Class 4 Paribesh Chapter 6 Question Answer Chapter : (5) Amader Akash
আমাদের পরিবেশ চতুর্থ শ্রেণি চ্যাপ্টার : (৫) আমাদের আকাশ প্রশ্নোত্তর
❐ আরো পড়ুনঃ ক্লাস - IV
✱ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
(প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
১.আমাদের ছায়া যেদিকে পড়ে তার কোন দিকে সূর্য থাকে?
🄰 যেদিকে ছায়া সেই দিকে
🄱 যেদিকে ছায়া তার উলটো দিকে
🄲 দুটোই
🄳 কোনোটিই নয়
২.সূর্যের আলো পৃথিবীর যে অংশ আলোকিত করে তা হল—
🄰 অর্ধেক অংশ
🄱 সমস্ত অংশ
🄲 এক-চতুর্থাংশ
🄳 এক-তৃতীয়াংশ
৩.ঝলমলে আলো দেখা যায়—
🄰 সন্ধ্যাবেলা
🄱 সকালবেলা
🄲 ভোরবেলা
🄳 কোনোটিই নয়
৪.চাঁদের যে আলো দেখা যায় তা কার কাছ থেকে ধার করে নেওয়া হয়?
🄰 পৃথিবীর
🄱 সূর্যের
🄲 উপগ্রহের
🄳 ব্রহ্মাণ্ডের
৫.চাঁদের কলঙ্ক হল—
🄰 চাঁদের পাহাড় ও বড়ো বড়ো গর্ত
🄱 জঙ্গল
🄲 নদী-নালা
🄳 সবকটি
৬.পূর্ণিমার সময় চাঁদকে সম্পূর্ণ দেখা যায় কেন?
🄰 চাঁদের একদিক সূর্যের পুরো আলো পায় বলে
🄱 চাঁদের এক-তৃতীয়াংশ আলোকিত হয়
🄲 দুটোই
🄳 কোনোটিই নয়
৭.অমাবস্যায় চাঁদকে দেখা যায় না কেন?
🄰 পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চাঁদ থাকে বলে
🄱 চাঁদ ও পৃথিবীর মাঝে সূর্য থাকে বলে
🄲 চাঁদ ও সূর্যের মাঝে পৃথিবী থাকে বলে
🄳 কোনোটিই নয়
৮.আকাশে সপ্তর্ষিমণ্ডল যতজন ঋষির নাম অনুসারে আছে তাঁরা হলেন—
🄰 দুই জন
🄱 তিন জন
🄲 সাত জন
🄳 নয় জন
৯.‘ধ্রুব’ শব্দের অর্থ হল –
🄰 স্থির
🄱 গতিশীল
🄲 চঞ্চল
🄳 সবকটি
১০.সূর্যের সৌর জগতে সবচেয়ে বড়ো গ্রহ কোনটি?
🄰 পৃথিবী
🄱 বুধ
🄲 বৃহস্পতি
🄳 শনি
১১. সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে যে গ্রহগুলি আছে তা হল—
🄰 বুধ ও শুক্র
🄱 মঙ্গল ও শনি
🄲 বৃহস্পতি ও ইউরেনাস
🄳 সবগুলোই
১২.সৌর জগতে এমন একটি গ্রহ, যার বলয় আছে—
🄰 পৃথিবী
🄱 বুধ
🄲 মঙ্গল
🄳 শনি
১৩.চাঁদ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গেছে যাদের মাধ্যমে তা হল—
🄰 গ্রহ
🄱 উপগ্রহ
🄲 কৃত্রিম উপগ্রহ
🄳 কোনোটিই নয়
প্রশ্নঃ১.চাঁদের আলো কাকে বলে?
উত্তরঃ সূর্যের আলো চাঁদের ওপর পড়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে একেই আমরা চাঁদের আলো বলি। তবে চাঁদের নিজস্ব কোনো আলো নেই।
প্রশ্নঃ২.চাঁদের কলঙ্ক কাকে বলে?
উত্তরঃ আমাদের পৃথিবীর মতো চাঁদেও অনেক পাহাড় ও বড়ো বড়ো গর্ত আছে। পৃথিবী থেকে চাঁদ অনেক দূরে আছে। ওইগুলিকে তখন কালো কালো দাগের মতো দেখায়। ওই কালো কালো দাগগুলিকেই আমরা বলি চাঁদের কলঙ্ক।
প্রশ্নঃ৩.পূর্ণিমার সময় আমরা চাঁদটাকে গোল দেখি কেন?
উত্তরঃ একসময় চাঁদের একদিক সূর্যের পুরো আলো পায় ফলে আমরা চাঁদের পুরোটাই দেখতে পাই। তখন চাঁদকে একেবারে গোল দেখায়। সেইসময়কে আমরা বলি পূর্ণিমা।
প্রশ্নঃ৪. অমাবস্যায় চাঁদকে দেখতে পাই না কেন?
উত্তরঃ অমাবস্যায় সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ থাকায় চাঁদের একটা দিকে যেদিক পৃথিবীর দিকে থাকে সূর্যের আলো পড়ে না। আলোর অভাবে চাঁদের ওই পিঠ তাই আমরা অমাবস্যায় দেখতে পাই না।
প্রশ্নঃ৫. সপ্তর্ষিমণ্ডল কাকে বলে?
উত্তরঃ আকাশে সাতজন ঋষির নাম অনুসারে সাতটি নক্ষত্রের নামকরণ করা হয়েছে। সাতটি নক্ষত্র হল—ক্রতু, পুলহ, পুলস্ত্য, অত্রি, অঙ্গিরা, বশিষ্ঠ্য ও মরীচি। চৈত্র-বৈশাখ মাস থেকে ভাদ্র-আশ্বিন মাস পর্যন্ত সন্ধের সময় পুব আকাশে দেখা যায় সপ্তর্ষিমণ্ডলকে। একটি কাল্পনিক রেখা দ্বারা যোগ করলে এদের একটি জিজ্ঞাসা চিহ্নের মতো দেখায়।
প্রশ্নঃ৬.ধ্রুবতারা কাকে বলে?
উত্তরঃ সপ্তর্ষিমণ্ডলের পুলহও ক্রতু থেকে একটি কাল্পনিক রেখা সোজা উত্তরদিকে বাড়ানো গেলে উত্তর আকাশে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র দেখা যায় একে বলা হয় ধ্রুবতারা। এই নক্ষত্রটি সারাবছর আকাশে একই জায়গায় থাকে। এজন্য একে দেখে প্রাচীন কালে নাবিকরা সমুদ্রে দিক ঠিক করতেন। অন্যান্য নক্ষত্রের মতো এটি স্থান পরিবর্তন করে না।
প্রশ্নঃ৭.‘ধ্রুব’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ ধ্রুব শব্দের অর্থ স্থির।
প্রশ্নঃ৮. কীভাবে দিন ও রাত হয়?
উত্তরঃ পৃথিবী সূর্যের সামনে নিজের চারদিকে পাক খায়। এর ফলে অর্ধেকটা এক সময়ে সূর্যের দিকে থাকে সেই জায়গা তখন সূর্যের আলো পায় ওই জায়গায় তখন দিন হয়। আর পৃথিবীর যে জায়গায় দিন হয়, তার ঠিক উল্টো দিকে অন্ধকার হয় ফলে সেখানে রাত হয়।
প্রশ্নঃ৯. ভোরবেলা ও সন্ধ্যাবেলায় ঝলমলে আলো থাকে না কেন?
উত্তরঃ রাত শেষ হয়ে দিনের শুরু হল ভোরবেলা অন্ধকার পেড়িয়ে। সেই স্থান ক্রমশ আলোতে প্রবেশ করে ফলে সেখানে হয় সকাল। এরপর দিন শেষে হয়ে রাতের শুরুকে বলে সন্ধ্যাবেলা। আলো পেড়িয়ে সেই স্থান ক্রমশ অন্ধকারে প্রবেশ করে ফলে সেখানে হয় সন্ধ্যা। তাই ভোরবেলা ও সন্ধ্যাবেলায় ঝলমলে আলো থাকে না।
প্রশ্নঃ১০. ভেবে বলো তো, কোন্ সময় দিন বড়ো রাত ছোটো—আবার কোন সময় এর ঠিক উল্টোটা হয়?
উত্তরঃ পৃথিবী নিজের অক্ষে পাক খেতে খেতে সূর্যের চারদিকেও পাক খায়। ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান একবার সূর্যের কাছে আসে। ফলে বিভিন্ন ঋতুর সৃষ্টি হয়। পৃথিবী সূর্যের কাছে এলে হয় গ্রীষ্মকাল বা গরমকাল। তখন দিন বড়ো ও রাত ছোটো হয়। আবার, ওই স্থান সূর্যের থেকে দূরে গেলে হয় শীতকাল। ওই সময় দিন ছোটো ও রাত বড়ো হয়।
___________
চাঁদ
চাঁদের কথা তোমরা প্রায় সবাই জানো। চাঁদের দেশে আছে এক চড়কাকাটা বুড়ি। চাঁদের আলো অর্থাৎ, জ্যোৎস্নার সময় খুব সুন্দর লাগে। চাঁদের আলোয় সবকিছু কেমন রুপোলি হয়ে ওঠে। চাঁদের নিজস্ব কোনো আলো নেই। সূর্যের আলোতেই চাঁদ আলোকিত হয়। পৃথিবীর মতো চাঁদেও অনেক পাহাড় ও বড়ো বড়ো গর্ত আছে। ওগুলি অনেক দূরে আছে বলে আমরা দেখতে পাই না। আমরা শুধু দেখি, চাঁদের গায়ে কালো কালো দাগ। এই দাগগুলিকে বলা হয় চাঁদের কলঙ্ক। চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে তাই অনবরত পশ্চিম থেকে পুবদিকে ঘুরছে। এই কারণে চাঁদকে আমরা কখনো গোল রুপোলি থালার মতো, কখনো কাস্তের মতো, আবার কখনো কমলালেবুর মতো দেখি। সূর্যের আলোয় চাঁদের একটা পিঠ সবসময় আলোকিত হয়। পূর্ণিমার সময় আমরা চাঁদটাকে গোল থালার মতো দেখি। কারণ ওইসময় চাঁদের একটা দিক সূর্যের পুরো আলো পায়। কিন্তু অমাবস্যায় চাঁদকে আমরা দেখতে পাই না। কারণ ওইসময় সূর্যের আলো চাঁদের সেই পিঠে পড়ে না।