চতুর্থ শ্রেণি বাংলা ভাষাপাঠ (যতি চিহ্ন / প্রতিশব্দ) হাতেকলমে প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণি বাংলা ভাষাপাঠ প্রশ্ন উত্তর | Class - IV Bangla Bhasapath

{tocify} $title={Table of Contents}

 চ্যাপ্টার ছয় : যতি চিহ্ন 

১.১ উত্তর : শুনেই তো ভয়ে বাঘের প্রাণ উড়ে গিয়েছে। সে ভাবলে যে, নিশ্চয় শিয়াল তাকে ফাঁকি দিয়ে নরহরি দাসকে খেতে দেওয়ার জন্য এনেছে। তারপর সে কী আর সেখানে দাঁড়ায় ! সে পঁচিশ হাত লম্বা এক-এক লাফ দিয়ে শিয়ালকে সুদ্ধ নিয়ে পালাল। শিয়াল বেচারা মাটিতে আছাড় খেয়ে, কাঁটার, আঁচড় খেয়ে, ক্ষেতের আলে ঠোক্কর খেয়ে একেবারে যায় আর কী ! শিয়াল চেঁচিয়ে বললে, 'মামা, আল মামা আল !’ তা শুনে বাঘ ভাবে বুঝি সেই নরহরি দাস এলো, তাই সে আরও বেশি করে ছোটে।

১.২ উত্তর :  চলতে-চলতে এক জায়গায় দেখলাম পথের ওপর প্রকাণ্ড গাছ পড়ে রয়েছে। দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগলাম আমাদের হাতি দুটো এ-গাছ ডিঙোবে কী করে? ভাবতে-ভাবতে গাছটার ওপর চড়তে আরম্ভ করলাম, আর অমনি আমার পায়ের নীচেই যেন একটা কী হুড়মুড় করে উঠল। জিজ্ঞেস করলাম, ‘কেয়া হ্যায় রে?’ শ্যামলাল বললে, ‘হুল্লুমান হোগা হুজুর'।

১.৩ উত্তর : ১৯০৩ সালের শেষাশেষি আবার তাঁরা তাঁদের জাহাজে ফিরে এলেন এবং ঠিক করলেন এবারকার মতো ইংল্যান্ডে ফিরে যেতে হবে। কিন্তু নতুন বিপদ ঘটল। সামনের সমস্ত পথ বরফে বন্ধ হয়ে গেছে। বারো মাইল পর্যন্ত ঘন বরফ পথ আটকে দাঁড়িয়েছিল। তাঁরা নানারকমের যন্ত্র দিয়ে সেই বরফ কেটে পথ তৈরি করতে লাগলেন, কিন্তু কিছু দিন চেষ্টা করে বুঝলেন, এ অসাধ্যসাধন।
১.৪ উত্তর : ইছামতী—যেন লক্ষ্মী মেয়েটি। অতি শান্ত তার চলার গতি। ইছামতীতে এলে পর তীরের দিকে নৌকো সরিয়ে এনে কম জল দেখে দুজন মাঝি হাঁটু-জলে লাফিয়ে পড়ে। হাতে তাদের মোটা দড়ি, মোটা কাঠি। তীরে উঠে এবারে তারা ‘গুণ’ টানতে থাকে। নৌকোয় বাঁধা লম্বা দড়ির আর এক মাথা মোটা কাঠির সঙ্গে বেঁধে কাঠিটা ঘাড়ে চেপে ধরে নদীর পাড় দিয়ে চলতে থাকে মাঝিরা। সে রশির টানে নৌকোও এগিয়ে চলে জলের ওপরে তরতর করে।

১.৫ উত্তর : ‘কে কাঁঠাল চুরি করেছ?’ ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে তিনি জানতে চাইলেন। কেউই অপরাধ স্বীকার করতে নারাজ। তাই দেখে জ্যোতি কবুল করল—সে একাই কাঁঠাল পেড়েছে এবং বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে খেয়েছে। কিন্তু যেহেতু এগুলো তাদেরই ইস্কুলের গাছের ফল, সেজন্য ওগুলো পেড়ে খাওয়াকে চুরি বলে সে মানতে পারে না !

(২) নীচের অনুচ্ছেদগুলিতে প্রয়োজন মতো বিরামচিহ্ন বসাও :
২.১ উত্তর : এই পৃথিবীর সঙ্গে, সমুদ্রের সঙ্গে আমাদের যে একটা বহুকালের গভীর আত্মীয়তা আছে, নির্জনে প্রকৃতির সঙ্গে মুখোমুখি করে অন্তরের মধ্যে অনুভব না করলে সে কি কিছুতেই বোঝা যায়? পৃথিবীতে যখন মাটি ছিল না, সমুদ্র একেবারে একলা ছিল, আমার আজকেকার এই চঞ্চল হৃদয় তখনকার সেই জনশূন্য জলরাশির মধ্যে অব্যক্তভাবে তরঙ্গিত হতে থাকত। সমুদ্রের দিকে চেয়ে তার একতান কলধ্বনি শুনলে তা যেন বোঝা যায় !

২.২ উত্তর : লিখিত ভাষার আর মুখের ভাষার মূলে কোনো প্রভেদ নেই। ভাষা দুয়েরই এক, শুধু প্রকাশের উপায় ভিন্ন। একদিকে স্বরের সাহায্যে, অপর দিকে অক্ষরের সাহায্যে। বাণীর বসতি রসনায় শুধু মুখের কথাই জীবন্ত। যতদূর পারা যায় যে ভাষায় কথা কই সেই ভাষায় লিখতে পারলেই লেখা প্রাণ পায়।

২.৩ উত্তর : রাগি মানুষ কথা কইতে না পারলে যেমন ফুলে ফুলে ওঠে, সকালবেলাকার মেঘগুলোকে তেমনি বোধ হলো। বাতাস কেবলি শ ষ স এবং জল কেবলি বাকি অন্তস্থ' বর্ণ হ য ব র ল নিয়ে চণ্ডীপাঠ বাধিয়ে দিলে। আর মেঘগুলো জটা দুলিয়ে ভ্রুকুটি করে বেড়াতে লাগল। অবশেষে মেঘের বাণী জলধারায় নেবে পড়ল।

২.৪ উত্তর : একদিন কমলমীরে পৃথ্বীরাজের চর এসে খবর দিল সঙ্গ বেঁচে আছেন। শ্রীনগরের রাজার মেয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ের উদ্‌যোগ হচ্ছে। সকালে পৃথ্বীরাজ সেজেগুজে সঙ্গকে ধরবার জন্য বার হবেন, এমন সময় শিরোহি থেকে পৃথ্বীরাজের ছোটোবোন এক পত্র পাঠালেন।

 ২.৫ উত্তর : একসময়ে হঠাৎ দেখি সবাই স্বদেশি হুজুগে মেতে উঠেছে। এই স্বদেশি হুজুগটা যে কোথা থেকে এল তা বলতে পারিনে। এল এইমাত্র জানি আর তাতে ছেলে, বুড়ো, মেয়ে, বড়োলোক, মুটে, মজুর সবাই মেতে উঠেছিল। সবার ভিতরেই একটা তাগিদ এসেছিল। কিন্তু কে দিলে এই তাগিদ? সবাই বলে, ‘হুকুম আয়া’।
(৩) প্রদত্ত যতিচিহ্নগুলিকে মাথায় রেখেশূন্যস্থানে শব্দ বসিয়ে মৌলিক বাক্য লেখোঃ (একটি উদাহরণ দেওয়া রইল)
৩.১ শুভ্রা, বাদল, রত্না আর রাবেয়া বিদ্যালয়ে যাচ্ছে।
৩.২ চন্দ্রা বলল, ‘আমি আগামী সপ্তাহে পুরী যাব’।
৩.৩ শঙ্কর, পঙ্কজ, শিবাজি একই কলেজে পড়ে।
৩.৪ ‘মন্ত্রীকে ডাক’ রাজা হুকুম করল।
৩.৫ মৃন্ময়, সুভাষ, দুই বন্ধু।
৩.৬ দাঁড়াও, ‘আমি আসছি'।
৩.৭ বৃষ্টি পড়ছে, ‘সে বলল’।
৩.৮ রূপা, টুম্পা দুইবোন।
৩.৯ ‘কাল যাব’। বন্ধুটি বলল।
৩.১০ কে গাছ থেকে কাঁঠাল চুরি করেছে?

❐ আরো পড়ুনঃ চতুর্থ শ্রেণি  


চ্যাপ্টার সাত : প্রতিশব্দ 

১. প্রতিধ্বনি কাকে বলে?
উত্তর : পাহাড়ে বা কোনো ফাঁকা জায়গায় গলা ছেড়ে চেঁচিয়ে কিছু বললে একটু পরে সে কথাটাই ফিরে আসে। তাকে বলে প্রতিধ্বনি।

২. প্রতিশব্দ লেখো : রবি, শশী, বায়ু, রাত্রি, ভুবন, পৃথিবী, নদী, আকাশ, জল, পথ, গৃহ।
  • রবি—সূর্য, তপন, মিহির। 
  • শশী—ইন্দু, চাঁদ, সোম। 
  • বায়ু—সমীর, পবন, বাতাস। 
  • রাত্রি—রজনী নিশি, নিশা।
  • ভুবন—জগৎ, পৃথিবী, বসুন্ধরা। 
  • পৃথিবী—বিশ্ব, জগৎ, ব্যোম। 
  • নদী—গাঙ, সরিৎ, স্রোতস্বিনী। 
  • আকাশ—গগন, নভ,
  • অন্তরীক্ষ। জল—অপ, নীর, পানি, বারি। 
  • পথ—সড়ক, রাস্তা, মার্গ। 
  • গৃহ—আবাস, ভবন, বাড়ি। 
  • বাগান—উদ্যান, কানন।
৩। প্রতিশব্দের আরেকটা বাংলা ‘প্রতিশব্দ’ কী? 
উত্তর : সমার্থ-শব্দ বা সমার্থক শব্দ।

Type Here ....

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন