চতুর্থ শ্রেণী আমাদের পরিবেশ চ্যাপ্টার : (৪) আবহাওয়া ও বাসস্থান গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর প্র্যাকটিস সেট
❐ আরো পড়ুনঃ চতুর্থ শ্রেণী
১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
(ক) গাছের শ্বাসক্রিয়া হয়—
🄰 অক্সিজেন গ্রহণ করে
🄱 কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে
🄲 আলোর সাহায্যে
🄳 সবকটি
(খ) প্রাণীর শ্বাসক্রিয়া হয়—
🄰 অক্সিজেন গ্রহণ করে
🄱 কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে
🄲 তাপ গ্রহণ করে
🄳 নাইট্রোজেন গ্রহণ করে
(গ) অক্সিজেন যে যায়গায় কম থাকে—
🄰 বনাঞ্চলে
🄱 ফাঁকা মাঠে
🄲 মরুভূমিতে
🄳 কলকারখানা অঞ্চলে
(ঘ) ভিজে কাপড়ের জল কোথায় যায়—
🄰 জলে
🄱 আগুনে
🄲 মাটিতে
🄳 বাতাসে
(ঙ) বাতাসে অক্সিজেন উপাদান আছে—
🄰 ২১%
🄱 ২০%
🄲 ৩০%
🄳 ৫০%
(চ) বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ আছে—
🄰 ২১%
🄱 ২০%
🄲 ৩০%
🄳 ১.৪%
(ছ) বাতাসে নিষ্ক্রিয় গ্যাস আছে—
🄰 ০.০3%
🄱 0:003%
🄲 0.3%
🄳 3%
(জ) পেঁজা তুলোর মতো মেঘ কখন দেখা যায়—
🄰 আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে
🄱 ভাদ্র-আশ্বিন মাসে
🄲 কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে
🄳 পৌষ-মাঘ মাসে
(ঝ) মাঠে মাঠে সোনালি ধান কোন ঋতুতে দেখা যায়—
🄰 বসন্ত
🄱 হেমন্ত
🄲 শীত
🄳 গ্রীষ্ম
(ঞ) শীতকালে জামা-কাপড় তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাওয়ার কারণ—
🄰 বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায়
🄱 বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকায়
🄲 রোদের প্রখরতা কম থাকায়
🄳 কোনোটিই নয়
(ট) আবহাওয়ার আগাম খবর যেখান থেকে পাওয়া যায়—
🄰 মাসিক পত্রিকায়
🄱 মুখে মুখে
🄲 রেডিয়ো বা টিভিতে
🄳 সবকটি
(ঠ) সারাবছরে ঋতুর সংখ্যা হল—
🄰 দুটি
🄱 তিনটি
🄲 চারটি
🄳 ছয়টি
(ড) শীতকালে মানুষ যে ধরনের বস্ত্র পরিধান করে, তা হল—
🄰 পাতলা জামা-কাপড়,
🄱 গরমবস্ত্র
🄲 দুটোই
🄳 কোনোটিই নয়
(ঢ) বালির ওপর দিয়ে কোন প্রাণী দ্রুত দৌড়ায়—
🄰 বাঘ
🄱 উট
🄲 শৃগাল
🄳 হাতি
(ণ) ঘাসের জঙ্গলে কোন পশু থাকে—
🄰 ছাগল
🄱 কুকুর
🄲 গন্ডার
🄳 গরু
প্রশ্নঃ ১। পর্বতারোহীরা কী কী নিয়ে পাহাড়ে-পর্বতে ওঠেন?
উত্তরঃ পর্বতারোহীরা গায়ের মোটা পোশাক, পায়ে ভারী জুতো আর পিঠে সিলিন্ডারে ভরে অক্সিজেন গ্যাস নেয়।
প্রশ্নঃ ২। গাছের শ্বাসক্রিয়া কীভাবে হয়?
উত্তরঃ গাছ পরিবেশ থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস গ্রহণ করে। এরপর সবুজ পাতায় খাবার তৈরি করে অক্সিজেন ত্যাগ করে।
প্রশ্নঃ ৩। প্রাণীর শ্বাসক্রিয়া কীভাবে হয়?
উত্তরঃ প্রাণী পরিবেশ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং পরিবেশে কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করে।
প্রশ্নঃ ৪। আবহাওয়ার পরিবর্তনে কী হয় তার একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ এবার আমাদের আমবাগানে আম গাছে মুকুলই আসেনি। গতবছর শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ছোটো আমগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
প্রশ্নঃ ৫। বৃষ্টি না হলে ধান গাছের কী ক্ষতি হয়?
উত্তরঃ বৃষ্টি না হলে বা প্রচণ্ড গরমে বীজতলার ধানের চারা মাঠে রোয়ার আগেই হলুদ হয়ে যায়।
প্রশ্নঃ ৬। আবহাওয়ার আগাম খবর কোথায় থাকে?
উত্তরঃ রেডিয়ো বা টিভি বা খবরের কাগজ।
প্রশ্নঃ ৭। ঋতু কাকে বলে?
উত্তরঃ বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়জুড়ে কোনো জায়গায় একইরকম আবহাওয়া থাকলে, তাকে ঋতু বলে। অন্যভাবে বলা যায়, শীত ও গরমের পার্থক্য অনুসারে বছরকে ছয় ভাগে ভাগ করা হয় এবং প্রত্যেকটি ভাগকে ঋতু বলে।
প্রশ্নঃ ৮। ঋতু কয়টি ও কী কী?
উত্তরঃ ঋতু ছয়টি। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। কিন্তু হেমন্ত ও বসন্ত ঋতু খুব অল্পদিন বিরাজ করে।
প্রশ্নঃ ৯। ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে’, ‘পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে আয়রে ছুটে আয়’—এই গানদুটি কার লেখা?
উত্তরঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।
প্রশ্নঃ ১০। বসন্ত ঋতুতে কোন উৎসব পালিত হয়?
উত্তরঃ বসন্ত উৎসব।
প্রশ্নঃ ১১। শীতকালে জামাকাপড় তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় কেন?
উত্তরঃ শীতকালের বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকার জন্য।
প্রশ্নঃ ১২। কোন কালে তাপ বৃদ্ধি পায়?
উত্তরঃ গ্রীষ্মকালে।
প্রশ্নঃ ১৩। বছরের বিভিন্ন সময়ের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
উত্তরঃ বছরের বিভিন্ন সময় রোদের তেজ একরকম নয়। এছাড়া বাতাস, মেঘ, বৃষ্টি, শিশির, কুয়াশাও বছরের সবসময় একরকম থাকে না। দিন বা রাত ছোটো-বড়ো হয়।
প্রশ্নঃ ১৪। কীভাবে মেঘ তৈরি হয়?
উত্তরঃ পুকুর, নদী, সাগরের জল শুকিয়ে জলের কণা বাতাসে আসে। বাতাসে ভেসে থাকা ধুলোর কণার ওপর জলকণাগুলি জমে যায় এভাবেই মেঘ তৈরি হয়।
প্রশ্নঃ ১৫। ধুলোর কণা বাতাসে কীভাবে আসে?
উত্তরঃ পাথর ভাঙার সময় তার গুঁড়ো বাতাসে মেশে। গাড়ি চললে, জোরে বাতাস বইলে, ধুলোঝড় শুরু হলে, কয়লা ভাঙলে তার কণা বাতাসে মেশে। আবার, বাতাসে জলের কণা জমে গেলেও মাটির কণা ধুলো হয়ে বাতাসে মিশে যায়।
প্রশ্নঃ ১৬। বাতাসে কী কী উপাদান কতটা আছে?
উত্তরঃ অক্সিজেন (২১%), জলীয় বাষ্প (১.৪%), কার্বন ডাইঅক্সাইড (০.০৩৩%), নাইট্রোজেন (৭৮%), নিষ্ক্রিয় গ্যাস (0.000%)
প্রশ্নঃ ১৭। সব জায়গার বাতাসে উপাদানগুলি কি একই পরিমাণে থাকে?
উত্তরঃ না। স্থান বা সময় পাল্টে গেলে উপাদানগুলির পরিমাণও পাল্টে যায়।
প্রশ্নঃ ১৮। হাসিমারা কোথায়?
উত্তরঃ আলিপুরদুয়ার জেলায়।
প্রশ্নঃ ১৯। বনে ঘাসের জঙ্গলে কোন পশু থাকে?
উত্তরঃ গন্ডার।
প্রশ্নঃ ২০। জলদাপাড়া অরণ্যের মধ্য দিয়ে কোন নদী বইছে?
উত্তরঃ হলং নদী।
প্রশ্নঃ ২১। সাঁতরাগাছির ঝিলে কোন কোন পাখি আসে?
উত্তরঃ পিনটেল, হুইসলিং টীল।
প্রশ্নঃ ২২। সাঁতরাগাছির ঝিল কেমন?
উত্তরঃ একেবারে পানা ভরতি।
প্রশ্নঃ ২৩। ‘বিপন্ন বাসভূমি' লেখায় কী ছিল?
উত্তরঃ চারদিকে শহর বাড়ছে, জলাভূমি বুজে যাচ্ছে। আকাশ থেকে সুন্দরবনকে দেখলে মাথার টাকের মতো লাগে।
প্রশ্নঃ ২৪। কীভাবে মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব?
উত্তরঃ উদ্ভিদ ও প্রাণীদের ওপর নির্ভর করেই মানুষের বেঁচে থাকতে হবে।
প্রশ্নঃ ২৫। জীবেরা এত বিচিত্র পরিবেশে বাস করে কী করে?
উত্তরঃ কোনো প্রাণীর হয়তো সমুদ্রের নোনা জলে থাকতে সুবিধা হয়। কেউ আবার হয়তো পুকুরের জলে মানিয়ে নেয়। কোনো উদ্ভিদ হয়তো পাথুর মাটিতে ভালো জন্মায়, আবার কোনো উদ্ভিদ বাড়ির পাশের পুকুরধারে স্যাঁতসেঁতে মাটিতে ভালো জন্মায়। যেখানে জীবদের বাস করার অনুকুল পরিবেশ থাকে, সেটাই তার বাসস্থান।
প্রশ্নঃ ২৬। ম্যালেরিয়া হয়েছে বুঝবে কী করে?
উত্তরঃ রক্ত পরীক্ষা করে রক্তে জীবাণু আছে।
প্রশ্নঃ ২৭। চিড়িয়াখানায় সাপ কোথায় থাকে?
উত্তরঃ একটা ঘরের মধ্যে খোপে। খোপের সামনে দেখার জন্য কাচ থাকে।
প্রশ্নঃ ২৮। রেড পান্ডা কোথায় দেখা যায়?
উত্তরঃ দার্জিলিং-এ।
প্রশ্নঃ ২৯। বাবুই পাখি কোথায় বাসা করে?
উত্তরঃ তালগাছে।