আমাদের পরিবেশ চতুর্থ শ্রেণি (চ্যাপ্টার ৮ মানুষের পরিবার ও সমাজ) প্রশ্ন উত্তর

 
class 4 amader paribesh question answer

Class 4 Amader Paribesh Question Answer Chapter 8


সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
(প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
১.আমাদের খাবার যারা জোগান দেয় তারা হলেন?
🄰 চাষি 
🄱 রাজমিস্ত্রি 
🄲 ডাক্তার 
🄳 শিল্পী

২. আমাদের শিক্ষা কারা দেন?
🄰 ডাক্তার 
🄱 শিল্পী 
🄲 শিক্ষক 
🄳 রাজমিস্ত্রি

৩. ঘরবাড়ি নির্মাণ করেন যারা তারা হলেন—
🄰 চাষি 
🄱 রাজমিস্ত্রি/ঘরামি 
🄲 ডাক্তার 
🄳 শিক্ষক

৪. ভাত, ডাল, তরকারি, মাছ, মাংস ইত্যাদি যাদের প্রিয় খাদ্য তারা হল—
🄰 পাঞ্জাবি 
🄱 ওডিয়া 
🄲 বাঙালি 
🄳 মাড়োয়ারি

৫. আদিম যুগের মানুষ প্রথম চাষ করতো যেভাবে তা হল—
🄰 জমিতে চাষ না দিয়ে বীজ ছড়িয়ে 
🄱 জমিতে চাষ দিয়ে বীজ ছড়িয়ে 
🄲 দুটোই 
🄳 কোনোটিই নয়

৬. বর্তমানে জমিতে কীসের সাহায্যে চাষ করা হয়?
🄰 ট্রাক্টার/পাওয়ার টিলার 
🄱 কোদাল দিয়ে মাটি কুপিয়ে 
🄲 গোরু দিয়ে লাঙল করে 
🄳 কোনোটিই নয়

৭. বীজ ফেলার আগে মাটিতে কী করতে হয়?
🄰 ঘাস বোনা হয় 
🄱 জল দিতে হয় 
🄲 আগাছা পরিষ্কার করতে হয় 
🄳 কোনোটিই নয়

৮. ফসল জমিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণ?
🄰 জল না থাকলে
🄱 জল বেশি হলে 
🄲 পোকা লাগলে 
🄳 কোনোটিই নয়

৯. মানুষ পশুকে পোষ মানানোর উদ্দেশ্য?
🄰 চাষের কাজে ব্যবহার করার জন্য 
🄱 খাবার জন্য 
🄲 বিক্রয় করার জন্য 
🄳 বাড়ি তৈরি করার জন্য

১০. মানুষ যেসব পশুদের পোষ মানাতে পারেনি তার নাম—
🄰 গোরু 
🄱 ছাগল 
🄲 মহিষ 
🄳 বাঘ, সিংহ

১১. মানুষ যে ধরনের পশুদের পোষ মানাতে পেরেছিল—
🄰 শান্ত স্বভাবের 
🄱 হিংস্র স্বভাবের 
🄲 দুটোই 
🄳 কোনোটিই নয়

১১. সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরোনো প্রথার রান্না হারিয়ে যাওয়ার কারণ—
🄰 মানুষের খাবার প্রয়োজন 
🄱 মানুষ বেশি খায় বলে 
🄲 নতুন নতুন রান্না শিখছে বলে 
🄳 কোনোটিই নয়

১২. আগেকার দিনে বাড়তি খাবার নষ্ট হওয়ার কারণ—
🄰 খাবার লোকের অভাব ছিল 
🄱 একের খাবার অন্যকে দিত না 
🄲 এখনকার মতো ফ্রিজ বা হিমঘর না থাকায় 
🄳 সবকটি

১৩. মানুষ খাবার দেওয়া-নেওয়া শিখলো?
🄰 কৃষিকাজ শুরু হওয়ার পর 
🄱 কৃষি কাজ শুরু হওয়ার আগে 
🄲 দুটোই 
🄳 কোনোটিই নয়

১৪. মরুভূমি অঞ্চলের মানুষ কীভাবে খাবার পায়—
🄰 কিনে নেয় 
🄱 চুরি করে 
🄲 চাষ করে 
🄳 রেশন দোকান থেকে

১. চাষের কাজে মানুষের শেখার একদম প্রথম দিকের আবিষ্কার কী?
উত্তর : আগের মানুষ প্রথমে জঙ্গল পোড়ায়। তারপর ওই জমিতে কোদাল, নিড়ানি দিয়ে চাষবাস করে। পাহাড়ে তো এখনও হাল বা বলদের ব্যবহার শুরু হয়নি।
২. মানুষ কবে চাষ করতে শিখেছিল?
উত্তর : সঠিক সময় জানা না গেলেও মনে করা হয়, আজ থেকে প্রায় নয়-দশ হাজার বছর আগে মানুষ চাষ করতে শিখেছিল। তারা ছোটো ছোটো দলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বেড়াত খাদ্যের জন্য। খাদ্যের অভাব হলেই তারা অন্য জায়গায় চলে যেত। তারা লক্ষ করেছিল পশুপাখির ফল খাওয়ার সময় বা তাদের মলত্যাগের সময় বীজ মাটিতে পড়ে। কিছুদিন পর ওই বীজ থেকে গাছের চারা বের হত। এভাবে তারা মাটিতে বীজ ফেলে চাষের কাজ শিখেছিল।
৩. চাষের কাজে কী পরিবর্তন এসেছিল?
উত্তর : প্রথম দিকের মানুষ মাটিতে বীজ ফেলে যে ফসল পেত তার পরিমাণ ছিল কম। ক্রমশ মানুষ ফলন বৃদ্ধির জন্য চাষের নানা ধাপ আবিষ্কার করেছিল।
৪. টাক্টর কী? 
উত্তর : বিশাল এক যন্ত্রচালিত গাড়ি। এটি দিয়ে চাষ করলে অল্প সময়ে অনেক বেশি জমি চাষ করা যায় আর খাটনিও কম হয়।
৫. চাষের কাজে ধাপগুলি কী কী ছিল?
উত্তর : চাষ তো জমিতেই হয়। সেই জমিতে নিড়ানি বা কোদাল দিয়ে জমি কোপানো হত। তারপর হত জমিতে লাঙল দেওয়া। একাজে বলদকে প্রথমে ব্যবহার করলেও পরে কোথাও কোথাও ঘোড়ার ব্যবহার শুরু হল।
৬. বীজ ফেলার আগে মাটিতে কী করতে হয়?
উত্তর : বীজ ফেলার আগে জমির আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। আর বীজগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে মাটিতে জল থাকা দরকার।
৭. বৃষ্টি না হলে চাষের জমি শুকিয়ে গেলে কী করা হত?
উত্তর : এই অবস্থার সৃষ্টি হওয়ার পর মানুষ আবিষ্কার করেছিল জলসেচের ব্যবস্থা।
৮. জলসেচ ব্যবস্থা কী?
উত্তর : নদীর জলকে মাটির বাঁধ দিয়ে সারাবছর ধরে রেখে চাষের কাজে ব্যবহার করা হত। আমাদের দেশের চাষিরা বিভিন্ন নদীর জলকে একইভাবে সেচের কাজে লাগাত। এমনকি কুয়ো, নালা থেকে জল তোলার জন্য যন্ত্র এবং কোথাও উট ব্যবহার করা হত।
৯. সব মাটিতেই কি চাষ হয়?
উত্তর : চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি চাই। সব মাটিতে এক ধরনের চাষ হয় না। বিভিন্ন মাটিতে বিভিন্ন ধরনের চাষ হয়।
১০. সার দিয়ে চাষের কী সুবিধা হত?
উত্তর : চাষ করতে হলে উপযুক্ত মাটি দরকার। মাটিকে উর্বর করে তোলার জন্য প্রয়োজন সারের। তাই মানুষ একদিন জমিতে সার ব্যবহার করেছিল। পালিত পশুর মল চাষের জমিতে পড়ে থাকলে চাষ ভালো হত। কিন্তু চাষের জমির পরিমাণ যখন বৃদ্ধি পেল তখন এত অল্প সারে আর ভালো চাষ হত না।
১১. সেই সময় কী কী ফসলের চাষ হত?
উত্তর : প্রথমে শুরু হয়েছিল গম, বার্লি আর যবের চাষ। তারপর একে একে মানুষ শিখল ধান, জোয়ার-বাজরা, সোয়াবিন, আলু, স্কোয়াশ, তামাকের চাষ। তবে একথা ঠিক, সব শস্যের চাষ একই সময় বা একই জায়গায় শুরু হয়নি। কোনোটা আজকের আফ্রিকায়, কোনোটা আমেরিকা বা এশিয়ার বিভিন্ন দেশে শুরু হয়।
১২. পোকা মারার জন্য মানুষ কী ব্যবহার করত?
উত্তর : গাছে পোকা লাগা একটা সমস্যা। তাই মানুষ পোকা মারার জন্য নানা বিষ ব্যবহার করতে শুরু করল। প্রথম দিকে শুকনো গোবর পোড়া ছাই বা নিম জাতীয় গাছের পাতার রস ব্যবহার করত। তারপর এলো পোকা মারার রাসায়নিক বিষ।
১৩. চাষের ফলন বাড়লেও মাটি নষ্ট হয় কেন?
উত্তর : চাষের ফসলে পোকা মারার রাসায়নিক বিষ প্রয়োগ করার ফলে মাটি নষ্ট হল।
১৪. সেই সময় চাষের কাজে কোন কোন পশু ব্যবহৃত হত?
উত্তর :সেই সময় চাষের কাজে গোরু-বলদ, মহিষ, ঘোড়া ইত্যাদি ব্যবহৃত হত।
১৫. কীভাবে মানুষ এত ধরনের পশুকে পোষ মানাতে পেরেছিল? 
উত্তর : সেইসময় মানুষ সব পশুকে পোষ মানাতে পারেনি। মানুষ বাঘের মতো হিংস্র জন্তুদের শিকার করত। কিন্তু মানুষ বাঘকে পোষ মানাতে পারেনি তার হিংস্র স্বভাবের জন্য। কিন্তু শান্ত স্বভাবের জন্য গোরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়া-উট ইত্যাদি প্রাণীকে পোষ মানিয়েছিল।
১৬. গোরুকে পোষ মানাবার একটি কারণ লেখো। 
উত্তর : গোরু তৃণভোজী প্রাণী। গোরু ঘাসের পাতা, ধানগাছের কাণ্ড খড়, ভুট্টার বীজ খায়। আবার সরষে খোলও খায়। সারাবছর ধরে এগুলি চাষ করা যায়।
১৭. একটা সমাজে সবাই কি একই খাবার খায়?
উত্তর : না। আমরা কী খাবো তা নির্ভর করে আমাদের অঞ্চলের পরিবেশ ও প্রকৃতির ওপর। যেমন আমাদের প্রধান খাবার হল ভাত। এখানকার মাটিতে অনেকদিন ধরে নানারকম ধানের চাষ হত। আবার, পাঞ্জাবে গম, জোয়ার ও বাজরার চাষ বেশি হয়। তাই এক-এক অঞ্চলের মানুষের খাদ্যতালিকাতেও এত পার্থক্য হয়। তবে এখন তো মানুষ নানা রাজ্যের খাদ্য খেতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। আমাদের বাড়িতে তো প্রায়ই নানারকম রান্না হচ্ছে।
১৮. আগে চাল থেকে কী কী খাবার তৈরি হত?
উত্তর : আগে চাল থেকে শুধু যে ভাত হত তা নয়। বহু আগে থেকেই মানুষ চাল থেকে নানাধরনের খাবার তৈরি করতে শিখেছিল। বিশেষ বিশেষ উৎসবের দিন আবার বিশেষ বিশেষ ধরনের খাবার তৈরি হত।
১৯. সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রান্না হারিয়ে যাচ্ছে কেন?
উত্তর : আগে ভাতের সঙ্গে কতরকম শাক-তরকারি রান্না করা হত। নিম, শিম, বেগুন দিয়ে শুক্তো, সঙ্গে থাকত ঠাকুমার দেওয়া বড়ি। ফুলবড়ি ও আদার রস দিয়ে নটে শাক। বেথুয়া শাকের চচ্চড়ি। উচ্ছে দিয়ে মুগ ডাল। মিষ্টি দিয়ে ছোলার ডাল এসব এখন হারিয়ে যাচ্ছে। এখন নতুন নতুন রান্না শিখছে মানুষ।
২০. মানুষ মাছের তৈরি বিশেষ রান্না পছন্দ করছে কীভাবে?
উত্তর : আগে বাড়ির চারদিকে ছোটো-বড়ো অনেক পুকুর ছিল। ছিপ ফেলে বা জাল দিয়ে অনেকে প্রতিদিনই মাছ ধরে নিয়ে আসতো বাড়িতে। খাল-বিল-নদীনালায় ভরা এই অঞ্চলে ভাতের সঙ্গে নানারকমের মাছ খাওয়ার রুচি বহু শত বছর ধরে চলে আসছে। তবে এক-এক জেলায় বিশেষ বিশেষ মাছের তৈরি রান্না খেতে মানুষ বেশি পছন্দ করে।
২১. আমাদের খাদ্যের মধ্যে পানীয় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কেন?
উত্তর : আমাদের খাদ্যের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল পানীয়। দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর পানীয়। শরবত ছাড়াও নুন মেশানো লেবুর জল, দইয়ের ঘোল, আমের শরবত আমরা প্রধানত গরমকালে পান করি। চা পান করা আমরা চিন দেশ থেকে শিখেছি। এভাবে খাদ্যের মধ্য দিয়ে এক সমাজের ছাপ আর এক সমাজে চলে যায়।
২২. খাবারের অপচয় কি আমাদের করা উচিত?
উত্তর : লক্ষ করলে দেখা যাবে, মানুষ যত পরিমাণ খাদ্য নেয় ততটা খায় না। অধিকাংশ খাদ্যই নষ্ট হয়। কত মানুষ প্রতিদিন খাবার পায় না। অপুষ্টিতে ভুগে কত শিশু প্রতিদিন মারা যায়। তাই উৎসব উপলক্ষে খাবারের অপচয় না করাই উচিত।
২৩. বিনিময় ছাড়া খাদ্য দিয়ে বেচাকেনা কীভাবে হল?
উত্তর : একেবারে শুরুর দিকে মানুষ বেচাকেনা করত না একথা ঠিক। তখন শুধু দেওয়া-নেওয়া করত তারা। তারপর একসময় বেচাকেনা শিখল। তখন আর চালের বদলে মাছ বা কাপড় না নিলেও চলত। বাড়তি চাল বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যেত তা দিয়ে চাষি কাপড় কিনতেন। আবার, জেলেও বাড়তি মাছ বিক্রির টাকায় কিনতেন চাল, কাপড়, শাকসবজি ইত্যাদি। এভাবেই একসময় খাদ্য নিয়ে বেচাকেনা শুরু হল।
২৪. গরীব মানুষেরা কী করে খাবার পাবে?
উত্তর : গরীব মানুষ অর্থাৎ, যাদের খাবার কেনার পয়সা নেই তারা রেশন দোকান থেকে অল্প দামে চাল, গম ইত্যাদি পাবেন। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে বিনে পয়সায় খাবার দেওয়া হয়।
২৫. মরুভূমি অঞ্চলের মানুষ কীভাবে খাবার পায়?
উত্তর :মরুভূমি অঞ্চলের মানুষ রেশন দোকান থেকে অল্প দামে চাল, গম পাবেন। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে বিনে পয়সায় খাবার পাবেন। কারণ মরুভূমির আশেপাশে কম বৃষ্টিতে কোনো কোনো ফসল ভালো হয়। আবার, যেগুলির চাষ একদমই হয় না সেগুলি বাইরে থেকে আনতে হয়। ফলে খাবার জিনিসের দাম বেড়ে যায়।

Type Here ....

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন