M.A 1st Semester History Note in Bengali Version || U.G.B Malda University
Q. Subjectivity And Objectivity?
ロ ইতিহাসের তথ্য চায়ন ও তার ব্যবহার কালে (Objectivity) অবজেক্টিভিটি বা তথ্য নিষ্ঠা বা বিষয়নিষ্ঠা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় | এটি হলো বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনাসমুহের বিশ্লেষণ একজন ঐতিহাসিকের বিশেষ মানসিক অবস্থা যা ব্যক্তিবিশেষে ভিন্নতর হয় ৷ ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিভিন্ন রকম বাধ্য-বাধকতা থাকায় সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষতা অবলম্বন করা সম্ভব হয় না ফলে কলহন তার রাজতরঙ্গিনী তে বলেছেন যে ঐতিহাসিক বিভিন্ন ঘটনার উৎস ,তথ্য সাক্ষ্য-প্রমাণ, সংগ্রহকালে একজন নিরপেক্ষ বিচারকের ভূমিকা পালন করে ৷ এক্ষেত্রে তার মধ্যে কোন রকম পক্ষপাতহীনতা না থাকায় বাঞ্ছনীয় ৷ প্রকৃতিতে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানী নিজে তথ্য সংগ্রহ করে আবার সেগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে উপনীত হন ৷ কিন্তু সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম অংশ হিসেবে ইতিহাসের ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহের সময় একজন ঐতিহাসিকের মাধ্যমে সবসময় নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সম্ভব হয়না ৷সেই কারণে ইতিহাস কখনোই সম্পূর্ণরূপে তথ্যনিষ্ঠ হয়ে উঠতে পারে না কিন্তু ইতিহাসের সর্বদা সত্য উপনীত হয় ৷ঐতিহাসিক যদি বিজ্ঞানসম্মত পন্থা অবলম্বন করে তবেই তথ্যনিষ্ঠ ইতিহাস লেখা সম্ভব পর হয়ে উঠবে ৷ এল-বি নমিয়ের মনে করেন ইতিহাস হল সম্পূর্ণরূপে বিষয়ী নিষ্ঠা (Subjectivity) কেননা ইতিহাস রচনাকালে ইতিহাসের দৃষ্টিভঙ্গি ও স্বার্থ সর্বদা বিরাজমান থাকে ৷ ম্যাক্স ওয়েবার তার - ‘The Methodology of social science’ গ্রন্থে লিখেছেন যে - ‘The objectivity of all Empirical knowledge rests exclusive Upon the ordering of the given reality according to categories which are subjectivity in a specific sense’
এই কারণে বলা যায় যে জেমস মিল রচিত ‘History of British India’ গ্রন্থটি পক্ষপাত দৃষ্ট পূর্ণ কারণ ৷ মিল ভারতে কখনোই আসেননি বিভিন্ন সরকারি প্রতিবেদন ও পর্যটকদের বিবরণ কে কাজে লাগিয়ে তিনি ইতিহাস রচনা করেন ৷ ভলতেয়ার ইতিহাস সম্পর্কে বলেছেন এটি হলো - ‘A peacock of tricks we play upon the death’ কারণ ইতিহাসের মানব জগৎ ছাড়া অতীতের ঘটনাগুলি কোথাও বিরাজ করে না এর ফলে ঐতিহাসিক একাধারে বিষয়ক বিষয় হিসেবে প্রতিপন্ন হন যে অনেক সময় অতীতের ঘটনাবলীকে রচনা করতে গিয়ে তারা অতি-প্রাকৃত ধারনা তৈরি করে ৷
এই কারণে বলা যায় যে জেমস মিল রচিত ‘History of British India’ গ্রন্থটি পক্ষপাত দৃষ্ট পূর্ণ কারণ ৷ মিল ভারতে কখনোই আসেননি বিভিন্ন সরকারি প্রতিবেদন ও পর্যটকদের বিবরণ কে কাজে লাগিয়ে তিনি ইতিহাস রচনা করেন ৷ ভলতেয়ার ইতিহাস সম্পর্কে বলেছেন এটি হলো - ‘A peacock of tricks we play upon the death’ কারণ ইতিহাসের মানব জগৎ ছাড়া অতীতের ঘটনাগুলি কোথাও বিরাজ করে না এর ফলে ঐতিহাসিক একাধারে বিষয়ক বিষয় হিসেবে প্রতিপন্ন হন যে অনেক সময় অতীতের ঘটনাবলীকে রচনা করতে গিয়ে তারা অতি-প্রাকৃত ধারনা তৈরি করে ৷
একজন ঐতিহাসিক কে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার অধীনে কাজ করতে হয় তার পক্ষে সকল ঘটনা মনে রাখা সম্ভব নয় ৷ ঐতিহাসিক তথ্যের আধার গুলি অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায় এবং ঘটনাসমূহের প্রত্যক্ষদর্শী অনেক সময় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে লিপিবদ্ধ করেন না ৷ একজন ঐতিহাসিক নিজেই তার আদর্শবাদী ধারণা, রাজনৈতিক চেতনা ,ধর্মীয় আদর্শ ,দার্শনিক মনোভাব ও বস্তুবাদী তার পক্ষপাত দোষে দুষ্ট হন ৷ এই সকল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে ইতিহাসের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত বিষয় অর্জন করা অসম্ভব' ফলে বিষয়নিষ্ঠা তার অভাবে ও ইতিহাস অনেক সময় কল্পকাহিনী পর্যায়ে নেমে আসে ৷ এই কারণে ঐতিহাসিক কে সচেতনভাবে বিষয়নিষ্ঠা হওয়ার দিকে নজর দিতে হবে প্রতিটি তথ্যকে তার যথার্থতা বিশ্বাসযোগ্যতা দিয়ে যাচাই করে রচনা ও ব্যবহার করতে হবে ৷ সীমিত সংখ্যক উপাদান ব্যবহার করার ফলে ইতিহাসের বিষয় নিষ্ঠা বা পক্ষপাতদৃষ্টতা অসম্ভব হয়ে ওঠে ৷ ইতিহাস হল বিজ্ঞান ৷ ইতিহাসকে তুলে ধরতে হলে ঐতিহাসিক কে উপযুক্ত ভারসাম্য বজায় রেখে এগোতে হবে ৷
Q. Do you think History is a Science give the answer?
ロ সাধারণ দৃষ্টিতে ইতিহাস ও বিজ্ঞান এর মধ্যে অনেক বেশি দূরত্ব মনে হলেও গবেষণা পদ্ধতি ও কৌশলের দিক থেকেই ইতিহাসের সাথে বিজ্ঞানের একটি সামঞ্জস্য আছে । তবে ইতিহাসকে বিজ্ঞানের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অসমর্থ একশ্রেণীর কিছু ঐতিহাসিক রা।অপর এক শ্রেণীর ঐতিহাসিক রায় বিজ্ঞান ও কলা উভয়ের মধ্যে সম্পর্কে শামিল করতে আগ্রহী তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করতে গেলে প্রথমে জানতে হবে বিজ্ঞান বলতে আমরা কি বুঝি? আর ইতিহাস বলতে আমরা কি বুঝি?বিজ্ঞান শব্দের অর্থ হলো - ‘বিশেষ জ্ঞান’ তবে বিশেষ জ্ঞান কোন বস্তু বা কোন বিষয়ের উপর এর মধ্যে বিশেষ জ্ঞান কে বোঝানো হয়েছে ; সহজ ভাবে বলতে গেলে যে কোন স্থানে, যেকোনো সময়, যে কোন বিষয়ের উপর বিশেষ জ্ঞান সমৃদ্ধ বিষয় হল এই বিষয়ের বিজ্ঞান।সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষ জ্ঞান এর বিষয়ে অধিকারী ব্যক্তি হলেন ওই বিষয়ের বিজ্ঞানী। তবে আরও বলা যায় যে পরীক্ষণ পর্যবেক্ষণ ও যথাযথ নিয়ম এর মাধ্যমে বিশেষভাবে প্রামাণ্য সূত্রের মাধ্যমে সুসংবদ্ধ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষিত জ্ঞানই-বিজ্ঞান ।
ইতিহাস শব্দটির ইংরেজি শব্দ হিস্টরি (History) থেকে আর হিস্টরি শব্দটি গ্রিক (Greek) শব্দ হিস্টোরিয়া (Historia) থেকে এসেছে । এই হিস্টোরিয়া (Historia) শব্দের অর্থ হলো সত্য প্রকাশ করা পরিকল্পিত অনুসন্ধান গবেষণা আবিষ্কার ইত্যাদি তবে এখানে ইতিহাস খেয়ালখুশিমতো বা অপরিকল্পিতভাবে চলে না ।ইতিহাসের মূল বক্তব্য ও বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রেখে এটি সামনের দিকে এগিয়ে চলে ।কেউ কেউ আবার এখানে মনে করেন যে ইতিহাস বিজ্ঞান এর অংশ নয়, তারা সব কিছুর বিনিময় ইতিহাসকে বিজ্ঞান হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ অন্যদিকে আবার একশ্রেণীর গবেষক চিন্তাবিদরা ইতিহাসকে বিজ্ঞান ও মানবিক বিদ্যার উভয়ের সংমিশ্রণ বলে মনে করেন ।
তেমনি ইতিহাসের প্রয়োজনে প্রচুর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ব্যবহার ও প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায় ।বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রয়োগে ইতিহাসের গবেষণার ফলে ইতিহাস ক্রমশ পুরনো থেকে আরো উন্নত হচ্ছে ।ইতিহাসের জ্ঞান বস্তু প্রমাণ ,লিখিত উপাদান ভিত্তিক হলেও বিজ্ঞানের জ্ঞান পরীক্ষালব্ধ ও অনুকম্প চেষ্টায় আহরিত মানে সামঞ্জস্যপূর্ণ ।বিজ্ঞানের জ্ঞান স্বরূপে রূপায়িত, ও পদ্ধতিগত হওয়ার ফলে এর বিচ্ছিন্নতাও সামঞ্জস্যহীনতা সুযোগ বেশ কম ।সত্য ও সঠিকতার মানদণ্ডে বিজ্ঞান বিশেষ অর্থ ও পদ্ধতি প্রয়োগ করে থাকে । সেখানে সাধারণ জ্ঞানে পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের যথেষ্ট মনে হতে পারে অন্যদিকে ইতিহাসের অতীত সংক্রান্ত গ্রহণযোগ্য অনুমানও অনেক ক্ষেত্রে জ্ঞানের মধ্যে স্থান করে নেয় ।বিজ্ঞানের মূল আলোচনার পরিসরে সুদূর ও সুনিয়ন্ত্রিত পরীক্ষণের বস্তুনিষ্ঠতা হলো অন্যতম বৈশিষ্ট্য ।
ইতিহাস এখানে মূলত কাজ করে বিজ্ঞান এর মতই এবং ইতিহাসে সক্ষম গবেষণা ও অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে উদঘাটন ও প্রাপ্ত তথ্য প্রামাণ্য গুলিকে যথারীতি বিচার-বিশ্লেষণ যেমন করা হয়, পরবর্তীতে সেগুলি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি দিক খেয়াল রাখতে হয় ।বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে একজন ইতিহাসবিদের সঠিক তথ্য অনুসন্ধান ভিন্ন ভিন্নভাবে হতে পারে তবে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য কে সমর্থন করা বিবেচনার মাধ্যমেই স্থির হয় সেই জন্য একে বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা বিষয়ে না বলার কোন কারণই নেই ।
অন্যদিকে আবার বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ ইতিহাসকে বিজ্ঞানের সমৃদ্ধ করার যুক্তি সম্মত নয় বলে মনে করেন তাদের কথায় এখানে - ইতিহাসে কোন প্রমাণ থাকে না ইতিহাসের ক্ষেত্রে কোন সঠিক তথ্য ও প্রমাণ নেই যার ফলে ইতিহাসকে অকট্য সত্য বলে মেনে নেওয়া যায় কি? এখানে উৎস, তথ্য নির্ভরতা, নিরপেক্ষ, অবস্থান ,মনোভাব ও সার্বজনীনতা অর্জনের চেষ্টা করাটা ইতিহাসের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মধ্যে পড়ে ।তারপরেও অনেক বিজ্ঞানী বলেন যে বিচার বিশ্লেষণ করে তার উপর ভিত্তি করে অতীতে মানুষের সম্পর্কে তৈরি করে এর জন্য ইতিহাস ব্যাপকভাবে সহায়ক করে থাকে এ কারণে ইতিহাসের গবেষক সত্য অনুসন্ধানের উৎস ভিত্তিক গবেষণা । এই সম্পর্কে পরীক্ষা করেই যার ফলে গবেষকের অবস্থান ও নৈতিকতার প্রশ্ন জড়িত হলেও সম্পূর্ণ বিষয়টি অনেকাংশেই গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। এই বিষয়গুলিকে পরিমাপক ও বিবেচনা করেই ইতিহাস কে বিজ্ঞান বলা যায় ।
ইতিহাসের অন্য প্রমাণ উদ্ধারের পরিচালিত প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান উৎখনন ও সংরক্ষণ ইত্যাদি গুলি বিজ্ঞান পদ্ধতির মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে ।প্রত্নতত্ত্ব ইতিহাস গবেষণায় একটি স্বতন্ত্র শাখা হিসেবে বিবেচিত হওয়ার সাথে সাথে বিজ্ঞানের নানান বিষয় এখানে যুক্ত হয়েছে যেমন ভূ-প্রত্নতত্ত্ব, পদার্থবিদ্যা, প্রত্ন উদ্ভিদবিদ্য, রসায়নের বিভিন্ন শাখার কথা এখানে উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে ।আরো অনেক কিছু বিজ্ঞানের অংশ ইতিহাসের পাতায় নতুন তথ্য যোগ করতে সহায়তা করেছে যার ফলে এসব দিক থেকে বিবেচনা করলে ইতিহাস একটি বিজ্ঞান বলতে আর কোনো বাধা না থাকার কারণ নেই ।
Q. Write a note in Causation history?
ロ ইতিহাস চর্চা হলো কারণ এর চর্চা ঐতিহাসিক E.H কার লিখেছেন ইতিহাস চর্চার মূল কথা হলো ঘটনার কারণ অনুসন্ধান (The Study of History is a Study of Causes) প্রাচীনকালের ঐতিহাসিকরা ঘটনার কার্যকারণ ব্যাখ্যা করেন নি । ‘স্পিরিট অফ দি লজ’ গ্রন্থে মন্তেস্কু চিন্তাধারার ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটিয়েছিলেন এবং তিনি অস্বীকার করেছিলেন যে জীবনে যা কিছু ঘটে তার পেছনে রয়েছে অন্ধ নিয়তি - “Blind fate has produced all the effects which was in the world” ঐতিহাসিক এর কাজ হলো কালক্রম কে অনুসরণ করে ঘটনাকে সাজাবেন এবং ঘটনার কারণ ও পরিণতি ব্যাখ্যা করবেন ।
ইতিহাস মানে যে অতীতের ঘটনাবলীকে কার্যকারণের পরম্পরা অনুযায়ী সাজানো এই মতবাদকে মেনে নেওয়া হয়েছিল যার ফলে ইতিহাসে ঘটনার কার্যকারণ খোঁজা আজও প্রাসঙ্গিক ।ঐতিহাসিক প্রথমে জানতে চান কি কি কারনে ঘটনা ঘটেছে । E.H কার রুশ বিপ্লবের উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন যে অন্তত তিন ধরনের ব্যাখ্যা দেওয়া এখানে সম্ভব যে ঐতিহাসিক রুশ বিপ্লবের মাত্র একটি কারণ দেখাবেন তিনি তৃতীয় শ্রেণীর এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর ঐতিহাসিক ঠিক ততগুলো কারণ দেখাবেন - যেমন যুদ্ধে রাশিয়ার বিপর্যয়, অর্থনৈতিক দুর্দশা, শ্রমিকদের কেন্দ্রীভূত অবস্থান ইত্যাদি বিপ্লবের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ।অন্যদিকে প্রথম শ্রেণীর ঐতিহাসিক সব কারণ পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে ব্যাখ্যা করে এবং কারণগুলির মধ্যকার সম্পর্ক বিশ্লেষণ করবেন যে কয়েকটি কারণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাকে চিহ্নিত করবেন । উনিশ শতকে ঐতিহাসিকরা ইংল্যান্ডের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বাধীনতার কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন । যার ফলশ্রুতি হিসেবে আধুনিককালের সব ঐতিহাসিক ব্যাখ্যার অর্থনীতির গুরুত্ব টা অনেক ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে ।
হেনরি নামক ঐতিহাসিক বলেছেন যে আধুনিক জ্ঞানের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য ও জটিলতা দেখা দিয়েছিল । তবে বিপুল তথ্যকে সংহত করে শৃংখলাবদ্ধ রুখে দেবার দায়িত্ব ঐতিহাসিক ঐতিহাসিক কে আরো দু'টি প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে হয় যেমন ইতিহাসের নিমিত্তবাদ অনিবার্য তা কতখানি এবং আকস্মিকতার ভূমিকা কতখানি ।এন্টি ক্লিও পেট্টা সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবার জন্য যুদ্ধে সাফল্য লাভ করতে পারেননি ।কাল মার্কস ইতিহাসে আকস্মিকতার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন নি কিন্তু ব্যক্তির উপর এর প্রভাব কিছুটা পড়েছিল তবে এই তথ্য ইতিহাসবিদের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেও ইতিহাস দর্শনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা একে গুরুত্ব দেন না ।
পরবর্তীতে বলা যায় যে , - সব ঘটনা ঐতিহাসিক ঘটনা নয় আবার অনেক সাধারন ঘটনাকে ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় । একইভাবে কারণ এর সঙ্গে ঐতিহাসিক এর সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ কারণ দিয়ে ঐতিহাসিক ঘটনার ব্যাখ্যা দেন আবার ব্যাখ্যার জন্য ঐতিহাসিক বিশেষ তথ্য ও কারণ খোঁজেন ।এখানে ইতিহাসের গতিপথ নির্মাণে খানিকটা ভূমিকা নেয় আকস্মিকতা ।লক্ষ লক্ষ ঘটনার মধ্যে থেকে যা যুক্তিসংগত, কার্যকারণ আছে এবং বাস্তবের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ শুধু তাকেই গ্রহণ করা হয়। ঐতিহাসিক এর কাজ হল অতীতের আলোকে বর্তমানে আলোকিত করা।
ইতিহাস মানে যে অতীতের ঘটনাবলীকে কার্যকারণের পরম্পরা অনুযায়ী সাজানো এই মতবাদকে মেনে নেওয়া হয়েছিল যার ফলে ইতিহাসে ঘটনার কার্যকারণ খোঁজা আজও প্রাসঙ্গিক ।ঐতিহাসিক প্রথমে জানতে চান কি কি কারনে ঘটনা ঘটেছে । E.H কার রুশ বিপ্লবের উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন যে অন্তত তিন ধরনের ব্যাখ্যা দেওয়া এখানে সম্ভব যে ঐতিহাসিক রুশ বিপ্লবের মাত্র একটি কারণ দেখাবেন তিনি তৃতীয় শ্রেণীর এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর ঐতিহাসিক ঠিক ততগুলো কারণ দেখাবেন - যেমন যুদ্ধে রাশিয়ার বিপর্যয়, অর্থনৈতিক দুর্দশা, শ্রমিকদের কেন্দ্রীভূত অবস্থান ইত্যাদি বিপ্লবের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ।অন্যদিকে প্রথম শ্রেণীর ঐতিহাসিক সব কারণ পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে ব্যাখ্যা করে এবং কারণগুলির মধ্যকার সম্পর্ক বিশ্লেষণ করবেন যে কয়েকটি কারণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাকে চিহ্নিত করবেন । উনিশ শতকে ঐতিহাসিকরা ইংল্যান্ডের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বাধীনতার কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন । যার ফলশ্রুতি হিসেবে আধুনিককালের সব ঐতিহাসিক ব্যাখ্যার অর্থনীতির গুরুত্ব টা অনেক ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে ।
হেনরি নামক ঐতিহাসিক বলেছেন যে আধুনিক জ্ঞানের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য ও জটিলতা দেখা দিয়েছিল । তবে বিপুল তথ্যকে সংহত করে শৃংখলাবদ্ধ রুখে দেবার দায়িত্ব ঐতিহাসিক ঐতিহাসিক কে আরো দু'টি প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে হয় যেমন ইতিহাসের নিমিত্তবাদ অনিবার্য তা কতখানি এবং আকস্মিকতার ভূমিকা কতখানি ।এন্টি ক্লিও পেট্টা সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবার জন্য যুদ্ধে সাফল্য লাভ করতে পারেননি ।কাল মার্কস ইতিহাসে আকস্মিকতার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন নি কিন্তু ব্যক্তির উপর এর প্রভাব কিছুটা পড়েছিল তবে এই তথ্য ইতিহাসবিদের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেও ইতিহাস দর্শনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা একে গুরুত্ব দেন না ।
পরবর্তীতে বলা যায় যে , - সব ঘটনা ঐতিহাসিক ঘটনা নয় আবার অনেক সাধারন ঘটনাকে ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় । একইভাবে কারণ এর সঙ্গে ঐতিহাসিক এর সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ কারণ দিয়ে ঐতিহাসিক ঘটনার ব্যাখ্যা দেন আবার ব্যাখ্যার জন্য ঐতিহাসিক বিশেষ তথ্য ও কারণ খোঁজেন ।এখানে ইতিহাসের গতিপথ নির্মাণে খানিকটা ভূমিকা নেয় আকস্মিকতা ।লক্ষ লক্ষ ঘটনার মধ্যে থেকে যা যুক্তিসংগত, কার্যকারণ আছে এবং বাস্তবের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ শুধু তাকেই গ্রহণ করা হয়। ঐতিহাসিক এর কাজ হল অতীতের আলোকে বর্তমানে আলোকিত করা।
Q. Card System?
ロ ইতিহাস গবেষণা কালে গবেষণামূলক প্রবন্ধ রচনা ক্ষেত্রে বেশ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়।গবেষণা কাজের সঙ্গে যুক্ত সবকিছু নথিবদ্ধকরণ এর ক্ষেত্রে কার্ড মূলত “4 x 6” ইঞ্চি বা “5 x 8” মাপের কার্ডের মধ্যে নথিবদ্ধ করে রাখা হয়।প্রতিটি কার্ড আলাদা আলাদা ভাবে তথ্য নথিভুক্তকরণ এর জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে এই কার্ডগুলোর মূলত বিষয় বা প্রসঙ্গ অনুসারে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।
যেমন,অধ্যাপক K.N Chentynish কার ব্যবস্থা সম্পর্কে এক সাধারণ নিয়মাবলী তুলে ধরেছেন সেগুলি হল -
যেমন,অধ্যাপক K.N Chentynish কার ব্যবস্থা সম্পর্কে এক সাধারণ নিয়মাবলী তুলে ধরেছেন সেগুলি হল -
- কার্ডের উপরের মধ্যখানের অংশটি অধ্যায় বা নাম লেখার জন্য ব্যবহৃত হয় ।
- কার্ডের মুল অংশটির ডানদিকে তারিখ লেখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- কার্ডের মাঝখানের মধ্য জায়গা প্রধান অংশ সংক্ষিপ্ত আকারে লেখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- কার্ডের ডানদিকে কোন অংশটি প্রাপ্ত তথ্যের পৃষ্ঠা সংখ্যা লেখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
Q. Write A note History With Sociology Relation?
ロ ইতিহাসের সঙ্গে সমাজতত্ত্বের সুগভীর সম্পর্ক রয়েছে ।বলা হয়ে থাকে ইতিহাস যে সকল অন্যান্য ঘটনা লিপিবদ্ধ করে তা থেকে সমাজতাত্ত্বিক সাধারণ সূত্র গড়ে তোলে ।সংখ্যা ও বিশ্লেষণের বেশি ব্যবহার সমাজতত্ত্বের মর্যাদা বৃদ্ধি করে না এবং সমাজ গতিহীন ধরে নিয়ে তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ফলে ইতিহাসের মত সমাজতত্ত্ব অন্যান্য মধ্যে সামান্যীকরণ খোঁজে তাছাড়াও গতিশীল পরিবর্তন মুখী সমাজের বিশ্লেষণ করে ইতিহাসের সমস্ত পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে।সমাজতত্ত্বের মধ্যে সমাজের অরণ্য ব্যবহারের বিনোদন, লোককাহিনী সবকিছুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মানুষের জীবনের সূক্ষ্ম ,ক্ষুদ্র সবকিছুই সমাজতত্ত্বে তুলে ধরা হয়। অন্যদিকে ইতিহাস সমাজতত্ত্বের সাহায্য নিয়ে নানা সামাজিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে তেমনি সমাজতত্ত্বও ইতিহাসের সাহায্য ছাড়া চলতে পারে না। ট্রেভেলিয়ান তার ইংল্যান্ডের সামাজিক ইতিহাস ও সমাজের নানা দিক তুলে ধরেছেন যা সাধারণত ইতিহাসে স্থান পায় না এবং টয়েনবি মনে করেন ব্যক্তি বা মানুষ দিয়ে নয় সমাজ দিয়েই সভ্যতার বুনিয়াদ গঠন করা হয়। সমাজতত্ত্ব সমাজের নানা প্রতিষ্ঠান উৎপত্তি ও বিকাশের কথা বলে।বর্বর থেকে মানুষ কিভাবে সভ্যতায় পৌঁছে গেল মাঝের বিভিন্ন স্তরের ব্যাখ্যা সমাজতত্ত্বে পাওয়া যায়।
পরিবার, গৃহ জীবন, শ্রমিকের অবস্থা ধর্ম, সাহিত্য সঙ্গীত, শিল্প সবকিছু সমাজতত্ত্বের গবেষণার বিষয়। সামাজিক সূত্র বা সোশ্যাল ডায়নামিক আবিষ্কার করে সমাজতত্ত্ব একজন ঐতিহাসিক কে সহায়তা প্রদান করে। সামাজিক পরিবর্তনের ধারা সমাজতত্ত্ববিদ ও তার গবেষণায় তুলে ধরেন। ইতিহাসবিদ এগুলি তার গবেষণায় ব্যবহার করে প্রেক্ষিত গড়ে তোলেন এবং সমাজবিদ্যার ইতিহাসে সহযোগী হিসেবে এগুলো বর্তমানে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে যার ফলশ্রুতি হিসেবে ইতিহাসের সাথে সমাজবিজ্ঞানের সম্পর্ক গভীর।
Q. Write A note Nature of History?
ロ মানুষ ও রাষ্ট্রের কার্যাবলী সর্বাধিক গতিশীল ,এই পদাঙ্ক অনুসারে ইতিহাসের প্রকৃতি ও পরিধি সর্বদা পরিবর্তনশীল । পূর্বে রচনাত্মক পদ্ধতিতে ঘটনাবলীকে পরম্পরা অনুযায়ী সাজিয়ে ইতিহাস রচনা করা হত কিন্তু বর্তমানে এই ধারার বদল এসেছে এবং আরও বিজ্ঞানসম্মত সমালোচনা মূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ইতিহাস রচনা করা হচ্ছে । বর্তমানে ইতিহাস লেখার ক্ষেত্রে যে সকল বিষয় গুরুত্ব দেয়া হয় সেগুলি হল সত্যকে তুলে ধরা এবং অতীতে যা ঘটেছিল সেই অজানা প্রাপ্ত তথ্যের ব্যাখ্যার মূল্যায়ন ও তাদের গুরুত্ব বিশ্লেষণ বর্তমানে করা।বর্তমানে লক্ষ্য করা যায় যে ঐতিহাসিক সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ইতিহাস রচনায় প্রয়াসী হন কিন্তু ঐতিহাসিক কখনোই তার সমকালীন সামাজিক দার্শনিক ধর্মীয় রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ধারণা থেকে মুক্ত হতে পারেন না। সময়ের সাথে সাথে ইতিহাস বারবার পুনর্লিখিত হয়েছে । বর্তমানে ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে নতুন ধারণা সমূহ যুক্ত হয়েছে এবং তার পাশাপাশি ঐতিহাসিক অতীতের তত্ত্ব আবিষ্কার ও তার বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে আরো অনুসারী বিষয়গুলি সাহায্য গ্রহণ করেছেন। এভাবে দেখা যায় যে ইতিহাসের সঙ্গে প্রত্নতত্ত্ব ,রাশিবিজ্ঞান ,মনুষত্ব ইত্যাদি যুক্ত হয়েছে।
অনেকে মনে করেন যদি ইতিহাস পুনঃ আবর্তিত ঘটতো তাহলে সকল ঐতিহাসিক ঘটনা বৃত্ত আবর্তন ঘটতো এবং সভ্যতা এগিয়ে যেতে পারতো না। তাই ঐতিহাসিক Trevilian যথার্থই বলেছেন যে - “History repeats itself and History never repeats itself” । ইতিহাস রচনার সময় সমকালীনতা একটি আবশ্যিক বিষয়। অতীতের মূল তথ্যগুলিকে ঐতিহাসিকতার সমকালের রচনার মধ্য দিয়ে জীবন্ত করে তোলে এবং ইতিহাসের প্রকৃতি তার সমকালীনতার সাথে সাথে বারে বারে পরিবর্তিত হতে থাকে। অতীতের ব্যাখ্যার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে অনুমান করা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। ইতিহাসে প্রকৃতি অত্যন্ত জটিল ইতিহাসের সঙ্গে যে মূল্যবোধ জড়িয়ে রয়েছে তা কখনোই অনিশিকার্য নয়।
ইতিহাস কখনো সরল রৈখিক পথে অগ্রসর হয় না কেননা স্থান-কাল ও পত্রকের নিরিক্ষে পরিবর্তিত হওয়ার ফলে পরবর্তীতে পরিবর্তনশীলতা ধারা হিসেবে ইতিহাসকে আরো বেশি করে তুলতে সাহায্য করেছে ।
Q. What is Sources?
ロ অতীত সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ইতিহাসের ক্ষেত্রে উৎস বা উপাদান রূপে পরিচিতি লাভ করে। এটি যেকোন ধরনের তথ্য হতে পারে ; যেকোনো ধরনের প্রাচীন পুস্তক ,আত্মজীবনী ,সংবাদ ইত্যাদি। এগুলি ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে উৎস হিসেবে বিবেচিত হয় । ঐতিহাসিক এইসব তথ্য ও উৎসগুলো থেকেই ইতিহাস রচনা করে থাকেন।পূর্বে ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে কেবলমাত্র গ্রন্থ, সংবাদ পত্র, আত্মজীবনী ইত্যাদি ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে যে কোন ধরনের তথ্য যেমন- চলচ্চিত্র ছবি এমনকি লোককথা ও ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে উৎসের অন্তর্গত হয়েছে। ঐতিহাসিকগণ বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে ইতিহাস রচনা করে থাকে।
ইতিহাসের উৎস সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে (i) Primary Source বা প্রাথমিক উৎস (ii) Secondary Source বা মাধ্যমিক উৎস।
⦿ প্রথমতঃ ইতিহাসের ক্ষেত্রে প্রাথমিক উৎস হল মূলত হস্তনির্মিত বস্তু, আত্মজীবনী, পান্ডুলিপি, ডায়েরি ইত্যাদি।যা থেকে সেই সময়কার তথ্য প্রথম জানা যায়।তবে প্রাথমিক উৎস গুলো সাধারণভাবে সংগ্রহশালা গ্রন্থাগার বিভিন্ন ঐতিহাসিক সংস্থা বা কারো ব্যক্তিগত সংগ্রহে সংরক্ষিত থাকে।প্রাথমিক উৎস সংগ্রহের গুরুত্ব বলতে গিয়ে Arthur Marwick লিখেছেন যে,- “ Primary source are absolutely fundamental to history” ঐতিহাসিক যেকোনো বিষয় সম্পর্কে লিখতে গেলে সে বিষয়ে প্রাথমিক উৎস গুলির তথ্য গ্রহণ করে থাকেন।কখনো কখনো প্রাথমিক উৎস গুলি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকে এবং ধোঁয়াশা মূলক হয় যার ফলে এগুলি বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা করা কঠিন হয়ে পড়ে।
⦿ দ্বিতীয়তঃ মাধ্যমিক উৎস বা সেকেন্ডারি সোর্স প্রাইমারি সোর্সকে অবলম্বন করে লেখা হয়ে থাকে। কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক উপাদান ব্যবহার করে ঐতিহাসিক যখন কোন গ্রন্থ পরবর্তীকালে রচনা করে তখন তা Secondary Source বলে বিবেচিত হয়ে থাকে । উদাহরণ - হিসেবে বলা যায় যে আবুল ফজলের লেখা ‘আইন ই আকবরী’ গ্রন্থটি মুঘল যুগের ইতিহাস জানার জন্য প্রাথমিক উৎস বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু ভিন্সেন্ট স্মিথ এর লেখা আকবর দ্যা গ্রেট মুঘল (Akbar the great Mughal) সেকেন্ডারি সোর্স হিসেবে পরিগণিত হয়। কারণ স্মিথ গ্রন্থ রচনার সময় আবুল ফজলের লেখা গ্রন্থের সাহায্য নিয়েছিলেন।ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে প্রাথমিক উপাদান ও মাধ্যমিক উপাদান উভয়ের গুরুত্ব রয়েছে । ঐতিহাসিক যতক্ষণ না কোন বিষয়ের ঘটনাকে বেছে নিচ্ছেন ততক্ষণ অবধি সেই বিষয়ে রচনা প্রাথমিক উৎস গুলি মৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। কেবলমাত্র ঐতিহাসিকের হাত ধরেই প্রাথমিক উপাদান গুলি বিখ্যাত হয় এর পাশাপাশি মাধ্যমিক উৎস গুলি প্রাধান্য লাভ করে।
__________