Sastho o Sarir Sikhha Class 6 Chapter 1 & 2 Question Aaswer
- প্রথম অধ্যায় : দেশাত্মবোধ
- দ্বিতীয় অধ্যায় : প্রাথমিক চিকিৎসা
{tocify} $title={Table of Contents}
❐ আরো পড়ুনঃ ক্লাস - ষষ্ঠ শ্রেণি
প্রথম অধ্যায় : দেশাত্মবোধ
Section-1: Recap Zone
১। মুখ্যশব্দসমূহ সম্বন্ধে জানো :মৌলিক কর্তব্য, গণপরিষদ, ত্রিরঙ্গা, স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতির উদ্দেশ্যে, আয়তক্ষেত্রবিশিষ্ট, ফোটোরশ্মির সাহায্যে অঙ্কিত, অশোকচক্র, ধর্মচক্র, জাতীয় মানক সংস্থা (ISI), অভিবাদন, অর্ধাবনমন, পতাকা উত্তোলন, সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র, জাতীয় পতাকা, আনুগত্য, শপথ, অপব্যবহার, বেআইনি।
উত্তর : বই থেকে নিজে লেখো ?
২। সারণির মধ্যে সমতাবিধান করো : উত্তর সমাধানঃ
বাঁদিকের সঙ্গে | ডানদিকের অংশ মেলাও |
---|---|
(ক) অশোকচক্র | (i) শান্তি ও পবিত্রতার প্রতীক |
(খ) ত্রিবর্ণরঞ্জিত | (ii) সর্বক্ষণ গতিশীলতার প্রতীক |
(খ) ত্রিবর্ণরঞ্জিত | (iii) অবাধ অগ্রগতির প্রতীক |
(ঘ) গেরুয়া রং | (iv) জাতীয় পতাকা |
(ঙ) সাদা রং | (v) সমুদ্র ও আকাশের রং-এর সঙ্গে মিশে যায় |
(চ) নীল রং | (vi) সুজলা-সুফলা সমৃদ্ধ ভূমি ও তারুণ্যের প্রতীক |
(ছ) অশোকচক্রে ২৪টি কাঁটা | (vii) স্বাধীনতা ও শৌর্যের প্রতীক |
Section-2 : Knowledge - Understanding Zone
(ক) যেসব সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় সেই সকল ভবনে রবিবার ও ছুটির দিনসমেত সপ্তাহের সকল দিন জাতীয় পতাকা উত্তোলিত থাকা বাধ্যতামূলক।
উত্তরঃ ✔
(খ) ঝড়-বৃষ্টি যাই হোক, জাতীয় পতাকা উড়বে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
(খ) ঝড়-বৃষ্টি যাই হোক, জাতীয় পতাকা উড়বে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
উত্তরঃ ✔
(গ) কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর সামনে জাতীয় পতাকা নোয়ানো চলবে না।
(গ) কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর সামনে জাতীয় পতাকা নোয়ানো চলবে না।
উত্তরঃ ✔
(ঘ) জাতীয় পতাকার ডানদিকে কিংবা ওপরে অন্য কোনো পতাকার প্রতীক থাকতে পারবে না।
উত্তরঃ ✔
(ঙ) বিশেষ বিশেষ জাতীয় দিনে, যেমন প্রজাতন্ত্র দিবসে, স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা সর্বসাধারণ ব্যবহার করতে পারে।
(ঘ) জাতীয় পতাকার ডানদিকে কিংবা ওপরে অন্য কোনো পতাকার প্রতীক থাকতে পারবে না।
উত্তরঃ ✔
(ঙ) বিশেষ বিশেষ জাতীয় দিনে, যেমন প্রজাতন্ত্র দিবসে, স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা সর্বসাধারণ ব্যবহার করতে পারে।
উত্তরঃ ✔
(চ) রাষ্ট্রীয় বা সামরিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অভোষ্টির সময়ে তাঁদের মৃতদেহ বহনের গাড়ি বা কফিন ঢেকে দেওয়া হয় জাতীয় পতাকা দিয়ে। কিন্তু কোনো অবস্থায় জাতীয় পতাকাটি মৃতদেহের সঙ্গে কবরে বা চিতায় দেওয়া যাবে না।
(চ) রাষ্ট্রীয় বা সামরিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অভোষ্টির সময়ে তাঁদের মৃতদেহ বহনের গাড়ি বা কফিন ঢেকে দেওয়া হয় জাতীয় পতাকা দিয়ে। কিন্তু কোনো অবস্থায় জাতীয় পতাকাটি মৃতদেহের সঙ্গে কবরে বা চিতায় দেওয়া যাবে না।
উত্তরঃ ✔
৪। বহুর মধ্যে সঠিক উত্তরটি খুঁজে বার করে লেখো :
৪। বহুর মধ্যে সঠিক উত্তরটি খুঁজে বার করে লেখো :
(ক) জাতীয় পতাকার ওপরের দিকে থাকে— সবুজ/সাদা/গেরুয়া/লাল রং-এর অংশটি।
(খ) জাতীয় পতাকার সাদা রং কীসের প্রতীক? — ত্যাগ/পবিত্রতা/ শান্তি/আনন্দের প্রতীক।(গ) ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট কখন ভারতের এই জাতীয় পতাকা জাতির উদ্দেশ্যে গণপরিষদের হাতে তুলে দেওয়া হয়? — মধ্যরাত্রিতে/দুপুরবেলায়/সকাল ১০টায় / সকাল ৬টায়।
৫। দু-একটি বাক্যে উত্তর দাও (Group Activity) :
৫। দু-একটি বাক্যে উত্তর দাও (Group Activity) :
(ক) ভারতের জাতীয় পতাকার মাপ কী অনুপাতে হওয়া উচিত?
উত্তর : ভারতের জাতীয় পতাকাটি আয়তক্ষেত্রাবিশিষ্ট এবং আয়তাকার পতাকার দৈর্ঘ্য তার প্রস্থের দেড়গুণ।
(খ) কবে বর্তমান ভারতের জাতীয় পতাকা গণপরিষদের হাতে তুলে দেওয়া হয়?
উত্তর : ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট মধ্যরাত্রিতে জাতীয় পতাকা জাতির উদ্দেশ্যে গণপরিষদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
(গ) কত সালে এবং কবে ভারতের গণপরিষদে ভারতের বর্তমান ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকার নকশা গৃহীত হয়?
উত্তর : ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই।
(ঘ) জাতীয় পতাকার প্রতি আনুগত্যের শপথটি লেখো।
উত্তর : “আমি জাতীয় পতাকার প্রতি এবং যে সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র রূপে ইহার প্রতীক, তাহার প্রতি আমরা আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দিতেছি।”
(ঙ) কী ধরনের জাতীয় পতাকা উত্তোলন বেআইনি?
উত্তর : ছেঁড়া, ফাটা বা বিবর্ণ জাতীয় পতাকা উত্তোলন বেআইনি।
(চ) বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকা কি উত্তোলন করা যায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যায়।
(ছ) ১৯০৫ সালে ভগিনী নিবেদিতা যে জাতীয় পতাকার নকশাটি তৈরি করেন তা আঁকো।
(জ) ১৯২১ সালের গান্ধিজির জাতীয় পতাকাটি কেমন ছিল?
উত্তর : গান্ধিজির পতাকাটি ওপর দিক থেকে সাদা, সবুজ ও লাল তিনটি সমান আড়াআড়ি ভাগ ছিল; আর ছিল মাঝখানে চরকা আঁকা।
(ঝ) ১৮৫৭ সালে কে প্রথম ভারতের স্বাধীনতার জন্য পতাকা উত্তোলন করেন?
উত্তর : সম্রাট বাহাদুর শা জাফর।
৬। উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :
(ক) ভারতের জাতীয় পতাকার সাদা রঙের অংশটিতে মাঝখানে একটি নীল রংয়ের ২৪টি কাঁটাবিশিষ্ট চক্র বসানো থাকে। (খ) কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর সামনে জাতীয় পতাকা নোয়ানো চলবে না। (গ) কোনো মিছিলে জাতীয় পতাকা নিতে হলে মিছিলের সর্বাগ্রে উঁচু করে যোগ্য ব্যক্তিকে ডান কাঁধে পতাকা বহন করতে হবে। (ঘ) জাতীয় শোকপ্রকাশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকার দিনেও জাতীয় পতাকা প্রথমে
উঁচুতে তুলে তারপর দণ্ডের অর্ধেক পর্যন্ত নামাতে হবে। (ঙ) সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক
ধর্মনিরপেক্ষ,গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্রের প্রতীক জাতীয় পতাকা প্রতি আমি আনুগত্যের শপথ নিলাম।(চ) বিশেষ বিশেষ দিনে, যেমন প্রজাতন্ত্র দিবসে, স্বাধীনতা দিবসে, সর্বসাধারণ জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে পারে। (ছ) ১৯২১ সালে গান্ধিজির তৈরি পতাকার ওপর দিক থেকে সাদা, সবুজ ও গেরুয়া তিনটে সমান আড়াআড়ি ভাগ ছিল, আর মাঝখানে চরকা আঁকা।
৭। সত্য/মিথ্যা লেখো :
(ক) জাতীয় পতাকাটি মৃত রাষ্ট্রনায়কের সঙ্গে কবরে বা চিতায় দেওয়া যায়।
(ক) জাতীয় পতাকাটি মৃত রাষ্ট্রনায়কের সঙ্গে কবরে বা চিতায় দেওয়া যায়।
উত্তর : মিথ্যা।
(খ) জাতীয় পতাকার ডানদিকে অন্য কোনো পতাকা রাখা যায়।
উত্তর : মিথ্যা।
(গ) জাতীয় পতাকা তোলার খুঁটির গায়ে কাগজের ছোটো ছোটো পতাকা লাগানো যায়।
উত্তর : মিথ্যা
(ঘ) কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পুরস্কার নেওয়ার সময় দেহের ওপরের অংশে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে পুরষ্কার নিতে যাওয়া আইনসম্মত।
উত্তর : মিথ্যা।
(ঙ) জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা টুপিতে জাতীয় পতাকা ছাপিয়ে ব্যবহার করতে পারে।
উত্তর : মিথ্যা।
(চ) জাতীয় পতাকা সবসময় দ্রুতগতিতে দৃপ্তভঙ্গিতে উত্তোলন বা ওঠানো উচিত।
(খ) জাতীয় পতাকার ডানদিকে অন্য কোনো পতাকা রাখা যায়।
উত্তর : মিথ্যা।
(গ) জাতীয় পতাকা তোলার খুঁটির গায়ে কাগজের ছোটো ছোটো পতাকা লাগানো যায়।
উত্তর : মিথ্যা
(ঘ) কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পুরস্কার নেওয়ার সময় দেহের ওপরের অংশে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে পুরষ্কার নিতে যাওয়া আইনসম্মত।
উত্তর : মিথ্যা।
(ঙ) জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা টুপিতে জাতীয় পতাকা ছাপিয়ে ব্যবহার করতে পারে।
উত্তর : মিথ্যা।
(চ) জাতীয় পতাকা সবসময় দ্রুতগতিতে দৃপ্তভঙ্গিতে উত্তোলন বা ওঠানো উচিত।
উত্তর : সত্য।
(ছ) ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ৩:২।
(ছ) ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ৩:২।
উত্তর : সত্য।
Section-3: Application and Analysis Zone
৮। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দাও :
(ক) ভারতের জাতীয় পতাকার বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : আমাদের জাতীয় পতাকায় তিনটে উজ্জ্বল বর্ণের সমান আকারের তিনটি বন্ধনী। তাই নাম ‘ত্রিরঙা’। পতাকাটি আয়তক্ষেত্রবিশিষ্ট এবং আয়তাকার পতাকার দৈর্ঘ্য তার প্রস্থের দেড়গুণ। পতাকাটি সমপ্রস্থসম্পন্ন তিনটি আয়তক্ষেত্রবিশিষ্ট পৃথক তিনটি বর্ণের অংশ নিয়ে গঠিত, অর্থাৎ তিনটি রঙেরই জমিন সমান। একদম ওপরে গেরুয়া, মধ্যে সাদা ও নীচে সবুজ রং-এর সমাহার। পতাকার সাদা রঙের অংশটির মাঝখানে একটি নীল রঙের ২৪টি কাঁটাবিশিষ্ট চক্র বসানো থাকে। এই চক্রটি মহান সম্রাট অশোকের ‘ধর্মচক্র’-এর অনুকরণ, একে তাই অশোকচক্র বলে। চক্রটি পতাকার উভয় পার্শ্বে ফোটোরশ্মির সাহায্যে অঙ্কিত করা বা উভয়দিকে ছাপানো থাকে। প্রতিটি রং এবং অশোকচক্র বিশেষ দার্শনিক অর্থ প্রকাশ করে। যেমন— গেরুয়া : ত্যাগ বা স্বার্থহীনতা ও শৌর্যের প্রতীক। সাদা : শান্তি ও পবিত্রতার প্রতীক। গাঢ় সবুজ : জীবনধর্ম, নিৰ্ভীকতা, সুজলা-সুফলা সমৃদ্ধ ভূমি এবং তারুণ্যের প্রতীক। অশোকচক্রটি : দেশের উন্নতি ও প্রগতির প্রতীক। অশোকচক্রের নীল রং সমুদ্র আর আকাশের রঙের সঙ্গে মিলে যায়। এটা তাই দেশের অবাধ অগ্রগতির প্রতীক। অশোকচক্রের ২৪টি কাঁটা দিয়ে বোঝা যায় এই গতি সর্বক্ষণের।
(খ) জাতীয় পালনীয় দিবসগুলিতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার সম্বন্ধে সংক্ষিপ্তাকারে প্রকাশ করো।
উত্তর : জাতীয় পতাকা দেশের মর্যাদার প্রতীক। বিশেষ বিশেষ জাতীয় দিনে, যেমন প্রজাতন্ত্র দিবসে, স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা সর্বসাধারণ ব্যবহার করতে পারে।
(গ) অশোকচক্রটি কীসের প্রতীক যুক্তিসহ লেখো।
উত্তর : আমাদের জাতীয় পতাকার ঠিক মাঝখানের সাদা অংশে থাকে অশোকচক্র। অশোকচক্রের নীল রং সমুদ্র আর আকাশের রঙের সঙ্গে মিলে যায়। এটি দেশের উন্নতি ও প্রগতির প্রতীক বলে এটি অবাধ অগ্রগতির প্রতীক।
(ঘ) ভারতের জাতীয় পতাকাকে ‘ত্রিরঙ্গা' বলা হয় কেন তার সম্বন্ধ স্থাপন করো।
উত্তর : আমাদের জাতীয় পতাকায় তিনটি উজ্জ্বল বর্ণের সমান আকারের ও সমমাপের তিনটি বর্ণ। তিনটি বর্ণ হল—ওপরে গেরুয়া, মধ্যে সাদা ও নীচে সবুজ। তাই আমাদের জাতীয় পতাকাকে ‘ত্রিরঙ্গা’ বলা হয়।
Section-4 : High Order Thinking Zone
৯। ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন :
(ক) ছবিসহ ভারতের জাতীয় পতাকায় ব্যবহৃত রংগুলির তাৎপর্যগুলি বর্ণনা করো :
উত্তর : জাতীয় পতাকায় ব্যবহৃত রংগুলি বিশেষ দার্শনিক অর্থ প্রকাশ করে। যেমন—
- গেরুয়া : ত্যাগ, স্বার্থহীনতা ও সৌর্যের প্রতীক।
- সাদা : শান্তি ও পবিত্রতার প্রতীক।
- গাঢ় সবুজ : নিৰ্ভীকতা, সুজলা-সুফলা সমৃদ্ধ ভূমি এবং তারুণ্যের প্রতীক।
Section-5: Project Zone
১০। প্রকল্প (যে-কোনো একটি) :(ক) স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের একটি সামগ্রিক অনুষ্ঠানসূচি তৈরি করো এবং প্রতি মিনিটের অনুষ্ঠান ও তা কীভাবে কার্যকর হবে এবং জাতীয় পতাকা কবে, কীভাবে, কখন ব্যবহার করা হবে তার বর্ণনা বিস্তারিতভাবে দাও।
(খ) জাতীয় পতাকার আদর্শ ব্যবহারবিধির ছবিসহ একটি প্রতিবেদন তৈরি করো।
(গ) ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকা বিষয়ক সচেতনতামূলক একটি সমীক্ষাভিত্তিক প্রতিবেদন তৈরি করো।
উত্তর: তোমার শিক্ষক/শিক্ষিকার পরামর্শমতো উত্তর লেখো।
দ্বিতীয় অধ্যায় : প্রাথমিক চিকিৎসা
Section-1: Recap Zone
১। মুখ্য শব্দসমূহ : প্রাথমিক চিকিৎসা, শ্বাসকষ্টজনিত অসুবিধা, রক্তক্ষরণ, স্নায়বিক আঘাত, অচৈতন্য ব্যক্তি, বিষক্রিয়া, অস্থিভঙ্গ, রক্তপাত, প্রতিবিধান, আঘাত, মারকিউরোক্রোম, শীতলকারক, হিট স্ট্রোক, সেলসিয়াস, মস্তিষ্কের তাপনিয়ন্ত্রক কোশ, ঘর্মগ্রন্থি, খিঁচুনি, শরীর ঠান্ডা, হূৎপিণ্ড, গুরুপাক, ফাস্টফুড, স্ট্রেচার।
উত্তর : বই থেকে নিজে লেখো ?
উত্তর : বই থেকে নিজে লেখো ?
Section-2 (Group Work) : প্রাথমিক চিকিৎসা কর্মপত্র
২। উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :
(ক) অসুস্থতায় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার অবকাশকালীন সময়ে অসুস্থ ব্যক্তির জীবনরক্ষা ও আঘাতের সাময়িক নিরাময়ের যে বিজ্ঞানসম্মত সাহায্য বা শুশ্রুষা করা হয় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলে। (খ) প্রাথমিক প্রতিবিধানকারীর লক্ষ্য আহত ব্যক্তিবর্গের জীবনরক্ষা করা। (গ) আহত বা অসুস্থ বা আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার বিষয়টি প্রাথমিক প্রতিবিধানকারীর কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। (ঘ) চিকিৎসার সহায়তা না পাওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক প্রতিবিধানকারীকে প্রাথমিক প্রতিবিধান চালিয়ে যেতে হবে। (ঙ) প্রাথমিক চিকিৎসাকারীকে হতে হবে সতর্ক বিচারশীল ও নির্ভীক। (চ) প্রতিবিধানকারীর লক্ষ্য অসুস্থ ব্যক্তিকে অবস্থার অবনতি রোধ করা। (ছ) প্রাথমিক প্রতিবিধানকারীকে চিকিৎসার প্রত্যেকটি কাজকে যথাযথ অগ্রাধিকার দিয়ে সমস্ত কাজ নির্বাহ করতে হবে। (জ) আহত ব্যক্তির শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে দ্রুত কৃত্রিম শ্বাসকার্য চালানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। (ঝ) লিউকোপ্লাস্ট একপ্রকার ড্রেসিং। (ঞ) ক্ষতিকারক পক্ষে ক্ষতিকারক, এইরূপ কোনো কাজ করা উচিত নয়। (ট) আহত ব্যক্তিকে আশ্বস্ত করে শান্ত রাখতে হবে। (ঠ) বিদ্যালয়ের প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে কিছু প্রয়োজনীয় ঔষধ বা জীবাণুনাশক থাকা আবশ্যক। (ড) আঘাতের ফলে সাধারণ কেটে যাওয়া বা ছড়ে যাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসায় মারকিউরোক্রোম ব্যবহার করা হয়। (ঢ) শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে গেলে হিট স্ট্রোক হতে পারে। (ণ) মারকিউরোক্রোম সলিউশনের রং লাল ।
৩। সত্য/মিথ্যা লেখো :
(ক) রোগীর পক্ষে ক্ষতিকারক, এইরূপ কোনো কাজ করা উচিত নয়।
(ক) রোগীর পক্ষে ক্ষতিকারক, এইরূপ কোনো কাজ করা উচিত নয়।
উত্তর : সত্য।
(খ) অপ্রয়োজনে রোগীর গায়ের বস্ত্র উন্মোচন করা উচিত নয়।
(খ) অপ্রয়োজনে রোগীর গায়ের বস্ত্র উন্মোচন করা উচিত নয়।
উত্তর : সত্য।
(গ) রোগীর কাছ থেকে জনতার ভিড় সরিয়ে দিয়ে হাওয়া বাতাসের প্রবাহ অব্যাহত রাখতে হবে।
(গ) রোগীর কাছ থেকে জনতার ভিড় সরিয়ে দিয়ে হাওয়া বাতাসের প্রবাহ অব্যাহত রাখতে হবে।
উত্তর : সত্য।
(ঘ) কোনো ক্ষেত্রেই রোগীর আঘাতের কারণ অনুসন্ধানের প্রয়োজন নেই।
(ঘ) কোনো ক্ষেত্রেই রোগীর আঘাতের কারণ অনুসন্ধানের প্রয়োজন নেই।
উত্তর : মিথ্যা।
(ঙ) দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে ডাক্তারের কাছে পাঠাতে হবে।
(ঙ) দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে ডাক্তারের কাছে পাঠাতে হবে।
উত্তর : সত্য।
(চ) ছোটো কাটা, ছুঁড়ে যাওয়া বা থেঁতলে যাওয়া স্থান পরিষ্কার করতে তরল জীবাণুনাশকের ব্যবহার করা হয়।
(চ) ছোটো কাটা, ছুঁড়ে যাওয়া বা থেঁতলে যাওয়া স্থান পরিষ্কার করতে তরল জীবাণুনাশকের ব্যবহার করা হয়।
উত্তর : সত্য।
(ছ) যন্ত্রণা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি দিতে শীতলকারক স্প্রে ব্যবহার করা হয়।
(ছ) যন্ত্রণা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি দিতে শীতলকারক স্প্রে ব্যবহার করা হয়।
উত্তর : সত্য।
(জ) হিট স্ট্রোকের ক্ষেত্রে বমিবমি ভাব থাকলেও বমি হয় না।
(জ) হিট স্ট্রোকের ক্ষেত্রে বমিবমি ভাব থাকলেও বমি হয় না।
উত্তর : সত্য।
(ঝ) প্রবল গরমে শরীরের তাপমাত্রা আচমকা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে মস্তিষ্কের তাপনিয়ন্ত্রক কোশটি সাময়িকভাবে বিকল হলে শরীরের তাপ বাইরে বেরোতে পারে না।
(ঝ) প্রবল গরমে শরীরের তাপমাত্রা আচমকা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে মস্তিষ্কের তাপনিয়ন্ত্রক কোশটি সাময়িকভাবে বিকল হলে শরীরের তাপ বাইরে বেরোতে পারে না।
উত্তর : সত্য।
(ঞ) দেহের ঘাম বেরোনো বন্ধ হয়ে গিয়ে চামড়ার রং লালচে হয়ে যাওয়া হিট স্ট্রোকের একটি উপসর্গ।\
(ঞ) দেহের ঘাম বেরোনো বন্ধ হয়ে গিয়ে চামড়ার রং লালচে হয়ে যাওয়া হিট স্ট্রোকের একটি উপসর্গ।\
উত্তর : সত্য।
৫। তোমার শেখা প্রাথমিক চিকিৎসার একটি বিষয়কে রোল প্লে করে দেখাও।
উত্তর : নিজে করো ১. (ঘ), ২. (গ), ৩. (ক), ৪. (খ), ৫. (৬)
(ক) প্রাথমিক চিকিৎসা কাকে বলে?
উত্তর : কোনো আকস্মিক দুর্ঘটনায় বা অসুস্থতায় ডাক্তার আসার আগে বা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার অবকাশকালীন সময়ে আহত বা অসুস্থ ব্যক্তির জীবনরক্ষা ও আঘাতের সাময়িক নিরাময়ে যে বিজ্ঞানসম্মত সাহায্য বা শুশ্রূষা করা হয়, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বা প্রাথমিক প্রতিবিধান বলে।
(খ) প্রাথমিক প্রতিবিধানের লক্ষ্য কী?
উত্তর : (১) আহত বা অসুস্থ ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের জীবনরক্ষা করা। (২) আহত বা অসুস্থ ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের অবস্থার ক্রমাবনতি রোধ করা। (৩) আহত বা অসুস্থ ব্যক্তির অবস্থার ক্রমোন্নতিতে জরুরিকালীন পরিসেবা প্রস্তুত রাখা।
(গ) মারকিউরোক্রোম কী?
উত্তর : আঘাতের ফলে সাধারণ কেটে-যাওয়া বা ছড়ে-যাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসায় যে জীবাণুনাশক তরল ওষুধটি ব্যবহার করা হয়, তাকে মারকিউরোক্লোম বলে। এই ওষুধটি লাল রঙের হয়।
(ঘ) প্রাথমিক চিকিৎসা বলতে কী বোঝো?
উত্তর : আকস্মিক দুর্ঘটনা বা অসুস্থ হলে ডাক্তার আসার আগে রোগীর নিরাময়ের জন্য যে বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাই হল প্রাথমিক চিকিৎসা।
(ঙ) স্প্লিন্ট কী?
উত্তর : স্প্লিন্ট হল প্রাথমিক চিকিৎসার ছোটো-বড়ো একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ। অস্থিভঙ্গের ক্ষেত্রে স্প্লিন্ট ব্যবহৃত হয়।
(চ) হিট স্ট্রোকের কারণগুলি কী কী?
উত্তর : নিজে করো। কখনো কখনো শরীরে জল ও খনিজ পদার্থ কমে যায়। ঘাম হয় না, ত্বক লাল হয়ে তেতে ওঠে, বমি, আচ্ছন্নতা, জ্ঞান হারানো, মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে হিট স্ট্রোক হলে।
(ছ) শীতলকারক স্প্রে কী কাজে লাগে?
উত্তর : শিশুরা খেলাধূলা করার সময় কাটাছেঁড়া ছাড়া, পেশি বা হাড়ে আঘাত পেতে পারে। এই যন্ত্রণা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি দিতে হলে শীতলকারক স্প্রে একান্ত প্রয়োজন। এই জাতীয় স্প্রে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানটিকে ঠান্ডা করে ও যন্ত্রণা দূর হয়।
(জ) প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সের দুটি উপকরণ-এর নাম লেখো।
উত্তর : উপকরণ : ১. বিভিন্ন প্রকার ড্রেসিং (গোটানো ব্যান্ডেজ, ত্রিকোণ ব্যান্ডেজ, জীবাণুমুক্ত তুলোর প্যাকেট, জীবাণুমুক্ত গজের প্যাকেট ও লিউকোপ্লাস্ট ২. বিভিন্ন প্রকার ওষুধ।
৭। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
(ক) প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়—
(i) ডাক্তারের দেখার পর
(ii) ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে
(iii) রোগ থেকে সেরে ওঠার পর
(iv) হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পর।
(খ) প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সের গায়ে লাল রং-এর কোন প্রতীক চিহ্নটি থাকে?
(i) “+” চিহ্ন
(ii) “X” চিহ্ন
(iii) “H” চিহ্ন
(iv) “T” চিহ্ন।
(গ) ‘স্প্লিন্ট’ ব্যবহার করা হয়—
(i) রক্তপাত বন্ধ করতে
(ii) মাথাব্যাথার জন্য
(iii) অস্থিভঙ্গের ক্ষেত্রে
(iv) জ্বর কমাবার জন্য।
৮। বাঁ পাশের বাক্যাংশের সঙ্গে ডান পাশের বাক্যাংশ মিলিয়ে লেখো :
৮। বাঁ পাশের বাক্যাংশের সঙ্গে ডান পাশের বাক্যাংশ মিলিয়ে লেখো :
(i) প্রাথমিক চিকিৎসক | (ক) সতর্ক, বিচারশীল |
---|---|
(ii) ডেটল | (খ) তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি |
(iii) ড্রেসিং | (গ) ত্রিকোণ ব্যান্ডেজ |
(iv) হিট স্ট্রোক | (ঘ) জীবাণুনাশক |
Section-3: Application and Analysis Zone
৯। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :(১) প্রাথমিক চিকিৎসার সুবর্ণ নিয়মগুলি তালিকাভুক্ত করো।
উত্তর : প্রাথমিক চিকিৎসার সুবর্ণ নিয়ম : প্রাথমিক চিকিৎসাকারীকে হতে হবে সতর্ক, বিচারশীল, সদাজাগ্রত ও নির্ভীক। তাই প্রাথমিক চিকিৎসার সুবর্ণ নিয়মগুলি হল—
- ধীরস্থিরভাবে প্রত্যেকটি কাজকে যথাযথ অগ্রাধিকার দিয়ে সমস্ত কাজ নির্বাহ করতে হবে।
- শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে বা শ্বাস বন্ধ থাকলে দ্রুত শ্বাসকার্য চালানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
- দ্রুত রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে হবে।
- শক্-এর চিকিৎসা করতে হবে।
- রোগীর পক্ষে ক্ষতিকারক, এইরূপ কোনো কাজ করা উচিত নয়।
- আহতকে আশ্বস্ত করে শান্ত রাখতে হবে।
- অপ্রয়োজনে রোগীর গায়ের বস্তু উন্মোচন করা উচিত নয়।
- জনতার ভিড় সরিয়ে দিয়ে হাওয়া-বাতাসের প্রবাহ অব্যাহত রাখতে হবে।
- আঘাতের কারণ অনুসন্ধান করতে হবে।
- রোগীর স্থানান্তরকরণের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে দ্রুত সে ডাক্তারের চিকিৎসা পায়।
(২) প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে কী কী উপাদান থাকা দরকার তার নাম লেখো।
উত্তর : প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে নিম্নলিখিত সরঞ্জামগুলি থাকা দরকার— (ক) বিভিন্ন প্রকার ড্রেসিং : (১) ১০টি ১”, ২”, ৩” জীবাণুমুক্ত গোটানো ব্যান্ডেজ। (২) ১০টি ত্রিকোণ ব্যান্ডেজ। (৩) ৩টি জীবাণুমুক্ত তুলোর প্যাকেট। (৪) ৫টি জীবাণুমুক্ত গজের প্যাকেট (৫) ২টি লিউকেপ্লাস্ট। (খ) বিভিন্ন প্রকার ওষুধ : মারকিউরোক্রোম, সাধারণ স্যালাইন বোতল, তরল জীবাণুনাশক, গ্লুকোজ, শীতলকারক স্প্রে, বেটাডিন, পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, চিনির দানা। (গ) বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রপাতি : ৫” কাঁচি, সেফটিপিন (১ বাক্স), নোটবুক, পেনসিল, চামচ, টর্চলাইন, ড্রেসিং ফরসেপ, ব্লেড ইত্যাদি। (ঘ) প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় উপকরণ : ফার্স্ট এইড বক্স, স্ট্রেচার, আইস বক্স, ছোটো-বড়ো স্প্লিন্ট, ও.আর.এস।
৩। হিট স্ট্রোকের কারণগুলি লেখো।
উত্তর : হিট স্ট্রোকের কারণগুলি হল : প্রচণ্ড গরমে, গরমকালে কঠিন পরিশ্রম করলে, অনেকসময় রোদে থাকলে শরীরের ভিতরের তাপমাত্রা আচমকা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে গিয়ে মস্তিষ্কের তাপনিয়ন্ত্রক কোশটি সাময়িকভাবে বিকল হয়ে যায়। ফলে শরীরের তাপ বাইরে বেরতে পারে না। শরীরে দুর্বলতা ও অস্থির ভাব দেখা যায়। দিব্যি সুস্থ-সবল মানুষও এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শিশু ও পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে এই বিপদ সবচেয়ে বেশি। মস্তিষ্কের তাপনিয়ন্ত্রককেন্দ্র সচল থাকলে দেহের তাপমাত্রা বাড়তে পারে না। কারণ এটি বাইরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ঘর্মগ্রন্থিগুলির সক্রিয়তা বাড়ায়, ত্বকের তাপমাত্রা শুষে নিয়ে ঘাম বাষ্পীভূত হয়।
(৪) হিট স্ট্রোক কীভাবে প্রতিরোধ করা যেতে পারে তার একটা পরিকল্পনা তৈরি করো।
উত্তর :(১) তাপপ্রবাহের সময় রাস্তায় বেরোনো এড়িয়ে চলতে হবে। (২) রোদে স্কুলে/বাড়িতে যেতে হলে, শ্রেণিকক্ষের বাইরে বেরোলে ছাতা, টুপি, মুখে রুপাল/ওড়না, হাত-পা ঢাকা হালকা পোশাক পরতে হবে। (৩) যতটা সম্ভব সুতির হালকা ঢিলেঢালা জামাকাপড় পরতে হবে। (৪) রোগে বেরোনোর আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেয়ে বেরোতে হবে। ঘরের বাইরে বেরোলে সবসময় নিরাপদ পানীয় জল সঙ্গে রাখতে হবে। (৫) কিছুক্ষণ অন্তর ও.আর.এস বা নুন-চিনি মিশ্রিত নিরাপদ পানীয় জল বা ফলের রস পান
করতে হবে। (৬) একটানা অনেকক্ষণ রোদে না হেঁটে গাছের ছায়ায় বা বিশ্রামালয়ে বিশ্রাম নিতে হবে, বা তুলনামূলক ঠান্ডা জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে। (৭) বাড়ির খাবার বা মিড-ডে মিলের খাবারে প্রতিদিন অতিরিক্ত তেলমশলা ছাড়া সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। রসালো ফল ও ওই ঋতুর যে যে ফল পাওয়া যায় তা খেতে হবে। (৮) বাড়িতে বা স্কুলের রান্না করা খাবারে যাতে পচন না ঘটে তার জন্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। (৯) বাড়ির বাইরে বেরোলে ঘাম মুছে ফেলার রুমাল রাখতে হবে। (১০) রোগী জ্ঞান হারালে কৃত্রিম শ্বাসপ্রক্রিয়া চালু করতে হবে এবং দ্রুত স্থানীয় চিকিৎসালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
উত্তর :(১) তাপপ্রবাহের সময় রাস্তায় বেরোনো এড়িয়ে চলতে হবে। (২) রোদে স্কুলে/বাড়িতে যেতে হলে, শ্রেণিকক্ষের বাইরে বেরোলে ছাতা, টুপি, মুখে রুপাল/ওড়না, হাত-পা ঢাকা হালকা পোশাক পরতে হবে। (৩) যতটা সম্ভব সুতির হালকা ঢিলেঢালা জামাকাপড় পরতে হবে। (৪) রোগে বেরোনোর আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেয়ে বেরোতে হবে। ঘরের বাইরে বেরোলে সবসময় নিরাপদ পানীয় জল সঙ্গে রাখতে হবে। (৫) কিছুক্ষণ অন্তর ও.আর.এস বা নুন-চিনি মিশ্রিত নিরাপদ পানীয় জল বা ফলের রস পান
করতে হবে। (৬) একটানা অনেকক্ষণ রোদে না হেঁটে গাছের ছায়ায় বা বিশ্রামালয়ে বিশ্রাম নিতে হবে, বা তুলনামূলক ঠান্ডা জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে। (৭) বাড়ির খাবার বা মিড-ডে মিলের খাবারে প্রতিদিন অতিরিক্ত তেলমশলা ছাড়া সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। রসালো ফল ও ওই ঋতুর যে যে ফল পাওয়া যায় তা খেতে হবে। (৮) বাড়িতে বা স্কুলের রান্না করা খাবারে যাতে পচন না ঘটে তার জন্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। (৯) বাড়ির বাইরে বেরোলে ঘাম মুছে ফেলার রুমাল রাখতে হবে। (১০) রোগী জ্ঞান হারালে কৃত্রিম শ্বাসপ্রক্রিয়া চালু করতে হবে এবং দ্রুত স্থানীয় চিকিৎসালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
Section-4 : High Order Thinking Skill Zone
ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন :
(১) প্রাথমিক চিকিৎসা বলতে কী বোঝো লেখো।
উত্তর : সাধারণভাবে আমরা জানি যে, কোনো আকস্মিক দুর্ঘটনায় বা অসুস্থতায় ডাক্তার আসার আগে বা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার অবকাশকালীন সময়ে আহত বা অসুস্থ ব্যক্তির জীবনরক্ষা ও আঘাতের সাময়িক নিরাময়ে যে বিজ্ঞানসম্মত সাহায্য বা শুশ্রূষা করা হয়, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বা প্রাথমিক প্রতিবিধান বলে।
(২) FIRST AID-এর ইংরেজি অক্ষরগুলির আক্ষরিক অর্থগুলি কী লেখো।
- F = Fast = দ্রুত (যেতে হবে)
- I = Investigation = (অনুসন্ধান করতে হবে)
- R = Resourceful = উপায়ক্ষম (হতে হবে)
- S = Suitable = সঠিক ( ভাবে করতে হবে)
- T = Treatment = চিকিৎসা (প্রাকচারণ দিয়ে)
- A = Arrange = ব্যবস্থা করতে হবে)
- I = Immediate = তৎক্ষণাৎ (গুরুত্ব অনুযায়ী)
- D = : Disposal = ছেড়ে দেওয়া (হাসপাতালে/ডাক্তারখানায়/বাড়ি পাঠানো)
(৩) প্রাথমিক প্রতিবিধানের লক্ষ্যগুলি আলোচনা করো।
উত্তর : প্রাথমিক প্রতিবিধানের লক্ষ্য : ১। আক্রান্তদের আক্রান্তের কারণ/স্থান থেকে অপসারিত করতে হবে। ২। আক্রান্তদের দ্রুত আরোগ্যলাভ একমাত্র লক্ষ্য হওয়া দরকার। ৩। চিকিৎসার প্রয়োজন অনুযায়ী প্রাধান্য দিতে হবে—
উত্তর : প্রাথমিক প্রতিবিধানের লক্ষ্য : ১। আক্রান্তদের আক্রান্তের কারণ/স্থান থেকে অপসারিত করতে হবে। ২। আক্রান্তদের দ্রুত আরোগ্যলাভ একমাত্র লক্ষ্য হওয়া দরকার। ৩। চিকিৎসার প্রয়োজন অনুযায়ী প্রাধান্য দিতে হবে—
- শ্বাসকষ্টজনিত অসুবিধা ও হৃদযন্ত্রের অস্বাভাবিকতাজনিত রোগ।
- অত্যধিক রক্তক্ষরণ ও স্নায়বিক আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
- অচৈতন্য ব্যক্তি।
- বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি।
- মারাত্মক পুড়ে যাওয়া ব্যক্তি।
- অস্থিভঙ্গ ও মস্তিষ্কে আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
- স্বল্প রক্তপাত হচ্ছে এমন ব্যক্তি।
- চিকিৎসার বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সহায়তা না পাওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক প্রতিবিধানকারীকে প্রাথমিক প্রতিবিধান চালিয়ে যেতে হবে।
৪। প্রাথমিক প্রতিবিধানের সুবর্ণ নিয়মগুলি বর্ণনা করো।
উত্তর : প্রাথমিক চিকিৎসাকারীকে হতে হবে সতর্ক, বিচারশীল, সদা জাগ্রত ও নির্ভীক। তাই প্রাথমিক চিকিৎসার সুবর্ণ নিয়মগুলি হল :
উত্তর : প্রাথমিক চিকিৎসাকারীকে হতে হবে সতর্ক, বিচারশীল, সদা জাগ্রত ও নির্ভীক। তাই প্রাথমিক চিকিৎসার সুবর্ণ নিয়মগুলি হল :
- ধীরস্থিরভাবে প্রত্যেকটি কাজকে যথাযথ অগ্রাধিকার দিয়ে সমস্ত কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
- শ্বাস বন্ধ হওয়ার অবস্থা হলে বা শ্বাস বন্ধ থাকলে দ্রুত শ্বাসকার্য চালানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
- দ্রুত রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে হবে।
- অভিঘাত শক-এর চিকিৎসা করতে হবে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থার মাধ্যমে।
- রোগীর পক্ষে ক্ষতিকারক, এরূপ কোনো কাজ করা উচিত নয়।
- আহতকে আশ্বস্ত করে সান্ত্বনা দিয়ে রাখতে হবে।
- অপ্রয়োজনে রোগীর গায়ের বস্ত্র খোলানো উচিত নয়।
- জনতার ভিড় সরিয়ে দিয়ে হাওয়া-বাতাসের প্রবাহ অব্যাহত রাখতে হবে।
- আঘাতের কারণ অনুসন্ধান করতে হবে।
- রোগীর স্থানান্তকরণের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে দ্রুত সে ডাক্তারের চিকিৎসা পায়।
(৫) মারকিউক্রোম সলিউশনের ব্যবহার সম্বন্ধে যা জানো নিজের মতো করে লেখো।
উত্তর : মারকিউক্লোম জীবাণুনাশক তরল ওষুধটি লাল রঙের হয়, তাই আমরা একে ‘লাল ওষুধ’ নামেই চিনি। আঘাতের ফলে সাধারণ কেটে-যাওয়া বা ছড়ে যাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা যায়।
ব্যবহার : দিনে তিনবার আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে ব্যবহার করা যায় এবং ব্যবহারের পর ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করে ঢেকে রাখতে হবে।
উত্তর : মারকিউক্লোম জীবাণুনাশক তরল ওষুধটি লাল রঙের হয়, তাই আমরা একে ‘লাল ওষুধ’ নামেই চিনি। আঘাতের ফলে সাধারণ কেটে-যাওয়া বা ছড়ে যাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা যায়।
ব্যবহার : দিনে তিনবার আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে ব্যবহার করা যায় এবং ব্যবহারের পর ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করে ঢেকে রাখতে হবে।
(৬) শীতলকারক স্প্রে-র ব্যবহার ও সুবিধা সম্বন্ধে তুমি যা জানো লেখো।
উত্তর : শিশুরা খেলাধুলা করার সময় কাটাছেঁড়া ছাড়া পেশি বা হাড়ে আঘাত পেতে পারে। সেক্ষেত্রে স্থানটি ফুলে যন্ত্রণা হতে পারে। এই যন্ত্রণা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি দিতে হলে হাতের কাছে শীতলকারক স্প্রে রাখা দরকার। এই জাতীয় স্প্রে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানটিকে ঠান্ডা করে ও যন্ত্রণা দূর হয়। ব্যবহার : আঘাত লাগার সঙ্গে সঙ্গে ওই স্থানে শীতলকারক স্প্রে দিয়ে স্থানটি উঁচু করে রাখা প্রয়োজন। প্রয়োজনে ব্যান্ডেজ বেঁধে রাখতে হবে।
(৭) একটি প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সে কী কী উপাদান রাখা উচিত বলে তুমি মনে করো তা বর্ণনা করো।
উত্তর : প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে নিম্নলিখিত সরঞ্জামগুলি থাকা দরকার—
- (ক) বিভিন্ন প্রকার ড্রেসিং : (১) ১০টি ১”, ২”, ৩” জীবাণুমুক্ত গোটানো ব্যান্ডেজ। (২) ১০টি ত্রিকোণ ব্যান্ডেজ। (৩) ৩টি জীবাণুমুক্ত তুলোর প্যাকেট। (৪) ৫টি জীবাণুমুক্ত গজের প্যাকেট (৫) ২টি লিউকেপ্লাস্ট।
- (খ) বিভিন্ন প্রকার ওষুধ : মারকিউরোক্রোম, সাধারণ স্যালাইন বোতল, তরল জীবাণুনাশক, গ্লুকোজ, শীতলকারক স্প্রে, বেটাডিন, পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, চিনির দানা।
- (গ) বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রপাতি : ৫” কাঁচি, সেফটিপিন (১ বাক্স), নোটবুক, পেনসিল, চামচ, টর্চলাইন, ড্রেসিং ফরসেপ, ব্লেড ইত্যাদি।
- (ঘ) প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় উপকরণ : ফার্স্ট এইড বক্স, স্ট্রেচার, আইস বক্স, ছোটো-বড়ো স্প্লিন্ট, ও.আর.এস।
উত্তর : শিক্ষক/শিক্ষিকার নির্দেশ অনুসারে নিজে লেখো।
(৯) প্রাথমিক চিকিৎসার কারণগুলি পর্যায়ক্রমিক বর্ণনা করো।
উত্তর : প্রাথমিক চিকিৎসা যে-কোনো আহত ব্যক্তির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই চিকিৎসার পর্যায়গুলি হল— (ক) দ্রুত অকুস্থলে যেতে হবে, (খ) কী হয়েছে তা অনুসন্ধান করতে হবে, (গ) চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে উপায়ক্ষম হতে হবে, (ঘ) সঠিকভাবে চিকিৎসা করতে হবে, (ঙ) উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে, (চ) চিকিৎসার ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে, (ছ) প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহত ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে বা ডাক্তারখানায় বা বাড়ি পাঠাতে হবে।
(১০) তাপপ্রবাহজনিত অসুস্থতার উপসর্গগুলি বর্ণনা করো।
উত্তর : (১) বমিবমি ভাব থাকলেও বমি হয় না। (২) চলাফেরা করবার ক্ষমতা লোপ পায়, শরীর দুর্বল ও অবশ হয়ে যায় ক্লান্তিতে। (৩) হৃদপিণ্ডের গতি বাড়ে, নাড়ি দ্রুত আর ক্ষীণ হয়ে যায়। (৪) ঘাম বেরোনো বন্ধ হয়ে গিয়ে চামড়ার রং লালচে হয়ে যায়। (৫) শরীরের জল কমে গিয়ে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। (৬) শরীরে ঝিমুনিভাব দেখা দেয়। (৭) শরীর ঠান্ডা ও স্যাঁতসেঁতে হয়ে যেতে পারে। (৮) রোগী জ্ঞান হারাতে পারে। (৯) এ ছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম ও শরীরে জল কমে গিয়ে পেশিতে অনেকসময় টান বা খিঁচুনি দেখা দিতে পারে।
(১১) তাপপ্রবাহজনিত অসুস্থতা কেন দেখা যায় ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : প্রবল গরমে, গরমকালে কঠিন পরিশ্রম করলে, অনেকসময় রোদে থাকলে শরীরের ভিতরের তাপমাত্রা আচমকা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে গেলে মস্তিষ্কের তাপনিয়ন্ত্রক কোশটি সাময়িকভাবে বিকল হয়ে যায়। ফলে শরীরের তাপ বাইরে বেরোতে পারে না। শরীরে দুর্বলতা ও অস্থির ভাব দেখা যায়। দিব্যি সুস্থ-সবল মানুষও এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত
হতে পারে। শিশু ও পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে এই বিপদ সবচেয়ে বেশি। মস্তিষ্কের তাপনিয়ন্ত্রক কেন্দ্র সচল থাকলে দেহের তাপমাত্রা বাড়তে পারে না। কারণ এটি বাইরেব তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ঘর্মগ্রন্থিগুলির সক্রিয়তা বাড়ায়, ত্বকের তাপমাত্রা শুষে নিয়ে ঘামবাষ্পীভূত হয়। এতে শরীরের ভিতরের তাপমাত্রা বাড়তে পারে না। কিন্তু ঘাম বেরোনো বন্ধ হয়ে গেলে বুঝতে হবে, দেহের তাপনিয়ন্ত্রক
কেন্দ্র আর কাজ করছে না। ফলে শরীরের তাপ বাইরে বেরোতে পারে না। বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়ে, শরীরের ভিতরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে যে সংকট সৃষ্টি হয় তাকে হিট স্ট্রোক বলে।
- প্রথম পর্যায়ক্রমি মূল্যায়নের নমুনা প্রশ্নপত্র প্র্যাকটিস
- 📥PDF স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা
Section-5: Project Zone
প্রকল্প
(১) প্রত্যেক শিক্ষার্থী এক-একটি প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি সঠিকভাবে আয়ত্ত করার পর মকড্রিল করে আহত ও অসুস্থ ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা করবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।(২) তাপপ্রবাহজনিত অসুস্থতা থেকে বাঁচতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সে বিষয়ে পোস্টার তৈরি করে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনসাধারণকে সচেতন করার প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
উত্তর শিক্ষক/শিক্ষিকার পরামর্শ মতো নিজে করো।
Tags : ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা,ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা,সপ্তম শ্রেণি স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা সপ্তম শ্রেণি,সপ্তম শ্রেণীর স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা,ষষ্ঠ শ্রেণীর স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা,স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা ষষ্ঠ শ্রেণি ২০২১,ষষ্ঠ শ্রেণির স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা ষষ্ঠ শ্রেণি পূর্ণমান ৫০,অষ্টম শ্রেণি স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা ষষ্ঠ অধ্যায়,#ষষ্ঠ শ্রেণীর স্বাস্থ্য ও শরীর শিক্ষা