দশম শ্রেণি বাংলা গল্প জ্ঞানচক্ষু | জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন উত্তর
❏ প্রথম পাঠঃ জ্ঞানচক্ষু লেখিকা পরিচিতি :
কলকাতার পটলডাঙার মামাবাড়িতে ২৪ পৌষ, ১৩১৫ (ইং ৮ জানুয়ারি, ১৯০৯) শুক্রবার আশাপূর্ণা দেবীর জন্ম হয়। বৃন্দাবন বসু লেনের একটি অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী ও রক্ষণশীল একান্নবর্তী পরিবারে তাঁর ছোটোবেলা কেটেছিল। ঠাকুমার রক্ষণশীলতা ও কঠোর শাসনে বাড়ির মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠগ্রহণ নিষেধ ছিল। পরিবারের ছেলেদের জন্যই কেবল গৃহশিক্ষক নিযুক্ত ছিল। শোনা যায়, শিশু আশাপূর্ণা তাঁর ভাইদের পড়াশোনার সময় তাদের সামনে বসে শুনে শুনেই বর্ণমালা শিখে ফেলেছিলেন। আশাপূর্ণার পিতা হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত সেই সময়কার একজন বিখ্যাত শিল্পী ছিলেন এবং নকশাকার হিসেবে একটি আসবাবপত্রের সংস্থায় কাজ করতেন। আশাপূর্ণার মা সরলাসুন্দরী একজন শিক্ষিত পরিবারের জ্ঞানপিপাসু নারী ছিলেন। মায়ের এই জ্ঞানপিপাসা তাঁর মেয়েদের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়েছিল। স্থান সংকুলানের অভাবে হরেন্দ্রনাথ নিজের পরিবার নিয়ে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোডের একটি বাড়িতে চলে আসেন।
সরলাসুন্দরী সেখানে নিজের ইচ্ছেমতো তাঁর মেয়েদের পড়াশোনা করানোর স্বাধীনতা লাভ করেন। তাই প্রথাগত শিক্ষা না- থাকা সত্ত্বেও আশাপূর্ণা ছিলেন স্বশিক্ষিত। তাঁর প্রথম রচনা একটি কবিতা এবং ১৩২৯ বঙ্গাব্দে ‘শিশুসাথী’ পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর আর তাঁকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রথম সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন একটি কবিতা প্রতিযোগিতায় মাত্র পনেরো বছর বয়সে। এই সময় কৃষ্ণনগর নিবাসী কালিদাস গুপ্তর সঙ্গে তিনি বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। আশাপূর্ণার প্রথম ছোটোদের বই-এর প্রকাশ হয় ১৩৪৫ বঙ্গাব্দে (ছোটো ঠাকুরদার কাশীযাত্রা) এবং বড়োদের জন্য লেখা উপন্যাস ‘প্রেম ও প্রয়োজন’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৫১ বঙ্গাব্দে।
তিনি ক্রমবেশি ২০০টি উপন্যাস, ৩০টির বেশি ছোটোগল্প সংকলন এবং প্রায় ৫০টির মতো শিশুদের বই লিখেছেন। তাঁর বিখ্যাত ট্রিলজি ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’, ‘সুবর্ণলতা’ ও ‘বকুলকথা’য় তিনি নারীর সংগ্রাম চিত্রিত করেছেন। আশাপূর্ণা দেবী তাঁর সাহিত্যসৃষ্টির জন্য জ্ঞানপীঠ, রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রভৃতি লাভ করেন এবং ভূষিত হন পদ্মশ্রী খেতাবে। বাংলা ২৭ আষাঢ়, ১৪০২ (ইং ১৩ জুলাই, ১৯৯৫ সাল) বঙ্গাব্দে তিনি পরলোকগমন করেন। ঔপন্যাসিক ও গল্পকার আশাপূর্ণা দেবী সমাজ, পরিবেশ, মধ্যবিত্ত মন এবং ব্যক্তিজীবনের এক আশ্চর্য কথাকার। তাঁর লেখায় নারী মন, নারী মনস্তত্ত্ব এবং আধুনিক নারীর একাকিত্ব ও সংগ্রামের গল্প প্রাধান্য পেলেও পুরুষ-নারী নির্বিশেষে ব্যক্তিরহস্যের অতলে লেখিকা আশাপূর্ণার ছিল তীক্ষ্ণ নজর। বড়োদের জন্য যেমন তিনি অজস্র গল্প-উপন্যাস লিখেছেন, ঠিক তেমনই ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর গল্প-উপন্যাসের সংখ্যাও কম নয়।
ছোটোদের জন্য লেখাতেও সমাজ-সংসারের সঙ্গে শিশুমনের সংঘর্ষের ফলে তাদের মধ্যে যে আশ্চর্য আত্মোপলব্ধি ঘটে এবং নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়, আশাপূর্ণা দেবীর গল্প আধুনিক পাঠককে তেমনই এক নতুন দিকচিহ্নের সন্ধান দেয়। এই সমস্ত বিশেষত্বের কারণেই বাংলা সাহিত্যে আশাপূর্ণা দেবী এক স্বতন্ত্র আসন দাবি করেন।
❏ জ্ঞানচক্ষু গল্পের বিষয়বস্তু :
আশাপূর্ণা দেবী তাঁর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পটিতে শিশুমনের অনুভূতির জগতের এক অদ্ভুত ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। তপন আর-পাঁচটা শিশুর মতোই গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে। নিজের মনে মনে সেই গল্পের লেখকদের সে ভিন গ্রহের কোনো আশ্চর্য মানুষ ভেবে একটা আলাদা জায়গায় স্থান দেয়। তার কাছে এটা অজানা ছিল যে, লেখকরাও আর-পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই। কিন্তু তার ছোটোমাসির বিয়ের পর তপন যখন জানতে পারে তার নতুন মেসোমশাই একজন সত্যিকারের লেখক, তখন তার স্বপ্নের লেখক ক্রমশ বাস্তবে নেমে আসে। জলজ্যান্ত লেখককে সামনাসামনি দেখে এই প্রথম তপন বুঝতে পারে লেখকরা আসলে তার বাবা, কাকা, মামাদের মতোই সাধারণ মানুষ, তার জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়।
সরলাসুন্দরী সেখানে নিজের ইচ্ছেমতো তাঁর মেয়েদের পড়াশোনা করানোর স্বাধীনতা লাভ করেন। তাই প্রথাগত শিক্ষা না- থাকা সত্ত্বেও আশাপূর্ণা ছিলেন স্বশিক্ষিত। তাঁর প্রথম রচনা একটি কবিতা এবং ১৩২৯ বঙ্গাব্দে ‘শিশুসাথী’ পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর আর তাঁকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রথম সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন একটি কবিতা প্রতিযোগিতায় মাত্র পনেরো বছর বয়সে। এই সময় কৃষ্ণনগর নিবাসী কালিদাস গুপ্তর সঙ্গে তিনি বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। আশাপূর্ণার প্রথম ছোটোদের বই-এর প্রকাশ হয় ১৩৪৫ বঙ্গাব্দে (ছোটো ঠাকুরদার কাশীযাত্রা) এবং বড়োদের জন্য লেখা উপন্যাস ‘প্রেম ও প্রয়োজন’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৫১ বঙ্গাব্দে।
তিনি ক্রমবেশি ২০০টি উপন্যাস, ৩০টির বেশি ছোটোগল্প সংকলন এবং প্রায় ৫০টির মতো শিশুদের বই লিখেছেন। তাঁর বিখ্যাত ট্রিলজি ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’, ‘সুবর্ণলতা’ ও ‘বকুলকথা’য় তিনি নারীর সংগ্রাম চিত্রিত করেছেন। আশাপূর্ণা দেবী তাঁর সাহিত্যসৃষ্টির জন্য জ্ঞানপীঠ, রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রভৃতি লাভ করেন এবং ভূষিত হন পদ্মশ্রী খেতাবে। বাংলা ২৭ আষাঢ়, ১৪০২ (ইং ১৩ জুলাই, ১৯৯৫ সাল) বঙ্গাব্দে তিনি পরলোকগমন করেন। ঔপন্যাসিক ও গল্পকার আশাপূর্ণা দেবী সমাজ, পরিবেশ, মধ্যবিত্ত মন এবং ব্যক্তিজীবনের এক আশ্চর্য কথাকার। তাঁর লেখায় নারী মন, নারী মনস্তত্ত্ব এবং আধুনিক নারীর একাকিত্ব ও সংগ্রামের গল্প প্রাধান্য পেলেও পুরুষ-নারী নির্বিশেষে ব্যক্তিরহস্যের অতলে লেখিকা আশাপূর্ণার ছিল তীক্ষ্ণ নজর। বড়োদের জন্য যেমন তিনি অজস্র গল্প-উপন্যাস লিখেছেন, ঠিক তেমনই ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর গল্প-উপন্যাসের সংখ্যাও কম নয়।
ছোটোদের জন্য লেখাতেও সমাজ-সংসারের সঙ্গে শিশুমনের সংঘর্ষের ফলে তাদের মধ্যে যে আশ্চর্য আত্মোপলব্ধি ঘটে এবং নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়, আশাপূর্ণা দেবীর গল্প আধুনিক পাঠককে তেমনই এক নতুন দিকচিহ্নের সন্ধান দেয়। এই সমস্ত বিশেষত্বের কারণেই বাংলা সাহিত্যে আশাপূর্ণা দেবী এক স্বতন্ত্র আসন দাবি করেন।
আশাপূর্ণা দেবী তাঁর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পটিতে শিশুমনের অনুভূতির জগতের এক অদ্ভুত ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। তপন আর-পাঁচটা শিশুর মতোই গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে। নিজের মনে মনে সেই গল্পের লেখকদের সে ভিন গ্রহের কোনো আশ্চর্য মানুষ ভেবে একটা আলাদা জায়গায় স্থান দেয়। তার কাছে এটা অজানা ছিল যে, লেখকরাও আর-পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই। কিন্তু তার ছোটোমাসির বিয়ের পর তপন যখন জানতে পারে তার নতুন মেসোমশাই একজন সত্যিকারের লেখক, তখন তার স্বপ্নের লেখক ক্রমশ বাস্তবে নেমে আসে। জলজ্যান্ত লেখককে সামনাসামনি দেখে এই প্রথম তপন বুঝতে পারে লেখকরা আসলে তার বাবা, কাকা, মামাদের মতোই সাধারণ মানুষ, তার জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়।
গরমের ছুটিতে তপন মামাবাড়িতে কয়েকদিন রয়ে যায়। ওদিকে একই কারণে অধ্যাপক মেসোমশাইও শ্বশুরবাড়িতে আসেন। তাই জলজ্যান্ত লেখককে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয় তপনের, আর তা থেকেই তার মনে লেখক হওয়ার ইচ্ছে জাগে। দুপুরে সকলের দিবানিদ্রার সুযোগে তিনতলার সিঁড়িতে সে তার হোম টাস্কের খাতায় আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলে। তারপর নিজেই তা পড়ে শিহরিত হয়ে ওঠে। উপর থেকে নেমে তার কাছের মানুষ ছোটোমাসিকে তা দেখায়। ছোটোমাসি হইচই শুরু করে
এবং ছোটো মেসোমশাইকে সেটা দেখায়। তপন মনে মনে মৃদু উত্তেজনা অনুভব করে। মাসির অনুরোধে আর নতুন শ্বশুরবাড়ির সকলের মন রাখতে মেসোমশাই তপনের গল্পের প্রশংসা করেন এবং সামান্য কারেকশানে যে তা ছাপানো যেতে পারে সে-কথাও বলেন। মাসির পীড়াপীড়িতে তিনি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় গল্পটি ছাপানোর ব্যবস্থা করবেন বলে কথা দেন।
ইতিমধ্যে তপন মামার বাড়ি থেকে ফিরে আসে। বাড়ির সকলে তাকে কবি, সাহিত্যিক, কথাশিল্পী বলে ঠাট্টাতামাশা করেন। একদিন সন্ধ্যায় মাসি-মেসো ‘সন্ধ্যাতারা' পত্রিকাসহ হাজির। তা দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলাত করে ওঠে। তার মনে হয় পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে! ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সূচিপত্রে তার নাম দেখে সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। এত আনন্দের মাঝেও কোনো এক অজানা কারণে তপনের মন খারাপ করে। তার মা তাকে গল্পটা পড়তে বলেন। লজ্জা ভেঙে পড়তে যায় তপন। তারপর সে গড়গড়িয়ে পড়ে চলে নিজেরই লেখা অজানা সব লাইন। সবাই ধন্য ধন্য করে। কিন্তু তপনের চোখে জল আসে। সে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে যে কোনোদিন কাউকে লেখা ছাপাতে দেবে না। নিজের লেখা সে নিজের হাতেই দিয়ে আসবে পত্রিকার দপ্তরে।
তার কাঁচা হাতের লেখা যদি সুপারিশের অভাবে ছাপা না হয় তাতেও তার দুঃখ থাকবে না। আসলে ‘একটু-আধটু কারেকশান’-এর নাম করে ছোটোমেসো তার লেখা গল্পটা আগাগোড়াই বদলে দিয়েছেন। সে লেখার কোথাও তপনের- কোনো ভূমিকা নেই। তাই এ হল ছোট্ট তপনের কাছে আত্মগ্লানির দিন, আত্মপ্রসাদের নয়। আজ যে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেছে। অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে সে বিচার করতে শুরু করেছে সত্য-মিথ্যার।
❏ জ্ঞানচক্ষু গল্পটির নামকরণের সার্থকতা :
সাহিত্যে নামকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নামকরণের সাহায্যে লেখকরা যেমন পাঠকের মনে আগ্রহ সঞ্চার করেন, ঠিক একই ভাবে লিখিত বিষয়ের মর্ম অনুধাবন করতেও তাদের সাহায্য করেন। একজন লেখক তাঁর বক্তব্যকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নামকরণের সময় কতকগুলি পথ অবলম্বন করেন। তা চরিতার্থ করার জন্য তিনি কখনও চরিত্রকে, কখনও ঘটনাকে, কখনও-বা বিশেষ ব্যঞ্জনাকে আশ্রয় করেন। এখন ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের নামকরণ কতটা সফল তা আমাদের বিচার্য বিষয়। গল্পের কাহিনির দিকে তাকালে আমরা প্রথমে দেখি তপন নামে একটি ছোট্ট ছেলের লেখকদের সম্পর্কে কৌতূহল নিরসন। লেখক মানে যে ভিন গ্রহ থেকে আসা কোনো জীব নয়, এ ব্যাপারে তপনের বোধোদয় অর্থাৎ জ্ঞানচক্ষুর (অন্তর্দৃষ্টির) উন্মেষ ঘটে তার নুতন লেখক মেসোমশাইকে দেখে।
খুব কাছ থেকে মেসোমশাইকে দেখে তপনের মনে লেখক হওয়ার আগ্রহ জাগে। উৎসাহের বশে সে একটা গল্পও লিখে ফেলে, যা তার মাসির হাত ঘুরে মেসোর কাছে পৌঁছোয়। নতুন আত্মীয়দের মান রাখার জন্য তিনি বলেন তপনের গল্পে সামান্য অদলবদল করে ছাপানো যায়। শেষমেশ তিনি তা ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়েও দেন। কিন্তু সমস্যা বাধে যখন ছোট্ট তপন বাড়িসুদ্ধ লোকের কাছে তার ছাপানো গল্প পড়তে যায়। সে দেখে গল্পের নাম আর লেখকের নাম ছাড়া সব কিছুই তার কাছে নতুন—তাই তার চোখ জলে ভিজে যায়। আর এর থেকেই তার ‘জ্ঞানচক্ষু’ অর্থাৎ অন্তর্দৃষ্টির উন্মেষ ঘটে। সে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে যে, তার নিজের হাতে লেখা কোনো কিছু ছাপতে দিলে, তা যতই কাঁচা হোক না কেন নিজের হাতেই দেবে। তপনের এই অন্তর্দৃষ্টির উন্মেষকে লেখক ‘জ্ঞানচক্ষু’ এই ব্যঞ্জনাধর্মী নামকরণের সাহায্যে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা যথাযথ এবং সার্থক।
❍ শর্ট প্রশ্ন MCQ প্র্যাকটিস :
Q1. মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয়?
Q1. মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয়?
Ⓐ ছোটোমামা
Ⓑ তপন
Ⓒ মা
Ⓓ ছোটোমেসো
Q2.'রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই।'—এখানে রত্ন ও জহুরি হল?
Ⓐ তপন ও মেজোকাকু
Ⓑ তপন ও ‘সন্ধ্যাতারা’-র সম্পাদক
Ⓒ তপন ও ছোটোমাসি
Ⓓ তপন ও ছোটোমেসো
Q3. ‘মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা।'—উপযুক্ত কাজটি হল?
Ⓐ তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়া
Ⓑ গল্প লিখে দেওয়া
Ⓒ তপনকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া
Ⓓ তপনকে গল্প লেখা শিখিয়ে দেওয়া
Ⓐ ধ্রুবতারা
Ⓑ সন্ধ্যাতারা
Ⓒ নক্ষত্র
Ⓓ শুকতারা
Q5. তোমার গল্প তো দিব্যি হয়েছে।'— এখানে বক্তা হল?
Ⓐ ছোটোমামা
Ⓑ সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সম্পাদক
Ⓒ ছোটোমাসি
Ⓓ ছোটোমেসো
Q6.তপনের লেখাটা ছাপতে দেওয়ার আগে যা করা দরকার, তা হল?
Ⓐ একটু কারেকশন করা
Ⓑ টাইপ করিয়ে নেওয়া
Ⓒ নতুন করে লেখা
Ⓓ পরিষ্কার হাতের লেখায় লেখা
Q7. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে ‘কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল।'— কথাটা হল?
Ⓐ তপনের মামা একজন লেখক
Ⓑ সবাই তপনের গল্প শুনে হেসেছে
Ⓒ তপনের মেসো একজন লেখক
Ⓓ তপনের লেখা ছাপা হয়েছে
Q8.‘চোখ মার্বেল হয়ে যাওয়া'-এর অর্থ হল—
Ⓐ চোখ পাকানো
Ⓑ অবাক হয়ে যাওয়া
Ⓒ চোখ গোল গোল হয়ে যাওয়া
Ⓓ রেগে যাওয়া
Q9. তপনের নতুন মেসোমশাই ছিলেন একজন—
Ⓐ লেখক
Ⓑ অভিনেতা
Ⓒ খেলোয়াড়
Ⓓ চিত্র পরিচালকQ10. 'তাই মেসো শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়েছেন ক’দিন।'— মেসোর শ্বশুরবাড়িতে এসে থাকার কারণ?
Ⓐ তাঁর গরমের ছুটি চলছিল
Ⓑ তাঁর সেখানে কাজ ছিল
Ⓒ তিনি নিরিবিলিতে গল্প লিখতে চেয়েছিলেন
Ⓓ তপন তাঁকে থাকতে অনুরোধ করেছিলQ11. গরমের ছুটি চলছিল—
Ⓐ তপনের
Ⓑ ছোটোমেসোর
Ⓒ ছোটোমাসি
Ⓓ তপন ও ছোটোমেসোর
Q12. তপন গল্প লিখে প্রথম জানিয়েছিলো?
Ⓐ ছোটো মেসোকে
Ⓑ ছোটো মাসিকে
Ⓒ ছোটো কাকাকে
Ⓓ ছোটো মামাকে
Q13.তপনের চিরকালের বন্ধু কে?
Ⓐ মা
Ⓑ বাবা
Ⓒ ছোটোমাসি
Ⓓ ছোটোমামা
Q14. বিয়ের পর ছোটোমাসি হয়ে গেছে?
Ⓐ একটু মোটা
Ⓑ একটু মুরুব্বি মুরুব্বি
Ⓒ একটু গম্ভীর
Ⓓ একটু রোগা
Q15. গল্প লেখার জন্য তপনের বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গেছে?
Ⓐ কবি, গল্পকার, কথাশিল্পী
Ⓑ কবি, সাহিত্যিক, কথাশিল্পী
Ⓒ সাহিত্যিক, কথাশিল্পী
Ⓓ কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক
Q16. তপনের সম্পূর্ণ নাম কী?
Ⓐ তপনকান্তি রায়
Ⓑ তপনকুমার রায়
Ⓒ তপনকুমার সেন
Ⓓ তপন রায়
Q17. তপনের লেখা গল্পের নাম ছিল?
Ⓐ প্রথম দিন
Ⓑ শেষ দিন
Ⓒ প্রথম পরীক্ষা
Ⓓ শেষ রাত
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর :
Q1. ‘জ্ঞানচক্ষু' গল্পটি কার লেখা? এর উৎস উল্লেখ করো।
➧ আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পটির উৎস হল তাঁর ‘কুমকুম’ নামক ছোটোদের গল্পসংকলন।
Q2‘কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল!—কোন কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল?
➧ লেখকরা ভিন্ন জগতের প্রাণী—এটাই ছিল তপনের ধারণা। কিন্তু তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক শুনে বিস্ময়ে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল।
Q3.তিনি নাকি বই লেখেন।—কার কথা বলা হয়েছে?
➧ তপনের ছোটোমাসির বিয়ের পর সে জানতে পারে তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক। এখানে তাঁর কথাই বলা হয়েছে।
Q1. ‘জ্ঞানচক্ষু' গল্পটি কার লেখা? এর উৎস উল্লেখ করো।
➧ আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পটির উৎস হল তাঁর ‘কুমকুম’ নামক ছোটোদের গল্পসংকলন।
Q2‘কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল!—কোন কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল?
➧ লেখকরা ভিন্ন জগতের প্রাণী—এটাই ছিল তপনের ধারণা। কিন্তু তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক শুনে বিস্ময়ে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল।
Q3.তিনি নাকি বই লেখেন।—কার কথা বলা হয়েছে?
➧ তপনের ছোটোমাসির বিয়ের পর সে জানতে পারে তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক। এখানে তাঁর কথাই বলা হয়েছে।
Q4.‘সত্যিকার লেখক।’—এই উক্তির মধ্য দিয়ে তপনের মনের কোন ভাব প্রকাশিত হয়েছে বলে তোমার মনে হয়?
➧ এই উক্তির মধ্য দিয়ে তপনের মনের বিস্ময় প্রকাশ পেয়েছে। লেখকরা আদৌ বাস্তব জগতের মানুষ নন এই অলীক ভাবনা নতুন মেসোর সাথে পরিচয়ে ভেঙে যাওয়াতেই এমন উক্তি।
Q5. এবিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের।'—কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল?
➧ লেখকদের যে বাস্তব জীবনে কখনও দেখা যেতে পারে, তাঁরাও যে তপনের বাবা, ছোটোমামা বা মেজোকাকার মতোই সাধারণ মানুষ সে বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল।
Q6.‘ছোটোমাসি সেই দিকে ধাবিত হয়।'— তপনের ছোটোমাসি কোনদিকে ধাবিত হয়েছিলেন?
➧ তপন মেসোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লিখে মাসিকে দেখায়। মাসি গল্পটিতে চোখ বুলিয়ে গল্পটির উৎকর্ষ বিচারের জন্য তপনের মেসো যেখানে ঘুমোচ্ছিলেন সেদিকে ধাবিত হয়েছিলেন।
Q7.‘রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই।'— কথাটির অর্থ কী?
➧ কেবলমাত্র গুণী ব্যক্তিই অপরের গুণের কদর করতে পারে। তাই তপনের লেখা গল্পের প্রকৃত সমঝদার যদি কেউ থাকেন তবে তিনি তার লেখক মেসোমশাই।
Q8.তপনের গল্প পড়ে তার নতুন মেসোমশাই কী বলেন?
➧ তপনের লেখা গল্প পড়ে তার নতুন মেসোমশাই তাকে উৎসাহ দিয়ে বলেন, গল্পটা ভালোই হয়েছে, একটু কারেকশান করে দিলে সেটা ছাপানোও যেতে পারে।
Q9.‘তখন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায়। — কে, কেন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায়।
➧ ছোটোমেসো তপনের লেখাটা ছাপানোর কথা বললে তপন প্রথমে সেটাকে ঠাট্টা বলে ভাবে। কিন্তু মেসোর মুখে করুণার ছাপ দেখে তপন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায়।
Q10.'মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা?— উক্তিটি কার? কোনটা মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে?
➧ উক্তিটি তপনের ছোটোমাসির। তাঁর মতে, তপনের লেখা গল্পটা ছোটোমেসো যদি একটু কারেকশন করে ছাপানোর ব্যবস্থা করে দেন, তবে সেটাই মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে।
Q11. “বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের!— তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠার কারণ কী ছিল?
➧ এই উক্তির মধ্য দিয়ে তপনের মনের বিস্ময় প্রকাশ পেয়েছে। লেখকরা আদৌ বাস্তব জগতের মানুষ নন এই অলীক ভাবনা নতুন মেসোর সাথে পরিচয়ে ভেঙে যাওয়াতেই এমন উক্তি।
Q5. এবিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের।'—কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল?
➧ লেখকদের যে বাস্তব জীবনে কখনও দেখা যেতে পারে, তাঁরাও যে তপনের বাবা, ছোটোমামা বা মেজোকাকার মতোই সাধারণ মানুষ সে বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল।
Q6.‘ছোটোমাসি সেই দিকে ধাবিত হয়।'— তপনের ছোটোমাসি কোনদিকে ধাবিত হয়েছিলেন?
➧ তপন মেসোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লিখে মাসিকে দেখায়। মাসি গল্পটিতে চোখ বুলিয়ে গল্পটির উৎকর্ষ বিচারের জন্য তপনের মেসো যেখানে ঘুমোচ্ছিলেন সেদিকে ধাবিত হয়েছিলেন।
Q7.‘রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই।'— কথাটির অর্থ কী?
➧ কেবলমাত্র গুণী ব্যক্তিই অপরের গুণের কদর করতে পারে। তাই তপনের লেখা গল্পের প্রকৃত সমঝদার যদি কেউ থাকেন তবে তিনি তার লেখক মেসোমশাই।
Q8.তপনের গল্প পড়ে তার নতুন মেসোমশাই কী বলেন?
➧ তপনের লেখা গল্প পড়ে তার নতুন মেসোমশাই তাকে উৎসাহ দিয়ে বলেন, গল্পটা ভালোই হয়েছে, একটু কারেকশান করে দিলে সেটা ছাপানোও যেতে পারে।
Q9.‘তখন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায়। — কে, কেন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায়।
➧ ছোটোমেসো তপনের লেখাটা ছাপানোর কথা বললে তপন প্রথমে সেটাকে ঠাট্টা বলে ভাবে। কিন্তু মেসোর মুখে করুণার ছাপ দেখে তপন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায়।
Q10.'মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা?— উক্তিটি কার? কোনটা মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে?
➧ উক্তিটি তপনের ছোটোমাসির। তাঁর মতে, তপনের লেখা গল্পটা ছোটোমেসো যদি একটু কারেকশন করে ছাপানোর ব্যবস্থা করে দেন, তবে সেটাই মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে।
Q11. “বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের!— তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠার কারণ কী ছিল?
➧ গল্প ছাপানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন অদৃশ্য থাকার পর হঠাৎই একদিন ছোটোমাসি ও মেসো সন্ধ্যাতারা পত্রিকা হাতে নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসেন। তাতে তার গল্প ছাপার কথা ভেবে তপনের
বুকের রক্ত ছলাত করে ওঠে।
Q12. পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?'—এখানে কোন ঘটনাকে অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে?
➧ পত্রিকায় তপনকুমার রায়ের লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হওয়া এবং সেই পত্রিকা বহু মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার ঘটনাকেই ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে।
Q13. ‘তা ঘটেছে, সত্যিই ঘটেছে।'—কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
➧ তপনের লেখক মেসো তার একটি গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সম্পাদককে বলে ছাপিয়ে দিয়েছিলেন। এই অবিশ্বাস্য, অভূতপূর্ব ঘটনার কথাই এখানে বলা হয়েছে।
Q14. তপনের বয়সি আর-পাঁচটা ছেলেমেয়ের লেখার সঙ্গে তপনের লেখার তফাত কী?
➧ তপনের বয়সি ছেলেমেয়েরা সাধারণত রাজারানি,খুন-জখম-অ্যাক্সিডেন্ট অথবা না খেতে পেয়ে মরা— এইসব বিষয়ে গল্প লেখে। কিন্তু তপনের লেখার বিষয় ছিল তার প্রথম দিন স্কুলে ভরতির অভিজ্ঞতা।
Q15. এটা খুব ভালো, ওর হবে।—কে, কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন?
➧ তখন তার স্কুলে ভরতির প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি গল্প লিখেছিল। মাসির মাধ্যমে লেখাটি তার লেখক মেসোর কাছে পৌঁছোলে সেটি পড়ে মেসো এমন মন্তব্য করেছেন।
Q16.'তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই,— কীসের কথাবলা হয়েছে?
➧ আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের মনে হয়েছে নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়ার চেয়ে দুঃখের আর কিছুই নেই।
Q17. তপনের লেখা সম্পর্কে তার বাবার কী বক্তব্য?
➧ তপনের বাবা মনে করেন, তপনের লেখক ছোটোমেসো তপনের লেখাটা কারেকশান করে দিয়েছিলেন বলেই এত সহজে সেটা পত্রিকায় ছাপানো সম্ভব হয়েছে।
Q18. 'গল্পটা ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না। — উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত না-হতে পারার কারণ কী?
➧ নিজের লেখা ছেপে বেরোলে যে-তীব্র আনন্দ হওয়ার কথা সেই আহ্লাদ খুঁজে পায় না তপন। তার কৃতিত্বের চেয়েও যেন বড়ো হয়ে ওঠে ছোটোমেসোর গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব।
Q19. ‘তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।— দিনটিতে কোন উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছিল?
➧ জীবনের প্রথম লেখা গল্প ছেপে বেরোনোর পর তপন দেখে কারেকশনের নামে নতুন মেসো পুরো গল্পটাই বদলে দিয়েছেন। গল্পের স্বকীয়তা হারানোয় ব্যথিত তপনের সেই দিনটা সবচেয়ে দুঃখের মনে হয়েছে।
বুকের রক্ত ছলাত করে ওঠে।
Q12. পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?'—এখানে কোন ঘটনাকে অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে?
➧ পত্রিকায় তপনকুমার রায়ের লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হওয়া এবং সেই পত্রিকা বহু মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার ঘটনাকেই ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে।
Q13. ‘তা ঘটেছে, সত্যিই ঘটেছে।'—কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
➧ তপনের লেখক মেসো তার একটি গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সম্পাদককে বলে ছাপিয়ে দিয়েছিলেন। এই অবিশ্বাস্য, অভূতপূর্ব ঘটনার কথাই এখানে বলা হয়েছে।
Q14. তপনের বয়সি আর-পাঁচটা ছেলেমেয়ের লেখার সঙ্গে তপনের লেখার তফাত কী?
➧ তপনের বয়সি ছেলেমেয়েরা সাধারণত রাজারানি,খুন-জখম-অ্যাক্সিডেন্ট অথবা না খেতে পেয়ে মরা— এইসব বিষয়ে গল্প লেখে। কিন্তু তপনের লেখার বিষয় ছিল তার প্রথম দিন স্কুলে ভরতির অভিজ্ঞতা।
Q15. এটা খুব ভালো, ওর হবে।—কে, কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন?
➧ তখন তার স্কুলে ভরতির প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি গল্প লিখেছিল। মাসির মাধ্যমে লেখাটি তার লেখক মেসোর কাছে পৌঁছোলে সেটি পড়ে মেসো এমন মন্তব্য করেছেন।
Q16.'তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই,— কীসের কথাবলা হয়েছে?
➧ আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের মনে হয়েছে নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়ার চেয়ে দুঃখের আর কিছুই নেই।
Q17. তপনের লেখা সম্পর্কে তার বাবার কী বক্তব্য?
➧ তপনের বাবা মনে করেন, তপনের লেখক ছোটোমেসো তপনের লেখাটা কারেকশান করে দিয়েছিলেন বলেই এত সহজে সেটা পত্রিকায় ছাপানো সম্ভব হয়েছে।
Q18. 'গল্পটা ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না। — উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত না-হতে পারার কারণ কী?
➧ নিজের লেখা ছেপে বেরোলে যে-তীব্র আনন্দ হওয়ার কথা সেই আহ্লাদ খুঁজে পায় না তপন। তার কৃতিত্বের চেয়েও যেন বড়ো হয়ে ওঠে ছোটোমেসোর গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব।
Q19. ‘তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।— দিনটিতে কোন উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছিল?
➧ জীবনের প্রথম লেখা গল্প ছেপে বেরোনোর পর তপন দেখে কারেকশনের নামে নতুন মেসো পুরো গল্পটাই বদলে দিয়েছেন। গল্পের স্বকীয়তা হারানোয় ব্যথিত তপনের সেই দিনটা সবচেয়ে দুঃখের মনে হয়েছে।
Q20.'তাই জানতো না—কে, কী জানত না?"
➧ জলজ্যান্ত একজন লেখককে যে এত কাছ থেকে দেখা যায়, ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের নায়ক তপন তাই জানতো না।
Q21.‘জ্ঞানচক্ষু' গল্পে তপনের মেসো কোন মহত্ত্ব দেখিয়েছিলেন?
➧ লেখক মেসোমশাই সকলের সামনে তপনের গল্পের প্রশংসা করে, সেই গল্পটি সংশোধন করে ‘সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছাপিয়ে দিয়েছিলেন।
Q22. 'বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা’— কোন কথাটা?
উত্তর/ লেখক মেসোমশাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন যে একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলেছে, এই কথাটা বিকেলে চায়ের টেবিলে উঠেছিল।
Q23. ‘সূচিপত্রেও তার নাম রয়েছে— সূচিপত্রে কার কী নাম রয়েছে?
➧ ‘সন্ধ্যাতারা' পত্রিকার সূচিপত্রে ‘প্রথম দিন’ গল্পের লেখক হিসেবে শ্রী তপন কুমার রায় নামে তপনের গল্প ছাপা হয়েছিল।
Q24. এই বয়সের ছেলেমেয়েরা – কোন ধরনের গল্প লেখে?
➧ তপনের লেখক মেসোর মতে এই বয়সের ছেলেমেয়েরা হয় রাজারানির নয়তো খুন-জখম-দুর্ঘটনা বা না খেতে পেয়ে মরে যাওয়ার মতো মশলাদার বিষয় নিয়ে গল্প লেখে।
Q25. তপনের গল্প পড়ে ছোটোমাসি কী বলেছিল?
➧ তপনের গল্পটা সবটা না পড়েই একটু চোখ বুলিয়ে পিঠ চাপড়ানোর সুরে ছোটোমাসি বলেছিল, তার লেখাটি ভালোই হয়েছে। খানিক রসিকতার সুরে এটা কোথাও থেকে টুকলিফাই করা কিনা সে কথা ছোটোমাসি জানতে চেয়েছিল।
➧ ‘সন্ধ্যাতারা' পত্রিকার সূচিপত্রে ‘প্রথম দিন’ গল্পের লেখক হিসেবে শ্রী তপন কুমার রায় নামে তপনের গল্প ছাপা হয়েছিল।
Q24. এই বয়সের ছেলেমেয়েরা – কোন ধরনের গল্প লেখে?
➧ তপনের লেখক মেসোর মতে এই বয়সের ছেলেমেয়েরা হয় রাজারানির নয়তো খুন-জখম-দুর্ঘটনা বা না খেতে পেয়ে মরে যাওয়ার মতো মশলাদার বিষয় নিয়ে গল্প লেখে।
Q25. তপনের গল্প পড়ে ছোটোমাসি কী বলেছিল?
➧ তপনের গল্পটা সবটা না পড়েই একটু চোখ বুলিয়ে পিঠ চাপড়ানোর সুরে ছোটোমাসি বলেছিল, তার লেখাটি ভালোই হয়েছে। খানিক রসিকতার সুরে এটা কোথাও থেকে টুকলিফাই করা কিনা সে কথা ছোটোমাসি জানতে চেয়েছিল।
প্রতিটি প্রশ্নের মান - ৩
Q1.‘বিয়েবাড়িতেও যেটি মা না আনিয়ে ছাড়েননি। কীসের কথা বলা হয়েছে? তা মা না আনিয়ে ছাড়েননি কেন?➧ আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে আলোচ্য উক্তিটিতে তপনের হোম টাস্কের খাতার কথা বলা হয়েছে, যা পরবর্তীতে তার গল্প লেখার খাতায় পরিণত হয়েছিল।
❏ লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী সূক্ষ্ম আঁচড়ে মধ্যবিত্ত বাঙালি জীবনের স্বাভাবিক ছবিটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন। বাঙালি মায়েদের সন্তানের পড়াশোনার প্রতি সাধারণত তীক্ষ্ণ নজর থাকে। তপনের মা-ও এর ব্যতিক্রম নন। বিয়েবাড়িতে আসার জন্য তপনের পড়াশোনার যে ক্ষতি হবে, তা কিছুটা অবসর সময়ে পুষিয়ে নিতে তিনি তার হোম টাস্কের খাতাটি সঙ্গে আনিয়েছিলেন।
Q2. তপনের প্রথম গল্প লেখার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দাও।
❏ ছোটোমেসোকে দেখার আগে তপন জানতই না যে সাধারণ মানুষের পক্ষেও গল্প লেখা সম্ভব। কিন্তু ছোটোমেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত তপন একদিন দুপুরে সবাই যখন ঘুমের ঘোরে, তখন চুপিচুপি তিনতলার সিঁড়িতে উঠে যায়। তারপর একাসনে বসে হোম টাস্কের খাতায় লিখে ফেলে আস্ত একটা গল্প। লেখা শেষ হলে নিজের লেখা পড়ে নিজেরই গায়ে কাঁটা দেয় তপনের, মাথার চুল খাড়া হয়ে ওঠে। উত্তেজিত তপন ছুটে নীচে এসে তার লেখক হওয়ার খবরটা ছোটোমাসিকে দেয়।
Q3.‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের সঙ্গে তার ছোটোমাসির সম্পর্ক কেমন ছিল লেখো।
❏ তপনের ছোটোমাসি তপনের চেয়ে বছর আষ্টেকের বড়ো হলেও তিনি ছিলেন তপনের সমবয়সি বন্ধুর মতো। তাই মামার বাড়িতে এলে তপনের সব কিছুই ছিল ছোটোমাসির কাছে। তাই তার প্রথম লেখা গল্পটা সে ছোটোমাসিকেই আগে দেখায়। ছোটোমাসিও তাঁর স্নেহের বোনপোকে উৎসাহ জোগান এবং তাঁর লেখক-স্বামীকে অনুরোধ করেন তপনের লেখাটি ছাপিয়ে দিতে। আবার লেখা নিয়ে খুনসুটিও করে তপনের সঙ্গে। এসব থেকেই বোঝা যায় দুজনের মধ্যে একটা মধুর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।
Q4. 'আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম।— ‘আমাদের’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের কোন চেষ্টার কথা বোঝানো হয়েছে?
❏ আলোচ্য উদ্ধৃতিটি আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে গৃহীত। উদ্ধৃতির বক্তা তপনের মেজোকাকু ‘আমাদের’ বলতে এখানে নিজেকে এবং বাড়ির অন্য ব্যক্তিদেরকে বুঝিয়েছেন। লেখক মেসোর দৌলতে তপনের আনাড়ি হাতের লেখা গল্পও নামি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। বালক তপনকে উৎসাহ দেওয়ার পরিবর্তে তার মেজোকাকু উদ্ধৃত উক্তিটির দ্বারা সুযোগ পেলে যে তাঁরাও গল্প লিখতে পারতেন তাই বোঝাতে চেয়েছেন।
Q5.‘আজ আর অন্য কথা নেই,’—‘আজ’ দিনটির বিশেষত্ব কী? সেদিন আর অন্য কথা নেই কেন?
❏ আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’গল্পে ‘আজ’ বলতে সেই দিনটির কথা বোঝানো হয়েছে, যেদিন তপনের মাসি ও মেসো ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সেই সংস্করণটি নিয়ে এলেন, যাতে তপনের লেখা গল্প প্রকাশিত হয়েছিল। বালক তপনের লেখা গল্প যে সত্যি সত্যিই কোনো পত্রিকায় ছাপা হতে পারে, তা কেউই বিশ্বাস করেনি। কিন্তু যেদিন সত্যিই সেই অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটল, সেদিন সকলের মুখে মুখে বারবার এই ঘটনার কথাই
আলোচিত হচ্ছিল।
Q6.‘তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের!—‘তার চেয়ে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
❏ আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে আলোচ্য অংশে ‘তার চেয়ে’ বলতে তপনের নিজের লেখা গল্প লেখক-মেসোর হাতে পড়ে নির্বিচারে পরিবর্তিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা পড়াটা তার কাছে গভীর দুঃখের ও অপমানের বলে মনে হয়েছিল। এই আত্মসম্মানবোধ থেকেই তপনের অন্তর্মনে মৌলিকতার অনুপ্রেরণা জেগে ওঠে।
Q7.‘তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের।'— কে অপমানিত হয়েছিল? কেন অপমানিত হয়েছিল?
❏ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের নায়ক তপন অপমানিত হয়েছিল।লেখক মেসোমশাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ছোট্ট তপন একটি গল্প লিখে ফেলে। গল্প লেখার উত্তেজনায় ও রোমাঞ্চে সে গল্পটি ছোটোমাসিকে দেখায়। ফলে তা নতুন মেসোর হাতে পড়ে এবং তিনি তপনের লেখার প্রশংসা করেন; সেটি পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। পত্রিকায় গল্প ছাপা হওয়ার পর তপন দেখে সমস্ত গল্পটাই মেসো তার পাকা হাতের কলমে আগাগোড়া নতুন করে লিখে দিয়েছেন। নিজের লেখা গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা পড়ার যন্ত্রণা তাকে বিদ্ধ করে। এভাবে আত্মমর্যাদা হারানোর ফলে তপন অপমানিত বোধ করেছিল।
Q8. ‘আজ যেন তার জীবনে সবচেয়ে দুঃখের দিন'- কার কথা বলা হয়েছে? ‘আজ’ কী কারণে বক্তার কাছে সবচেয়ে দুঃখের দিন?
❏ এখানে ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের কথা বলা হয়েছে। মেসোমশাইয়ের দৃষ্টান্তে উদ্বুদ্ধ হয়ে তপন একটি গল্প লিখে ফেলে। এরপর মাসির প্রশ্রয়ে এবং তাঁর প্ররোচনায় লেখক নতুন মেসো সেই গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন। কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর সে দেখে পুরো গল্পটাই মেসো আগাগোড়া নতুন করে লিখে দিয়েছেন। এ গল্পে শুধু তার নামটুকুই আছে; অথচ সে কোথাও নেই। এই ঘটনা তপনের অন্তর্মনে আঘাত করে। লজ্জায়, অনুতাপে, আত্মসম্মানহীনতায় সে সকলের কাছ থেকে পালিয়ে ছাতের অন্ধকারে একলা দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেলে। নিজের কাছে নিজেই এভাবে ছোটো হয়ে যাওয়ায় তার মনে হয়, ‘আজ’ জীবনে সবচেয়ে দুঃখের দিন।
❏ আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে আলোচ্য অংশে ‘তার চেয়ে’ বলতে তপনের নিজের লেখা গল্প লেখক-মেসোর হাতে পড়ে নির্বিচারে পরিবর্তিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা পড়াটা তার কাছে গভীর দুঃখের ও অপমানের বলে মনে হয়েছিল। এই আত্মসম্মানবোধ থেকেই তপনের অন্তর্মনে মৌলিকতার অনুপ্রেরণা জেগে ওঠে।
Q7.‘তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের।'— কে অপমানিত হয়েছিল? কেন অপমানিত হয়েছিল?
❏ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের নায়ক তপন অপমানিত হয়েছিল।লেখক মেসোমশাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ছোট্ট তপন একটি গল্প লিখে ফেলে। গল্প লেখার উত্তেজনায় ও রোমাঞ্চে সে গল্পটি ছোটোমাসিকে দেখায়। ফলে তা নতুন মেসোর হাতে পড়ে এবং তিনি তপনের লেখার প্রশংসা করেন; সেটি পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। পত্রিকায় গল্প ছাপা হওয়ার পর তপন দেখে সমস্ত গল্পটাই মেসো তার পাকা হাতের কলমে আগাগোড়া নতুন করে লিখে দিয়েছেন। নিজের লেখা গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা পড়ার যন্ত্রণা তাকে বিদ্ধ করে। এভাবে আত্মমর্যাদা হারানোর ফলে তপন অপমানিত বোধ করেছিল।
Q8. ‘আজ যেন তার জীবনে সবচেয়ে দুঃখের দিন'- কার কথা বলা হয়েছে? ‘আজ’ কী কারণে বক্তার কাছে সবচেয়ে দুঃখের দিন?
❏ এখানে ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের কথা বলা হয়েছে। মেসোমশাইয়ের দৃষ্টান্তে উদ্বুদ্ধ হয়ে তপন একটি গল্প লিখে ফেলে। এরপর মাসির প্রশ্রয়ে এবং তাঁর প্ররোচনায় লেখক নতুন মেসো সেই গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন। কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর সে দেখে পুরো গল্পটাই মেসো আগাগোড়া নতুন করে লিখে দিয়েছেন। এ গল্পে শুধু তার নামটুকুই আছে; অথচ সে কোথাও নেই। এই ঘটনা তপনের অন্তর্মনে আঘাত করে। লজ্জায়, অনুতাপে, আত্মসম্মানহীনতায় সে সকলের কাছ থেকে পালিয়ে ছাতের অন্ধকারে একলা দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেলে। নিজের কাছে নিজেই এভাবে ছোটো হয়ে যাওয়ায় তার মনে হয়, ‘আজ’ জীবনে সবচেয়ে দুঃখের দিন।
Q9. ‘আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম’-কার উক্তি? এমন উক্তির কারণ উল্লেখ করো।
❏ প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হল তর্পনের মেজোকাকু। তপনের লেখক মেসো তাঁর প্রভাব আর পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে ছোট্ট তপনের গল্পটি পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন। এ কথা শুনে বাড়ির বিভিন্ন সদস্য তপনের কৃতিত্বকে খাটো করার চেষ্টা করে। তপনের মেজোকাকুর উক্তিতেও সেই মধ্যবিত্ত মানসিকতারই প্রকাশ লক্ষ করা যায়।
Q10. পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে—কোন ঘটনাকে ‘অলৌকিক ঘটনা' বলা হয়েছে? অলৌকিক বলতে কী বোঝ?
❏ মেসোমশাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন একটা গল্প লিখে ফেলে। সেই গল্পটি মাসির প্ররোচনায় ও মেসোর প্রভাবে সত্যিই একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ছোট্ট তপনের কাছে তার গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশ পাওয়ার ঘটনা ছিল স্বপ্নের মতোই কাল্পনিক। তাই এই ঘটনাটিকে অলৌকিক বলা হয়েছে।‘অলৌকিক’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল অবাস্তব বা অসম্ভব ব্যাপার।
Q11.‘গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের'— তপন কে? তার গায়ে কেন কাঁটা দিয়ে উঠল?
❏ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের নায়ক হল তপন। তপন তার নতুন মেসো মশাইকে দেখে বোঝে লেখকেরাও আর সকলেরই মতো সাধারণ মানুষ। এর আগে সে কখনও জলজ্যান্ত একজন লেখককে এভাবে এত কাছ থেকে দেখেনি। ফলে মেসোমশাইয়ের দৃষ্টান্তে অনুপ্রাণিত হয়ে সে স্কুলের হোম টাস্কের খাতায় একাসনে বসে আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলে। লেখার পর নিজের প্রথম গল্পটি পড়ে উত্তেজনায় তার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল।
Q12.‘বিষণ্ণ মন নিয়ে বসে আছে এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা।'— কেন বিষণ্ণ মন নিয়ে বসেছিল? এমন সময়ে কী ঘটেছিল?
❏ লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন একটি গল্প লিখে ফেলে। মেসো ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তপনের গল্পটি নিয়ে চলে যান। এবার তপন অধীর আগ্রহে দিন গোনে। ক্রমে হতাশ হয়ে ছাপানোর আশা ছেড়ে দেওয়ায়; তার মন দুঃখে বিষণ্ন হয়ে ওঠে। তপন যখন প্রায় আশা ছেড়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যে যদিও সে আরও দু-তিনটে গল্প লিখে ফেলেছে। ঠিক এমন সময়ে ছোটো মাসি আর মেসো একদিন বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তাঁদের হাতে ধরা একটি পত্রিকা, নাম ‘সন্ধ্যাতারা’। সেখানে সত্যিই ছাপা হয়েছে তপন কুমার রায়ের গল্প। অবশেষে তপনের স্বপ্নপূরণ ঘটানো, এই ঘটনাই ঘটেছিল।
Q13. ‘কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল। কোন কথা শুনে কেন তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল?
❏ তপন এতদিন ভেবে এসেছে লেখকরা বুঝি অন্য জগতের মানুষ। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে তাদের কোনো মিলই নেই। তাই যখন সে শুনল যে তার ছোটোমেসোমশাই বই লেখেন, আর সেই বই ছাপাও হয় তখন তার বিস্ময়ের সীমা রইল না। নতুন মেসোমশাই একজন সত্যিকারের লেখক। এই আশ্চর্য খবরটা শুনেই তপনের চোখ মার্বেলের মতো গোলগোল হয়ে গেল।
Q14. ‘সে সব বই নাকি ছাপাও হয়।'— উক্তিটিতে যে-বিস্ময় প্রকাশিত হয়েছে, তা পরিস্ফুট করো।
❏ আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন নামের বালকটি তার ছোটোমাসির সদ্যবিবাহিত স্বামী অর্থাৎ তার মেসো যে একজন লেখক, এ কথা জেনে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায়। লেখকেরা যে সাধারণ মানুষ এবং তার মেসোমশাই একজন লেখক, যাঁর বই ছাপা হয়—এ তথ্য তার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল। আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে বালক তপনের মনের সেই বিস্ময় প্রকাশ পেয়েছে।
Q15. ‘রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই।'—কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
❏ উদ্ধৃতিটি আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে গৃহীত। ‘জহর’ অর্থাৎ মূল্যবান রত্ন বিশেষজ্ঞকে জহুরি বলা হয়। এক্ষেত্রে জহুরি বলতে নতুন মেসোকে বোঝানো হয়েছে। লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন একটা আস্ত গল্প লিখে মাসিকে দেখায়। মাসি তা নিয়ে সারাবাড়িতে শোরগোল বাধিয়ে মেসোকে দেখাতে যান। তপন ব্যাপারটায় আপত্তি তুললেও মনে মনে পুলকিত হয় এই ভেবে যে, তার লেখার মূল্য একমাত্র কেউ যদি বোঝে তবে ছোটোমেসোই বুঝবে, কেননা জহুরির জহর চেনার মতো একজন লেখকই পারে কোনো লেখার মুল্যায়ন করতে।
নীচের বাক্য গুলির কারক বিভক্তি নির্ণয় করো :
১. যেন নেশায় পেয়েছে।
উত্তরঃ নেশায়—করণ কারকে ‘য়’ বিভক্তি।
২. পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?
উত্তরঃ পৃথিবীতে–অধিকরণ কারকে ‘তে’ বিভক্তি।
৩. তপন যেন কোথায় হারিয়ে যায় এইসব কথার মধ্যে।
উত্তরঃ কোথায়—অধিকরণ কারকে ‘য়’ বিভক্তি।
৪. নিজের মুখে একবার পড় তো তপন শুনি।
উত্তরঃ মুখে—করণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
৫. এ দেশের কিছু হবে না।
উত্তরঃ দেশের—অধিকরণ কারকে ‘এর’ বিভক্তি।
৬. ওদিকে মেসোরও না কী গরমের ছুটি চলছে।
উত্তরঃ গরমের—কর্তা সম্বন্ধে ‘এর’ বিভক্তি।
৭. মামার বাড়িতে এই বিয়ে উপলক্ষ্যেই এসেছে তপন।
উত্তরঃ মামার বাড়িতে – অধিকরণ কারকে ‘তে’ বিভক্তি।
৮. তপন, তোমার গল্প তো দিব্যি হয়েছে।
উত্তরঃ তপন—সম্বোধন পদে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৯. বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা।
উত্তরঃ বিকেলে—অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
১০. এ কথাটাই ভাবছে তপন রাতদিন।
উত্তরঃ কথাটাই—কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
রাতদিন—অধিকরণ কারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
১১. ছোটোমাসি, একটা গল্প লিখেছি।
উত্তরঃ ছোটোমাসি–সম্বোধন পদে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
১২. কোনোখান থেকে টুকলিফাই করিসনি তো?
উত্তরঃ কোনোখান— অপাদান কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ।
১৩. বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের।
উত্তরঃ বুকের রক্ত— কর্তা সম্বন্ধপদে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
১৪. পত্রিকাটি সকলের হাতে হাতে ঘোরে।
উত্তরঃ হাতে হাতে– অপাদান কারকে ‘তে’ বিভক্তি।
১৫. তা ওরকম একটি লেখক মেসো থাকা মন্দ নয়।
উত্তরঃ লেখক মেসো— কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
১৬. কেশে গলা পরিষ্কার করে।
উত্তরঃ কেশে— করণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
১৭. অর্থাৎ নতুন করে লিখেছেন, নিজের পাকা হাতের কলমে।
উত্তরঃ কলমে—করণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
১৮. মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।
উত্তরঃ দুঃখের দিন— কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
নীচের প্রশ্ন গুলির বাক্য পরিবর্তন করো :
১. আমি বললে 'সন্ধ্যাতারা'র সম্পাদক ‘না’ করতে পারবে না। (হ্যাঁ-বাচক বাক্য)
উত্তরঃ আমি বললে ‘সন্ধ্যাতারা’র সম্পাদক ‘হ্যাঁ’ করবেই।
২. তারপর ছুটি ফুরোলে মেসো গল্পটি নিয়ে চলে গেলেন। (যৗগিক বাক্য)
উত্তরঃ তারপর ছুটি ফুরোল এবং মেসো গল্পটি নিয়ে চলে গেলেন।
৩. কাজেই গল্প জিনিসটা যে কী সেটা জানতে তো বাকি নেই? (নির্দেশক বাক্য)
উত্তরঃ কাজেই গল্প জিনিসটা যে কী সেটা সে জানে।
৪. একাসনে বসে লিখেও ফেলল আস্ত একটা গল্প। (যৌগিক বাক্য)
উত্তরঃ একাসনে বসল এবং লিখেও ফেলল আস্ত একটা গল্প।
৫. লেখার পর যখন পড়ল গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের। (সরল বাক্যে)
উত্তরঃ লেখার পর পড়ে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের।
৬. এ যে সত্যিই হুবহু গল্পের মতোই লাগছে। (প্রশ্নবাচক বাক্যে)
উত্তরঃ এ কি সত্যিই হুবহু গল্পের মতোই লাগছে না?
৭. তার মানে তপনকে এখন ‘লেখক’ বলা চলে। (প্রশ্নবোধক বাক্য)
উত্তরঃ তার মানে কি এই নয় যে, তপনকে এখন ‘লেখক’ বলা চলে?
৮. হঠাৎ ভয়ানক একটা উত্তেজনা অনুভব করে তপন। (জটিল বাক্যে)
উত্তরঃ হঠাৎ যে উত্তেজনা অনুভব করে তপন, তা ভয়ানক।
৯. কোথায় গল্পের সেই আঁটসাঁট ছাপার অক্ষরে গাঁথা চেহারাটি? (নির্দেশক বাক্য)
উত্তরঃ গল্পের সেই আঁটসাঁট ছাপার অক্ষরে গাঁথা চেহারাটি কোথাও নেই।
১০. হোম টাস্ক হয়ে ওঠেনি, তবু লিখছে। (সরল বাক্যে)
উত্তরঃ হোম টাস্ক হয়ে না উঠলেও লিখছে।
১১. পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে? (নির্দেশক বাক্যে)
উত্তরঃ পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটে কিনা সন্দেহ।
১২. সকলেই একবার করে চোখ বোলায় আর বলে। (সরল বাক্যে)
উত্তরঃ সকলেই একবার করে চোখ বুলিয়ে বলে।
১৩. আজ আর অন্য কথা নেই। (বিস্ময়সূচক বাক্যে)
উত্তরঃ আজ কি আর অন্য কথা আছে।
১৪. তপন লজ্জা ভেঙে পড়তে যায়। (যৌগিক বাক্য)
উত্তরঃ তপন লজ্জা ভাঙে এবং পড়তে যায়।
১৫. তপনকে যেন নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়তে না হয়। (জটিল বাক্যে)
উত্তরঃ যখন তপন নিজের গল্প পড়তে বসবে, তখন যেন অন্যের লেখা লাইন পড়তে না হয়।
নীচের প্রশ্ন গুলির বাচ্য পরিবর্তন করো :
১. এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের। (কর্তৃবাচ্য)
উত্তরঃ এ বিষয়ে সন্দেহ করত তপন।
২. সেই ওঁদের মতোই দাড়ি কামান। (ভাববাচ্য)
উত্তরঃ সেই ওঁদের মতোই দাড়ি কামানো হয়।
৩. আরে ব্যস, এত কখনও খাওয়া যায়? (কর্তৃবাচ্য)
উত্তরঃ আরে ব্যস, এত কখনো খাই?
৪. ছুটি আছে বলেই রয়ে গেছে। (কর্মবাচ্য)
উত্তরঃ ছুটি আছে বলেই থেকে যাওয়া হয়েছে।
৫. তাই মেসো শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়েছেন ক’দিন। (ভাববাচ্য)
উত্তরঃ তাই মেসোর শ্বশুরবাড়িতে এসে থাকা হচ্ছে ক’দিন।
৬. কিন্তু কে শোনে তার কথা? (ভাববাচ্য)
উত্তরঃ কিন্তু কার শোনা হয় তার কথা?
৭. ততক্ষণে তো গল্প ছোটোমেসোর হাতে চলেই গেছে। (কর্তৃবাচ্য)
উত্তরঃ ততক্ষণে তো গল্প ছোটোমেসোর হাতে দিয়েই দিয়েছে।
৮. তপন, তোমার গল্প তো দিব্যি হয়েছে। (কর্তৃবাচ্য)
উত্তরঃ তপন, তুমি গল্প তো দিব্যি লিখেছ।
৯. আমি বললে ‘সন্ধ্যাতারা’র সম্পাদক ‘না’ করতে পারবে না। (কর্মবাচ্য)
উত্তরঃ আমি বললে ‘সন্ধ্যাতারা'র সম্পাদকের দ্বারা ‘না’ করা সম্ভব হবে না।
১০. তোমার গল্প আমি ছাপিয়ে দেব। (কর্মকর্তৃবাচ্য)
উত্তরঃ তোমার গল্প ছাপা হবে।
১১. তপনের হাত আছে। (কর্তৃবাচ্য)
উত্তরঃ তপন হাতবিশিষ্ট।
১২. ওর হবে। (কর্তৃবাচ্য)
উত্তরঃ ও পারবে।
১৩. নতুন মেসোকে দেখে জানলে সেটা। (ভাববাচ্য)
উত্তরঃ নতুন মেসোকে দেখে জানা হল সেটা।
১৪. ওমা এ তো বেশ লিখেছিস রে? (ভাববাচ্য)
উত্তরঃ ওমা এতো বেশ লেখা হয়েছে রে।
১৫. এদিকে বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গেছে কবি, সাহিত্যিক, কথাশিল্পী।(কর্তৃবাচ্য)
উত্তরঃ এদিকে বাড়িতে তপন নাম করে ফেলেছে কবি, সাহিত্যিক,কথাশিল্পী হিসেবে।
১৬. বারে! চমৎকার লিখেছে তো। (ভাববাচ্য)
উত্তরঃ বারে! চমৎকার লেখা হয়েছে তো।
১৭. পড়ো, সবাই শুনি। (ভাববাচ্য)
উত্তরঃ পড়া হোক, সবার শোনা হোক।
১৮. সবাই শুনতে চাইছে। (কর্মবাচ্য)
উত্তরঃ সবার দ্বারা শুনতে চাওয়া হচ্ছে।
১৯. তা জানে না তপন। (ভাববাচ্য)
উত্তরঃ তা জানা নেই তপনের।
২০. তপন নিজে গিয়ে দেবে। (কর্মবাচ্য)
উত্তরঃ তপনের নিজে গিয়ে দেওয়া হবে।
Tags : জ্ঞানচক্ষু,জ্ঞানচক্ষু দশম শ্রেণি,জ্ঞানচক্ষু আশাপূর্ণা দেবী,জ্ঞানচক্ষু দশম শ্রেণির জন্য,দশম শ্রেণির বাংলা গল্প জ্ঞানচক্ষু,দশম শ্রেণি,দশম শ্রেণী জ্ঞানচক্ষু,,দশম শ্রেণির জন্য জ্ঞানচক্ষু,জ্ঞানচক্ষু গল্প দশম শ্রেণী,জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর,দশম শ্রেণীর জ্ঞানচক্ষু গল্প,জ্ঞানচক্ষু গল্পের আলোচনা,দশম শ্রেণির জ্ঞানচক্ষু গল্পের আলোচনা,দশম শ্রেণির জ্ঞানচক্ষু আশাপূর্ণা দেবী,দশম শ্রেণির বাংলা,জ্ঞানচক্ষু,class 10 bengali,class 10,জ্ঞানচক্ষু আশাপূর্ণা দেবী,,জ্ঞানচক্ষু class 10,gyanchokkhu class 10 mcq/saq,জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর,class 10 bengali suggestion 2023,class 10 bangla,bengali class 10,জ্ঞানচক্ষু আশাপূর্ণা দেবী class 10,class 10 শিখন সেতু বাংলা জ্ঞানচক্ষু,class 10 bengali gyanchakshu,জ্ঞানচক্ষু অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর,জ্ঞানচক্ষু গল্পের আলোচনা,