Q. হিটলার কর্তৃক পোল্যান্ড আক্রমণ সম্পর্কে আলোচনা করো।
❏ হিটলার কর্তৃক পোল্যান্ড আক্রমণ : সাম্রাজ্যবাদী শাসক হিটলার শাসনক্ষমতা দখলের পর থেকে বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী অভিযানের দ্বারা বিশ্বশান্তি নষ্ট করেন। হিটলার অস্ট্রিয়া ও চেকোস্লোভাকিয়া দখলের পর পোল্যান্ড দখলের পরিকল্পনা করেন।
[1] জার্মানির ক্ষোভ : হিটলার বিভিন্ন কারণে পোল্যান্ডের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ভার্সাই সন্ধির (১৯১৯ খ্রি.)দ্বারা—[i] জার্মানির পোজেন ও পশ্চিম প্রাশিয়া পোল্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়। [ii] পোল্যান্ডকে জার্মানির ভিতর দিয়ে ‘পোলিশ করিডর' নামে সমুদ্রে যাতায়াতের রাস্তা দেওয়া হয়। [iii] জার্মানির ডানজিগ বন্দরটি ‘উন্মুক্ত বন্দর’ বলে ঘোষণা করে এর অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কার্যত পোল্যান্ডের হাতে দেওয়া হয়।
[2] হিটলারের দাবি : হিটলার জার্মানির ক্ষমতা লাভের (১৯৩৩ খ্রি.) পর ডানজিগ বন্দর এবং সেখানে পৌঁছানোর জন্য পোল্যান্ডের ভিতর দিয়ে একটি করিডর বা রাস্তা দাবি করেন।
[3] পোল্যান্ড আক্রমণ : পোল্যান্ড হিটলারের দাবি অগ্রাহ্য করলে হিটলার ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর পোল্যান্ড আক্রমণ করেন।
[4] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা : হিটলারের পোল্যান্ড আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে ইঙ্গ-ফরাসি শক্তি ৩ সেপ্টেম্বর (১৯৩৯ খ্রি.) জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।
উপসংহার: জার্মানি ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে (২৩ আগস্ট) রাশিয়ার সঙ্গে ‘রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি’ স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির গোপন শর্ত অনুসারে উভয় দেশ পোল্যান্ডকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
Q. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইঙ্গ-ফরাসি তোষণনীতির বিবরণ দাও।
❏ ইঙ্গ-ফরাসি তোষণনীতি : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইটালির ফ্যাসিস্ট শাসক মুসোলিনি এবং জার্মানির নাৎসি শাসক হিটলার উগ্র সাম্রাজ্যবাদী নীতি নিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রে আগ্রাসন চালান। মুসোলিনি এবং হিটলার একের পর এক বিভিন্ন রাষ্ট্রে আগ্রাসন চালালেও ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স তা প্রতিরোধের কোনো চেষ্টা না করে যে নরম মনোভাব বা নিষ্ক্রিয় নীতি গ্রহণ করে তা তোষণনীতি নামে পরিচিত।[1] উদ্দেশ্য : ইঙ্গ-ফরাসি শক্তি কর্তৃক তোষণনীতি গ্রহণের উদ্দেশ্যগুলি ছিল—[i] রুশ সাম্যবাদের বিরুদ্ধে হিটলারের শক্তিকে ব্যবহার করা, [ii] বিশ্বে শান্তিরক্ষার প্রয়োজনে জার্মানি ও ইটালিকে ভার্সাই সন্ধির কিছু কিছু অন্যায় দূর করার সুযোগ দেওয়া প্রভৃতি।
[2] অ্যাবিসিনিয়া দখল : ইটালি ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে আফ্রিকার অ্যাবিসিনিয়া দখল করলে জাতিসংঘ ইটালিকে ‘আক্রমণকারী’ বলে ঘোষণা করে তার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ ঘোষণা করে। কিন্তু ব্রিটেন জাতিসংঘের এই নির্দেশ উপেক্ষা করে ইটালিকে নানাভাবে সাহায্যে করতে থাকে।
[3] স্পেনের বিদ্রোহ : জার্মানির হিটলার ও ইটালির মুসোলিনি স্পেনের গৃহযুদ্ধে (১৯৩৬–৩৯ খ্রি.) সেদেশের বিদ্রোহী নেতা ফ্রাঙ্কোকে সমর্থন জানালে এবং সামরিক সাহায্য পাঠালেও ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
[4] অস্ট্রিয়া দখল : হিটলার ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়া আক্রমণ করলে ইংল্যান্ড হিটলারকে প্রচ্ছন্ন সমর্থন করে। নিরুপায় ফ্রান্সও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণে বিরত থাকে।
[5] মিউনিখ চুক্তি : মিউনিখ চুক্তির (১৯৩৮ খ্রি.) দ্বারা ইঙ্গ-ফরাসি শক্তি জার্মানির সঙ্গে চেকোস্লোভাকিয়ার সুদেত্ন অঞ্চলের সংযুক্তি মেনে নেন।
উপসংহার: নাৎসিবাদ অপেক্ষা সাম্যবাদ বেশি বিপজ্জনক—এই ধারণা থেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ব্রিটেন ও ফ্রান্স হিটলারের প্রতি তোষণ নীতি গ্রহণ করে। ইঙ্গ-ফরাসি শক্তির উদ্দেশ্য ছিল হিটলারকে সমর্থনের মাধ্যমে সাম্যবাদের অগ্রগতি রোধ করা। কিন্তু তোষণনীতির শেষ পরিণতি ছিল ভয়ঙ্কর।
উপসংহার: নাৎসিবাদ অপেক্ষা সাম্যবাদ বেশি বিপজ্জনক—এই ধারণা থেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ব্রিটেন ও ফ্রান্স হিটলারের প্রতি তোষণ নীতি গ্রহণ করে। ইঙ্গ-ফরাসি শক্তির উদ্দেশ্য ছিল হিটলারকে সমর্থনের মাধ্যমে সাম্যবাদের অগ্রগতি রোধ করা। কিন্তু তোষণনীতির শেষ পরিণতি ছিল ভয়ঙ্কর।
Q. টীকা লেখো : রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি (১৯৩৯ খ্রি.)
❏ নাৎসি শাসক হিটলার যেমন কমিউনিস্ট-বিরোধী ছিলেন তেমনি কমিউনিস্ট শাসক স্ট্যালিনও তীব্র নাৎসি-বিদ্বেষী ছিলেন। হিটলার এবং স্ট্যালিনের মধ্যে বিরোধ থাকা সত্ত্বেও বিশেষ পরিস্থিতিতে উভয়ের মধ্যে মিত্রতা স্থাপিত হয়।[1] জার্মানির উদ্দেশ্য : পোল্যান্ড আক্রমণ করতে গিয়ে একই সঙ্গে পূর্ব সীমান্তে রাশিয়া এবং পশ্চিম সীমান্তে ইঙ্গ-ফরাসি শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হতে পারে বলে হিটলার আপাতত রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতা স্থাপনের দ্বারা পূর্ব সীমান্তে যুদ্ধের সম্ভাবনা দূর করেন।
[2] রাশিয়ার উদ্দেশ্য : সাম্যবাদ-বিরোধী ইঙ্গ-ফরাসি শক্তির সঙ্গে জোট গঠনে ব্যর্থ হয়ে রাশিয়া নিজের নিরাপত্তার প্রয়োজনে জার্মানির সঙ্গে মিত্রতা স্থাপনে আগ্রহী হয়।
[3] চুক্তি স্বাক্ষর : রাশিয়া ও জার্মানির মধ্যে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে (২৩ আগস্ট) রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি স্বাক্ষরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মলোটভ এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিবেনট্রপ।
[4] চুক্তির শর্তাবলি : রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তির দ্বারা স্থির হয় যে, রাশিয়া ও জার্মানি—[i] শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিজেদের মধ্যে বিবাদের মীমাংসা করবে। [ii] পরবর্তী ১০ বছর একে অপরকে আক্রমণ করবে না। [iii] তৃতীয় কোনো শক্তির দ্বারা আক্রান্ত হলে কেউ তৃতীয় পক্ষকে সহায়তা করবে না। [iv] পোল্যান্ডকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেবে।
[5] চুক্তিভঙ্গ : রাশিয়ার সঙ্গে অনাক্রমণ চুক্তি সত্ত্বেও হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চুক্তি ভঙ্গ করে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে (২২ জুন) রাশিয়া আক্রমণ করেন।
Q. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির কাছে অক্ষশক্তির পরাজয়ের কারণ কী ছিল?
❏ অক্ষশক্তিভুক্ত জার্মানি ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর পোল্যান্ড আক্রমণ করলে মিত্রপক্ষীয় ইঙ্গ-ফরাসি শক্তি ৩ সেপ্টেম্বর জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে অক্ষশক্তি পরাজিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তির পরাজয়ের বিভিন্ন কারণ ছিল। যেমন—[1] জনপ্রিয়তার অভাব : অক্ষশক্তিভুক্ত দেশের শাসকগণ সীমাহীন স্বৈরাচারিতার জন্য দেশবাসীর কাছে খুবই অপ্রিয় ছিলেন। স্বৈরাচারী শাসক মুসোলিনি ও হিটলার নিজ দেশেই তীব্র বিদ্রোহের মুখে পড়েন।
[2] সহযোগীদের দুর্বলতা : অক্ষশক্তির মধ্যে একমাত্র জার্মানিই ছিল শক্তিশালী। তার সহযোগী ইটালির সামরিক দুর্বলতা এবং জাপানের অর্থনৈতিক সংকট অক্ষশক্তিকে দুর্বল করে দিয়েছিল। স্পেনের শাসক ফ্রাঙ্কো জার্মানিকে কোনোভাবে সাহায্য করেননি। অক্ষশক্তির বিপদকালে রোমেনিয়া, বালগেরিয়া,ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরি প্রভৃতি দেশ হিটলারের পক্ষ ত্যাগ করে।
[3] ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যর্থতা : জার্মানি ফ্রান্সে সফল হলেও তার নৌ বা বিমানবাহিনী ইংল্যান্ড অভিযানে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়।
[4] রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যর্থতা : রাশিয়া অভিযানে জার্মানি তথা অক্ষশক্তির চূড়ান্ত ব্যর্থতা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তির পরাজয়ের অন্যতম কারণ। রাশিয়া আক্রমণ করায় হিটলারকে একই সঙ্গে পূর্ব ও পশ্চিম রণাঙ্গনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হয়। রাশিয়ার যুদ্ধে জার্মানি-সহ অক্ষশক্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
[5] আমেরিকার যোগদান : আমেরিকা যুদ্ধের প্রথম থেকেই অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে। পরে জাপানের আক্রমণে মার্কিন নৌঘাঁটি পার্ল হারবার ধ্বংস হলে আমেরিকা বিপুল শক্তি নিয়ে অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেয়। ফলে অক্ষশক্তির পরাজয় নিশ্চিত হয়ে পড়ে।
উপসংহার : হিটলারের ব্যক্তিগত চারিত্রিক ত্রুটি, তাঁর ভ্রান্ত রণকৌশল, মিত্রশক্তির সুযোগ্য নেতৃত্ব প্রভৃতি অক্ষশক্তির পতনকে অনিবার্য করে তোলে। এই অবস্থায় হিটলারের বিশ্বস্ত অনুচর গোয়েরিং, হিমলার, রোমেল প্রমুখও নাৎসি অত্যাচার থেকে রেহাই পাননি। এরূপ অনুচরদের নাৎসি বাহিনী হারালে অক্ষপক্ষের যথেষ্ট ক্ষতি হয়।
Q. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিস্তারের ব্যাপকতা উল্লেখ করো। অথবা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিশ্বজনীনতার পরিচয় দাও।
ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দীর্ঘ ৬ বছর (৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৯ খ্রি.-২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫ খ্রি.) ধরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের লড়াই চলে। বিশ্ব ইতিহাসে সর্বপ্রথম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধই সবচেয়ে বেশি ভূখণ্ডে ছড়িয়ে পড়ে এবং এই যুদ্ধ প্রকৃতপক্ষে বিশ্বজনীন রূপ লাভ করে।[1] ব্যাপকতা : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশ অংশ নেয়। স্থল, জল ও অন্তরীক্ষের সর্বত্র এই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ভূমধ্যসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে বিভিন্ন নৌযুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়।
[2] জার্মানির লড়াই : যুদ্ধের শুরুতে জার্মানি ও রাশিয়া পোল্যান্ড দখল করে নেয়। ইউরোপের বাল্টিক অঞ্চল, ডেনমার্ক, নরওয়ে, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড প্রভৃতি অঞ্চলে ব্যাপক জার্মান আক্রমণ চলে। পরে জার্মানি ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়া আক্রমণ করলে সেখানে যুদ্ধ ভয়ংকর হয়ে ওঠে।
[3] ইটালির লড়াই : অক্ষশক্তিভুক্ত ইটালি উত্তর আফ্রিকায় আক্রমণ চালায়। আফ্রিকায় কয়েকটি নৌযুদ্ধ মারাত্মক হয়ে ওঠে। শেষপর্যন্ত ইটালি সেখানে ইংল্যান্ডের হাতে পর্যুদস্ত হয়।
[4] জাপানের অগ্রগতি : যুদ্ধের প্রথম থেকে জাপান প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন দ্বীপ, ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়া, বার্মা, মালয়, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড দখল করে নেয়।
[5] আমেরিকার যোগদান : জাপান ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে মার্কিন নৌঘাঁটি পার্ল হারবারে বোমা বর্ষণ করে। ফলে আমেরিকা সক্রিয়ভাবে মিত্রপক্ষের সমর্থনে যুদ্ধে যোগদান করে ও আমেরিকায় বিশ্বযুদ্ধ বিস্তৃত হয়।
[6] এশিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী লড়াই : জার্মানির পতনের (৭ মে, ১৯৪৫খ্রি.) পর ইউরোপে যুদ্ধ শেষ হলেও এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জাপান ও আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধ আরও কিছুদিন চলে। শেষপর্যন্ত জাপানে পারমাণবিক বোমাবর্ষণের ফলে জাপান আত্মসমর্পণে বাধ্য হয় এবং বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটে।
উপসংহার: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দীর্ঘ ৬ বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে এই যুদ্ধ প্রকৃতই বিশ্বজনীন চরিত্র লাভ করে। ফলে এই যুদ্ধের ভয়াবহ প্রভাব থেকে কোনো দেশই রক্ষা পায়নি।
✉︎ Next Page Click : ⓵ » ⓶ » ⓷