
WBBPE Amader Poribesh in Bengali Chapter 3 Question Answer
❒ শরীর (Page -27 to 45)
● খাবার কোথা থেকে পাই
● প্যাকেট করা নানা খাবার
● না মানুষের নানা খাবার
● দাঁতের যত্ন
● দাঁত নিয়ে নানা কথা
● খাবার হজম হলো
● অসুখ থেকে বাঁচতে খাবার
● খাবার খেয়ে কি পাই?
● যে খাবার খেয়ে সুস্থ থাকবো
● কাজ করার জন্য চাই খাবার
● খাবার পায় কোথা থেকে?
● গাছের খাবার তৈরি
● খাবার থেকে শক্তি পাই কিভাবে
● শ্বাসবায়ু ও স্বাস্থ্য
প্রশ্নঃ ১। আমাদের দাঁত মাজা দরকার কেন?
উত্তর : দাঁত ভালো করে মাজতে হবে দাঁত না মাজলে মুখে দুর্গন্ধ হবে , দাঁতে পোকা জন্মাবে নানা রোগের সৃষ্টি হবে তাই দাঁত মাজা দরকার।
প্রশ্নঃ ২। দাঁত কখন এবং কীভাবে মাজা দরকার?
উত্তর : দাঁত দিনে অন্ততপক্ষে দু-বার মাজতে হবে। শুধু মাজলেই হবে না, কোনো কিছু খাওয়ার পর ভালো করে মুখ ধুতে হবে। টুথব্রাশ বা নিমের দাঁতন দিয়ে দাঁত মাজা যেতে পারে।
প্রশ্নঃ ৩। দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
উত্তর : দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকলে ওই খাবারের টুকরোয় খালি চোখে দেখা যায় না এমন সব জীব বাসা বাঁধে। এসব জীবেরাই দাঁতকে খারাপ করে দেয়। খারাপ দাঁতকে পরে তুলে ফেলতে হয় তা নয়তো দাঁতে সংক্রমণ হয়ে আরও গভীর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রশ্নঃ ৪। চিবিয়ে খেতে হয় কেন?
উত্তর : হজম করার জন্য।
প্রশ্নঃ ৫। দাঁত দিয়ে আমরা খাবারকে কী করি?
উত্তর : খাবারকে ভেঙে টুকরো করি।
প্রশ্নঃ ৬। হজমের প্রথম ধাপ কী?
উত্তর : খাবারকে ভেঙে টুকরো করা।
প্রশ্নঃ ৭। খাবার সহজেই গলা দিয়ে নেমে যায় কীভাবে?
উত্তর : আমাদের মুখের চারপাশে থাকে কয়েকটা লালাগ্রন্থি। লালাগ্রন্থি থেকে বের হয় লালারস। লালারসে থাকে হজমের রস। এ ছাড়া লালারস খাবারকে দলা পাকিয়ে দেয় ফলে সহজেই গলা দিয়ে নেমে যায়।
প্রশ্নঃ ৮। আমাদের বিষম লাগে কেন?
উত্তর : আমাদের গলার ভিতর পাশাপাশি দুটো নল আছে। একটা নল দিয়ে খাবার যায়। আর একটা নল দিয়ে বাতাস যায়। খাওয়ার সময় কথা বললে কখনো কখনো খাবারের টুকরো ভুল পথে ওই বাতাস যাওয়ার নলে ঢুকে পড়তে পারে তখনই বিষম লাগে।
প্রশ্নঃ ৯। শ্বাসনালি কাকে বলে?
উত্তর : বাতাস যাওয়ার নলে খাবারের টুকরো ঢুকে গেলে বাতাস যেতে না পারলে দম আটকে আসে। এই নলকেই শ্বাসনালি বলে।
প্রশ্নঃ ১০। গ্রাসনালি কাকে বলে?
উত্তর : গলায় থাকা শ্বাসনালি ছাড়া আর একটি নল থাকে ওই নল দিয়ে খাবার নীচে নেমে যায়। এই নলকেই বলে গ্রাসনালি।
প্রশ্নঃ ১১। পাকস্থলি কাকে বলে?
উত্তর : গ্রাসনালির শেষে একটা থলির মতো অংশ আছে এখানে খাবারের কিছুটা অংশ হজম হয় একে বলে পাকস্থলি।
প্রশ্নঃ ১২। অন্ধ্ৰ কাকে বলে?
উত্তর : পাকস্থলির আরও নীচে নেমে খাবার পৌঁছোয় বড়ো প্যাঁচালো নলের মতো একটা অংশে এর নাম অন্ধ্ৰ।
প্রশ্নঃ ১৩। ক্ষুদ্রান্ত্র কাকে বলে?
উত্তর : অস্ত্রের একটা যে অংশে খাবারের বাকিটা হজম হয়, তাকে বলে ক্ষুদ্রান্ত্র।
প্রশ্নঃ ১৪। হজম কীভাবে হয়?
উত্তর : খাবারের দলা নল দিয়ে নীচে নেমে আসে এরপর পাকস্থলিতে পৌঁছায়। তারপর হজমের রসের সঙ্গে মিশে খাবার আরও ছোটো কণায় পরিণত হয়।
প্রশ্নঃ ১৫। খাবারের কণাগুলি শরীরের রক্তে মিশে যায় কীভাবে?
উত্তর : পাকস্থলি থেকে খাবারের কণা অস্ত্রে আসে। এখানে নানারকম হজমের রসের সাহায্যে খাবারের কণাগুলি আরও ছোটো হয়। খাবারের কণাগুলি এভাবে ছোটো হতে হতে শরীরের রক্তে মিশে যায়।
প্রশ্নঃ ১৬। শরীর দুর্বল হয় কেন?
উত্তর : ঠিকমতো ও সময়মতো খাবার না খেলে।
প্রশ্নঃ ১৭। ঠিকঠাক খাবার মানে কী?
উত্তর : যে খাবার খেলে শরীরের আকার ও ওজন বাড়বে।
প্রশ্নঃ ১৮। রাতকানা রোগ কেন হয়?
উত্তর : ঠিকমতো খাবার না খেলে রাতে চোখে দেখতে অসুবিধা হয়।
প্রশ্নঃ ১৯। কী খেলে চোখ ভালো থাকে?
উত্তর : শাকসবজি, গাজর, পাঁকা পেপে ইত্যাদি খেলে।
প্রশ্নঃ ২০। কী খেলে দাঁত ও মাড়ি সুস্থ থাকে?
উত্তর : টক জাতীয় যেমন লেবু খেলে।
প্রশ্নঃ ২১। কী না খেলে শরীর রুগ্ন হবে?
উত্তর : দুধ, মাছ, ডিম, ডাল, সয়াবিন ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ ২২। আমাদের সব খাবারের উৎস কোনটি?
উত্তর : উদ্ভিদ।
❒ চতুর্থ শ্রেণী পরিবেশ সূচিপত্র ![]() |
Click |
---|---|
❒ টেক্সট বই উত্তর পৃষ্ঠা A2Z 📥 PDF | Download |
প্রশ্নঃ ২৩। গাছ কী কী উপাদান দিয়ে খাবার তৈরি করে?
উত্তর : গাছ মাটি থেকে জল ও খাবার তৈরির কিছু দরকারি উপাদান পায়। বাতাস থেকে টেনে নেয় কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস। আর দরকার সূর্যের আলো।
প্রশ্নঃ ২৪। খাবার তৈরি করতে গাছের কী লাগে?
উত্তর : গাছ মাটি থেকে তৈরি খাবার পায় না। কিন্তু মাটি থেকে জল আর খাবার তৈরির কিছু দরকারি উপাদান পায়। বাতাসের একটা উপাদান কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস সে বাতাস থেকে টেনে নেয়। খাবার তৈরি করতে গাছের আর লাগে সূর্যের আলো।
প্রশ্নঃ ২৫। হাঁপানোর সময় কী হয়?
উত্তর : জোরে জোরে শ্বাস নেওয়া হয়?
প্রশ্নঃ ২৬। দৌড়ানোর বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় কী খরচ হয়?
উত্তর : শক্তি। আর লাগে বেশি অক্সিজেন।
প্রশ্নঃ ২৭। ফুসফুস কী?
উত্তর : বাতাস যাওয়ার নল অর্থাৎ শ্বাসনালির শেষে দুটো থলির মতো অংশ আছে। একে বলে ফুসফুস। প্রশ্বাস নেওয়ার সময় বাতাস নাক দিয়ে ঢুকে শ্বাসনালি হয়ে ফুসফুসে পৌঁছায়। তবে নাক দিয়ে ঠিকমতো শ্বাস নিতে না পারলে মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হয়।
প্রশ্নঃ ২৮। অক্সিজেন গ্যাস কী কাজ করে?
উত্তরঃ বাতাসের একটি উপাদান হল অক্সিজেন গ্যাস। বাতাস ফুসফুসে পৌঁছানোর পর ফুসফুস ওই বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্যাসটাকে টেনে নেয়। এরপর অক্সিজেন গ্যাসটি শরীরের ভিতর গিয়ে খাবার থেকে শক্তি বের করতে সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ ২৯। প্রশ্বাস কী ?
উত্তর : আমরা বাতাস থেকে শ্বাস নিই। বাতাস থেকে আমাদের শ্বাস নেওয়াটা হল প্রশ্বাস। ।
উত্তর : আমরা বাতাস থেকে শ্বাস নিই। বাতাস থেকে আমাদের শ্বাস নেওয়াটা হল প্রশ্বাস। ।
প্রশ্নঃ ৩০। বুকে ও দম নিতে কষ্ট হয় কেন?
উত্তর : ফুসফুসের কাজ করার ক্ষমতা কমে গেলে। বয়স্ক লোকদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। আসলে যতটা অক্সিজেন দরকার ততটা তিনি নিতে পারছেন না। আবার কার্বন ডাইঅক্সাইড পুরোটা বের করতে পারছেন না শরীর থেকে।
প্রশ্নঃ ৩১। বৃদ্ধ/বৃদ্ধা বয়স্কাদের দমের কষ্ট হয় কেন?
উত্তর : বৃদ্ধ/বৃদ্ধারা বেশি করে অক্সিজেন পাওয়ার জন্য তাঁরা বেশি করে প্রশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আবার একইসঙ্গে নিশ্বাস ছাড়তেও কষ্ট হচ্ছে।
প্রশ্নঃ ৩২। বুকের ছবি তোলা হয় কেন?
উত্তর : ফুসফুস কেমন আছে ও বুকের ভিতরের বিভিন্ন অংশ কেমন আছে তা বুকের ছবি থেকে বোঝা যায়। কারণ যে-কোনো ধরনের ধোঁয়া বা ধুলো শরীরের ভিতরে ঢুকে ফুসফুসের ক্ষতি করে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেই ক্ষতির পরিমাণও অনেক বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্নঃ ৩৩। কী করলে ফুসফুস ভালো থাকবে?
উত্তর : নিয়মিত শ্বাসের ব্যায়াম করতে হবে। মুক্ত বাতাসে ছোটাছুটি বা খেলাধুলা করলেও ফুসফুস ভালো থাকে। আর কলকারখানা বা গাড়ির ধোঁয়া-ধুলো থেকেও দূরে থাকা দরকার।
প্রশ্নঃ ৩৪। দৌড়োনো বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় শক্তি কীভাবে পাওয়া যায়?
উত্তর : বাতাসের একটা উপাদান হল অক্সিজেন গ্যাস। বাতাস ফুসফুসে পৌঁছায়। ফুসফুস ওই বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্যাসটাকে টেনে নেয়। আর তারপরে এই অক্সিজেন গ্যাসটাই শরীরের ভিতর গিয়ে খাবার থেকে শক্তি বের করতে
❒ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
(প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
(১) সমস্ত প্রাণীর খাবার কী রকম—
(i) একই রকম
(ii) বিভিন্ন রকম
(iii) দুটোই
(iv) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ii) বিভিন্ন রকম
(২) উকুন যা খেয়ে বেঁচে থাকে তা হল –
(i) রক্ত
(ii) ভাত
(iii) মাটি
(iv) পোকামাকড়
উত্তরঃ (i) রক্ত
(৩) পায়রা যা খেয়ে বেঁচে থাকে তা হল –
(i) মাটি
(ii) রক্ত
(iii) দানাশস্য
(iv) ফুলের রস
উত্তরঃ (iii) দানাশস্য
(৪) বিড়াল যে ভাবে খায় তা হল –
(i) ঠুকরে
(ii) চিবিয়ে
(iii) গিলে
(iv) চুষে
উত্তরঃ (ii) চিবিয়ে
(৫) প্যাকেট করা খাবার খেলে শরীর কীরূপ থাকে—
(i) ভালো থাকে
(ii) খারাপ
(iii) দুটোই
(iv) কেনোটিই নয়
উত্তরঃ (ii) খারাপ
(৬) জন্মানোর কত মাস পর থেকে দাঁত গজাতে শুরু করে—
(i) ২-৩ মাস
(ii) ৩-৪ মাস
(iii) ৪-৫ মাস
(iv) ৬-৭ মাস
উত্তরঃ (iv) ৬-৭ মাস
(৭) দুধের দাঁত পড়ে যায় যে বয়সে তা হল –
(i) ১০-১২ বছর
(ii) ৫-৬ বছর
(iii) ৮-১০ বছর
(iv) ১২-১৪ বছর
উত্তরঃ (i) ১০-১২ বছর
(৮) চিবিয়ে খাওয়া হয় যে জন্য তা হল—
(i) খাবার মুখ থেকে বের করার জন্য
(ii) খাবার হজম করার জন্য
(iii) দুটোই
(iv) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ii) খাবার হজম করার জন্য
(৯) গ্রাসনালির শেষে একটা থলির মতো অংশ থাকে তাকে বলে—
(i) পাকস্থলি
(ii) শ্বাসনালি
(iii) ক্ষুদ্রান্ত্র
(iv) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (i) পাকস্থলি
(১০) সময়মতো খাবার না খেলে যা হয় তা হল—
(i) শরীর সুস্থ থাকে
(ii) শরীর মোটা হয়ে যায়
(iii) শরীর দুর্বল হয়ে যায়
(iv) সবকটিই হয়ে থাকে
উত্তরঃ (iii) শরীর দুর্বল হয়ে যায়
(১১) শাকসবজি খেলে যা হয় তা হল—
(i) চোখ ভালো থাকে
(ii) চোখ খারাপ হয়
(iii) দুটোই
(iv) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (i) চোখ ভালো থাকে
(১২) খাবার থেকে আমরা কী পেয়ে থাকি –
(i) শক্তি
(ii) শব্দ
(iii) আলো
(iv) বাতাস
উত্তরঃ (i) শক্তি
❒ শূন্যস্থান পূরণ করো : (প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
(১) সব প্রাণীদের খাবার______নয়। (২) মৌমাছিরা ফুলের রস_______ খায়। (৩) ঘাস ফড়িং______চুষে খায়। (৪) কুকুর ভাত, মাছ, মাংস______খায়। (৫) বিড়াল_____ কামড়ে খায়। (৬) দাঁত না মাজলে মুখে_____হবে। (৭) শিশুরা ____ বছরে পৌঁছালে দাঁতের সংখ্যা হয় ৩২টি। (৮) পাকস্থলি থেকে বাকি খাবার_____গিয়ে জমা হয়। (৯) মাঝে মাঝে খাবার_______ঢুকে গেলে বিষম লাগে। (১০) ঠিক মতো খাবার খেলে শরীরের______ও _______বাড়বে। (১১) দুধ, মাছ, ডিম, ডাল, সয়াবিন খেলে শরীর_____হবেনা।
উত্তর সমাধানঃ (১) সমান, (২) চুষে, (৩) ফুলের রস, (৪) কামড়ে, (৫) ভাত, মাছ, মাংস, (৬) দুর্গন্ধ, (৭) তিন বছর, (৮) ক্ষুদ্রান্ত্রে, (৯) শ্বাসনালিতে, (১০) আকার, ওজন, (১১) রুগ্ন।