পাতাবাহার বাংলা চতুর্থ শ্রেণি প্রশ্ন উত্তর তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার

class 4 bengali text book question answer

class 4 bengali book patabahar question answer 2022

বাংলা পাতাবাহার চতুর্থ শ্রেণি উত্তর সমাধান


               ❍ আরো পড়ুনঃ
  animated-new-image-0047 চতুর্থ শ্রেণি পাতাবাহার সূচিপত্র

এখানে ৩ টি অধ্যায়ের সমাধান করে দেওয়া আছে।
▻ তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার
▻ বনভোজন
▻ ছেলেবেলার দিনগুলি


❍ তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার গল্পের লেখক পরিচিতি :
জাপানের সুপ্রসিদ্ধ লেখিকা তেৎসুকো কুরোয়ানাগি। তিনি ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর লেখায় অসাধারণ বর্ণনাশৈলী পাওয়া যায়। তাঁর লিখিত ‘তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার’ গল্পটি তাঁর ছেলেবেলার স্কুল জীবনের ফসল। গল্পটি শুধুমাত্র তাঁর স্মৃতির পাতা থেকে নিয়ে আসা ঘটনা নয়। এই গল্পকে ঘিরে এক সর্বকালের আদর্শ শিক্ষকের সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন দিক প্রকাশ পেয়েছে। অসাধারণ বর্ণনার গুনে লেখাটি সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনূদিত হয়েছে। এই লেখিকা ছিলেন জাপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। তাঁর লেখা ‘তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞার’ গল্পটিতে
তোত্তো-চান বলতে কিছুটা ছোট্ট খুকুকে বোঝায়। মূল জাপানি ভাষা থেকে এই গল্পটি ডরোথি ব্রিটন অনুবাদ করেন ইংরেজিতে। ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন আধুনিক বাংলা গানের উল্লেখযোগ্য স্রষ্টা ও শিল্পী মৌসুমি ভৌমিক।

❍ তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার গল্পটির বিষয়বস্তু আলোচনা :
একদিন সে স্কুলের দারোয়ানের ঘর থেকে ভরদুপুরে একটা মই নিয়ে এলো। তার নিজস্ব যে গাছটা ছিল তার ছ-ফুট উঁচুতে দু-ভাগ হয়ে যাওয়া একটা ডাল ছিল। মইটা সেই দুই ভাগ হয়ে যাওয়া গাছের ডালে ঠিক করে রাখল। তারপর নীচ থেকে ইয়াসুয়াকি-চানকে ঠেলে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠিয়ে দিতে চেষ্টা করল। কিন্তু ইয়াসুয়াকি-চানের হাতে একটুও জোর ছিল না। তাই সে সিঁড়ির একটা ধাপও উঠতে পারল না। অসম্ভব জেদি মেয়ে তোত্তো-চান। সে এবার নিজে গাছের ছ-ফুট মাথায় দু-দিকে ভাগ হয়ে যাওয়া ডালের মাঝখানে উঠে পড়ল। তারপর দু-হাত বাড়িয়ে অসম্ভব চেষ্টায় ইয়াসুয়াকি-চানকে গাছের ডালে তুলে নিল। এই প্রথম প্রাণভরে যেন নীচের পৃথিবীটাকে দেখল ইয়াসুয়াকি-চান। ভীষণ খুশি হয়ে সে তোত্তো-চানকে বলল, তার দিদি আমেরিকায় থাকে। সে বলেছে আমেরিকায় টেলিভিশন নামে বাক্সের মতো একটা জিনিস আছে। সেই বাক্সের মতো জিনিসটা যেদিন জাপানে চালু হবে তখন তারা বাড়িতে বসে সুমো পালোয়ানদের দেখতে পাবে। তখনকার দিনে জাপানে তখনও কেউ টেলিভিশন বলে কিছু জানত না। তোত্তো-চান সেই প্রথম ইয়াসুয়াকি-চানের মুখ থেকে যন্ত্রটার পরিচয় জানতে পারল।

চতুর্থ শ্রেণির তোত্তো চানের অ্যাডভেঞ্চার প্রশ্ন উত্তর

   ✐ হাতে কলমে :
১. 'তোত্তো-চান' শব্দটির অর্থ কী?
উত্তরঃ ‘তোত্তো-চান' শব্দের অর্থ খুব ছোটো খুকু বলতে যা বোঝায়।
২. 'তোত্তো-চান' বইটির লেখিকার নাম কী?
উত্তরঃ ‘তোত্তো-চান' বইটির লেখিকার নাম তেৎসুকো কুরোয়ানাগি।

৩. নীচের এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি করোঃ
লো য়া পা ন / ঘ ল র হ /  তি রী থা য / 
ভি টে শ লি ন /  সা ৎ উ হ / ক্ষ অ ক নে ণ
উত্তরঃ পালোয়ান, হলঘর, যথারীতি, টেলিভিশন, উৎসাহ, অনেকক্ষণ।

৪. বন্ধনীর থেকে ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে আবার লেখো :
৪.১. তোত্তো-চান তার বন্ধুকে (খাবার খাওয়া/বাড়িতে যাওয়া/গাছে চড়া/দোলনায় ওঠা)-র নিমন্ত্রণ করেছিল।
৪.২. তোত্তো-চানের গাছটা ছিল (রাস্তার মাঝখানে/বাড়ির উঠোনে/বেড়ার ধারে/বাগানের মধ্যে)।
৪.৩. তোত্তো-চান গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল (রকি/বাবা/দারোয়ান/ ইয়াসুয়াকি-চান)-কে।
৪.৪. তোত্তো-চান মই নিয়ে এসেছিল (বাড়ি/দারোয়ানের ঘর/দোকান/শ্রেণিকক্ষ) থেকে।
৪.৫. ইয়াসুয়াকি-চানের (পোলিয়োর/টাইফয়েডের/নিউমোনিয়া/জন্ডিসের) জন্য গাছে চড়ার অসুবিধা ছিল।

৫. কোনটি বেমানান চিহ্নিত করোঃ
৫.১. গাছ / ডাল / পাতা / রাস্তা ✔
৫.২. হলঘর / কলঘর / উঠোন  / চিলেকোঠা
৫.৩. সিঁড়ি / মই / তাঁবু ✔ / ধাপ
৫.৪. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র / জাপান / বাংলাদেশ / পশ্চিমবঙ্গ ✔
৫.৫. সুমো / বক্সিং / ব্যাডমিন্টন ✔ / ক্যারাটে

৬. ঘটনাক্রম অনুযায়ী সাজাও :
৬.১. গলাট টিকিটটা ঝুলিয়ে তোত্তো-চান স্কুলে গিয়ে দেখল ইয়াসুয়াকি-চান ফুল গাছগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
উত্তরঃ ২
৬.২. সেদিন তোত্তো-চান ইয়াসুয়াকি-চানকে ওর গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
উত্তরঃ ১
৬.৩. সিঁড়ি-মইটা ও টেনে নিয়ে এল গাছের গোড়ায়।
উত্তরঃ ৩
৬.৪. অবশেষে ইয়াসুয়াকি-চান মইয়ের মাথায় পৌঁছোল।
উত্তরঃ ৫
৬.৫. ইয়াসুয়াকি-চানকে বলে উঠল, 'এবার চলে এসো তুমি।'
উত্তরঃ ৪

৭. শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দটি বেছে শূন্যস্থান পূরণ করো :
৭.১.  তোমোই তে সবার একটা করে গাছ ছিল।
৭.২. তোত্তো-চানের গাছটা ছিল বেড়ার ধারে।
৭.৩. ইয়াসুয়াকি-চানের পোলিয়োর জন্য পায়ে অসুবিধা ছিল।
৭.৪. টেলিভিশন নাকি একটা বাক্সের মতন।
৭.৫. তার মধ্যে ইয়া বড়ো বড়ো সুমো পালোয়ান।

৮. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৮.১. তোত্তো-চান কাকে গাছে চড়ার নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল?
উত্তরঃ তার স্কুলের বন্ধু ইয়াসুয়াকি-চানকে।
৮.২. গাছে চড়ার নিমন্ত্রণের কথা কারা জানতেন না?
উত্তরঃ তোত্তো-চানের মা-বাবা জানতেন না।
৮.৩. কোথায় সবার একটা করে গাছ ছিল?
উত্তরঃ তোমোই-তে অর্থাৎ স্কুল চত্বরে।
৮.৪. স্কুল চত্বরে কারা গাছগুলোর দখল নিয়েছিল?
উত্তরঃ স্কুলেরই ছেলেমেয়েরা গাছগুলোর দখল নিয়েছিল।
৮.৫. টিফিনের সময় বা ছুটির পরে তোত্তো-চান কী করত?
উত্তরঃ তার নিজস্ব গাছে চড়ে নীচের মানুষজন আর ওপরের আকাশ দেখত।
৮.৬. ইয়াসুয়াকি-চানের পায়ে কী অসুবিধে ছিল?
উত্তরঃ পোলিয়োর জন্য তার পায়ে জোর ছিল না।
৮.৭. তোত্তো-চান মাকে কী বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল?
উত্তরঃ ডেনেনচফুতে ইয়াসুয়াকি-চানের বাড়িতে যাচ্ছে বলে বেরিয়েছিল।
৮.৮. স্কুলে গিয়ে তোত্তো-চান কী দেখেছিল?
উত্তরঃ  স্কুলে গিয়ে সে দেখল ইয়াসুয়াকি-চান ফুল গাছগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
৮.৯. তোত্তো-চান কোথা থেকে মই সংগ্রহ করেছিল?
উত্তরঃ স্কুলের দারোয়ানের ঘর থেকে।
৮.১০. মইয়ের মাথায় পৌঁছেও ইয়াসুয়াকি-চান গাছের ওপর উঠতে পারছিল না কেন?
উত্তরঃ কারণ পোলিয়োর জন্য তার পায়ের কোনো জোর ছিল না।
৮.১১. ইয়াসুয়াকি-চানের হাতটা কেমন ছিল?
উত্তরঃ তোত্তো-চানের চেয়ে তার হাতটা বড়ো ছিল, আঙুলগুলোও ছিল লম্বা অনেকটা।

৯. নীচের বাক্যগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৯.১. তোত্তো-চান গাছের ওপর উঠে কীভাবে সময় কাটাত?
উত্তরঃ তোত্তো-চান প্রায়ই টিফিনের সময় বা ছুটির পরে তার প্রিয় গাছে চড়ে নীচের লোকজন আর ওপরে আকাশটাকে দেখত।
৯.২. ছেলেমেয়েরা গাছগুলোকে কীভাবে আপন করে নিয়েছিল ?
উত্তরঃ ছেলেমেয়েরা মনে করত গাছগুলো তাদের নিজস্ব সম্পত্তি। ফলে কেউ যদি কারও গাছে চড়তে চাইত তাহলে তাকে গিয়ে বিনীতভাবে বলতে হত, ‘আমি কি একটু ভিতরে আসতে পারি?’
৯.৩. বন্ধুকে কীভাবে গাছে ওঠাবে বলে তোত্তো-চান পরিকল্পনা করেছিল?
উত্তরঃ তোত্তো-চান তার বন্ধু ইয়াসুয়াকি-চানকে তার গাছে ওঠাবে বলে নেমন্তন্ন করেছিল। অবশ্য এ কথাটা ওরা আগে থেকে কাউকে বলেনি, কারণ শুনলেই সবাই খুব ঝামেলা করবে।
৯.৪. টেলিভিশনের গল্প শুনে তোত্তো-চান কী ভেবেছিল?
উত্তরঃ তোত্তো-চান ভাবছিল, একটা ঘরের ভিতরে একটা বাক্স, তার মধ্যে ইয়া বড়ো বড়ো সুমো পালোয়ান এটা কেমন করে হতে পারে? ব্যাপারটা হলে কিন্তু দারুণ হবে।
৯.৫. ‘এই প্রথম তোত্তো-চান বুঝতে পারল.....'—তোত্তো-চান কী বুঝতে পারল? কাজটা কেন সহজ ছিল না, লেখো।
উত্তরঃ তেত্তো-চান বুঝতে পারল খুব সহজেই ইয়াসুয়াকি-চানকে গাছে ওঠানো যাবে না। ইয়াসুয়াকি-চান পোলিয়োর জন্য এমনই পঙ্গু ছিল যে তার হাতে-পায়ে জোের পেত না।
৯.৬. তোত্তো-চান তার বন্ধু ইয়াসুয়াকি-চানকে গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ করেছিল কেন?
উত্তরঃ পোলিয়োর জন্য ইয়াসুয়াকি-চানের নিজস্ব কোনো গাছ ছিল না। ইয়াসুয়াকি-চানকে সেজন্যই তোত্তো-চান ওর গাছে চড়ার নেমন্তন্ন করেছিল।
৯.৭. দুই বন্ধু গাছের ওপর বসে টেলিভিশন নিয়ে কী গল্প করেছিল?
উত্তরঃ  ইয়াসুয়াকি-চান বলেছিল তার দিদি আমেরিকায় থাকে। সে জানিয়েছে যে, আমেরিকায় টেলিভিশন নামে একটা জিনিস আছে। সেই জিনিস যখন জাপানে আসবে তখন তারা ঘরে বসে সুমো পালোয়ানদের দেখতে পাবে। টেলিভিশন নাকি একটা বাক্সের মতো। তোত্তো-চান একথা শুনে ভেবেছিল এটা কেমন করে হতে পারে। ব্যাপারটা হলে দারুণ হবে।
৯.৮. তুমি তোমার প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে যে ধরনের গল্প করো তা নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
উত্তরঃ আমি এবং আমার বন্ধু রেডিয়ো, টেলিভিশন নিয়ে মাঝে মাঝে গল্প করি। আমার বন্ধু নির্মল টিভি দেখতে খুব ভালোবাসে। এই প্রসঙ্গে রেডিয়োর কথাও এসে যায়। আমাদের জন্ম হওয়ার অনেক আগে থেকেই আমাদের দেশে রেডিয়োর প্রচলন হয়েছে। রেডিয়ো থেকে কথা শোনা যায়, মানুষ দেখা যায় না। কিন্তু টেলিভিশনে কথাও শোনা যায় এবং মানুষও দেখা যায়। আমরা দুজনে আলোচনা করে খুব অবাক হয়ে যাই যে, যিনি রেডিয়ো আবিষ্কার করেছেন তিনি কত বিশাল মাপের বিজ্ঞানী ছিলেন। আবার, যিনি টেলিভিশন আবিষ্কার করেছেন তিনিও যা আবিষ্কার করেছেন তা অভাবনীয় এবং অকল্পনীয়। কারণ টেলিভিশনের পর্দায় আমরা ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট খেলা বা ফুটবল খেলা তখনই বসে দেখতে পাই। মাঠে বসে দেখা আর ঘরে বসে দেখা আজ একই হয়ে গেছে।
৯.৯. বাড়ি বা স্কুলের কোন গাছটা তোমার একেবারে নিজের বলে মনে হয়? সেই বন্ধুর যত্ন তুমি কীভাবে করো?
উত্তরঃ আমার ঠাকুরদা আম খেতে খুব ভালোবাসতেন। তাই তিনি নিজের হাতে তিনটি আমগাছ লাগিয়েছিলেন। সেই তিনটি গাছ আমি জন্ম থেকে অনেক বড়ো দেখছি। আমরা যে বাড়িতে থাকি তার পাশাপাশি আর কোনো গাছ লাগানোর জায়গা নেই। ফলে আর গাছ লাগাতে পারেননি দাদু। গাছগুলিতে আম খুব ভালো ফলে। আমার দাদু গত বছর মারা গেছেন। তার আগের বছর প্রতিবারেই আম পাকলে দাদু আমার হাতে আগে একটা তুলে দিতেন। তারপর গাছের তলায় দাঁড়িয়ে তিনিও একটা আম খেতেন। আমরা কোনো ছুরি বা বঁটি হাতে নিতাম না। আমগাছটি আমার ভীষণ প্রিয়। দাদু মারা যাওয়ার পরে প্রতিদিনই আমি সেই আমগাছের নীচে গিয়ে দাঁড়াই। দাঁড়িয়ে দেখি, গাছটার কেউ কোনো ক্ষতি করেছে কিনা। গাছের কাণ্ডে বা শাখায় কোনো পোকা লেগেছে কিনা। তাহলে বাবাকে বলে গাছটিকে কীভাবে পোকা থেকে রক্ষা পাবে তার ব্যবস্থা করব।
৯.১০. গাছে যদি তোমার একটি বাড়ি থাকত, তুমি কীভাবে সেখানে সময় কাটাতে কয়েকটি বাক্যে লেখো।
উত্তরঃ গাছে ঘর বানায় একমাত্র পাখি। পাখি কেমন ছোট্ট বাসা বানিয়ে তার ছানাপোনাদের নিয়ে বাস করে দেখে খুব মজা লাগে। আমি মনে করি, যদি কোনোদিন আমার ক্ষমতা হয় বা সুযোগ পাই তাহলে আমাদের বাড়ির সামান্য দূরে যে বটগাছটা রয়েছে তার দুটি ডালে আমি বাঁশ আর খড়ের ছাউনি দিয়ে ছোট্ট একটি বাসা বানাব। সেখানে বসে রান্নাবান্না করা যাবে না, শৌচকর্ম করা যাবে না। কিন্তু খুব নিরাপদে বসে বই পড়া যাবে এবং পাখিদের সঙ্গে গল্প করা যাবে। আর আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে রাতের চাঁদ ধরার অকল্পনীয় ভাবনা ভেবে আনন্দ পাওয়া যাবে। তাছাড়া ওই গাছের ওপরের ঘর থেকে নীচের অসংখ্য মানুষের কিংবা জনপ্রাণীর গতিবিধি লক্ষ করে আনন্দ পাওয়া যাবে।

১০. প্রতিশব্দ লেখো : গাছ, মাটি, সূর্য, রাস্তা, আকাশ।
  1. গাছ ➙ বৃক্ষ, পাদপ, তরু, বীটপ। 
  2. মাটি ➙ মৃত্তিকা, ভূমি, ক্ষেত্র, জমি, ভূ, ভূমাতা। 
  3. সূর্য ➙ অর্ক, অগ্নি, দীনবন্ধু, দিবাকর, দিনমণি। 
  4. রাস্তা ➙ মার্গ, সরণি, পথ। 
  5. আকাশ ➙ গগন, অম্বর, অন্তরীক্ষ, মহাশূন্য।
১১. বর্ণবিশ্লেষণ করো : তরতর, ছোটোখাটো, ভয়ানক, লাজুক, অ্যাডভেঞ্চার।
  1. তরতর➙ ত্ + অ + র্ + অ + ত্ + অ + র।
  2. ছোটোখাটো➙ ছ্ + ও + ট্‌ + ও + খ্ + আ + ট্ + ও।
  3. ভয়ানক ➙ ভ্ + অ + য়্ + আ + ন্ + অ + ক।
  4. লাজুক➙ ল্ + আ + জ্ + উ + ক।
  5. অ্যাডভেঞ্জার➙ আ + য্ + ড্ + অ + ভ্ + এ + ঞ্ + চ্ + আ + র।
১২. নীচের গদ্যটিতে যতিচিহ্ন ব্যবহার করো। 
📢 তোমার পাঠ্যপুস্তক প্রশ্নটি পড়ে নাও।)
উত্তরঃ তোত্তো-চান ঘামেভেজা চুল মুখের ওপর থেকে সরিয়ে মাথা নীচু করে ইয়াসুয়াকি-চানকে আমন্ত্রণ জানালঃ ‘স্বাগতম!’ ইয়াসুয়াকি-চান গাছের গায়ে পিঠ ঠেকিয়ে, লাজুকভাবে হেসে বলল, ‘আসতে পারি ভিতরে?’ ও তো কখনও এমন দৃশ্য দেখেনি এর আগে। ‘গাছে ওঠা ব্যাপারটা তাহলে এইরকম!’ বলে ও হাসল।
১৩. নীচের এক-একটি বিষয় নিয়ে কমপক্ষে পাঁচটি করে বাক্য লেখো।
  1. খেলা ➙ আমাদের স্কুলের মাঠে রোজ ফুটবল খেলা হয়। ফুটবল খেলা আমার খুব প্রিয়। আমার দাদা ক্রিকেট খেলা ভালোবাসে। আমার দিদি ভালোবাসে লুডো খেলতে। তাস খেলা আমার ভালো লাগে না।
  2. গাছ ➙ গাছ আমাদের বন্ধু। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। আমাদের ঘরের সামনে অনেক ছোটো-বড়ো গাছ আছে। আমার বাবা ফুল গাছ খুব ভালোবাসে। আমি একটি গোলাপের চারাগাছ লাগিয়েছি।
  3. নেমন্তন্ন➙ আমার বন্ধু ডলি আমাকে তার জন্মদিনে নেমন্তন্ন করেছিল। কিন্তু আমি তার নেমন্তন্ন রাখতে পারিনি। ভাবছি সামনের বছর আমার জন্মদিনে তাকে নেমন্তন্ন করলে সে এখানে আসবে তো? নেমন্তন্ন বাড়ি গেলে খুব আনন্দ তো হয়। নেমন্তন্ন মানেই খুব খাওয়াদাওয়া।
১৪. একটি গাছবাড়ির ছবি আঁকো। 
 .... নিজে করো।






বনভোজন চতুর্থ শ্রেণি পাতাবাহার

❍ বনভোজন কবিতার লেখক পরিচিতি :
১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে কবি গোলাম মোস্তাফা বর্তমান বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায় মনোহরপুকুর গ্রামে এক উচ্চশিক্ষিত পরিবারে তাঁর জন্ম। বাংলা ও আরবি ভাষায় তিনি সুদক্ষ ছিলেন। তিনি তাঁর ছাত্রজীবন থেকেই কবিতা লিখতে শুরু করেন। তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসের নাম ‘রূপের নেশা’। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতা গ্রন্থ ‘রক্তরাগ’ প্রকাশিত হয়। কবি গোলাম মোস্তাফা অনেকগুলি ইংরেজি ও আরবি গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ করেন। এ ছাড়া তিনি অনেকগুলি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন। হাস্নাহেনা, ভাঙা বুক, সাহারা, গুলিস্তান, বুলবুলিস্তান ইত্যাদি তাঁর লিখিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। বাংলার সুবিখ্যাত এই কবি ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে পরলোক গমন করেন।

❍ বনভোজন কবিতাটির বিষয়বস্তু আলোচনা :
নূরু, পুষি, আয়ষা, শফি নামে ছোট্ট মেয়েরা বোশেখমাসের দুপুরে আমবাগিচার তলায় বনভোজনের আয়োজন করেছে। তখন মা-বাবা ঘুমোচ্ছে। তাদের আয়োজনের কম কিছু নেই। আমের গুটি, নারকেল মালার হাঁড়ি, রঙিন খুরি, ছুরি, বঁটি ইত্যাদি এনেছে তারা। ভাত রাঁধা, হলদি বাটা সবই হল। বিনা আগুনে হাত পুড়ল, আবার মিছিমিছি ধোঁয়াতে সকলের চোখ দিয়ে জল এলো। নূরু গিন্নি সৈজে ধুলোবালির কোর্মা পোলাও আর কাদার পিঠে পরিবেশন করল। তাই খেয়ে সকলে ‘বেজায় মিঠে’ বলে উঠল। আর সেইসময় কবিতায় কথক তথা কবি এসে পড়লে মিষ্টি মেয়েগুলো খিলখিলিয়ে হেসে পালিয়ে গেল।

   ✐ হাতে কলমে :
১. গোলাম মোস্তাফা কোথায় জন্মগ্রহণ করে ছিলেন?
উত্তরঃ বর্তমান বাংলাদেশের অন্তর্গত ঝিনাইদহ জেলার মনোহরপুর গ্রামে।
২. তাঁর দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
উত্তরঃ ভাঙাবুক, বুলবুলিস্তান হল গোলাম মোস্তাফার লেখা দুটি কবিতার বই।

৩. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১. কবিতাটিতে কারা খেলতে এসেছিল?
উত্তরঃ নূরু, পুষি, আয়ষা, সফি এই চারজন মেয়ে খেলতে এসেছিল।
৩.২. ‘বাগিচা’ শব্দের অর্থ কী? 
উত্তরঃ বাগান।
৩.৩. রান্নার জন্য তারা কী কী সঙ্গে এনেছিল?
উত্তরঃ আমের গুটি, নারকেল মালার হাঁড়ি, রঙিন খুরি, বঁটি আর ছুরি।
৩.৪. কবিতায় কে মিছিমিছি গিন্নি সেজেছিল?
উত্তরঃ নূরু গিন্নি সেজেছিল।
৩.৫. মিছিমিছি কী কী খাবার রাঁধা হয়েছিল?
উত্তরঃ ধুলোবালির কোর্মা পোলাও, কাদার পিঠে রাঁধা হয়েছিল।
৩.৬. কবিতায় ওদের খেলার মাঝে কে এসে পড়েছিল?
উত্তরঃ কবি এসে পড়েছিলেন।

৪. যেটি ঠিক সেটি বেছে নিয়ে লেখো :
৪.১ কবিতাটিতে (/৩/৫)টি মেয়ের কথা বলা হয়েছে।
৪.২ বিনা (আগুন/জল/কাদা) দিয়েই তাদের হচ্ছে সবার রাঁধা।
৪.৩ (আম/জাম/চা) বাগিচার তলায় যেন তারা হেসেছে।

৫. শব্দঝুড়ি থেকে উপযুক্ত শব্দ নিয়ে শূন্যস্থানে বসাও :
শব্দঝুড়ি : হাঁড়ি, বোশেখ, ছুরি, আমি, বিপুল
৫.১ বোশেখ মাসের এই দুপুরে নাইকো কারো ঘুম।
৫.২ নারিকেলের মালার হাঁড়ি কেউ এনেছে দুটি।
৫.৩ কেউ এনেছে ছোট্ট বঁটি,কেউ এনেছে ছুরি 
৫.৪ বসে গেছে সবাই আজি বিপুল আয়োজনে।
৫.৫ এমন সময় হঠাৎ আমি পড়েছি যেই এসে।


৭.  নীচের বর্ণগুলি যোগ করে শব্দ তৈরি করো :
স্ + অ + ব্ + আ + ই ➙ সবাই 
র্ + আ + ধ + উ + ন্ + ই ➙ রাধুনি
ব্ + আ + গ্ + ই + চ্ + আ ➙ বাগিচা
ব্ + য্ + অ + স্ + ত্ + অ ➙ ব্যস্ত
দ্ + উ + ষ্ + ট্ + উ ➙ দুষ্টু

৮. এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
লে রি না কে /  ন ভো ন ব জ / র কা অ ণে / ন য়ো জ আ / ণ ম নি ন্ত্র
উত্তরঃ নারিকেল, বনভোজন, অকারণে, আয়োজন, নিমন্ত্রণ।
৯. বর্ণবিশ্লেষণ করো : গিন্নি, আঁচল, নিমন্ত্রণ, কোর্মা, রঙিন।
  1. গিন্নি➙ গ্ + ই + ন্ + ন্ + ই। 
  2. আঁচল➙ আঁ + চ্ + অ + ল। 
  3. নিমন্ত্রণ➙ ন্ + ই + ম্ + অ + ন্ + ত্ + র্ + অ + ন। 
  4. কোর্মা➙ ক্ + ও + র্ + ম্ + আ। 
  5. রঙিন➙ র্ + অ + ন্ + ই + ন ।
১০. কবিতাটিতে অন্তমিল আছে, এমন পাঁচজোড়া শব্দ লেখো : যেমন—ধুম/ঘুম।
উত্তরঃ গুটি➙ সুটি। খুরি➙ ছুরি। ভাত➙ হাত। রাঁধা➙ কাঁদা। নুন➙খুন।
১১. কবিতায় ধুলোবালি দিয়ে কোর্মা-পোলাও ও কাদা দিয়ে পিঠে তৈরির কথা বলা হয়েছে। মিছিমিছি রান্নাবাটি খেলায় আর কী কী রান্না ধুলো-বালি, কাদা দিয়ে তৈরি করতে পারো লিখে জানাও।
উত্তরঃ ধুলোবালি দিয়ে ভাত রাঁধা যায়, পায়স রাঁধা যায়, খিঁচুড়ি রাঁধা যায়। কাদা দিয়ে রুটি, লুচি, পরোটা ইত্যাদি বানানো যায়।
১২. বাক্যরচনা করো : 
বনভোজন, মিছিমিছি, বাগিচা, আঁচল, ছুরি, নিমন্ত্রণ।
  1. বনভোজন➙ কাঁসাই নদীর তীরে আমরা বনভোজন করতে গিয়েছিলাম। 
  2. মিছিমিছি➙ তোমার পাল্লায় পড়ে আমাকে মিছিমিছি এত হাঁটতে হল। 
  3. বাগিচা➙ দার্জিলিং জেলায় প্রচুর চা বাগিচা আছে। 
  4. আঁচল➙ মায়ের আঁচল ধরে ছেলেটি মেলা দেখতে গিয়েছিল। 
  5. ছুরি➙ পাকা পেপে ভোঁতা ছুরি দিয়েও কাটা যায়। 
  6. নিমন্ত্রণ➙ এবার প্রায় পাঁচশো নিমন্ত্রণ পত্র ছাপা হয়েছে।
১৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৩.১ নূরু, শফিরা দুপুরবেলা ঘুমোয়নি কেন?
উত্তরঃ দুপুরবেলা মা-বাবা ঘুমিয়ে পড়েছে দেখে নুরু, শফিরা আম-বাগিচার তলায় আয়ষা ও সফির সঙ্গে বনভোজন করছিল।
১৩.২ কবি এসে পড়ায় সবাই পালিয়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তরঃ এখানে ‘সবাই’ বলতে খুদে চারটি মেয়ের কথা বোঝানো হয়েছে। স্বাভাবিক নিয়মে মেয়েরা একটু লাজুক প্রকৃতির হয়। তারা চার বন্ধু মিলে যা রান্না করছিল তা যে হাস্যকর এটা সেই মেয়েগুলি নিজেরাও জানে। তাই কবি এসে পড়ায় তারা লজ্জায় খিলখিলিয়ে হেসে পালিয়েছিল।
১৩.৩ বন্ধুদের সঙ্গে কখনও বনভোজনে গিয়ে থাকলে সেই অভিজ্ঞতার কথা কয়েকটি বাক্যে লেখো।
উত্তরঃ গত বছর ২৫ ডিসেম্বর আমাদের স্কুল থেকে একটি ছাত্রছাত্রীর দল ইছামতী নদীর তীরে বনভোজনে গিয়েছিলাম। আমরা ছিলাম ১৮ জন। আমাদের সঙ্গে ছিলেন একজন শিক্ষক মহাশয় এবং একজন শিক্ষিকা। কনকনে ঠান্ডার দিনে সকাল ৬টায় একটা মিনিবাস ভাড়া করে আমরা সবাই খুব হইচই করে প্রায় বেলা ১টার মধ্যে ইছামতী নদীর তীরে পৌঁছোলাম। ওই নদীতে চর ছিল অনেকখানি। সেখানে আমাদের সঙ্গে দুজন রাঁধুনি ছিল। তারা বেলা একটার মধ্যে রান্নাবান্না করে ফেলল। আমরা এর মধ্যে নদীর বিশাল চরে মনের আনন্দে ছুটোছুটি করে কাটালাম। আকাশের রোদ্দুর তখন আমাদের ভীষণ আরামদায়ক মনে হচ্ছে। বেলা ১টা থেকে ২টোর মধ্যে সকলের খাওয়া-দাওয়া শেষ হয়ে গেল। নানপুরি, চিকেনকষা, ফিসফ্রাই, পনির পোস্ত, চাটনি, পাঁপড় আর সন্দেশ ছিল আমাদের খাদ্যতালিকায়। বড়োদিনের ছুটি আমাদের বনভোজনের আনন্দ সারাজীবন মনে থাকবে। সন্ধে সাড়ে ৬টার মধ্যে আমরা বাড়ি ফিরে এলাম।
১৩.৪ বৈশাখ মাসের দুপুরে নূরু, পুষি, আয়যা, শফিরা মিছিমিছি রান্নাবাটি খেলা খেলছিল। তুমি গরমের ছুটিতে দুপুরবেলাগুলো কেমন করে কাটাও সে বিষয়ে লেখো।
উত্তরঃ বৈশাখ মাসের দুপুর মানে আমাদের কাছে খুব আনন্দের। কারণ সেইসময় মা-বাবা, দাদা-দিদি, কাকা প্রায় সকলেই গরমে ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম করে। আমাদের বকাঝকা করার কেউ থাকে না। আমরা সুযোগ পেলে আমবাগানে চলে যাই। আমি আমার ছোড়দি খানিকটা বিটনুন সঙ্গে নিয়ে যাই।আম বাগানে আমাদের আর তিনচারজন ছেলেমেয়ে সঙ্গী থাকে। আমরা কেউ গাছে উঠে অথবা গাছে ঢিল মেরে কাঁচামিঠে আম পেড়ে দিয়ে কাটি আর চাকুম-চুকুম শব্দ করে খাই। গালগপ্‌পো করে সময় আমাদের কেটে যায়।

১৪. গদ্যরূপ লেখো : বোশেখ, চৈত, হলদি, মিঠে।
উত্তরঃ বোশেখ➙ বৈশাখ। চৈত ➙ চৈত্র। হলদি➙ হলুদ। মিঠে➙ মিষ্টি।
১৫. একই অর্থের শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো : ইচ্ছা, বাগান, চড়ুইভাতি, নিদ্রা।
উত্তরঃ ইচ্ছা➙ সখ (শখ)। বাগান➙ বাগিচা। চড়ুইভাতি➙ বনভোজন। নিদ্রা➙ ঘুম।
১৬. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো : আজি, ছোটো, হেসে, শুরু, তলায়।
উত্তরঃ  আজি➙ কাল। ছোটো➙ বড়ো। হেসে➙ কেঁদে। শুরু➙ শেষ। তলায়➙ আগায়।

১৭. নীচের সূত্রগুলি কাজে লাগিয়ে শব্দ ছকটি পূরণ করো :
সমাধানঃ
পাশাপাশি : ১. আমের গুটি। ৪. খুরি। ৬. গিন্নি। ৭. নূরু। ১০. হাত। ১১. পিঠে।
উপর-নীচ : ১. আমবাগিচা। ২. রঙিন। ৩. নারিকেলের মালা। ৫. শুরু। ৮. ভাত। ৯. মিঠে।

ছেলেবেলার দিনগুলি চতুর্থ শ্রেণি পাতাবাহার সমাধান

❍ ছেলেবেলার দিনগুলি গল্পের লেখক পরিচিতি :
ছোটোদের জনপ্রিয় সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর কন্যা ছিলেন পুণ্যলতা চক্রবর্তী। তিনি ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠিত ‘সন্দেশ’ পত্রিকাকে কেন্দ্র করে যে একদল সাহিত্যিক সেই যুগে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তাদের মধ্যে পুণ্যলতা অন্যতম। তিনি শিশু ও কিশোর দের জন্য খুব সহজ-সরল ভাষায় লিখতেন। তিনি সুকুমার রায়, সুবিনয় রায়চৌধুরী, সুখলতা রাওয়ের সহোদরা। 'ছেলেবেলার দিনগুলি’, ‘ছোট্ট ছোট্ট গল্প’, ‘রাজবাড়ি’ ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। তিনি ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে পরলোক গমন করেন।

❍ ছেলেবেলার দিনগুলি গল্পটির বিষয়বস্তু আলোচনা :
ছেলেবেলায় লেখিকা তাঁর জ্যেঠতুতো, খুড়তুতো, পিসতুতো ভাইবোনদের খেলার সাথি হিসেবে পেয়েছিলেন। ছাতে ঘোলাজলের ট্যাংক থেকে তোলা গঙ্গামাটির কাদার গোলাগুলি বানিয়ে যুদ্ধ হত। সেই যুদ্ধের নাম ছিল পটগুলটিশ ওয়ার। এইরকম খেলা খেলতে গিয়ে সিঁড়ির ছাতের দিকে (সিলিং-এ) লেগে একেবারে ঘুঁটের মতো চ্যাপটা হয়ে সেঁটে রইল। এভাবে খেলতে গিয়ে একবার রাশভারি জ্যেঠা মশায়ের পায়ের সামনে থ্যাপ করে কাদার গোলা গিয়ে পড়ল। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে তিনি হো-হো করে হেসে উঠলেন। ছোটোবেলায় লেখিকা তাঁর দাদার সঙ্গে খেলেছেন চোর-পুলিশ খেলা। ছাতের ওপর খেলেছেন ক্রিকেট হকি, হুড়োহুড়ি খেলায় লেখিকা ছিলেন ওস্তাদ। পুতুলের বিয়ে দিয়েছেন। ছোটো ছোটো পাতায় করে ছোটো ছোটো লুচি ভেজে মিষ্টি দিয়ে পুতুলের বিয়েতে খাদ্য পরিবেশন করেছেন। মোমবাতির সারি জ্বালিয়ে বিয়ের উৎসব করেছেন। এভাবে একবার মোমবাতি থেকে কাঠের ছাত জ্বলতে শুরু করেছিল। ভাগ্যক্রমে তা অবশ্য তাড়াতাড়ি নেভানো সম্ভব হয়েছিল।

তাঁদের মজার খেলা ছিল ‘রাগ বানানো। তবে এই রাগ বানানোতে একসময় এমনই কিছু ঘটনা ঘটে যেত
যে, তাতে শেষে হেসে সকলেই কুটোপাটি হতেন। একবার শুরু হল কবিতায় গল্প বলা। একজন প্রথম লাইন বলবে, অন্যজন বলবে দ্বিতীয় লাইন। লেখিকার দাদা ছোটোবেলা থেকেই গল্প লেখা শুরুকরেছিল। তাঁর দেখাদেখি লেখিকাও দু-একটা কবিতা লিখলেন। লিখলেন গল্প। একবার লেখিকার বাবার সঙ্গে এক ভদ্রলোক দেখা করতে এসেছিলেন। সেই সময় লেখিকা তাঁর খাতাটা টেবিলে ফেলে এসেছিলেন। সেই ভদ্রলোক অনেকক্ষণ বাবার সঙ্গে গল্পগুজব করে বাবাকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন তারপর লেখিকা দেখলেন তাঁর অর্ধেক লেখা গল্পটা শেষ পর্যন্ত লিখে দিয়েছেন বাবার বন্ধু ভদ্রলোক। তিনি ছিলেন নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত। তাঁর লেখা অনেক সুন্দর গল্প পত্রিকায় পড়েছেন লেখিকা। তাঁর খাতায় লেখা নরেন্দ্রনাথ গুপ্তের লেখাটা নিশ্চয়ই খুব ভালো হয়েছিল। কিন্তু লেখিকা তা তখন না বুঝে তা মিছিমিছি রাগ করে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। লেখিকার বাবা বিদেশে থাকার সময় মজার মজার ছবি আর পদ্যে যেসব চিঠি লিখতেন সেগুলি যদি সংগ্রহ করা থাকত তাহলে একটা মজার বই হতে পারত।

   ✐ হাতে কলমে :
১. পুণ্যলতা চক্রবর্তীর কয়েকজন ভাইবোনের নাম লেখো।
উত্তরঃ পুণ্যলতা চক্রবর্তীর ভাইবোনেরা হলেন সুকুমার রায়, সুবিনয় রায়চৌধুরী, সুখলতা রাও।
২. তাঁর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তরঃ তাঁর লেখা দুটি বইয়ের নাম—ছোট্ট ছোট্ট গল্প, রাজবাড়ি।

৩. ক স্তম্ভের সঙ্গে খ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো।

৪. নীচের এলোমেলো শব্দগুলি সাজিয়ে লেখো :
খা ড়া লে প /  টি ল গু শ ট প / ঘ ল পু তু র / রা ক ম না / গ র গু রু ম্ভী
উত্তরঃ লেখাপড়া, পটগুলটিশ, পুতুলঘর, নামকরা, গুরুগম্ভীর।
৫. বন্ধনীর মধ্য থেকে ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে আবার লেখো :
৫.১ মা সুন্দর করে (এক/দুই/তিন/চার) তলা পুতুলঘর সাজিয়ে দিয়েছিলেন।
৫.২ তোমাকে দেখছি এবার (সোনার/তামার/লোহার/টিনের) বালা গড়িয়ে দিতে হবে।
৫.৩ হাতকড়ি পরায় (চোর/উকিল/শিক্ষক/পুলিশ)।
৫.৪ হ য ব র ল হল একটি (খেলনা/ট্রেন/গাছ/বই)।
৫.৫ (যোধপুরে/বিজাপুরে/ভাগলপুরে/মধুপুরে) সেই রেলগাড়ির কবিতা লিখেছিলেন।

৬. কোনটি বেমানান চিহ্নিত করো :
৬.১ ঘুঁটে/উনুন/কামান/রান্নাঘর।
৬.২ সিঁড়ি/চিলেকোঠা/বারান্দা/বাজার
৬.৩ আলমারি/হাতকড়ি/চোর/পুলিশ।
৬.৪ জ্যাঠা/বাবা/দাদা/কাকা।

৭. ঘটনাক্রম অনুযায়ী সাজাও :
উত্তরঃ ৭.২ দেখতে দেখতে ছাদটা কাদার ঘুঁটেতে ভরতি হয়ে গেল।
উত্তরঃ ৭.১ খাওয়া সেরে এসে দেখি, পুতুলঘরে সে এক অগ্নিকাণ্ড।
উত্তরঃ ৭.৫. অল্পের জন্য পুতুলগুলো বেঁচে গেল।
উত্তরঃ ৭.৪ আর একটা মজার খেলা ছিল কবিতায় গল্প বলা।
উত্তরঃ ৭.৩ মনের দুঃখে খাতাটা ছিঁড়েই ফেললাম।

৮. শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করোঃ
শব্দঝুড়ি : থ্যাপ, অস্থি, ভয়, চুঞ্চু, হরিদ্রা।
৮.১. জ্যেঠামশাইকেও বাড়ির ছেলেরা ভীষণ ভয় করত।
৮.২. হঠাৎ থ্যাপ করে কী একটা তাঁর পায়ের কাছে পড়ল।
৮.৩. একদা এক বাঘের গলায় ফুটে ছিল অস্থি
৮.৪. চুঞ্চু মানে ওস্তাদ, এক্সপার্ট।
৮.৫. সেঁক দেয় তেল মাখে, লাগায় হরিদ্রা

৯. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৯.১. পাঠে উল্লিখিত নতুন বাড়িটি কোথায় ছিল?
উত্তরঃ লেখিকার জ্যেঠামশাই ও পিসিমার বাড়ির কাছেই ছিল।
৯.২. সেই নতুন বাড়িতে কীসের অভাব ছিল না?
উত্তরঃ লেখিকার খেলার সাথির অভাব ছিল না।
৯.৩. লেখিকা ও তার সঙ্গীরা কোথা থেকে গঙ্গামাটি জোগাড় করেছিলেন?
উত্তরঃ ছাতের এক কোণে জমা করে রাখা জলের ট্যাংকের গঙ্গামাটি থেকে।
৯.৪. গঙ্গামাটি দিয়ে কী করা শুরু হল?
উত্তরঃ গঙ্গামাটি দিয়ে গোলাগুলি বানিয়ে লেখিকা ও তাঁর সাথিদের মধ্যে ভীষণ যুদ্ধ শুরু হল।
৯.৫. রান্নাঘরে উনুনের মধ্যে কী গুঁজে রাখা হত?
উত্তরঃ চুপি চুপি রান্নাঘরের উনুনের মধ্যে কাঁচা মাটির গোলাগুলিগুলো গুঁজে পুড়িয়ে নেওয়া হত।
৯.৬. লেখিকার জ্যেঠামশাইয়ের গলার আওয়াজ কেমন ছিল?
উত্তরঃ গম্ভীর আওয়াজ ছিল।
৯.৭. লেখিকার জ্যেঠামশাই সম্পর্কে কী শোনা যেত?
উত্তরঃ শোনা যেত তিনি মস্ত বড়ো খেলোয়াড়, গায়ে খুব জোের, আর রাগও খুব।
৯.৮. বাড়ির চাকর সিঁড়ির আলোটা উসকিয়ে দেওয়ার পর কী দেখা গিয়েছিল?
উত্তরঃ একতাল থলথলে কালোমতো নরম গঙ্গামাটির গুলি দেখা গিয়েছিল।
৯.৯. ছোটোদের পুতুলের বিয়েতে কেমন খাওয়া-দাওয়া হত?
উত্তরঃ ছোটো ছোটো পাতায় করে ছোটো ছোটো লুচি-মিষ্টি ইত্যাদি খাওয়াদাওয়া হত।
৯.১০. দোতলা পুতুলঘর কে সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ লেখিকার মা সাজিয়ে দিয়েছিলেন।
৯.১১. কোন খেলার সময় লেখিকা ও তাঁর ভাই-বোনদের মন হালকা খুশিতে ভরে উঠত?
উত্তরঃ ‘রাগ বানানো খেলার শেষে তাঁদের হাসির স্রোতে মন হালকা খুশিতে ভরে উঠত।
৯.১২. কীভাবে লেখিকার বালা ভেঙে গিয়েছিল?
উত্তরঃ লেখিকার হাতে একটা বালা অন্য বালার মধ্যে ঢুকিয়ে তাঁর দাদা পুলিশ সেজে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময় লেখিকা এক ঝটকায় ছাড়াতে গিয়েই বালাটা ভেঙে গিয়েছিল।
৯.১৩. পুতুলঘরে কীভাবে আগুন লেগেছিল?
উত্তরঃ পুতুলের বিয়েতে সাজানো ছোট্ট রঙিন মোমবাতি শেষ অবধি জ্বলে শেষ হওয়াতে ছাতের কাঠে আগুন লেগেছিল।
৯.১৪. সুন্দরকাকা লেখিকার দাদার পিঠ চাপড়ে কী বলেছিলেন?
উত্তরঃ সুন্দরকাকা লেখিকার দাদার পিঠ চাপড়ে বললেন, ‘চুঞ্চু মানে ওস্তাদ, এক্সপার্ট।
৯.১৫. লেখিকার দাদার প্রথম কবিতার নাম কী?
উত্তরঃ লেখিকার দাদার প্রথম কবিতার নাম 'নদী'।
৯.১৬. তাঁর দ্বিতীয় কবিতাটি দাদা কত বৎসর বয়সে লিখেছিল?
উত্তরঃ আট-নয় বৎসর বয়সে।
৯.১৭. লেখিকার বাবা বিদেশ থেকে কী পাঠাতেন?
উত্তরঃ মজার মজার ছবি আর পদ্যে লেখিকাদের চিঠি লিখতেন।

১০. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১০.১. কীভাবে পটগুলটিশ খেলা চলত?
উত্তরঃ লেখিকাদের বাড়ির ছাতের এক কোণে ঘোলা জলের ট্যাংক থেকে গঙ্গামাটি তুলে জমা করা ছিল, তাই দিয়ে লেখিকা ও তাঁর খেলার সাথিরা গোলাগুলি বানিয়ে পটগুলটিশ খেলা করতেন।
১০.২. লেখিকার জ্যেঠামশাই কেমন মানুষ ছিলেন?
উত্তরঃ লেখিকার জ্যেঠামশাই ছিলেন গুরুগম্ভীর প্রকৃতির। তিনি মস্ত বড়ো খেলোয়াড় ছিলেন, গায়ে ছিল খুব জোর, আর ছিল খুব রাগ। তিনি বই পড়তে ভালোবাসতেন।
১০.৩. 'রাগ বানানো' খেলাটা কীভাবে খেলতে হত?
উত্তরঃ হয়তো কারও ওপর রাগ হয়েছে, তার শোধ দেওয়ার জন্য তার নামে যা তা অদ্ভুত গল্প বানিয়ে বলা হত। অবশ্য সেই গল্পে হিংস্রভাব বা সেই ব্যক্তির সম্পর্কে কোনো অনিষ্ট চিন্তা ছিল না। সবই ছিল বোকা বানানো হাস্যকর গল্প।
১০.৪. কোন কোন খেলার কথা পাঠ্যাংশে খুঁজে পেলে?
উত্তরঃ পাঠ্যাংশে পাওয়া গেছে এমন খেলাগুলির নাম হল-নরম মাটির গোলাগুলি বানিয়ে পরস্পরকে আক্রমণ করে পটগুলটিশ খেলা, চোর-পুলিশ খেলা, দস্যিপনা খেলা, ক্রিকেট খেলা, হকি খেলা, হুড়োহুড়ি খেলা, পুতুলখেলা, কবিতায় গল্প বলা খেলা ইত্যাদি।
১০.৫. কীভাবে পটগুলটিশের গুলি তৈরি হত?
উত্তরঃ লেখিকাদের বাড়ির ছাতের এক কোণে ঘোলা জলের ট্যাংক থেকে তুলে জমা করে রাখা গঙ্গামাটি গুলি তৈরি হত। পরবর্তী সময়ে আবার গুলিগুলোকে বেশ লাল করে উনুনে পুড়িয়ে নেওয়া হত।
১০.৬. 'তোমাকে দেখছি এবার লোহার বালা গড়িয়ে দিতে হবে'।—একথা কে বলেছেন? কোন প্রসঙ্গে তাঁর এই উক্তি? বক্তাকে তোমার কেমন মনে হয়েছে?
উত্তরঃ একথা বলেছেন লেখিকার মা। দাদার সঙ্গে চোর-পুলিশ খেলছিলেন লেখিকা। লেখিকা চোর, তাঁর দাদা পুলিশ। লেখিকার হাতে সাপমুখো বালা ছিল। তার একটা মুখ টেনে ফাঁক করে অন্য বালাটা তার ভিতর গলিয়ে হাতকড়ি বানিয়ে দাদা তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময় লেখিকার এক ঝটকা টানে বালা ভেঙে তিন টুকরো হয়ে গেল। তা দেখে তাঁর মা হেসে এই কথা বলেছিলেন। লেখিকা সরল প্রকৃতির ছিলেন। 
১০.৭. মেয়েদের খেলাধুলোর কেমন ছবি পাঠ্যাংশে খুঁজে পেলে?
উত্তরঃ মেয়েদের খেলাধুলোর মধ্যে পাঠ্যাংশে বিশেষ করে পুতুলখেলা খুঁজে পাওয়া গেল। দিদিদের সঙ্গে লেখিকা চমৎকার পুতুলখেলা খেলতেন। তাঁর মা সুন্দর করে দোতলা পুতুলঘর সাজিয়ে দিয়েছিলেন। ছিল ডলপুতুল, নাচের পুতুল, মাটির পুতুল, পুতুলের খাট-বিছানা, চেয়ার-টেবিল, টি-সেট, ডিনার সেট, পিতল ও মাটির হাঁড়িকুড়ি, হাতাবেড়ি কত ঘরকন্না রান্নাবান্না ইত্যাদি। পুতুলের সুন্দর সুন্দর জামাকাপড় পুঁতির গয়না, পুতুলের বিয়ে ইত্যাদি।
১০.৮. 'হ য ব র ল’-র স্রষ্টা কে? তাঁকে লেখিকা কীভাবে স্মরণ করেছেন?
উত্তরঃ হ য ব র ল-র স্রষ্টা হলেন লেখিকার দাদা সুকুমার রায়। তাঁদের মধ্যে 'রাগ বানানো খেলা খেলতে গিয়ে দাদার যুক্তিতে যা-তা অদ্ভুত হাস্যকর গল্প বানানো প্রসঙ্গে দাদাকে লেখিকা স্মরণ করেছেন।

১১. জ্যেঠতুতো, পিসতুতো, মাসতুতো— এইসব সম্পর্ক ছাড়াও আরও অনেক সম্পর্ক আমাদের পরিবারগুলিতে থাকে। তুমি যে-কয়টি সম্পর্কের নাম জানো সেগুলো লেখো।
উত্তরঃ মামাতো, খুড়তুতো ইত্যাদি সম্পর্ক।

১২. প্রতিশব্দ লেখো : 
সাথি, বিশ্রাম, মজা, সিঁড়ি, রান্নাঘর, নিশান।
  1. সাথি➙ সঙ্গী, দোস্ত, বন্ধু, সহযাত্রী, সহচর, অনুগামী। 
  2. বিশ্রাম➙ বিরত, বিরাম, জিরন, আরাম, ঘুম, আয়েশ।
  3. মজা➙ কৌতুক, ব্যঙ্গ, রসিকতা। 
  4. সিঁড়ি➙ সোপান, পাইঠা, ধাপ, স্তর। 
  5. রান্নাঘর➙ রন্ধনশালা, রন্ধনগৃহ, ভোগশালা, পাকগৃহ। 
  6. নিশান➙ চিহ্ন, দাগ, পতাকা, ধ্বজা।
১৩. বর্ণবিশ্লেষণ করো : 
অভাব, উনুন, আহত, টুকরো, মোমবাতি, চিঠি।
  1. অভাব➙ অ + ভ্ + আ + ব। 
  2. উনুন➙ উ + ন্ + উ + ন। 
  3. আহত➙ আ + হ্ + অ + ত্ + অ। 
  4. টুকরো➙ ট্ + উ + ক্ + অ + র্ + ও। 
  5. মোমবাতি➙ ম্ + ও + ম্ + অ + ব্ + আ + ত্ + ই। 
  6. চিঠি➙ চ্ + ই + ঠ্ +ই।
১৪. সন্ধি বিচ্ছেদ করো : স্বস্তি, নগেন্দ্র, আরেক।
উত্তরঃ  স্বস্তি➙ সু + অস্তি। নগেন্দ্র➙ নগ + ইন্দ্র। আরেক➙ আর + এক।
১৫. নীচের গদ্যটিতে যতিচিহ্ন ব্যবহার করো . ধমক দিয়ে বললেন এটা আবার কী কোত্থেকে এল চাকর কাঁচুমাচু হয়ে বলল আজ্ঞে ছেলেরা কী যেন খেলা করছিল।
উত্তরঃ ধমক দিয়ে বললেন, 'এটা আবার কী, কোত্থেকে এল?’ চাকর কাঁচুমাচু হয়ে বলল, “আজ্ঞে, ছেলেরা কী যেন খেলা করছিল—'

১৬. পাশের প্রতিটি বিষয় নিয়ে পাঁচটি করে স্বাধীন বাক্য লেখো :
      গয়না, পরিবার, ঘুঁটে।
  1. গয়না➙ (১) মেয়েদের শখ সারা গায়ে গয়না পরা। (২) সোনার গয়না কেনা এখন দুঃসাধ্য। (৩) গয়না পরে মেলায় যেয়ো না। (৪) গয়না কিনতে গেলে ভালো জুহুরির কাছে যেতে হয়। (৫) দিদির গায়ের গয়না পরিয়ে বাপমরা মেয়েটির বিয়ে দিতে হল।
  2. পরিবার➙ (১) কয়েকজন সদস্য নিয়ে একটি পরিবার গঠিত হয়। (২) কয়েকটি পরিবার নিয়ে একটি পাড়া গড়ে ওঠে। (৩) এবার দুর্গাপূজায় পরিবার পিছু পাঁচশো টাকা ধার্য হয়েছে। (৪) গ্রামে আছে একটি মাত্র ঘোষ পরিবার। (৫) এমন কোনো পরিবার নেই যার ঘরের কেউ মারা যায়নি।
  3. ঘুঁটে➙ (১) গোরুর গোবর শুকনো হলে ঘুঁটে তৈরি হয়। (২) ঘুঁটে একটি উৎকৃষ্ট জ্বালানি। (৩) গরিব মেয়েটি ঘুঁটে বিক্রি করে সংসার চালায়। (৪) এখন এক বস্তা ঘুঁটে কিনলে একশো টাকা দিতে হয়। (৫) কবিতায় আছে, ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে।
১৭. বছরের কোন সময় কোন খেলা খেলতে তুমি ভালোবাসা সেই অনুযায়ী ছকটি পূরণ করো :

Type Here ....

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন