পঞ্চম শ্রেণীর আমাদের পরিবেশ চতুর্থ অধ্যায় পরিবেশ ও সম্পদ top10 mcq প্রশ্ন ও উত্তর

class 5 Amader Paribesh Chapter 4 Question Answer

পঞ্চম শ্রেনি পরিবেশ তিনটি চ্যাপ্টার থেকে প্রশ্নোত্তর প্র্যাকটিস 


{tocify} $title={Table of Contents}



১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
(প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
Q1.পশ্চিমবঙ্গের রানিগঞ্জ-আসানসোলের বিশাল এলাকায় যা আছে তা হল—
(i) তামার খনি (ii) তেলের খনি (iii) কয়লাখনি (iv) অভ্র খনি।
Q2.লোহা ও ইস্পাত দিয়ে তৈরি হয়
(i) কাচের পাত্র (ii) মাটির পাত্র (iii) স্টিলের পাত্র (iv) সবকটিই।
Q3.ওষধি গাছ থেকে তৈরি হয় যে জিনিস তা হল
(i) রোগ সারানোর ওষুধ (ii) রান্না করা খাবার (iii) পশুদের খাদ্য (iv) কোনোটিই নয়।
Q4.‘সতী দাহ’ প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন—
(i) রামমোহন রায় (ii) বিবেকানন্দ (iii) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (iv) রামকৃষ্ণ পরমহংস।
Q5.কার ছাত্রদের বলা হত ‘বাংলার তরুণ সিংহ শিশু”?
(i) রামমোহন রায় (ii) বিবেকানন্দ (iii) বঙ্কিমচন্দ্র (iv) ডিরোজিও
Q6.‘বিধবা বিবাহ’ প্রচলন করেছিলেন—
(i) বিবেকানন্দ (ii) ডিরোজিও (iii) রামমোহন (iv) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
Q7.‘বন্দেমাতরম্’-এই জাতীয় জয়গাথাটি রচনা করেছিলেন—
(i) রামমোহন (ii) বঙ্কিমচন্দ্র (iii) বিদ্যাসাগর (iv) নেতাজি।
Q8.‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন—
(i) জগদীশচন্দ্র বসু (ii) রামমোহন রায় (iii) নেতাজি (iv) কেউই নয়।
Q9.‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থ ইংরেজি অনুবাদ করে ‘নোবেল’ পুরস্কার পেয়েছিলেন—
(i) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (ii) স্বামী বিবেকানন্দ (iii) অমর্ত্য সেন (iv) সত্ত (মাদার) টেরেজা।
Q10.‘বেঙ্গল কেমিক্যাল'-এর প্রতিষ্ঠান হলেন—
(i) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (ii) ডিরোজিও (iii) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (iv) আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়
Q11.স্বামী বিবেকানন্দ ‘বেলুড় মঠ’ স্থাপন করেন—
(i) ১৮৯০ সালে (ii) ১৮৯৩ সালে (iii) ১৯৯৩ সালে (iv) ১৮০০ সালে।
Q12.ভগিনি নিবেদাতা জন্মগ্রহণ করেন—
(i) ভারতে (ii) চিনে (iii) পাকিস্তানে (iv) আয়ারল্যান্ডে
Q13.ভারতের জাতির জনক—
(i) মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধি (ii) ভগিনী নিবেদিতা (iii) অমর্ত্য সেন (iv) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
Q14.‘গান্ধি বুড়ি’ বলা হয়—
(i) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (ii) মাতঙ্গিনী হাজরা-কে (iii) আশালতাকে সেনকে (iv) দেবী চৌধুরানিকে।
Q15.বাঘা যতীন-এর প্রকৃত নাম কী?
(i) যতীন্দ্রমোহন রায় (ii) যতীন্দ্র মোহন ভট্টাচার্য (iii) যতীন্দ্রমোহন দাস (iv) যতীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়।
Q16.বেগম রোকেয়ার মূল প্রচেষ্টা কী ছিল?
(i) মুসলিম মেয়েদের শিক্ষা বিস্তার (ii) মুসলিম ছেলেদের শিক্ষা বিস্তার (iii) স্বাধীনতা আন্দোলন (iv) বিধবা বিবাহ প্রচলন করা।
Q17.বাংলার প্রথম শহিদ হন—
(i) নেতাজি (ii) প্রফুল্ল চাকী (iii) ক্ষুদিরাম বসু (iv) কেউই নয়।
Q18.মেঘনাথ সাহা কে ছিলেন?
(i) বিজ্ঞানী (ii) সাহিত্যিক (iii) ডাক্তার (iv) শিক্ষক।
Q19.ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিউটক্যাল ইনস্টিটিউট’ (আই.এস.আই) স্থাপন করেন—
(i) সূর্য সেন (ii) কাজীনজরুল ইসলাম (iii) প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবিশ (iv) ডিরোজিও।
Q20.সূর্য সেন (মাস্টাদা)-এর ফাঁসি হয়েছিল—
(i) ১৯৩০ সালে (ii) ১৯৩৩ সালে (iii) ১৮৩০ সালে (iv) ১৮৩৩ সালে।

Q21.আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু ‘পদ্মভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত হন—
(i) ১৯৫৯ সালে (ii) ১৯৫০ সালে (iii) ১৯০০ সালে (iv) ১৯৩০ সালে।
Q22.‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’ গঠন করেন—
(i) গান্ধিজি (ii) জওহরলাল নেহরু (iii) সূর্য সেন (iv) নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু
Q23.‘বিদ্রোহী কবি' হিসেবে কে প্রতিভাত হন?
(i) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (ii) কাজী নজরুল ইসলাম (iii) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (iv) সুকান্ত ভট্টাচার্য।
Q24.ভগৎ সিং-এর ফাঁসি হয় – 
(i) ১৯৩১ সালে (ii) ১৯৪০ সালে (iii) ১৯৪৫ সালে (iv) ১৯১২ সালে।
Q25.মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষায় পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে জীবনাবসান ঘটান—
(i) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (ii) মাতঙ্গিনী হাজরা (iii) সরোজিনী নাইডু (iv) বেগম রোকেয়া।
Q26.স্বাধীনতা সংগ্রামী কল্পনা দত্ত দেহত্যাগ করেন—
(i) ১৯৯০ সালে (ii) ১৯৯৫ সালে (iii) ১৯৪০ সালে (iv) ১৯৮০ সালে।
Q27.স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন—
(i) লাল বাহাদুর শাস্ত্রী (ii) বিধানচন্দ্র রায় (iii) চিত্তরঞ্জন দাশ (iv) জওহরলাল নেহরু
Q28.কিশোর কবি হলেন—(i) সুকান্ত ভট্টাচার্য (ii) কাজী নজরুল ইসলাম (iii) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (iv) জীবনানন্দ দাশ।
Q29.অর্থনীতি বিষয়ে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন—
(i) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (ii) জওহরলাল নেহরু (iii) কাজী নজরুল ইসলাম (iv) অমর্ত্য সেন

২। সঠিক বাক্যের পাশে (✔) আর ভুল বাক্যের পাশে (✕) চিহ্ন দাও :
(ক) রানিগঞ্জের কয়লাখনি থেকে ভারতে প্রথম কয়লা তোলা হয় ১৮২০ সালে।
উত্তরঃ ✔
(খ) মাটির বাসন তৈরি হয় মাটি ও কয়লা দিয়ে।
উত্তরঃ 
(গ) রাজা রামমোহন রায় হুগলি জেলার রাধানগর গ্রামে ১৭৭৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
উত্তরঃ 
(ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অর্থনীতি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
উত্তরঃ 
(ঙ) বাংলা অমিত্রাক্ষর ছন্দের ও সনেটের জনক হলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
উত্তরঃ 
ভারতের সেরা চিকিৎসক ছিলেন ডা. বিধানচন্দ্র রায়।
উত্তরঃ 
(চ) ১৯২০ সালের ১৩ এপ্রিল নিরস্ত্র মানুষদের ওপর জেনারেল ডায়ার গুলি চালায়।
উত্তরঃ 
(জ) সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা ছিলেন-সিধু ও কানু।
উত্তরঃ 
(ঝ) সমস্ত অঞ্চলের মানুষ ও সংস্কৃতির সম্মান রক্ষা করাই পরিবেশের শিক্ষা।
উত্তরঃ 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :
1.প্রশ্নঃ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানের মাটি কেমন?
উত্তর : পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানের মাটি বিভিন্ন রকম। কোথাও লাল মাটি, সেখানে জল দাঁড়ায় না, চাষও হয় না। কোথাও নোনা মাটি, ভালো চাষ হয় না। তবে পশ্চিমবঙ্গে বেশি আছে উর্বর পলিমাটি। সেখানে খুব ভালো চাষ হয়।

2. প্রশ্নঃ চা-বাগান কোথায় গড়ে উঠেছে?
উত্তর : কার্শিয়াং, কালিম্পং, দার্জিলিং-এর জমি খুবই ঢালু। তাই সেখানে সবুজ চা-বাগান গড়ে উঠেছে। কারণ চা গাছের গোড়ায় জল জমে থাকলে গাছ মরে যাবে। এ ছাড়া উত্তর দিনাজপুর ও জলপাইগুড়ি জেলার উত্তরাংশে চা-বাগান আছে দার্জিলিং-এর চা স্বাদে ও গন্ধে পৃথিবী বিখ্যাত।

3. প্রশ্নঃ পশ্চিমবঙ্গের কোথায় কয়লাখনি আছে?
উত্তর : পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান জেলায় রানিগঞ্জ-আসানসোলের বিশাল এলাকায় কয়লাখনি আছে। রানিগঞ্জের কয়লাখনি থেকেই ভারতে প্রথম কয়লা তোলা হয় সালটা ১৮২০।

4. প্রশ্নঃ কয়লার গুরুত্ব কী?
উত্তর : কয়লা মানুষের খুবই দরকারি জিনিস। কয়লা থেকেই আমরা পাই ন্যাপথা, গন্ধক, অ্যামোনিয়া, আলকাতরা, ন্যাপথলিন, জ্বালানি তেল, স্যাকারিন, ফেনল, বেন্জল, ক্রিয়োজোট, টলুয়িন ইত্যাদি। আর কয়লা পুড়িয়েই বিদ্যুৎ তৈরি হয়। এই কয়লা হল প্রকৃতির সম্পদ। প্রকৃতির এই সম্পদকে ভিত্তি করে বহু শিল্প গড়ে উঠেছে।

5. প্রশ্নঃ সম্পদ কীভাবে তৈরি হয়েছে? 
উত্তর : প্রকৃতি ও মানুষ মিলে তৈরি করেছে মানুষ। মানুষের বুদ্ধি ও স্বাস্থ্য হল সম্পদ। এগুলি ব্যবহার করেই মানুষ উন্নত হয়েছে। আর সম্পদ তৈরি করতে পারছে।

6. প্রশ্নঃ প্রকৃতির সম্পদ মানুষ কীভাবে কাজে লাগিয়েছে?
উত্তর : আদিম যুগের মানুষেরা বাঁচার তাগিদে প্রথমে পাথরের হাতিয়ার, বাসনকোসন বানিয়েছে। এসব ব্যবহার করতে করতেই লোহা আবিষ্কারের পর তারা লোহার তৈরি বিভিন্ন হাতিয়ার বানিয়েছে। অবশ্য এরমধ্যেই তারা আগুনের ব্যবহার জেনে নিয়েছে। অর্থাৎ, প্রকৃতি ছাড়া মানুষ কোনো উন্নতি করতে পারবে না।

7. প্রশ্নঃ প্রকৃতিকে ব্যবহার করে মানুষ কীভাবে উন্নত হয়েছে?
উত্তর : প্রকৃতির সম্পদ মাটি ও কয়লা। একে ব্যবহার করেই তো ইট পাওয়া যায়। ইট দিয়েই তৈরি হয় পাকা বাড়ি। এসব কাজ কিন্তু একজন মানুষের বুদ্ধি দ্বারা হয়নি। আগে যখন আগুন আবিষ্কার হয়নি, তখন তারা কাঁচা সবজি, মাছ, মাংসই খেয়েছে। পরে আগুন আবিষ্কার হওয়ার পর মানুষ সেসব খাদ্য পুড়িয়ে খেতে লাগল।

8. প্রশ্নঃ কয়েকটি জিনিসের নাম করো যা রান্নার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
উত্তর : বহু বছর ধরে মানুষ নানারকম ভাবে প্রকৃতির সম্পদ নানা ব্যবহারের ফলে নিজের প্রয়োজনমতো জিনিস তৈরি করেছে। যেমন হাতা, কড়া, হাঁড়ি, থালা, প্রেসার কুকার, স্টিলের বাসন, ইলেকট্রিকের উনুন, কুকার ইত্যাদি। এসব বাসন আগে পাথরের, পরে মাটির আর এখন তো স্টিলের বাসন দিয়ে রান্নার কাজ চলছে। মানুষ এখন গ্যাসে রান্না করছে। তবে এসব কিন্তু কোনো একজন মানুষ একদিনেই করেনি। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষ তার বুদ্ধি খাটিয়ে এসব জিনিস আবিষ্কার করেছে।

9. প্রশ্নঃ আগেকার উনুন আর এখনকার উনুনের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : আগে মা-ঠাকুমারা হয়তো মাটিতে গর্ত করে কাঠের উনুনে রান্না করতেন। এরপর হল আঁচের উনুন। এখন তো গ্যাস বা ইলেকট্রিকের উনুনে রান্না করা হয়। আদিম মানুষ থেকে শুরু করে এখনকার মানুষই তো এসবই তৈরি করেছে।

10. প্রশ্নঃ আদিম কাল থেকে এখন পর্যন্ত কীভাবে মানুষ উন্নত হয়েছে?
উত্তর : লক্ষ লক্ষ বছর ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষ তার বুদ্ধি খাটিয়ে কত জিনিস আবিষ্কার করেছে, যা আমরা ব্যবহার করি। এভাবে আদিম কাল থেকে মানুষের মিলিত বুদ্ধি ও চেষ্টার ফলেই একাজ সম্ভব হয়েছে। সমগ্র মানুষের বুদ্ধি ও চেষ্টার ফলেই অনেক জিনিস আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে।

11. প্রশ্নঃ ওষধি গাছ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব গাছের পাতার রস ব্যবহার করে রোগ সারানো হয়, সেইসব গাছকে ওষধি গাছ বলে।

12. প্রশ্নঃ কীভাবে গাছের রস ব্যবহার করে রোগ সারানো হয়?
উত্তর : গ্রামে অনেকরকম গাছ আছে। সেইসব গাছের পাতা এনে তার রস ব্যবহার করলে ও কিছুটা ছ্যাঁচা পাতা ক্ষতস্থানে দিয়ে আর একটা পরিষ্কার সাদা কাপড় জড়িয়ে বেঁধে দিলে দুই-তিন দিনের মধ্যেই রোগী সুস্থ হবে।

13. প্রশ্নঃ চিকিৎসা অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক সম্পদ কেন?
উত্তর :সব গাছ সবাই চিনবে এমন নয়। বইতে সেসব গাছের কথা নাও থাকতে পারে। অনেকে তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে ওইসব গাছের গুণাগুণ জেনে নেয়। আগে মা-ঠাকুমারাও এসব ব্যবহার করতেন। এসবই হল পারিবারিক সম্পদ। অনেকে এখন এসব গাছের ওষুধ ব্যবহার করা অসম্মানের মনে করেন। এখনকার চিকিৎসকদের মধ্যেও কোনো আগ্রহ দেখা যায় না।

14. প্রশ্নঃ একটি পারিবারিক সম্পদের উদাহরণ দাও।
উত্তর : আগে ঠাকুমা-দিদিমারা বাড়িতে খুব সুন্দর সুন্দর বড়ি দিতেন। মায়েরাও কিছু শিখেছিলেন এসব কাজ। সেসব বাড়ির তৈরি জিনিসের দারুণ স্বাদ। কিন্তু তাঁরা সেসব জিনিস কীভাবে এত ভালো স্বাদের হয় তা শেখাতেন না। আবার, ঠাকুমা-দিদিমাদের তৈরি করা নকশা কাটা কাঁথা ছিল অপূর্ব। স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে অনেকে হয়তো তা রেখে দিয়েছেন। দাদুরা বেত বা বাঁশ দিয়ে সুন্দর সুন্দর ঝুড়ি বানাতেন। দুর্গাপূজা ও লক্ষ্মীপূজার সময় কলাগাছ দিয়ে সুন্দর নবপত্রিকা ও নৌকা বানাতেন। এখন এসব বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এসবই পারিবারিক সম্পদ।

15. প্রশ্নঃ শীতকালে সন্ধ্যায় ঝাড়খণ্ডের সিংভূম-রাঁচিতে মুন্ডাগ্রামে গেলে কোন গান শোনা যায়?
জমিদারের অত্যাচারে, মানুষের ওপর অবিচারে দেশ উথাল-পাথাল৷
চলো নিই ধনুক আর তির আর কুড়াল
আজ আমাদের কাজে জীবনের চেয়ে মরণ প্রিয়
জমিদার মহাজন দোকানি বিদেশিদের ছেড়ে দেব না।
তারা আমাদের জমি দখল করেছে।

16.প্রশ্নঃ সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা কে ছিলেন?

উত্তর : সিধু আর কানু।

17. প্রশ্নঃ উলগুলান কী?
উত্তর : সাঁওতাল বিদ্রোহের ৪০ বছর পর মুন্ডারা ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। ওই বিদ্রোহের নাম ছিল উলগুলান। এই বিদ্রোহের নেতা ছিলেন বিরসা মুন্ডা।

18. প্রশ্নঃ  বিরসা মুন্ডা বিদ্রোহ করেছিলেন কেন?
উত্তর : অরণ্যে বাস করার অধিকার রক্ষার জন্যই ইংরেজদের বিরুদ্ধে ও দেশীয় জমিদার, মহাজনদের বিরুদ্ধে বিরসা মুন্ডা ও তার সঙ্গীরা বিদ্রোহ করেছিলেন।

19. প্রশ্নঃ তিতুমীর কে ছিলেন?
উত্তর : উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নারকেলবেড়িয়াতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিতুমীর। তিনি ইংরেজ নীলকর সাহেবদের ও তাদের সঙ্গী দেশীয় জমিদারদের অন্যায় অত্যাচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।

20. প্রশ্নঃ তিতুমীর কাদের বিরুদ্ধে ও কেন লড়াই করেছিলেন?
উত্তর  তিতুমীর ইংরেজ ও তাদের সঙ্গী দেশীয় জমিদার, মহাজনদের অন্যায় জুলুমের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড লড়াই করেছিলেন। এ ছাড়া তিনি নীলকরদের বিরুদ্ধেও খুব লড়েছিলেন। নীলকর সাহেবরা আমাদের ভালো উর্বর জমিতে নীল চাষ করতে বাধ্য করেছিল। মাটিতে একবার নীল চাষ করা হলে সেই মাটি অনুর্বর হয়ে যায়।

21.প্রশ্নঃ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কয়েকজন বিপ্লবীর নাম করো।
উত্তর : সিধু-কানু, ক্ষুদিরাম বসু, সূর্য সেন, মাতঙ্গিনী হাজরা, বিনয়-বাদল-দীনেশ, যতীন দাস, বাঘাযতীন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা দত্ত এবং আরও অনেকে।

22.প্রশ্নঃ পরিবেশের শিক্ষা কী?
উত্তর  সমস্ত অঞ্চলের মানুষ ও সংস্কৃতির সম্মান রক্ষা করাই পরিবেশের শিক্ষা। এখানে ছোটোবড়ো ভেদাভেদ নেই।

23.প্রশ্নঃ মানুষের ভালো কাজের কথা কীভাবে বুঝব?
উত্তর : মানুষ অনেক ভালো ভালো কাজ করে। পুরুলিয়ার মানুষেরা সুন্দর সুন্দর মুখোশ বানান। সেই মুখোশ পড়ে যে নাচ হয়, তাকে বলে ছো-নাচ। আবার, বিষ্ণুপুরে টেরাকোটার কাজ হয়। দিঘায় ঝিনুক দিয়ে মূর্তি তৈরি হয়। কোথাও সুন্দর মাদুর তৈরি হয়, কোথাও বাঁশের বা বেতের নানা জিনিস তৈরি হয়। আবার কোথাও তৈরি হয় সুস্বাদু সরপুরিয়া, ল্যাংচা। এগুলি সবই আঞ্চলিক ঐতিহ্য। এসব ঐতিহ্য যেন হারিয়ে না যায়।

24.প্রশ্নঃ'বন না থাকলে আমরা বাঁচতেই পারব না’—কেন?
উত্তর : মানুষের বাঁচার জন্য চাই অক্সিজেন। এই অক্সিজেন আমরা পাই গাছ থেকে। আবার, আমরা যে বিষাক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করি, তা কিন্তু গাছই গ্রহণ করে। তাহলে দেখা গেল, বাঁচার জন্য চাই গাছ, বিষাক্ত পদার্থের হাত থেকে বাঁচতেও চাই গাছ। বৃষ্টি হতেও বন সাহায্য করে। তাই বন আমাদের অপরিহার্য।

25.প্রশ্নঃ পশ্চিমবঙ্গে চাষের জল পেতে অসুবিধা হয় না কেন?
উত্তর : বন আছে বলেই বৃষ্টি বেশি হয়। পাহাড়ে মেঘ বাধা পেয়েও বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির জল নদীতে বা অন্য জলাশয়ে গিয়ে পড়ে। সব খাল-বিল-ঝিল-পুকুর জলে ভরতি হয়ে যায়। ফলে চাষের জল পেতে অসুবিধা হয় না। প্রধানত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলা ছাড়া গরমকালেও জল পাওয়া যায়।

26.প্রশ্নঃ বন থেকে আমরা কী কী পাই?
উত্তর : বন থেকে আমরা কাঠ, মধু ও মোম পাই। শুকনো পাতা, ডাল কুড়িয়ে অনেকে জ্বালানির কাজ করেন।

27.প্রশ্নঃ মাটির নীচ থেকে আমরা কী কী খনিজ পদার্থ পাই?
উত্তর : মাটির নীচ থেকে কয়লা, খনিজ তেল, লোহা, তামা, ম্যাঙ্গানিজ, অভ্র, বক্সাইট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ আমরা পাই।

28.প্রশ্নঃ পশ্চিমবঙ্গে ভূমিরূপ কী কী আছে?
উত্তর : পশ্চিমবঙ্গ ভারতের এমন একটি রাজ্য যেখানে পাহাড়-পর্বত, মালভূমি, সমভূমি, সাগর ইত্যাদি সবই আছে। অন্য কোনো রাজ্যে এমন অবস্থা নেই। তাই কবি লিখেছিলেন, ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি'।

📥 পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড 
▸ পরিবেশ ও সম্পদ
▸ টেক্সট বইয়ের ছক সমাধান 
▸ ক্লাস - পঞ্চম শ্রেণি 



৫.পরিবেশ ও উৎপাদন

❑ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :
1.প্রশ্নঃ কখন একটানা বৃষ্টি হয়?
উত্তর : জুলাইয়ের মাঝামাঝি।

2.প্রশ্নঃ একটানা বৃষ্টি হলে মাটি কেমন হয়? 
উত্তর : একটানা বৃষ্টি হলে মাটি আলগা হয়, নরম হয় ফলে চাষ ভালো হয়।

3.প্রশ্নঃ পাওয়ার টিলার শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : পাওয়ার (Power) শব্দের অর্থ শক্তি বা ক্ষমতা। আর টিলার (Tiller) শব্দের অর্থ চাষিভাই, যিনি চাষ করেন এবং বেশি তাড়াতাড়ি কাজ করার ক্ষমতা যার।

4.প্রশ্নঃ চাষের জমিতে এখন কীভাবে চাষ দেয়া হয়?
উত্তর : চাষের জমিতে এখন পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ দেয়া হয়।

5.প্রশ্নঃ হারভেস্টার শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘হারভেস্টিং’ শব্দটি ইংরেজি। এর অর্থ ধান কাটার কাজ। ‘হারভেস্ট’ মানে শষ্য কেটে আনা। তাই ওই যন্ত্রটির নাম হারভেস্টার।

6.প্রশ্নঃ সব জমিতেই কি একদিনে চাষ দেয়া হয়?
উত্তর : না, কোনো জমিতে চাষ দেয়া হয়, আবার, কোথাও ধান রোয়া হয়ে যায়। কোথাও হয়তো পাওয়ার টিলার চলছে। এভাবে চাষের কাজ চলে সব জমিতেই ঘুরেফিরে কাজ হয়।

7.প্রশ্নঃ হারভেস্টার দিয়ে কী কাজ করা হয়?
উত্তর : জমিতে ধান কাটা, খড় থেকে ধান আলাদা করা। সেগুলিকে এক জায়গায় জড়ো করা সব কাজগুলি করে হারভেস্টার। এই কাজগুলিকে একসঙ্গে ইংরেজিতে বলা হয় হারভেস্টিং (Harvesting)।

8.প্রশ্নঃ চাষ তাড়াতাড়ি ও বেশি করতে গেলে কোন কোন যন্ত্রপাতি এখন ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : পাওয়ার টিলার ও হারভেস্টার আর আছে ট্রাক্টর।

9.প্রশ্নঃ আদিম মানুষ কীভাবে চাষ করত?
উত্তর : আদিম মানুষ প্রথমে নিজেরাই লাঙল টেনে চাষ করত। পরে লাঙলের সঙ্গে জুড়ল গোরু বা মোষ। লাঙলের পিছনে থাকে মই এভাবে তারা চাষ করত।

10.প্রশ্নঃ আদিম যুগে জমিতে কী সার দেয়া হত?
উত্তর : গোবর সার।

11.প্রশ্নঃ আদিম মানুষ চাষ ও সারের বিষয়গুলি কীভাবে বুঝতে পারল?
উত্তর : চাষ করতে সার লাগে জমি উর্বর করার জন্য। তখন গোরু ছিল, তাই গোবর সার ছিল। কোনো গোরু চাষ করার পরে পাশে কোথাও বিশ্রাম নিত। মানুষ পরে আবার সেখানে চাষ করতে গিয়ে দেখল সেখানেও ফসল ফলেছে। এভাবে গোবর দিলে ফসল ভালো হবে তারা বুঝতে পারল। এভাবেই আদিম মানুষ চাষ ও সারের বিষয়গুলি বুঝতে পারল।

12.প্রশ্নঃ মানুষ কি সব জায়গায় একই রকম ভাবে সব কিছু শিখেছে?
উত্তর : নদীর এক তীরে কিছু আদিম মানুষ থাকে। তারা দু-তিন কিলোমিটার এলাকার জঙ্গল কেটে চাষের জমি পেয়েছে। দূরেই আছে বন। ধারে-কাছে মানুষ আছে কিনা তা তারা জানে না। আবার, এরও কুড়ি-তিরিশ কিলোমিটার দূরে মানুষ আছে। তারাও অন্যের খবর জানে না। তারাও বনজঙ্গল পরিষ্কার করে চাষ করত। এভাবেই মানুষ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নানা ভাবে সব কিছু শিখেছে।
13.প্রশ্নঃ মানুষ তাহলে কীভাবে শিখল?
উত্তর : একদল মানুষ হয়তো কিছু শিখেছে। অনেক দূরে বাস করায় অন্য দল সেসব জানতেও পারে না। আদিম যুগে এভাবে মানুষ একই বিষয় নানাভাবে শিখেছে।

14.প্রশ্নঃ আদিম মানুষ কীভাবে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেছে?
উত্তর : আদিম যুগের মানুষ গোবর দিয়ে জমিতে চাষ করত। গোরুর থেকে সহজেই গোবর পাওয়া যেত। আবার, কীটনাশক হিসেবে জমিতে তারা নিমপাতা ব্যবহার করত। তবে এসব তারা একদিনে শেখেনি। প্রায় লক্ষ লক্ষ বছর সময় লেগেছিল এসব শিখতে।

15.প্রশ্নঃ রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার কবে বেশি বেড়েছিল? 
উত্তর : ৪০-৫০ বছর আগে।

16.প্রশ্নঃ ২০-২৫ বছর আগে কী হয়েছিল?
উত্তর : চাষের কাজে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার কমতে থাকে।

17.প্রশ্নঃ‘বেশি সার দিলে বেশি ফসল হবে’—এটা কি ঠিক ধারণা?
উত্তর : একেবারেই নয় চাষিভাইদের ধারণা এখন আর বেশি রাসায়নিক সার দিলেও ফসল বাড়ছে না। তাই তাদের বেশির ভাগই জৈব সারের দিকে ঝুঁকছে। কীটনাশকের বদলে কী ব্যবহার করা যায় তা তারা ভাবতে লাগল।

18.প্রশ্নঃ রাসায়নিক সারের ক্ষতিকর প্রভাব কী?
উত্তর : চাষিভাইরা এখন জানেন যে, শুধু রাসায়নিক সার দিলে ভবিষ্যতে জমি থেকে ভালো ফসল পাওয়া যাবে না। বন্ধু-পোকা আর থাকবে না, জমিও উর্বর হবে না। মৌমাছি, রেশমপোকার মতো অর্থকরী পোকারা ধ্বংস হয়ে যাবে।

19.প্রশ্নঃ সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছিল কেন?
উত্তর : ১৯৬৬ সালে চালের দাম চারগুণ হয়ে গেল। এক টাকা চার আনা থেকে এক লাফে পাঁচ টাকা! এমনকি বেশি টাকা দিয়েও চাল পাওয়া যায় না। এর মূল কারণ, লোকসংখ্যা যতটা বেড়েছে, ফসল ততটা ফলেনি। বেশ কয়েক বছর এভাবে চলল আবার, এক জায়গার চাল অন্য জায়গায় পাঠানো যাবে না। সবাইকে রেশনের যব-মাইলো খেতে হবে।

20.প্রশ্নঃ চালের আকাল দূর হল কীভাবে?
উত্তর : চালের আকাল শুরু হতেই নতুন বীজ, নতুন সার, নতুন কীটনাশক আর ডিপ টিউবওয়েল এলো। গরমকালে ধান চাষ শুরু হল। এর আকৃতি ছোটো ধান পাকতে তিন-চার মাস সময় লাগে। ফসলও অনেক বেশি হল। এভাবে বছরে দু-তিন বার চাষ করার ফলে চার-পাঁচ বছরের মধ্যেই চালের আকাল দূর হল।

21.প্রশ্নঃ খাদ্যে আমরা স্বয়ম্ভর হলাম কীভাবে?
উত্তর : যেসব জমিতে চাষিভাইরা চাষ করতেন তার চেয়ে অনেক বেশি জমি খালি পড়েছিল। সেগুলি অব্যবহৃত অর্থাৎ পতিত জমি। সেসব তারা পরিষ্কার করে চাষআবাদ শুরু করল। ভালো ফলন হল এভাবে আমরা খাদ্যে স্বয়ম্ভর হলাম।

22.প্রশ্নঃ সবুজ বিপ্লব কাকে বলে?
উত্তর : খাদ্যে আমরা স্বয়ম্ভর যে পদ্ধতিতে হলাম অর্থাৎ, চাষের পরিমাণ যেভাবে বাড়লো সেই ঘটনাকে সবুজ বিপ্লব বলে। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত খাদ্যশস্যের উৎপাদন দ্রুত বাড়তে থাকে।

23.প্রশ্নঃ উৎপাদন বৃদ্ধির কুফল কীভাবে বোঝা শুরু হল?
উত্তর : ১৯৯০ সাল পর্যন্ত খাদ্যশস্যের উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। নতুন বীজ, সার, কীটনাশক, ডিপ টিউবওয়েল ব্যবহার করে চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি পেল। কিন্তু এর কুফল বোঝা গেল এরপর। বেশি রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরতা খুব কমে গেল। মাটির নীচের জল এতদিন ধরে ব্যবহারের ফলে আর সেভাবে জল পাওয়া গেল না। বন্ধ হয়ে গেল অনেক ডিপ টিউবওয়েল।

24.প্রশ্নঃ রাসায়নিক সার ও রাসায়নিক কীটনাশকের কুফল কী?
উত্তর : রাসায়নিক সার ও রাসায়নিক কীটনাশক অত্যধিক ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরতা কমে যায়, জমির ক্ষতি হয়।

25.প্রশ্নঃ কৃষি উৎপাদন কীভাবে ঢেঁকসই হল?
উত্তর : নতুন নতুন চিন্তাভাবনা ও গবেষণার ফলে পাওয়া গেল জৈব সার, অণুজীব সার ও জৈব কীটনাশক। নতুন নতুন বীজ এলো। জলের সমস্যার জন্য বৃষ্টির জলকে জমিয়ে রেখে পরে ব্যবহার করা হল। এভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে লাগল। আর কৃষি উৎপাদনও ঢেঁকসই হল।

26.প্রশ্নঃ জমিতে কী কী ধান চাষ করা হত?
উত্তর : জমিতে দু-রকম ধান চাষ হত—আউস ও আমন।

27.প্রশ্নঃ আউস ধান কীভাবে চাষ হত?
উত্তর : আউস ধান চাষ করতে কম জল লাগে। আউস ধানের গাছ একটু ছোটো। একটু উঁচু জমিতে আউস ধানের চাষ হয়। বর্ষাকালেই (জুন-সেপ্টেম্বর) আউস ধান চাষ করা হয়। মাঠনালার মাধ্যমে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় আউস ধান একবারই চাষ করা হত।
28.প্রশ্নঃ আমন ধান কীভাবে চাষ হত?
উত্তর : সাধারণত নীচু জমিতে আমন ধানের চাষ হয়। আমনের গাছ বড়ো। আমন ধানের মধ্যে কিছু মোটা ধান ছিল। সেগুলির গাছ খুব লম্বা হত। আমন ধান বর্ষাকালে চাষ করা হয়। মাঠনালার মাধ্যমে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পাট কাটা হয়ে গেলে আমন চাষ শুরু হত।

29.প্রশ্নঃ চাষের কিছু বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর : সারাবছর আবাদের এক-এক ঋতু আসে এক-এক সাজে। সঙ্গে আনে নানা রকমের ফলমূল ও শাকসবজি। এর কারণ ওই বিভিন্ন ধরনের ফসলের জন্য লাগে নানা মাত্রার উত্তাপ, বিভিন্ন পরিমাণ বৃষ্টিপাত ও নানা ধরনের মাটি। এই আনাজ চাষেই জল লাগে কম এর ফলে এত বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।

30.প্রশ্নঃ শীতকালে ও গরমকালে কোন কোন শাকসবজির চাষ হয় কীভাবে?
উত্তর : শীতকালে আনাজ বা তরিতরকারির মধ্যে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টম্যাটো, পালংশাক, কড়াইশুঁটি, ডাল ইত্যাদি চাষ করা হত। আর ফলের মধ্যে কমলালেবু, শাঁখআলু ইত্যাদি পাওয়া যেত। আবার, গরমকালে ঝিঙে, পটল, ঢেঁড়শ ইত্যাদি সবজি চাষ হত। কোথাও কোথাও আখ চাষ হত। নদী, খাল, বিল, পুকুরে যে বৃষ্টির জমা জল থাকত ডোঙায় করে ওই জল সেই চাষের জমিতে দেওয়া হত। তখন চাষে জৈব সার ব্যবহৃত হত। কীটনাশকের ব্যবহার প্রায় ছিল না বলা যায়।

31.প্রশ্নঃ ধান ঝাড়া কাকে বলে?
উত্তর : চেরা বাঁশ দিয়ে ফাকাফাঁকা একটা ধান-ঝাড়ন তৈরি করা হত। তার ওপর ধান সমেত খড় পেটানোর ফলে ধান আর খড় আলাদা করা হত। এভাবে হত ধান ঝাড়া।

32.প্রশ্নঃ চা-বাগান কোথায় আছে?
উত্তর : দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলার পাহাড়ি উঁচু ও ঢালু জমিতে বন কেটে তৈরি হয়েছে চা-বাগান। ঢালু জমিতে চা গাছের গোড়ায় জল দাঁড়াতে পারে না। এ ছাড়া উত্তর দিনাজপুর জেলার উত্তরাংশেও চা-বাগান আছে।

33.প্রশ্নঃ দার্জিলিং-এ চাষ হয় কীভাবে?
উত্তর : দার্জিলিং-এ খুব বৃষ্টি হয়—দক্ষিণবঙ্গের প্রায় দ্বিগুণ। পাহাড়ে ঢালু জমি থাকায় জল দাঁড়াতে পারে না তবে ধাপ চাষ করা হয়।

34.প্রশ্নঃ স্কোয়াশ কী?
উত্তর : স্কোয়াশ একটি ফল। লতানো ঝিঙে গাছের মতো দেখতে। ফলটা খেতে লাগে অনেকটা পেঁপের মতো।

35.প্রশ্নঃ দার্জিলিং-এ কী কী চাষ করা হয়?
উত্তর : দার্জিলিং-এ সবচেয়ে বেশি চাষ হয় কমলালেবু ও চা। ধান খুব বেশি হয় না। গম, ভুট্টা, আলু, আদা, সয়াবিনের চাষ হয়। এ ছাড়া ওখানে স্কোয়াশ ফল, কমলালেবু ও চা প্রচুর চাষ করা হয়। চা ওখানকার প্রধান ফসল। ওখানে ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য শীতের সবজি অর্থাৎ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং, মুলো ইত্যাদি ভালোই চাষ করা হয়।

36.প্রশ্নঃ তরাই অঞ্চলের মাটি উর্বর কেন? 
উত্তর : দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির পাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে আসা নদীগুলির পলি জমে এখানকার মাটি উর্বর হয়েছে। সেখানে তাই ভালো ফসল ফলে।

37.প্রশ্নঃ তরাই অঞ্চলের চাষবাস কেমন হয়?
উত্তর : তরাই অঞ্চলে পলি জমে মাটি উর্বর হয়েছে। তাই সেখানে ভালো ফসল ফলে। যেমন ধান, পাট, গম, বাদাম ইত্যাদি। আর হয় প্রচুর নানারকমের সবজি ও আনারস। আর এখানে চায়ের বাগান আছে অনেক। ঢালু জমি থাকায় এখানে চা চাষ ভালো হয়। গাছের গোড়ায় জল দাঁড়ায় না। আর ঠান্ডা আবহাওয়া চা চাষের পক্ষে উপযুক্ত।

38.প্রশ্নঃ কোথাকার চা স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় ?
উত্তর : দার্জিলিং-এর চা স্বাদে ও গন্ধে পৃথিবী বিখ্যাত, ঠাণ্ডা আবহাওয়ার জন্যই এই স্বাদ ও গন্ধ হয়। চা পাতার মধ্যে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্ৰ তৈলাক্ত কোশ থাকে। এগুলির জন্যই চা-এর সুগন্ধ হয়। এই স্বাদ ও সুগন্ধযুক্ত চা বিভিন্ন দেশে বিক্রি হয়।

39.প্রশ্নঃ কী বিক্রি করে আমরা বিদেশি মুদ্রা পাই? 
উত্তর : চা বিক্রি করে।

40.প্রশ্নঃ তরাই অঞ্চলে ফলচাষ কেমন হয়? 
উত্তর : জুলাই মাসে তরাই অঞ্চলে গেলে দেখা যাবে সবুজ অথচ টসটসে পাকা আনারস। আর আছে কলা। প্রচুর পরিমাণে এই দুই ফল ফলে।

41.প্রশ্নঃ তরাই অঞ্চলে বৃষ্টি কেমন হয়?
উত্তর : মেঘ পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় পার্বত্য অঞ্চলে। আর এখানে একটু হলেও দক্ষিণবঙ্গের চেয়ে বেশি। বৃষ্টির এই জল সোজা দক্ষিণে বয়ে যায়, যেমন তিস্তা মিশেছে যমুনায়, মহানন্দা গঙ্গায় এরকম আর কী।

42.প্রশ্নঃ মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরে কী চাষ হয়?
উত্তর : মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বয়ে যাওয়া গঙ্গা, মহানন্দা, আত্রাই, পুনর্ভবা ইত্যাদি নদীর জলে চাষ হয়। এখানে ধান, পাট বেশি হয়, আখ কম হয়। বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ফজলি আম, লিচুও ফলে।
উত্তর : ফজলি আমের জন্য।

43.প্রশ্নঃ মালদায় কী কী চাষ হয়? 
উত্তরঃ মালদায় বিশেষত কালিয়াচকে প্রচুর তুঁত গাছের চাষ হয়। এই অঞ্চলে অনেক তুঁত ঝোপ আছে। আবার লাগানোও হয়। এসবই অনুর্বর অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ চাষ।

44.প্রশ্নঃ ইছামতী নদী কোথায়?
উত্তর : উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পুবদিকে বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে এই নদী প্রবাহিত হয়েছে। মাথাভাঙা নদীর একটি শাখা ইছামতী নামে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।

45.প্রশ্নঃ রূপনারায়ণ নদী কোথায়?
উত্তর : দ্বারকেশ্বর ও শিলাবতী নদীর মিলিত ধারার নাম রূপনারায়ণ। এটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের কাছে মিশেছে। আর গেঁওখালির কাছে হুগলি নদীতে পতিত হয়েছে।

46.প্রশ্নঃ আলু কোথায় বেশি চাষ হয়?
উত্তর : দামোদরের দুই পাশের জমিতে আলুর চাষ খুব হয়। তাকালেই দেখা যাবে ছোটো ছোটো সবুজ আলু গাছ। চোখ জুড়িয়ে যায়। আলু গাছ চা গাছের চেয়েও ছোটো। আর আলুর পাতাই জমির সার। তবে চায়ের মতো নয়।

47.প্রশ্নঃ ধান কোথায় বেশি হয়?
উত্তর : গাঙ্গেয় সমভূমি ও রাঢ় অঞ্চলেই ধান চাষ বেশি হয়। তবে আমন ধানের চাষ আর এখন হয় না। উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষই বেশি হয়। বর্ধমান জেলায় উর্বর মাটির জন্য প্রচুর পরিমাণে ধান চাষ হয়।

48.প্রশ্নঃ রাঢ় অঞ্চলে বন্যা বেশি হয় কেন? 
উত্তর : ডি.ভি.সি. বর্ষাকালে প্রচুর জল ছাড়ে। তার ফলে বন্যা বেশি হয়।

49.প্রশ্নঃ বর্ষার সময় ডি.ভি.সি. জল ছাড়ে কেন? কী কথা ছিল?
উত্তর : বন্যা বন্ধ করার কথা ছিল ডি.ভি.সি.-র। পাহাড় থেকে গড়িয়ে আসা বর্ষার জল জমিয়ে রাখার কথা ছিল। এজন্য কিছু জলাধার তৈরি করার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের (মাইথন ইত্যাদি) কাছে। সেখানে জল আটকে রাখা হবে। তাহলে আর বন্যা হতে পারবে না। পরে সেই জল অল্প অল্প করে ছাড়া হবে। তার ফলে সারাবছর ধরে চাষের জল পাবে এই অঞ্চল। কিন্তু তাতে বন্যা বন্ধ হয়নি। পরেও চাষের জল যথেষ্ট পাওয়া যায় না।

50.প্রশ্নঃ ডি.ভি.সি. কথা রাখেনি কেন?
উত্তর : ডি.ভি.সি. যা কথা ছিল তা পালন করেনি। কারণ যত জলাধার তৈরির করার কথা ছিল, ততগুলি জলাধার করা সম্ভব হয়নি। তাই বর্ষার জল আটকে রাখা যায় না। এর ফলে বাধ্য হয়ে বর্ষাকালেই প্রচুর জল ছাড়তে হয়। আর খুব বন্যা হয়। পরে চাষের জন্যও যথেষ্ট জল পাওয়া যায় না।

51.প্রশ্নঃ কাঁকুড়ে লালমাটির অঞ্চল কোনটি?
উত্তর : পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের অন্তর্গত পুরুলিয়া জেলা ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রাম মহকুমার পশ্চিম সীমা বরাবর এই অঞ্চলটি অবস্থিত।
52.প্রশ্নঃ কাঁকুড়ে লালমাটির অঞ্চলে কী কী চাষ হয়?
উত্তর : এই অঞ্চলে মটর, অড়হর, মসুর ও বিউলি ডাল, বটবটি, সিম, ভুট্টা, বাদাম ইত্যাদি চাষ করা হয়। এসব চাষে জল কম লাগে। এ ছাড়া শাকসবজির চাষও হয়।

53.প্রশ্নঃ কাঁকুড়ে লালমাটির অঞ্চলে কী কী ফলের চাষ হয়?
উত্তর : এই অঞ্চলে আতা, মুসাম্বি লেবু, আম, বেল ইত্যাদি ফল ভালো চাষ হয়।

54.প্রশ্নঃ উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল ও কাঁকুড়ে লালমাটির অঞ্চলের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : কাঁকুড়ে লালমাটির অঞ্চলের মতোই উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলে একই পদ্ধতিতে চাষের জমি তৈরি করা হয়। কিন্তু ভূমির ঢাল পার্বত্য অঞ্চলে অনেক বেশি। সেখানকার চাষের জমিগুলি অনেক ছোটো হয়। আর মাটির গভীরতাও কম সেখানে বৃষ্টি খুব বেশি হয়। আর এখানে বৃষ্টি খুব কম হয়। দু-জায়গাতেই চাষ করতে বেশি সার লাগে।

55.প্রশ্নঃ সুন্দরবনের মাটিতে নুন বেশি কেন?
উত্তর : সমুদ্রের খুব কাছে অবস্থিত বলে।

56.প্রশ্নঃ চাষের পক্ষে নোনা মাটি কেমন?
উত্তর : চাষের পক্ষে নোনা মাটি উপযুক্ত নয়।

57.প্রশ্নঃ সুন্দরবন অঞ্চলে বৃষ্টি কেমন হয়? 
উত্তরঃ এই অঞ্চলে বৃষ্টি ভালোই হয়। এমনকি পাশের সমতল অঞ্চলের চেয়েও বেশি।

58.প্রশ্নঃ সুন্দরবন অঞ্চলে ফলচাষ কেমন হয়? 
উত্তরঃ সুন্দরবন অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে নারকেল হয়। অন্য ফলের গাছও আছে। যেমন সবেদা, পেয়ারা, তরমুজ ইত্যাদি। বারুইপুরের লিচু ও পেয়ারা বিখ্যাত।

59.প্রশ্নঃ সুন্দরবন অঞ্চলে মাছচাষ কেমন হয়?
উত্তর : সুন্দরবন অঞ্চলে অনেকে জমিতে চাষ না করে মাছচাষ করেন ভেড়িতে। ভেড়িতে জল আটকে মাছচাষ করা হয়।

60.প্রশ্নঃ সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষের একটি জীবিকার নাম করো।
 উত্তর : সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষ সমুদ্রে নৌকা করে চলে যায় মাছ ধরতে। ট্রলারে করেও অনেকে যান। সার্ডিন, ইলিশ, নানারকম চাঁদা, ভোলা, লোটে ইত্যাদি মাছ ধরেন সমুদ্রে।

61.প্রশ্নঃ মাছ কোথায় কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তর : পুকুর ছাড়াও নদী, খাল, বিল, নালা-নর্দমাতে মাছ চাষ হয়। ধান খেতে জল জমে। সেখানেও মাছ পাওয়া যায়।
62.প্রশ্নঃ এখন ধানখেতে মাছ বিশেষ দেখা যায় না কেন?
উত্তর : এখন ধানখেতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে মাছ বাঁচতে পারছে না, মরে যাচ্ছে। মাছ খাওয়ার জন্য আসত কোলাব্যাং, জলঢোঁড়া সাপ।

63.প্রশ্নঃ ধানখেতে কীভাবে মাছ পাওয়া যায়?
উত্তর : এখন রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে মাছ বিশেষ পাওয়া যায় না। কই, পাঁকাল, শিঙি, মাগুর, খলসে, ফলুই ইত্যাদি সব মাছ চলে যেত। তবে বেশিদিন বেঁচে থাকত চ্যাং, উল্‌কো, শিঙি, মাগুর, শোল, শালগুলো। বৃষ্টি বেশি হলে ধান কাটার সময়ও কাদা থাকত। সেই কাদায় জিওল মাছ পাওয়া যেত।

64.প্রশ্নঃ উলকো মাছ কী করে?
উত্তর : উল্‌কো মাছ লেজে ভর দিয়ে একটু লাফাতে পারে।

65.প্রশ্নঃ বড়ো ফাঁদির জাল কাকে বলে?
উত্তর : জালের সুতো দিয়ে তৈরি বড়ো বড়ো খোপের জালকে বড়ো ফাঁদির জাল বলে।

66.প্রশ্নঃ পুরো পুকুর ঘিরে ফেলার জাল কী?
উত্তর : সব মাছ ধরতে গেলে মাছ ঠিকঠাক বাড়ছে কিনা তা দেখতেও এই জাল লাগে।

67.প্রশ্নঃ ঘুনি কাকে বলে?
উত্তর :বাঁশের শলা দিয়ে তৈরি, ওল্টানো বাক্সের মতো দেখতে স্রোতের মুখে পেতে রাখে।

68.প্রশ্নঃ পোলো কী?
উত্তর : পাখির খাঁচার মতো দেখতে। মাছের চারপাশ ঘিরে ফেলতে এই জাল ব্যবহৃত হয়।

১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
(প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)

Q1.হারভেস্টার নামক যন্ত্রটি হল – 
(i) ধান ঝাড়াই যন্ত্র (ii) ধান রোপণের (iii) ধান কাটার যন্ত্র (iv) সব কটিই।
Q2.আদিম মানুষ চাষ করত—
(i) নিজেরাই লাঙল টেনে (ii) ছাগল দ্বারা লাঙল টেনে (iii) গোরু দিয়ে লাঙল টেনে (iv) মহিষ দিয়ে লাঙল টেনে।
Q3.বর্তমানে জমি কর্ষণের জন্য কোন্ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়? 
(i) হাতে টানা লাঙল (ii) মহিষে টানা লাঙল (iii) পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর (iv) কোনোটাই নয়।
Q4.আদিম যুগে মানুষ জমিতে যে সার ব্যবহার করত তা হল—
(i) গোবর সার (ii) রাসায়নিক সার (iii) দুটোই (iv) কোনোটাই নয়।
Q5.আদিম যুগে মানুষ কী ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করত?
(i) আম পাতা (ii) জাম পাতা (iii) তেঁতুল পাতা (iv) নিম পাতা
Q6.চালের দাম চার গুণ বেড়ে গিয়েছিল কত সালে?
(i) ১৯৬৬ সালে (ii) ১৯৫০ সালে (iii) ১৯৬০ সালে (iv) ১৯৭০ সালে।
Q7.খাদ্য শস্যের উৎপাদন দ্রুত বেড়েছিল—
১৯৪৫ সালে (ii) ১৯৯০ সালে (iii) ১৯৯৮ সালে (iv) কোনোটিই নয়।
Q8.গম, সর্ষে, কলাই, আলু, বেগুন, পেঁয়াজ, ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদি দ্রব্য উৎপন্ন হয়—
(i) গ্রীষ্মকালে (ii) বর্ষকালে (iii) শরৎকালে (iv) শীতকালে
Q9.বোরো ধান উৎপন্ন হয় – 
(i) গ্রীষ্মকালে (ii) বর্ষাকালে (iii) শীতকালে (iv) হেমন্তকালে।
Q10. আউস ধান উৎপন্ন হয়—
(i) গ্রীষ্মকালে (ii) বর্ষাকালে (iii) শরৎকালে (iv) হেমন্তকালে।
Q11.আমন ধান তোলা হয়—
(i) বর্ষাকালে (ii) শরৎকালে (iii) হেমন্তকালে (iv) শীতকালে
Q12.শীতকালে যে ফুল পাওয়া যায় তা হল—
(i) গাঁদা (ii) রজনীগন্ধা (iii) দুটোই (iv) কোনোটিই নয়।
Q13.কমলালেবু, শাখ আলু, নারকেল কুল ইত্যাদি ফল উৎপন্ন হয়—
(i) শীতকালে (ii) গ্রীষ্মকালে (iii) বর্ষাকালে (iv) শরৎকালে।
Q14.পেঁয়াজ, খেজুর ইত্যাদি ফল পাওয়া যায়—
(i) গ্রীষ্মকালে (ii) বর্ষাকালে (iii) শরৎকালে (iv) শীতকালে।
Q15.আম, জাম, তরমুজ ইত্যাদি উৎপন্ন হয়—
(i) গ্রীষ্মকালে (ii) শীতকালে (ii) বর্ষাকালে (iv) হেমন্তকালে।
Q16. চা-চাষের জন্য যেরূপ জমির প্রয়োজন হয় তা হল—
(i) সমতল (ii) জলাশয় (iii) পাহাড়ি উঁচু ও ঢালু (iv) কোনোটিই নয়।
Q17.‘স্কোয়াশ’ ফল খেতে লাগে—
(i) আমের মতো (ii) লিচুর মতো (iii) জামের মতো (iv) পেঁপের মতো
Q18.কোথাকার চা স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয়—
(i) দার্জিলিং-এর (ii) অসমের (iii) মালদা-এর (iv) জলপাইগুড়ি।
Q19. 'আনারস' কোন্ অঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়?
(i) রাঢ় অঞ্চলে (ii) মালভূমি অঞ্চলে (iii) তরাই অঞ্চলে (iv) কোনোটিই নয়।
Q20.আলু কোথায় বেশি চাষ হয়—
(i) দামোদরের দুই পাশে (ii) গঙ্গা নদীর দুই পাশে (iii) কংসাবতীর দুই পাশে (iv) সবকটিই।
Q21. রাঢ় অঞ্চলে বন্যা বেশি হয় কেন—
(i) ঝরনার জলপ্রপাতের ফলে (ii) ডি.ভি.সি বেশি জল ছাড়ার ফলে (iii) অতিরিক্ত বর্ষার জন্য (iv) কোনোটিই নয়।
Q22. ফুল চাষ বেশি হয় যে জায়গায় তা হল –
(i) পাঁশকুড়াতে (ii) আরামবাগে (iii) নদিয়ায় (iv) কোনোটিই নয়।
Q23.কাঁকুড়ে লাল মাটি কোন্ অঞ্চলে বেশি দেখা যায়?
(i) রাঢ় অঞ্চলে (ii) গাঙ্গেয় অঞ্চলে (iii) সমভূমি অঞ্চলে (iv) মালভূমি অঞ্চলে
Q24.বারুইপুর কোন কোন ফলের জন্য বিখ্যাত?
(i) লিচু ও পেয়ারা (ii) আম ও জাম (iii) কলা ও আনারস (iv) কমলালেবু ও জাম।
Q25.কোন মাছ লেজে ভর দিয়ে লাফাতে পারে – 
(i) মাগুর (ii) চ্যাং (iii) কই (iv) বোয়াল।
Q26.কোন মাছ প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে?
(i) বোয়াল (ii) কাতাল(iii) রুই (iv) সরপুঁটি

📥 পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড 
▸ পরিবেশ ও উৎপাদন
▸ টেক্সট বইয়ের ছক সমাধান 
▸ ক্লাস - পঞ্চম শ্রেণি 



৬.পরিবেশ ও  বনভূমি

❑ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :
1.প্রশ্নঃ বনে কোন কোন প্রাণী আছে?
উত্তর : বনে বাঘ, শিয়াল, খরগোশ, মৌমাছির দল, কাঠবিড়ালি, বনবিড়াল, হাতি, সাপ, বনশুয়োর, বাঁদর, হরিণ, ভোঁদড়, বাইসন, একশৃঙ্গ গন্ডার, চিতাবাঘ ইত্যাদি আছে।

2.প্রশ্নঃ বনে কী কী গাছ আছে?
উত্তর : বনে আছে শাল, সেগুন, মেহগিনি, ইউক্যালিপ্টাস, রাধাচূড়া, পলাশ, পাইন, ওক, ফার, বার্চ, রডোডেনড্রন ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের গাছ। আর আছে চাঁপ, চিলোনি, লালি ইত্যাদি মাছ।

3.প্রশ্নঃ বনে কী কী থাকে?
উত্তর : বাগানে যেসব গাছ থাকে সেগুলি বনেও থাকে। আছে জলাভূমি বনে গেলে শোনা যায় নানারকম পোকা, পশুপাখিদের ডাক এসব নিয়েই তো বন।

4.প্রশ্নঃ অরণ্য সপ্তাহ কবে পালিত হয়? কী করি আমরা?
উত্তর : প্রতিবছর জুলাই মাসে আমাদের রাজ্যে অরণ্য সপ্তাহ পালন করা হয়। আমরা সবাই মিলে ওই সময় গাছ পুঁতি। আমাদের বিদ্যালয়েও ওই সময় গাছ পোঁতা হয়। এর ফলে আমরা প্রধান দুটি জিনিস পাই—অক্সিজেন ও জ্বালানির কাঠ।

5.প্রশ্নঃ বনের গাছ থেকে আমরা কী কী পাই?
উত্তর : বনের গাছ থেকে আমরা অনেক কিছু পাই। শুধু কাঠ, মধু আর মোমই নয়। আমরা পাই গাছের ছাল থেকে মশলা, ওষুধ, দড়ি তৈরির আঁশ। পাতা, লতা থেকেও ওষুধ তৈরি হয়। আগে গাছের পাতার ওপর পুথি লেখা হত। গাছ থেকেই তৈরি হয় কাগজ এ ছাড়া অনেক রকমের ফল পাই।

6.প্রশ্নঃ মানুষ গাছ কাটল কখন?
উত্তর : চাষ করতে শেখার পর।

7.প্রশ্নঃ শহরে দূষণ বাড়ল কীভাবে?
উত্তর : গাছ কেটে মানুষ শহর, নগর বানাল। এক জায়গায় অনেক মানুষ ভীড় করতে থাকল। আর শহরের বাতাসে বেড়ে গেল ধুলো-ধোঁয়া। গাছের পাতা ধুলোয় ঢেকে গেল। শ্বাসকষ্টের অসুখ, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে গেল। অক্সিজেনের পরিমাণও গেল কমে। এভাবে শহরে দূষণ বাড়ল।

8.প্রশ্নঃ গাছ না হলে বৃষ্টি হবে না কেন?
উত্তর : গাছ থাকলে তবেই হাওয়া আটকাবে। মেঘ থমকে দাঁড়াবে। ঠান্ডা হয়ে জলের বড়ো বড়ো ফোঁটা হবে। মাটিতে ঝরে পড়বে গাছ নেই তাই বৃষ্টিও নেই।

9.প্রশ্নঃ খাদ্যের অভাব হল কেন?
উত্তর : গাছ কেটে শহর বাড়তে থাকল। আর চাষের জমিও কমতে থাকল। চাষবাস, ফলের গাছ সব বন্ধ হতে থাকল। খাদ্যের অভাবে বন্য প্রাণী লোকালয়ে চলে এলো। ফসল নষ্ট করল। শুরু হল এভাবেই খাদ্যের অভাব।

10.প্রশ্নঃ শিল্প-কারখানা, গ্রাম-শহরের জীবন ঢেঁকসই হবে কীভাবে?
উত্তর : রাস্তার ধারে গাছ লাগাতে হবে। এসব কাজ তো বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই শুরু হয়েছে। ওইসব গাছের বাড়-বাড়ন্তও অনেক হয়েছে। কিন্তু মানুষ আবার ওইসব গাছ কেটে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে। শহর, গঞ্জে গাছ চাই। অক্সিজেন পাবো। সবদিক বজায় রেখে বাঁচার ভাবনা এলো। কারখানার পাশে গাছ চাই। তাই বড়ো বন চাই ছোটো বনও চাই। তাহলেই মানুষের জীবন ঢেঁকসই হবে।

11.প্রশ্নঃ সমাজভিত্তিক বন কাকে বলে? 
উত্তর : লোকালয়ের মাঝে ছোটো ছোটো বনকে সমাজভিত্তিক বন বলে।

12.প্রশ্নঃ বাঘ কত রকমের ও কী কী?
উত্তর : বাঘ অনেকরকম। ডোরা কাটা বাঘ, চিতা বাঘ, নেকড়ে বাঘ।

13.প্রশ্নঃ বাঘ আমাদের রাজ্যে কোথায় দেখা যায়?
উত্তর : সুন্দরবনের অরণ্যে বাঘ দেখা যায়।

14.প্রশ্নঃ মাংসের লোভে মানুষ কোন বড়ো পাখি মেরেছে?
উত্তর : ডোডো পাখি মস্ত বড়ো। মানুষ এদের মেরে শেষ করে দিয়েছে।

15.প্রশ্নঃ মানুষ হাতি মারে কেন?
উত্তর : হাতির লম্বা দুটো দাঁতের জন্য।

১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
(প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)

Q1. অরণ্য সপ্তাহ পালিত হয় কোন মাসে?
🄰 জানুয়ারি মাসে 
🄱 ফেব্রুয়ারি মাসে 
🄲 জুন মাসে 
🄳 জুলাই মাসে

Q2.আমরা মধু পাই?
🄰 বন থেকে 
🄱 জল থেকে
🄲 আগুন থেকে 
🄳 সবকটি থেকে

Q3. কাগজ পাই যে ঘাস থেকে তা হল—
🄰 দুর্বা 
🄱 মুথো 
🄲 সাবাই 
🄳 কোনোটিই নয়

Q4. ম্যালেরিয়া ওষুধ পাওয়া যায় যে গাছ থেকে তা হল?
 🄰 নিম 
🄱 আম 
🄲 সিঙ্কোনা 
🄳 জাম

Q5. দারচিনি গাছের ছাল থেকে যা পাওয়া যায় তা হল?
🄰 মশলা 
🄱 দই 
🄲 চাল 
🄳 ডাল

Q6. নরম কাণ্ডের একটি গাছ হল?
 🄰 আম 
🄱 জাম 
🄲 কাঁঠাল 
🄳 কলা

Q7. একটি লতানো গাছের ফলের নাম?
🄰 সিম 
🄱 লঙ্কা 
🄲 বেগুন 
🄳 ঢেঁড়শ

Q8.শহরে দূষণ বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ হল?
🄰 গাছ লাগানোর জন্য 
🄱 গাছা কাটার জন্য 
🄲 লোকসংখ্যা বৃদ্ধির 
🄳 সব কটি

Q9.খাদ্যের অভাব হাওয়ার একটি কারণ হল?
🄰 চাষের জমি কমতে থাকা 
🄱 চাষের জমি বাড়তে থাকা 
🄲 বৃষ্টির অভাব 
🄳 কোনোটিই নয়

Q10.বড়ো বনে যা আছে তা প্রধানত— 
🄰 গোরু 
🄱 ছাগল 
🄲 বন্য প্রাণী 
🄳 সবজির বাগান

Q11.বড়ো বনের গাছগুলি কত দিনের পুরোনো?
🄰 ৫০ বছর
🄱 ১৫০ বছর 
🄲 ৩-৪ শো বছর 
🄳 কয়েক হাজার বছর

Q12.বনাঞ্চল থেকে বাঘ লোকালয়ে চলে আসে কেন?
🄰 ফসল খাবার জন্য 
🄱 মানুষ, গোরু, ছাগল ইত্যাদির মাংস খাবার জন্য 
🄲 বসবাস করার জন্য 
🄳 সবকটি

Q13. হরিণ বসবাস করে?
🄰 লোকালয়ে 
🄱 বনে 
🄲 নদীতে 
🄳 পাহাড়ে

Q14. নীচের গাছগুলির মধ্যে কোনটি বনে পাওয়া যায়?
🄰 আম 
🄱 কাঁঠাল 
🄲 শাল 
🄳 জাম

Q15. এক বন থেকে অন্য বনে কারা যায়?
🄰 পশুরা 
🄱 মানুষ 
🄲 দুটোই 
🄳 কোনোটিই নয়

২। সঠিক বাক্যের পাশে ✔) আর ভুল বাক্যের পাশে (ㄨ) চিহ্ন দাও :
(ক) বন্য উদ্ভিদ হল—আম, জাম, লিচু ইত্যাদি।
উত্তরঃ 
(খ) বন্য পশুরা হল—বাঘ, শিয়াল, হরিণ ইত্যাদি। 
উত্তরঃ 
(গ) বন্য ফল—আম,জাম, কাঁঠাল ইত্যাদি। 
উত্তরঃ 
(ঘ) বাঘ খাদ্যের অভাবে লোকালয়ে আসে।
উত্তরঃ 
(ঙ) বনের গাছ থেকে আমরা পাই মশলা, ওষুধ, ছাল, পাতা ইত্যাদি। 
উত্তরঃ 
(চ) লঙ্কা গাছ হল লম্বা গাছে উদাহরণ। 
উত্তরঃ 
(ছ) মানুষ বসবাসের জন্য বন জঙ্গল কেটে ফেলে।
উত্তরঃ 
(জ) পাছ আমাদের খাদ্য, অক্সিজেন, আসবাবপত্র দেয়। 
উত্তরঃ 
(ঝ) গাছের চাহিদা মেটানোর জন্য বনসৃজন হয়।
উত্তরঃ 

📥 পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড 
▸ পরিবেশ ও  বনভূমি
▸ টেক্সট বইয়ের ছক সমাধান 
▸ ক্লাস - পঞ্চম শ্রেণি 


1 মন্তব্যসমূহ

Type Here ....

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন