Class 8 Geography Chapter Jalobayu Anchol
আমাদের পৃথিবী অষ্টম শ্রেণী অধ্যায় ভিত্তিক অনুশীলনী প্রশ্নও উত্তর
❍ Class Viii Geography Lesson Question Answer
2. অস্থিত পৃথিবী
3. শিলা
4. চাপবলয় ও বায়ুপ্রবাহ
5.মেঘ বৃষ্টি
6. জলবায়ু অঞ্চল
7. মানুষের কার্যাবলি ও পরিবেশের অবনমন
8. ভারতের প্রতিবেশী দেশসমূহ ও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক
9.উত্তর আমেরিকা
10. দক্ষিণ আমেরিকা
11.ওশিয়ানিয়া
❍ রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
☞ প্রশ্নের মান - ৫
Q1. নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য লেখাে।
অথবা, নিরক্ষীয় বৃষ্টিঅরণ্য অঞ্চল এর প্রকৃতি উল্লেখ করাে।
Q2. নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে আলােকপাত করাে।
অথবা, নিরক্ষীয় জলবায়ুতে কীভাবে এখানকার স্বাভাবিক উদ্ভিদ ও বণ্যপ্রাণী অভিযোজন ঘটিয়েছে ?
Q3. তুন্দ্রা অঞ্চলের অধিবাসী এবং তাদের জীবনযাত্রা আলােচনা করাে।
অথবা, তুন্দ্রা জলবায়ু এখানকার জীবনযাত্রাকে কীভাবে প্রভাবিত করে?
Q4. তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পকে আলােচনা করো।
Q5. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের জীববৈচিত্র্যের (Biodiversity) পরিচয় দাও।
অথবা, ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদের বিবরণ দাও।
Q6. ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী তা আলােচনা করাে।
Q7. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে।
-------------------------------------------------------------
Q1. নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য লেখাে।
অথবা, নিরক্ষীয় বৃষ্টিঅরণ্য অঞ্চল এর প্রকৃতি উল্লেখ করাে।
▢ অক্ষাংশ গত অবস্থান : নিরক্ষীয় জলবায়ু পৃথিবীর উভয় গােলার্ধের 5°–10° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। তবে আদর্শ নিরক্ষীয় জলবায়ু প্রসঙ্গে জলবায়ুবিদ অস্টিন মিলার 2°–8° উত্তর অক্ষাংশের কথা বলেন।
▢ ভৌগােলিক অবস্থান : (i) আফ্রিকা মহাদেশের কঙ্গো অববাহিকার কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, জাইরে, ক্যামেরুন এবং গ্যাবন, সিয়েরালিওন,আইভরি কোস্ট, গিনি, কেনিয়া, তানজানিয়ার উপকূলবর্তী অঞ্চল। (ii) দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের আমাজন নদী অববাহিকার অন্তর্গত পেরু, বলিভিয়া, ইকুয়েডর, কলম্বিয়া, উপকূলীয় গিয়ানা এবং ভেনিজুয়েলার অংশবিশেষ। (iii) মধ্য আমেরিকার পানামা, নিকারা গুয়া, কোস্টারিকা, হন্ডুরাস প্রভৃতি দেশসমূহ। (iv) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইনস দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ-পশ্চিম ভারত এবং শ্রীলঙ্কার দক্ষিণাংশের বেশ কিছু স্থানে নিরক্ষীয় জলবায়ু দেখা যায়।।❍ বৈশিষ্ট্য : (i) লম্ব সূর্যরশ্মি ⇨ নিরক্ষীয় জলবায়ুর অন্তর্গত দেশগুলিতে সূর্য সারাবছর প্রায় লম্বভাবে কিরণ দেয়, ফলে এখানে উচ্চ তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হয়, যার বাৎসরিক গড় প্রায় 27°C (ii) তাপমাত্রার প্রকৃতি ⇨ সারাবছর ধরে এই অঞ্চলে উচ্চ তাপমাত্রা ও গ্রীষ্মকাল বিরাজ করায় এখানে বাৎসরিক উষ্ণতার প্রসর প্রায় 2°C। (iii) দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য ⇨ সারাবছর এই অঞ্চলে সূর্যের লম্ব রশ্মির কারণে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান অর্থাৎ, 12 ঘন্টা দিন ও 12 ঘন্টা রাত্রি হয়। (iv) বায়ুর চাপ ⇨ বাৎসরিক অত্যধিক উষ্ণতার জন্য এখানে বায়ুর চাপ প্রায় 1009-1012 মিলিবার থাকে বলে এখানে স্থায়ী নিম্নচাপ বলয় গঠিত হয়েছে। (v) দুর্বল বায়ুপ্রবাহ ⇨ এখানে উষ্ণ জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু হালকা হয়ে পরিচলন পদ্ধতিতে উর্ধ্বগামী হয় বলে এখানে বায়ুপ্রবাহের বেগ বােঝা যায় না, তাই এই অঞ্চল নিরক্ষীয় শান্তবলয় নামে পরিচিত। এটিকে আবার আন্তঃক্রান্তীয় অভিসরণ বলা হয়। (vi) আর্দ্রতা ⇨ এই অঞ্চলে সারাবছরই বায়ুর আর্দ্রতা অনেক বেশি থাকে। গড়ে প্রায় ৪5%―90%। বিশেষত উপকূল অঞ্চলে এই আদ্রর্তার পরিমাণ অত্যধিক হ্রাস পায়। (vii) মেঘাচ্ছন্নতা ⇨ 85%―90% আপেক্ষিক আর্দ্রতা এবং পরিচলন পদ্ধতিতে ঊর্ধ্বগামী আর্দ্র বায়ু এই অঞ্চলে বিকালে কিউমুলােনিম্বাস মেঘের সঞ্চার ঘটায় ও এই জলবায়ুকে আরােও অস্বস্তিকর করে তােলে। (viii) অত্যধিক বৃষ্টিপাত ⇨ শুষ্ক ঋতুহীন এই অঞ্চলে বছরে গড়ে প্রায় 200–250 সেমি বৃষ্টিপাত ঘটে। এই বৃষ্টি প্রতিদিন বিকাল 3-4 টের সময় কিউমুলােনিম্বাস মেঘ থেকে ঘটেএকে 4'0 clock Rain বলে। (ix) শীতল রাত ⇨ অপরাহ্নে বৃষ্টি হয়ে যাওয়ার পরে রাতে আকাশ মেঘমুক্ত হয়ে পড়ে। ফলে, ভূপৃষ্ঠ দ্রুত তাপ বিকিরণ করে শীতল হয়ে যায়। এজন্য নিরক্ষীয় অঞ্চলের রাত কান্তীয় শীতকাল’ বা ‘Winter of Tropics' নামে পরিচিত। শীতল রাতের জন্য ভােরের দিকে শিশির ও কুয়াশা দেখা যায়। (x) ঋতু বৈচিত্র্যের অভাব ⇨ এখানে সারাবছর উষ্ণতার তেমন পার্থক্য লক্ষ করা যায় না বলে ঋতু পরিবর্তন বােঝা যায় না। সারাবছরই উষ্ণ-আর্দ্র গ্রীষ্ম ঋতু বিরাজ করে তাই এই জলবায়ু ঋতু বৈচিত্র্যহীন।
Q2. নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে আলােকপাত করাে।
অথবা, নিরক্ষীয় জলবায়ুতে কীভাবে এখানকার স্বাভাবিক উদ্ভিদ ও বণ্যপ্রাণী অভিযোজন ঘটিয়েছে ?
▢ নিরক্ষীয় জলবায়ুতে সারাবছর ধরে অত্যধিক উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাত বিরাজ করায় এখানে অত্যন্ত ঘন চিরসবুজ ও বিভিন্ন স্তরবিশিষ্ট উদ্ভিদের বিকাশ ঘটেছে।❍ শ্রেণিবিভাগ : নিরক্ষীয় জলবায়ুতে নিম্নোক্ত 3টি শ্রেণির উদ্ভিদ দেখা যায়-
🅐 সেলভা প্রকৃতির
🅑 বীরুৎ প্রকৃতির উদ্ভিদ
🅒 অন্যান্য বৃক্ষ উদ্ভিদ।
🅐 সেলভা প্রকৃতির উদ্ভিদ : ব্রাজিলের আমাজন অববাহিকা সংলগ্ন চওড়া পাতাবিশিষ্ট, দীর্ঘ, চিরসবুজ উদ্ভিদের অরণ্য সেলভা নামে পরিচিত। প্রতি বর্গকিমিতে প্রায় 100–200টি প্রজাতির এবং 40–45 মিটার উচ্চতাযুক্ত উদ্ভিদ দেখা যায়। অধিক উষ্ণতা ও আদ্রর্তায় উদ্ভিদগুলি একটি চাঁদোয়া সৃষ্টি করেছে। এই দুর্ভেদ্য অরণ্যের মধ্যে দিয়ে সূর্যের আলাে জঙ্গল ভেদ করে ভূপৃষ্ঠে এসে পৌছােতে পারে না বলে, একে চিরগােধূলি অঞ্চল বলে। উদাহরণ- আয়রন উড, ব্রাজিল নাট, রবার প্রভৃতি এই প্রকৃতির উদ্ভিদ।
🅑 বীরুৎ প্রকৃতির উদ্ভিদ : এই সমস্ত উদ্ভিদ নিরক্ষীয় অঞলের পাহাড়ের ঢালে, তলদেশে, ঝােপঝাড় কিংবা লতানে বা কোনাে গাছকে জড়িয়ে অবস্থান করে। উদাহরণ—, লাইকেন, সিঙ্কোনা, বিভিন্নপরগাছা এই প্রকৃতির।
🅒 অন্যান্য বৃক্ষ উদ্ভিদ : নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞলে উপকূলভাগে প্রচুর পরিমাণে নারকেল, তাল, পাম প্রভৃতি উদ্ভিদ জন্মায়।
🅒 অন্যান্য বৃক্ষ উদ্ভিদ : নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞলে উপকূলভাগে প্রচুর পরিমাণে নারকেল, তাল, পাম প্রভৃতি উদ্ভিদ জন্মায়।
❍ বন্যপ্রাণী সম্প্রদায় : ঘন দুর্ভেদ্য নিরক্ষীয় বৃষ্টিঅরণ্যের বিভিন্ন প্রাণী এখানকার বনভূমির সঙ্গে নিবিড় অভিযােজন ঘটিয়ে থাকায় এই প্রাণীদের বেশিরভাগ সরীসৃপ প্রকৃতির হয়ে থাকে। ভূগােলবিদ J. L Harrison এই অরণ্যের বন্যপ্রাণ সম্প্রদায়কে নিম্নোক্ত 3টি ভাগে ভাগ করেন— (1) উচ্চস্তরীয় প্রাণীগােষ্ঠী : ম্যাকাও, টুকান প্রভৃতি পাখি, বিভিন্ন প্রজাপতি, বাদুর, সােনালি বানর, উড়ন্ত কাঠবিড়ালী, ওরাংওটাং এই পর্যায়ভুক্ত প্রাণী। (2) মধ্যস্তরীয় প্রাণীগােষ্ঠী : গােরিলা, হনুমান, বিভিন্ন প্রকার কীটপতঙ্গ, পতঙ্গভুক বাদুড়, বিলবার্ড এই পর্যায়ভুক্ত। (3) ভূমিস্তরের প্রাণীগােষ্ঠী : এখানে বিভিন্ন প্রজাতির শূকর, শিম্পাঞ্জি, গােরিলা, বাইসন, চিতাবাঘ, হাতি, শিয়াল, জলহস্তী, গন্ডার, জেব্রা ও বিষাক্ত সাপ থাকে। এ ছাড়াও এই অঞলের জলাভূমিতে দীর্ঘকায় অ্যানাকোন্ডা সাপ, হাঙর ও নানা জাতের কুমির বাস করে।
Q3. তুন্দ্রা অঞ্চলের অধিবাসী এবং তাদের জীবনযাত্রা আলােচনা করাে।
অথবা, তুন্দ্রা জলবায়ু এখানকার জীবনযাত্রাকে কীভাবে প্রভাবিত করে?
▢ তুন্দ্রা অঞ্চলের অধিবাসী সম্প্রদায় : হিমশীতল, অত্যন্ত প্রতিকূল তুন্দ্রা জলবায়ু মানুষের বসবাসের পক্ষে সম্পূর্ণ অনুপযােগী। কিন্তু প্রকৃতির এই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়েও এখানে বেশ কয়েকটি অর্ধযাযাবর উপজাতি বসবাস করে। এরা হল— আলাস্কা, কানাডা ও গ্রিনল্যান্ডীয় তুন্দ্রা অঞ্চলের রেড ইন্ডিয়ান ও এসকিমাে, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও রাশিয়ান তুন্দ্রা অঞল সংলগ্ন ল্যাপ, ফিন, ইয়াকুত, তুঙ্গজ, চুকটি প্রভৃতি সম্প্রদায়।▢ অধিবাসীদের জীবনযাত্রা :
❍ খাদ্য : এখানকার অধিকাংশ উপজাতি শিকারিজীবী হওয়ায় এরা শ্বেত ভল্লুক, শ্বেত শৃগাল, বলগা হরিণ প্রভৃতি প্রাণীর মাংস এবং সমুদ্র থেকে প্রাপ্ত সিল, তিমি, সিন্ধুঘােটক প্রভৃতি মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে। অন্যান্য খাদ্যের মধ্যে দুধ ,বেরিফল বিশেষ উল্লেখযােগ্য।
❍ বস্ত্র : তীব্র শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এখানকার অধিবাসীরা সিল মাছের চামড়া নির্মিত জ্যাকেট পরিধান করে, একে পারকা বলে। এরা মাথায় লােমশ টুপি, হাতে দস্তানা, পায়ে স্কি’, মেরু খরগােশের চামড়ার মােজা ও হাঁটু পর্যন্ত চামড়ার পুরু জুতাে ব্যবহার করে।
❍ বাসস্থান : তুন্দ্রা অঞ্চলের এসকিমাে সম্প্রদায়ের মানুষ রুক্ষ এবং তীব্র হিমশীতল বাতাসের হাত থেকে বাঁচতে শীতকালে পাথর ও বরফ দিয়ে 'ইগলু’ নামক গম্বুজাকৃতি ঘরের সৃষ্টি করে এবং গ্রীষ্মকালে সমুদ্র উপকূলে উইলাে গাছের ডালের ফ্রেমে সিলমাছের চামড়া ঢেকে ‘টিউপিক’ নামক তাবু তৈরি করে।
❍ পশুপালন : তুন্দ্রা অঞ্চলের অধিবাসীরা দুধ ও মাংসের জন্য বলগা হরিণ এবং গৃহে লেমিং কুকুর প্রতিপালন করে।
❍ যাযাবর বৃত্তি : এই অঞলের অধিবাসীরা শিকারের মাধ্যমে খাদ্যসংগ্রহ এবং বলগা হরিণের প্রিয় খাদ্য মস ও লাইকেনের খোঁজে উত্তরের হিমমণ্ডল থেকে দক্ষিণের নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলের দিকে সরে আসে।
❍ শিকার পদ্ধতি : তুন্দ্রা অঞ্চলের অধিবাসীরা শিকার করতে ভূমিভাগে বলগা হরিণ ও হাস্কি কুকুরে টানা স্লেজগাড়ি ও জলভাগে সিল মাছের চামড়া নির্মিত নৌকা কায়াক ব্যবহার করে। বিভিন্ন পশুর হাড় দ্বারা হারপুন ও বর্শা তৈরি করে এবং সমুদ্রে কিংবা বরফের উপর শ্বাসছিদ্র (Breathing Hole) দেখে সিলমাছ শিকার করে বরফের নীচে ‘ক্যাচে’ নামক গলিতে ভবিষ্যতের জন্য মাছ, মাংস সঞ্চয় করে রাখে।
Q4. তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পকে আলােচনা করো।
▢ উত্তর গােলার্ধের এশিয়া, ইউরােপ ও উত্তর আমেরিকার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত এবং সাড়ে 66°—75° উত্তর অক্ষাংশে অবস্থানরত তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য নীচে আলোচনা হলো ---
▢ উত্তর গােলার্ধের এশিয়া, ইউরােপ ও উত্তর আমেরিকার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত এবং সাড়ে 66°—75° উত্তর অক্ষাংশে অবস্থানরত তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য নীচে আলোচনা হলো ---
❍ দীর্ঘস্থায়ী অতিশীতল শীতকাল : সূর্যের দক্ষিণায়নের ফলে বেশ কয়েক মাস একটানা দীর্ঘ রাত সৃষ্টি এবং তির্যক সূর্যরশ্মির প্রভাবে তুন্দ্রা অঞলে বছরে প্রায় 4 -7 মাস শীতকাল বিরাজ করে।
❍ স্বল্পস্থায়ী গ্রীষ্মকাল : সূর্যের উত্তরায়ণ ঘটলেও এই সূর্যালােক যেহেতু সাড়ে 23° উত্তর অক্ষাংশে লম্বভাবে কিরণ দেয়, ফলে মেরুসংলগ্ন এই অংশে মাত্র 2-3 মাসের জন্য গ্রীষ্ম ঋতু আসে। গ্রীষ্মকালে দিন 22-23 ঘণ্টা স্থায়ী হয়।
❍ স্বল্পস্থায়ী গ্রীষ্মকাল : সূর্যের উত্তরায়ণ ঘটলেও এই সূর্যালােক যেহেতু সাড়ে 23° উত্তর অক্ষাংশে লম্বভাবে কিরণ দেয়, ফলে মেরুসংলগ্ন এই অংশে মাত্র 2-3 মাসের জন্য গ্রীষ্ম ঋতু আসে। গ্রীষ্মকালে দিন 22-23 ঘণ্টা স্থায়ী হয়।
❍ তাপমাত্রা : (i) শীতকালে তির্যক সূর্যরশ্মি ও প্রচুর তুষারপাতের দরুন এখানে তাপমাত্রা –35°C থেকে –45°C থাকে। (ii) গ্রীষ্মকালে সূর্য তির্যকভাবে দিগন্ত রেখার নিকট থাকলেও এই সময় গড় তাপমাত্রা থাকে প্রায় 10°C।
❍ অধঃক্ষেপণ : তুন্দ্রা অঞলে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র 25-30 সেমির মধ্যে থাকে। এই বৃষ্টিপাতের অধিকাংশই গ্রীষ্মকালে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের ফলে ঘটে। অঞলটিতে দীর্ঘ শীতকালে প্রবল তুষারপাতের সৃষ্টি হয়।
❍ বায়ুচাপ : অক্ষাংশগত অবস্থান, অত্যন্ত তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মির কারণে এখানে সারাবছর উষ্ণতা কম থাকায় উচ্চচাপ বিরাজ করে।
❍ বায়ুপ্রবাহ : তুন্দ্রা অঞলে মেরু বায়ুর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। দীর্ঘ শীতকালে এখানে প্রবল তুষার ঝড়ের (Blizard) সৃষ্টি হয়, একে ‘পারগা’ বলে। এর গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় 175 কিমি।
❍ মেরুজ্যোতি : বায়ুমণ্ডলের আয়নােস্ফিয়ার থেকে তড়িদাহত অণুর চৌম্বক বিক্ষেপের ফলে এই অঞলে দীর্ঘ রাত্রিকালীন মায়াবী এক আলােকরশ্মির সৃষ্টি হয়, এই মেরুদ্যুতিকে সুমেরু প্রভা (Aurora Borealis) বলে।
❍ অধঃক্ষেপণ : তুন্দ্রা অঞলে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র 25-30 সেমির মধ্যে থাকে। এই বৃষ্টিপাতের অধিকাংশই গ্রীষ্মকালে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের ফলে ঘটে। অঞলটিতে দীর্ঘ শীতকালে প্রবল তুষারপাতের সৃষ্টি হয়।
❍ বায়ুচাপ : অক্ষাংশগত অবস্থান, অত্যন্ত তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মির কারণে এখানে সারাবছর উষ্ণতা কম থাকায় উচ্চচাপ বিরাজ করে।
❍ বায়ুপ্রবাহ : তুন্দ্রা অঞলে মেরু বায়ুর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। দীর্ঘ শীতকালে এখানে প্রবল তুষার ঝড়ের (Blizard) সৃষ্টি হয়, একে ‘পারগা’ বলে। এর গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় 175 কিমি।
❍ মেরুজ্যোতি : বায়ুমণ্ডলের আয়নােস্ফিয়ার থেকে তড়িদাহত অণুর চৌম্বক বিক্ষেপের ফলে এই অঞলে দীর্ঘ রাত্রিকালীন মায়াবী এক আলােকরশ্মির সৃষ্টি হয়, এই মেরুদ্যুতিকে সুমেরু প্রভা (Aurora Borealis) বলে।
Q5. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের জীববৈচিত্র্যের (Biodiversity) পরিচয় দাও।
অথবা, ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদের বিবরণ দাও।
▢ উষ্ণ নাতিশীতােষ্ণ অঞ্চলের 30°-40° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশে অবস্থানরত ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু বিভিন্ন জীববৈচিত্র্যে ভরপুর, যার পরিচয় নীচে আলোচনা হলো ---❍ স্বাভাবিক উদ্ভিদ : ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের অধিক উষ্ণতা, অত্যধিক বাষ্পীভবন, শুষ্ক প্রকৃতির বায়ু এবং দীর্ঘ শুষ্ক ঋতু প্রভৃতি প্রাকৃতিক প্রভাবগুলির সঙ্গে অভিযােজন ঘটিয়ে এখানে মূলত তিন প্রকার স্বাভাবিক উদ্ভিদের সমাবেশ ঘটেছে, যথা—
❍ সরলবর্গীয় উদ্ভিদ : ভূমধ্যসাগরীয় উচ্চ পাবর্ত্যভূমিতে শঙ্কু আকৃতির, সূচালাে পাতাবিশিষ্ট নরম প্রকৃতির সরলবর্গীয় উদ্ভিদ জন্মায়। যেমন— পাইন, ফার, সিডার, সাইপ্রাস, চ্যাপারেল প্রভৃতি।
❍ চিরসবুজ উদ্ভিদ : এই জলবায়ুর অন্তর্গত দুর্গম স্থলভাগগুলিতে দীর্ঘ শিকড় ও পুরুছালযুক্ত চিরসবুজ উদ্ভিদ দেখা যায়।
যেমন— ওক, কর্ক, জারা,কারি,ইউক্যালিপটাস, রােজ উড, উইলাে প্রভৃতি।
❍ ঝােপ ও গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ : দীর্ঘ শুষ্ক ঋতু, স্বল্প জলের প্রাপ্যতায় এখানকার বেশ কিছু উদ্ভিদ ঝােপ ও গুল্ম প্রকৃতির।
লরেল, ম্যাপল, রােজমেরি, যেমন- ল্যাভেন্ডার প্রভৃতি।
যেমন— ওক, কর্ক, জারা,কারি,ইউক্যালিপটাস, রােজ উড, উইলাে প্রভৃতি।
❍ ঝােপ ও গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ : দীর্ঘ শুষ্ক ঋতু, স্বল্প জলের প্রাপ্যতায় এখানকার বেশ কিছু উদ্ভিদ ঝােপ ও গুল্ম প্রকৃতির।
লরেল, ম্যাপল, রােজমেরি, যেমন- ল্যাভেন্ডার প্রভৃতি।
▢ ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য :
(i) ভূমধ্যসাগরীয় উদ্ভিদগুলি দীর্ঘ পত্রবিশিষ্ট সূচালাে বা ক্ষুদ্র গম্বুজাকার হয়। (ii) অতিরিক্ত বাষ্পীভবন এড়াতে গাছের ছাল পুরু হয় ও উদ্ভিদের পাতায় মােমের মতাে আস্তরণ থাকে। (iii) জলের সন্ধানে গাছগুলির শিকড় মাটির গভীরে প্রবেশ করে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। (iv) শুষ্ক গ্রীষ্মকালের জন্য গাছগুলির ফল অন্নরসে ভরা থাকে যেমন- আঙুর, জলপাই প্রভৃতি।
❍ প্রাণী সম্প্রদায় : ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৃষ্টিহীন শুষ্ক গ্রীষ্মকাল, আর্দ্র শীতকালের জন্য তৃণভূমি বিশেষ জন্মায় না। এখানকার পার্বত্যভূমিতে গাধা, ভেড়া, ছাগল, খচ্চর প্রভৃতি পালিত হয় এবং উষ্ণ মরুসংলগ্ন এলাকায় মুরগি, উট, ঘােড়া প্রতিপালিত হয়।
▢ উভয় গােলার্ধেক্রান্তীয় অঞলের 10°–30° অক্ষাংশের অন্তর্গত মৌসুমি জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :
❍ প্রকৃতি : মৌসুমি জলবায়ুর প্রধান নিয়ন্ত্রক হল ঋতুভিত্তিক বায়ুপ্রবাহ। যেহেতু গ্রীষ্মকালে সমুদ্রের ওপর দিয়ে আর্দ্র মৌসুমি বায়ু বয়ে আসে, তাই গ্রীষ্মকাল এখানে আর্দ্রউষ্ণ প্রকৃতির হয়। শীতকালে স্থলভাগের ওপর দিয়ে বয়ে আসা মৌসুমি বায়ুর জন্য এখানে শীতকাল শুষ্ক প্রকৃতির হয়।
❍ উষ্ণতা : মৌসুমি জলবায়ুর গ্রীষ্মকাল মার্চ-মে সবচেয়ে উষ্ণ হওয়ায়, এই সময় তাপমাত্রা গড়ে 30°C-32°C বিরাজ করে। শীতকালীন নভেম্বর-জানুয়ারি গড় উষ্ণতা এখানে থাকে প্রায় 18°C-22°C।
❍ বায়ুর চাপ : সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেএই জলবায়ুতে, শীত ও গ্রীষ্ম তে যথাক্রমে উচ্চচাপ ও
নিম্নচাপ বিরাজ করে।
❍ বিপরীতমুখী বায়ুপ্রবাহ : মৌসুমি জলবায়ু অঞলে ঋতু ভেদে দুই বিপরীতধর্মী বায়ু প্রবাহিত হয়। যেমন— ভারতীয়
উপমহাদেশে গ্রীষ্মকালে আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মেীসুমি বায়ু এবং শীতকালে শুষ্ক উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়।
❍ বৃষ্টিপাত : মৌসুমি জলবায়ুতে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় 100-150 সেনি। এর মধ্যে 70% বৃষ্টিপাত জুন
থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঘটে থাকে। এইখানে শীতকাল প্রায় বৃষ্টিহীন থাকে। মৌসুমি বায়ুর আগমন ও প্রত্যাগমন খামখেয়ালি প্রকৃতির। এই বায়ু কখনো আগে বা পরে আসে, আবার কখনো আগে বা পরে ফিরে যায়। মৌসুমি বায়ুর এই খামখেয়ালিপনার কারণে এই জলবায়ু অঞ্চলে বৃষ্টিপাত তানিয়মিত ও অনিশ্চিত। ফলে, বন্যা বা খরার প্রবণতা
বেশি দেখা যায়।
❍ ঋতু পর্যায় : মৌসুমি জলবায়ুতে পর্যায়ক্রমে চারটি প্রধান ঋতু দেখা যায় (i) গ্রীষ্ম (মার্চ-মে), (ii) বর্ষা (জুন-সেপ্টেম্বর),
(iii) শরৎ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর), (iv) শীত (ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি)।
❍ অন্যান্য : এই জলবায়ুতে প্রায়ই ঘূর্ণবাত বা সাইক্লোন এবং পশ্চিমি ঝঞ্জা ভয়াবহ প্রতিকূল আবহাওয়ার সৃষ্টি করে।
Q7. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে।
▢ অক্ষাংশগত অবস্থান : পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ গােলার্ধের 30°-40° অক্ষাংশীয় মহাদেশগুলির পশ্চিমাংশ ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর অন্তর্গত।
❍ অবস্থান : (i) ইউরােপের ফ্রান্স, স্পেন, পাের্তুগাল, গ্রিস, আলবেনিয়া, যুগােস্লাভিয়া, ইটালি, ক্রোয়েশিয়া। (ii) আফ্রিকার মিশর, মরক্কো, লিবিয়া, আলজিরিয়া, টিউনিশিয়া। (iii) এশিয়ার তুরস্ক, ইস্রায়েল, সিরিয়া, লেবানন এবং উত্তর
আমেরিকার পশ্চিম উপকূলের ক্যালিফোর্নিয়ায় ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর প্রভাব লক্ষ করা যায়।
❍ প্রকৃতি : প্রকৃতিগতভাবে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুতে সারা বছর মেঘমুক্ত ও রৌদ্রকরােজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করে।
❍ আর্দ্র শীতকাল ও শুষ্ক গ্রীষ্মকাল : শীতকালে সমুদ্রের উপর দিয়ে প্রবাহিত পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে এখানে আর্দ্র আবহাওয়া তৈরি হয়। অন্যদিকে, গ্রীষ্মকালে শুষ্ক উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ু এই অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায় বলে এখানে শুষ্ক আবহাওয়া তৈরি হয়।
❍ উষ্ণতা : ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে সারাবছর সমভাবাপন্ন জলবায়ু বিরাজ করলেও (i) গ্রীষ্মকালে— এই অঞ্চলের গড়
আমেরিকার পশ্চিম উপকূলের ক্যালিফোর্নিয়ায় ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর প্রভাব লক্ষ করা যায়।
❍ প্রকৃতি : প্রকৃতিগতভাবে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুতে সারা বছর মেঘমুক্ত ও রৌদ্রকরােজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করে।
❍ আর্দ্র শীতকাল ও শুষ্ক গ্রীষ্মকাল : শীতকালে সমুদ্রের উপর দিয়ে প্রবাহিত পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে এখানে আর্দ্র আবহাওয়া তৈরি হয়। অন্যদিকে, গ্রীষ্মকালে শুষ্ক উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ু এই অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায় বলে এখানে শুষ্ক আবহাওয়া তৈরি হয়।
❍ উষ্ণতা : ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে সারাবছর সমভাবাপন্ন জলবায়ু বিরাজ করলেও (i) গ্রীষ্মকালে— এই অঞ্চলের গড়
উষ্ণতা থাকে 21°C-27°C। (ii) শীতকালে—এই অঞ্চলের তাপমাত্রা কমে গিয়ে 5°C-10°C হয়ে যায়।
❍ বায়ুর চাপ : ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলের অন্তর্গত হলেও সূর্যের উত্তরায়ণে এখানে গ্রীষ্মকালে উচ্চচাপ এবং সূর্যের দক্ষিণায়নে শীতকালে নিম্নচাপ বিরাজ করে।
❍ স্থানীয় বায়ুর প্রভাব : এ ছাড়াও এই অঞ্চলে কয়েকটি স্থানীয় বায়ুর প্রভাব দেখা যায়। সেগুলি হল— (i) ইটালিতে সিরক্কো, (ii) ফ্রান্সের রােণ নদী উপত্যকায় মিস্ট্রাল, (iii) স্পেনে লেভেস, (iv) মিশরে খামসিন প্রভৃতি।
❍ স্থানীয় বায়ুর প্রভাব : এ ছাড়াও এই অঞ্চলে কয়েকটি স্থানীয় বায়ুর প্রভাব দেখা যায়। সেগুলি হল— (i) ইটালিতে সিরক্কো, (ii) ফ্রান্সের রােণ নদী উপত্যকায় মিস্ট্রাল, (iii) স্পেনে লেভেস, (iv) মিশরে খামসিন প্রভৃতি।
❍ বায়ুপ্রবাহ : সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়নের দ্বারা ভূমধ্যসাগরীয় বায়ুচাপ বলয়গুলি পরিবর্তিত হয় বলে গ্রীষ্মকালে
এখানে শুষ্ক আয়ন বায়ু এবং শীতকালে আর্দ্র পশ্চিমা বায়ু প্রবাহিত হয়।
❍ ঘূর্ণিঝড়ের আগমন : এই অঞলে মাঝে মাঝেই আগত ঘূর্ণিঝড় বৃষ্টিপাতের বণ্টন ও প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই
অঞলের জলবায়ুর ওপর পশ্চিমা বায়ুর প্রভাব খুব বেশি। উপকূলীয় শীতল সমুদ্রস্রোত উষ্ণতাকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করে।
❍ বৃষ্টিপাত : ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র 25-100 সেমি। এই বৃষ্টিপাতের সবটাই প্রায়
শীতকালে ঘটে থাকে। উপকূল থেকে ভিতরে বৃষ্টির পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পায়। এই অঞ্চলে শীতকালে বেশিরভাগ বৃষ্টি হয় বলে একে শীতকালীন বৃষ্টিপাতের দেশ’ বলে।
❍ তুষারপাত : সার্বিকভাবে এই জলবায়ুতে তুষারপাত না ঘটলেও মাঝে মাঝে ক্যালিফোর্নিয়ার মধ্যভাগে হালকা তুষারপাত
ঘটে। প্রসঙ্গত বলা যায়, এই অঞ্চলের অধঃক্ষেপণ নির্ভর করে মূলত এখানে সৃষ্ট নিয়মিত ঘূর্ণবাতের ওপর।
❍ অধ্যায় 6. জলবায়ু অঞ্চল
❍ সংক্ষিপ্ত ও টীকা প্রশ্নোত্তর
☞ প্রশ্নের মান - ২ এবং ৩
এখানে শুষ্ক আয়ন বায়ু এবং শীতকালে আর্দ্র পশ্চিমা বায়ু প্রবাহিত হয়।
❍ ঘূর্ণিঝড়ের আগমন : এই অঞলে মাঝে মাঝেই আগত ঘূর্ণিঝড় বৃষ্টিপাতের বণ্টন ও প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই
অঞলের জলবায়ুর ওপর পশ্চিমা বায়ুর প্রভাব খুব বেশি। উপকূলীয় শীতল সমুদ্রস্রোত উষ্ণতাকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করে।
❍ বৃষ্টিপাত : ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র 25-100 সেমি। এই বৃষ্টিপাতের সবটাই প্রায়
শীতকালে ঘটে থাকে। উপকূল থেকে ভিতরে বৃষ্টির পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পায়। এই অঞ্চলে শীতকালে বেশিরভাগ বৃষ্টি হয় বলে একে শীতকালীন বৃষ্টিপাতের দেশ’ বলে।
❍ তুষারপাত : সার্বিকভাবে এই জলবায়ুতে তুষারপাত না ঘটলেও মাঝে মাঝে ক্যালিফোর্নিয়ার মধ্যভাগে হালকা তুষারপাত
ঘটে। প্রসঙ্গত বলা যায়, এই অঞ্চলের অধঃক্ষেপণ নির্ভর করে মূলত এখানে সৃষ্ট নিয়মিত ঘূর্ণবাতের ওপর।
❍ অধ্যায় 6. জলবায়ু অঞ্চল
❍ সংক্ষিপ্ত ও টীকা প্রশ্নোত্তর
☞ প্রশ্নের মান - ২ এবং ৩
Q1. জলাবায়ু অঞ্চল কাকে বলে?
Q2. জলবায়ুর পরিবর্তনশীল অঞ্চল বলতে কী বােঝাে?
Q3. সেলভা (Selva) কাকে বলে?Q4. বাগিচা কৃষি কাকে বলে?
Q5. মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের নামকরণের তাৎপর্য লেখাে।
Q6. তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চলের নামকরণের কারণ কী?
Q7. 'ব্লিজার্ড’ ও ‘পারগা’ কী?
Q4. বাগিচা কৃষি কাকে বলে?
☞ ক্রান্তীয় ও উপক্ৰান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলে গড়ে ওঠা মূলধন ও শ্রমিক নির্ভর যে কৃষি ব্যবস্থায় বাগান তৈরি করে একবার গাছ রােপণ করা হয় এবং বেশ কয়েক বছর ফসল পাওয়া যায়, তাকে বাগিচা কৃষি বলে (Plantation Farming)। যেমন— দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রবার চাষ।
Q5. মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের নামকরণের তাৎপর্য লেখাে।
☞ ‘মৌসুমি’ শব্দটির উদ্ভব হয়েছে আরবি শব্দ ‘মৌসিম' (Mausim) কিংবা মালয় শব্দ 'মনসিন’ (Monsin) থেকে। এই দুটি শব্দের অর্থই ঋতু (Season)-কে বােঝানাে হয়। সুতরাং, ঋতুভেদে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, তাকে মৌসুমি বায়ু বলে। 10°- 30° উত্তর অক্ষাংশে শীতকালে উত্তর-পূর্ব এবং গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাব থাকায় একে মৌসুমি জলবায়ু অঞল বলে।
Q6. তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চলের নামকরণের কারণ কী?
☞ পৃথিবীর সুমেরু ও কুমেরু বৃত্ত অঞ্চলে যে বিশেষ ধরনের শীতল জলবায়ু দেখা যায় তাকে তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চল নাম দেওয়া হয়েছে। গ্রীষ্মকালে বরফ গলে এই জলবায়ু অঞ্চলে কিছু শৈবাল জন্মায়। স্থানীয় ভাষায় শৈবালকে তুন্দ্রা বলা হয়। তাই শৈবালের নাম থেকেই তুন্দ্রা জলবায়ুর নামকরণ। আবার, ফিনিশ ভাষায় 'তুন্দ্রা’ শব্দের অর্থ বন্ধা বা রুক্ষভূমি। তুন্দ্রা জলবায়ু অঞলে চিরতুষার আবৃত ভূমিতে গ্রীষ্মকালে মস, লাইকেন, শৈবাল ছাড়া কিছুই জন্মাতে পারে না।
তাই এরূপ নামকরণ করা হয়েছে বলে মনে করা হয়।
Q7. 'ব্লিজার্ড’ ও ‘পারগা’ কী?
☞ তুন্দ্রা জলবায়ু চরমভাবাপন্ন। শীতকালে আট থেকে নয় মাস উষ্ণতা 20°C থেকে 40°C থাকে। তখন অত্যধিক শীতলতায় প্রবলবেগে প্রবাহিত ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে তুষারকণা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হয়। এই ঝড়কে তুষারঝড় বা ব্লিজার্ড বলা হয়। এশিয়ার সাইবেরিয়াতে দীর্ঘস্থায়ী শীতকালে ঘণ্টায় গড়ে প্রায় 175 কিমি বেগে প্রবাহিত তীব্র গতিসম্পন্ন তুষারঝড়কে 'পারগা’ নামে অভিহিত করা হয়।
Q8. টীকা লেখো নিশীথ সূর্যের দেশ’?
অথবা, নিশীথ সূর্য যখন দেখা যায় তখন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আবহাওয়া কেমন থাকে?
☞ 21 মার্চ থেকে 23 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত 186 দিন সময়কালে সুমেরুবৃত্ত 661/2° উত্তর থেকে সুমেরু বিন্দুর 90° উত্তর মধ্যবর্তী অঞ্চলে অর্থাৎ, উত্তর মেরু সংলগ্ন অঞলে যখন একটানা 6 মাস দিন হয়, তখন দক্ষিণ মেরুতে একটানা 6 মাস রাত্রি চলতে থাকে। এই সময়ে নরওয়ের উত্তর সীমায় অবস্থিত হ্যামারফেস্ট বন্দরে 701/2° উত্তর স্থানীয় ঘড়ির সময়ানুসারে গভীর রাত্রিতেও আকাশে সূর্যের আলাে দেখা যায়। সেজন্য এই আলােকে নিশীথ সূর্য (Midnight Sun) এবং এই অঞ্চলকে 'নিশীথ সূর্যের দেশ’ বলা হয় (Land of Midnight Sun) ।
Q8. টীকা লেখো নিশীথ সূর্যের দেশ’?
অথবা, নিশীথ সূর্য যখন দেখা যায় তখন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আবহাওয়া কেমন থাকে?
Q9. টীকা লেখো টিউপিক?
Q10. টীকা লেখো 'কায়াক'?
Q11. টীকা লেখো ইগলু ?
Q12. পশ্চিমি ঝঞা কাকে বলে?
অথবা, নিশীথ সূর্য যখন দেখা যায় তখন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আবহাওয়া কেমন থাকে?
Q9. টীকা লেখো টিউপিক?
Q10. টীকা লেখো 'কায়াক'?
Q11. টীকা লেখো ইগলু ?
Q12. পশ্চিমি ঝঞা কাকে বলে?
Q13. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলকে 'পৃথিবীর ফলের ঝুড়ি’বলা হয় কেন?
Q14. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুকে ‘পৃথিবীর বিনােদন জলবায়ু' (Resort Climate) বলে কেন?
Q14. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুকে ‘পৃথিবীর বিনােদন জলবায়ু' (Resort Climate) বলে কেন?
Q15. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞলকে 'শীতকালীন বৃষ্টিপাতের দেশ’ বলে কেন ?
অথবা, ভূমধ্যসাগরীয় অঞলে শীতকাল আর্দ্র ও গ্রীষ্মকাল শুষ্ক কেন?
Q16. মৌসুমি বিস্ফোরণ বলতে কী বােঝাে?
-------------------------------------------------------------
Q1. জলাবায়ু অঞ্চল কাকে বলে?
☞ পৃথিবীর কোনাে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে যখন আবহাওয়া ও জলবায়ুর মূল উপাদানগুলি, যেমন— উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, বায়ুর চাপ, বায়ুর আদ্রর্তা, বাষ্পীভবন, বায়ুর গতিবেগ, মেঘাচ্ছন্নতা প্রভৃতির বৈশিষ্ট্য বা প্রকৃতি সুদীর্ঘকাল ধরে প্রায় সমধর্মী হয়, তাকে জলবায়ু অঞ্চল বলে। যেমন— মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চল, ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল প্রভৃতি।
Q2. জলবায়ুর পরিবর্তনশীল অঞ্চল বলতে কী বােঝাে?
☞ পাশাপাশি অবস্থিত দুটি জলবায়ু অঞ্চলের মধ্যেকার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একটি জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য ধীরে ধীরে অপর জলবায়ুর সঙ্গে মিশে যায়। উভয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এই অঞ্চলকে পরিবর্তনশীল অঞ্চল বলে। উদাহরণ-নিরক্ষীয় জলবায়ু ও ক্রান্তীয় সাভানা জলবায়ু অঞ্চলের মধ্যবর্তী অঞ্চল।Q3. সেলভা (Selva) কাকে বলে?
☞ Selva (সেলভা) শব্দটি ল্যাটিন শব্দ ‘Silva' থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘অরণ্য'। দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলের আমাজন নদী অববাহিকার ঘন চিরসবুজ বৃষ্টিঅরণ্যকে সেলভা বলে।
☞ Selva (সেলভা) শব্দটি ল্যাটিন শব্দ ‘Silva' থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘অরণ্য'। দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলের আমাজন নদী অববাহিকার ঘন চিরসবুজ বৃষ্টিঅরণ্যকে সেলভা বলে।
Q4. বাগিচা কৃষি কাকে বলে?
☞ ক্রান্তীয় ও উপক্ৰান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলে গড়ে ওঠা মূলধন ও শ্রমিক নির্ভর যে কৃষি ব্যবস্থায় বাগান তৈরি করে একবার গাছ রােপণ করা হয় এবং বেশ কয়েক বছর ফসল পাওয়া যায়, তাকে বাগিচা কৃষি বলে (Plantation Farming)। যেমন— দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রবার চাষ।
Q5. মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের নামকরণের তাৎপর্য লেখাে।
☞ ‘মৌসুমি’ শব্দটির উদ্ভব হয়েছে আরবি শব্দ ‘মৌসিম' (Mausim) কিংবা মালয় শব্দ 'মনসিন’ (Monsin) থেকে। এই দুটি শব্দের অর্থই ঋতু (Season)-কে বােঝানাে হয়। সুতরাং, ঋতুভেদে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, তাকে মৌসুমি বায়ু বলে। 10°- 30° উত্তর অক্ষাংশে শীতকালে উত্তর-পূর্ব এবং গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাব থাকায় একে মৌসুমি জলবায়ু অঞল বলে।
Q6. তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চলের নামকরণের কারণ কী?
☞ পৃথিবীর সুমেরু ও কুমেরু বৃত্ত অঞ্চলে যে বিশেষ ধরনের শীতল জলবায়ু দেখা যায় তাকে তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চল নাম দেওয়া হয়েছে। গ্রীষ্মকালে বরফ গলে এই জলবায়ু অঞ্চলে কিছু শৈবাল জন্মায়। স্থানীয় ভাষায় শৈবালকে তুন্দ্রা বলা হয়। তাই শৈবালের নাম থেকেই তুন্দ্রা জলবায়ুর নামকরণ। আবার, ফিনিশ ভাষায় 'তুন্দ্রা’ শব্দের অর্থ বন্ধা বা রুক্ষভূমি। তুন্দ্রা জলবায়ু অঞলে চিরতুষার আবৃত ভূমিতে গ্রীষ্মকালে মস, লাইকেন, শৈবাল ছাড়া কিছুই জন্মাতে পারে না।
তাই এরূপ নামকরণ করা হয়েছে বলে মনে করা হয়।
Q7. 'ব্লিজার্ড’ ও ‘পারগা’ কী?
☞ তুন্দ্রা জলবায়ু চরমভাবাপন্ন। শীতকালে আট থেকে নয় মাস উষ্ণতা 20°C থেকে 40°C থাকে। তখন অত্যধিক শীতলতায় প্রবলবেগে প্রবাহিত ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে তুষারকণা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হয়। এই ঝড়কে তুষারঝড় বা ব্লিজার্ড বলা হয়। এশিয়ার সাইবেরিয়াতে দীর্ঘস্থায়ী শীতকালে ঘণ্টায় গড়ে প্রায় 175 কিমি বেগে প্রবাহিত তীব্র গতিসম্পন্ন তুষারঝড়কে 'পারগা’ নামে অভিহিত করা হয়।
অথবা, নিশীথ সূর্য যখন দেখা যায় তখন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আবহাওয়া কেমন থাকে?
☞ 21 মার্চ থেকে 23 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত 186 দিন সময়কালে সুমেরুবৃত্ত 661/2° উত্তর থেকে সুমেরু বিন্দুর 90° উত্তর মধ্যবর্তী অঞ্চলে অর্থাৎ, উত্তর মেরু সংলগ্ন অঞলে যখন একটানা 6 মাস দিন হয়, তখন দক্ষিণ মেরুতে একটানা 6 মাস রাত্রি চলতে থাকে। এই সময়ে নরওয়ের উত্তর সীমায় অবস্থিত হ্যামারফেস্ট বন্দরে 701/2° উত্তর স্থানীয় ঘড়ির সময়ানুসারে গভীর রাত্রিতেও আকাশে সূর্যের আলাে দেখা যায়। সেজন্য এই আলােকে নিশীথ সূর্য (Midnight Sun) এবং এই অঞ্চলকে 'নিশীথ সূর্যের দেশ’ বলা হয় (Land of Midnight Sun) ।
Q9. টীকা লেখো টিউপিক?
☞ তুন্দ্রা অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে বরফ গলতে শুরু করে। তাই বরফের তৈরি ইগলুতে বাস করা যায় না। সেজন্য এখানকার অধিবাসীরা সিলমাছ ও জীবজন্তুর চামড়া দিয়ে একপ্রকার তাবু তৈরি করে বাস করে। এই তাবুগুলি টিউপিক নামে পরিচিত। গ্রীষ্মকালে বরফগলা জলে ভেসে আসা কাঠ ও তিমি মাছের পাঁজরের বড়াে হাড় দিয়ে এই তাঁবুর কাঠামাে তৈরি করে। এই তাঁবুর আচ্ছাদন তৈরি করতে প্রায় পঞ্চাশ-ষাটটি সিলমাছের চামড়া সেলাই করতে হয়।
Q10. টীকা লেখো 'কায়াক'?
☞ 'কায়াক' শব্দের অর্থে 'মনুষ্য নির্মিত নৌকা বা শিকারি নৌকা’-কে বােঝায়। তুন্দ্রা অঞ্চলের অধিবাসীরা সিলমাছের চামড়ার তৈরি যে বিশেষ ধরনের নৌকা ব্যবহার করে, তাকে কায়াক বলে। এই কায়াক সাধারণত লম্বায় 5.2মিটার, চওড়ায় 50–55 সেমি এবং গভীরতায় প্রায় 18-20 সেমি হয়ে থাকে। তুন্দ্রা অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে যখন সিল, সিন্ধুঘােটক, সার্ক, তিমি কিংবা অন্যান্য মাছের সমাগম ঘটে তখন এখানকার অধিবাসীরা কায়াকে করে সমুদ্রে শিকারে নেমে পড়ে।
Q11. টীকা লেখো ইগলু ?
☞ তুন্দ্রা অঞলের অধিবাসী বিশেষত এসকিমােরা শীতকালে তুষারপাত ও তুষারঝড়ের প্রকোপ থেকে বাচতে কঠিন বরফের চাঁইকে ইটের মতাে চৌকো-চৌকো করে ভেঙে তা দিয়ে গম্বুজের মতাে বা উলটানাে বাটির মতাে এক ধরনের ঘর
☞ তুন্দ্রা অঞলের অধিবাসী বিশেষত এসকিমােরা শীতকালে তুষারপাত ও তুষারঝড়ের প্রকোপ থেকে বাচতে কঠিন বরফের চাঁইকে ইটের মতাে চৌকো-চৌকো করে ভেঙে তা দিয়ে গম্বুজের মতাে বা উলটানাে বাটির মতাে এক ধরনের ঘর
তৈরি করে। এই ঘরকে ইগলু (Igloo) বলে। এসকিমাে ভাষায় 'ইগলু’ শব্দের অর্থ ‘গৃহ। এই ঘরে প্রবেশ করার জন্য ছােটো সুড়ঙ্গের মতাে দরজা থাকে, যেখান দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। ঘরের মেঝেতে সিলমাছের চামড়া পেতে তার উপর শুকনাে ঘাস বা মস বিছিয়ে দেয়। ইগলুর ভিতরটা গরম রাখার জন্য সিলমাছের চর্বির তেল ও শুকনাে মসের পলতে দিয়ে পাথরের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখে।
Q12. পশ্চিমি ঝঞা কাকে বলে?(Western Disturbance)
☞ শীতকালে মাঝে মাঝে দু-চারদিন একটানা আকাশ মেঘলা থাকে ও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয় একে পশ্চিমি ঝঞ্জা বলে।শীত কালের শান্ত আবহাওয়ার মধ্যে পশ্চিমা বায়ু এসে ঝঞা সৃষ্টি করে বলে এর নাম পশ্চিমি ঝঞা বা পশ্চিমি ঝামেলা হয়েছে। ভূমধ্যসাগর থেকে পশ্চিমা বায়ু এসে বৃষ্টিপাত ও পার্বত্য অঞ্চলে তুষারপাত ঘটায়। এর প্রভাবে শীতের প্রকোপ আরাে বেড়ে যায় ও শীতকালে ফসল চাষে এই বৃষ্টি সাহায্য করে।
Q13. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলকে 'পৃথিবীর ফলের ঝুড়ি’বলা হয় কেন?☞ ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ফল চাষের অনুকূল জলবায়ু থাকায় আঙুর, জলপাই, কমলালেবু, আপেল, ডুমুর, আখরােট, পিচ, খােবানি, নাসপাতি, চেরি, বাতাবি লেবু, কুল প্রভৃতি ফল প্রচুর উৎপন্ন হয়। এইসব টক-মিষ্টি জাতীয় প্রচুর রসালাে ফল উৎপাদনের জন্য অঞ্চলটি বিশ্ববিখ্যাত। সে কারণে ভূমধ্যসাগরীয় অঞলকে ‘প্রাকৃতিক ফল ভাণ্ডার’ বা ‘পৃথিবীর ফলের বাগান’ বা ‘পৃথিবীর ফলের ঝুড়ি’ (Fruit Basket of the World) বলা হয়।
Q14. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুকে ‘পৃথিবীর বিনােদন জলবায়ু' (Resort Climate) বলে কেন?
☞ ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুতে সারাবছর মৃদুভাবাপন্ন নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু বিরাজ করে। এ ছাড়াও শুষ্ক গ্রীষ্মকাল এবং সামান্য আর্দ্র শীতকাল সম্পন্ন এই জলবায়ুতে সারাবছর আকাশ প্রায় মেঘমুক্ত থাকায় রােদ ঝলমলে আবহাওয়াই এখানকার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাই ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুকে ‘পৃথিবীর বিনােদন জলবায়ু' বলে।
Q15. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞলকে 'শীতকালীন বৃষ্টিপাতের দেশ’ বলে কেন ?
অথবা, ভূমধ্যসাগরীয় অঞলে শীতকাল আর্দ্র ও গ্রীষ্মকাল শুষ্ক কেন?
❍ উষ্ণও শুষ্ক গ্রীষ্মকাল : গ্রীষ্মকালে সূর্যের উত্তরায়ণের ফলে বায়ুচাপ বলয়গুলি 5° উত্তরে সরে আসার ফলে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞলের 30°–40° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ ওপর উপক্ৰান্তীয় উচ্চচাপ বলয় অবস্থান করে। ফলে,মেরুপ্রদেশ ও নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে আগত বাতাস এই অঞ্চলে এসে নিম্নগামী হওয়ায় বায়ুর উষ্ণতা তথা জলীয় বাষ্প ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ ছাড়া আয়ন বায়ু মহাদেশের পূর্বপ্রান্তে বৃষ্টিপাত ঘটালেও দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে পশ্চিম প্রান্তে এলে প্রায় জলীয় বাষ্প শূন্য হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টিপাত হয় না। তাই ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞলের গ্রীষ্মকাল উষ্ণ ও শুষ্ক হয়।
❍ আর্দ্র শীতকাল : অপরদিকে শীতকালে সূর্যের দক্ষিণায়নের সঙ্গে সঙ্গে বায়ুচাপ বলয়গুলি প্রায় 5° দক্ষিণে সরে যাওয়ায় এই অঞলের ওপর থেকে উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় সরে যায় এবং 25° অক্ষাংশ পর্যন্ত অঞ্চল পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে আসে। সমুদ্রের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসা পশ্চিমা বায়ুতে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকায় মহাদেশের পশ্চিমভাগে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহে বৃষ্টিপাত হয়। এ ছাড়াও মেরু অঞ্চল থেকে আগত শীতল মেরু বায়ুপুঞ্জের প্রভাবে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি হয় এবং শীতকালে বৃষ্টিপাত হয়। তাই এই জলবায়ু অঞলকে 'শীতকালীন বৃষ্টিপাতের দেশ’ বলে।
❍ উষ্ণও শুষ্ক গ্রীষ্মকাল : গ্রীষ্মকালে সূর্যের উত্তরায়ণের ফলে বায়ুচাপ বলয়গুলি 5° উত্তরে সরে আসার ফলে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞলের 30°–40° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ ওপর উপক্ৰান্তীয় উচ্চচাপ বলয় অবস্থান করে। ফলে,মেরুপ্রদেশ ও নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে আগত বাতাস এই অঞ্চলে এসে নিম্নগামী হওয়ায় বায়ুর উষ্ণতা তথা জলীয় বাষ্প ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ ছাড়া আয়ন বায়ু মহাদেশের পূর্বপ্রান্তে বৃষ্টিপাত ঘটালেও দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে পশ্চিম প্রান্তে এলে প্রায় জলীয় বাষ্প শূন্য হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টিপাত হয় না। তাই ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞলের গ্রীষ্মকাল উষ্ণ ও শুষ্ক হয়।
❍ আর্দ্র শীতকাল : অপরদিকে শীতকালে সূর্যের দক্ষিণায়নের সঙ্গে সঙ্গে বায়ুচাপ বলয়গুলি প্রায় 5° দক্ষিণে সরে যাওয়ায় এই অঞলের ওপর থেকে উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় সরে যায় এবং 25° অক্ষাংশ পর্যন্ত অঞ্চল পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে আসে। সমুদ্রের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসা পশ্চিমা বায়ুতে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকায় মহাদেশের পশ্চিমভাগে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহে বৃষ্টিপাত হয়। এ ছাড়াও মেরু অঞ্চল থেকে আগত শীতল মেরু বায়ুপুঞ্জের প্রভাবে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি হয় এবং শীতকালে বৃষ্টিপাত হয়। তাই এই জলবায়ু অঞলকে 'শীতকালীন বৃষ্টিপাতের দেশ’ বলে।
Q16. মৌসুমি বিস্ফোরণ বলতে কী বােঝাে?
☞ ভারত মহাসাগর, আরবসাগর ও বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচুর জলীয় বাষ্পসহ প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি শুরু হয় একে মৌসুমি বায়ুর বিস্ফোরণ বলে। এই বায়ু জলভাগের ওপর দিয়ে আসায় এতে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকে। 21 জুন তারিখে সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখার ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। এই সময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নিম্নচাপ সক্রিয় হলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন ঘটে ও তার আরবসাগরীয় শাখা পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে এবং বঙ্গোপসাগরীয় শাখা পূর্ব হিমালয়ে প্রায় 100-150 সেমি বৃষ্টিপাত ঘটায় যা মৌসুমি বিস্ফোরণ’ নামে পরিচিত।
❍ অধ্যায় 6. জলবায়ু অঞ্চল
❍ শর্ট কোশ্চেন সেট প্রশ্নোত্তর
☞ প্রশ্নের মান - ১
➠ 27°C
Q2. আমাজন নদী অববাহিকার ঘন বৃষ্টি অরণ্যের নাম কী?
➠ সেলভা।
Q3. চাঁদোয়া দেখা যায় কোন অরণ্যে?
➠ নিরক্ষীয় বৃষ্টি অরণ্যে।
➠ সেলভা।
Q3. চাঁদোয়া দেখা যায় কোন অরণ্যে?
➠ নিরক্ষীয় বৃষ্টি অরণ্যে।
Q4. নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের অধিবাসীরা কোন ধরনের কৃষিকাজ বেশি করে থাকে?
➠ স্থানান্তর কৃষি।
Q5. ট্রান্স আমাজন হাইওয়ে গড়ে ওঠে কত সালে?
➠ 1970 সালে।
Q6. কুমেরু অঞ্চলে মেরুপ্রভাকে কী বলে?
Q6. কুমেরু অঞ্চলে মেরুপ্রভাকে কী বলে?
➠ কুমেরুপ্রভা/অরােরা অস্ট্রালিস।
Q7. শীতকালে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারতের কোথায় বৃষ্টি হয়?
➠ করমণ্ডল উপকূলে।
Q8. উত্তর গােলার্ধের শীতলতম স্থান কোন্টি?
➠ ভারখয়ানস্ক।
Q8. উত্তর গােলার্ধের শীতলতম স্থান কোন্টি?
➠ ভারখয়ানস্ক।
Q9. 'ফলের ঝুড়ি’ বলা হয় কোন জলবায়ু অঞ্চলকে?
➠ ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলকে।
Q10. ‘পৃথিবীর ফুসফুস' কাকে বলে?
Q10. ‘পৃথিবীর ফুসফুস' কাকে বলে?
➠ নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলকে।
Q11. পিগমিরা কোন জলবায়ু অঞ্চলের অধিবাসী?
➠ নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের।
Q12. নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞলের দুটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের নাম লেখাে?
Q12. নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞলের দুটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের নাম লেখাে?
➠ সেমাঙ ও রেড ইন্ডিয়ান।
Q13. গ্রিসে প্রধানত কোন জলবায়ু দেখা যায়?
Q13. গ্রিসে প্রধানত কোন জলবায়ু দেখা যায়?
➠ ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু।
Q14. কোন জলবায়ু অঞ্চলকে ‘শীতকালীন বৃষ্টিপাতের দেশ' বলা হয়?
Q14. কোন জলবায়ু অঞ্চলকে ‘শীতকালীন বৃষ্টিপাতের দেশ' বলা হয়?
➠ ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু।
Q15. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞলের প্রতিফলক বৃক্ষ কোনটি?
Q15. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞলের প্রতিফলক বৃক্ষ কোনটি?
➠ জলপাই।
Q16. দক্ষিণ ভারত কী চাষের জন্য বিখ্যাত?
➠ কফি/মশলা।
Q17. হলিউড কোন জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত?Q16. দক্ষিণ ভারত কী চাষের জন্য বিখ্যাত?
➠ কফি/মশলা।
➠ ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু।
Q18. ইউরেশিয়ার সাইবেরিয়ায় কোন উপজাতির মানুষ বেশি বাস করে?
➠ স্যামোয়েদ /ইয়াকুত।
Q19. নিশীথ সূর্যের দেশ হ্যামারফেস্ট বন্দর এর অক্ষাংশ ____?
➠ 70 ডিগ্রি থেকে 30 ডিগ্রী উত্তর।
Q20. কোন জলবায়ু অঞ্চল খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ?
➠ মৌসুমী জলবায়ু।
Q21. পাইন গাছ কোন জাতীয় বৃক্ষ?
➠ সরলবর্গীয়।
Q22. শৈবাল এর আরেকটি নাম কি?
➠ তুন্দ্রা।
Q23. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে প্রধান অর্থকরী ফসলের নাম কি?
➠ আঙ্গুর।
Q24. ল্যাভেন্ডার একটি কোন জাতীয় উদ্ভিদ?
➠ গুল্ম জাতীয়।
Q25. আমাজন ও কঙ্গো নদী অববাহিকায় কোন জলবায়ু দেখা যায়?
➠ নিরক্ষীয় জলবায়ু।