West Bengal Board Class 10 [Madhyamik - 2022] Life Science Question
Paper Practice Set {Mark - 2} Question Answer in Bengali Pdf Free
Download পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড লিংক এই পোস্টের নীচে
দেখো
✤ সংশোধিত সিলেবাস অনুযায়ী ২০২২ মাধ্যমিক জীবনবিজ্ঞান সাজেশন প্র্যাকটিস সেট ✤
২ মার্কের প্রশ্ন উত্তর সেট || সিরিজ # খ
✤ মাধ্যমিক জীবনবিজ্ঞান সাজেশন 2022 প্র্যাকটিস সেট 100% কমন
● দ্বিতীয় অধ্যায় : জীবনের প্রবহমানতা
● তৃতীয় অধ্যায় : বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ
♯ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : [ প্রতিটি প্রশ্নের মান - ২]
●● দ্বিতীয় অধ্যায় : জীবনের প্রবহমানতা ●●
প্রশ্নঃ যৌন জননের দুটি সুবিধা ও দুটি অসুবিধা উল্লেখ করাে?
ロ যৌন জননের দুটি সুবিধা হল- (i) যৌন
জননের মাধ্যমে পিতামাতার বহু গুণাবলী সন্তান-সন্ততির মধ্যে সঞ্চারিত হয়,
ফলে তারা সহজেই নতুন পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়। (ii)
যৌনজননের মাধ্যমে পিতামাতার বৈশিষ্ট্যাবলী সন্তান-সন্ততির মধ্যে সঞ্চারিত
হওয়ার ফলে পুরুষানু -ক্রমে বংশের ধারা অক্ষুন্ন রাখে। যৌন জননের দুটি অসুবিধা হল- (i) এটি ধীর গতির প্রক্রিয়া তাই যৌন জননের মাধ্যমে বংশবিস্তারের জন্য
বেশিমাত্রায় সময় ব্যয়িত হয়। (ii) এই পদ্ধতি অত্যন্ত জটিল ও অসংখ্য
গ্যামেটের অপচয় ঘটে, ফলে সাফল্য লাভের সম্ভাবনা কম থাকে।
প্রশ্নঃ সমসংস্থ ক্রোমােজোম কাকে বলে?
ロ যৌন জননকারী জীবের কোশে ক্রোমােজোম গুলি জোড়ায় জোড়ায় অবস্থান করে। এদের একটি পিতৃ ক্রোমােজোম, অপরটি মাতৃক্রোমােজোম সমপ্ৰকৃতিসম্পন্ন বলে এই ক্রোমােজোম জোড়ার প্রতিটিকে অপরের সমসংস্থ ক্রোমােজোম বলে।
প্রশ্নঃ অভিব্যক্তি ও অভিযােজনে যৌন জননের ভূমিকা কী?
ロ ভূমিকা : (i) যৌনজননের প্রাক্কালে গ্যামেট সৃষ্টির সময় মিয়ােসিসের দরুন গ্যামেটগুলি জিনের পুনর্বিন্যাসযুক্ত হয়। (ii) পুনর্বিন্যাসযুক্ত দুটি ভিন্ন গ্যামেটের মিলনে উৎপন্ন অপত্য জীব প্রকরণ প্রাপ্ত হয়। (iii) প্রকরণ প্রাপ্ত জীব অভিযােজন ও অভিব্যক্তির পথে বাড়তি সুযােগ পায়।
প্রশ্নঃ বৃদ্ধি ও বিকাশ বলিতে কী বােঝ? ব্যাখ্যা করাে?
ロ বৃদ্ধি : জীবকোশের প্রােটোপ্লাজম সংশ্লেষণের ফলে যে প্রক্রিয়ায় জীবের আকার, আয়তন ও শুষ্ক ওজনের স্থায়ী পরিবর্তন ঘটে, তাকে বৃদ্ধি বলে। বিকাশ : বৃদ্ধির যে পর্যায়ে একটি কোশ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশিষ্ট বহুকোশী জীবদেহে গঠিত হয়, তখন তাকে বিকাশ বলে।
প্রশ্নঃ উদ্ভিদের বৃদ্ধির দশাগুলি কী কী?
ロ (i) কোশ বিভাজন দশা—এই দশায় উদ্ভিদের বর্ধিষ্ণু অঞ্চলের কোশগুলি বিভাজিত হতে থাকে। (ii) দীর্ঘিকরণ দশা—এই দশায় বিভাজিত কোশগুলি দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পেয়ে পূর্ণ আয়তন প্রাপ্ত হয়। (iii) বিভেদ দশা—এই দশায় পূর্ণ আয়তন প্রাপ্ত কোশগুলি বিভিন্ন কলায় বিভেদিত হয়। (iv) পরিণত দশা—এই দশায় কোশগুলি পূর্ণ আয়তন প্রাপ্ত হয়ে স্থায়ী অবস্থায় পরিণত হয়।
প্রশ্নঃ ইতর পরাগযােগের দুটি সুবিধা ও দুটি অসুবিধা উল্লেখ করাে?
ロ সুবিধা : (i) ইতর পরাগযােগের ফলে উৎপন্ন অপত্য ও উদ্ভিদে নতুন বৈশিষ্ট্যের আবির্ভাব ঘটায় উন্নততর প্রজাতির সৃষ্টি হয়। (ii) উন্নততর প্রজাতির আবির্ভাব ঘটায় অপত্য উদ্ভিলে রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অসুবিধা : (i) বাহকের উপর নির্ভর করতে হয় বলে এই ধরনের পরাগযােগ অনেক সময় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে এবং পরাগ রেণুর অপচয় হয়। (ii) এই ধরনের পরাগ যােগের ফলে অপত্য উদ্ভিদে নতুন বৈশিষ্ট্যের আবির্ভাব ঘটায় প্রজাতির বিশুদ্ধতা নষ্ট হয়।
প্রশ্নঃ সমসংস্থ ক্রোমােজোম কাকে বলে?
ロ যৌন জননকারী জীবের কোশে ক্রোমােজোম গুলি জোড়ায় জোড়ায় অবস্থান করে। এদের একটি পিতৃ ক্রোমােজোম, অপরটি মাতৃক্রোমােজোম সমপ্ৰকৃতিসম্পন্ন বলে এই ক্রোমােজোম জোড়ার প্রতিটিকে অপরের সমসংস্থ ক্রোমােজোম বলে।
প্রশ্নঃ অভিব্যক্তি ও অভিযােজনে যৌন জননের ভূমিকা কী?
ロ ভূমিকা : (i) যৌনজননের প্রাক্কালে গ্যামেট সৃষ্টির সময় মিয়ােসিসের দরুন গ্যামেটগুলি জিনের পুনর্বিন্যাসযুক্ত হয়। (ii) পুনর্বিন্যাসযুক্ত দুটি ভিন্ন গ্যামেটের মিলনে উৎপন্ন অপত্য জীব প্রকরণ প্রাপ্ত হয়। (iii) প্রকরণ প্রাপ্ত জীব অভিযােজন ও অভিব্যক্তির পথে বাড়তি সুযােগ পায়।
প্রশ্নঃ বৃদ্ধি ও বিকাশ বলিতে কী বােঝ? ব্যাখ্যা করাে?
ロ বৃদ্ধি : জীবকোশের প্রােটোপ্লাজম সংশ্লেষণের ফলে যে প্রক্রিয়ায় জীবের আকার, আয়তন ও শুষ্ক ওজনের স্থায়ী পরিবর্তন ঘটে, তাকে বৃদ্ধি বলে। বিকাশ : বৃদ্ধির যে পর্যায়ে একটি কোশ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশিষ্ট বহুকোশী জীবদেহে গঠিত হয়, তখন তাকে বিকাশ বলে।
প্রশ্নঃ উদ্ভিদের বৃদ্ধির দশাগুলি কী কী?
ロ (i) কোশ বিভাজন দশা—এই দশায় উদ্ভিদের বর্ধিষ্ণু অঞ্চলের কোশগুলি বিভাজিত হতে থাকে। (ii) দীর্ঘিকরণ দশা—এই দশায় বিভাজিত কোশগুলি দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পেয়ে পূর্ণ আয়তন প্রাপ্ত হয়। (iii) বিভেদ দশা—এই দশায় পূর্ণ আয়তন প্রাপ্ত কোশগুলি বিভিন্ন কলায় বিভেদিত হয়। (iv) পরিণত দশা—এই দশায় কোশগুলি পূর্ণ আয়তন প্রাপ্ত হয়ে স্থায়ী অবস্থায় পরিণত হয়।
প্রশ্নঃ ইতর পরাগযােগের দুটি সুবিধা ও দুটি অসুবিধা উল্লেখ করাে?
ロ সুবিধা : (i) ইতর পরাগযােগের ফলে উৎপন্ন অপত্য ও উদ্ভিদে নতুন বৈশিষ্ট্যের আবির্ভাব ঘটায় উন্নততর প্রজাতির সৃষ্টি হয়। (ii) উন্নততর প্রজাতির আবির্ভাব ঘটায় অপত্য উদ্ভিলে রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অসুবিধা : (i) বাহকের উপর নির্ভর করতে হয় বলে এই ধরনের পরাগযােগ অনেক সময় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে এবং পরাগ রেণুর অপচয় হয়। (ii) এই ধরনের পরাগ যােগের ফলে অপত্য উদ্ভিদে নতুন বৈশিষ্ট্যের আবির্ভাব ঘটায় প্রজাতির বিশুদ্ধতা নষ্ট হয়।
প্রশ্নঃ ইতর পরাগযােগ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
ロ যখন কোনাে ফুলের পরাগধানী থেকে উৎপন্ন পরাগ একই প্রজাতির অন্য কোনাে উদ্ভিদের ফুলের গর্ভমুণ্ডে পড়ে পরাগযােগ ঘটায়, তখন তাকে ইতর পরাগযােগ বলে। উদাহরণ—পেঁপে গাছের ফুলের পরাগযােগ।
প্রশ্নঃ স্বপরাগ যােগের দুটি সুবিধা ও দুটি অসুবিধা উল্লেখ করাে?
ロ স্বপরাগ যােগের সুবিধা :
● কোন বাহকের উপর নির্ভর করতে হয় না বলে পরাগরেণুর অপচয় কম হয়।
● নতুন বৈশিষ্ট্য উৎপন্ন না হওয়ায় জনিতৃ বা মাতৃ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষিত হয়।
ロ স্বপরাগ যােগের অসুবিধা :
● অপত্য উদ্ভিদে নতুন বৈশিষ্ট্যের সমাবেশ না ঘটায় উন্নততর প্রজাতি সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে না।
● নতুন বৈশিষ্ট্যের সংযােজন না ঘটায় অপত্য উদ্ভিদ দুর্বল প্রকৃতির হয় এবং অভিযােজন ক্ষমতা লােপ পায়।
প্রশ্নঃ জীবদেহের বৃদ্ধির হারগুলিকে কতভাগে ভাগ করা হয়েছে ব্যাখ্যা করাে?
ロ যখন কোনাে ফুলের পরাগধানী থেকে উৎপন্ন পরাগ একই প্রজাতির অন্য কোনাে উদ্ভিদের ফুলের গর্ভমুণ্ডে পড়ে পরাগযােগ ঘটায়, তখন তাকে ইতর পরাগযােগ বলে। উদাহরণ—পেঁপে গাছের ফুলের পরাগযােগ।
প্রশ্নঃ স্বপরাগ যােগের দুটি সুবিধা ও দুটি অসুবিধা উল্লেখ করাে?
ロ স্বপরাগ যােগের সুবিধা :
● কোন বাহকের উপর নির্ভর করতে হয় না বলে পরাগরেণুর অপচয় কম হয়।
● নতুন বৈশিষ্ট্য উৎপন্ন না হওয়ায় জনিতৃ বা মাতৃ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষিত হয়।
ロ স্বপরাগ যােগের অসুবিধা :
● অপত্য উদ্ভিদে নতুন বৈশিষ্ট্যের সমাবেশ না ঘটায় উন্নততর প্রজাতি সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে না।
● নতুন বৈশিষ্ট্যের সংযােজন না ঘটায় অপত্য উদ্ভিদ দুর্বল প্রকৃতির হয় এবং অভিযােজন ক্ষমতা লােপ পায়।
প্রশ্নঃ জীবদেহের বৃদ্ধির হারগুলিকে কতভাগে ভাগ করা হয়েছে ব্যাখ্যা করাে?
ロ জীবদেহের বৃদ্ধির হারগুলিকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা— (i) ল্যাগ
পিরিয়ড—এই সময় বৃদ্ধি মন্থর গতিতে চলে। (ii) প্রস্তুতি পর্ব—এই সময় বৃদ্ধির
জন্য প্রস্তুতি চলতে থাকে ও ধীরে ধীরে বৃদ্ধির
হার বাড়তে থাকে। (iii) মুখ্যবৃদ্ধিকাল—এই পর্যায়ে বৃদ্ধি খুব দ্রুত লয়ে চলতে থাকে। (iv) হ্রাসকাল—এই দশায় বৃদ্ধির হার হ্রাস পেতে থাকে এবং অবশেষে বন্ধ হয়ে যায়।
হার বাড়তে থাকে। (iii) মুখ্যবৃদ্ধিকাল—এই পর্যায়ে বৃদ্ধি খুব দ্রুত লয়ে চলতে থাকে। (iv) হ্রাসকাল—এই দশায় বৃদ্ধির হার হ্রাস পেতে থাকে এবং অবশেষে বন্ধ হয়ে যায়।
প্রশ্নঃ বৃতি ও দলমণ্ডলকে সাহায্যকারী স্তবক বলা হয় কেন?
ロ বৃতি ও দলমণ্ডল ফুলের সর্ববহিস্থ স্তবক। এগুলি সরাসরি উদ্ভিদের যৌন জননে অংশগ্রহণ করে না। কিন্তু বর্ণ বৈচিত্র্যের মাধ্যমে পতঙ্গকে আকৃষ্ট করে এবং পরাগযােগে সাহায্য করে। এছাড়া বৃতি ও দলমণ্ডল পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক উভয়কে বাইরের পরিবেশের আঘাত থেকেও রক্ষা করে। এইভাবে বৃতিও দলমণ্ডল সরাসরি যৌন জননে সাহায্য করে। তাই বৃতি ও দলমণ্ডলকে সাহায্যকারী স্তক বলে।
প্রশ্নঃ অ্যামিবার বিভাজনের মাধ্যমে কীভাবে জনন ঘটে?
ロ এককোশী জীব ও উদ্ভিদ ও বিভিন্ন নিম্নশ্রেণি প্রাণি অযৌন জনন পদ্ধতিতে জনন সম্পন্ন করে থাকে। অ্যামিবার দ্বি-বিভাজন বা বহুবিভাজন পদ্ধতিতে অযৌন জনন সম্পন্ন করে থাকে। দ্বি-বিভাজনের ক্ষেত্রে প্রথমে অ্যামিবার ক্ষণপদগুলি অবলুপ্তি হয়, ফলে প্রাণীটি গােলাকার ধারণ করে। এরপর নিউক্লিয়াসসহ প্রাণীটি ডাম্বেল আকৃতির হয় এবং একই সঙ্গে খাঁজ সৃষ্টির মাধ্যমে নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম বিভাজিত হয়ে দুটি ক্ষুদ্র অপত্য অ্যামিবার সৃষ্টি করে। অপত্য অ্যামিবা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে ক্ষণপদ বিশিষ্ট পরিণত অ্যামিবায় রূপান্তরিত হয়।
ロ বৃতি ও দলমণ্ডল ফুলের সর্ববহিস্থ স্তবক। এগুলি সরাসরি উদ্ভিদের যৌন জননে অংশগ্রহণ করে না। কিন্তু বর্ণ বৈচিত্র্যের মাধ্যমে পতঙ্গকে আকৃষ্ট করে এবং পরাগযােগে সাহায্য করে। এছাড়া বৃতি ও দলমণ্ডল পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক উভয়কে বাইরের পরিবেশের আঘাত থেকেও রক্ষা করে। এইভাবে বৃতিও দলমণ্ডল সরাসরি যৌন জননে সাহায্য করে। তাই বৃতি ও দলমণ্ডলকে সাহায্যকারী স্তক বলে।
প্রশ্নঃ অ্যামিবার বিভাজনের মাধ্যমে কীভাবে জনন ঘটে?
ロ এককোশী জীব ও উদ্ভিদ ও বিভিন্ন নিম্নশ্রেণি প্রাণি অযৌন জনন পদ্ধতিতে জনন সম্পন্ন করে থাকে। অ্যামিবার দ্বি-বিভাজন বা বহুবিভাজন পদ্ধতিতে অযৌন জনন সম্পন্ন করে থাকে। দ্বি-বিভাজনের ক্ষেত্রে প্রথমে অ্যামিবার ক্ষণপদগুলি অবলুপ্তি হয়, ফলে প্রাণীটি গােলাকার ধারণ করে। এরপর নিউক্লিয়াসসহ প্রাণীটি ডাম্বেল আকৃতির হয় এবং একই সঙ্গে খাঁজ সৃষ্টির মাধ্যমে নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম বিভাজিত হয়ে দুটি ক্ষুদ্র অপত্য অ্যামিবার সৃষ্টি করে। অপত্য অ্যামিবা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে ক্ষণপদ বিশিষ্ট পরিণত অ্যামিবায় রূপান্তরিত হয়।
প্রশ্নঃ অঙ্গজ জনন ও যৌন জননের পার্থক্য লেখাে?
অঙ্গজ জনন | যৌন জনন |
---|---|
1. সাধারণত উন্নত উদ্ভিদে ঘটে | 1. উন্নত উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়েই ঘটে |
2. উদ্ভিদ দেহাংশ থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টির পদ্ধতি | 2. দুটি জীবের পুংগ্যামেট ও স্ত্রী গ্যামেটের মিলনে জাইগােট সৃষ্টির মাধ্যমে অপত্য সৃষ্টির পদ্ধতি |
3. নিষেক ঘটে না এবং মিয়ােসিসের কোনাে ভূমিকা নেই | 3. নিষেক ঘটে এবং মিয়ােসিসের ভূমিকা আছে |
4. সরল, অনুন্নত বংশবিস্তার পদ্ধতি | 4. জটিল ও উন্নত জনন পদ্ধতি |
●● তৃতীয় অধ্যায় :
বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ ●●
প্রশ্নঃ মেন্ডেলের বংশগতির প্রথম সূত্রটি কী?
ロ কোনাে জীবের নির্দিষ্ট একটি চরিত্রের অন্তর্গত একজোড়া বিপরীত বৈশিষ্ট্যের উপাদানগুলি থেকে অপত্যে সঞ্চারিত হলেও তারা পরস্পর মিশে যায় না বরং অপত্যের গ্যামেট তৈরির সময়ে পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে যায়। এটিই মেন্ডেলের বংশগতির প্রথম সূত্র বা পৃথকীভবনের সূত্র।
প্রশ্নঃ সংকরায়ণ বলতে কী বােঝায়?
ロ বিপরীত বৈশিষ্ট্যযুক্ত একই গণের অন্তর্ভুক্ত দুটি জীব অথবা একটি প্রজাতির দুটি ভিন্ন লিঙ্গের জীবের মধ্যে মিলন ঘটিয়ে সংকর জীব উৎপন্ন করার পদ্ধতিকে সংকরায়ণ বলা হয়।
উদাহরণ : একই গণের অন্তর্ভুক্ত বাঘ ও সিংহের মিলনে সৃষ্ট টাইগন। একই প্রজাতির একটি কালাে রঙের ও একটি সাদা রঙের গিনিপিগের মিলন ঘটানাে বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ ও প্রাণীর ব্যাপকহারে সংকরায়ণ করা হয়।
প্রশ্নঃ প্রকট ও প্রচ্ছন্নগুণ বা বৈশিষ্ট্য বলতে কী বােঝ উদাহরণসহ লেখাে?
ロ প্রকট বৈশিষ্ট্য : একই চরিত্রের অন্তর্গত দুটি বিশুদ্ধ বিপরীত বৈশিষ্ট্যের জীবের মিলন ঘটালে প্রথম অপত্য বংশে (F1 জনুতে) যে বৈশিষ্ট্যটি প্রকাশ পায়, তাকে প্রকট বৈশিষ্ট্য বলে উদাহরণ : বিশুদ্ধ বেগুনি ও বিশুদ্ধ সাদা ফুলযুক্ত মটর গাছের পরনিষেক ঘটালে F1 জনুতে সৃষ্ট সকল গাছ বেগুনি ফুল বিশিষ্ট হয়, অর্থাৎ বেগুনি ফুল হওয়ার বৈশিষ্ট্যটি হল প্রকট বৈশিষ্ট্য।
প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য : একই চরিত্রের অন্তর্গত দুটি বিশুদ্ধ বিপরীত বৈশিষ্ট্যের জীবের মিলন ঘটালে প্রথম অপত্য বংশে (F2 জনুতে) যে বৈশিষ্ট্যটি প্রকাশিত না হয়ে সুপ্ত থাকে ও পরে দ্বিতীয় অপত্য বংশে (F2 জনুতে) প্রকাশ পায়, তাকে প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য বলে। উদাহরণ : বিশুদ্ধ বেগুনি ও বিশুদ্ধ সাদা ফুলযুক্ত মটর গাছের ফুলের ইতর পরাগযােগ ঘটালে F1 জনুতে সাদা ফুলযুক্ত উদ্ভিদ পাওয়া যায় না, F2 জনুতে যদিও তা আবার প্রকাশ পায়। এই সাদা ফুল বৈশিষ্ট্যটি হল প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য।
প্রশ্নঃ জিন আর অ্যালিলের মধ্যে পার্থক্য কী?
ロ কোনাে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রক উপাদান হল জিন। যেমন—'T' লম্বা বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী জিন, 'R' গােল বীজের জিন। সমসংস্থ ক্রোমােজোমের একই লােকাসে একটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী উপাদানের যে কোনাে একটিকে অ্যালিল বলে। যেমন—মটরগাছের দৈর্ঘ্য নিয়ন্ত্রণকারী জিন দুটো T ও t, এদের একটি লম্বা বৈশিষ্ট্য এবং একটি বেঁটে বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে, তাই এরা একটি অন্যটির অ্যালিল।
প্রশ্নঃ মেন্ডেলের সাথে তার পূর্ববর্তী বিজ্ঞানীদের পার্থক্য কোথায়?
ロ মেন্ডেলের পূর্ববর্তী সংকর তাত্ত্বিকেরা একসঙ্গে অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য নিয়ে উদ্ভিদ ও প্রাণীর উপর সামগ্রিকভাবে সংকরায়ণ পরীক্ষা চালিয়েছিলেন এবং তারা একই সঙ্গে সংকরগুলির মধ্যে সকল প্রকার প্রভেদ পর্যবেক্ষণ ব্রার চেষ্টা করেছিলেন। অপরপক্ষে, মেন্ডেল তার পরীক্ষায় একটি বা দুটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের উপর মনােনিয়ােগ করেছিলেন এবং একই সময়ে তিনি সংকরায়ণের একটি বা দুটি মাত্র বৈশিষ্ট্যই পর্যবেক্ষণ করেন।
প্রশ্নঃ মেন্ডেল কীভাবে মটর গাছে ইতর পরাগযােগ ঘটালেন?
ロ সংকরায়ণের কালে ইতর পরাগযােগ দ্বারা পরনিষেকের সময় মেন্ডেল একটি মটর গাছের ফুলের পুংকেশরগুলি অপসারিত করে ওই ফুলটিকে স্বপরাগযােগে বিরত করেন। তিনি ওই রূপ পুংজনন অঙ্গ অপসারিত ফুলের গর্ভমুণ্ডে বিপরীতধর্মী অপর একটি মটর গাছে উৎপন্ন ফুলের পরাগরেণু স্থানান্তরিত করে পরনিষেকের জন্য ইতর-পরাগযােগ ঘটান।
প্রশ্নঃ মানব সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে পিতা-মাতার ভূমিকা কীরূপ?
ロ পিতার শুক্রাণুতে X অথবা Y যে কোন একটি ক্রোমােজোম থাকে। পিতার X ক্রোমােজোমযুক্ত শুক্রাণু নিষেকে অংশ নিলে সন্তান স্ত্রীলিঙ্গযুক্ত হয়। অপরদিকে পিতার X ক্রোমােজোমযুক্ত শুক্রাণু নিষেকে অংশ নিলে সন্তান পুংলিঙ্গযুক্ত হয়। এক্ষেত্রে মাতার ডিম্বাণু সর্বদাই X ক্রোমােজোমযুক্ত বলে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে তার ক্রোমােজোমগত ভূমিকা নিষ্ক্রিয় হয়। সেজন্য লিঙ্গ নির্ধারণে পিতার ক্রোমােজোমগত ভূমিকাই প্রধান।
প্রশ্নঃ থ্যালাসেমিয়া বলকে কী বােঝ?
ロ থ্যালাসেমিয়া হল অটোজোম বাহিত এক ধরনের বংশগত রােগ, যা হিমােগ্লোবিনের
গ্লোবিন পেপটাইড শৃঙ্খলের অস্বাভাবিক গঠনের ফলে সৃষ্টি হয়। এই রােগে আক্রান্ত
ব্যক্তির হিমােগ্লোবিন গঠিত হয় না বা হিমােগ্লোবিনের পরিমাণ হ্রাস পায়, লােহিত
রক্তকণিকা ক্ষুদ্র হয় এবং এর আয়ু কম (RBC-র গড় আয়ু 120 দিন)—ফলে অ্যানিমিয়া
বা রক্তাল্পতা দেখা দেয়।
প্রশ্নঃ জিন সম্পর্কে আধুনিক ধারণা কী?
ロ জিন সম্পর্কে আধুনিক ধারণা হল—
● সিস্ট্রন—শারীরবৃত্তীয় কাজের চরম একক জিনের ক্রিয়াগত একক।
● মিউটন—পরিব্যক্তির চরম একক।
● রেকন—রিকম্বিনেশনের চরম একক, অর্থাৎ DNA-র যে ক্ষুদ্রতম অংশে ক্রসিংওভার ঘটতে পারে।
● রেপ্লিকন—একাধিক উৎসেচকের সংকেত বহনকারী DNA-র যে অংশ DNA- র প্রতিলিপিকরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রশ্নঃ জিন সম্পর্কে আধুনিক ধারণা কী?
ロ জিন সম্পর্কে আধুনিক ধারণা হল—
● সিস্ট্রন—শারীরবৃত্তীয় কাজের চরম একক জিনের ক্রিয়াগত একক।
● মিউটন—পরিব্যক্তির চরম একক।
● রেকন—রিকম্বিনেশনের চরম একক, অর্থাৎ DNA-র যে ক্ষুদ্রতম অংশে ক্রসিংওভার ঘটতে পারে।
● রেপ্লিকন—একাধিক উৎসেচকের সংকেত বহনকারী DNA-র যে অংশ DNA- র প্রতিলিপিকরণ নিয়ন্ত্রণ করে।