Semester - 1st
Contemporary India and Education 1st Half Assignment
❐ আরো পড়ুনঃ B.Ed Notes A2z
Q. Indicate the educational significance of National Values?
জাতীয় মূল্যবোধ গুলির শিক্ষা মূলক তাৎপর্য লিখুন?
▸ প্রত্যেক জাতি বা রাষ্ট্রের নিজস্ব একটা দর্শন আছে। আছে কিছু আদর্শ ও উদ্দেশ্য।
আবার প্রত্যেক জাতি বা রাষ্ট্রের একটা শাসন বিধি বা শাসনতন্ত্র (সংবিধান) আছে।
প্রত্যেকটি সংবিধানের নিজস্ব কিছু আদর্শ ও দর্শন আছে। এই সাংবিধানিক আদর্শ ও
দর্শনের ওপর সেই সমাজ ও রাষ্ট্রের শ্রেণি চরিত্র নির্ভর করে। প্রত্যেক দেশের
সংবিধানে কতকগুলি মূল্যবােধের উল্লেখ থাকে। এই মূল্যবােধগুলি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের
জাতীয় আদর্শ লক্ষ্য ও জাতীয় সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এই মূল্যবােধ
গুলি সেই রাষ্ট্রের মানুষের জীবন নাগরিকদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নের সঙ্গে
গভীরভাবে সম্পৃক্ত। এই মূল্যবােধ গুলিকে
‘জাতীয় মূল্যবোধ’ বলা হয়। জাতীয় মূল্যবােধে শিক্ষার তাৎপর্যগুলি নিম্নে আলােচিত হল-▸ ধর্মনিরপেক্ষতা : ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা হল সেই শিক্ষা, যেখানে পাঠ্যক্রম কোনাে নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতি গুরুত্ব দেবে না। রাষ্ট্রঘােষিত কোনাে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভরতি অথবা সরকারি চাকরির ক্ষেত্রের জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কাউকে বৈষম্য প্রদান করে না। সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রীয় আর্থিক সংস্থানপুষ্ট কোনাে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া যাবে না।
▸ সাম্য : শিক্ষায় সমতার নীতি বলতে বােঝায় যে, প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার আগ্রহ, চাহিদা, সামর্থ্য, প্রবণতা, মনােভাব ইত্যাদি অনুযায়ী আত্মবিকাশের উপযুক্ত সুযােগসুবিধা পাবে। অর্থাৎ, জাতি, ধর্ম ও লিঙ্গবৈষম্য কোনাে কারণে কোনাে শিক্ষার্থীকে বঞ্ছিত করা যাবে না। যােগ্যতাই হল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভরতির একমাত্র মাপকাঠি। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র ভরতিই নয় শিক্ষক নিয়ােগ, পদোন্নতির ক্ষেত্রে লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম, বর্ণবৈষম্য কে গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
▸ স্বাধীনতা: বর্তমানে শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু হল স্বাধীনতা। Auto learning বা স্বয়ংক্রিয় শিক্ষায় individual instruction, free discipline, শিক্ষার ব্যক্তিবৈষম্যের প্রাধান্য প্রভৃতির মূলে আছে এই স্বাধীনতার প্রভাব। আধুনিক শিক্ষার মূল কথা হল— শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে শিক্ষাসংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে স্বাধীনতা দিতে হবে, শিক্ষার্থীর ওপর কোনাে কিছু জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। শিক্ষাক্ষেত্রে তার মতামত প্রকাশে স্বাধীনতা দিতে হবে, শিক্ষার্থী নিজের মতাে শিখবে।
▸ সৌভ্রাতৃত্ব: আধুনিক শিক্ষার একটি বড়াে লক্ষ্য হল আর্ন্তজাতিক বিকাশ, যার মূলে আছে সৌভ্রাতৃত্ববােধ। অর্থাৎ, শিক্ষার্থী শুধু জাতীয় সমাজের নাগরিক সেই সঙ্গে সে বিশ্বসমাজের নাগরিক অর্থাৎ ব্যক্তি হল সমাজের জন্য, সমাজ হবে রাষ্ট্র জন্য এবং রাষ্ট্র হবে বিশ্বের জন্য শিক্ষার্থীর মধ্যে এই মনােভাবের বিকাশ ঘটানাে শিক্ষা বড়াে কাজ। শিক্ষার একটা বড়াে লক্ষ্য হল জাতীয় ঐক্য, জাতীয় সংহতি ও দেশপ্রেমের বিকাশ ঘটানাে এবং জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশ ঘটানাে। আর এই সবকিছুর ওপর রয়েছে সৌভ্রাতৃত্ববােধ নামক জাতীয় মূল্যবােধের প্রভাব।
▸ ন্যায় : বর্তমান ভারতবর্ষে Education for all বা সকলের জন্য শিক্ষার কারণটি ভারতীয় সংবিধানে Justice বা ন্যায়বিচারের ধারণা থেকে এসেছে। বর্তমান শিক্ষায় দেখা যায় শিক্ষার দ্বারা ধনী, দরিদ্র, উচ্চ-নীচ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য উন্মুক্ত আছে।
Q. Discuss the comparative recommendation of educational structure and
curriculum about Mudaliar commission and Kothari commission?
শিক্ষার কাঠামো পাঠক্রম নিয়ে মুদালিয়ার কমিশন এবং কোঠারি কমিশনের সুপারিশ
তুলনা মূলক আলোচনা করুন?❏ মুদালিয়র কমিশনের মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠক্রম কাঠামাে :
- সম্পূর্ণ বিদ্যালয় শিক্ষার সময়কাল হবে 12 বছর। যার মধ্যে 7-৪ বছরের শিক্ষাকালকে মাধ্যমিক স্তর হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
- এই প্রস্তাব অনুযায়ী 4-5 বছরের প্রাথমিক বা নিম্ন বুনিয়াদি শিক্ষার পর মাধ্যমিক শিক্ষার স্তর শুরু হবে।
- মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার দুটি পর্যায় থাকবে।(a) প্রথম পর্যায়ে থাকবে 3-4 বছরের নিম্ন মাধ্যমিক স্তর। (b) পরবর্তী পর্যায়ে থাকবে 3 বছরের উচ্চতর মাধ্যমিক স্তর।
- পরবর্তীকালে অভিভাবকদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে কমিশন একটি বিকল্প শিক্ষা কাঠামাে গ্রহণ করে এবং বিদ্যালয় স্তরে শিক্ষাকালকে প্রচলিত 10 বছরের পরিবর্তে 11 বছর করা হয়।
- কলেজীয় শিক্ষায় প্রচলিত যে ইন্টারমিডিয়েট স্তরটি ছিল সেটিকে দু-ভাগ করে তা এক বছর মাধ্যমিক স্তরের সঙ্গে এবং বাকি এক বছর স্নাতক স্তরের সঙ্গে যুক্ত করে 3 বছরের স্নাতক স্তর করার প্রস্তাব করা হয়।
- সম্পূর্ণ বিদ্যালয় স্তরের শিক্ষার মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকাল শিক্ষার্থীর বছর (10+) বয়স থেকে 17 বছর (16+) বয়স পর্যন্ত হবে।
- এই সুপারিশ অনুয়ায়ী বিদ্যালয় স্তরের শিক্ষার পর্যায়গুলি হল— (a) 4 বছরের প্রাথমিক শিক্ষা বা 5 বছরের নিম্ন-বুনিয়াদি শিক্ষা। (b) 4 বছরের নিম্ন-মাধ্যমিক শিক্ষা বা 3 বছরের উচ্চ-বুনিয়াদি শিক্ষা (c) 3 বছরের উচ্চতর মাধ্যমিক শিক্ষা।
- পুনর্গঠিত শিক্ষার কাঠামাে অনুযায়ী বিদ্যালয় স্তরের শিক্ষা (4+4+3) বা (5+3+3) এই তিনটি পর্যায়ে সংগঠিত হবে।
▸ নিম্ন-মাধ্যমিক স্তর : এই স্তরে Lower Secondary Stage VIII-X শিক্ষণীয় বিষয় গভীরতম ও কঠিনতর হবে। তৃতীয় ভাষাকে আবশ্যিকরূপে পাঠ্যক্রমে স্থান দিতে হবে।কোঠারি কমিশন নিম্ন-মাধ্যমিক স্তরে নিম্নলিখিত পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছে— তিনটি ভাষা (মাতৃভাষা, হিন্দি, ইংরেজি) এবং একটি প্রাচীন ভাষা অতিরিক্ত ঐচ্ছিক পাঠ্য হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। গণিত , বিজ্ঞান , ইতিহাস, ভূগােল, সমাজবিদ্যা ও কারুশিল্প ,কর্মভিত্তিক অভিজ্ঞতা , সমাজসেবা, শারীরশিক্ষা, আধ্যাত্মিক ও নৈতিক শিক্ষা।
▸ উচ্চ-মাধ্যমিক স্তর : কমিশন দু-বছরের Higher Secondary Stage XI-XII উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যক্রম রচনার একটি সংক্ষিপ্ত খসড়া দিয়েছে- যে-কোনাে দুটি ভাষা- আধুনিক ভারতীয় ভাষা বা বিদেশি ভাষা নীচের যে-কোনাে তিনটি বিষয়-
- একটি অতিরিক্ত ভাষা , ইতিহাস , ভূগােল , অর্থশাস্ত্র
- তর্কশাস্ত্র , মনস্তত্ত্ব , সমাজবিদ্যা , শিল্প , রসায়ন
- গণিত , প্রাণীবিদ্যা , ভূবিদ্যা , গ্রাহস্থ্যবিজ্ঞান
Course Code -IV (1.1.4)
Semester - 1st
Language across the Curriculum Assignment
গৃহ ভাষা ও আদর্শ ভাষার মূল পার্থক্য গুলি লিখুন?
▸ জন্মের সঙ্গে সঙ্গে কোনাে শিশু একটি পরিবার জীবনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জীবনযাপন শুরু করে। পরিবারের সঙ্গে জীবনযাপনের সময়কাল থেকে শুরু হয় ভাষা শ্রবণ ও ভাষাঅনুকরণ প্রণালী। পরিবার জীবনে সমাজবদ্ধ জীবরূপে বসবাসকালে কোনাে শিশু যে ভাষা বা ভাষাগুলি তার পিতা-মাতা ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে শ্রবণ ও অনুকরণের মধ্য দিয়ে অর্জন করে, তাদের একসঙ্গে গৃহভাষা বা Home language বলে।
কোন একটি নির্দিষ্ট উপভাষা দীর্ঘ কার ব্যবহারের মাধ্যমে যখন অধিকাংশ মানুষের কাছে তা স্বীকৃত পায়, তখন তা আদর্শ ভাষা হিসেবে পরিগণিত যাকে আদর্শভাষা বলা হয়। আর সি ট্রাস্ক , টম ম্যাকআর্থার সহ আদর্শ ভাষার সংজ্ঞায় বলেছেন—“কোনাে ভাষা যখন যে অঞলের প্রকাশনার খবর তৈরি, শিক্ষা, সরকারি কার্যাবলি আইন ও চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যবহৃত তখন তা আদর্শ ভাষার স্থান অর্জন করতে থাকে।”
❏ গৃহ ভাষা ও আদর্শ ভাষার মূল পার্থক্য :
(i) পরিবারে জীবনযাপনকালে কোনাে শিশু যে গৃহভাষা শেখে সেগুলাে সাধারণত সমগােত্রীয় হয়ে থাকে। অর্থাৎ, কোনাে শিশু সাধারণত একরকমের ভাষা শিখে থাকে। যেমন- কোনাে শিশুর পিতা-মাতা বাংলা ভাষায় কথা বললে, শিশুর গৃহভাষা বাংলা হবে।
—- আদর্শ ভাষা হল কোনাে অঞ্চলের রাজধানীতে বসবাসকারী মানুষের ভাষা।
(ii) পিতা-মাতা যদি দ্বিভাষী হন, তবে শিশুর গৃহভাষাও দ্বিভাষী হওয়ার সম্ভাবনা
অনেক বেশি।
—- আদর্শ ভাষা হল রাজধানীতে বসবাসকারী শিক্ষিত ও সভ্য মানুষের ভাষা।
(iii) আজকের বিজ্ঞান-প্রযুক্তির সমৃদ্ধির দিনে বাড়িতে টেলিভিশন, রেডিয়াে এবং ইনটারনেট থাকার জন্য কোনাে শিশু স্বাভাবিকভাবেই দুই-বা তিন-এর বেশি ভাষা বলতে ও লিখতে পারে খুব সহজেই।
—- আদর্শ ভাষায় কোনাে দেশের সকল সরকারি কাজকর্ম, অফিস, আদালত, চিকিৎসা ও আইন ইত্যাদির কাজ চলে থাকে।
(iv) পিতা-মাতার বলা গৃহভাষা আধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তির দেওয়া গণমাধ্যমের ও বিনােদন মাধ্যমের ভাষার সাথে কোনাে বিবাদ ছাড়া সহজেই মিশে যায়।
—- আদর্শ ভাষা শিক্ষিত, সভ্য, শহুরে ও মধ্যবিত্ত মানুষের ভাষা। রাজধানী অঞ্চলে আদর্শ ভাষা একটাই হয়ে থাকে।
(v) বর্তমানে পৃথিবীর 90% বেশি মানুষ দুটোর বেশি ভাষায় কথা বলে। অর্থাৎ, গৃহভাষা কোনাে একটি বিশেষ সামাজিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক স্তরের ভাষার সঙ্গে মিশে যায়।
—- আদর্শ ভাষা ব্যবহারকারীরা সমাজের মূলস্রোতের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। এবং এই ভাষা মানুষ প্রয়ােজনের জন্যই সৃষ্টি করে।
Q. Mention the role of a teacher in schema formation?
স্কিমা তৈরিতে শিক্ষকের ভূমিকা উল্লেখ করুন ?
▸ স্কিমা হল একটি জটিল জ্ঞান প্রক্রিয়া, যার দ্বারা কোনাে ব্যক্তি নিজ অর্জিত জ্ঞান দ্বারা অন্য কোনাে অর্জিত জ্ঞানের সঙ্গে সংযােগ রক্ষা করে। অর্থাৎ স্কিমা হল ব্যক্তির সংগৃহীত জ্ঞানমালা। শ্রেণিকক্ষে কোনাে শিক্ষার্থীকে এই জ্ঞানমালা বা তথ্যকোশের সাথে পরিচয় ঘটানাে হল শিক্ষকের একটি অনিবার্য দায়িত্ব।
❏ শ্রেণিকক্ষে স্কিমা তৈরিতে শিক্ষকের ভূমিকা :
Q. Mention the aims of inter disciplinary studies?
আন্তবিষয়ক জ্ঞানচর্চার লক্ষ্যগুলি উল্লেখ করুন ?
▸ আন্তবিষয়ক জ্ঞানচর্চার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের “ দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস, ন্যাশনাল একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং ইনস্টিটিউট অফ মেডিসিন ” বলেছে—“আন্তবিষয়ক গবেষণা হল একদল গবেষক বা কিছু ব্যক্তির এক গবেষণা রীতি যা দুই বা ততােধিক জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্র অথবা বিশেষীকৃত জ্ঞানভাণ্ডারকে একক জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রের ক্ষমতার বাইরে উদ্ভূত কোনাে সমস্যার সমাধান করতে তথ্য বা জ্ঞান, প্রকৌশল, উপায়, পরিপ্রেক্ষিত, প্রত্যয় এবং তত্ত্বাবলির সংহতি সাধন করে।”
❏ আন্তবিষয়ক জ্ঞানচর্চার লক্ষ্যগুলি হল—
বিদ্যালয় পাঠক্রমে গণিত শিক্ষার উদ্দেশ্য আলোচনা করুন?
▸ পাঠক্রম হল শিক্ষা প্রক্রিয়ার প্রাণকেন্দ্র। শিখন - শিক্ষন কার্যাবলী কে সুস্পষ্ট পরিচালিত করার ক্ষেত্রে পাঠক্রমের গুরুত্ব অপরিসীম।পাঠক্রম ব্যতীত ধারাবাহিক এবং সার্বিকভাবে শিক্ষাদান প্রক্রিয়ার কাজ সংগঠিত করা সম্ভব হতো না।প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থাকে উদ্দেশ্য ভিত্তিক,সময়োপযোগী এবং গতিশীল করে তোলার জন্য পাঠক্রম কে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।পাঠক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়।বিষয় কেন্দ্রিক পাঠক্রমের অংশ হিসাবে গণিত পাঠক্রমের দিকটিও সেই প্রসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।
❏ গণিত শিক্ষার উদ্দেশ্য :
—- আদর্শ ভাষা হল রাজধানীতে বসবাসকারী শিক্ষিত ও সভ্য মানুষের ভাষা।
(iii) আজকের বিজ্ঞান-প্রযুক্তির সমৃদ্ধির দিনে বাড়িতে টেলিভিশন, রেডিয়াে এবং ইনটারনেট থাকার জন্য কোনাে শিশু স্বাভাবিকভাবেই দুই-বা তিন-এর বেশি ভাষা বলতে ও লিখতে পারে খুব সহজেই।
—- আদর্শ ভাষায় কোনাে দেশের সকল সরকারি কাজকর্ম, অফিস, আদালত, চিকিৎসা ও আইন ইত্যাদির কাজ চলে থাকে।
(iv) পিতা-মাতার বলা গৃহভাষা আধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তির দেওয়া গণমাধ্যমের ও বিনােদন মাধ্যমের ভাষার সাথে কোনাে বিবাদ ছাড়া সহজেই মিশে যায়।
—- আদর্শ ভাষা শিক্ষিত, সভ্য, শহুরে ও মধ্যবিত্ত মানুষের ভাষা। রাজধানী অঞ্চলে আদর্শ ভাষা একটাই হয়ে থাকে।
(v) বর্তমানে পৃথিবীর 90% বেশি মানুষ দুটোর বেশি ভাষায় কথা বলে। অর্থাৎ, গৃহভাষা কোনাে একটি বিশেষ সামাজিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক স্তরের ভাষার সঙ্গে মিশে যায়।
—- আদর্শ ভাষা ব্যবহারকারীরা সমাজের মূলস্রোতের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। এবং এই ভাষা মানুষ প্রয়ােজনের জন্যই সৃষ্টি করে।
Q. Mention the role of a teacher in schema formation?
স্কিমা তৈরিতে শিক্ষকের ভূমিকা উল্লেখ করুন ?
▸ স্কিমা হল একটি জটিল জ্ঞান প্রক্রিয়া, যার দ্বারা কোনাে ব্যক্তি নিজ অর্জিত জ্ঞান দ্বারা অন্য কোনাে অর্জিত জ্ঞানের সঙ্গে সংযােগ রক্ষা করে। অর্থাৎ স্কিমা হল ব্যক্তির সংগৃহীত জ্ঞানমালা। শ্রেণিকক্ষে কোনাে শিক্ষার্থীকে এই জ্ঞানমালা বা তথ্যকোশের সাথে পরিচয় ঘটানাে হল শিক্ষকের একটি অনিবার্য দায়িত্ব।
❏ শ্রেণিকক্ষে স্কিমা তৈরিতে শিক্ষকের ভূমিকা :
- কোনাে শব্দের স্কিমাঘটিত জ্ঞান অর্জন-এর প্রয়ােজন শিক্ষার্থীদের জানানাে।
- কোনাে বিষয়ে স্কিমা জ্ঞান অর্জন করলে পাঠ্যবইয়ের প্রসঙ্গ আরও ভালােভাবে জানা যায় এব্যাপারটি সচেতনতারূপে গড়ে তােলা।
- পাঠকের সাথে পাঠ্যবইয়ের সম্পর্কের গঠনে স্কিমা হল একটি বিশ্বাসযােগ্য সিঁড়ি। তার পর্যাপ্ত ব্যবহারের উপযােগিতা শিক্ষার্থীদের জানানাে।
- স্কিমার প্রকৃতি উপলব্ধি দিয়ে কোনাে পুস্তকের অনেক ব্যাখ্যামূলক গভীরে প্রবেশ করা যায়—এই উপায়টি ছাত্রদের বলে দেওয়া।
- স্কিমা দ্বারা অর্জিত জ্ঞান শিক্ষার্থীদের পূর্ব অনুমান ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। উপযােগিতা জানিয়ে দেওয়া।
- কোনাে পাঠ্যবইয়ের অন্তর্নিহিত জ্ঞান অর্জনের জন্য স্কিমা অনেকটা সাহায্যকারী উপাদান হতে পারে এই সম্ভাবনার কথা শিক্ষার্থীদের জানানাে।
- স্কিমার সীমাবদ্ধতাগুলি শিক্ষার্থীদের জানানাে। যেমন—ব্যাখ্যামূলক শিরােনাম ছাড়া। কোনাে পাঠ্যপুস্তক বিষয়ে স্কিমা জ্ঞান অর্জন করা যায় না।
- স্কিমা অনেক সময় পাঠকের মনে প্রয়ােজনের তুলনায় অনেক বেশি প্রত্যাশার জন্ম দিতে পারে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীকে জ্ঞাতব্য তথ্য দেওয়া।
- স্কিমার জ্ঞান দ্বারা অনেক সময় কোনাে পাঠ্যবইয়ের অর্থ ও উপস্থাপন উদঘাটন নিরপেক্ষ হয় না শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানাে।
- এক ভাষার স্কিমা অন্য ভাষার স্কিমা থেকে অনেক সময় আলাদা হয়ে থাকে। স্কিমার এইরূপ সীমাবদ্ধতাগুলি শিক্ষার্থীদের সময়ােপযােগী করে জানানাে প্রয়ােজন।
Course Code -V (1.1.5)
Semester - 1st
Understanding Discipline and Subjects Assignment
আন্তবিষয়ক জ্ঞানচর্চার লক্ষ্যগুলি উল্লেখ করুন ?
▸ আন্তবিষয়ক জ্ঞানচর্চার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের “ দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস, ন্যাশনাল একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং ইনস্টিটিউট অফ মেডিসিন ” বলেছে—“আন্তবিষয়ক গবেষণা হল একদল গবেষক বা কিছু ব্যক্তির এক গবেষণা রীতি যা দুই বা ততােধিক জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্র অথবা বিশেষীকৃত জ্ঞানভাণ্ডারকে একক জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রের ক্ষমতার বাইরে উদ্ভূত কোনাে সমস্যার সমাধান করতে তথ্য বা জ্ঞান, প্রকৌশল, উপায়, পরিপ্রেক্ষিত, প্রত্যয় এবং তত্ত্বাবলির সংহতি সাধন করে।”
❏ আন্তবিষয়ক জ্ঞানচর্চার লক্ষ্যগুলি হল—
- শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ভিন্নধর্মী স্বতন্ত্রবিষয়গুলি থেকে বিভিন্ন ধারণা ও দক্ষতার মধ্যে সংযােগস্থাপনের দ্বারা নতুন জ্ঞানের উদ্ভাবন ঘটায়।
- একটি বিশাল বিস্তৃতি পরিসরে অবস্থানকারী মুদ্রিত, গণমাধ্যম, ইলেকট্রনিক ও মানবীয় উৎস থেকে প্রাপ্ত জটিল তথ্যাবলিকে বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়ন করার ক্ষমতার বিকাশ ঘটায় শিক্ষার্থীরা।
- শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্বতন্ত্র বিষয়গুলি থেকে প্রাপ্ত অন্তদৃষ্টিকে এবং তাদের পদ্ধতিগুলিকে সংশ্লেষিত করার ক্ষেত্রে দক্ষতা লাভ করে। এই ধরনের দক্ষতা অর্জনের জন্য উচ্চ স্তরের সূক্ষ্ম এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনাকে ব্যবহার করে।
- শিক্ষার্থীরা আন্তবিষয়ক দক্ষতা ও জ্ঞানকে প্রয়ােগ করে নতুন প্রেক্ষিতে। বাস্তব জীবন জগৎ এবং কর্মমূলক পরিস্থিতিতে তাদের উপলদ্ধির ক্ষমতাকে সমৃদ্ধ ও বিকাশশীল করে তােলে।
- শিক্ষার্থীরা আন্তবিষয়ক কার্যাবলিকে এমনভাবে ব্যবহার করে যে, তা তাদের চিন্তন। প্রক্রিয়াকে উদ্দীপ্ত করে, অগ্রবর্তী করে, নিয়ন্ত্রণ করে এবং যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে । এবং ফলশ্রুতিতে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কীভাবে শিখতে হয় তা-ই তারা শেখে।
- শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠিত এবং নতুন প্রযুক্তিকে যথাযথভাবে এবং কার্যকারীভাবে করার ক্ষমতা অর্জন করে।পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা পদ্ধতির দ্বারা বিভিন্ন স্বতন্ত্র বিষয়গুলি থেকে সমস্যাকে চিহ্নিত করে সমাধানের পথ প্রস্তুত করে, যা কোনাে একক স্বতন্ত্র বিষয়-এর সাধ্যের বাইরে।
- শিক্ষার্থীরা বহুমুখী প্রেক্ষিতে তাদের স্বতঃসিদ্ধগুলিকে মােকাবিলা করার জন্য তাদের প্রাসঙ্গিক দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও গভীরভাবে অনুধাবনের মাধ্যমে তাদের উপলব্ধিকে উচ্চমাত্রায় অবস্থান করে এছাড়াও আন্তবিষয়ক জ্ঞানচর্চায় বিভিন্ন লক্ষ্য দেখাযায়।
বিদ্যালয় পাঠক্রমে গণিত শিক্ষার উদ্দেশ্য আলোচনা করুন?
▸ পাঠক্রম হল শিক্ষা প্রক্রিয়ার প্রাণকেন্দ্র। শিখন - শিক্ষন কার্যাবলী কে সুস্পষ্ট পরিচালিত করার ক্ষেত্রে পাঠক্রমের গুরুত্ব অপরিসীম।পাঠক্রম ব্যতীত ধারাবাহিক এবং সার্বিকভাবে শিক্ষাদান প্রক্রিয়ার কাজ সংগঠিত করা সম্ভব হতো না।প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থাকে উদ্দেশ্য ভিত্তিক,সময়োপযোগী এবং গতিশীল করে তোলার জন্য পাঠক্রম কে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।পাঠক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়।বিষয় কেন্দ্রিক পাঠক্রমের অংশ হিসাবে গণিত পাঠক্রমের দিকটিও সেই প্রসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।
❏ গণিত শিক্ষার উদ্দেশ্য :
- বিদ্যালয়ের গণিত পাঠক্রমের মাধ্যমে শিক্ষককে শ্রেণী কক্ষের ভেতরে ও বাইরে গণিত শিক্ষণ পদ্ধতিটি কার্যকরী করে তুলতে সহায়তা করে।
- শিহ্মন পদ্ধতিতে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল বিভিন্ন শিখন সম্পদ।গণিত শিখন পদ্ধতিতে শিক্ষক কোনো কোনো শিখন সম্পদকে কাজে লাগাবেন, তা একটি তালিকা দিতে সাহায্য করে গণিত পাঠক্রম।
- শিক্ষার্থীর শিখন কতখানি সার্থকতা লাভ করেছে তার পরিমান করা হয় মূল্যায়ন কৌশলের দ্বারা। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে শিক্ষকের মূল্যায়ন কৌশল ব্যবহার করবেন তা স্থির করতে সহায়তা করে গণিত পাঠক্রমে।
- গণিত শিখনের যাবতীয় উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য পূরণকে সঠিক পথ অর্জন করার ক্ষেত্রে সুশৃঙ্খল পথ রেখা তৈরি করে গণিত পাঠক্রম।
- শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিকাশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষার্থীদের বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে ও জীবনমুখী শিক্ষার দিকটিকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলতে সহায়তা করে গণিত পাঠক্রম।
- শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পেশাগত জীবনে, পেশা নির্বাচনে,বিকল্প পেশা স্থির করেন,উচ্চ স্তরের বিজ্ঞান ও গণিত অধ্যায়নের বিষয়টিকে যথার্থভাবে সফল করে তোলার জন্য যে গাণিতিক ভিত্তির প্রয়োজন হয়,তা প্রদান করে গণিত পাঠক্রম।
- শিক্ষার্থীদের বৌদ্ধিক বিকাশের হ্মেত্রে, যেমন - বুদ্ধি,চিন্তন ক্ষমতা,কল্পনা শক্তি,যুক্তি ও চিন্তার ক্ষমতা, সৃজন ক্ষমতার সামগ্রিক রূপটিকে যথার্থ কার্যকরী করে তুলতে গণিত প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে।
- একটি উন্নত মানের গণিত পাঠক্রম শিক্ষার্থীর বৌদ্ধিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে তার প্রাহ্মোভিক, সামাজিক বিকাশ সাধনের কার্যে সহায়তা দানের সঙ্গে নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটিয়ে সার্বিক বিকাশ সাধনের পথকে প্রশস্ত করে।
▸ক. বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান - একজন দহ্ম গণিত শিক্ষকের গণিতের বিষয়টি সম্পর্কে ব্যাপকতর জ্ঞান থাকা জরুরী। তাকে গণিতের বিভিন্ন শাখা,যেমন - বীজগণিত, জ্যামিতি,স্ট্যাটিসটিকস, ক্যালকুলাস ইত্যাদির সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। এই জ্ঞান গণিতের ধারণা ও প্রক্রিয়া গুলিকে ব্যাখ্যা করতে শিক্ষকের আত্মবিশ্বাস প্রেরণা প্রদান করে।
▸খ. বিষয়ের উৎস সম্পর্কে ধারণা - শিক্ষার্থীদের শিক্ষার বিভিন্ন উৎস,এই সম্পর্কে একজন শিক্ষকের ধারণা থাকা উচিত। তবে তাকে গণিতের শিখনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অনুশীলন সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সেগুলি সংঘবদ্ধ করতে হবে।
▸গ. সমস্যা সমাধানের উপায় সম্পর্কে চর্চা - একজন সফল শিহ্মকের সমস্যার সমাধানের বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে চর্চা করতে হবে।কারণ সেই বিকল্প পদ্ধতি গুলির গণিতে দুর্বল এরকম শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
▸ঘ. শিখন পরিকল্পনা - শিক্ষকের সুদক্ষ শিহ্মন পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত। কারণ শিখন পরিকল্পনার মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ ও তাদের আত্মবিশ্বাসকে সুনিশ্চিত করবে।
▸ঙ. শিহ্মকের ভাবমূর্তি - একটি গনিত শ্রেণিকক্ষে একজন সক্রিয় শিক্ষক কখনোই "কারণ আমি বলছি" এইভাবে নিজের ভাবমূর্তি তৈরি করবেন না বা "আমি সবকিছু জানি" এর ভূমিকা পালন করবেন না।
▸চ. শিহ্মকের ভূমিকা - শিক্ষকের ভূমিকা হতে হবে শিহ্মনের সুযোগ প্রদানকারী রূপে যিনি শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞান ও সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন কৌশল প্রদান করবেন।যদি কোনো শিক্ষার্থী সমস্যা সমাধানের অক্ষম হয় বা ভূল পদ্ধতি অনুসরণ করে তাহলে শিক্ষককে অবশ্যই তার ত্রুটি খুঁজে বার করে তাকে উৎসাহ দিতে হবে।
▸ছ. নেতৃত্ব প্রদান করা - একজন সক্রিয় গণিত শিক্ষককে সবসময় শ্রেণিকক্ষ ও বিদ্যালয়ে উভয় ক্ষেত্রেই একজন নেতৃত্ব সুলভ ভূমিকা পালন করতে হবে।শুধুমাত্র গণিতের জ্ঞানের জন্য নয়,শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্ব ও কার্যক্রম বিকাশের জন্যই তাকে শিক্ষার্থীদের থেকে শ্রদ্ধা অর্জন করতে হবে।শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষ নিয়ন্ত্রণ স্পষ্ট নিয়ম ও প্রত্যাশা প্রদর্শন করতে হবে,যাতে শিক্ষার্থীরা সেগুলি অনুসরণ করতে পারে।
▸জ. যত্নশীল মনোভাব - একজন সফল গণিত শিক্ষককে তার শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবেন।তাকে অনুসন্ধান করতে হবে যে শিক্ষার্থীর কোনটি খারাপ লাগছে বা কোনটি ভালো লাগছে।সেক্ষেত্রে তিনি সচেতন থাকবে।গণিত শিক্ষকের তাঁর শিক্ষার্থীর থেকে একটি বৃহত্তর প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু শিক্ষার্থীর পারিবারিক কোনো সমস্যা বা বাধার উপস্থিতি সম্পর্কেও শিক্ষকের অবহিত থাকবেন যেটি তার পড়াশোনাকে সময় বা বিকাশকে ত্বরান্বিত করে।একই সঙ্গে তিনি শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় কোনো সুযোগ সময় দেবেন বিষয়টি আয়ত্ত করার জন্য।
Q. Explain the relevant of teaching social science in school curriculum?
বিদ্যালয় পাঠক্রমে সমাজবিদ্যা শিক্ষনের প্রাসঙ্গিকতা ব্যাখ্যা করুন?
▸ সমাজবিজ্ঞান বা সমাজবিদ্যা হল বিজ্ঞানের একটি নিরীক্ষণমূলক গবেষণা ক্ষেত্র। বিজ্ঞানের মতাে এই সমাজবিজ্ঞানের বিষয়গুলিতে চরম সত্য কথাটি বলা যায় না। সমাজবিজ্ঞানের আলােচনাক্ষেত্র গবেষণা নির্ভর হলে তা বিজ্ঞানের পূর্ণ মর্যাদা অনেক সময় পায় না। সমাজবিজ্ঞান তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করে। তাই সমাজবিজ্ঞানের পাঠ্য বইগুলিকে আমরা 'নলেজ টেক্সট' বলে থাকি। শ্রেণিকক্ষে এইরকম 'নলেজ টেক্সট' শিক্ষণের সময় শিক্ষককে অবশ্যই কয়েকটি দায়িত্ব পালন করতে হবে-
❏ বিদ্যালয় পাঠক্রমে সমাজবিদ্যা শিক্ষনের প্রাসঙ্গিকতা :
- সমাজবিজ্ঞান শিক্ষণে ভাষাজ্ঞান, ভাষা উচ্চারণে দক্ষতা, পাঠ প্রণালীর দক্ষতা ইত্যাদি বিষয়গুলি অভ্যাসের মধ্য দিয়ে অর্জন করা যায়—বিষয়টি শিক্ষার্থীদের। পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া।
- সমাজবিজ্ঞানের যে শব্দগুলির পরিভাষা থাকে সেগুলি শিক্ষার্থীদের সময় নিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া।
- শিক্ষার্থীদের বলা সাধারণ ভাষাটি শনাক্ত করা।
- পাঠ্যবই পড়ার সময় উচ্চারণ যাতে স্পষ্ট হয় তা দেখা।
- পাঠ প্রণালীর সময় শিক্ষার্থীদের প্রয়ােজন বুঝে কখনাে ধীরে বা কখনাে গতিতে পাঠ করানাে।
- জ্ঞান অর্জন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ভাষা কোনাে—বাধা নয় এই ব্যাপারটি প্রথমেই শিক্ষার্থীদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া।
- সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে জ্ঞানলাভ উত্তম। কিন্তু তার সাথে সাথে বাচন ক্ষমতার উন্নতির জন্য দৈনন্দিন পাঠপ্রণালীর ব্যবস্থা করা।
- পাঠপ্রণালীর দক্ষতা বিষয়ের দক্ষতাকে আরও পরিশীলিত করবে—এই বিষয়টি শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া।