Sahitya Sanchayan class 10 Bengali solutions | দশম শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণির বাংলা অধ্যায় ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন উত্তর অধ্যায় ভিত্তিক প্র্যাক্টিস সেট

Short SAQ Type Question Class - X


দশম শ্রেণি বাংলা অধ্যায়: অতিসংক্ষিপ্ত (SAQ)
প্রথম পাঠ জ্ঞানচক্ষু ☞ আশাপূর্ণা দেবী গল্প মোট ১৬ টি 
দ্বিতীয় পাঠ অসুখী একজন ☞ পাবলো নেরুদা  কবিতা মোট ১৫ টি 
দ্বিতীয় পাঠ  আয় আরাে বেঁধে বেঁধে থাকি ☞ শঙ্খ ঘােষ  কবিতা মোট ৯ টি
তৃতীয় পাঠ আফ্রিকা ☞ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা মোট ৯ টি 
তৃতীয় পাঠ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ☞ শ্রীপান্থ প্রবন্ধ মোট ৩১ টি 


প্রথম পাঠ জ্ঞানচক্ষু অতিসংক্ষিপ্ত ☟ (SAQ)

প্রশ্নঃ ১. কথাটা শুনে কার চোখ মার্বেলের মতাে হয়ে গেল?
উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের প্রথম পঙক্তিটিতে কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেলের মতাে হয়ে গেল।
প্রশ্নঃ ২. “জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র কে?
উত্তরঃ লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু গল্পের কেন্দ্রীয় বা প্রধান চরিত্র হল তপন।
প্রশ্নঃ ৩. আশাপূর্ণা দেবী কত খ্রিস্টাব্দে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবী ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের ৮ জানুয়ারি কলকাতার পটলডাঙায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্নঃ ৪. তপনের ছােটো মেসােমশাইয়ের পরিচয় কী?
উত্তরঃ তপনের ছােটো মেসােমশাই একজন কলেজের অধ্যাপক। তিনি একজন লেখক, সত্যিকারের লেখক।
প্রশ্নঃ ৫. কাকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল?
উত্তরঃ নতুন মেসাে অর্থাৎ ছােটো মেসােমশাইকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল।
প্রশ্নঃ ৬. তপনের ছােটোমেসাে ছােটোমামার মতাে কী করেন?
উত্তরঃ তপনের ছােটোমেসাে ছােটোমামার মতাে খবরের কাগজের সব কথা নিয়ে প্রবলভাবে গল্প করেন, তর্ক করেন, এদেশের কিছু হবে না বলেন।
প্রশ্নঃ ৭. তপনের ছােটো মেসােমশাই সুযােগ পেলে কী করত?
উত্তরঃ তপনের ছােটো মেসােমশাই সুযােগ পেলে দিবানিদ্রা যেতেন।
প্রশ্নঃ ৮. “তা হলে বাপু তুমি ওর গল্পটা ছাপিয়ে দিও”—এই কথাটি কে, কাকে বলেছে?
উত্তরঃ লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু' গল্পে তপনের ছােটোমাসি তার স্বামীকে অর্থাৎ ছােটো মেসােকে এই কথাটি বলেছে।
প্রশ্নঃ ৯. বিকেলে চায়ের টেবিলে কী কথা ওঠে?
উত্তরঃ লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু' গল্পে তপনের গল্প লেখার ব্যাপারটা বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে।
প্রশ্নঃ ১০. ছুটির শেষে তপনের মেসাে গল্পটি নিয়ে গেলে তপন কী করে?
উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে ছুটির শেষে তপনের মেসাে তপনের গল্পটি নিয়ে গেলে সে কৃতার্থ হয়ে বসে বসে দিন গােনে।
প্রশ্নঃ ১১. তিনতলার সিঁড়িতে উঠে গিয়ে গল্প লিখে সেটি পড়ার পর তার কী হল?
উত্তরঃ তিনতলার সিঁড়িতে উঠে গিয়ে গল্প লিখে সেটি পড়ার পর তার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে এবং মাথার চুল খাড়া হয়ে ওঠে।
প্রশ্নঃ ১২. বিয়ে হয়ে ছােটোমাসি কীরকম হয়ে গেছে?
উত্তরঃ লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু' গল্পে তপনের ছােটোমাসি বিয়ে হওয়ার পর একটু মুরুব্বি হয়ে গেছে।
প্রশ্নঃ ১৩. তপনের গল্পের বইয়ে সূচিপত্রে কী লেখা রয়েছে?
উত্তরঃ লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু গল্পে' তপনের গল্পের বইয়ে সূচিপত্রে লেখা হয়েছে—প্রথম দিন (গল্প) শ্ৰীতপন কুমার রায়।
প্রশ্নঃ ১৪. তপনের গল্প ছাপা হলে তার ছােটোমাসি কী করতে থাকে?
উত্তরঃ তপনের গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপা হলে তার ছােটো মাসি আত্মপ্রসাদের প্রসন্নতা নিয়ে বসে বসে ডিমভাজা আর চা খায়।
প্রশ্নঃ ১৫. তপনের গল্প ছাপা হলে তার মা প্রথমে কী বলেন?
উত্তরঃ তপনের গল্প ছাপা হলে তার মা প্রথমে বলেন, “কই তুই নিজের মুখে একবার পড় তাে শুনি! বাবা, তাের পেটে পেটে এত।”
প্রশ্নঃ ১৬. তপন দুঃখে ছাদে গিয়ে কী দিয়ে তার চোখ মোছে?
উত্তরঃ তপন দুঃখে ছাদে গিয়ে তার শার্টের তলাটা তুলে চোখ মােছে।

দ্বিতীয় পাঠ অসুখী একজন অতিসংক্ষিপ্ত ☟ (SAQ)

প্রশ্নঃ ১. “আমি তাকে ছেড়ে দিলাম”-কে, কাকে ছেড়ে দিলেন?
উত্তরঃ 'অসুখী একজন’ কবিতার কবি  তাঁর ভালােবাসার মেয়েটিকে ছেড়ে দিলেন।
প্রশ্নঃ ২. “চলে গেলাম দূর ... দুরে"-কে, কীভাবে দুরে চলে গেলেন?
উত্তরঃ 'অসুখী একজন’ কবিতার কবি তার প্রণয়িনীকে  তাঁর অপেক্ষায় দরজায় দাঁড় করিয়ে রেখে দূরে চলে গেলেন।
প্রশ্নঃ ৩. “সে জানত না”—কে, কী জানত না?
উত্তরঃ 'অসুখীএকজন’ কবিতার কবির প্রণয়িনী জানতনা যে তার প্রেমাস্পদ আর কখনও তার কাছে ফিরে আসবেন না।
প্রশ্নঃ ৪. “বৃষ্টিতে ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ”—কথাটির তাৎপর্য কী?
উত্তরঃ কথাটির তাৎপর্য হল ভালােবাসার মেয়েটিকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হল, মুছে গেল কবির সব চিহ্ন।
প্রশ্নঃ ৫. “ঘাস জন্মালাে রাস্তায়”—কথাটির মধ্যে দিয়ে কী বােঝানাে হয়েছে?
উত্তরঃ কথাটির মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হওয়ার কথাই বােঝানাে হয়েছে।
প্রশ্নঃ ৬. “বছরগুলাে/নেমে এল তার মাথায়”-বছরগুলােকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে এবং কেন?
উত্তরঃ বছরগুলােকে কঠিন পাথরের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কারণ বিরহকাতরা মেয়েটির পক্ষে বছরগুলি কাটানাে ছিল কঠিন।
প্রশ্নঃ ৭. “তারপর যুদ্ধ এল”—যুদ্ধকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ তারপর যে যুদ্ধ এসেছিল তাকে রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
প্রশ্নঃ ৮. “সেই মেয়েটির মৃত্যু হলােনা”—এখানে কোন মেয়েটির কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ ‘অসুখী একজন’কবিতার কবির প্রণয়িনী যে মেয়েটি তার মনের মানুষটি চলে যাওয়ার পরেও তার প্রতীক্ষায় দিন গুনেছিল, তার কথাই বলা হয়েছে।
প্রশ্নঃ ৯. “তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না”—এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ শান্ত হলুদ দেবতারা, যারা হাজার বছর ধরে ডুবেছিল ধ্যানে এবং মন্দির থেকে উলটে পড়েছিল টুকরাে টুকরাে হয়ে, এখানে তাদের কথাই বলা হয়েছে।
প্রশ্নঃ ১০. ‘অসুখী একজন’ কবিতার কবি কোথায় ঘুমিয়েছিলেন?
উত্তরঃ 'অসুখী একজন’ কবিতার কবি ঘুমিয়েছিলেন তার মিষ্টি বাড়ির বারান্দার ঝুলন্ত বিছানায়।
প্রশ্নঃ ১১. যুদ্ধের আগুনে কী কী জ্বলে গিয়েছিল?
উত্তরঃ যুদ্ধের আগুনে জ্বলে গিয়েছিল গােলাপি গাছ, ছড়ানাে করতলের মতাে পাতা চিমনি, প্রাচীন জলতরঙ্গ।
প্রশ্নঃ ১২. আগে যেখানে শহর ছিল, যুদ্ধের পর সেখানে কী ছড়িয়ে রইল?
উত্তরঃ আগে যেখানে শহর ছিল যুদ্ধের পর সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা,দোমড়ানাে লােহা, পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা, রক্তের কালাে দাগ।
প্রশ্নঃ ১৩. “উল্টে পড়ল মন্দির থেকে”—কারা, কীভাবে উলটে পড়েছিল?
উত্তরঃ শান্ত হলুদ ধ্যানমগ্ন দেবতারা টুকরাে টুকরাে হয়ে উলটে পড়েছিল।
প্রশ্নঃ ১৪. “সব চুর্ণ হয়ে গেল”—কী চূর্ণ হয়ে গিয়েছিল?
উত্তরঃ চূর্ণ হয়ে গিয়েছিল কবির মিষ্টি বাড়ি, ছড়ানাে করতলের মতাে পাতা চিমনি এবং প্রাচীন জলতরঙ্গ।
প্রশ্নঃ ১৫. যুদ্ধ আসার ফলে কোথায় আগুন ধরে গিয়েছিল?
উত্তরঃ যুদ্ধ আসার ফলে সমস্ত সমতলে আগুন ধরে গিয়েছিল।

দ্বিতীয় পাঠ আয় আরাে বেঁধে বেঁধে থাকি অতিসংক্ষিপ্ত ☟ (SAQ)

প্রশ্নঃ ১. ‘আয় আরাে বেঁধে বেঁধে থাকি’ শীর্ষক কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্গত?
উত্তরঃ 'আয় আরাে বেধে বেঁধে থাকি' শীর্ষক কবিতাটি জলই পাষাণহায়ে আছে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
প্রশ্নঃ ২. ‘জলই পাষাণ হয়ে আছে’ কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলি কোন সময়ে রচিত?
উত্তরঃ এই কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলি রচিত হয় ২০০১ থেকে ২০০৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে। 
প্রশ্নঃ ৩. “আমাদের ডানপাশে ধ্বস”—উদ্ধৃতাংশটিতে ‘ধ্বস’ শব্দটি ব্যবহারের তাৎপর্য কী?
উত্তরঃ সময়ের ইতিহাস-সচেতন কবি শঙ্খ ঘােষ 'ধ্বস' কথাটির মধ্যে সমকালীন সমাজ পরিবেশের বিপর্যস্ত অবস্থাকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। সমকালীন সমাজকাঠামাে মানবিক প্রশ্রয়ের অভাবে তার দৃঢ়তা হারিয়েছে, তাতে ধস নেমেছে তথা ভাঙন ধরেছে।
প্রশ্নঃ ৪. “আমাদের পথ নেই কোনাে”—উদ্ধৃতাংশে কবি কী বােঝাতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ আমরা যে সমাজ-বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে আছি সেখানে সময়ের অস্থিরতায় সবকিছু যেন হারিয়ে গেছে। মানবিক মূল্যবােধহীনতার তাড়নায় চলার পথে আলাে নেই, অন্ধকার পরিব্যাপ্ত। তাই কবি যেন আমাদের জানাতে চেয়েছেন এগিয়ে যাওয়ার আর কোনাে পথ নেই।
প্রশ্নঃ ৫. “আমাদের ঘর গেছে উড়ে’—উদ্ধৃতাংশটিতে কবি কী বােঝাতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ সমাজ পরিবেশ তাে আমাদের আশ্রয় তথা ঘর। আর এই আশ্রয় দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে কতকগুলি মানবিক প্রত্যয়ের সমন্বয়ে, চেতনার বলয়ে থাকে মানবিক মূল্যবােধ। সময়ের আঘাতে এগুলির যথেষ্ট অভাব। তাই কবি বােঝাতে চেয়েছেন আমরা আজ আশ্রয়হীনতায় ভুগছি।
প্রশ্নঃ ৬. “আমাদের শিশুদের শব/ছড়ানাে রয়েছে কাছে দূরে!” -উদ্ধৃতাংশটিতে কবি কী বলতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটির মাধ্যমে কবি সমাজ পরিবেশের রুন নগ্ন রূপটিকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। আজকের প্রজন্ম যেন জীবন্ত অবস্থায় ছড়িয়ে আছে। আজকের এই প্রজন্মের বেঁচে থাকার, বেড়ে ওঠার কোনাে স্বাস্থ্যকর মানসিক খাদ্য নেই।
প্রশ্নঃ ৭. “আমরা ভিখারি বারােমাস” —উদ্ধৃতাংশটিতে কবি-ব্যক্তিত্বের যে দিকটি উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে, তা অল্পকথায় ব্যক্ত করাে।
উত্তরঃ লুণ্ঠনে, শােষণে, ভ্রষ্টাচারে সমাজ-সভ্যতার যে অন্যায় রূপ কবি প্রত্যক্ষ করেন তা উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে তার বাক্প্রতিমায়। সভ্যতা-সমাজের অন্যায়ের শিকার হওয়া মানুষের প্রতি মর্মবেদনায় কবি শঙ্খ ঘােষের কবিতায় বারে বারে উঠে আসে ভিখারির ইমেজ। আলােচ্য উদ্ধৃতিতে মানবিক মূল্যবােধ হীনতার পরিণাম ‘ভিখারি’ শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে গেছে।
প্রশ্নঃ ৮. “আয় আরাে বেঁধে বেঁধে থাকি।”— উদ্ধৃতাংশটিতে কবি কেন এই আহ্বান করেছেন?
উত্তরঃ কবি উপলব্ধি করেছেন সামাজিক বিপর্যয়ের স্বরূপ এবং বিচ্ছিন্নতাবােধের শিকার হয়েছে মানুষ। বর্তমানের বিপর্যস্ত সময় অতিক্রম করে যেতে সম্মিলিত প্রতিরােধের প্রয়ােজন। তাই কবি এহেন পরিস্থিতিতে মুষ্টিমেয় প্রতিরােধকারীদের কথা ভাবেন এবং হাতে হাত রেখে সংঘবদ্ধ প্রতিরােধের
আহ্বান জানান।

প্রশ্নঃ ৯. “তবু তাে কজন আছি বাকি”—উদ্ধৃতাংশটির মধ্যে কবি কী বার্তা দিতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটির মধ্যে সমাজমনস্ক কবির বিশেষ বিশ্বাস প্রত্যক্ষতর হয়ে উঠেছে। কবি যেন জানাতে চান সমাজে সবাই হারিয়ে যায়নি। এখনও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সচেষ্ট হয়ে উঠতে পারেন।

তৃতীয় পাঠ আফ্রিকা অতিসংক্ষিপ্ত ☟ (SAQ)

প্রশ্নঃ ১. স্রষ্টা কোন সময়ে কার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আফ্রিকা’ কবিতায় স্রষ্টা উদভ্রান্ত সেই আদিম যুগে নিজের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
প্রশ্নঃ ২. স্রষ্টা কাকে বারবার বিধ্বস্ত করেছিলেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আফ্রিকা’ কবিতায় স্রষ্টা নতুন সৃষ্টিকে বারবার বিপর্যস্ত করেছিলেন।
প্রশ্নঃ ৩. স্রষ্টা আফ্রিকাকে কীভাবে বেঁধেছিলেন?
উত্তরঃ স্রষ্টা আফ্রিকাকে বেঁধেছিলেন বনস্পতির নিবিড় পাহারায় কৃপণ আলাের অন্তঃপুরে।
প্রশ্নঃ ৪. নিভৃত আকাশে স্রষ্টা কী সংগ্রহ করেছিলেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আফ্রিকা’ কবিতায় স্রষ্টা সংগ্রহ করেছিলেন দুর্গমের রহস্য।
প্রশ্নঃ ৫. কাকে বিদ্রুপ করা হয়েছিল?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আফ্রিকা' কবিতায় স্রষ্টা ভীষণকে বিদ্রুপ করেছিল বিরূপের ছদ্মবেশে।
প্রশ্নঃ ৬. কালাে ঘােমটার নীচে কী অপরিচিত ছিল?
উত্তরঃ কালাে ঘােমটার নীচে অপরিচিত ছিল আফ্রিকার মানবরূপ।
প্রশ্নঃ ৭. শিশুরা কোথায় খেলছিল?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আফ্রিকা’ কবিতায় শিশুরা মায়ের কোলে খেলছিল।
প্রশ্নঃ ৮. কবির সংগীতে কী বেজে উঠেছিল?
উত্তরঃ কবির সংগীতে বেজে উঠেছিল সুন্দরের আরাধনা।
প্রশ্নঃ ৯. যুগান্তের কবিকে কার দ্বারে দাঁড়াতে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আফ্রিকা’ কবিতা যুগান্তের কবিকে মানহারা মানবীর দ্বারে দাঁড়াতে বলা হয়েছে।

তৃতীয় পাঠ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম অতিসংক্ষিপ্ত ☟ (SAQ)

প্রশ্নঃ ১. ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থের আসল নাম কী?
উত্তরঃ 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থের আসল নাম হল নিখিল সরকার। শ্রীপান্থ তার ছদ্মনাম।
প্রশ্নঃ ২. লেখকদের অফিসে কাদের হাতে কলম আছে?
উত্তরঃ শ্রীপান্থের লেখা ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে দেখা যায় লেখকদের অফিসে একমাত্র লেখক ছাড়া আর কারও হাতে কলম নেই।
প্রশ্নঃ ৩. লেখকের অফিসে লেখক ছাড়া আর সকলের সামনে কী থাকে?
উত্তরঃ  লেখকদের অফিসে লেখক ছাড়া আর সকলের সামনেই চৌকো আয়নার মতাে একটা কাচের স্ক্রিন বা পরদা। আর তার নীচে টাইপরাইটারের মতাে একটা কি-বাের্ড।
প্রশ্নঃ ৪. লেখকরা বাঁশের কলম তৈরি করতেন কীভাবে?
উত্তরঃ লেখক গ্রামের ছেলে। তারা একটি রােগা বাঁশের কঞি কেটে নিতেন। তার মুখ ছুঁচোলাে ও চিরে দেওয়া হত যাতে কালি ধীরে ধীরে চুইয়ে পড়ে।
প্রশ্নঃ ৫. ‘হােমটাস্ক’-এর কলাপাতাগুলি কী করা হত?
উত্তরঃ হােমটাস্কগুলি কলাপাতায় লেখার পর স্কুলের মাস্টারমশাইকে দেখানাে হত। পরে সেগুলি মাস্টারমশাই দেখে আড়াআড়ি টান দিয়ে ছিড়ে ফেলতেন। সেগুলি ছেড়ার পরে পুকুরে তা ফেলে দিতেন।
প্রশ্নঃ ৬. লেখার কলাপাতাগুলি গােরুকে খাওয়ানাে হয় না কেন?
উত্তরঃ লেখার কলাপাতা বাইরে ফেললে তা গােরু খেয়ে নিলে অমঙ্গল। অক্ষরজ্ঞানহীনকে লােকে বলে, ওর কাছে 'ক’ অক্ষর গােমাংস। গােরুকে অক্ষর খাওয়ানােও নাকি পাপ।
প্রশ্নঃ ৭. ভালাে বা উৎকৃষ্ট কালি তৈরি করার ব্যাপারে প্রাচীনেরা যে ছড়াটি বলতেন সেটি লেখাে।
উত্তরঃ  প্রাচীনেরা যে ছড়াটি বলতেন, সেটি হল-
“তিল ত্রিফলা সিমুল ছালা
ছাগ দুগ্ধে করি মেলা
লৌহপাত্রে লােহায় ঘসি।
ছিঁড়ে পত্র না ছাড়ে মসি।”
প্রশ্নঃ ৮. লেখকরা কীভাবে সহজ পদ্ধতিতে কালি তৈরি করতেন?
উত্তরঃ বাড়ির রান্না হত কাঠের উনুনে। তাতে কড়াইয়ের তলায় বেশ কালি জমত। সেই কালি লাউপাতা দিয়ে ঘষে পাথরের বাটিতে জল দিয়ে গুলে কালি তৈরি করা হত।
প্রশ্নঃ ৯. কালি তৈরি করতে আর কী কী করা হত?
উত্তরঃ  লেখকদের মধ্যে যারা ওস্তাদ তারা কালির কালাে জলে হরীতকী ঘষত। কখনও-বা আতপ চাল ভেজে পুড়িয়ে তা বেটে তাতে মেশানাে হত। একটা খুন্তির গােড়া পুড়িয়ে লাল করে জলে ছ্যাকা দেওয়া হত।
প্রশ্নঃ ১০. কী নিয়ে প্রথমে লেখকদের লেখালেখি হয়?
উত্তরঃ  শ্রীপান্থের লেখা ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে দেখা যায়—বাঁশের কলম, মাটির দোয়াত, ঘরে তৈরি কালি আর কলাপাতা নিয়ে লেখকদের প্রথম লেখালেখি শুরু হয়।
প্রশ্নঃ ১১. লেখক বাঙালি না-হয়ে যদি সুমেরিয়ান হতেন, তাহলে কী করতেন?
উত্তরঃ লেখক যদি সুমেরিয়ান হতেন নীলনদীর তীর থেকে একটা নলখাগড়া ভেঙে নিয়ে আসতেন, সেটিকে ভােতা করে তুলি বানিয়ে লিখতেন হয়তো ছুঁচোলো করে কলম বানাতেন।
প্রশ্নঃ ১২. সিজার যে কলমটি দিয়ে কাসকাকে আঘাত করেছিলেন, সেটি কী ছিল?
উত্তরঃ 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধে  সিজার যে কলমটি দিয়ে কাসকাকে আঘাত করেছিলেন, সেটি কিন্তু ব্রোঞ্চের ধারালো শলাকা। 
প্রশ্নঃ ১৩. সরস্বতী পূজার সময় কাচের দোয়াতে কালির বদলে কী থাকে?
উত্তরঃ সরস্বতী পূজার সময় খাগের কলম ও কাচের দেয়াতে কালির বদলে থাকে দুধ। 
প্রশ্নঃ ১৪. লর্ড কার্জন বাঙালি সাংবাদিকদের গরম গরম ইংরেজি দেখে তাদের কী বলতেন?
উত্তরঃ  লর্ড কার্জন বাঙালি সাংবাদিকদের গরম গরম ইংরেজি দেখে তাদের বলতেন-“বাবু  কুইল ড্রাইভার”।
প্রশ্নঃ ১৫. এখন পালকের কলম কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তরঃ শ্রীপান্থের লেখা ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধে দেখা যায়, এখন পালকের কলম দেখা যায় পুরােনাে দিনের তৈলচিত্রে কিংবা ফোটোগ্রাফে।
প্রশ্নঃ ১৬. উইলিয়াম জোন্স কিংবা কেরি সাহেবের ছবিতে কী দেখা যায়?
উত্তরঃ শ্রীপান্থের লেখা ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধে উল্লেখ আছে উইলিয়াম জোন্স কিংবা কেরি সাহেবের স-মুনশি ছবিতে দেখা যায় সামনে তাদের দোয়াতে গোঁজা পালকের কলম।
প্রশ্নঃ ১৭. পালকের কলম কীভাবে তৈরি করা হত?
উত্তরঃ পালক কেটে কলম তৈরির জন্য সাহেবরা ছােটো একটা যন্ত্র বের করেছিলেন। যন্ত্রটা একধরনের পেনসিল সার্পনারের মতাে। তাতেও রয়েছে ধারালাে ব্লেড। পালক ঢুকিয়ে চাপ দিলেই তৈরি হয়ে যায়।
কলম।

প্রশ্নঃ ১৮. আজকাল কোনাে কোনাে অতি আধুনিক ছেলে কোথায় কলম রাখে?
উত্তরঃ শ্রীপান্থের লেখা ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধে আছে—আজকাল কোনাে কোনাে অতি আধুনিক ছেলে যাদের বুকপকেটে নয়, কাঁধের  ছােটো পকেটে সাজানাে থাকে কলম।
প্রশ্নঃ ১৯. মেয়েরা চুলে কলম ধারণ করে কেন?
উত্তরঃ মেয়েরা চুলে কলম ধারণ করতেন, তার কারণ সেটা ইচ্ছাকৃত নয়ভিড়ের ট্রামে-বাসে যাতায়াতের ফলে।
প্রশ্নঃ ২০. ফাউন্টেন পেন কে আবিষ্কার করেন?
উত্তরঃ শ্রীপান্থের লেখা ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে, ফাউন্টেন পেন আবিষ্কার করেন লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান।
প্রশ্নঃ ২১. লেখক কলেজস্ট্রিটের একটি দোকানে ফাউন্টেন পেন কিনতে গেলে দোকানি তাকে কত ধরনের পেনের নাম বলেছিলেন?
উত্তরঃ লেখক কলেজ স্ট্রিটের একটি নামী দোকানে ফাউন্টেন পেন কিনতে গেলে দোকানি তাকে পার্কার, শেফার্ড, ওয়াটারম্যান, সােয়ান, পাইলট বিভিন্ন ধরনের পেনের নাম বলেছিলেন।
প্রশ্নঃ ২২. প্রথমে ফাউন্টেন পেনের কী নাম ছিল?
উত্তরঃ প্রথমে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল ‘রিজার্ভার পেন।'
প্রশ্নঃ ২৩. বিদেশে উন্নত ধরনের নিব কী থেকে তৈরি হত?
উত্তরঃ বিদেশে গােরুর শিং অথবা কচ্ছপের খােল কেটে কলমের নিব তৈরি হত।
প্রশ্নঃ ২৪. দোয়াত কত ধরনের দেখা যেত?
উত্তরঃ কলমের কালি দোয়াতে রাখা হত। সেই দোয়াতও বিভিন্ন ধরনের হত যেমন—কাচের, কাট-গ্লাসের, পাের্সেলিনের, শ্বেতপাথরের, জেডের, পিতলের, ব্রোঞ্জের, ভেড়ার শিং-এর এমনকি সােনারও।
প্রশ্নঃ ২৫. গ্রামে দু-একটা পাশ দিলে বুড়াে-বুড়িরা কী বলে আশীর্বাদ করতেন?
উত্তরঃ গ্রামে দু-একটা পাশ দিলে বুড়াে-বুড়িরা আশীর্বাদ করতেন, ‘বেঁচে থাকো বাছা’, ‘তােমার সােনার দোয়াত কলম হােক এই বলে।
প্রশ্নঃ ২৬. সােনার দোয়াত কলম যে হত, তা লেখক কীভাবে জেনেছিলেন?
উত্তরঃ সােনার দোয়াত কলম যে হত, তা লেখক জেনেছিলেন সুভাে ঠাকুরের বিখ্যাত দোয়াত সংগ্রহ দেখতে গিয়ে।
প্রশ্নঃ ২৭. বুড়াে-বুড়িদের ভাষায় সােনার দোয়াত কলমে কারা লিখতেন?
উত্তরঃ সােনার দোয়াত কলমে শেক্সপিয়র, দান্তে, মিলটন, কালিদাস, ভবভূতি, কাশীরাম দাস, কৃত্তিবাস, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র প্রমুখ লিখতেন।
প্রশ্নঃ ২৮. একটা বিদেশি কাগজে দেওয়া বিজ্ঞাপনে কত ধরনের নিবের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ একটা বিদেশি কাগজে ফাউন্টেন পেনের বিজ্ঞাপনে লেখক দেখেছিলেন তাঁদের তহবিলে নাকি সাতশাে রকম নিব রয়েছে।
প্রশ্নঃ ২৯. ফাউন্টেন পেনগুলিকে কম্পিউটার কোথায় পাঠাবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছে?
উত্তরঃ ফাউন্টেন পেনগুলিকে কম্পিউটার জাদুঘরে পাঠাবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছে।
প্রশ্নঃ ৩০. কারা টাইপরাইটারে লিখেছেন?
উত্তরঃ শ্রীপান্থের লেখা ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে উল্লেখ আছে যে অন্নদাশঙ্কর রায় এবং সুভাষ মুখােপাধ্যায় টাইপরাইটারে লিখেছেন।
প্রশ্নঃ ৩১. অক্ষর কাটাকুটি করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ কী রচনা করেছিলেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ যে চিত্রশিল্পী হয়েছিলেন, তার সূচনা কিন্তু হাতে লেখা পাণ্ডুলিপির পাতায়। অক্ষর কাটাকুটি করতে গিয়ে আনমনে রচিত হয়েছিল ছন্দোবদ্ধ সাদা-কালাে ছবি।
প্রশ্নঃ ৩২. ত্রৈলােক্যনাথ মুখােপাধ্যায় কীভাবে মারা গিয়েছিলেন?
উত্তরঃ নিজের হাতের কলম হঠাৎ অসাবধানতাবশত বুকে ফুটে গিয়ে ত্রৈলােক্যনাথের মৃত্যু হয়।

Related Tags : class x bengali sahitya chayanika, class 10 bengali chapter 1, sahitya sanchayan class 10 bengali solutions, class 10 bengali book syllabus, sahitya sanchayan class 10 guide book pdf,

Type Here ....

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন