আফ্রিকায় অব-উপনিবেশীকরণ (Decolonization)-এর প্রক্রিয়া ও সাথে সাথে ঐক্য আন্দোলন বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ভাগ জুড়ে চলেছিল। ঔপনিবেশিক নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্তিলাভের পর আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলি যথার্থই ভেবেছিল যে নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি সংগঠনের তলায় সম্মিলিত না হতে পারলে পূর্বতন ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিমি শক্তিগুলি নতুন করে তাদের প্রভাব বাড়াতে হবে এবং আফ্রিকার অগ্রগতি স্তব্ধ হয়ে যাবে। এই প্রেক্ষাপটেই 'Pan-Africanism' বা সৰ্ব আফ্রিকায় আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল এবং যার একটি উল্লেখযােগ্য পর্যায়ে আফ্রিকায় এক বৈপরীতের সংঘ (Organization of African Unity বা OAU) গঠিত হয়েছিল। বলা যেতে পারে 'The establishment of the Organization of African Unity (OAU) in 1963 marked a decisive stage in development of Pan-Africanism.'মনে রাখতে হবে যে Pan-Africanism বা সর্ব-আফ্রিকি আন্দোলনের ধারণা প্রথম বিশেষভাবে সূচিত হয়েছিল বিংশ শতাব্দীর গােড়ার দিকে।
এর বৃহত্তর অর্থ ছিল শ্বেতঙ্গঅত্যাচারী শাসকশ্রেণির বিরুদ্ধে অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই জারি রাখা এবং সাথে সাথে নিজেদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বৃদ্ধি করা। দুর্ভাগ্যবশত আফ্রিকা মহাদেশে ঐক্যের তুলনায় বিভেদ ও উপাদানগুলি ছিল অনেক বেশি প্রকট এবং সেই বিভাজন ছিল উপজাতীয়, সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত বিভাজন। OAU-এর প্রতিষ্ঠা সেইসব বিভেদ-বৈপরীত্যসমূহকে গুরুত্বহীন করে সমগ্র আফ্রিকার কালাে মানুষদের দেশ-জাতি নির্বিশেষে একটি সংঘের আওতায় আনতে সর্বতােভাবে উদ্যোগী হয়েছিল। আফ্রিকার জাতীয়তাবাদী নেতৃত্বের দীর্ঘকালব্যাপী প্রয়াসের ফল ছিল OAU যা ছিল মহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।
১৯৬২ সালে লাগােসে আয়ােজিত আফ্রিকার দেশগুলির একটি সম্মেলনে বিভিন্ন গােষ্ঠীতে বিভক্ত আফ্রিকি রাষ্ট্রগুলি সাধারণ স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ঐক্যের পথ প্রশস্ত করেছিল। পরের বছর ১৯৬৩ সালে ২৫ মে আদ্দিস আবাবায় আহূত একটি সম্মেলনে আফ্রিকা মহাদেশের ৩২টি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানরা মিলিত হয়েছিলেন এবং OAU-র প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সনদে স্বাক্ষর করেছিলেন। এভাবে আফ্রিকীয় ঐক্য সংঘ আত্মপ্রকাশ করেছিল। এবং তার প্রাথমিক সদস্যসংখ্যা ছিল ৩২ পরবর্তীকালে ২০০১ সালে তা বেড়ে ৫৩ হয়েছে। বর্তমানেও OAU-র প্রধান কার্যালয় ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা।
বিশেষজ্ঞ দের অভিমত হল, ‘আদ্দিস আবাবা সনদে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আফ্রিকীয় সংহতি নিঃসন্দেহে একটি নির্ণায়ক অধ্যায়ে পৌছেছিল'। এল. ককরােফট-এর ভাষায়, "The majority of African leaders consider the OAU a major instrument in promoting the struggle for African unity"
OAU-র নীতি, উদেশ্য ও লক্ষ্যগুলি ছিল যেমন হলো....
• আফ্রিকার দেশসমূহের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বৃদ্ধি করা
•. আফ্রিকার দেশে দেশে জনগণের জীবনযাত্রার মানােন্নয়ন
• সমস্ত সদস্যরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করা
•. আফ্রিকা থেকে সবধরনের উপনিবেশবাদ বা ঔপনিবেশিকতার বিলােপসাধন
• বহির্বিশ্বের সঙ্গে যােগাযােগ স্থাপন এবং তা আফ্রিকার কল্যাণে বাড়িয়ে চলা
• রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সনদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আন্তর্জাতিক সহযােগিতার প্রসার ঘটানাে ইত্যাদি।
সময়ে সময়ে আফ্রিকীয় ঐক্য সংঘ (OAU)-এর লক্ষ্য ও কর্মসূচিতে নতুন নতুন সংযােজন ঘটেছিল। এই সংগঠন প্রতিষ্ঠার কালেও আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ পরাধীন ছিল। OAU আফ্রিকা মুক্তি কমিটি গঠন করে ঐসব দেশগুলির স্বাধীনতার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিল। OAU-এর অপর একটি লক্ষ্য ও কর্মসূচি হয়ে উঠেছিল ঔপনিবেশিক শাসনের বিষময় ফল হিসেবে পরিচিত বর্ণ বৈষম্যবাদের ও বর্ণবিদ্বেষী পশ্চিমি ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে আন্দোলন সংগঠিত করা। প্রাকৃতিক সম্পদ মাধ্যমে আফ্রিকার দেশগুলির দ্রুত বৈষয়িক উন্নতিসাধনেও OAU কাজ শুরু করেছিল।
এ সবের পাশাপাশি ঐ সংগঠন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে কোনাে সদস্যরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে-অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করা হবে না। পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ উপায়ে OAU সমস্ত বিরােধের মীমাংসা করতে সচেষ্ট থাকবে এবং যে-কোনাে ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজকর্মের নিন্দা করবে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে জোট নিরপেক্ষ তাকে অনুসরণ করে চলাও OAUর অন্যতম প্রধান নীতি হয়ে উঠেছিল। আফ্রিকার দেশগুলির অব-উপনিবেশীকরণের পরিণতিতে স্বাধীনতা অর্জন সম্পর্কে এই গ্রন্থের প্রথম অধ্যায়ে একটি সংক্ষিপ্ত আলােচনা করা হয়েছে। আমরা দেখেছি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে উপনিবেশবাদের অবসানের যে প্রবণতা প্রকট হয়ে উঠেছিল সেই সুবাদে আফ্রিকার দেশগুলিতেও মুক্তিসংগ্রাম শুরু হয়েছিল এবং একটির পর একটি দেশ পশ্চিমি ঔপনিবেশিক শক্তির অধীনতাপাশ থেকে মুক্ত হয়েছিল যদিও সেই প্রক্রিয়া ছিল বিলম্বিত এবং তা দীর্ঘ সময় ধরে চলেছিল।
অন্যদিকে, আফ্রিকার ঐক্য আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশক থেকেই। ১৯১০ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময়কালে ছয়টির মতাে সর্ব আফ্রিকা সম্মেলন (Pan-African Conferences) সম্মেলন বসেছিল। অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৯৪৫ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে এধরনের আরাে কয়েকটি সম্মেলন বসেছিল। সদ্য স্বাধীন আফ্রিকি দেশগুলি নিয়ে প্রথমদিকে যেসব আফ্রিকীয় নেতা ও সংগঠক আফ্রিকার ঐক্য প্রতিষ্ঠায় নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন তাদের মধ্যমণি ছিলেন ঘানা-র বিশিষ্ট জাতীয়তাবাদী নেতা Kwame Nkrumah তিনি সর্ব-আফ্রিকাবাদকে মূল ভিত্তি করে একটি আফ্রিকা যুক্তরাষ্ট্র বা 'United States of Africa' গঠন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই ধারণা অনেকাংশে কল্পনাশ্রয়ী ও রােমান্টিক অর্থাৎ বাস্তববােধ বর্জিত হওয়ার অজুহাতে আফ্রিকি ঐক্য আন্দোলনের অন্যান্য নেতারা তা বর্জন করেন এবং অন্যধরনের বাস্তবধর্মী কোনাে সংগঠন গড়ে তােলার চিন্তাভাবনা শুরু করেন।প্রসঙ্গত উল্লেখযােগ্য যে তৎকালীন আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি আফ্রিকা যুক্তরাষ্ট্র গঠনের অনুকূল ছিল না। তাই শেষ অবধি 'United States of Africa' গঠিত হতে পারেনি।
OAUর প্রধান অঙ্গগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য আফ্রিকীয় রাষ্ট্রপ্রধানদের সভা (Assembly of Heads of State and Government), (Council of Ministers), (General Secretariat), মধ্যস্থতা, আলােচনা ও সিদ্ধান্তগ্রহণ বিষয়ক কমিশন। এগুলি ছাড়াও ,পূর্বে উল্লিখিত মুক্তি কমিটিও (OAU Liberation Committee) একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ হিসেবে কাজ করে চলেছিল। OAUর মহাসচিব চার বছরের জন্য নির্বাচিত হন। OAU আফ্রিকার সংঘাতদীর্ণ দেশগুলিতে শান্তিস্থাপনের কাজে ক্রমে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। মরক্কো বনাম আলজিরিয়া, সােমালিয়া বনাম ইথিওপিয়া, সােমালিয়া বনাম কেনিয়া, ঘানা নাম আপার ভােল্টার মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক বিবাদগুলির অবসানে OAU আন্তরিকভাবে প্রয়াসী হয়েছিল এবং বহুলাংশে সাফল্য পেয়েছিল।
আফ্রিকায় ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানে এবং বর্ণবৈষম্যবাদকে উৎখাত করার কাজে OAU-এর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। এই সংগঠনের কৃতিত্ব আলােচনা প্রসঙ্গে বলা যায় যে,__ “The establishment of OAU was a landmark in strengthening co-operation of African States, although it did not signify the elimination of differences between them." ১৯৮০র দশকে একাধিক সংঘর্ষ OAU-কে অসহায় ও অনেকাংশে অকার্যকর করে রেখেছিল। ১৯৮১ সালে চাদ ও লিবিয়ার মধ্যেকার সংঘর্ষ, পশ্চিম সাহারা সংকট, ১৯৮৫ সালে বিশ্বের দরিদ্রতম দেশ ম্যালিস ও বুরকিনা ফাসাের মধ্যে বিবাদ, নব্বই-এর দশকের শুরুতে লাইবেরিয়ার গৃহযুদ্ধ ও শরণার্থীজনিত সমস্যা OAU-কে রীতিমত বিপর্যস্ত করেছিল ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় এনে ফেলেছিল। ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে OAUর দুটি শিখর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে রাজনৈতিক বিষয়গুলি অপেক্ষা উন্নয়নের সমস্যা ও বাণিজ্যিক বিষয়গুলি অধিক পরিমাণে আলােচিত হয়। ১৯৯১ সালে আফ্রিকীয় ঐক্য সংঘের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় আফ্রিকীয় অর্থনৈতিক গােষ্ঠী (African Economic Community—AEC)। OAU আফ্রিকা মহাদেশে নয়া উপনিবেশবাদের প্রতিষ্ঠা ও বিস্তার রােধ করতে ও কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের মধ্যে সংহতি ও ঐক্য সুদৃঢ় করতে আজও তার লড়াই অব্যাহত রেখেছে।
তবে এর সীমাবদ্ধতাও (Limitations) ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে। আফ্রিকীয় ঐক্য সংঘ (OAU)-এর প্রতিশ্রুতি ও সাফল্যের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান রয়েছে এবং এই সংগঠনের কাজকর্ম নির্বিশেষে সমালােচনার উর্ধ্বে নয়। সমালােচকরা যথার্থই বলে থাকেন,-
'In its history the OAU has not bridged the gap between its promises and its performance' আফ্রিকার মাটি থেকে উপনিবেশবাদ পুরােপুরি উৎখাত করা OAUর একার পক্ষে সম্ভব হয়নি, যদিও তাতে এই সংগঠনের কৃতিত্বকে খাটো করে দেখার কোনাে কারণ ঘটেনি। আফ্রিকার কয়েকটি দেশে স্বৈরাচারী শাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ঠেকাতে (OAU) ব্যর্থ হয়েছে। সােমালিয়া, ইথিওপিয়া, সুদান প্রভৃতি দেশগুলির মধ্যেকার বিরােধ মেটানাে এবং লক্ষ লক্ষ বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতেও (OAU) সফল হয়নি। সংগঠনের একাধিক সদস্যরাষ্ট্র OAU র নির্দেশ অমান্য করেও পার পেয়ে গেছে, তাদের বিরুদ্ধে সংগঠন কোনাে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেনি। উপযুক্ত দৃঢ়তার অভাব এই সংগঠনের অন্যতম প্রধান দুর্বলতা। ১৯৭০-এর দশক থেকে বিভিন্ন সময়ে (OAU) কর্তৃক গৃহীত অর্থনৈতিক প্রস্তাবগুলিও বাস্তবায়িত হয়নি।
কোনাে কোনাে সদস্যরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকলেও তাদেরকে নিরস্ত করা OAU-র পক্ষে সম্ভব হয়নি। সদস্যরাষ্ট্রগুলির প্রখর স্বধিকার ও স্বাতন্ত্র্যবােধ আফ্রিকীয় ঐক্য সংঘকে আশানুরূপ সাফল্য লাভের পথে বাধার সৃষ্টি করে আসছে। এই অভিমত তাই অযৌক্তিক নয় যে, ‘OAU established particularism in Africa' দারিদ্র্য দূরীকরণের মতাে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও OAU-র সাফল্য নিতান্ত সীমিত; অথচ ৫৩টি সদস্যরাষ্ট্রের সুষম বিকাশ ছাড়া এই ধরনের রাষ্ট্রজোট সফল হতে পারে না। অবশ্য OAU-এর অবদানের মূল্যায়ন সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে করা যেতে পারে। বর্ণবিদ্বেষ ও উপনিবেশবাদ-বিরােধী আন্দোলনে এই সংগঠন তার জন্মলগ্ন থেকে সামনের সারিতে ঠান্ডা যুদ্ধ-উত্তর পর্বে OAU সাফল্যের সাথে সর্ব-আফ্রিকাবাদ আন্দোলনকে (Pan-African Movement) জনপ্রিয় করে তুলতেও সক্ষম হয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলার ব্যাপারে এই সংগঠনের উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। একইভাবে
NAM-এর পাশে থেকে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনকে গতিশীল করে তুলতে OAUর ভূমিকা অত্যন্ত উজ্জ্বল। এই সংগঠনে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্তর্ভুক্তি OAU মর্যাদা ও গুরুত্ব বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে। ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্যের অবসান হয় এবং পরে পরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্যদিয়ে ঐ দেশটিতে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের সরকার ক্ষমতায় আসে। এই সমগ্র প্রক্রিয়ায় OAU-র উল্লেখযােগ্য ভূমিকা ছিল।
ক্যালভাে কোরেসি যথাযথ ভাবেই বলেছেন যে OAU প্রতিষ্ঠার সাথে যে পরিবর্তন গুলি সামনে এসেছে সেগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল উপনিবেশ বাদের অবসান,মানবাধিকার আন্দোলনের অগ্রগতি, আফ্রিকার মানুষের বিচ্ছিন্নতার অবসান ও অবশিষ্ট বিশ্বের সঙ্গে সংযােগসাধন প্রভৃতি। কিছু সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও OAU আফ্রিকার শােষিত, দরিদ্র, কালাে মানুষদের নিয়ে ক্রমশ উত্তরণের পথে যাত্রা শুরু করেছে। এক মহান ব্রতকে লক্ষ্য করে আফ্রিকীয় ঐক্যসংঘ তার কাজ করে চলেছে।