Compulsory Bengali বাঙ্গালা ভাষা - স্বামী বিবেকানন্দ MCQ

প্রবন্ধ : বাঙ্গালা ভাষা স্বামী বিবেকানন্দ

Q1. 'বাঙ্গালা ভাষা' প্রবন্ধে কত খ্রিস্টাব্দে স্বামীজী পত্র লিখেছিলেন?
      (a) ১৮০০ খ্রিঃ ২০ শে ফেব্রুয়ারী
      (b) ১৯০১ খ্রিঃ ২০ শে ফেব্রুয়ারী
      (c) ১৯০০ খ্রিঃ ২০ শে ফেব্রুয়ারী
      (d) ১৯৪৩ খ্রিঃ ২০ শে ফেব্রুয়ারী

উত্তর (c) ১৯০০ খ্রিঃ ২০ শে ফেব্রুয়ারী

Q2. কোথাকার পত্রিকার সম্পাদককে স্বামীজী পত্র লিখেছিলেন?
           (a) ফ্রান্স
           (b) আমেরিকা
           (c) ভারত
           (d) জার্মানি 

উত্তর  (b) আমেরিকা

Q3.কোন পত্রিকার সম্পাদককে স্বামীজী পত্রটি লিখেছিলেন?
       (a) উদ্বোধন
       (b) আনন্দবাজার
       (c) আজ তাক
       (d) কর্মসংস্থান

উত্তর (a) উদ্বোধন

Q4. কোন ভাষাতে সমস্ত বিদ্যা বর্তমান?
       (a) বাংলা
       (b) সংস্কৃত
       (c) অসমীয়া
       (d) হিন্দি

উত্তর (b) সংস্কৃত

Q5. কোন ভাষার দ্বারা বিদ্বান ও সাধারণের মধ্যে অপার সমুদ্র তৈরি হয়ে যায়?
        (a) উর্দু
        (b) বাংলা
        (c) হিন্দি
        (d) সংস্কৃত

উত্তর  (d) সংস্কৃত

Q6.গৌতম বুদ্ধ থেকে চৈতন্য রামকৃঃ পর্যন্ত সকলেই কোন ধরনের ভাষাকে লােকশিক্ষার উপযুক্ত বলে মনে করেন?
(a) মান্য চলিত ভাষা
(b) সাধুরীতির ভাষা
(c) সংস্কৃত ভাষা
(d) হিন্দি ভাষা

উত্তর (a) মান্য চলিত ভাষা

Q7. সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কোন ভাষা জানে না?
         (a) ভােজপুরি ভাষা
         (b) চলিত ভাষা
         (c) সংস্কৃত ভাষা
         (d) হিন্দি ভাষা

উত্তর  (c) সংস্কৃত ভাষা

Q8. কোন ভাষার মধ্যে নমনীয়তা ও কমনীয়তা দুই-ই আছে?
       (a) চলিত ভাষা
       (b) মিশ্র ভাষা
       (c) উর্দু ভাষা
       (d) সাধু ভাষা

উত্তর  (a) চলিত ভাষা

Q9. রাগ, দুঃখ, ভালােবাসা কোন ভাষার দ্বারা প্রকাশ করা যায়?
       (a) সাধু ভাষা
       (b) হিন্দি ভাষা
       (c) মিশ্র ভাষা
       (d) চলিত ভাষা

উত্তর (d) চলিত ভাষা

Q10. বাংলাদেশের বিভিন্ন ভাষার চল থাকতেও স্বামীজী কোন স্থানের ভাষাকে আদর্শ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন?
(a) কলকাতা ও ভাগীরথী তীরবর্তী
(b) বীরভূম
(c) মালা
(d) হুগলী

উত্তর (d) হুগলী

Q11. 'বাঙ্গালা ভাষা' প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থের অন্তর্গত
         (a) বর্তমান ভারত
         (b) ভাববার কথা
         (c) পরিব্রাজক
         (d) প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য

উত্তর  (b) ভাববার কথা (১৯০৭)

Q12. 'বাঙ্গালা ভাষা' প্রবন্ধটি কোন ভাষারীতিটি প্রযুক্ত হয়েছে?
        (a) চলিত ভাষারীতি
        (b) মিশ্র ভাষারীতি
.       (c) উপভাষা রীতি
        (d) সাধু ভাষারীতি

উত্তর  (a) চলিত ভাষারীতি

Q13. কোন সালে স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম?
       (a) ১৮৬৪ সালে
       (b) ১৮৬৩ সালে
       (c) ১৮৩৫ সালে
       (d) ১৮০২ সালে

উত্তর (b) ১৮৬৩ সালে শিমুলিয়া

Q14. শৈশবে বিবেকানন্দের নাম ছিল?
         (a) ধনেশ্বর
         (b) যজ্ঞেশ্বর
         (c) মহেশ্বর
         (d) বীরেশ্বর

উত্তর (d) বীরেশ্বর

Q15. বিবেকানন্দের ছােটবেলায় নাম ছিল?
       (a) বীরেন্দ্রনাথ
       (b) নরেন্দ্রনাথ
       (c) মহেন্দ্রনাথ
       (d) উপেন্দ্রনাথ

উত্তর (b) নরেন্দ্রনাথ

Q16. বিবেকানন্দ ভাষার থেকে___গুরুত্ব বেশি দিয়েছিলেন?
       (a) লেখা
       (b) বলা
       (c) আলােচনা
       (d) ভাব

উত্তর (d) ভাব

Q17. 'বাঙ্গালা ভাষা' প্রবন্ধে আলালি ভাষায় লিখেছিলেন?
     (a) টেকচাঁদ
     (b) মহীচাঁদ
     (c) ফকিরচাঁদ
     (d) কালীপ্রসন্ন সিংহ

উত্তর (a) টেকচাঁদ

Q18. বিবেকানন্দের পিতার নাম?
      (a) মহেন্দ্রনাথ দত্ত
      (b) হরনাথ দত্ত
      (c) বিশ্বনাথ দত্ত
      (d) উপেন্দ্রনাথ দত্ত

উত্তর (c) বিশ্বনাথ দত্ত

Q19. যেটা ভাবহীন, প্রাণহীন সে ভাষা, সে শিল্প সে______কোনো কাজের নয়?
          (a) সঙ্গীত
          (b) খেলা
          (c) সংগ্রাম
          (d) মানুষ 

উত্তর (a) সঙ্গীত

Q20. 'বাঙ্গালা ভাষা' প্রবন্ধে কটমট শব্দটির অর্থ হল?
          (a) অদৃশ্য
          (b) দুর্বোধ্য
          (c) অসাধ্য
          (d) প্রকাণ্ড শব্দ

উত্তর  (b) দুর্বোধ্য

Q21. কোন দেশে চট্টগ্রাম শহরটি অবস্থিত?
         (a) ভারতে
         (b) পাকিস্তানে
         (c) বাংলাদেশে
         (d) মায়ানমারে

উত্তর (c) বাংলাদেশে

Q22. শ্লেষ এই কথাটি হলো একটি?
        (a) শব্দালংকার
        (b) গূঢ়ার্থ
        (c) অর্থালংকার
        (d) সবকিছু শেষ 

উত্তর (a) শব্দালংকার

Q23. আচার্য শংকর ছিলেন একজন?
      (a) ঐতিহাসিক
      (b) জ্যোতির্বিদ
      (c) বৈজ্ঞানিক
      (d) দার্শনিক

উত্তর (d) দার্শনিক

Q24. ভরত ঋষি ছিলেন একজন?
       (a) ভারতীয় ঋষি
       (b) ফরাসী ঋষি
       (c) ইতালিয় ঋষি
       (d) আমেরিকান ঋষি

উত্তর (a) ভারতীয় ঋষি

Q25. বুদ্ধদেব কোন ভাষায় লােকশিক্ষা দিয়েছিলেন?
            (a) সংস্কৃত
            (b) প্রাকৃত
            (c) পালি
            (d) হিন্দি

উত্তর  (c) পালি

Q26. ডগমগ’ শব্দটির অর্থ?
       (a) শােকার্ত
       (b) দুঃখ
       (c) প্রচন্ড ভয়
       (d) আনন্দ

উত্তর (d) আনন্দ

Q27. রামকৃষ্ণদেবের জন্মস্থান হয়ে ছিল কোন গ্রামে?
        (a) কামারপুকুর গ্রামে
        (b) বানিপুকুর গ্রামে
        (c) সিমুলিয়া গ্রামে
        (d) বামাপুকুর গ্রামে

উত্তর (a) কামারপুকুর গ্রামে

Q28. এখানে কোন ধরনের ভাষা প্রাকৃতিক?
          (a) চলিত ভাষা
          (b) সংস্কৃত ভাষা
          (c) মিশ্র ভাষা
          (d) কবিতার ছন্দযুক্ত ভাষা

উত্তর (a) চলিত ভাষা

Q29. কোন ধরনের ভাষা অস্বাভাবিক তথা অপ্রাকৃতিক?
        (a) চলিত ভাষা
        (b) সংস্কৃত ভাষা
        (c) হিন্দি ভাষা
        (d) ইংরেজী ভাষা

উত্তর (b) সংস্কৃত ভাষা

Q30. কোন ভাষাকে উপযুক্ত ভাষা বলে মনে করেছেন স্বামীজী?
         (a) চলিত ভাষা কে
         (b) সাধু ভাষা কে
         (c) সংস্কৃত ভাষা কে
         (d) গুজরাটি ভাষা কে

উত্তর (a) চলিত ভাষা কে

Q31. স্বামীজী সংস্কৃত ভাষাকে কোন ধরনের চাল বলে মনে করেছেন?
            (a) গদাই লস্করি চাল
            (b) দাবার চাল
            (c) খড়ের চাল
            (d) ধানের চাল

উত্তর (a) গদাই লস্করি চাল

Q32. স্বামীজী উন্নতির প্রধান উপায় তথা লক্ষণ বলে কোন বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছেন?
           (a) গণজাগরণ
           (b) নবজাগরণ
           (c) ভাষা
           (d) ব্যবসা

উত্তর (c) ভাষা

Q33. মীমাংসা ভাষ্যকার লেখা?
        (a) শবরস্বামী
        (b) আচার্য শংকর
        (c) বামনাচার্য
        (d) পাণিনি

উত্তর (a) শবরস্বামী


❋ নব্য ভারতীয় আর্য ভাষার সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও তার শাখাপ্রশাখা 

ロ প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার বিবর্তিত রূপ মধ্য ভারতীয় আর্যভাষা। এই বিবর্তনের সময় ভাষাগত নানা পরিবর্তন ঘটলেও ভাষা-ছাঁদের ক্ষেত্রে খুব বেশি বদল ঘটেনি। কিন্তু মধ্য ভারতীয় আর্যভাষা যখন নব্য ভারতীয় আর্যভাষার স্তরে পৌঁছােয় তখন অঞ্চলভেদে ভাষাগত স্বাতন্ত্র্য অনেক বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শুধু ধ্বনিগত পরিবর্তন নয়, বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন নতুন ভাষা-ছাঁদও গড়ে উঠতে থাকে। জন্ম হয় বিভিন্ন ভাষার। অর্থাৎ নব্য ভারতীয় আর্যভাষা বলতে অনেকগুলি ভাষার সমষ্টিকে বােঝায়। নব্য ভারতীয় আর্যভাষার প্রবণতা এবং বৈশিষ্ট্যের দিকে তাকিয়ে ভাষাতাত্ত্বিকদের অনেকে এই স্তরের। ভাষাকে পাঁচটি প্রধান শাখায় ভাগ করে সেই ধারাগুলির অন্তর্গত বিভিন্ন ভাষার স্বরূপ দেখানাের চেষ্টা করেন।
ভাষাতাত্ত্বিকদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী নব্য ভারতীয় আর্যভাষার পাঁচটি প্রধান ধারা হল—উদীচ্যা, প্রতীচ্যা, দক্ষিণি, মধ্য দেশীয় এবং প্রাচ্যা। একে একে এই ধারাগুলির তথা নব্য ভারতীয় আর্যভাষার বিভিন্ন শাখাপ্রশাখার পরিচয় দেওয়া যেতে পারে।

                             উদীচ্যা 
 উদীচ্যা বা উত্তর দেশীয় শাখাটির দুটি ভাগ—উত্তর-পশ্চিমা এবং পাহাড়ি। উত্তর-পশ্চিমার মধ্যে পড়ে সিন্ধি এবং পাঞ্জাবি, আর পাহাড়ি ভাষাগুচ্ছের মধ্যে পড়ে কুমায়নি, গাড়ােয়ালি, নেপালি প্রভৃতি।

✪ সিন্ধি :- সিন্ধি হল সিন্ধুপ্রদেশ ও কচ্ছ অঞলে ব্যবহৃত ভাষা। এই ভাষায় প্রাচীনত্বের চিহ্ন আছে।
পশ্চিমা পাঞ্জাবির সঙ্গে এর সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠ ছিল। সিন্ধি লেখা হয় ফারসি অক্ষরে। এই ভাষায় যুক্তব্যঞ্জন সরলীকৃত হওয়ার পরে পূর্ববর্তী হ্রস্বস্বর দীর্ঘতা পায়নি। পদের শেষে অবস্থিত ই-কার এবং উ-কার লােপ পায়নি। ঘ, ঝ, ধ, ঙ—এই ধ্বনিগুলি কণ্ঠনালির স্পর্শযুক্ত গ, জ, ড, ব ধ্বনিতে
পরিণত হয়েছে। সপ্তদশ শতাব্দী থেকে এই ভাষায় রচিত সাহিত্যের নিদর্শন পাওয়া যায়।

 পাঞ্জাবি :- পাঞ্জাবি ভাষার প্রধান শাখা দুটি—পশ্চিমা পাঞ্জাবি বা লহন্দি এবং পূর্বী পাঞ্জাবি বা হিন্দকি।
পশ্চিমা পাঞ্জাবি লেখা হয় লন্ডা কিংবা ফারসি অক্ষরে আর পূর্বী পাঞ্জাবি লেখা হয় গুরুমুখি অক্ষরে।
শিখদের ধর্মপুস্তক গ্রন্থসাহেব’ বা ‘আদিগ্রন্থ’ পূর্বী পাঞ্জাবিতে লিখিত

 পাহাড়ি ভাষাগুচ্ছ :- এই ভাষাগুচ্ছকে পূর্বী পাহাড়ি, মধ্য পাহাড়ি ও পশ্চিমা পাহাড়ি—এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়। পূর্বী পাহাড়ির প্রধান ভাষা নেপালি কুমায়নি ও গাড়ােয়ালি মধ্য পাহাড়ির অন্তর্গত,চম্বলি,প্রভৃতি ভাষা পশ্চিমা-পাহাড়ির মধ্যে পড়ে।

                          ⚝  প্রতীচ্যা ⚝
প্রতীচ্য শাখাটি দুটি গুচ্ছে বিভক্ত। একদিকে রয়েছে রাজস্থানি ভাষাগুচ্ছ এবং অন্যদিকে গুজরাটি। জয়পুরি,মাড়ােয়ারি, মেবারি, মালবি প্রভৃতি রাজস্থানি ভাষাগুচ্ছের অন্তর্গত।

✪ রাজস্থানি :- রাজস্থানে প্রচলিত ভাষা রাজস্থানি বলে পরিচিত। রাজস্থানি ভাষাগুচ্ছের মধ্যে পশ্চিমা
রাজস্থানি বা মারােয়াড়ি ভাষাই প্রধান। নাগরী এবং মহাজনি—এই দু-প্রকার লিপির প্রচলন আছে রাজস্থানি ভাষাগুচ্ছে। রাজস্থানির একটি উপভাষার নাম ‘খান্দেশি'।

✪ গুজরাটি :- রাজস্থানির সঙ্গে গুজরাটি ভাষার সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। ভাষাতাত্ত্বিকদের মতে প্রাচীন
পশ্চিমা রাজস্থানি থেকেই বর্তমান রাজস্থানি এবং গুজরাটি ভাষার উদ্ভব। গুজরাটি ভাষা ও সাহিত্য
যথেষ্ট প্রাচীন। চতুর্দশ শতাব্দী থেকে গুজরাটি গদ্য ও পদ্যের নিদর্শন পাওয়া যায়।

                             ⚝ দক্ষিণি ⚝
নব্য ভারতীয় আর্যভাষার দক্ষিণি শাখাটির উপশাখা নেই বললেই চলে। এই শাখার একমাত্র উল্লেখযোগ্য ভাষা মারাঠি।

✪ মারাঠি :- মারাঠি ভাষার উদ্ভব ঘটে আনুমানিক দশম খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে। তবে ত্রয়ােদশ
শতাব্দী থেকে এই ভাষায় সাহিত্যিক নিদর্শন পাওয়া যায়। মারাঠি ভাষায় রচিত প্রাচীনতম গ্রন্থ জ্ঞানদেব রচিত গীতার টাকা “জ্ঞানেশ্বরী" প্রথটির রচনাকাল ১২৯১ খ্রিস্টাব্দ। মারাঠি ভাষার দুটি উপভাষা। একটির নাম কোঙ্কনি এবং অন্যটির নাম বরারি। কেউ কেউ অবশ্য কোঙ্কনিকে মারাঠির উপভাষা না বলে স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে দেখতে চান। মারাঠি ভাষা নাগরী লিপিতে লিখিত হয়।

                             ⚝ মধ্য দেশীয় ⚝
নব্য ভারতীয় আর্যভাষার এই শাখাটি সাধারণভাবে হিন্দি বা হিন্দুস্থানি নামে পরিচিত। এর দুটি ভাগ–পশ্চিমা হিন্দি এবং পূর্বী হিন্দি।

✪ পশ্চিমা হিন্দি :- পশ্চিমা হিন্দির অনেকগুলি উপশাখা—খড়িবােলি বঙ্গারু, কথ্য হিন্দুস্থানি, - ব্রজভাষা,
কনৌজি, বুন্দেলি প্রভৃতি। খড়িবােলিকেই বলা হয় প্রকৃত হিন্দি ভাষা। এর দুটি রূপ! একটি সংস্কৃতবহুল
হিন্দি, যা নাগরী লিপিতে লিখিত হয়। আর-একটি আরবি-ফারসিবহুল উর্দু। উর্দু ভাষায় ব্যবহৃত হয় ফারসি লিপি।

✪ পূর্বী হিন্দি :- পূর্বী হিন্দিকে ভাষাতাত্ত্বিকদের অনেকে ‘কোশলি ভাষাগুচ্ছ’রূপে অভিহিত করে থাকেন। পূর্বী হিন্দি বা কোশলি ভাষাগুচ্ছের মধ্যে প্রধান তিনটি ভাষা হল অবধি, বঘেলি ও ছত্তিশগড়ি। দ্বাদশ শতাব্দীর রচনা ছাড়াও চতুর্দশ শতাব্দীর মধ্যভাগে রচিত দাউদের ‘চান্দায়ন’, পঞ্চ -যােড়শ শতাব্দীর সন্ধিকালে রচিত কুতবনের ‘মৃগাবতী’, ষােড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগে রচিত মালিক মুহম্মদ জায়সির ‘পদ্মাবতী’ এবং ষােড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগে রচিত তুলসীদাসের ‘রামচরিতমানস’ অবধি ভাষা ও সাহিত্যের কির গবত্বপূর্ণ নিদর্শন।

                           ⚝  প্রাচ্যা ⚝
নব্য ভারতীয় আর্যভাষার প্রাচ্যা শাখাটির দুটি প্রধান ভাগ। একটি পশ্চিমি এবং অন্যটি পূর্বী। পশ্চিমি ভাগের মধ্যে আছে মৈথিলি, মগহি এবং ভােজপুরিয়া আর পূর্বী ভাগের মধ্যে আছে অসমিয়া, ওড়িয়া এবং বাংলা।

✪ মৈথিলি :- বিহারের দ্বারভাঙ্গা, মজফ্ফরপুর, ভাগলপুর, মুঙ্গের, পূর্ণিয়া, উত্তর সাঁওতাল পরগনা - এবং
পূর্ব চম্পারণ অঞ্চলে মৈথিলি ভাষার প্রচলন। মৈথিলি ভাষায় কবি বিদ্যাপতি কিছু পদ এবংজ্যোতিরীশ্বর ঠাকুর "বর্ণরত্নাকর” নামে একটি গদ্যগ্রন্থ রচনা করেন। একসময় মৈথিলি ভাষা ‘তিরহুতি ও কাইথি’ লিপিতে লেখা হলেও বর্তমানে লেখা হয় ‘দেবনাগরী' লিপিতে।

✪ মগহি :- মুঙ্গের, ভাগলপুর, পাটনা, গয়া, পালামৌ প্রভৃতি অঞ্চলে মৈথিলির সদৃশ ভাষা মগহি ভাষার
প্রচলন আছে। মগহি ভাষায় রচিত প্রাচীন সাহিত্যের নিদর্শন না থাকলেও লােকগীতি, গাথা-কবিতা প্রভৃতি কথ্যসাহিত্যের নিদর্শন পাওয়া যায়।

 ভােজপুরিয়া :- মধ্যপ্রদেশের কিছুটা অংশে এবং বিহারের অনেকখানি জুড়ে ভােজপুরিয়ার প্রচলন
লক্ষ করা যায়। ভােজপুরিয়ায় রচিত প্রাচীন সাহিত্যের নিদর্শন কিছু না থাকলেও লোক সাহিত্যের একটা প্রাচীন ধারা আছে। সাম্প্রতিককালে রাহুল সাংকৃত্যায়নের মতাে কোনাে কোনাে ব্যক্তি এই ভাষায় কিছু কিছু সাহিত্য রচনা করেছেন। ভােজপুরিয়ার নিজস্ব লিপি ‘কাইথি’ পারিবারিক ও সামাজিক কাজকর্মে ব্যবহৃত হয়; সাহিত্য রচনার জন্য ব্যবহৃত হয় নাগরী লিপি।

 ওড়িয়া :- পূর্বাঞ্চলের অন্য ভাষাগুলির তুলনায় এই ভাষা অনেক বেশি রক্ষণশীল। এই ভাষায় পদের
মধ্যে ‘ও’ এবং শেষে ‘অ’ উচ্চারণ এখনও লক্ষ করা যায়। ওড়িয়া ভাষার পাঁচটি উপভাষা আছে এবং
এই ভাষার সাহিত্য যথেষ্ট সমৃদ্ধ।

✪ বাংলা ও অসমিয়া :- দশম শতাব্দীতে অসমিয়া ভাষা বাংলার উপভাষা কামরূপীর অন্তর্গত থাকলেও
পঞদশ শতাব্দীতে তা পৃথক এক ভাষায় পরিণত হয়। বাংলা ভাষার মতাে না হলেও অসমিয়া ভাষার
সাহিত্যও যথেষ্ট উন্নত।

Type Here ....

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন