকে বলা হয় শূন্যগর্ভ শ্রেণি।
উদাহরণ—পরি, মৎসকন্যা ইত্যাদি |
প্রশ্নঃ 40. সদস্যবান শ্রেণি কাকে বলে?
➺ যদি কোন বচনের উদ্দেশ্য বা বিধেয় পদ নির্দেশিত শ্রেণির অন্তর্গত অন্ততঃ একজন সদস্য-এর বাস্তব অস্তিত্বের ঘােষণা করা হয় অর্থাৎ অন্ততঃ একজন সদস্য রয়েছে এমন শ্রেণিকে সদস্যবান শ্রেণি বলা হয়।
যেমন—মানুষ, টেবিল, গােরু ইত্যাদি।
যেমন—মানুষ, টেবিল, গােরু ইত্যাদি।