Class 6 Sastho o Sarir Shiksha Chapter 3 All Question Answer Solved
❐ আরো পড়ুনঃ ক্লাস - (ষষ্ঠ শ্রেণি)
{tocify} $title={Table of Contents}
ষষ্ঠ শ্রেণি তৃতীয় অধ্যায়ঃ স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রশ্ন উত্তর
Section-2 : Knowledge Understanding Zone (Group Work)
(ক) শূন্যস্থান পূরণ করো :
(১) স্বাস্থ্য অমূল্য__________ ।
উত্তরঃ সম্পদ
(২) সুস্বাস্থ্য বলতে বোঝায় একটি_______________।
উত্তরঃ নীরোগ
(৩) স্বাস্থ্য বলতে ব্যক্তির সার্বিক সেই অবস্থাকে বোঝায়, যা তাকে দৈহিক, _________ও সামাজিক দিক থেকে _________জীবনযাপনে সহায়তা করে।
উত্তরঃ মানসিক , পরিপূর্ণ
(৪) স্বাস্থ্য শুধুমাত্র রোগ থেকে মুক্তি বা ______________দেহ বা শারীরিক সুস্থতা নয়।
উত্তরঃ নীরোগ
(৫) কীভাবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা যায় সেই শিক্ষাই দান করে_________।
উত্তরঃ স্বাস্থ্য শিক্ষা
(৬) স্বাস্থ্যশিক্ষার উদ্দেশ্য হল রোগ-ব্যাধির_________ও তার সাবধানতা অবলম্বন করা।
উত্তরঃ প্রতিকার
(৭) স্বাস্থ্য_____________রোগ প্রতিরোধ, অক্ষমতা________ও অকালমৃত্যু দূরীকরণে স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রয়োজন।
উত্তরঃ উন্নয়ন দূরীকরণ
(৮) স্বাস্থ্যবিধি হল_________ এমন একটি বিষয় যা জানলে শরীরকে সুস্থ, সুন্দর ও নীরোগ রাখা যায়।
উত্তরঃ বিজ্ঞান সম্মত
(৯)___________ দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে।
উত্তরঃ অন্তঃকর্ণ
(১০) প্রতিবার_________ পর দাঁত ব্রাশ করা উচিত।
উত্তরঃ খাওয়ার
(১১) _____________রক্তকে তরল রাখতে সাহায্য করে।
উত্তরঃ জল
(১২)_________একপ্রকার সংক্রামক ব্যাধি।
উত্তরঃ কোভিড-১৯,
(১৩) মধুমেহ __________ব্যাধি।
উত্তরঃ অসংক্রামক
(খ) নীচের তালিকার কোনটি সু-অভ্যাস/কু-অভ্যাস তা লেখো :
(১) ভোরে নিয়মিত ঘুম থেকে ওঠা।
উত্তর : সু-অভ্যাস।
(২) নিয়মিত ছাই দিয়ে দাঁত মাজা।
উত্তর : কু-অভ্যাস।
(৩) রাতে শোওয়ার আগে দাঁত মাজা।
উত্তর : সু-অভ্যাস।
(৪) নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যায় ব্যায়াম করা। উত্তর : সু-অভ্যাস।
(৫) স্বাস্থ্যশিক্ষার ক্লাসের সময় শেষ বেঞ্চে বসে গল্পের বই পড়বে।
উত্তর : কু-অভ্যাস।
(৬) বিদ্যালয় গৃহের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।
উত্তর : সু-অভ্যাস।
(৭) নিজের জামা নিজে কাচা।
উত্তর : সু-অভ্যাস।
(৮) মাঠে খেলাধুলা না করে ভিডিও গেম খেলা।
উত্তর : কু-অভ্যাস।
(৯) হাত না-ধুয়ে মিড-ডে মিল খাওয়া।
উত্তর : কু-অভ্যাস।
(১০) থুতু দিয়ে বই/খাতার পাতা ওলটানো।
উত্তর : কু-অভ্যাস।
(১১) নিয়মিত ফাস্ট ফুড খাওয়া।
উত্তর : কু-অভ্যাস।
(১২) সারাদিনে একঘন্টা ব্যায়াম / খেলাধুলাক করা।
উত্তর : সু-অভ্যাস।
(১৩) বিদ্যালয়ে ফুলের বাগান তৈরি করা।
উত্তর : সু-অভ্যাস।
(গ) List and Table নীচের ছকটি পূরণ করো।

(ঘ) সত্য বাক্যটির পাশে (✓) দাও আর মিথ্যা বাক্যটির পাশে (✕) দাও :
(১) স্বাস্থ্যশিক্ষার উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন ইন্দ্রিয় ও অঙ্গের পরিচর্যা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে শিক্ষাদান।
উত্তর : সত্য ✓
(২) স্বাস্থ্যশিক্ষার উদ্দেশ্য হল ধূমপান, ড্রাগ ও মাদক দ্রব্যের কু-অভ্যাস বর্জন করা।
উত্তর : সত্য ✓
(৩) ত্বকের যত্ন নেবার জন্য নিয়মিত সকালে ঠান্ডা ও নিরাপদ জলে স্নান করা স্বাস্থ্যকর।
উত্তর : সত্য ✓
(৪) প্রতিদিন স্নানের সময় জীবাণুনাশক সাবান ব্যবহার করা উচিত।
উত্তর : সত্য ✓
(৫) দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ভিটামিনযুক্ত খাদ্য ও শাকসবজি বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।
উত্তর : সত্য ✓
(৬) ধূমপান বা পান খাওয়ার ফলে দাঁতের রোগ দেখা দেয়।
উত্তর : সত্য ✓
(৭) কানে অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগানো উচিত নয়।
উত্তর : সত্য ✓
(৮) চোখের রোগের যত্ন নিতে ভিটামিন ‘এ’ এবং বেশি পরিমাণে শাকসবজি খাওয়া উচিত।
উত্তর : সত্য ✓
(৯) মানুষ যখন কোনো কিছু শেখে, তা করার পুনরাবৃত্তি করে বা করার চেষ্টা করে; একেই বলে অভ্যাস।
উত্তর : সত্য ✓
(১০) মাঠে-ঘাটে যত্রতত্র শৌচকার্য করলে এবং শৌচকার্যের পরে হাতে সাবান না দিলে সংক্রামক রোগ হয়।
উত্তর : সত্য ✓
(১১) মশারি না টানিয়ে শুলে মশার দ্বারা রোগ সংক্রমণ ঘটে।
উত্তর : সত্য ✓
(১২) বংশগত কারণেও অসংক্রামক রোগ আসতে পারে।
উত্তর : সত্য ✓
(১) স্বাস্থ্য বলতে কী বোঝো লেখো।
উত্তর : সাধারণভাবে স্বাস্থ্য বলতে ব্যক্তির সার্বিক সেই অবস্থাকে বোঝায়, যা তাকে দৈহিক, মানসিক ও সামাজিক দিক থেকে পরিপূর্ণ জীবনযাপনে সহায়তা করে।
(২) স্বাস্থ্যশিক্ষা বলতে কী বোঝো লেখো।
উত্তর : যে স্বাস্থ্য সামাজিক পরিস্থিতিতে মানুষকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যকর আচরণ গঠনে ও কু-অভ্যাস দূরীকরণে সাহায্য করে, তাকে স্বাস্থ্যশিক্ষা বলে।
(৩) স্বাস্থ্যবিধি বলতে কী বোঝো লেখো।
উত্তর : স্বাস্থ্য বিধি হল বিজ্ঞানসম্মত এমন একটি বিষয় যা জানলে শরীরকে সুস্থ, সুন্দর ও নীরোগ রাখা যায়। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধির সাহায্যে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলির সঠিক যত্ন নেওয়া সম্ভবপর হয়।
(৪) ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বলতে কী বোঝো লেখো।
উত্তর : ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বলতে বোঝায় দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের যত্ন নেওয়া ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা স্বাস্থ্যরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
উত্তর : ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বলতে বোঝায় দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের যত্ন নেওয়া ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা স্বাস্থ্যরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
(৫) সু-অভ্যাস বলতে কী বোঝো লেখো।
উত্তর : যে অভ্যাসের ফলে মানুষের সঠিক বিকাশ ঘটে, তাকে সু-অভ্যাস বলে। সু-অভ্যাস গঠন করতে হলে দৃঢ় মানসিক প্রত্যয় দরকার।
(৬) সংক্রামক ব্যাধি বলতে কী বোঝো লেখো।
উত্তর : যেসব ব্যাধি বিভিন্নপ্রকার মাধ্যম দ্বারা একটি জীব থেকে অন্য জীবে ছড়িয়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের কীটাণু বা জীবাণুর দ্বারা বিভিন্ন রোগ সংক্রামিত হয়, তাকে সংক্রামক ব্যাধি বলে। যেমন - আন্ত্রিক, কলেরা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, এইডস ইত্যাদি।
(চ) সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
(১) স্বাস্থ্য কী?
(i) শারীরিক সুস্থতা
(ii) মানসিক সুস্থতা
(iii) জিনগত সুস্থতা
(iv) পরিপূর্ণ সমৃদ্ধি।
(২) দাঁত ভালো রাখার জন্য?
(i) পান খাওয়া দরকার
(ii) খাওয়ার পর ব্রাশ করা দরকার
(iii) বালি দিয়ে পরিষ্কার করা দরকার
(iv) মাসে এক বার পরিষ্কার করা দরকার।
(৩) একজন ছাত্রকে প্রতিদিন কতটা পরিমাণ জল খেতে হবে?
(i) ১ থেকে ২ লিটার
(ii) ২.৫ থেকে ৩ লিটার
(iii) ৩ থেকে ৫ লিটার
(iv) ৪ থেকে ৫ লিটার।
(৪) সু-অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য প্রধান কী থাকা দরকার?
(i) দৃঢ় মানসিক প্রত্যয়
(ii) অভিভাবকের শাসন
(iii) ইস্কুলের শাসন
(iv) রোগভোগ।
(৫) মাস্ক ব্যবহারের সুফল কী?
(i) শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে রোগ সংক্রামিত হয় না
(ii) রোগীর দেহ থেকে রোগ ছড়ায় না
(iii) শ্বাসপ্রশ্বাস ও ড্রপলেটের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায় না।
(৬) শরীরচর্চার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সত্ত্বেও কি মাস্ক ব্যবহার করা নিরাপদ?
(i) হ্যাঁ
(ii) না
Section-3: Application and Analysis Zone
উত্তর : (i) নিয়মিত ঠান্ডা ও নিরাপদ জলে স্নান করা, সকালে স্নান করা স্বাস্থ্যকর। (ii) প্রতিদিন স্নানের সময় জীবাণুনাশক সাবান ব্যবহার করা উচিত। (iii) উপযুক্ত ও স্বাস্থ্যকর পোশাক-পরিচ্ছদ ব্যবহার করা উচিত। (iv) দৈনন্দিন খাদ্যে ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন ই যুক্ত খাদ্য ও শাকসবজি বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।
(২) দাঁতের যত্ন নেওয়ার জন্য কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত?
উত্তর : (i) প্রতিবার খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করা, ব্রাশের সময় নরম ব্রাশ ও উপযুক্ত দাঁতের মাজন ব্যবহার করা উচিত। (ii) ব্রাশের সময় মাড়ির ওপর-নীচ ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত। (iii) শিশুদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাদ্য, চকোলেট ইত্যাদি কম পরিমাণে দেওয়া উচিত। (iv) ভিটামিন এ, সি ও ডি-যুক্ত খাদ্য উপযুক্ত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। (v) দাঁতের কোনো সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। (vi) নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে চিকিৎসক দ্বারা দাঁতের চিকিৎসা করা উচিত।
(৩) কানের যত্নের বিভিন্ন নিয়মাবলিগুলি লেখো।
উত্তর : (i) স্নানের সময় বা অন্য কোনো সময়ে কানের মধ্যে যাতে জল না ঢোকে সে বিষয়ে সাবধান থাকা উচিত। (ii) নিয়মিত কান পরিষ্কার করা উচিত। (iii) যানবাহন, শব্দবাজি ইত্যাদির বিকট শব্দ পরিহার করা উচিত। (iv) কানে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা লাগানো উচিত নয়। (v) অন্তঃকর্ণ দেহের ভারাসাম্য বজায় রাখে, তাই কানের যে-কোনো সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
(৪) চোখের যত্ন নেওয়ার বিভিন্ন উপায়গুলি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : (i) পরিষ্কার ঠান্ডা জল দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা উচিত। (ii) ধুলোবালি, সূর্যের তাপ পরিহার করা ও প্রয়োজনে চশমা ব্যবহার করা উচিত। (iii) হাতের আঙুলের সাহায্যে চোখ না চুলকানো উচিত। (iv) চোখ মোছার জন্য পরিষ্কার নরম রুমাল বা তোয়ালে ব্যবহার করা উচিত। (v) ভিটামিন এ ও বেশি পরিমাণে শাকসবজি গ্রহণ করা উচিত। (vi) কম বা খুব বেশি আলোয় পড়াশোনা করা উচিত। (vii) চোখের যে-কোনো সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
(৫) বিশুদ্ধ জলের ব্যবহার সম্পর্কে যা জানো বর্ণনা করো।
উত্তর : মানবদেহে ব্যবহার : (i) রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে এবং রক্তকে তরল রাখে। (ii) পরিপাক ও দেহগঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। (iii) রেচন পদার্থসমূহকে দেহের বাইরে নিষ্কাশিত করতে সাহায্য করে। (iv) দেহকোশে জলের সমতা বজায় রাখে। (v) শরীরের অভ্যন্তরীণ তন্ত্রগুলির পরিচালনায় সাহায্য করে। চিকিৎসাশাস্ত্রে ব্যবহার : (১) বিশুদ্ধ জল চিকিৎসাশাস্ত্রের বিভিন্ন ঔষধ প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়। (ii) হাসপাতাল বা বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিশুদ্ধ জল বিপুল পরিমাণে ব্যবহার করা হয়।
অন্যান্য ব্যবহার : (i) রান্নার জন্য বিশুদ্ধ জল ব্যবহার করা উচিত। (ii) বিশুদ্ধ জলে জামাকাপড় বেশি পরিষ্কার হয় ও উজ্জ্বলতা বজায় থাকে। (iii) সাঁতার শেখার জন্য সুইমিং পুলে বিশুদ্ধ জল ব্যবহার করা হয়। (iv) বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশুদ্ধ জলের বিশেষ গুরুত্ব আছে।
(৬) অভ্যাস গঠনের নিয়মাবলিগুলি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : সু-অভ্যাস :(১) ভোরে ঘুম থেকে ওঠা, (২) নিয়মিত দাঁত মাজা, (৩) নিয়মিত ব্যায়াম করা, (৪) ছবি আঁকা, গান করা, নিয়মিত স্নান করা, (৫) খেলাধুলা করা, বাগান তৈরি করা, (৬) দৈহিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস, (৭) নিজের কাজ নিজে করা, (৮) পরোপকার ও সমাজসেবা করা প্রভৃতি।
কু-অভ্যাস : (১) মিথ্যা কথা বলা, (২) সহপাঠীদের বস্তু চুরি করা, (৩) সকালে ঘুম থেকে না ওঠা, মারামারি করা, নেশা করা, (৪) গালাগালি দেওয়া, হাত না ধুয়ে খাওয়া, (৫) অপরিষ্কার পোশাক-পরিচ্ছদ ব্যবহার, (৬) হাতে থুতু দিয়ে বই ও খাতার পাতা ওল্টানো, (৭) দাঁত দিয়ে নখ কাটা, যত্রতত্র থুতু ফেলা, (৮) নিয়মিত ফাস্ট ফুড খাওয়া প্রভৃতি।
(৭) সংক্রামক রোগবিস্তারের কারণগুলি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : (i) ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি না মানার ফলে। (ii) শরীরে রোগজীবাণু সংক্রমণের ফলে। (iii) খাদ্যে জীবাণু সংক্রমণ বা বিষক্রিয়ার ফলে। (iv) মহামারি ছড়িয়ে পড়ার ফলে। (v) রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ভেঙে পড়ার ফলে। (vi) মশারি না টাঙিয়ে শুলে মশার দ্বারা রোগ সংক্রমণ ঘটে। (vii) দূষিত জল পান করার ফলে। (viii) অন্যান্যভাবে জলের মাধ্যমে রোগ ছড়াতে পারে। (ix) শিশুদের যথাযথ টিকাকরণ না করালে। (x) নির্দিষ্ট স্থানে শৌচকার্য না করে, মাঠে-ঘাটে যত্রতত্র শৌচকার্য করলে।
(৮) অসংক্রামক রোগ কী কী কারণে হয়ে থাকে সে সম্পর্কে তুমি যা জানো ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : (i) জিনগতভাবে পূর্বপুরুষ থেকে আসতে পারে। (ii) অসংযমী জীবনযাপন করলে। (iii) অপুষ্টিজনিত কারণে (অতিপুষ্টি ও ঊনপুষ্টি দুটি কারণে)। (iv) ভিটামিন ও খনিজ লবণের অভাবে। (v) যথোপযুক্ত ব্যায়াম বা শারীরিক সঞ্চালনের অভাবে (এগুলিকে বলা হয় গতিহীনতাজনিত রোগ, বা হাইপোকাইনেটিক ডিজিস)। (vi) অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে।
(৯) স্বাস্থ্যশিক্ষার উদ্দেশ্যগুলি বর্ণনা করো।
উত্তর : (i) শিক্ষার্থীদের সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উন্নয়ন প্রকল্প ও সেবামূলক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা। (ii) স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য জোগান দেওয়া ও সে বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা। (iii) রোগ-ব্যাধির প্রতিকার ও তার সাবধানতা অবলম্বনে সচেতনতা গড়ে তোলা। (iv) শিক্ষার্থীর দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষায় সহায়তা করা। (v) অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি দূরীকরণে সহায়তা করা। (vi) স্বাস্থ্যশিক্ষার মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে জাতীয় স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো। (vii) স্বাস্থ্যকর সু-অভ্যাস গঠনে সহায়তা করা। (viii) বিভিন্ন ইন্দ্ৰিয় ও অঙ্গের পরিচর্যা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতনতার গড়ে তোলা। (ix) সংক্রামক ও অসংক্রামক ব্যাধি সম্পর্কে সচেতন করা। (x) বিদ্যালয়ে নিরাপত্তার পরিবেশ ও নিরাপদ জীবনযাপনে উৎসাহিত করা। (xi) খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা। (xii) শারীরশিক্ষার কার্যক্রম ও শারীরিক ব্যায়ামে অংশগ্রহণের সুফল সম্পর্কে ধারণা গঠন করা। (xiii) সুস্বাস্থ্য অর্জনের পন্থা ও পদ্ধতি চর্চা সংরক্ষণ ও সুস্থায়ী উন্নয়ন। (xiv) ধূমপান, ড্রাগ ও মাদকদ্রব্যের কুপ্রভাবের বিষয়ে সচেতন করা।
Section-4: High Order Thinking Skill Zone
(ক) স্বাস্থ্যশিক্ষার উদ্দেশ্যগুলি কী কী?
উত্তর : (i) শিক্ষার্থীদের সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উন্নয়ন প্রকল্প ও সেবামূলক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা। (ii) স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য জোগান দেওয়া ও সে বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা। (iii) রোগ-ব্যাধির প্রতিকার ও তার সাবধানতা অবলম্বনে সচেতনতা গড়ে তোলা। (iv) শিক্ষার্থীর দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষায় সহায়তা করা। (v) অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি দূরীকরণে সহায়তা করা। (vi) স্বাস্থ্যশিক্ষার মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে জাতীয় স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো। (viii) স্বাস্থ্যকর সু-অভ্যাস গঠনে সহায়তা করা। (viii) বিভিন্ন ইন্দ্ৰিয় ও অঙ্গের পরিচর্যা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতনতার গড়ে তোলা। (ix) সংক্রামক ও অসংক্রামক ব্যাধি সম্পর্কে সচেতন করা। (x) বিদ্যালয়ে নিরাপত্তার পরিবেশ ও নিরাপদ জীবনযাপনে উৎসাহিত করা। (xi) খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা। (xii) শারীরশিক্ষার কার্যক্রম ও শারীরিক ব্যায়ামে অংশগ্রহণের সুফল সম্পর্কে ধারণা গঠন করা। (xiii) সুস্বাস্থ্য অর্জনের পন্থা ও পদ্ধতি চর্চা সংরক্ষণ ও সুস্থায়ী উন্নয়ন। (xiv) ধূমপান, ড্রাগ ও মাদকদ্রব্যের কুপ্রভাবের বিষয়ে সচেতন করা।
(খ) জীবনে প্রতিষ্ঠালাভের জন্য কী কী সু-অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার?
উত্তর : ১. দৃঢ় মানসিক প্রত্যয় : সু-অভ্যাস গঠন করতে হলে দৃঢ় মানসিক প্রত্যয় দরকার। দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে কাজ শুরু করলে যে-কোনো সু-অভ্যাস গঠন করা যায়। প্রতিদিন যদি সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গঠন করতে চাও, তবে যতই ঘুম পাক ভোরে উঠতেই হবে এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে নির্দিষ্ট সময়ে শুতে হবে। ২. সদুদ্দেশ্য : সু-অভ্যাস গঠনের জন্য যেন সদুদ্দেশ্য থাকে। ভালো উদ্দেশ্য নিয়েই সু-অভ্যাস গড়ে ওঠে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, তুমি বন্ধুদের সঙ্গে লড়াই করার উদ্দেশ্য নিয়ে যদি নিয়মিত ব্যায়াম করো, তবে তা সু-অভ্যাস বলে গণ্য হবে না। ৩. শারীরিক ও মানসিক তৎপরতা : সু-অভ্যাস গঠন করতে হলে শারীরিক ও মানসিক তৎপরতা দরকার। সময় নষ্ট না করে সাথে
সাথে দ্রুততার সঙ্গে কাজে নেমে পড়তে হবে। যদি মনে করো ফুলের চাষ করবে, তবে তাড়াতাড়ি হাতের কাছে যতটুকু জমি আছে তা কাজে লাগিয়ে ফুলের গাছ পুঁতে দাও, বসে থাকলে চলবে না।
৪. প্রেরণা : অভ্যাস গঠনের জন্য প্রেরণা দরকার। বাড়ির বড়ো বা গুরুজন, কোনো বিশেষ ব্যক্তি, সহপাঠী বা বন্ধুদের প্রেরণায় সু-অভ্যাস গড়ে ওঠে। আবার, নিজস্ব মানসিক প্রেরণায় এই অভ্যাস গড়ে উঠতে পারে। ৫. সুবন্ধুর সঙ্গ : সু-অভ্যাস গঠনের জন্য সুবন্ধুর সঙ্গ প্রয়োজন। সমাজের বিভিন্ন স্তরে ও বিদ্যালয়ে এমন বন্ধু ব্যক্তির সঙ্গে তোমাদের ওঠাবসা করতে হবে, যাদের মধ্যে অনেক সু-অভ্যাস আছে। তাহলেই তোমরা অনেক সু-অভ্যাস গঠন করতে পারবে।
(গ) কোন কোন কু-অভ্যাস মানুষকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করে?
উত্তর : (১) মিথ্যা কথা বলা, (২) সহপাঠীদের বস্তু চুরি করা, (৩) সকালে ঘুম থেকে না ওঠা, মারামারি করা, নেশা করা, (৪) গালাগালি দেওয়া, হাত না ধুয়ে খাওয়া, (৫) অপরিষ্কার পোশাক-পরিচ্ছদ ব্যবহার, (৬) হাতে থুতু দিয়ে বই ও খাতার পাতা ওল্টানো, (৭) দাঁত দিয়ে নখ কাটা, যত্রতত্র থুতু ফেলা, (৮) নিয়মিত ফাস্ট ফুড খাওয়া প্রভৃতি।
(ঘ) সংক্রামক ব্যাধি কী? অসংক্রামক রোগ কাকে বলে? অসংক্রামক রোগ কী কী কারণে হয়?
উত্তর : (A) সংক্রামক ব্যাধি : বিভিন্ন প্রকার মাধ্যম দ্বারা একটি জীব থেকে অন্য জীবে ছড়িয়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের কীটাণু বা জীবাণুর দ্বারা যেসব রোগ সংক্রামিত হয়, তাকে সংক্রামক ব্যাধি বলে।
(B) অসংক্রামক রোগ : শরীরের জিনগত কারণ, অসংক্রামক আচার-আচরণ এবং যন্ত্র ও তন্ত্রসমূহের দুর্বলতা বা কার্যক্ষমতা হ্রাসের কারণে যেসব রোগ হয়, তাকে অসংক্রামক রোগ বলে। (C) অসংক্রামক রোগের কারণ : (১) জিনগতভাবে পূর্বপুরুষ থেকে আসতে পারে। (২) অসংযমী জীবনযাপন করলে। (৩) অপুষ্টিজনিত কারণে (অতিপুষ্টি ও ঊনপুষ্টি দুটি কারণেই)। (৪) ভিটামিন ও খনিজ লবণের অভাবে। (৫) যথোপযুক্ত ব্যায়াম বা শারীরিক সঞ্চালনের অভাবে (এগুলিকে বলা হয় গতিহীনতাজনিত রোগ, বা হাইপোকাইনেটিক ডিজিস)। (৬) অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণ।
(ঙ) অসংক্রামক রোগের কারণগুলি কী কী?
উত্তর : অসংক্রামক রোগের কারণ : (১) জিনগতভাবে পূর্বপুরুষ থেকে আসতে পারে। (২) অসংযমী জীবনযাপন করলে। (৩) অপুষ্টিজনিত কারণে (অতিপুষ্টি ও ঊনপুষ্টি দুটি কারণেই)। (৪) ভিটামিন ও খনিজ লবণের অভাবে। (৫) যথোপযুক্ত ব্যায়াম বা শারীরিক সঞ্চালনের অভাবে (এগুলিকে বলা হয় গতিহীনতাজনিত রোগ, বা হাইপোকাইনেটিক ডিজিস)। (৬) অতিরিক্ত মানসিক চাপে কারণ।
Section-5: Project Zone
বিষয়ে একটি সুপারিশসহ প্রতিবেদন তৈরি করো। (ঘ) স্বাস্থ্য সচেতনতা, পরিচ্ছন্নতা ও সুস্থতা বিষয়ক পোস্টার তৈরি করে শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থী থেকে সমাজ সচেতনতা গড়ে তোলো।
উত্তর : স্কুলের টিচার ও ম্যাম দের কাছ থেকে জেনে নিজে করো।
_________ দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে।
উত্তরমুছুন