ভারতের জাতীয় বিষয় জেনারেল নলেজ ছোট প্রশ্ন উত্তর

Bangla Short Gk Question

১. ভারতের জাতীয় প্রতীক কী?
উত্তরঃ অশোক চক্র / অশোক স্তম্ভ
২. ভারতের জাতীয় সংগীত এর নাম কী?
উত্তরঃ বন্দেমাতরম্।
৩. ভারতের জাতীয় স্তোত্র কী?
উত্তরঃ জনগণমন অধিনায়ক।
৪. ভারতের জাতীয় গাছের নাম কী?
উত্তরঃ ভারতীয় বট। (Ficus Benghalensis) ১৯৫০ সালে ভারতীয় বটকে ভারতের জাতীয় গাছের মর্যাদা দেওয়া হয়।
৫. ভারতের জাতীয় ফুল এর নাম কী?
উত্তরঃ পদ্ম (Nelumbo nucifera) ১৯৫০ সালে পদ্মফুলকে ভারতীয় জাতীয় ফুলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
৬. ভারতের জাতীয় ফলের নাম কী?
উত্তরঃ আম (Mangifera Indica) ১৯৫০ সালে আমকে ভারতের জাতীয় ফল হিসাবে মর্যাদা দেওয়া হয়।
৭. ভারতের জাতীয় পশু?
উত্তরঃ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Panthera Tigris Tigris) ১৯৭৩ সালে ভারতের জাতীয় পশু হিসাবে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
৮. ভারতের জাতীয় পাখির নাম কী?
উত্তরঃ ভারতীয় ময়ূর Indian Peafowl (Pavo Cristatus) ১৯৬৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় ময়ুরকে ভারতের জাতীয় পাখি হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
৯. ভারতের জাতীয় ধ্বনির নাম কী?
উত্তরঃ জয়হিন্দ।
১০. ভারতের জাতীয়বাণী (Motto) কী?
উত্তরঃ সত্যমেব জয়তে।
১১. ভারতের জাতীয় খেলার নাম কী?
উত্তরঃ হাডুডু এবং হকি।
১২. ভারতের জাতীয় ভাষা কয়টি?
উত্তরঃ ২২টি ভাষাকে সরকারীভাবে জাতীয় ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ভাষাগুলি হল— অসমীয়া, বাংলা, বোড়ো, ডোগরী, গুজরাটি, হিন্দি, কানাডা, কাশ্মীরি, কোঙ্কনি, মৈথিলি, মালয়ালম, সাঁওতালী, মারাঠী, নেপালী, ওড়িয়া, পাঞ্জাবী, সংস্কৃত, মৈতৈ, সিন্ধি, তামিল, তেলেগু এবং উর্দু।
১৩. ভারতের জাতীয় জলজ পশুর নাম কী?
উত্তরঃ ইরাবতী ডলফিন।
১৪. ভারতের জাতীয় দিবস গুলির নাম কী?
উত্তরঃ ২৬ জানুয়ারি (প্রজাতন্ত্র দিবস), ১৫ আগস্ট (স্বাধীনতা দিবস), ২ অক্টোবর (গান্ধি জয়ন্তী- মহাত্মা গান্ধির জন্মদিন)
১৫. ভারতের জাতীয় ঐতিহ্যবাহী কী?
উত্তরঃ হাতি (Elephas Maximus Indicus) ২০১০ সালের ২২ অক্টোবর ভারতীয় হাতিকে জাতীয় ঐতিহ্যবাহী পশু হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
১৬. ভারতের জাতীয় জীবাণুর নাম কী?
উত্তরঃ ল্যাকটোব্যাসিলাস বুলগারিকাস। এটি একটি উপকারী ব্যাক্টেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়াকে খাদ্যের সম্পূরক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ২০০২ সালের ১৮ অক্টোবর হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত ‘বায়োডায়ভার্সিটি কনজারভেশন এন্ড এডুকেশন ফর সাস্টেনেবেল ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্সে' এই ব্যাকটেরিয়াকে ভারতের জাতীয় জীবানু হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
১৭. ভারতের জাতীয় নদীর নাম কী?
উত্তরঃ গঙ্গা এর মোট দৈর্ঘ্য ২৫১০ কিমি। ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর গঙ্গা নদীকে ভারতের জাতীয় নদী হিসাবে মর্যাদা দেওয়া হয়।
১৮. ভারতের জাতীয় পতাকার তাৎপর্য কী?
  • গেরুয়া রঙ - ত্যাগ, শৌর্য ও সেবার প্রতীক।
  • সাদা রঙ - শান্তি ও পবিত্রতার প্রতীক।
  • গাঢ় সবুজ রঙ - জীবন ধর্ম, নির্ভীকতা ও কর্মশক্তির প্রতীক।
  • অশোক চক্র - উন্নতি ও গতিশীলতা।
ভারতের স্বাধীনতা দিবস
ভারতের স্বাধীনতা দিবস অগ্রযায়িত হয় 15 অগাষ্ট। এটি ভারতের জাতীয় উৎসব হিসাবে পালিত হয় এবং এর সাথে সাথে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসও উদ্‌যাপিত হয়। 1947 সালের এই দিন ব্রিটিশ রাজ্যের ভারত দলবদলের পর স্বাধীনতা লাভ করে। এই দিনটি ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই দিনটি ভারতীয় রাষ্ট্রীয় পতাকা উত্তোলন করে এবং একটি উৎসবের সৃষ্টি করে। ভারতীয় স্বাধীনতা দিবস নিয়ে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কার্যক্রম হয় এবং এই দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্বোধন করা হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এই দিনটি উদ্‌যাপিত করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নেতা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্মান প্রদান করেন। স্কুল, কলেজ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  এই দিনটি উদ্‌যাপিত করে বিভিন্ন সেমিনার, উপস্থাপনা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম অনুষ্ঠান পালন করা হয়।
ভারতের স্বাধীনতা দিবসে মানুষেরা সমস্ত বিভাগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে এবং সমস্ত উপস্থিত ব্যক্তিরা একসাথে গান গাইয়ে থাকেন। এই দিনটি ভারতের রাষ্ট্রীয় ভাবনার একটি উৎসব হিসাবে পালিত হয় এবং এই দিনটি ভারতের মানুষের জন্য একটি গৌরবময় দিন। ভারতের স্বাধীনতা দিবস একটি গৌরবময় দিন যেখানে মানুষেরা তাদের দেশের ইতিহাস এবং স্মৃতির স্বরূপ পুনর্নির্মাণ করেন। এই দিনটি ভারতের মানুষের জন্য একটি পুরাতন স্মৃতি যা আমাদের কে মনে করিয়ে দেয় যে কিভাবে আমাদের দেশটি স্বাধীনতার পথে এগিয়ে আসলো।আর এই দিনটি স্বাধীনতার প্রথম দিন হিসাবে পালিত হয় এবং এর আয়োজন হয় ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে। এই দিনে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তির স্বপ্ন পুরন হয়। ভারতের স্বাধীনতার দিবস সম্পর্কে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হল মহাত্মা গান্ধীর ভূমিকা। গান্ধী একজন অগ্রণী রাজনীতিবিদ ছিলেন এবং তার অগ্রণীতায় ভারতের স্বাধীনতার প্রক্রিয়া চলে তিনি আন্দোলন চালালেন যা বিভিন্ন অগ্রণী কর্মী, রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ জনগণের উদ্যোগে বেশ সফল ও  হয়েছিলো।

ভারতের মানচিত্রের ইতিহাস
ভারতের মানচিত্র একটি উন্নয়নশীল দেশ। এটি প্রাচীনকাল থেকেই সভ্যতার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এবং বিভিন্ন রাজ্য, সাম্রাজ্য এবং সংস্থা এখানে এক একক ইতিহাস তৈরি করেছে। ভারতের মানচিত্রের ইতিহাস কেবল একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া যায় না, তবে কুলমিলে তার ইতিহাস অনেকটা একটি কথাবদ্ধ মিশ্রণ হয়ে উঠেছে। প্রাচীনকালে ভারতে একটি বিশাল সভ্যতা উদ্ভব হয়েছিল। ইন্দুস সভ্যতা হল একটি প্রধান উদাহরণ যা দ্বিতীয় মিলেনিয়াম পূর্ব পর্যন্ত থাকতে পারে। পাশাপাশি ভারতের ইতিহাসে বিভিন্ন সাম্রাজ্য, রাজবাড়ি এবং সংস্থা উত্থান এবং পতনের ঘটনাবলী ঘটেছে। এসব মধ্যেও উল্লেখযোগ্য সাম্রাজ্য গুলি হল মৌর্য, গুপ্ত, মুঘল এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্য।

ভারতের ইতিহাসের সাথে সংগঠিত রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং ধর্ম নিখুঁতভাবে জড়িত ছিল। বিভিন্ন যুদ্ধ, বিদ্রোহ এবং আন্দোলন ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রেখেছে। ভারতের ইতিহাসে স্বাধীনতা আন্দোলন ও ভারত পাকিস্তান বিভাগ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসাবে পরিচিত। বর্তমানে ভারত একটি সাম্রাজ্যবাদী সংস্থান হিসাবে পরিচালিত হয়। এটি একটি প্রগতিশীল দেশ হিসাবে চিহ্নিত হয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এবং সংস্থা উন্নয়নের পথে প্রবল প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ভারত একটি অপরিসীম সংস্কৃতি এবং পরম্পরাগত পরিবেশ রয়েছে যা বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মধ্যে একত্ব এবং একতা উৎপন্ন করে। ভারত একটি সংবিধানমূলক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র যেখানে প্রতি পাঁচ বছরে একটি সরকার নির্বাচিত হয়। ভারত পূর্ব এশিয়ার একটি প্রমুখ রাষ্ট্র এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র। এটি বিশ্বের প্রথম দশটি প্রস্তুতি দেশ হিসাবে চিহ্নিত হয়। ভারত একটি সম্পন্ন বাণিজ্যিক এবং প্রযুক্তিগত প্রগতিশীল দেশ যা বিশ্বব্যাপী একটি প্রভাবশালী বাজার ও ভারত সম্পদমত্ত সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যবাহী জীবনযাপন হিসাবে চিহ্নিত।

ভারত বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা থেকে একটি উদ্ভাবন কেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত। এটি সংস্কৃতি, ধর্ম এবং তথ্যপ্রযুক্তির একটি প্রবীণতম উৎস হিসাবে পরিচিত। ভারতীয় সভ্যতার প্রাচীন অঞ্চলগুলি ছিল হিমালয় পর্বতমালার উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে, ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গা নদীতে বিস্তৃত। এই এলাকা আজকের বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সীমানা অন্তর্ভুক্ত করে। ভারতীয় সভ্যতার ইতিহাস হলো দুটি মূল পর্বে বিভক্ত- প্রাচীন ভারত এবং মধ্যযুগীয় ভারত। প্রাচীন ভারতে প্রায় ১৫০০ আগের সময় হিসাবে মনে করা হয়। এটি বিভিন্ন রাজ্যের উৎপত্তি এবং বিকাশ সম্পর্কিত ছিল, যেমন মহাজনপদ, জনপদ এবং মগধ সাম্রাজ্য। এই সময়ে ভারত সংস্কৃতি এবং বিজ্ঞানে অনেক উন্নয়ন করে। সংস্কৃতি একটি গৌরবময় সংস্কৃতি ছিল যেখানে ধর্ম, সাহিত্য, কলা এবং বিজ্ঞানে বিশেষ কাজ করা হয়েছিল।
মধ্যযুগীয় ভারতে বিভিন্ন রাজ্য এবং সাম্রাজ্যের জন্ম হয়েছিল, যেমন গুপ্ত, চল, পাল্লব, চন্দ্রগুপ্ত এবং দিল্লী সুলতানাত এরা। মধ্যযুগীন ভারতে ইসলাম ধর্ম প্রবর্তন হয় এবং মুগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি প্রভাবশালী সাম্রাজ্য ছিল যেখানে সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতি এবং সংস্কৃতি উন্নয়ন করা হয়। ইংরেজি সাম্রাজ্যের অবস্থানে ভারত ব্যবসায় ও আর্থিক উন্নয়নে জুড়ে পরিবর্তন হয়েছিল। ভারত স্বাধীনতা পেলে সংস্কৃতি, পরিবেশ ও প্রজন্ম উন্নয়ন করতে শুরু করে। এর মধ্যে একটি বিশেষ উন্নয়ন ছিল বিজ্ঞানে এবং প্রযুক্তিতে। একটি অসামান্য জ্ঞান পরিবেশ এবং বিশেষজ্ঞ পাঠক দলের সমন্বয়ে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবনী প্রযুক্তির উন্নয়ন করেছেন।

  • ভারতের জাতীয় বিষয় জেনারেল নলেজ 
  • ছোট প্রশ্ন উত্তর PDF Download

Type Here ....

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন