Class 4 Amader Paribesh Question Answer Chapter 10
❐ আরো পড়ুনঃ তৃতীয় শ্রেণি
❏ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
(প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
১. সরু সরু পাতলা ইট, বালি, সুরকি দিয়ে যে শিরমন্দির তৈরি হয়েছিল তা প্রায় কত বছর আগে?
🄰 ৩০০
🄱 ৪০০
🄲 ৫০০
🄳 ৬০০
২. নরম মাটি দিয়ে নানান মূর্তি বা নকশা তৈরি করে আগুনে পুড়িয়ে নেওয়াকে কী বলা হয়—
🄰 ভাস্কর্য
🄱 টেরাকোটা
🄲 স্থাপত্য
🄳 সংগ্রহশালা
৩. ‘জাদুঘর’কে ইংরেজিতে বলা হয়?
🄰 মিউজিয়াম
🄱 মিউজিসিয়ান
🄲 মিউজিক
🄳 সবগুলোই
৪. পুরোনো এবং সুন্দর সুন্দর জিনিসকে সংগ্রহ করে যে ঘরে রাখা হয় তাকে বলে—
🄰 স্থাপত্য
🄱 ভাস্কর্য
🄲 সংগ্রহশালা
🄳 সবকটি
৫. শাহজাহানের তাজমহল যার স্মৃতি বহন করে তা হল—
🄰 মমতাজ বেগমের
🄱 বেগম রোকেয়া
🄲 শাহজাহানের
🄳 কোনোটিই নয়
৬. পাথর বা অন্য কিছুর গায়ে খোদাই করে নকশা এবং মূর্তি ফুটিয়ে তোলাকে বলা হয়—
🄰 স্থাপত্য
🄱 সংগ্রহশালা
🄲 ভাস্কর্য
🄳 সবকটি
৭. স্থাপত্য এবং ভাস্কর্যগুলি ক্ষতি হওয়ার কারণ হল—
🄰 বুলোয়, কলকারখানার ধোঁয়া
🄱 যত্ন না নেওয়ায়
🄲 ভূমিকম্প
🄳 কোনোটিই নয়
৮. ইমামবাড়া স্থাপত্য কোথায় অবস্থিত?
🄰 হাওড়া
🄱 মেদিনীপুর
🄲 হুগলি
🄳 নদিয়া
৯. আদিবাসীদের সংগ্রহশালাটি কার নাম রাখা হয়েছে—
🄰 বিরসা মুন্ডা
🄱 সিধু
🄲 কানু
🄳 সবার নামে
১০. ভারতীয় জাদুঘরটি কোথায় অবস্থিত—
🄰 দিল্লি
🄱 মাদ্রাজ
🄲 কলকাতা
🄳 মুম্বাই
১. গান্ধিজিকে ‘জাতির জনক' বলা হয় কেন?
উত্তর : গান্ধিজি অনেক মানুষকে নিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন ভারতকে স্বাধীন করার জন্য তাঁর অবদান বিরাট তাই তাঁকে ‘জাতির জনক’ বলা হয়।
২. গান্ধিজির পুরো নাম কী? কবে তিনি জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : গান্ধিজির পুরো নাম মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধি। তিনি ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন।
৩. গান্ধিজির ছোটোবেলা কেমন ছিল? উদাহরণ দাও।
উত্তর : গান্ধিজি অন্যান্য শিশুদের মতো স্কুলে পড়তেন। ছোটোবেলা থেকেই গান্ধিজি ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করতেন। এমনকি পরীক্ষার সময় কখনো কোনো সহপাঠির লেখা দেখে উত্তর লিখতেন না। সুযোগ পেলেও পাশের ছাত্রের দেখে উত্তর লেখেননি। ছোটো থেকেই তাঁর সততা ও সত্যের প্রতি আগ্রহ ছিল। বড়ো হয়ে তিনি সত্যাগ্রহের ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছিলেন।
৪. দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গান্ধিজি কী উপলব্ধি করেছিলেন?
উত্তর : গান্ধিজি দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে দেখেছিলেন কালো মানুষদের ওপর সাদা চামড়ার মানুষেরা অত্যাচার করে। সেই অত্যাচারের প্রতিবাদে গান্ধিজি আন্দোলন শুরু করেন। তখন থেকেই তিনি মনে করতেন সব সময় সত্য আচরণ করাই মানুষের কাজ। সদা সত্য কথা বলা, সৎ ও সহজ-সরল জীবনযাপন করার ওপরে গান্ধিজি জোর দিতেন। সবসময় সত্যের জন্য আগ্রহ বা উৎসাহ থেকেই তিনি সত্যাগ্রহ আন্দোলন করেছিলেন।
৫. সত্যাগ্রহ কী?
উত্তর : সত্য কথা বলা, সৎ ও সহজ-সরল জীবনযাপন করার ওপরে গান্ধিজি জোর দিতেন। সব সময় সত্যের জন্য আগ্রহ বা উৎসাহ থেকে সত্যাগ্রহ কথাটা এসেছে।
৬. গান্ধিজির বলা অহিংসা বলতে কী বোঝো?
উত্তর : গান্ধিজি সব সময় অহিংসার কথা বলতেন। তিনি মনে করতেন, সব মানুষের অহিংসা ও সত্যাগ্রহের পথে চলার চেষ্টা করা উচিত। ধর্ম, জাতপাত, সম্প্রদায়, গায়ের রং—কোনো কিছু দিয়েই মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করা উচিত নয়।
৭. কে গান্ধিজিকে ‘মহাত্মাজি’ বলে ডাকতেন?
উত্তর : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান্ধিজিকে ‘মহাত্মাজি’ বলে ডাকতেন।
৮. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে গান্ধিজির কীরূপ সম্পর্ক ছিল?
উত্তর : গান্ধিজির সঙ্গে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রদ্ধার সম্পর্ক ছিল। সুভাষচন্দ্র বসু মহাত্মাকে খুব সম্মান করতেন।
৯. গান্ধিজি সবসময় কী বলতেন?
উত্তর : গান্ধিজি সবসময় বলতেন নিজের কাজ নিজে করা উচিত।
১০. সংগ্রহশালা কীভাবে তৈরি করা যায়?
উত্তর : শুধুমাত্র পুরোনো জিনিস দিয়েই হয় না, এখানকার ব্যবহার করা জিনিস দিয়েও সংগ্রহশালা তৈরি করা যায়।
১১. কী কী জিনিস দিয়ে সংগ্রহশালা তৈরি করা যায়?
উত্তর : বিজ্ঞানের জিনিসপত্র জোগাড় করে সংগ্রহশালা করা যায়। আবার, নামকরা মানুষদের লেখাপত্র, ব্যবহার করা জিনিসপত্র দিয়েও সংগ্রহশালা তৈরি করা হয়। অনেকের বাড়িতে নানারকম পুরোনো জিনিসপত্র আছে। তা দিয়েও সংগ্রহশালা তৈরি করা যায়।
১২. কোন সংগ্রহশালা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর : মিউজিয়াম বা জাদুঘর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে নানারকম জিনিস সংগ্রহ করে রাখা হয়। যেমন - আমাদের কলকাতায় আছে ভারতীয় জাদুঘর বা ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম।
১৩. গান্ধিজির সংগ্রহশালা কোথায় আছে?
উত্তর : উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুরে।
১৪. গান্ধিজি কী চেয়েছিলেন?
উত্তর : গান্ধিজি অনেক মানুষকে নিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। ভারতকে স্বাধীন করার জন্য তাঁর অবদান বিরাট। তাঁর কথা আমাদের সবার জানা উচিত। দেশের সমস্ত মানুষ সব ভেদাভেদ ভুলে মিলেমিশে থাকুক, তাই তিনি চেয়েছিলেন।
১৫. স্থাপত্য কোন গুলিকে বলে?
উত্তর : পুরোনো দিনের বাড়ি, মন্দির, মসজিদ, গির্জা, কোনারকের সূর্য মন্দির, ইত্যাদিকেই স্থাপত্য বলে আর স্থপতির কর্মকেই স্থাপত্য বলে।
১৬. সৌধ কাকে বলে?
উত্তর : যে স্থাপত্যের সঙ্গে কারোর না কারোর স্মৃতি জড়িয়ে থাকে তাকে সৌধ বলে। যেমন- সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মমতাজের স্মৃতিতে বানিয়েছিলেন আগ্রায় তাজমহল সৌধ।
১৭. ভাস্কর্য কাকে বলে?
উত্তর : পাথর বা অন্য কিছুর গায়ে খোদাই করে যে নকশা, মূর্তি ফুটিয়ে তোলা হয়, তাকে ভাস্কর্য বলে। যেমন- সাঁচিস্তূপ।
১৮. কীভাবে বোঝা যাবে যে কোনো বাড়ি খুব পুরোনো?
উত্তর : কোনো খুব পুরোনো বাড়িতে গেলে দেখা যাবে যে, ইটগুলি বেশ পাতলা। ঘরগুলি লম্বা। ছাদগুলি অনেক উঁচু মেঝে থেকে মোটা মোটা থাম উঠে ছাদে ঠেকেছে। জানালা-দরজাগুলি খুব বড়ো বড়ো। জানালার শিকগুলি মোটা মোটা দরজার পাল্লার কড়াগুলি বেশ বড়ো।
১৯. পুঁথি কাকে বলে?
উত্তর : লাল শালুর ভিতর দুটো আয়তাকার কাঠের পাটার মাঝখানে যা থাকে, তাকে বলে পুঁথি। ওপরের পাটাটা সরালেই দেখা যাবে ভিতরে ওই মাপেরই তালপাতা পরপর সাজানো। তার ওপরে সুন্দর করে অনেক কিছু লেখা থাকে।
২০. হুঁকো কী?
উত্তর : আরবি শব্দ হুক্কার অপভ্রংশ রূপের অর্থ গোলাকার কৌটো বিশেষ। হুঁকো বলতে বোঝায় ধূমপানের বিশেষ কৌশল বা সেই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত যন্ত্র। ধূমপানের সময় হুঁকা থেকে বুদবুদ শব্দে ধোঁয়া নির্গত হয়।