চ্যাপ্টার ➲ ভৌম জলের কাজ ও সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ
প্রশ্নঃ আর্টেজীয় বা আর্জেীয় কূপের উৎপত্তি সম্পর্কে লেখ?
প্রশ্নঃ কাস্ট অঞ্চলে সৃষ্ট ভূমিরূপ গুলি আলোচনা করো?
প্রশ্নঃ অ্যাকুইফার ও অ্যাকুইক্লডের পার্থক্য লেখ?
চ্যাপ্টার ➲ মৃত্তিকা
প্রশ্নঃ মৃত্তিকা সৃষ্টিতে জলবায়ু আদি শিলা ও ভূ প্রকৃতি আলোচনা করো?
প্রশ্নঃ মৃত্তিকা পরিলেখ এর বিভিন্ন স্তর সম্পর্কে লেখ?
প্রশ্নঃ মৃত্তিকা সংরক্ষণের পদ্ধতি লেখ?
প্রশ্নঃ এলুভিয়েশন ও ইলুভিয়েশন এর পার্থক্য লেখ?
চ্যাপ্টার ➲ বায়ুমণ্ডলীয় গোলযোগ
প্রশ্নঃ ক্রান্তীয় ও নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত এর উৎপত্তি বা জীবন-চক্র লেখ?
প্রশ্নঃ মৌসুমী বায়ু জেট বায়ুর সম্পর্ক লেখ?
পার্থক্য
প্রশ্নঃ ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘূর্ণবাত?
প্রশ্নঃ উষ্ণ সীমান্ত ও শীতল সীমান্ত?
প্রশ্নঃ ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত ও নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত?
চ্যাপ্টার ➲ জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগ
প্রশ্নঃ মৌসুমী বায়ু ও ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর পার্থক্য?
চ্যাপ্টার ➲ জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ
প্রশ্নঃ জলজ উদ্ভিদ জেরোফাইট এর শ্রেণীবিভাগ করো এবং এর অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য লেখ?
প্রশ্নঃ জলজ উদ্ভিদ হাইড্রোফাইট ও লবনাম্বু উদ্ভিদ বা হ্যালোফাইটের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য লেখ?
চ্যাপ্টার ➲ জলবায়ুগত পরিবর্তন
প্রশ্নঃ গ্রীন হাউস এফেক্ট বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং প্রভাবের কারণ লেখ?
প্রশ্নঃ ওজন হ্রাস বা ওজন গহ্বর এর প্রভাব লেখ?
প্রশ্নঃ জলবায়ু পরিবর্তনে মানুষের ভূমিকা সম্পর্কে লেখ?
চ্যাপ্টার ➲ জীববৈচিত্র্য
প্রশ্নঃ জীববৈচিত্র বিনাশের কারণ লেখ?
প্রশ্নঃ জীববৈচিত্র সংরক্ষণের গুরুত্ব লেখ?
ছোট প্রশ্নঃ
-
আলফা বৈচিত্র্য
-
বিটা বৈচিত্র
-
গামা বৈচিত্র্য
-
বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য
-
জিনগত বৈচিত্র্য
-
প্রজাতি বৈচিত্র
-
ইনসিটু ও এক্সসিটু - এর সংজ্ঞা দাও
উচ্চমাধ্যমিক - প্রাকৃতিক ভূগোল সাজেশন - ২০২১ উত্তর সেট
চ্যাপ্টার ➲ বহির্জাত প্রক্রিয়া
প্রশ্নঃ পর্যায়ন প্রক্রিয়া মাধ্যম গুলি কি কি তা লেখ?
ロ ক্ষয় ও সঞ্চয়কার্যে মাধ্যম ক্ষয়ের শেষ সীমার সাপেক্ষে ভূপৃষ্ঠের সমতলীকরণ কে পর্যায়ন বলে । পর্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যম গুলি মুলত অবরােহণ ও আরােহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ভূমিভাগের পর্যায়ন ঘটে থাকে। এই দুই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী প্রধান মাধ্যম বা এজেন্টগুলি হল— [1] নদী, [2] বায়ু, [3] হিমবাহ, [4] সমুদ্রতরঙ্গ, [5] ভৌমজল প্রবাহ এবং [6] ভর সঞ্চলন প্রভৃতি ।
নীচে এই কয়েক টি এজেন্ট গুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ......
[1] নদী:
পর্যায়ন শক্তির উপাদান হিসেবে নদী : নদী প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠের
শিলাসমূহকে ক্ষয়প্রাপ্ত করে। যথা-
- (i) জলপ্রবাহ ক্ষয়
- (ii) অবঘর্ষ
- (iii) ঘর্ষণ ক্ষয়
- (iv) অপসরণ
(i) জলপ্রবাহ ক্ষয় : প্রবহমান
নদীজল নদীখাত ও নদীরপার্শ্বে প্রচণ্ড বেগে আঘাত করলে অপেক্ষাকৃত কম ও অসংলগ্ন
প্রস্তরখণ্ডগুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে নদীপ্রবাহ দ্বারা সুর অঞ্চলে নীত হয়। ফলে নদী
উপত্যকা অঞ্চল ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ও নিম্নভূমি অঞ্চলে সশয় ঘটে।
(ii) অবঘর্ষ : নদীবাহিত প্রস্তরখণ্ডগুলি জলের সঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে ও নদীখাতে ঘর্ষণ করতে করতে
প্রবাহিত হলে নদীখাত ও নদীপান্থ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, একে অবঘর্ষ বলে। আবার
ক্ষয়প্রাপ্ত পদার্থসমূহ মােহানা অঞ্চল ও নিমপ্রবাহে সঞ্চিত হয়ে সক্ষয়জাত ভূমিরূপ
গঠন করে।
(iii) ঘর্ষণ ক্ষয় : নদীবাহিত
প্রস্তরখণ্ড গুলি জলস্রোতে বাহিত হওয়ার সময় পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে ভেঙে
গিয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তরখণ্ড ও বালুকণায় পরিণত হয়, একে ঘর্ষণ ক্ষয় বলে।
নদীখাত বা নদীগর্ভের এই পদার্থসমূহ নিম্ন উপত্যকায় সঞ্চিত হয়ে সঞ্চয়জাত
ভূমিরূপ গড়ে তােলে।
(iv) দ্রবণ ক্ষয় : নদী উপত্যকা ও
নদী জলে অম্লর প্রভাবে শিলা বিয়ােজিত ও দ্রবীভূত হয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
দীর্ঘদিন দ্রবণ ক্ষয়ে নদী উপত্যকা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে অবরােহণ প্রক্রিয়া দ্বারা
উচ্চতার হ্রাস ঘটে ও অন্যত্র পদার্থ সঞ্চয়ে আরােহণ প্রক্রিয়া দ্বারা উচ্চতার
বৃদ্ধি ঘটে
[2] বায়ু : বায়ু বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ক্ষয় করে নানান ক্ষয়জাত ভূমিরূপ গঠন করে ও
ক্ষয়জাত দ্রব্য দূর দেশে সঞ্চয় দ্বারা বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ তৈরি
করে।
বায়ু দ্বারা ক্ষয়কার্যের প্রক্রিয়া হল- (i) অবঘর্য (ii) অপসরণ (iii)
ঘর্ষণ ক্ষয়
(i) অবঘর্য : মরু অঞ্চলে প্রবলবেগে
বায়ুপ্রবাহের সময় বায়ুবাহিত বালিকণা, প্রস্তরখণ্ড ভূপৃষ্ঠের ওপর প্রবাহিত
হওয়ার সময় ঘর্ষণের মাধ্যমে শিলাস্তর ক্ষয় করে, একে অবঘর্ষ বলে।
(ii) অপসরণ : মরু অঞ্চলে প্রবলবেগে বায়ুপ্রবাহের সময় বিপুল পরিমাণ বালুকারাশি এক
স্থান থেকে অন্য স্থানে উড়ে যেমন গােবি মরুভূমিতে এক-একটি ধূলিঝড়ে প্রায় 40
লক্ষ টন বালি উত্তর চিনের দিকে উড়ে যায় একে অপসরণ বলে।
(iii) ঘর্ষণ ক্ষয় : মরু অঞ্চলে
প্রবল বেগে বায়ুতাড়িত প্রস্তরখণ্ড গুলি পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ঘর্ষণে
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালিতে পরিণত হয়, একে ঘর্ষণ ক্ষয় বলে।
[3] হিমবাহ : উচ্চ পর্বতগাত্র ও উচ্চ অক্ষাংশে হিমবাহের কার্যের ফলে ভূপৃষ্ঠ
ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ও ক্ষয়জাত পদার্থ অন্যত্র সঞ্চিত হয়ে নানা ধরনের ভূমিরূপ গঠন
করে। হিমবাহের এরূপ ভূমিরূপ গঠনকারী পর্যায়ন শক্তির প্রক্রিয়াগুলি হল— (i)
অবঘর্ষ (ii) উৎপাটন
(i) অবঘর্ষ : হিমবাহের সঙ্গে
বাহিত বিভিন্ন প্রস্তরখণ্ডসমূহ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অগ্রসর হওয়ার সময়
হিমবাহের তলদেশ ও তার দু-পাশে শিলাস্তরকে ঘর্ষণের মাধ্যমে ক্ষয় করে, একে অবঘর্ষ
বলে।এর ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপ গঠিত হয়।
(ii) উৎপাটন : উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে
কেলাসন প্রক্রিয়ায় শিলাস্তরে অসংখ্য ফাটল তৈরি হয়, ফলে শিলা আলগা হয়ে ভেঙে
পড়ে। পরে হিমবাহ এরূপ ফাটলযুক্ত ও শিথিল শিলাখণ্ডের ওপর অগ্রসর হওয়ার ফলে
শিলাস্তরগুলি বরফের ধাক্কায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ও অপসারিত হয়। তাই উৎপাটন
প্রক্রিয়া উচ্চ পর্বতগাত্রের ক্রমশ ক্ষয় দ্বারা অবরােহণ প্রক্রিয়ায় লাঢ় হতে
থাকে ও পর্বতের পাদদেশ বরাবর সঞ্চয় দ্বারা আরােহণ প্রক্রিয়ায় নানা ভূমিরূপ গঠন
করে ক্রমশ উঁচু হতে থাকে।
[4] সমুদ্রতরঙ্গ : সমুদ্রজলের তরঙ্গে উপকূলভাগ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন ভূমিরূপ গড়ে ওঠে।
সমুদ্রজল তরঙ্গের ক্ষয়ের প্রক্রিয়াগুলি হল-(i) দ্রবণ ক্ষয় (ii) জলপ্রবাহ ক্ষয়
(iii) অবঘর্ষ ক্ষয় (iv) ঘর্ষণ ক্ষয়
(i) জলপ্রবাহ ক্ষয় : সমুদ্রতরঙ্গ
প্রবল বেগে শিলাতে আঘাত করলে ফাটলে বায়ু অবরুদ্ধ হয়ে প্রবল চাপ সৃষ্টি করে,
তখন শিলাস্তর গুলির ফাটল আরও বৃদ্ধি পেয়ে পরে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র
খণ্ডে ভেঙে পড়ে
একে জলপ্রবাহ ক্ষয় বলে।
(ii) অবঘর্ষ ক্ষয় : সমুদ্রতরঙ্গে
আনীত বালু ও প্রস্তরকণা উপকূলের শিলাস্তরগুলিকে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষয় করে
চলেছে, একে অবঘর্ষ ক্ষয় বলে।
(iii) ঘর্ষণ ক্ষয় :
সমুদ্রতরঙ্গের আঘাতের ফলে প্রস্তরখণ্ডসমূহ পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে অনবরত সংঘর্ষ
ও ঘর্ষণের ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণায় পরিণত হয়। ফলে এগুলি
সহজেই জলের টানে অন্যত্র অপসারিত হয়। ফলস্বরূপ সেখানে অবরােহণ প্রক্রিয়ায়
উচ্চতার হ্রাস ও ক্ষয়জনিত নানা ভূমিরূপ গড়ে ওঠে।
প্রশ্নঃ আরোহন ও অবরোহন এর পার্থক্য লেখ?
আরোহন
|
অবরোহন
|
ভূমিরূপের কোন স্থানের উত্থান হলে তাকে আরোহন বলে ।
|
ভূমিরূপের
কোন স্থানের উচ্চতা হ্রাস হলে তাকে অবরোহন বলে।
|
অবরােহণ
প্রক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা কমে।
|
আরােহণ
প্রক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা উচ্চতা বাড়ে।
|
অবরােহণ
মূলত তিনটি প্রক্রিয়ায় সংঘটিত হয়। যথা— পুঞ্জিত ক্ষয়, ক্ষয়ীভবন
এবং অপসারণ।
|
আরােহণ
বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক শক্তির সঞ্চয়কার্যের ফলে গড়ে।
|
অবরােহণ
পদ্ধতিতে কোনাে স্থান ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
|
আরােহণ
পদ্ধতিতে ভূপৃষ্ঠের কোনাে অবনমিত নীচু অংশ ভরাট হয়ে ক্রমশ উঁচু হয়।
|
চ্যাপ্টার ➲ ভৌম জলের কাজ ও সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ
প্রশ্নঃ আর্টেজীয় বা আর্জেীয় কূপের উৎপত্তি সম্পর্কে লেখ?
ロ পাম্পের সাহায্য ছাড়াই যে-কুপ থেকে ভৌমজল স্বতঃফূর্ত ভাবে ফোয়ারার মতাে
ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে তাকে আর্টেজীয় বা আর্তেজীয় কুপ বলে।
উত্তর পূর্ব ফ্রান্সের আর্তোয়া অঞ্চলে 1750 সালে এই প্রকার কূপ প্রথম খনন করা হয়
বলে এই ধরণের কূপ কে আর্তেজীয় কুপ নামে অভিহিত করা হয়।
আর্টেজীয় বা আর্জেীয় কূপের উৎপত্তি:
আর্তেজীয় কূপ মূলত ভাঁজপ্রাপ্ত শিলার অধােভঙ্গে গঠিত হয়। ভাঁজের অধােভঙ্গ অংশে
দুটি অ-প্রবেশ শিলাস্তরের মাঝে একটি প্রবেশ শিলাস্তর অবস্থান করলে এবং প্রবেশ্য
শিলাস্তরের মুখ ভূপৃষ্ঠে উন্মুক্ত হলে বৃষ্টির জল প্রবেশ্য শিলাস্তরে সঞ্চিত হয়ে
আবদ্ধ জলবাহী স্তরে (অ্যাকুইফারে) ভৌমজল ভাণ্ডার গড়ে ওঠে। এই জলবাহী স্তরের
উন্মুক্ত জলতল অর্থাৎ জলচাপ তল অনেক উঁচুতে অবস্থান করলে এই জলস্তরের নীচের দিকে
জলের উর্ধ্বমুখী চাপ অনেক বেশি থাকে। জলবাহী স্তরের এইরূপ অবস্থাকে আর্তেজীয়
অবস্থা এবং ওই স্তরকে আর্তেজীয় স্তর বলে। জলের এই উর্ধ্বমুখী চাপের জন্য
আর্তেজীয় স্তরের ওপরের অপ্রবেশ শিলাস্তরের কোনাে দুর্বল অংশ দিয়ে কিংবা
অপ্রবেশ্য স্তরের মধ্য দিয়ে কূপ খনন করলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভৌমজল ফোয়ারার মতাে
ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে। বেরােনোর কারণ হলো, আবদ্ধ জলবাহী স্তরে ভৌমজলের চাপ বেশি
হওয়ায় আর্তেজীয় স্তরে কূপ খনন করলে পাম্পের সাহায্য ছাড়াই জল ভূপৃষ্ঠে
উন্মুক্ত হয়।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে, ওড়িশার বালেশ্বর জেলায় অনেক আর্তেজীয়
কৃপ আছে। রাজস্থানের উদয়পুর, আজমীর ও জয়পুর প্রভৃতি শহরের নীচে আর্তেজীয়
স্তরের অস্তিত্ব থাকায় এখানে চিরস্থায়ী হ্রদের সৃষ্টি হয়েছে।
আর্জেীয় প্রস্রবণ কূপ খননের শর্ত: (i) অধােভঙ্গের আকারে দুই অ-প্রবেশ্য
শিলাস্তরের মধ্যে প্রবেশ্য শিলাস্তরের অবস্থান অথবা ওইরূপ শিলাস্তরে গঠিত
আর্তেজীয় কূপ আগ্নেয়শিলার উদবেধ অথবা চুতির ফলে গঠিত আবদ্ধ জলবাহী স্তরের
অবস্থান আর্তেজীয় কুপ খননের প্রথম শর্ত। (ii) জলচাপ তল অবশ্যই কূপের উর্ধ্বে
অবস্থান করবে। (iii) আবদ্ধ জলবাহী স্তরের প্রবেশ্য শিলাস্তরের প্রান্তভাগ অধিক
বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে উন্মুক্ত থাকা প্রয়ােজন।
প্রশ্নঃ কাস্ট অঞ্চলে সৃষ্ট ভূমিরূপ গুলি আলোচনা করো?
ロ জলের দ্রবণ ক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠীয় ও উপপৃষ্ঠীয় শিলা দ্রবীভূত হয়ে শিলার
রাসায়নিক ও ভৌত ধর্মের পরিবর্তন ঘটিয়ে যে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভূমিরূপ ও জলনির্গম
প্রণালী গঠিত হয় তাকে কাস্ট ভূমিরূপ বলে। দ্রবণ প্রক্রিয়ায় কাস্ট
অঞ্চলে যেসব ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়, তাদের অবস্থান ও প্রকৃতি অনুযায়ী 4
টি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়।
এখানে একটি ভাগ আলোচনা করা হলো ..........
ভূগর্ভে গঠিত ভূমিরূপ:
(i) ক্ষয়জাত ভূমিরূপ:
গুহা ও ভূগর: ➺ ভূ-অভ্যন্তরের স্বাভাবিক শূন্যস্থানকে গুহা বলে। কাস্ট অঞ্চলে দ্রবণীয়
শিলাস্তরের ফাটল ও সন্ধিস্থল দিয়ে অ্যাসিড মিশ্রিত জল ভূগর্ভে প্রবেশ করলে
ভূ-অভ্যন্তরে গুহার সৃষ্টি হয় এই গুহা আয়তনে বড়াে হলে তাকে ভূগর বলে। গুহা
অনুভূমিক বা উল্লম্বভাবে বিস্তৃত হতে পারে। গুহা উল্লম্বভাবে বিস্তৃত হলে গুহা
বহুতল বিশিষ্ট হয় এইরূপ গুহাকে গ্যালারি গুহা বলে।
(ii) সঞ্চয়জাত ভুমিরুপ: গুহা অভ্যন্তরে সাধারণত তিন ধরনের রাসায়নিক
সঞ্চয় বা অবক্ষেপ লক্ষ করা যায়। এগুলি হল— (i) পাতন প্রস্তর, (ii) প্রবাহ
প্রস্তর এবং (iii) প্রান্ত প্রস্তর।
প্রবহমান জলের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপকে প্রবাহ প্রস্তর এবং জলপ্রবাহের ফলে
গুহাপ্রান্তে যে ভূমিরূপ গঠিত হয় তাকে প্রান্ত প্রস্তর বলে। গুহার ছাদ থেকে জলের
সঙ্গে দ্রবীভূত চুনাপাথর ফোঁটা ফোঁটা রূপে পড়ে যে ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় তাকে পাতন
প্রস্তর বলে। পাতন প্রস্তর প্রধানত ৪ প্রকার—
⊛ স্ট্যালাকটাইট : গুহার ছাদ থেকে দ্রবীভূত চুনাপাথরমিশ্রিত জল ফোঁটার
আকারে মেঝেতে পড়ার আগেই জল বাষ্পীভূত হয় ও ক্যালশিয়াম দণ্ড হিসেবে ঝুলতে
থাকলে তাকে স্ট্যালাকটাইট বলে।
⊛ স্ট্যালামাইট : গুহার ছাদ থেকে দ্রবীভূত চুনাপাথর মিশ্রিত জল
গুহার মেঝেতে ফোঁটা ফোঁটারূপে সঞ্চিত হয়ে ক্রমশ আকারে ওপরের দিকে বাড়তে থাকে
একে স্ট্যালামাইট বলে।
⊛ স্তম্ভ : স্ট্যালাকটাইট ও স্ট্যালাগমাইট বর্ধিত হয়ে উভয়ে সংযুক্ত
হলে স্তম্ভের সৃষ্টি হয়। এরূপ স্তম্ভ গুহার ছাদকে ধসের হাত থেকে রক্ষা করে।
⊛ হেলিকটইিট : চুনাপাথর অঞলে গুহার ছাদে নানা আকৃতির ভূমিরূপ গঠিত হয়।
যেগুলি তির্যক বা বক্রাকারে বৃদ্ধি পায়, একে হেলিকটাইট বলে।
প্রশ্নঃ
অ্যাকুইফার ও অ্যাকুইক্লডের পার্থক্য লেখ?
বিষয়
|
অ্যাকুইফার
|
অ্যাকুইক্লড
|
অবস্থান
|
দুটি
প্রবেশ শিলাস্তরের মাঝে এই স্তর অবস্থান করে।
|
এই স্তরটি
প্রবেশ শিলাস্তরকে ঘিরে অবস্থান করে।
|
জলধারণক্ষমতা
|
অ্যাকুইফার
এটি জলবাহী স্তর। এর মধ্য দিয়ে জল চলাচল করতে পারে।
|
এটি জলরোধক
স্তর। অর্থাৎ জল সয়ে সক্ষম, তবে সচ্ছিদ্রতার জন্য শিলার ফাগুলি জলপূর্ণ থাকে।
|
কার্যকারিতা
|
এতে ভৌম
জলপ্রবাহ লক্ষ করা যায়।
|
এতে ভৌম
জলপ্রবাহ লক্ষ করা যায় না।
|
সংজ্ঞা
|
যে স্তরে
জল সঞ্চিত হয় ভৌম জলের ভাণ্ডার রূপে অবস্থান করে তাকে অ্যাকুইফার বলে।
|
ভূত্বকের
উপর পৃষ্ঠীয় স্তরে কাদায় গঠিত স্তরকে অ্যাকুইক্লড বলে।
|
পাতন প্রস্থন কাকে বলে
উত্তরমুছুনপ্রবহমান জলের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপকে প্রবাহ প্রস্তর এবং জলপ্রবাহের ফলে গুহাপ্রান্তে যে ভূমিরূপ গঠিত হয় তাকে প্রান্ত প্রস্তর বলে। গুহার ছাদ থেকে জলের সঙ্গে দ্রবীভূত চুনাপাথর ফোঁটা ফোঁটা রূপে পড়ে যে ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় তাকে পাতন প্রস্তর বলে। পাতন প্রস্তর প্রধানত ৪ প্রকার
মুছুন