Class 5 Amader Paribesh Chapter 7 And 8 Question Answer

 
class 5 amader paribesh chapter 7 and 8 question answer

আরো পড়ুনঃ ক্লাস - (V)

{tocify} $title={Table of Contents}

Class 5 Amader Paribesh Chapter 7

১. কী পুড়িয়ে ইট তৈরি হয়?
উত্তর : কয়লা পুড়িয়ে।
২. কয়লাখনি আমাদের রাজ্যে কোথায় আছে?
উত্তর : বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জ ও আসানসোলে।
৩. কয়লাখনিতে সুড়ঙ্গ থাকে কেন? ভিতরে কী আছে? 
উত্তর : অনেক বড়ো বড়ো ও অনেক গভীর এমন কয়লাখনি আছে। সেখান দিয়ে ঢোকার জন্য সুড়ঙ্গ করা হয়। খানিকটা যাওয়ার পরেই চারদিক কালো। কয়লাখনির মেঝে, দেওয়াল, ছাদ সব কয়লার। আবার কোথাও জল চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ে। হাঁটার পথটা কাদা-কাদা মতো।
৪. আসানসোল-রানিগঞ্জ কয়লাখনি কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত? 
উত্তর : আসানসোল-রানিগঞ্জ কয়লাখনি বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত আছে। প্রায় ১৫০০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে আছে বিশাল কয়লাখনি।
৫. মাটির নীচে এত কয়লা এলো কোথা থেকে?
উত্তর : ২৮-৩০ কোটি বছর আগে দামোদর, মহানদী, গোদাবরী, ওয়ার্ধা নদীর উপত্যকা গভীর অরণ্যে ঢাকা ছিল। ধীরে ধীরে জলাভূমির সেই বড়ো বড়ো গাছগুলি প্রায় কয়েক হাজার বছর পরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির ক্ষয়ে মাটির নীচে চাপা পড়েছে। সেগুলি মাটির নীচের তাপ ও চাপের ফলে কয়লায় পরিণত হয়। পরপর শ-খানেক গাছ চাপা পড়লে মাত্র ১ মিটার পুরু কয়লা তৈরি হয়। এই কয়লা কয়েকটি পরপর স্তরে ভাগ করা থাকে।
৬. কাঠকয়লা কীভাবে হয়?
উত্তর : কাঠ পুরো পোড়ার আগেই জল দিতে হয়। নিভে যায়। কিন্তু ওর মধ্যে জ্বালানি শক্তি থেকে যায়।
৭. কয়লা কীভাবে তৈরি হয়?
উত্তর : বহু বছর ধরে মাটির নীচে গাছপালা ইত্যাদির চাপে ও তাপে কার্বন অংশ জমাট হয়ে কয়লায় পরিণত হয়।
৮. কার্বন কী? 
উত্তর : কয়লার বেশির ভাগ অংশই হল কার্বন।
৯.মাটির গভীরে তো গরমও বেশি'—বুঝবে কীভাবে?
উত্তর : মাটির অনেক গভীরে আছে আগ্নেয়গিরি। গভীরে থাকা শিলা ম্যান্টল গরমে গলে যায় ও চাপ সৃষ্টি করে। সেই চাপের ফলে আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে গরম লাভা বাইরে বের হয়। এ থেকেই বোঝা যায়, মাটির গভীরে গরম বেশি।
১০. উনুনে আঁচ ধরানোর ফলে কী ক্ষতি হয়?
উত্তর : উনুনে আঁচ ধরানোর ফলে ধোঁয়া ওড়ে, কয়লার ছাইও হয় খুব। ধোঁয়া খুব বিষাক্ত, চোখ জ্বালা করে, শ্বাসকষ্ট হয়।

১১. উনুনের ধোঁয়াতে চোখ জ্বালা করে কেন?
উত্তর : উনুনের ধোঁয়াতে সালফার, নাইট্রোজেন, কার্বনের অক্সাইড গ্যাস ও কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাস থাকে। তাই চোখ জ্বালা করে। বেশি ধোঁয়া লাগলে তাই চোখের ক্ষতি হতে পারে।
১২. মজা নদীতে কী থাকতে পারে? 
উত্তর : মজা নদীর ভিতর থেকে বালি কেটে নিলে ওপরের মাটি সমেত ধস নামবে।
১৩. নদীর পাড়ে ধস কীভাবে নামে? 
উত্তর : নদীর পাড়ে ওপরে থাকে নরম মাটি। এর নীচে থাকে বালি। ওই বালি দিয়ে লোকেরা বাড়ি বানায়। তাই ভিতর থেকে বালি কেটে নিলে ধস নামবেই।
১৪. কয়লাখনিতে কি ধস নামতে পারে, কীভাবে?
উত্তর : কয়লাখনিতে কয়লা তুলে নেওয়ার পর জায়গাটা ফাঁকা থাকে। এর ওপরে থাকে মাটি, ঘরবাড়ি, গাছপালা তাই এসবের চাপের ফলে ধস নামতে পারে।
১৫. কয়লাখনির ধসের সমাধান কী?
উত্তর : (১) কয়লা তুলে বালি দিয়ে খনির ফাঁকা জায়গা সম্পূর্ণ ভরাট করতে হবে। (২) খনি অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে।
১৬. কোথায় কয়লা খুব খাঁটি হতে হবে? 
উত্তর : যেখানে বেশি গরম আগুন লাগে, সেখানে কয়লা খাঁটি হতে হবে।
১৭. কোন কোন কাজে গরম আগুন বেশি লাগে?
উত্তর : লোহা-ইস্পাতের কারখানায় লোহা গলাতে। আর বিদ্যুৎ তৈরি করতে গরম আগুন বা তাপ বেশি লাগে।
১৮. জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে? 
উত্তর : কয়লা ও পেট্রোলিয়ামকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলে।
১৯. পেট্রোলিয়াম কী?
উত্তর : পেট্রোলিয়াম থকথকে, কাদা-কাদা। মাটির নীচেই পাওয়া যায়। গাছের থেকে যেভাবে কয়লা হয়েছে, সেভাবে প্রাণীদেহ ফোরা মেনিফোরা থেকেই পেট্রোলিয়াম বা খনিজ তেল হয়েছে।
২০. কোন কোন খনিজ পদার্থ একদিন ফুড়িয়ে যাবে?
উত্তর : কয়লা, পেট্রোল ও ডিজেল তবে কয়লা পরে ফুরোবে।
২১. জলবিদ্যুৎ কীভাবে উৎপন্ন হয়?
উত্তর : খরস্রোতা নদীর জলপ্রবাহের সাহায্যে ডায়নামো লাগানো একটি বিরাট পাখা টারবাইন ঘুরিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।

২২. কোথায়, কবে ভারতের প্রথম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়?
উত্তর : ভুটানের কাছে ঝালং-এ দার্জিলিং জেলায় জলঢাকা নদীর ওপর ভারতের প্রথম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপিত হয় ১৮৯৮ সালে।
২৩. টারবাইন কাকে বলে?
উত্তর : বিদ্যুৎকেন্দ্রে একটা মস্ত পাখার মতো দেখতে একটা যন্ত্র থাকে একে টারবাইন বলে।
২৪. জলের স্রোত কী করে হয়? 
উত্তর : সূর্যের তাপে বরফ গলে যায়। সেই বরফগলা জলে নদী-পুকুর-সমুদ্র ভরাট হয়। তাই সূর্য থাকলে নদী থাকবে, জলের স্রোত ও প্রভাব থাকবে।
২৫. বরফ হয় কেন? 
উত্তর : সূর্যের তাপে পুকুর-নদী-সমুদ্রের জল বাষ্প হয়ে ওপরে ওঠে। ওপরে সূর্যের তাপ কম, তাই ঠান্ডা বেশি ফলে বরফ তৈরি হয়।
২৬. জলচক্র কাকে বলে? 
উত্তর : সূর্যই তাপের উৎস। সূর্যের তাপে বরফ গলে যায়। সূর্য থাকলে নদী থাকবে; জলের স্রোতও থাকবে। জলের মাধ্যমে সূর্যই আমাদের শক্তি দিচ্ছে একেই বলে জলচক্র।
২৭. বাষ্পীভবন কাকে বলে? 
উত্তর : আকাশ থেকে বৃষ্টি হিসেবে জল পড়ে। এর উৎস জলীয় বাষ্প সূর্যের তাপ খুব কমে গেলে জল জমে কঠিন বরফ হয়। আর তাপ বাড়লে বাষ্পে পরিণত হয়। জলের এই বাষ্পে রূপান্তরকেই বাষ্পীভবন বলে।
২৮. সূর্যের শক্তি কীভাবে সরাসরি কাজে লাগানো যায়? 
উত্তর : সূর্যই আমাদের প্রাণশক্তি। কাপড় কেচে শুকনো করা, ধান শুকোতে, মূর্তি বা মাটির জিনিস শুকোতে সূর্য ছাড়া আমাদের চলবে না।
২৯. সূর্যের আলো দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় কি? 
উত্তর : সূর্যের আলো সোলার প্যানেলে ফেলে বিদ্যুৎ শক্তি তৈরি করা হয়। তা দিয়ে ক্যালকুলেটর চলে। অনেক খেলনা ঘোরে। অনেক বাড়ি ও রাস্তায় বা পার্কে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে।
৩০. একটি অপ্রচলিত শক্তির উদাহরণ দাও। 
উত্তর : সৌরবিদ্যুৎ। সূর্যের আলো থেকে সরাসরি বিদ্যুতের আলো পাওয়া যায় ৷
৩১. সোলার লাইট কী?
উত্তর : টেবিলের মাপের একটা সোলার প্যানেল। কাচ দিয়ে ঢাকা, খানিকটা উঁচু। একটু দক্ষিণে হেলিয়ে রাখে। সারাদিন ধরে রোদে ব্যাটারি চার্জ হয়। দিনের আলো কমে গেলেই আলো জ্বলে।
৩২. প্রচলিত শক্তি কী কী?
উত্তর : জলবিদ্যুৎ ও তাপবিদ্যুৎ।
৩৩. কোন শক্তি উৎপাদনে খরচ বেশি?
উত্তর : অপ্রচলিত শক্তিতে।

 সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
(প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)

ক) ইটকে যার সাহায্যে পোড়ানো হয় – 
🄰 কয়লা 
🄱 কেরোসিন 
🄲 ডিজেল 
🄳 পেট্রোল

খ) কয়লাখনি পশ্চিমবঙ্গে আছে—
🄰 দুর্গাপুর 
🄱 রানিগঞ্জ 
🄲 নদিয়া 
🄳 দার্জিলিং

গ) কয়লাখনির সুরঙ্গ পথ কতদূর বিস্তৃত—
🄰 ১০০০ বর্গ কিমি 
🄱 ১৫০০ বর্গ কিমি 
🄲 ৫০০ বর্গ কিমি 
🄳 ১০,০০০ বর্গ কিমি

ঘ) কয়লা মাটির প্রায় কত মিটার নীচে পাওয়া যায়—
🄰 ১০০ মিটার 
🄱 ৫০ মিটার 
🄲 ১৫০ মিটার 
🄳 ৬০০ মিটার

ঙ) কয়লা উৎপন্ন হয়েছে—
🄰 উদ্ভিদের মৃতদেহ থেকে 
🄱 প্রাণীর মৃতদেহ থেকে 
🄲 নিজে থেকেই 
🄳 কোনোটিই নয়

চ) পেট্রোলি উৎপন্ন হয়েছে যার মৃতদেহ থেকে তা হল—
🄰 উদ্ভিদ 
🄱 প্রাণী 
🄲 দুটোই 
🄳 কোনোটিই নয়

ছ) সব শক্তি উৎস কী – 
🄰 সূর্য
🄱 চন্দ্ৰ
🄲 গ্রহ 
🄳 উপগ্রহ

জ) অফুরন্ত শক্তি কোনটি—
🄰 সৌরশক্তি 
🄱 জ্বালানি 
🄲 জলবিদ্যুৎ 
🄳 সবকটি

ঝ) নীচের শক্তিগুলির মধ্যে প্রচলিত শক্তি হল—
🄰 জ্বালানি 
🄱 বায়ু 
🄲 সৌর 
🄳 জোয়ার ভাটা

ঞ) নীচের শক্তিগুলির মধ্যে জ্বালানি শক্তি কোনটি—
🄰 বায়ু 
🄱 জৈব 
🄲 পেট্রোল 
🄳 সৌর

ট) একটি অপ্রচলিত শক্তির উদাহরণ হল—
🄰 সৌর শক্তি 
🄱 তাপ 
🄲 জলবিদ্যুৎ 
🄳 কোনোটিই নয়

ঠ) উৎপাদন খরচ বেশি হয় যে শক্তিতে তা হল—
🄰 প্রচলিত 
🄱 অপ্রচলিত 
🄲 দুটোই 
🄳 কোনোটিই নয়

Class 5 Amader Paribesh Chapter 8 



১. আদিম যুগে মানুষ চলাফেরা করত কীভাবে?
উত্তর : পায়ে হেঁটে।
২. এমন একটি যানের নাম করো, যা দিয়ে আগে অনেক কাজ করা যেত?
উত্তর : গোরুর গাড়ি। খেত থেকে ফসল তুলে আনতে, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে ইত্যাদি অনেক কাজ করা যেত।
৩. তুমি কোন কোন যানের কথা জানো, তা লেখো।
উত্তর : ঘোড়ার গাড়ি, ট্রেন, বাস, পালকি, নৌকো, লঞ্চ, রিক্সা, অটো রিক্সা, টোটো, পাতাল রেল ইত্যাদি।
৪. নদীর ওপর দিয়ে চলাফেরা করার সুবিধা কী কী?
উত্তর : নদীর ওপরটা থাকে ফাঁকা। ট্রাফিক জ্যাম, বন্যজন্তুর আক্রমণ নেই ইঞ্জিন লাগালে নৌকা জোরে চলে।
৫.পানসি কী?
উত্তর : পানসি হল বাঁশ, দরমা দিয়ে ঢাকা ছোটো নৌকা। অনেকটা ডিঙির মতো। একটু লম্বাটে, হালকা আর পালখাটানো। পানসিতে দাঁড় থাকলেও দাঁড়ের বিশেষ কাজ থাকে না। দাঁড় টানলেই জল পিছিয়ে যায় আর নৌকো যায় এগিয়ে।
৬. আগে মানুষ কীসের মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেত?
উত্তর : বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে।
৭.যানবাহন, রাস্তাঘাট ইত্যাদি তৈরি করার উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হলে যানবাহন চাই। তাই যানবাহন চলার জন্য চাই ভালো রাস্তা।
৮. কোনটি দ্রুতগতির যান?
উত্তরঃ বিমান।
৯. শহরের রাস্তায় দূষণ কীভাবে ছড়ায় ? 
উত্তর : শহরের রাস্তায় জ্যাম লেগেই থাকে ফলে বিষাক্ত গ্যাস দ্রুত ছড়ায়। এতে আছে কার্বন ডাইঅক্সাইড কালো ধোঁয়ায় চারদিক ভরে যায়। ফলে দূষণ মারাত্মক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
১০. গাড়ির ধুলোয় গাছের কী ক্ষতি হয়?
উত্তর : গাড়ি থেকে বেরোয় বিষাক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস। আর পিছন দিকে ধুলো ওড়ে গাছের পাতায় ওই ধোঁয়া-ধুলো জমে গাছের খুব ক্ষতি হয়। পাতা কালো হয়ে যায়। ফলে গাছ খাদ্য তৈরি করতে পারে না।
১১. বিশ্ব পরিবেশ দিবসে তুমি কী পোস্টার লিখবে?
উত্তর : আমি লিখব  আমরা চাই দূষণমুক্ত শ্বাসপ্রশ্বাস। দূষণমুক্ত পরিবেশ সুস্থ পরিবেশ।
১২. দূষণ কম, এমন দু-একটি যানের নাম করো।
উত্তর : ইলেকট্রিক ট্রেন ও ট্রাম এবং টোটো।
১৩. ট্রাম, ট্রেন কোন শক্তিতে চলে?
উত্তর : বিদ্যুৎ শক্তিতে।
১৪. টোটো কোন শক্তিতে চলে?
উত্তর : ব্যাটারিতে যদিও ব্যাটারিতে চার্জ দিতে হয়।

১৫.তিতলি দাদুর মুখে কী শুনেছিল? 
উত্তর : কলকাতা একসময় ১৯১১ সাল পর্যন্ত ভারতের রাজধানী ছিল।
১৬. কলকাতার রাস্তায় তিতলি কী কী প্রথম দেখল?
উত্তর : বড়ো বড়ো উঁচু বাড়ি, রাস্তায় এত লোক ও গাড়ি এই প্রথম তিতলি দেখল।
১৭. কীভাবে রাস্তা পেরোতে হয়? 
উত্তর : খুব খেয়াল করে, তাড়াহুড়ো না করে রাস্তার লাল সিগন্যাল দেখে জেব্রা ক্রসিংয়ের ওপর দিয়ে হেঁটে রাস্তা পেরোতে হয়।
১৮. রাস্তায় মোবাইল ফোন কীভাবে ব্যবহার করতে হবে?
উত্তর : মোবাইল ফোন কানে দিয়ে কখনোই রাস্তা পার হওয়া যাবে না। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।
১৯. তিতলি খাতায় বেড়ানোর কথা কী লিখল?
উত্তর : হাঁটার জন্য ফুটপাথ, গাড়ির জন্য রাস্তা।
২০. গাড়ির সামনে বসলে কী লাগানো বাধ্যতামূলক? 
উত্তর : সিটবেল্ট। এতে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।
২১. কোথায় হর্ন বাজানো উচিত নয়?
উত্তর : স্কুল, হাসপাতাল ইত্যাদির সামনে জোরে গাড়ি চালানো ও হর্ন বাজানো মোটেও উচিত নয়।
২২. পুলিশ গাড়ির চালকের কাছে কী দেখতে চান?
উত্তর : ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্লুবুক ইত্যাদি।
২৩. ড্রাইভিং লাইসেন্স কী? 
উত্তর : গাড়ি চালানো শিখতে হয়। সেটা ঠিকমতো শিখে পরীক্ষা দিতে হয়। ওই পরীক্ষায় পাশ করলে ড্রাইভিং লাইসেন্স বা গাড়ি চালানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
২৪. ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর গুরুত্ব কী?
উত্তর : রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় অবশ্যই লাইসেন্স সঙ্গে রাখতে হয়। ট্রাফিক পুলিশ দরকারে লাইসেন্স যাচাই করেন।
২৫. ফুটব্রিজ ও সুড়ঙ্গ কী? 
উত্তর : অনেক রাস্তায় লোক চলাচল মানা থাকে। সেখানে পায়ে হাঁটার জন্য যে ব্রিজ ব্যবহার করা হয়, তাকে বলে ফুটব্রিজ। আবার, অনেকসময় রাস্তার নীচে দিয়ে সুড়ঙ্গের মতো সাবওয়ে থাকে। ফুটব্রিজ, সাবওয়ে ব্যবহার না করে রাস্তা পেরোতে গেলে দুর্ঘটনা হতে পারে।
২৬. গাড়ি কোথায় রাখতে হয়? 
উত্তর : যেখানে-সেখানে গাড়ি রাখা যায় না। নির্দিষ্ট স্থানে (car parking) গাড়ি রাখতে হয়।
২৭. গাড়ি চালানোর আগে কী কী পরীক্ষা করতে হয়? 
উত্তর : গাড়ির চাকা, ব্রেক, আলো ইত্যাদি সব পরীক্ষা করতে হয়।
২৮. চার্চ ও ক্যাথিড্রাল কাকে বলে? 
উত্তর : ছোটো গির্জাকে বলে চার্চ ও বড়ো গির্জাকে বলে ক্যাথিড্রাল।
২৯. হেলমেট পরে বাইক চালানো কী বাধ্যতামূলক কেন?
উত্তর : হেলমেট পরে বাইক চালানো বা বসা বাধ্যতামূলক। হেলমেট না পরার জন্য দুর্ঘটনায় বেশি জখম হয় মানুষ। ISI মার্কা হেলমেট পড়া উচিত। এজন্য আইন তৈরি হয়েছে বলা হয়, নো হেলমেট, নো ফুয়েল।
৩০. রাস্তায় বেরোলে কী কী করা উচিত নয়?
উত্তর : ১. গাড়ি যাওয়ার সবুজ আলো জলে উঠলে কখনোই রাস্তা পারাপার করা উচিত নয়। ২. রাস্তায় দৌড়াদৌড়ি করা উচিত নয়। ৩. বড়ো গাড়ির দিক পরিবর্তনের সময় গাড়ির কাছাকাছি আসা উচিত নয়। ৪. রাস্তার ওপরে কখনোই খেলা উচিত নয়। ৫. বাস থেকে লাফ দিয়ে নামা উচিত নয়। নামার আগে দেখতে হবে কোনো চলন্ত গাড়ি বা মোটর সাইকেল আসছে কিনা।

৩১. বাস বা ট্যাক্সি চালকের সঙ্গে কীরকম আচরণ করা উচিত?
উত্তর : রোজ হাজার হাজার যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালাতে হয় বাস বা ট্যাক্সি চালকদের। তাঁদের ওপর মানসিক চাপ দেওয়া উচিত নয়। তাঁরা আমাদেরই মতো মানুষ। তাঁদের সম্মান ও সহযোগিতা করা দরকার।
৩২. রাজ্য সরকার থেকে পথ সুরক্ষার জন্য কী প্রচার করা হচ্ছে?
উত্তর : প্রচার করা হচ্ছে, Safe Drive, Save life. অর্থাৎ সাবধানে গাড়ি চালাও, জীবন বাঁচাও।
৩৩. রাস্তায় বেরোলে কী কী করতে হবে?
উত্তর : ১. গাড়িতে বসার সময় সিটবেল্ট ব্যবহার করতে হবে। ২. বাবা-ম বড়ো কারোর সঙ্গে মোটর সাইকেলে চাপলে সবাইকে হেলমেট পড়তে হবে। এমনকি শিশুকেও হেলমেট পরতে হবে। ৩. সিগন্যাল দেখে রাস্তা পার হতে হবে। ৪. জেব্রা ক্রসিং বরাবর রাস্তা পার হতে হবে। ৫. রেলওয়ে ক্রসিং পারাপারের সময় সিগন্যাল দেখে পার হতে হবে। সবুজ সিগন্যাল থাকলে, যাত্রীবাহী ট্রেন বা মালগাড়ি না চলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ৬. সর্বোপরি, নিজেকে অত্যন্ত সচেতন হতে হবে।
৩৪. ‘ট্রেন এক আশ্চর্য জিনিস'—কেন?
উত্তর : লম্বা ট্রেন গাড়ি চলে দুটো সরু লাইনের ওপর দিয়ে।
৩৫.  এক-একটা ট্রেনে কত বগি থাকে? কত লোক ধরে? 
উত্তর : এক-একটা ট্রেনে ৯-১০টা বগি থাকে। তবে একটা ট্রেনে ৩০-৪০টা বাসের লোক ধরে। এখন আবার শহরতলিতে ১২ বগির ট্রেন চলছে।
৩৬. মেল ট্রেনে কটা বগি থাকে? কী সুবিধা আছে?
উত্তর : মেল ট্রেনে ২০-২২ বগি থাকে। ভিতরে শোওয়ার জায়গা থাকে, বাথরুম থাকে করিডোেরও থাকে।
৩৭. সরু লাইনে কী থাকে? 
উত্তরঃ ট্রেনের দুদিকের চাকার ভিতর দিকে খাঁজ থাকে। তাই কোনোদিকেই লাইন সরতে পারে না।
৩৮. ড্রাইভারের কাজ কী? 
উত্তর : সিগন্যাল দেখে ড্রাইভার ট্রেন চালান। ঠিক সময়ে স্টার্ট দেন। প্রয়োজনে ব্রেক চাপেন।
৩৯. আগে কী ধরনের ট্রেন চলত? 
উত্তর : স্টিম ইঞ্জিন। কয়লা পুড়িয়ে জল ফুটিয়ে বাষ্প তৈরি করা হত। সেই বাষ্পের চাপে একটা মোটা পিস্টন বেরিয়ে আসত। তার ধাক্কায় চাকা ঘুরত ট্রেন চলত।


সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
(প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)

ক) আদিম যুগে মানুষ চলাফেরা করত—
🄰 গোরুর গাড়ি 
🄱 মোটর গাড়ি 
🄲 পায়ে হেঁটে 
🄳 নৌকায় 

খ) খুবই ধীরে চলে এমন একটি যানবাহন হল –
🄰 সাইকেল
🄱 গোরুর গাড়ি 
🄲 রিক্সা 
🄳 মোটর সাইকেল

গ) আদিম কালের মানুষ কোন যানবাহনের সাহায্যে নদী পারাপার হত—
🄰 নৌকায়
🄱 পায়ে হেঁটে 
🄲 ভেলায় চেপে 
🄳 মোটর লঞে

ঘ) একটি দূষণ বিহীন যানবাহন হল – 
🄰 মোটর সাইকেল 
🄱 ইঞ্জিন ভ্যান 
🄲 সাইকেল
🄳 কোনোটিই নয়

ঙ) রাস্তাঘাট নির্মাণের উদ্দেশ্য হল –
🄰 দ্রুত যাতায়াত
🄱 ধীরে যাতায়াত 
🄲 দুটোই 
🄳 কোনোটিই নয়

চ) সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে যে যান চলাচল করে তা হল – 
🄰 মোটর গাড়ি 
🄱 সাইকেল 
🄲 রিক্সা 
🄳 মেট্রোরেল

ছ) পরিবেশ দূষণ হয় যে যানবাহনে – 
🄰 মোটর গাড়ি
🄱 সাইকেল 
🄲 রিক্সা 
🄳 হাঁটা

জ) দূষণ বেশি হয় যে যানবাহনে – 
🄰 ইলেকট্রিক ট্রেন 
🄱 ট্রাম 
🄲 টোটো 
🄳 বাস

ঝ) অনেকগুলি বগি নিয়ে যাতায়াত করে যে যানবাহন তা হল – 
🄰 বাস 
🄱 ট্যাক্সি 
🄲 লরি 
🄳 ট্রেন

ঞ) যে সময় থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হয় তা হল – 
🄰 ১৮৫০ সালে 
🄱 ১৮৫৩ সালে 
🄲 ১৮৮০ সালে 
🄳 ১৮৬০ সালে

ট) হাওড়া থেকে হুগলি প্রথম ট্রেন চালু হয় – 
🄰 ১৮৫৪ সালে 
🄱 ১৮০০ সালে 
🄲 ১৮৫০ সালে 
🄳 ১৮২০ সালে

ঠ) মনুমেন্ট বা শহিদ মিনার দেখা যায়—
🄰 দিল্লিতে 
🄱 মুম্বাইতে 
🄲 কলকাতায় 
🄳 মাদ্রাজে

ড) কলকাতার রাস্তা পারাপারের জন্য কীরূপ সতর্ক থাকা উচিত?
🄰 ট্রাফিক পুলিশ 
🄱 সিগন্যাল 
🄲 লোক চলাচল 
🄳 কোনোটিই নয়

ঢ) কলকাতার রাস্তা পারাপার কোন চিহ্নের উপর দিয়ে পার হতে হবে?
🄰 জেব্রা ক্রসিং 
🄱 তীর চিহ্ন 
🄲 দুটোই 
🄳 কোনোটিই নয়

ণ) মোটরবাইক চালানোর সময় কী সাবধানতা নেওয়া উচিত?
🄰 মাথায় টুপি লাগাতে হবে 
🄱 মাথায় হেলমেট লাগাতে হবে 
🄲 মাথায় রুমাল বাঁধতে হবে
🄳 সবকটিই

আমাদের পরিবেশ টেক্সট বইয়ের ছক প্রশ্নোত্তর
৭. পরিবেশ, খনিজ ও শক্তি সম্পদ
৮. পরিবেশ ও পরিবহণ
📥 দুটি চ্যাপ্টার পিডিএফ ডাউনলোড
 


Download File

Type Here ....

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন