Class 3 Amader Paribesh Question Answer | Chapter - 3 Poshak

তৃতীয় শ্রেণি আমাদের পরিবেশ (অধ্যায় : ৩ পোশাক) প্রশ্ন উত্তর

Amader Paribesh Class 3 | Chapter - 3 Poshak Question Answer

আরো পড়ুনঃ তৃতীয় শ্রেণি 

✱ রংবাহারি পোশাক
এখানে মানুষের বিভিন্ন ধরনের পোশাকের কথা বলা হয়েছে। একটি ফুটবল খেলার কথা বলা হয়েছে। দুই দলের দু'রকমের পোশাক। একদলের লাল-কালো আর অপর দলের নীল-হলুদ। আর গোলকিপারের ফুলহাতা গেঞ্জি। যারা যারা খেলা দেখতে গেছে তারা বিভিন্ন জনে বিভিন্ন পোশাক পরেছে। টিঙ্কু খেলা না দেখে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন ধরনের পোশাক দেখছিল বলে বৈশাখী খুব হেসেছিল।

✱ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
১। ধুতি-পাঞ্জাবি কাদের পোশাক?
🄰 বড়োদের পুরুষ
🄱 ছোটো ছেলেদের
🄲 মহিলাদের
🄳 যুবকদের

২। সালোয়ার কামিজ হল—
🄰 বড়োদের পোশাক
🄱 মহিলাদের পোশাক
🄲 দুটোই
🄳 কোনোটিই নয়

৩। ফুটবল খেলার সময় দু’দলের পোশাক হবে—
🄰 একই রকম 
🄱 বিভিন্ন রকম
🄲 দুটোই
🄳 কোনোটিই নয়

৪। ডাক্তারের পোশাক কীরূপ হওয়া উচিত?
🄰 শার্ট ও প্যান্ট অ্যাপ্রন 
🄱 শার্ট
🄲 প্যান্ট
🄳 কেবলমাত্র অ্যাপ্রন

৫। পুলিশের পোশাকের রং হবে—
🄰 খাকি বা সাদা
🄱 লাল
🄲 হলুদ
🄳 গোলাপি

৬। নার্সদের পোশাক হবে—
🄰 লাল শাড়ি
🄱 গোলাপি শাড়ি
🄲 নীল শাড়ি
🄳 সাদা শাড়ি বা সাদা শার্ট

৭। গ্রীষ্মকালে কী ধরনের পোশাক পরা উচিত?
🄰 সুতির
🄱 সিন্থেটিক
🄲 চাদর
🄳 কোট

৮। ছাত্র-ছাত্রীরা কখন ইউনিফর্ম পরে?
🄰 বাড়িতে থাকাকালীন 
🄱 স্কুলে যাওয়ার সময়
🄲 বেড়াতে যাওয়ার সময় 
🄳 কোনোটিই নয়

৯। সিন্থেটিক কোন জিনিস দিয়ে তৈরি?
🄰 খনিজ তেল
🄱 কেরোসিন তেল
🄲 ডিজেল
🄳 জল

১০। উল কী থেকে পাওয়া যায়?
🄰 গোরুর লোম
🄱 কুকুরের লোম
🄲 হাতির লোম
🄳 ভেড়ার লোম

১১। ক্যাশমিলন বলা হয়—
🄰 সিন্থেটিক উলকে
🄱 রেশম কীটকে
🄲 কেরোসিনকে
🄳 ড্ৰিজেলকে

১২। পশুর চামড়া থেকে তৈরি করা হয়—
🄰 খাবার
🄱 আসবাবপত্র
🄲 পোশাক
🄳 সবকটি

১৩। গাছের ছাল বা পশুর চামড়া জলে ধুয়ে মানুষ পোশাক হিসেবে ব্যবহার করত—
🄰 আদিম যুগে
🄱 মধ্য যুগে
🄲 আধুনিক যুগ
🄳 সবকটি

১৪। শীতকালে শালিক পাখি কীভাবে শরীরকে গরম করে?
🄰 পোশাক পরে
🄱 পালক ফুলিয়ে
🄲 দুটোই
🄳 কোনোটিই নয়

১৫। আদিম যুগে মানুষ পশু শিকার করত—
🄰 গাছের ডাল কেটে
🄱 তামার অস্ত্র দিয়ে
🄲 লোহার অস্ত্র দিয়ে
🄳 কোনোটিই নয়

প্রশ্ন: ১. ফুটবল খেলার সময় খেলোয়াড়রা কেমন পোশাক পরে?
উত্তরঃ ফুটবল খেলার সময় দুই দলের মধ্যে খেলোয়াড় চেনার জন্য দুই রকম রঙিন পোশাক পরে। এর ফলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
প্রশ্ন: ২. ফুটবল খেলায় গোলকিপার কী পোশাক পরেছে? 
উত্তরঃ এখানে গোলকিপার ফুলহাতা গেঞ্জি পরেছে।
প্রশ্ন: ৩.মুন্নি কী পরেছে?
উত্তরঃ মুন্নি সবুজ সালোয়ার কামিজ ও সাদা ওড়না পরে এসেছে।
প্রশ্ন: ৪. সবাই হেসেছিল কেন?
উত্তরঃ টিঙ্কু খেলা না দেখে সকলের পোশাক দেখছিল বলে বৈশাখী হেসেছিল।
প্রশ্ন: ৫. সরোজদাদু কী পরেছেন?
উত্তরঃ সরোজদাদু ধুতি আর ছাই রঙের পাঞ্জাবি পরেছেন।
প্রশ্ন: ৬. আগে কোথা থেকে উল পাওয়া যেত? 
উত্তরঃ আগে ভেড়ার লোম থেকে উল পাওয়া যেত। ছাগলের লোম থেকেও হত।
প্রশ্ন: ৭. এই অনুচ্ছেদে কাদের জমিতে তুলোর চাষ হয়? 
উত্তরঃ কেতকীদের জমিতে তুলোর চাষ হয়।
প্রশ্ন: ৮. কোথায় কাপড় তৈরি হয়?
উত্তরঃ কারখানাতে কাপড় তৈরি হয়।
প্রশ্ন: ৯. ভেড়া ও ছাগলের লোম থেকে পাওয়া উলকে কী বলা হয়?
উত্তরঃ ভেড়া ও ছাগলের লোম থেকে পাওয়া উলকে বলে পশম।
প্রশ্ন: ১০. কার্পাস তুলোর সুতোকে কী বলা হয়?
উত্তরঃ সুতি বলা হয়।
প্রশ্ন: ১১. খনিজ তেল থেকে কী করে সুতো তৈরি হয়?
উত্তরঃ শুধু খনিজ তেল থেকে সুতো হয় না। এর সঙ্গে আরও কিছু মেশাতে হয়। খুব সরু সরু ফুটো করা জালতির মতো থাকে। তার মধ্য দিয়ে জোড়ে পাঠাতে হয়। এরপর মিহি সুতো তৈরি হয় বড়ো বড়ো কারখানার এসব হয়।
প্রশ্ন: ১২. ক্যাশমিলন কাকে বলে?
উত্তরঃ সিন্থেটিক উলকে বলে ক্যাশমিলন।
প্রশ্ন: ১৩. আমরা কখন সোয়েটার পরি?
উত্তরঃ আমরা শীতকালে সোয়েটার পরি।
প্রশ্ন: ১৪. এখন যত খুশি সোয়েটার পেতে অসুবিধা হয় না কেন?
উত্তরঃ এখন সিন্থেটিক উল থেকে সোয়েটার তৈরি হয়। তাই কারখানায় যত খুশি তৈরি করা হয়।
প্রশ্ন: ১৫. সিন্থেটিক কী থেকে তৈরি হয়?
উত্তরঃ খনিজ তেল থেকে সিন্থেটিক তৈরি হয়।
প্রশ্ন: ১৬. গরমের সময় আমরা কেমন পোশাক পরি? 
উত্তরঃ গরমের সময় আমরা সুতির কাপড় পরি। পোশাকে সাদা রং থাকে।
প্রশ্ন: ১৭. ফুটবল খেলায় যদি দুই দল দু-রকম পোশাক না পরে তাহলে কী হবে?
উত্তরঃ দু-রকম পোশাক না পরলে নিজের দলের কাছ থেকেই বল কেড়ে নেবে।
প্রশ্ন: ১৮. গোলকিপারের পোশাক আলাদারকম হয় কেন?
উত্তরঃ  গোলকিপার খেলোয়ারদের থেকে আলাদা। কারণ একমাত্র সেই হাতে করে বল ধরতে পারে।
প্রশ্ন: ১৯. নার্সদের পোশাক কেমন হয়?
উত্তরঃ নার্সরা হয় সাদা শাড়ি না হয় সাদা শার্ট পরে।
প্রশ্ন: ২০. অ্যাপ্রন কাকে বলে?
উত্তরঃ ডাক্তারেরা গলা থেকে পা পর্যন্ত ঢোলা পোশাক পরে একে এ্যাপ্রন বলে।
প্রশ্ন: ২১. বর্ষাকালে আমরা কী পরি?
উত্তরঃ বর্ষাকালে আমরা রেনকোট বা বর্ষাতি পরি।
প্রশ্ন: ২২. স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কী পরে?
উত্তরঃ স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ইউনিফর্ম থাকে সেটাই পরে।
প্রশ্ন: ২৩. পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পোশাকের রং কী?
উত্তরঃ খাকি তবে তাতে কলকাতা পুলিশের পোশাকে সাদা রং থাকে।
প্রশ্ন: ২৪. কার বাবার দর্জির দোকান আছে?
উত্তরঃ ইমরানের বাবার দর্জির দোকান আছে।
প্রশ্ন: ২৫. আগেকার দিনে কীসের পাঞ্জাবি তৈরি হত?
উত্তরঃ আগেকার দিনে খদ্দরের পাঞ্জাবি তৈরি হত।
প্রশ্ন: ২৬. সিন্থেটিক সুতো কী থেকে তৈরি হয়?
উত্তরঃ বড়ো বড়ো কারখানায় খনিজ তেল থেকে সিন্থেটিক সুতো তৈরি হয়।
প্রশ্ন: ২৭. তুলো থেকে সুতো তৈরি করার সময় কী সমস্যা হয়?
উত্তর তুলো থেকে সুতো তৈরি করার সময় তুলো ওড়ে এবং নাকে ঢুকে যায়। এর ফলে শ্বাসকষ্ট হয়। এ ছাড়া জামাকাপড় নোংরা হয়।
প্রশ্ন: ২৮. খনিজ তেল কোথায় থাকে?
উত্তরঃ খনিজ তেল মাটির নীচে থাকে।
প্রশ্ন: ২৯. কোন পোশাকের কীভাবে মূল্য নির্ধারণ করতে হয়?
উত্তরঃ পোশাকের মূল্য নির্ধারণ করা যায় দু-ভাবে— (১) সুতির পোশাকের ক্ষেত্রে  পোশাকের মূল্য নির্ধারণ করতে হলে সেক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে জমির মূল্য, কার্পাস চাষের বিভিন্ন খরচ; যেমন—কার্পাস চাষ করা, দেখাশোনা করা, তুলো তোলা, সেই তুলো থেকে সুতো তৈরি করা। আবার সেই সুতো থেকে কাপড় তৈরি করা প্রভৃতি কাজের খরচগুলি যোগ করতে হবে। (২)  সিন্থেটিক পোশাকের ক্ষেত্রেঃ এক্ষেত্রে মাটির নীচ থেকে খনিজ তেল তোলার খরচ, সেই তেলের সঙ্গে বিভিন্ন পদার্থ মিশিয়ে যে থান তৈরি হয় তার খরচ, কারখানা, কারখানার যন্ত্রপাতি, শ্রমিক, বাজারে
পাঠানোর খরচ ইত্যাদি সমস্ত কিছুই যোগ করতে হবে।
প্রশ্ন: ৩০. বৈশাখীর বড়োঠাকুমা ছেলেবেলায় কী পরতেন? 
উত্তরঃ  বৈশাখীর বড়োঠাকুমা ছেলেবেলায় ছোটো শাড়ি পড়তেন।
প্রশ্ন: ৩১. তখন ছেলেরা কী পরত?
উত্তরঃ তখন ছেলেরা ধুতি ও লুঙ্গি পরত।
প্রশ্ন: ৩২. এরও আগে মানুষ কী পরত?
উত্তরঃ এরও আগে মানুষ ছাল-চামড়া, গাছের ছাল, লতাপাতা পরত।
প্রশ্ন: ৩৩. ঠান্ডা লাগলে তখন মানুষ কী করত?
উত্তরঃ তখন মানুষ কিছু পরত না। তাই যখন ঠান্ডা লাগত যে যা সামনে পেত তাই জড়িয়ে ধরত। ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে তখন পশুর ছাল-চামড়া, গাছের ছাল, লতাপাতা পরত।
প্রশ্ন: ৩৪. ইজের কাকে বলে?
উত্তরঃ আগে পায়জামা, প্যান্টকে ইজের বলা হত।
প্রশ্ন: ৩৫. আগে পশুর চামড়া তারা কীভাবে পরত?
উত্তরঃ পশুর চামড়া আগে ধুয়ে নিত তারপর শুকিয়ে তা পরত।

✱ বাক্যগুলি ‘ঠিক’ না ‘ভুল’ লেখো :
(i) আগুন জ্বালাতে শেখার আগে মানুষ পোশাক তৈরি করতে শিখেছিল।
উত্তরঃ ভুল।
(ii) আদিম যুগে মানুষ কিছুই পরত না।
উত্তরঃ ঠিক।
(iii) একসময় মানুষ পশুর চামড়াকে পোশাক হিসেবে ব্যবহার করেছে।
উত্তরঃ ঠিক।
(iv) আগুন আবিষ্কারের আগে মানুষ পশম আবিষ্কার করেছিল।
উত্তরঃ ভুল।
(v) তখন সূঁচ, কাঁচি প্রভৃতির ব্যবহার ছিল।
উত্তরঃ ভুল।
প্রশ্ন: ৩৬. পোশাক, পাট ও মাদুর কীভাবে তৈরি হয়?
উত্তরঃ  আগে লতাপাতা বুনে পোশাক তৈরি হত। খেজুরপাতা বুনে পাটি তৈরি হত। আর একরকম ঘাস বুনেই (মাদুরকাঠি) মাদুর তৈরি হত।
প্রশ্ন: ৩৭. আগে মানুষ সূঁচের ব্যবহার কীভাবে করত?
উত্তরঃ আগে মানুষ সূঁচের বদলে কাঠি ব্যবহার করত। মৃত পশুর হাড়কে কাঠির মতো ব্যবহার করত। গাছের আঁশ দিয়ে তৈরি করত সুতো।
প্রশ্ন: ৩৮. কোন গাছের আঁশ আগে মানুষ সুতো হিসেবে ব্যবহার করত?
উত্তরঃ পাট গাছের আঁশ, শন গাছের শক্ত আঁশ ব্যবহার করত।
প্রশ্ন: ৩৯. পশু-পাখিদের তুলনামূলক কম শীত লাগে কেন?
উত্তরঃ পশু-পাখিদের গায়ে লোম বা পালক থাকে বলে এদের তুলনামূলক কম শীত লাগে।
প্রশ্ন: ৪০. গোরুদের লেজ তাদের কী করতে সাহায্য করে?
উত্তরঃ গোরুদের লেজ তাদের মাছি, কাক বা অন্য পোকামাকড় তাড়াতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন: ৪১. গোরুকে জামা পরালে তাদের কী উপকার হয়?
উত্তরঃ গোরুকে জামা পরালে এটি যেন তাদের শীতের হাত থেকে রক্ষা করে, তেমন মশার হাত থেকেও রক্ষা করে।
প্রশ্ন: ৪২. পাখিদের শরীর কী দিয়ে ঢাকা থাকে?
উত্তরঃ পাখিদের শরীর পালক দিয়ে ঢাকা থাকে।
প্রশ্ন: ৪৩. পশুদের শরীর কী দিয়ে ঢাকা থাকে?
উত্তরঃ পশুদের শরীর লোম দিয়ে ঢাকা থাকে।
প্রশ্ন: ৪৪. শালিক পাখিরা শীতকালে কী করে?
উত্তরঃ শালিক পাখিরা শীতকালে পালক ফুলিয়ে রাখে।

✱ আমাদের পরিবেশ তৃতীয় শ্রেণি 
অধ্যায় : পোশাক 
❍ টেক্সট বইয়ের ছক সমধান পিডিএফ 



Type Here ....

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন