বায়ুমণ্ডল ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর 2022 উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতি


উচ্চ মাধ্যমিক বায়ুমণ্ডল এবং জলবায়ুর শ্রেণিবিভাগ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর
⦿⦿ পরীক্ষার প্রস্ততি   ⦿⦿

Q77. জলবায়ুর অঞ্চলের উপাদানগুলি কী কী?
➺ জলবায়ু নির্ধারণে আবহাওয়ার বায়ুমণ্ডলীয় উপাদানগুলি হল—উষ্ণতা , বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা, বায়ুর চাপ, বায়ুর গতিবেগ, মেঘাচ্ছন্নতা, বাষ্পীভবন প্রভৃতি। বায়ুমণ্ডলের এইসব উপাদানের সাদৃশ্য অনুযায়ী পৃথিবীপৃষ্ঠকে কয়েকটি নির্দিষ্ট জলবায়ু অঞ্চলে ভাগ করা যায়।

Q78. কোপেন পৃথিবীর জলবায়ুকে কোন কোন প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত করেন?
➺ কোপেন পৃথিবীকে পাঁচটি প্রধান জলবায়ু অঞ্চলে ভাগ করেছেন। জলবায়ুর প্রতিটি বিভাগ ইংরেজি
বড়াে হাতের এক-একটি অক্ষর দ্বারা চিহ্নিত। যেমন— 
 A_______ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল অরণ্য জলবায়ু
B_______উপক্ৰান্তীয় শুষ্ক জলবায়ু
C_______উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
D _______শীতল তুষারময় অরণ্য জলবায়ু
E________মেরু জলবায়ু


Q79.  নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চল কাকে বলে?
➺  নিরক্ষরেখার উভয়দিকে 5°-10° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু বিরাজ
করে বলে এই জলবায়ু নিরক্ষীয় জলবায়ু নামে পরিচিত। এই জলবায়ু ক্রান্তীয় বৃষ্টি অরণ্য জলবায়ু বা ক্রান্তীয় উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু নামেও পরিচিত। দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন অববাহিকা এই জলবায়ুর দ্বারা প্রভাবিত বলে এই জলবায়ুর অপর নাম আমাজনীয় প্রকৃতির জলবায়ু।

Q80. ITCZকাকে বলে?
➺ নিরক্ষরেখার উভয় দিকে 5° উত্তর থেকে 5° দক্ষিন অক্ষরেখার মধ্যে উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় বরাবর মিলিত হয়। এই অঞ্চলকে আন্ত:ক্ৰান্তীয় অভিসারী বা মিলন অঞ্চল বা ITCZ (Inter-tropics Convergence Zone) বলে।

Q81.নিরক্ষীয় শান্তবলয়ের সংজ্ঞা দাও?
➺ নিরক্ষরেখার উভয়দিকে 5° উত্তর থেকে 5° দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় বরাবর মিলিত হয়ে আন্তঃক্রান্তীয় অভিসারী অঞ্চল সৃষ্টি করে। এখানে বাতাস সর্বদা উধ্বগামী হয়। ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে কোনাে বায়ু প্রবাহিত হয় না বলে বাতাসের কোনাে বেগ অনুভূত হয় না, বাতাস থাকে শান্ত। তাই এই অঞ্চলকে নিরক্ষীয় শান্ত বলয় বলে।

Q82. মৌসুমি বিস্ফোরণ বলতে কী বােঝ?
➺  গ্রীষ্মকালে উত্তর-পশ্চিম ভারতে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এই নিম্নচাপের প্রভাবে প্রতি বছর জুন মাসের প্রথম দিকে ভারত মহাসাগর থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুরূপে প্রবাহিত হয়। এই বায়ু ভারতে প্রবেশ করার পূর্বেই আরব সাগরীয় ও বঙ্গোপসাগরীয় শাখায় বিভক্ত হয়। মৌসুমি বায়ুর আরব সাগরীয় শাখা সর্বপ্রথম মালাবার উপকূলের পশ্চিমঘাট পর্বতে আছড়ে পড়ে ব্রজবিদ্যুৎসহ প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায়। এইরূপ মৌসুমি বায়ুর দ্বারা প্রথম বৃষ্টিপাতের ঘটনাকে মৌসুমি বায়ুর বিস্ফোরণ বলে।

Q83. মৌসুমি জলবায়ু কাকে বলে?
➺ মৌসুমি শব্দের উৎপত্তি 'আরবি' শব্দ 'মৌসম' বা মালয় শব্দ 'মনসিন' থেকে। এর অর্থ 'ঋতু'। মৌসুমি শব্দটি একটি বিশেষ ধরনের ঋতুকালীন ধারাবাহিক ও নিয়মিত বায়ুপ্রবাহকে বােঝায়। এই বায়ু গ্রীষ্ম ঋতুতে যে দিক থেকে প্রবাহিত হয়, শীত ঋতুতে ঠিক তার বিপরীত দিক থেকে প্রবাহিত হয়। সুতরাং বলা
যায়, গ্রীষ্ম ও শীত ঋতুভেদে বিপরীত দিক পরিবর্তনকারী বায়ুপ্রবাহকে মৌসুমি বায়ু বলে। যে জলবায়ু মৌসুমি বায়ুর দ্বারা প্রধানত প্রভাবিত হয় তাকে মৌসুমি জলবায়ু বলে।

Q84. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে গ্রীষ্মকাল শুষ্ক কেন?
➺ ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল গ্রীষ্মকালে শুষ্ক থাকার কারণ : সূর্যের উত্তরায়ণের ফলে উপক্ৰান্তীয় উচ্চচাপ বলয় কয়েক ডিগ্রি উত্তরে সরে গিয়ে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞলে অবস্থান করে। এই সময় নিরক্ষীয় অঞ্চলের উর্ধ্বমুখী আর্দ্র বায়ু এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে শুষ্ক বায়ু হিসেবে উপক্ৰান্তীয় অঞ্চলের ওপর নেমে আসে। মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় অঞ্চলের বিক্ষিপ্ত বায়ুও এই সময় উপক্ৰান্তীয় উচ্চচাপ বলয়ে নামতে থাকে। উপক্ৰান্তীয় অঞ্চলে এই দুই বায়ুর অবনমনের ফলে বায়ুচাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর উষ্ণতা ও বাড়ে। ফলে বায়ুর জলীয়বাষ্প ধারণ ক্ষমতা বাড়ে। তাই, ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে গ্রীষ্মকাল শুষ্ক থাকে, বৃষ্টিপাত হয় না।

Q85. Af জলবায়ু কী?
➺ কোপেন পৃথিবীর জলবায়ুকে যে পাঁচটি প্রধান ভাগে ভাগ করেছেন তার মধ্যে A জলবায়ু হল।
ক্রান্তীয় জলবায়ু। এই জলবায়ুর একটি উপবিভাগ হল Af জলবায়ু। এটি আসলে ক্রান্তীয় বৃষ্টি অরণ্য জলবায়ু। এই জলবায়ু অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য হল—সারাবছর বৃষ্টিপাত ঘটে। এই অঞ্চলে স্পষ্ট কোনাে
শুষ্ক ঋতু থাকে না। বছরের শুষ্কতম মাসেও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 6 সেমির নীচে নামে না।

Q86. এল-নিনাে কী?
➺  এল-নিনাে একটি স্পেনীয় শব্দ। এর অর্থ হল যিশুর পুত্র বা খ্রিস্টপুত্র। এটি একটি দক্ষিণ প্রশান্ত
মহাসাগরের সাময়িক উষ্ণ সমুদ্রস্রোত। কোনাে কোনাে বছর বড়াে দিনের সময় অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আমেরিকার পেরু ও ইকুয়েডর উপকূল দিয়ে শীতল হামবােল্ড স্রোতের পরিবর্তে উষ্ণ স্রোত প্রবাহিত হয় একে এল-নিনাে বলে। এল-নিনাের প্রভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খরা ও অতিবৃষ্টি হয়।


Q87. জেট বায়ু বলতে কী বােঝায়?
➺  ট্রপােস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বসীমায় গতিবেগ 180-300 কিমি প্রতি ঘণ্টায় সর্পিলাকার দ্রুতগতিসম্পন্ন বায়ুপ্রবাহকে জেট বায়ু বলে। উপক্ৰান্তীয় জেট বায়ু পশ্চিমি জেট এবং ক্রান্তীয় জেট বায়ু পূবালি জেট নামে পরিচিত।

Q88. মনেক্স (MONEX) কী?
➺ Monsoon Expedition এর সংক্ষিপ্ত প্রকল্প হলো  MONEX , মৌসুমি বায়ুর উৎপত্তি সন্ধানে যে অভিযান করা হয় তাকে মনেক্স বলে। 1973 খ্রিস্টাব্দে পূর্বতন সােভিয়েত রাশিয়া ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে 4 টি সােভিয়েত ও 2টি ভারতীয় জাহাজ নিয়ে আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরে মৌসুমি বায়ুর উৎপত্তি সম্বন্ধীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য ভারতীয় ও রাশিয়ার বিজ্ঞানীগণ মিলিতভাবে অভিযান শুরু করেন। পরে উভয় দেশের বিজ্ঞানীগণ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে তিব্বতীয় মালভূমিই মৌসুমি বায়ু
সৃষ্টির জন্য দায়ী।

Q89. কালবৈশাখী কী?
➺ গ্রীষ্মকালে পূর্ব ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও বাংলাদেশে ভারতের উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বজ্রবিদ্যুৎ ও বৃষ্টিপাতসহ এক তীব্র ঝড়ের আবির্ভাব ঘটে। বৈশাখ মাসে এই ঝড়ের আবির্ভাব ঘটে বলে একে স্থানীয় ভাষায় কালবৈশাখী বলে। ফাল্গুন মাসের শেষ থেকে জৈষ্ঠ্য মাসের প্রথম দিক পর্যন্ত এই ঝড় আবির্ভূত হয়। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে এই বায়ু প্রবাহিত হয় বলে এই ঝড়কে 'Norwester' বলে। গ্রীষ্মকালে উন্মুক্ত শিলা ও ল্যাটেরাইট সমৃদ্ধ ছােটোনাগপুর অঞ্চলে যে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় তারই প্রভাবে কালবৈশাখীর আবির্ভাব ঘটে।

Q90. আশ্বিনের ঝড় কী?
➺ অক্টোবর-নভেম্বর মাসে প্রত্যাগমনকারী মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে বঙ্গােপসাগরীয় সমুদ্রবায়ুর সংঘাতে যে প্রবল ঝড়ের সৃষ্টি হয়, তাকে সাইক্লোন বলে। এই বায়ু পশ্চিমবঙ্গে আশ্বিন মাসে আবির্ভূত হয় বলে এই ঝড়কে আশ্বিনের ঝড় বলে। এই ঝড়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী রাজ্যগুলিতে প্রচুর ঝড়-বৃষ্টি হয়। এই ঝড়ের প্রভাবে কোনাে কোনাে অঞ্চলে দিনে 50 সেমিরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়।

Q91. ঘূর্ণবাত কী?
 ইংরেজি শব্দ Cyclone এর অর্থ সর্পিল আকৃতির কুণ্ডলী। ক্রান্তীয় অঞ্চলে অথবা নাতিশীতােষ্ণ অঞ্চলের স্বল্প পরিস স্থানের বায়ু হঠাৎ খুব বেশি উত্তপ্ত হলে এক গভীর নিম্নচাপের সৃষ্ট হয়। তখন পাশ্ববর্তী অঞ্চলের অপেক্ষাকৃত শীল ও ভারী অপেক্ষাকৃত বায়ু পাক খেতে খেতে কুণ্ডলীর আকারে এই নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসে। নিম্নচাপ অঞ্চলে পৌঁছে বায়ু উষ্ণ ও উর্ধ্বমুখী হয় এরূপ আবর্তিত বায়ুকে  ঘূর্ণবাত বা সাইক্লোন বলে।

Q92. ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত কাকে বলে?
 নিরক্ষরেখার উভয় দিকে  থেকে 20° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যবর্তী অঞ্চলে ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত
সৃষ্ট হয়। এই অঞ্চলে অধিক উষ্ণতার (27°সের অধিক) জন্য সমুদ্রের ওপর বায়ু উষ্ণও আর্দ্র হয়ে ওপরের দিকে উঠে যায় তলে, এই অঞ্চলে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এই নিম্নচাপ-কেন্দ্রের বাইরের 
দিকের অপেক্ষাকৃত শীতল ও ভারী বায়ু প্রবল বেগে কুণ্ডলীর আকারে ঘুরতে ঘুরতে নিম্নচাপ-কেন্দ্রের দিকে প্রবেশ করে। ফলে নিম্নচাপ কেন্দ্রের বায়ু আরও বেশি উষ্ণ হয়ে ওপরের দিকে উঠে যায়। ক্রান্তীয় অঞ্চলে এইরুপ প্রবল গতিসম্পন্ন নিম্নচাপে কেন্দ্রমুখী ঘূর্ণমান উধ্বগামী বায়ুপ্রবাহকে ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত বলে।

Q93. প্রতীপ ঘূর্ণবাত কাকে বলে?
➺  শীতল নাতিশীতােষ্ণ হিমমণ্ডলে কোনাে কোনাে স্থানে অধিক শৈত্যের জন্য অথবা কোনো কারণে শৈত্যের প্রকোপ হঠাৎ বেড়ে গেলে বায়ুর চাপ বেড়ে যায়। ফলে এই অঞ্চলে উচ্চচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রের বাইরের দিকে নিম্নচাপ অবস্থান করায় উচ্চচাপ অঞ্চলের শুষ্ক ও শীতল বায়ু প্রবল বেগে কুণ্ডলীর আকারে বাইরের দিকে প্রবাহিত হয়। এইরূপ প্রবল গতিসম্পন্ন শুষ্ক ও শীতল বহির্মুখী ঘূর্ণায়মান অধােগামী বায়ু- প্রবাহকে প্রতীপ ঘূর্ণবাত বলে।

Q94. মধ্য অক্ষাংশীয় ঘূর্ণবাত কাকে বলে?
 নিরক্ষরেখার উভয় দিকে 35° থেকে 65° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে দুই বিপরীতধর্মী বায়ুর
মিলনের ফলে যে ঘূর্ণবাত সৃষ্টি হয় তাকে মধ্য অক্ষাংশীয় ঘূর্ণবাত বা নাতিশীতােয় ঘূর্ণবাত বলে।

Q95. ঘূর্ণবাতের চক্ষু কাকে বলে?
➺  শক্তিশালী ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে এক গতিহীন, শান্ত, প্রায় মেঘশূন্য অবস্থা বিরাজ করে। একে ঘূর্ণবাতের চক্ষু বা ঝড়ের চক্ষু বলে। এর ব্যাস প্রায় 10 কিমি থেকে 20 কিমি বিস্তৃত। ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের চক্ষুর চারিদিকে নিম্বোর্স্টাটাস মেঘের আস্তরণ থাকে। একে ঝড়ের চক্ষু প্রাচীর (Eye wall) বলে।

Q96.  সীমান্ত বা বায়ু প্রাচীর কাকে বলে?
 যে সীমানা দ্বারা দুটি ভিন্ন তাপমাত্রা ও ঘনত্বের বায়ুপুঞ্জ পৃথক হয়ে থাকে সেই পৃথকীকরণ সীমানাকে বা তলকে সীমান্ত বা বায়ু প্রাচীর বলে। উষ্ণ ও আর্দ্র, বায়ুপুঞ্জ এবং শীতল ও শুষ্ক বায়ুপুঞ্জের মিলনের ফলে সীমান্ত সৃষ্টি হয়।

Q97. উষ্ণ সীমান্ত কাকে বলে?
 উষ্ণ বায়ুপুঞ্জ শীতল বায়ুপুঞ্জকে যে সীমান্তপৃষ্ঠ বা তল বরাবর স্থানচ্যুত করে তাকে উষ্ণ সীমান্ত বলে। উষ্ণ সীমান্ত তির্যক প্রকৃতির হয়। এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা সীমান্তের ঢালের ওপর নির্ভর করে।

Q98. শীতল সীমান্ত কাকে বলে?
➺ শীতল বায়ুপুঞ্জ  উষ্ণ বায়ুপুঞ্জকে যে সীমান্তপৃষ্ঠ বা তল বরাবর স্থানচ্যুত করে, তাকে শীতল সীমান্ত বলে। শীতল সীমান্ত উত্তল প্রকৃতির হয়। শীতল সীমান্তে কিউমুলােনিম্বাস মেঘের সঞ্চার ঘটে। উষ্ণ সীমান্তের চেয়ে শীতল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বেশি।

Q99. টর্নেডাে বলতে কী বােঝায়?
➺ টর্নেডাে 'স্পেনীয় শব্দ' টর্নেডাের অর্থ বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়বৃষ্টি। টর্নেডাে পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা দ্রুতগামী অতি বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ঝড় টুইস্টার নামে পরিচিত। অতি অল্প স্থান জুড়ে অত্যন্ত শক্তিশালী নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হলে টর্নেডাে সৃষ্টি হয়।

Q100. হ্যারিকেন ও টাইফুন বলতে কী বােঝায়?
➺ পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন সমুদ্রে যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আবির্ভাব ঘটে তা হ্যারিকেন নামে পরিচিত। এই অঞ্চলের সমুদ্রের জলরাশি 27 °সে. বা তার অধিক উষ্ণ হলে সমুদ্রের ওপর গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। ফলে, পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের অপেক্ষাকৃত উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে বায়ু প্রচণ্ড বেগে এই অঞ্চলে প্রবেশ করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি করে। এই ঝড় বর্তমানে ক্যাটরিনা, বিটা-বিটা প্রভৃতি নামে পরিচিত। চিন সাগরে এই ঝড় টাইফুন নামে পরিচিত।



📥 File Details :
Size - 900 KB
Total Page - 12
Name - অধ্যায়ঃ বায়ুমণ্ডল প্রশ্ন ও উত্তর
File Format - পিডিএফ [PDF]
File Location - Google Drive

👉 Click Hear To Download

Type Here ....

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন