প্রিয় ক্লাস ফাইভ (Class-V) ছাত্র-ছাত্রীরা তোমাদের বাংলা অনুচ্ছেদ রচনাঃ চ্যাপ্টারের হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্ন উত্তর গুলি সহজ ও সুন্দর ভাবে নীচের দিকে আলোচনা করে দেওয়া রয়েছে।
Class 5 Bengali Anuchhed Rochona Question And Answer
❏ হাতেকলমে প্রশ্নোত্তর :
তোমরা অনুচ্ছেদের কয়েকটি নমুনা পড়লে। এবার নীচে দেওয়া সংকেতগুলি অনুসরণ করে অনুচ্ছেদ লেখো :
১.তোমার দেখা একটি মেলা— কবে, কোথায়, কখন বসে— কার/কাদের সঙ্গে, কীভাবে তুমি মেলায় পৌঁছালে— কী কী দেখলে মেলা কেমন লাগল – বিশেষ কোনো ঘটনার পরিচয় ফিরে আসা।
তোমার দেখা একটি মেলা
কানাইপুরে বিশালাক্ষীতলায় চৈত্র সংক্রান্তির দিন চড়কের মেলা বসে। মেলা অনেক পুরোনো এবং খুব বিখ্যাত এখানে। মেলাটি বেলা এগারোটার পর থেকেই বসে যায়। বেশ কয়েকটি গ্রামের বহু মানুষ এই মেলা দেখতে আসে। তাদের সঙ্গে আসে তাদের ছেলেমেয়েরাও। মেলাটি পাঁচদিন ধরে চলে। নানা রকমের জিনিসপত্রের দোকানপাট বসায় মেলা খুব সরগরম হয়ে ওঠে।কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়। বিশাল এক মাঠের একদিকে নাগরদেলা, সার্কাস, কত কী বসে। আর আছে ম্যাজিকের ঘর। খুব ছোটোদের জন্য হাজার রকমের খেলনা নিয়ে বসেছে অনেক দোকান। আমি ও ছোটো বোন বাবার সঙ্গে এই মেলায় একবার গিয়েছিলাম। আমাদের থেকেও বাচ্চাদের সে কী আনন্দ! সকলে চলেছে মা-বাবার হাত ধরে। সকালে ও বিকেলেই ভিড়টা বেশি হয়। বাবা বাড়ির জন্য কিছু লোহা ও কাঠের তৈরি আসবাব কিনলেন। বাবা আমার জন্য খেলার ব্যাট-বল ও আরও কিছু জিনিস কিনে দিলেন। আর বোনের জন্য কিনলেন একটা সুন্দর জাপানি পুতুল ও রঙিন চুড়ি। বাড়ির জন্য কিনলেন একটা সুন্দর মাদুর। সবশেষে বাবা আমাদের গরম জিলিপি খাওয়ালেন শেষে খেলাম আইসক্রিম। আমরা অনেক আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।{tocify} $title={Table of Contents}
❐ আরো পড়ুনঃ ক্লাস - V
২.একটি গ্রাম/শহরের আত্মকথা— কোন গ্রাম/ —শহর – তার সংক্ষিপ্ত পরিচয়— পুরোনো কোনো ঘটনা— সময় কীভাবে বদলে গেল—।
একটি গ্রামের আত্মকথা
আমি একটি ছোট্ট গ্রাম। নাম আমার ঘটকপুকুর। আমার বয়স প্রায় পঞ্চাশ বছরের ওপর । স্বাধীনতার পর কিছু ঘরছাড়া মানুষজন আমার ওপর বসতি স্থাপন করেছিল। এরপর বাজার, বিদ্যালয় ইত্যাদি গড়ে উঠল স্থানীয় মানুষদের একান্ত চেষ্টায়। তারা আমাকে ভালোবেসেই এটা করেছিল। আমার পাশ দিয়ে একটা ছোট্ট নদী এঁকেবেঁকে বয়ে গেছে। আমার বুকে অনেক জায়গায় অনেক গাছপালা লাগানো হয়েছে। পাশের গ্রামের জমিদার একটা সুন্দর মন্দির বানিয়ে দিয়েছেন। মাঠে ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করে। খুব সুন্দর লাগে সেই সময়টা। চারদিকে নানারকম ফুল ফুটে থাকে। আর আমার বিস্তারও হয়েছে অনেক। গ্রামে পঞ্চায়েত বসেছে। ব্যাবসাবাণিজ্য, অফিস-কাছারি, শিক্ষা—এসব এখন অনেক উন্নত হয়েছে। আমার পাশে বড়ো রাস্তা দিয়ে বাস, লরি ইত্যাদি যাতায়াত করে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। কিন্তু এত উন্নতির মধ্যেও আমার ভাবতে খারাপ লাগে পরিবেশের জন্য। মানুষ যেখানে সেখানে নোংরা, আবর্জনা বর্জ্য পদার্থ ফেলে রেখে আমার পরিবেশকে দূষিত করে তুলছে। কবে আমি মুক্তি পাব কে জানে?একটি শহরের আত্মকথা
নাম আমার আসানসোল। বিখ্যাত হয়ে উঠেছি প্রায় দেড়শো বছর আগে। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম সীমানায় আমি আছি। শুকনো কাঁকুরে মাটি, প্রচুর ঝোপঝাড় আর উঁচুনীচু ভূমি দিয়ে তৈরি আমার শরীর। তখন কেউ আমাকে চিনত না বললেই চলে। কিন্তু অকস্মাৎ একদিন ব্রিটিশদের দয়ায় বাষ্পীয় রেলইঞ্জিনের ভোঁ বেজে উঠল আমার বুকে। শোনা গেল, সামান্য দূরে রানিগঞ্জে পাওয়া গেছে কয়লার খনি। লোভী ব্রিটিশ বণিকের দল রানিগঞ্জের বুক তো খুঁড়ে ফেললই, ঘিরে ফেলল আমাকেও। কয়লা নামে কালো সোনা ওঠানোর জন্য আমার সারা শরীর ঝাঁঝরা করে ফেলল। হাওড়া স্টেশন থেকে আমার হৃৎপিণ্ডের ওপর পাতা হল রেললাইন। শুধু তাই নয়, বহুকাল আগেই অবশ্য আমার ওপর দিয়ে এঁকেবেঁকে চলে গেছে সম্রাট শেরশাহের তৈরি ভারতের জাতীয় সড়ক গ্র্যান্ড ট্র্যাংক রোড। এক সময় আমি ছিলাম কাঠ-ফাটা রোদে পোড়া রুক্ষ মাটির গ্রাম, এখন হয়ে উঠলাম ঘনজনবসতিপূর্ণ কোলাহলমুখর এক বিখ্যাত শহর। এখন শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের লোক জানে আমার নাম। এখানে তৈরি হয় কাগজ, সাইকেল, রেলের ওয়াগন, ইস্পাত ইত্যাদি অনেক অনেক কারখানা। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে এক মিশ্রসাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলেছে আমার বক্ষস্থলে। এখন সকলে ভালোবাসে আমাকে।
৩. একটি বৃষ্টির দিন— বৃষ্টির পূর্বাভাস— ঝড়ের তাণ্ডব— সারাদিন তুমি যা যা করলে—তোমার যেমন লাগল।
একটি বৃষ্টির দিন
“টাপুর টুপুর বৃষ্টি পড়ে
নদে এলো বান।”
মনে পড়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের লেখা ওই গানের কলি। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে যখন প্রাণটা আইঢাই করে, তখনই বর্ষা আসে অফুরন্ত বৃষ্টিসজল স্নিগ্ধতা নিয়ে। আকাশ ভরা কালো মেঘের দাপাদাপিতে, ব্যাঙের ডাকে আর বৃষ্টির শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে পল্লিবাংলা। আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি একটি বৃষ্টির দিনে পল্লিপ্রকৃতি অপরূপ হয়ে ওঠে। আজ সকাল থেকেই কখনও মুশলধারে, কখনও টিপটিপ করে বৃষ্টি হচ্ছে। হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গেল। বিদ্যুৎ চমকাতে লাগল। কালবৈশাখীর তাণ্ডব শুরু হয়ে গেল। কানের পর্দা প্রায় ফাটিয়ে প্রচণ্ড বজ্রপাত হতে লাগল। জানালা-দরজা সব বন্ধ করা হল। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে চলার পর এসব তাণ্ডব কমে গেল। আমি ঘরে বসে প্রকৃতির এই অপরূপ দৃশ্যের কয়েকটি ছবি আঁকলাম। রং করলাম। বাড়ির সবাইকে দেখালাম। তারপর জানালা খুলে দিতেই চোখ হয়ে গেল ছানাবড়া। চারদিকে জল থইথই করছে, দলে দলে ব্যাং ডাকছে গ্যাঙর গ্যাং। বৃষ্টির তেজ কমে গেলেও টুপটাপ করে খুদে খুদে ফোঁটা পড়ছিল মাঝে মাঝে। থই থই জলে সেইসব ফোঁটা পড়ার দৃশ্যও ভারি অপরূপ। অপূর্ব এই স্নিগ্ধ পরিবেশে আমার মনটা উৎফুল্ল হয়ে উঠল।
৪. ছুটির দিনে বনভোজন— পরিকল্পনা করা ওবনভোজনে বেরোনো— সঙ্গীদের কথা—
কোথায় হলো বনভোজন স্থানটির পরিচয়— কী কী খাওয়া হলো— কীভাবে সারাদিন কাটালে— কীভাবে ফিরলে।
ছুটির দিনে বনভোজন
গতবছর শীতে আমার দাদা-দিদিরা কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে একটা বনভোজনের আয়োজন করেছিল। আমাদের বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে গঙ্গার তীরে একটা সুন্দর জায়গায় বনভোজনটি হয়েছিল। গঙ্গার ধারে বড়ো বড়ো গাছ, সুন্দর বাগান আর ঘাসে ছাওয়া মাঠ, সবাই মিলে পরিকল্পনা করেই আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। ওখানে মাঝে মাঝে বনভোজন করে অনেকে। বাড়ি থেকে আমরা সবাই ভাগ করে চাল, ডাল, তেল নিয়ে গিয়েছিলাম। বাজার থেকে কিনে আনা হয়েছিল মশলাপাতি, ফুলকপি, পাউরুটি, ডিম, কলা আর মাংস। দাদার এক বন্ধু ভালো রান্না করেন। তিনিই রান্নার দিকটা সামলালেন। গ্যাস-স্টোভ, হাতা-খুন্তি, কড়াই, হাঁড়ি ডেকরেটারের কাছ থেকে ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমরা ছোটোরা চারদিকে আনন্দে ছোটাছুটি করছিলাম। ব্যাডমিন্টন, কানামাছি, স্কিপিং খেলছিলাম, আর সিডিতে গান শুনছিলাম। বনভোজনে ভাতের সঙ্গে ডাল, ফুলকপির তরকারি, মাংস, চাটনি খেয়েছিলাম মহানন্দে। আর সকালে টিফিন খেয়েছি পাউরুটি, ডিম ও কলা। খেতে একটু দেরি হলেও যে আনন্দ পেয়েছিলাম আমরা তা কোনোদিন ভুলব না।৫. তোমার প্রিয় বই— কোন বইটি কেন তোমার প্রিয়— লেখক কে? তাঁর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা— বইটির কোন বিশেষত্ব তোমার নজর কেড়েছে-- লেখকের আর কোন বই তুমি কীভাবে পড়তে চাও।
তোমার প্রিয় বই
যেদিন থেকে অক্ষর-পরিচয় হয়েছে আমার, সেদিন থেকেই পড়ছি। ‘বর্ণ পরিচয়’ থেকে শুরু করে অনেকগুলি পাঠ্যপুস্তকের চাপে আমি এখন দিশেহারা। তবু মাঝে মাঝে যখন ক্লান্তিবোধ করি, তখন আমার প্রিয় বইটি খুলে বসি ৷ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী লিখিত বইটির নাম ‘ছোটোদের রামায়ণ’। প্রথম দিকে এই বইয়ের দুই-এক পাতা পড়েই আমি এত বেশি আকর্ষণ বোধ করেছিলাম যে, বেশ কয়েকদিন লেখাপড়া বন্ধ রেখে একটানা পড়ে বইটি শেষ করেছিলাম। ঠাকুরমাকেও অনেকদিন পড়ে শুনিয়ে ছিলাম। কিন্তু কখনোই বিরক্তি বোধ করিনি। সেই সময়েই আমি বুঝেছিলাম যে, রামায়ণের পাতায় পাতায় একটি মুগ্ধ আকর্ষণী শক্তি, একটি মায়াবী মোহ আছে। একটু অপেক্ষাকৃত পরিণত বুদ্ধিতে বুঝতে পারি, মানুষ, বানর, কাঠবেড়ালি, জটায়ু পাখি ইত্যাদির রহস্যময় মায়াজড়ানো কাহিনির কারণেই যুগে যুগে ভারতের জনসাধারণ তাই রামায়ণের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। রামায়ণের প্রতি আমার প্রথম আকর্ষণ তার কাহিনি। পিতৃসত্য পালনে পুত্রের পবিত্র কর্তব্য, আদর্শ ও সত্যধর্মের প্রতি নিষ্ঠা। আর দ্বিতীয় আকর্ষণ তার যুদ্ধসমূহের বর্ণনা। তৃতীয় আকর্ষণ তার বহিঃপ্রকৃতির বর্ণনা, চতুর্থ আকর্ষণ হনুমান। রামায়ণের মধ্যে যেন সমস্ত ভারতবর্ষকেই দেখতে পাওয়া যায়।৬.বিদ্যালয় জীবনে খেলাধুলার ভূমিকা—লেখাপড়া ও খেলাধুলা – চরিত্রগঠন ও অন্যান্য গুণের বিকাশে খেলাধুলা—বিদ্যালয়ে কোন কোন খেলা তুমি খেলতে পারো।
বিদ্যালয় জীবনে খেলাধুলার ভূমিকা
ছাত্রজীবন এমনই একটা সময়, যে সময়ের ওপর ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে। ছাত্রদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করা। তবে কেবলমাত্র পড়াশোনাই ছাত্রজীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়, এর সঙ্গে খেলাধুলাও গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। কারণ ছাত্রজীবনে পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে মনের আনন্দ ও স্ফূর্তির জন্য কিছুটা সময় খেলাধুলা করা বিশেষ প্রয়োজন। তা ছাড়া খেলাধুলার মাধ্যমে আমাদের শরীরর্চা হয়, সুগঠিত হয় দেহ। অনেক বন্ধু একসঙ্গে প্রতিযোগিতাপূর্ণ খেলাধুলায় বন্ধুত্বের ভাব প্রসারিত হয়। তখনই মনে হয় প্রতিযোগিতা মানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যা শত্রুতা নয়। বরং নিজেকে আরো উন্নত করে তোলার এক প্রয়াস। সুতরাং ছাত্রজীবনে খেলাধুলাকে অবজ্ঞা করা একেবারেই উচিত নয়। এই খেলাধুলার অপরিহার্যতার কথা স্মরণ রেখেই নানাস্থানে নানান খেলার প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এই প্রতিষ্ঠানে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর যোগদানের সুযোগসুবিধা রয়েছে। তাই ছাত্রজীবেন যে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা আছে তা সর্বজনস্বীকৃত বলে প্রমাণিত হয়েছে।৭. একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা: পূর্বপ্রস্তুতি— যাত্রা শুরু – পথের অভিজ্ঞতা—পথের অভিজ্ঞতা— ভ্রমণস্থানের পরিচয় ও বিবরণ— ফিরে আসা।
একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা
স্কুলে যখন গরমের ছুটি পড়ল তার দিন দুই বাদে আমাদের দার্জিলিং বেড়াতে যাবার পরিকল্পনা হল। তখন কলকাতায় ভীষণ গরম। যথারীতি রওনা হলাম নির্দিষ্ট দিনে দার্জিলিং মেলে। ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়িতে গিয়ে থামল। ওখান থেকে বাসে, টয় ট্রেনে বা টাটা সুমো বা ছোটো মোটর গাড়ি করে দার্জিলিং যেতে হয়। আমরা বাসে চেপে দার্জিলিং শহরে পৌঁছোলাম। সেখানে একটি হোটেলে উঠলাম। সেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ শোভা দেখতে পেলাম। দার্জিলিং-এ অনেক কিছু দেখার আছে। ঘুম স্টেশন, ম্যাল, জু-গার্ডেন, বৌদ্ধ মঠ, রাজবাড়ি, রোপওয়ে, চা-বাগান প্রভৃতি। সূর্যোদয় দেখার জন্য ভোরবেলা বেরিয়ে পড়লাম টাইগার হিল পাহাড়ের দিকে। দার্জিলিং-এর রাস্তাগুলি পাহাড়ের গা বেয়ে চলেছে এঁকেবেঁকে, কখনও ভীষণ চড়াই কখনও বা উৎরাই। রাস্তার একধারে পাহাড়, অপর ধারে বিশাল খাদ দেখে গা ছমছম করে মাঝে মাঝে। আমরা প্রায় ওখানে সাত দিন ছিলাম। ফিরে আসতে ইচ্ছা করছিল না, ফিরে আসার পর মনে কষ্ট হচ্ছিল।
অতিমারি করোনা ভাইরাস
করোনা ভাইরাস বলতে ভাইরাসের একটি শ্রেণিকে বোঝায় যেগুলি স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখিদেরকে আক্রান্ত করে। মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাস শ্বাসনালীর সংক্রমণ ঘটায়। এই সংক্রমণের লক্ষণ মৃদু হতে পারে, অনেকসময় যা সাধারণ সর্দিকাশির মতো মনে হয়। কিছু ক্ষেত্রে তা অন্যান্য মারাত্মক ভাইরাসের জন্য হয়ে থাকে, যেমন—সার্স, মার্স ও কোভিড-১৯। মানবদেহে সৃষ্ট করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়ানোর মতো কোনো টিকা বা অ্যান্টিভাইরাল অনেক দেশ চেষ্টা করলেও ওষুধ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। করোনা ভাইরাস শব্দটি লাতিন ভাষায় করোনা থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ মুকুট। করোনা ভাইরাস ১৯৩০-এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। প্রথমদিকে মুরগির মধ্যে সংক্রামক ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস হিসেবে এটি প্রথম দেখা যায়। পরে সাধারণ সর্দি-হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এরকম দুই ধরনের ভাইরাস পাওয়া যায়। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে চিনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের একটি প্রজাতির সংক্রমণ দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ‘২০১৯-এনসিওভি’ নামকরণ করে। বিশ্বের প্রায় ২১৩টিরও বেশি দেশের মানুষ করোনা ভাইরাস রোগ ২০১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন ও অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। বিভিন্ন দেশ ‘লকডাউন’ প্রয়োগ করে রোগ সংক্রমণে বাধা দেওয়ার চেষ্টা
করলেও, আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি।
করলেও, আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি।