Class 4 Paribesh Chapter 6 Question Answer
❐ আরো পড়ুনঃ ক্লাস - IV
১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
(প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
১. সৌরজগতের যে গ্রহে এখন পর্যন্ত জল পাওয়া গেছে তা হল—
🄰 পৃথিবী
🄱 বুধ
🄲 বৃহস্পতি
🄳 শুক্র
২. পৃথিবীতে আমরা যে জল পাই তা হল—
🄰 কৃত্রিম
🄱 প্রাকৃতিক
🄲 দুটোই
🄳 কোনোটিই নয়
৩. পৃথিবীতে জলভাগ এবং স্থল ভাগের অনুপাত কত?
🄰 ১:৪
🄱 ২:৫
🄲 ১:৩
🄳 ৩:৪
৪. পৃথিবীতে জীব সৃষ্টির প্রধান কারণ হল—
🄰 জল
🄱 আগুন
🄲 দুটোই
🄳 ভূমিকম্প
৫. আগুনের ব্যবহার হল কেন?
🄰 কাঁচা খাবার জন্য
🄱 পুড়িয়ে খাবার জন্য
🄲 দুটোই
🄳 কোনোটিই নয়
৬. আগুন কারা আবিষ্কার করে ছিল—
🄰 আধুনিক মানুষ
🄱 আদিম পশু
🄲 আধুনিক পশু
🄳 আদিম মানুষ
৭. ঝুড়ি, সুন্দর খেলনা ইত্যাদি তৈরি হয়—
🄰 বাঁশ দিয়ে
🄱 কাঠ দিয়ে
🄲 মাটি দিয়ে
🄳 কাঁচ দিয়ে
৮. আদিম যুগে মানুষ যে পশুকে প্রথম পোষ মানিয়েছিল তা হল—
🄰 বাঘ
🄱 ভালুক
🄲 কুকুর
🄳 গোরু
৯. মানুষ হাঁস, মুরগির মতে পাখিদের পোষ মানিয়েছিল কেন?
🄰 ডিম ও মাংসের জন্য
🄱 চাষ করার জন্য
🄲 যানবাহনের জন্য
🄳 সবকটি
১০. মানুষের বুদ্ধি সকল প্রাণীর চেয়ে—
🄰 কম
🄱 সমান
🄲 বেশি
🄳 কোনোটিই নয়
১১. তামা ও টিনের মিশ্রণ হল—
🄰 স্টিল
🄱 পাথর
🄲 ব্রোঞ্জ
🄳 কাঁসা
১২.মানুষ চাকা আবিষ্কার করেছিল—
🄰 পরিবহণের জন্য
🄱 খেলা করার জন্য
🄲 চুরি করার জন্য
🄳 সবকটি
১৩. ফেলে দেওয়া নোংরা জিনিসকে কী বলে—
🄰 প্রয়োজনীয় পদার্থ
🄱 বর্জ্য পদার্থ
🄲 খাদ্য
🄳 কোনোটিই নয়
১৪. সর্দি ও কাশি সারাতে গাছ যে ব্যবহার করা হয় তা হল—
🄰 তুলসী, বাসক
🄱 নিম
🄲 জাম
🄳 আম
১৫. ক্রিমির বৃদ্ধি থেকে রক্ষা পেতে যে গাছের প্রয়োজন হয় তা হল—
🄰 থানকুনি
🄱 কুলে খাড়া
🄲 তুলসী
🄳 নয়নতারা গাছের পাতা ও মূল
১৬. আমলকি আমাদের কী উপকার করে?
🄰 কোষ্ঠ বদ্ধতা
🄱 জ্বর কমাতে
🄲 শ্বাস কষ্ট থেকে
🄳 সবকটি
১৭. শুশনি শাক আমাদের কী উপকার করে?
🄰 জ্বর
🄱 শ্বাস কষ্ট থেকে
🄲 মেহ রোগ
🄳 সবকটি ঠিক
১৮. নিম পাতা কী উপকার করে?
🄰 জ্বর
🄱 বমি
🄲 ক্রিমি
🄳 সবকটি ঠিক
১. বর্জ্য পদার্থ কাকে বলে?
উত্তরঃ ফেলে দেওয়া নোংরা জিনিসকে বর্জ্য পদার্থ বলে।
২. বর্জ্য পদার্থ কি ক্ষতিকারক ও কেন?
উত্তরঃ বর্জ্য পদার্থ জমিয়ে রাখলে সেগুলি পচে দুর্গন্ধ বেরোয়। এর মধ্যে কিছু জিনিস আছে, যেগুলি মাটিতে মেশে না ফলে মাটি দূষিত হয়।
৩. জল কীসের দান?
উত্তরঃ জল প্রকৃতির দান।
৪. আমরা কোন কোন কাজে জল ব্যবহার করি?
উত্তরঃ আমরা খাওয়া, রান্না করা, স্নান করা, কাপড়কাচা ইত্যাদি কাজে জল ব্যবহার করি।
৫. জলের আর এক নাম কী?
উত্তরঃ জলের আর এক নাম জীবন।
৬.আগুন কারা আবিষ্কার করেছিল?
উত্তরঃ আদিম মানুষ।
৭. নদীর ধারে থাকার বিপদ কী ও কেন?
উত্তরঃ নদীর ধারে থাকার বিপদ হল বন্যা। প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে নদীর জল উপচে পড়ে বন্যার সৃষ্টি করে মানুষের অনেক ক্ষতি হয়।
৮. পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টি হল কেন?
অথবা, জলের আরেক নাম জীবন কেন?
উত্তরঃ সৌরজগতে একমাত্র পৃথিবী গ্রহেই প্রাণ আছে। তার প্রধান কারণ পৃথিবীতে জল আছে। জল না হলে পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টি হত না। জলেই প্রথম গাছ ও প্রাণীর সৃষ্টি হয়েছিল তাই জলের আরেক নাম জীবন।
৯. নদীর ধারে বড়ো বড়ো জনবসতি গড়ে উঠেছিল কেন?
উত্তরঃ নদীর ধারে জনবসতি গড়ে ওঠার প্রধান কারণ বাড়ির কাছে নদী থাকলে নৌকো চালানো যায়। নদীতে ভেলা, বা নৌকোর সাহায্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় শস্য, কাঠ, পাথর ও আরও অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। জলপথে এই যোগাযোগের জন্য ব্যাবসাবাণিজ্যের উন্নতি হয়েছিল।
১০. আগুনের ব্যবহার শিখে আদিম মানুষের কী সুবিধা হয়েছিল?
উত্তরঃ আগুন জ্বেলে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচল। আগুনে খাবার গুলো ঝলসে নিত এর ফলে খাবারের জীবাণুও মরে যেত আর হজম করাও সহজ হত। কাঁচা খাবার থেকে ঝলসানো, পোড়া খাবার খেতেও ভালো।
১১. আগুনের ব্যবহার না-জানার ফলে মানুষের কী অসুবিধা হত?
উত্তরঃ মানুষ আগুনের কোনো সুবিধা পেত না। তারা ঠান্ডায় কষ্ট পেত, অন্ধকারে থাকত আর কাঁচা খাবার খেত যাতে জীবাণু থাকত।
১২. আদিম মানুষ আগুনের ব্যবহারের আগে ও পরে খাবার কীভাবে খেত?
উত্তরঃ আগুনের ব্যবহার না-জানায় তারা কাঁচা খাবার খেত। আর আগুনের ব্যবহার শিখে তারা খাবার আগুনে ঝলসে নিত এতে জীবাণুও মরে যেত আর খাবার হজমও হত। এর ফলে মানুষের শরীরে নানারকম বদল ঘটতে শুরু হল।
১৩. মানুষের রোজকার বেঁচে থাকার সঙ্গে আগুন কীভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল?
উত্তরঃ আগুন ব্যবহার করতে শেখার পর মানুষের জীবনযাত্রা বদলে গিয়েছিল। পুরোনো দিনের মানুষ তাই আগুনকে ভক্তি করত। আবার, আগুনের ধ্বংস করার ক্ষমতা বিষয়েও তারা যথেষ্ট সচেতন ছিল। তারা তাই আগুনকে ভয় পেত এভাবেই আগুন মানুষের রোজকার বেঁচে থাকার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল।
১৪. গাছ আমাদের কী?
উত্তরঃ গাছ আমাদের প্রাণ।
১৫. আদিম মানুষের থাকার জায়গা কী ছিল?
উত্তরঃ গাছের ওপর মাচা বেঁধে থাকত।
১৬. কোন কোন গাছ থেকে আমরা ওষুধ পাই?
উত্তরঃ আমলকি, হরিতকি, নিম, বহেরা, বেল, বাসক, ব্রাহ্মী, কালমেঘ, নয়নতারা, তুলসী, গুলঞ, ওলটকম্বল, নিশিন্দা, ঘৃতকুমারি, সর্পগন্ধা, সিঙ্কোনা, ভৃঙ্গরাজ ইত্যাদি।
১৭. কোন কোন গাছ থেকে খাবার পাই?
উত্তরঃ ধান, গম, চা, কফি, সরষে, মুসুর, মুগ, অড়হর, ছোলা, মটর, আম, জাম, কলা, লিচু, কাঁঠাল, সবেদা, বেল ইত্যাদি।
১৮. আগেকার মানুষ প্রথমে কোন পশুকে পোষ মানিয়েছিল?
উত্তরঃ আগেকার মানুষ প্রথমে কুকুর কে পোষ মানিয়েছিল।
১৯. আগেকার মানুষ কোন কোন পশু শিকার করত?
উত্তরঃ তারা এক-এক জায়গায় এক-এক রকমের পশু শিকার করত। কোথাও লোমওয়ালা হাতি, কোথাও আবার বলগা হরিণ, কোথাও বা আবার বুনো শুয়োর।
২০.আগেকার মানুষ জন্তুকে পোষ মানাল কেন?
উত্তরঃ তারা বুঝতে পেরেছিল পশুকে পোষ মানালে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। সারাবছর ধরে মাংস, দুধ ও চামড়া পাওয়া যাবে। তবে কুকুরকে পোষ মানানো হয়েছিল আত্মরক্ষার জন্য।
২১. মানুষ পাখিকে কেন পোষ মানাল?
উত্তরঃমানুষ হাঁস, মুরগির মতো পাখিদের পোষ মানিয়েছিল সারাবছর ধরে ডিম ও মাংস পাওয়ার জন্য। তবে তারা পাখিকে নিজেদের অন্য প্রয়োজনেও ব্যবহার করত। যেমন—পায়রা চিঠি নিয়ে যেত।
২২. যন্ত্রপাতিকে ইংরেজিতে কী বলে?
উত্তরঃ যন্ত্রপাতিকে ইংরেজিতে টুল (Tool) বলে।
২৩. চামচ কি একটা টুল?
উত্তরঃ হ্যাঁ চামচ একটা টুল।
২৪. টুলগুলি কী দিয়ে তৈরি হত?
উত্তরঃ টুলগুলি লোহা, ইস্পাত দিয়ে তৈরি হত।
২৫.আগেকার মানুষ কী দিয়ে টুল বানাত?
উত্তরঃ আগেকার মানুষ পাথর ও পশুর হাড় দিয়ে টুল বানাত।
২৬. লোহার জিনিসের কী কী সুবিধে?
উত্তরঃ লোহার জিনিস শক্ত ব্রোঞ্জের চেয়ে ধারালো করা যায়। বহুদিন ধরে ধার থাকে। ফলে চাষের জমি আরও বাড়ল, শিল্প গড়ে উঠল, জঙ্গল কেটে নতুন নতুন শহর গড়ে উঠতে লাগল। এতে মানুষের নানান কাজে খুব সুবিধে হল।
২৭. লোহার জিনিসের মস্ত অসুবিধে কী?
উত্তরঃ লোহায় মরচে পড়ে।
২৮.ইস্পাত কীভাবে তৈরি হয়?
উত্তরঃ গলানো লোহার সঙ্গে কিছু কিছু পদার্থ চুনাপাথর, ম্যাঙ্গানিজ, নিকেল, ভ্যানাডিয়াম, ক্রোমিয়াম, কোবাল্ট, মলিবডেনাম, টাংস্টেন ইত্যাদি মিশিয়ে তৈরি হয় ইস্পাত।
২৯. ব্রোঞ্জ কী? এতে মানুষের কী সুবিধা হল?
উত্তরঃ তামা ও টিনের মিশ্রণ হল ব্রোঞ্জ। ব্রোঞ্জ তামার চেয়ে শক্ত, অথচ তামার চেয়ে সহজে গলে যায়। এতে মানুষের চাষের যন্ত্রপাতি আর অস্ত্রশস্ত্র তৈরির খুব সুবিধে হল।
৩০. মানুষ কোন প্রয়োজনে চাকা তৈরি করেছে?
উত্তরঃ মানুষ তার নিজের প্রয়োজনে চাকা তৈরি করেছে। কোনো কিছু টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে খাওয়া কারন ছিল। তাই তারা চাকা তৈরি করেছে।
৩১. প্রথমে কী দিয়ে চাকা বানাত মানুষ?
উত্তরঃ মানুষ প্রথমে কাঠ দিয়েই চাকা বানাত গাছের গুঁড়ি গোল করে কেটে চাকা তৈরি করত। পরে মানুষ পাথরের চাকা বানিয়েছিল।
৩২.বাসে, মোটরেতে রাবারের টায়ার লাগায় কেন?
উত্তরঃ রাবারের চাকা তৈরি হল অনেক পরে টায়ারে হাওয়া ভরতে হয়। ফলে চাকা হালকা হল। এতে ঝাঁকুনি কমে গাড়িও তাড়াতাড়ি চলে।
৩৩. লাঠির চেয়ে মজবুত ও টেকসই কী ব্যবহার করা যায়?
উত্তরঃলাঠির মতোই ব্যবহার করার জন্য তৈরি হয়েছে ধাতুর রড। এটি লাঠির চেয়ে খুবই মজবুত ও টেকসই।
৩৪. আগেকার মানুষ হাতিয়ার হিসেবে কী ব্যবহার করত?
উত্তরঃবনে-জঙ্গলে থাকাকালীন আগেকার মানুষ হাতিয়ার হিসেবে গাছের ডাল, লাঠি ব্যবহার করত।