Class 3 Poribesh Ghorbari Question Answer
❐ আরো পড়ুনঃ তৃতীয় শ্রেণি
✱ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
১. আদিম যুগে মানুষ বসবাস করত?
🄰 গুহায়
🄱 কুঁড়েঘর
🄲 পাকা বাড়ি
🄳 সবকটি
২. মানচিত্র হল—
🄰 বড়ো জায়গাকে ছোটো করে দেখানো
🄱 ছোটো জায়গাকে বড়ো করে দেখানো
🄲 দুটোই ঠিক
🄳 সবকটি ভুল
৩. বর্তমানে বাড়ির দেয়াল তৈরি হয়—
🄰 ইট-সিমেন্ট দিয়ে
🄱 মাটি দিয়ে
🄲 পাতা দিয়ে
🄳 বাঁশ দিয়ে
৪. স্কুলে যা দেখা যায় তা বাড়িতে দেখা যায় না তা হল—
🄰 চেয়ার
🄱 বিছানা
🄲 ব্ল্যাকবোর্ড
🄳 টেবিল
৫. আগে বাড়ি তৈরি হত যা দিয়ে—
🄰 বাঁশ
🄱 কাঠ
🄲 ইট
🄳 সবকটি
৬. প্রকৃতি থেকে সরাসরি যে জিনিসগুলির সাহায্যে বাড়ি তৈরির কাজে লাগে তা হল—
🄰 সিমেন্ট
🄱 ইট
🄲 কাঠ
🄳 সবকটি
৭. বাড়ির ছাদ যে জন্য প্রয়োজন হয় তা হল—
🄰 রোদ বৃষ্টি থেকে রক্ষা করা
🄱 গাছ লাগানোর জন্য
🄲 হওয়া পাওয়ার জন্য
🄳 কোনোটিই নয়
৮. পাকা বাড়ি তৈরি করতে যাকে প্রয়োজন তা হল—
🄰 ঘরামি
🄱 রাজমিস্ত্রি
🄲 রং মিস্ত্রি
🄳 ছুতোর মিস্ত্রি
৯. বাঁশ, মাটি, টালি, খড় দিয়ে যে বাড়ি তৈরি হয় তা হল—
🄰 পাকা বাড়ি
🄱 কাঁচা বাড়ি
🄲 তাঁবু
🄳 সবকটি
১০. বাড়ির তৈরির আগে যা প্রয়োজন?
🄰 জল
🄱 আগুন
🄲 সিমেন্ট
🄳 নকশা
১. পাকা বাড়ি তৈরির সময় যারা রাজমিস্ত্রিকে সাহায্য করে তাদের কী বলা হয়?
উত্তরঃ যারা রাজমিস্ত্রিদের সাহায্য করে তাদের জোগানদার বলা হয়।
২. যিনি ওলনদড়ি ধরে গাঁথুনি গাঁথেন তাকে কী বলা হয়?
উত্তরঃ যিনি ওলনদড়ি ধরে গাঁথনি গাঁথেন তাঁকে রাজমিস্ত্রি বলা হয়।
৩. কাঠের কাজ করার জন্য কী কী জিনিস দরকার হয়?
উত্তরঃ কাঠের জিনিস তৈরি করার জন্য দরকার হয় করাত, বাটালি, হাম্বার, র্যাদা প্রভৃতি জিনিস।
৪. যাঁরা কাঠের কাজ করেন তাঁদের কী বলা হয়?
উত্তরঃ যাঁরা কাঠের কাজ করেন তাঁদের বলা হয় ছুতোর মিস্ত্রি।
৫. কোন বাড়িতে বেশি গরম লাগে—পাকা না মাটি?
উত্তরঃ পাকা বাড়িতে বেশি গরম লাগে।
৬. কীরকম জায়গায় বাড়ি তৈরি করতে হয়?
উত্তরঃ একটু উঁচু জায়গায়, যেখানে বন্যার জল না-ওঠে সেখানে বাড়ি করতে হয়।
৭. পাকাবাড়িতে কী কী থাকে?
উত্তরঃ পাকা বাড়িতে দরজা, জানালা, গ্রিল, দেয়াল-আলমারি, খাট, আসবাবপত্র, জলের পাম্প ইত্যাদি থাকে ৷
৮. বাড়ি তৈরির জমি কীরকম হতে হবে?
উত্তরঃ বাড়ি একটু উঁচু জায়গায় করতে হয়, যাতে বর্ষা বা বন্যার জল ঘরে না ওঠে।
৯. কোন চালে বা ছাদে গরম কম হয়?
উত্তরঃ টিনের চালে গরম বেশি। টালির চালের গরম কম।
১০. মাটির কলসি কেমন থাকে?
উত্তরঃ গ্রামে অনেকের বাড়িতেই মাটির কলসি থাকে। তাতে পানীয় জল রাখা হয়। গরমকালে ওই জল খুব ঠান্ডা থাকে।
১১. বাড়ি তৈরির আগে তার নকশা তৈরি করা প্রয়োজন কেন?
উত্তরঃ একটি বাড়ি তৈরি করার জন্য আগে তার নকশা তৈরি করা প্রয়োজন। কারণ নকশাতে ঠিক করা হয় বাড়িটি কেমন হবে। কোন ঘর কোন্দিকে হবে? কোন দিকে বারান্দা, রান্নাঘর হবে, কোন দিকে জানালা-দরজা রাখা হবে, ঘরের আকৃতি কেমন হবে প্রভৃতি। এছাড়া জমির আয়তন ঠিক করা হয়।
১২. জলের পাম্প কী কাজে লাগে?
উত্তরঃ জল মাটির নীচ থেকে তুলতে জলের পাম্প লাগে। এ ছাড়া জলাধার বা রিজার্ভার থেকে জল ওপরে তুলতে জলের পাম্প লাগে।
১৩. ভূমিকম্পযুক্ত অঞ্চলে কেমন ধরনের বাড়ি তৈরি করা দরকার?
উত্তরঃ ভূমিকম্পযুক্ত অঞ্চলে কাঠের বাড়ি ও টিনের ছাদের বাড়ি তৈরি করা দরকার।
১৪. যেখানে কয়লা তোলা হয় সেখানে ধস নামা বন্ধ করার জন্য কী করা দরকার?
উত্তরঃ ধস নামা বন্ধ করার জন্য খাদগুলি বালি দিয়ে ভালো করে বুজিয়ে দিতে হবে।
১৫. মরিয়মের মেসোমশায় কী করেন?
উত্তরঃ মরিয়মের মেসোমশায় কয়লাখনিতে কাজ করেন।
১৬. কোথায় খুব জোরে ঝড় হয়?
উত্তরঃ সাগরের কাছাকাছি অঞ্চলে খুব জোড়ে ঝড় হয়। যেমন - হয়েছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় আয়লা, আমফান ঝড়।
১৭. ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলের বাড়িতে কাঠ ও টিন ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তরঃ ভূমিকম্প হলে বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে। আর বাড়ির ওই কাঠ ও টিন আবার ব্যবহার করে নতুন বাড়ি তৈরি করা যাবে। দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে এসব দেখা যায়।
১৮. ধস কাকে বলে?
উত্তরঃ খাড়া পাহাড় থেকে বৃষ্টির ফলে ভেজা মাটির চাঙড় খসে পড়াকে ধস বলে। মাটি, বরফ ও পাথর ইত্যাদির বড়ো চাঙড় ওপর থেকে খুব বেগে নীচে পড়াই হল ধস। কয়লাখনি থেকে কয়লা তুলে নেওয়ায় সেখানে খাদ সৃষ্টি হয়। ওই খাদ বালি দিয়ে ভালো করে বুজিয়ে না দিলে ধস তৈরি হয়।
১৯. আগে মানুষ কোথায় থাকত?
উত্তরঃ আগে মানুষ গুহায় থাকত। এখনকার মতো ঘরবাড়ি ছিল না।
২০. যাযাবর কাকে বলে?
উত্তরঃ যারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়ায় তাদের যাযাবর বলে। তারা খাবারের সন্ধানে অল্প কিছু জিনিসপত্র আর পোষা পশুদের নিয়ে বেরিয়ে পড়ত। মাসের পর মাস তারা হেঁটে হেঁটে ঘুরত।
২১. তখন মানুষ গুহা ছাড়া আর কোথায় থাকত?
উত্তরঃ তখন মানুষ গুহা ছাড়া গাছের তলায় ও তাঁবুতে থাকত।
২২. কখন মানুষকে বাধ্য হয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে হয়?
উত্তরঃ ঝড়, ভূমিকম্প, বন্যা, খরা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে হয়। অনিমা দিদিমণিকে জিজ্ঞাসা করল বাঘ-সিংহ সুযোগ পেলেই মানুষকে খেয়ে নিত তাহলে বাঘ-সিংহ কোথায় থাকত? গুহা ও বন-জঙ্গলই ছিল বাঘ-সিংহের থাকার জায়গা। মৌমাছিরা থাকার জন্য চাক তৈরি করে। পাখিরা বাসা করে, মেঠো ইঁদুরের বাসা, পিঁপড়ের চাক, উঁই ঢিবিও বানায়। এক-এক পাখি এক-একরকম বাসা বানায়।
২৩. বৃষ্টি নামলে বিমল ও তার বন্ধুরা কী করেছিল?
উত্তরঃ ফুটবল খেলার সময় একটা গোল দেওয়ার পর হঠাৎ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি এলো। বিমল ও তার বন্ধুরা তিনুর ঠাকুরদার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল।
২৪. ছেলেগুলি কেন বড়ো বাড়িতে গেল না?
উত্তরঃ ছেলেগুলি বড়ো বাড়িতে গেল না কারণ বড়ো বাড়িতে যেতে হলে কলিং বেল টিপতে হবে। আবার, নোংরা পায়ে ঢুকতে দেবে না। তাই ওরা ওই বড়ো বাড়িতে গেল না।
২৫. তিনু কার সঙ্গে পড়ত?
উত্তরঃ তিনু নরেনের সঙ্গে পড়ত।
২৬. তিনু এখন কোথায় থাকে?
উত্তরঃ তিনু এখন পাহাড়ি অঞ্চলে থাকে।
২৭. ঠাকুরদার ছবির বিবরণ দাও।
উত্তরঃ ঠাকুরদা পাহাড়ি অঞ্চলের একটি ছবি দেখালেন। পাহাড়ের গায়ে একটা সুন্দর বাড়ি। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে তিনু। পাশেই গভীর খাদ আর তার ওপর আছে একটা ছোটো সেতু তারপরেই রাস্তা।